Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২রা রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে এপ্রিল, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২রা রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে এপ্রিল, ২০২০ঈসায়ী।

    দখলদার ইসরায়েরের কারাগারে এক ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু, লাশ ফেরত দিতে অস্বীকার



    গত ২২ এপ্রিল আল-জাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের একটি কারাগারে ২৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি মারা যান।

    ফিলিস্তিনি প্রিজনার’স সোসাইটির (পিপিএস) মতে ইসরায়েলের নাকাব কারাগারের বন্দী থাকা নূর আল-বারগুতি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস (পিপিএস) দাবী করেছে যে অন্যান্য ফিলিস্তিনি বন্দীদের দ্বারা সৃষ্ট মৌখিক গোলযোগের পরে আল-বারগুতি মারা যান।

    পিপিএস বলেছেন, ইসরাইলের কারা ব্যবস্থাপনা তার মৃত্যুর জন্য পুরোপুরি দায়ী। কারা কর্তৃপক্ষ বারগুতির জীবন বাঁচাতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তারা ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করেছে, ফলে তাকে হাসপাতালে সময়মতো নেওয়া হয়নি। এই বিলম্বই ইঙ্গিত করে যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষক আবারও “ধীর মৃত্যুর নীতি” প্রয়োগ করেছে।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, ৮ বছরের কারাদণ্ডের ৪ বছর অতিবাহিত হওয়া আল-বারগুতিকে মঙ্গলবার রাতে তার কক্ষে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।

    আল-বারগুতির মৃত্যুর ফলে ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী অবস্থায় ফিলিস্তিনি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২২৩ এ পৌঁছে। ইতোপূর্বে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের ক্রীড়নক ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া পাঁচ বন্দীর মরদেহ ফিলিস্তিনিদের কাছে দিতে অস্বীকার করেছিল।তাদের মধ্যে ১৯৮০ সালে ইসরায়েলের অ্যাশেলন কারাগারে আনিস দাওলা নামে একজন মারা যান। ২০১৮ সালে আজিজ ওবাইসাত এবং গতবছর ফারিস বারউদ, নসরত তাকাতাকা ও বাসসাম আল-সায়েহ প্রমুখ ব্যক্তিরা মারা যান।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/26/37033/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    করোনা মহামারী সত্ত্বেও গাজার কৃষিজমি ধ্বংস করে দিচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল



    সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও অসহায় ফিলিস্তিনিদের উপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। বিশ্ব যেখানে দুর্ভিক্ষের ভয়ে আতঙ্ক সেখানে ফিলিস্তিনিদের শস্যক্ষেত উজাড় করে দিচ্ছে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনারা।

    মঙ্গল-বৃহস্পতিবার (২১-২৩ এপ্রিল) পরপর তিন দিন ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনারা তাদের সামরিক যুদ্ধযান নিয়ে গাজা উপত্যকাবর্তী সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে কৃষি জমি উজাড় করেছে।

    স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন যে, বেশ কয়েকটি ‘সামরিক যান’ পূর্ব গাজা শহরের উত্তর সীমানা দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। শুধু তাই নই তারা গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্ববর্তী জাইতুন পাড়ার পূর্বদিকে কয়েক ডজন মিটার কৃষিজমিতে ভারি সামরিক যান নিয়ে ঢুকে বাতাসে ফাঁকা গুলি চালাতে চালাতে কৃষি জমি উজাড় করে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট করেছে। ফলে সেই সবুজ শ্যামল স্থানটি নোংরা ও আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। এমনকি ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনারা কৃষকদেরকে তাদের জমিতে পৌঁছাতেও বাধা দেয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও খাদ্য সংস্থা মঙ্গলবার (২১এপ্রিল) করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে পুরো বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে হুশিয়ার করেছিল তা সত্ত্বেও ইহুদীবাদী ইসরাইল কর্তৃক পরপর তিনদিন অবৈধ ভাবে ফিলিস্তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে খাদ্যশস্য উজাড় করা সত্যিই ন্যাক্কারজনক ও অত্যন্ত নিন্দনীয় ব্যাপার।

    ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল তাদের সাধারণ সীমান্তগুলির মধ্য থেকে গাজা উপত্যকাবর্তী সীমান্তে সীমানা রেখা থেকে আরো ভিতরে অবৈধভাবে ৩০০ মিটার গভীর বাফার জোন হিসাবে নির্ধারণ করে। এবং প্রায়শই এই অঞ্চলে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে যে কাউকেই গুলি করে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ সহ নানা ধরণের অমানবিক, অন্যায্য ও অন্যায় কার্যকলাপ করে থাকে।
    সূত্র: ইনসাফ টুয়েন্টিফোর ডটকম


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/26/37034/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইসরাইলী টর্চারসেলে ১৭ বছর পার করলেন ফিলিস্তিনি মুসলিম জালামনেহ



      ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক আটককৃত ‘মোহাম্মদ জালামনেহ’ নামের ফিলিস্তিনি রাজবন্দী শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) ইসরাইলী কারাগারে তার বন্দীদশার ১৭ বছর পূর্ণ করেছেন বলে জানিয়েছ “ফিলিস্তিনের কয়েদি সোসাইটি(পিপিএস)।”

      ইহুদীবাদী ইসরাইল কর্তৃক অবৈধ ভাবে দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহর থেকে আগত জালামনেহকে ২০০৪ সালের ২৪ এপ্রিল শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।তার বিরুদ্ধে দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের ‘দখলদারবিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধে সক্রিয়তার’ অভিযোগ এনে ২০ বছরের অযৌক্তিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

      জালামনেহ’র পরিবার বেশ কয়েকবার তার সাথে দেখা করতে চেয়েও দেখা করতে পারেনি এই অবৈধ রাষ্ট্রের আশ্চর্যজনক এবং অন্যায্য ‘শাস্তি আইনের’ কবলে পড়ে। যার ফলে অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক আটককৃত শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মতো ‘জালামনেহ’কেও তার ও তার পরিবারের শাস্তি হিসেবে বেশ কয়েকবার পারিবারিক সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত করেছে ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ।

      স্বদেশ ফিলিস্তিনকে অবৈধ দখল থেকে মুক্ত রাখার সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য এখনও পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এবং আরব বন্দীদের কারাগারে আটকে রেখেছে দখলদার ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ‘ইসরাইল’।

      সূত্র: ইনসাফ টুয়েন্টিফোর ডটকম।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/26/37048/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দাজ্জালের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শীঘ্রই আত্মপ্রকাশের দাবি ইসরায়েল ইহুদি ধর্মযাজকের



        ইসরায়েলের শীর্ষ পর্যায়ের রাব্বি বা ধর্মযাজকরা এ মুহুর্তে দেশ ছেড়ে অন্যকোথাও যেতে চাচ্ছেন না, কারণ তারা মনে করেন তাহলে তাদের প্রতিশ্রুত মসীহর (মিথ্যুক দাজ্জাল) আগমনকে স্বাগত জানাতে পারবেন না। ইসরায়েলি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটিই জানালেন দেশটির একজন রাব্বি। তিনি জানান, মসীহ খুব শীঘ্রই আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

        রাব্বি ইয়াকুব জিশলজ ধর্মভিত্তিক রেডিও ২০০০কে দেয়া তিন ঘন্টার ওই সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ রাব্বি চেইম ক্যানিভস্কি আমাকে বলেছেন ইতিমধ্যে মসীহর সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাতও হয়েছে। এরপরই আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’ ইসরায়েলের আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি কমিউনিটিতে রাব্বি চেইম ক্যানিভস্কিকে শীর্ষ দুই-তিনজনের একজন মনেকরা হয়।

        ইয়াকুব জিশলজ বলেন, ‘রাব্বি চেইম ক্যানিভস্কিসহ আধ্যাত্মিক কারণে গোপন থাকা রাব্বিরা এখন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন মসীহর আসন্ন আগমনের বিষয়টি জনগণের কাছে প্রচার করার জন্য।’ একটি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে ইয়াকুব জিশলজ বলেন, ‘শীঘ্রই পরিত্রান প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে এবং সেটি খুব দ্রুতগতিতে চলবে। এ মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণকে শান্ত এবং দৃঢ় থাকতে হবে, যাতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা যায়। প্রত্যেক প্রজন্মেই একজন সম্ভাব্য মসীহ থাকেন ওই প্রজন্মের সঠিক জ্ঞানসম্পন্ন লোকেরাই তাকে সঠিকভাবে চিনতে পারে। আমাদের প্রজন্মের সেই মসীহ আসছেন এটিই সত্য।’

        তিনি বলেন, *‘প্রতি মুহুর্তে আমাদের জন্ম-মৃত্যু যেভাবে হচ্ছে মসীহ এখন তার চেয়েও বেশি কাছে। আপনি কি গগ এবং মাগগের (ইয়াজুজ-মাজুজ) কথা শুনতে পাননি? সেটাও চলে আসবে। ঠিক এ মুহুর্তে পরিস্থিতি বিষ্ফোরণ্মুখ, আপনি যতোটুকু চিন্তা করতে পারছেন তার চেয়েও বেশি। প্রত্যেকেরই এখন জানা উচিত সে কি এ জন্য *প্রস্তুত থাকবে? না বিষয়টিকে এমনিতেই ছেড়ে দেবে।’

        তিনি বলেন, ‘আমাদের রাব্বিরা মসীহ আত্নপ্রকাশের অনেক নিদর্শনও ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছেন, যা তারা লিখে রেখেছেন। ফলে মসীহ আত্নপ্রকাশের প্রমাণগুলো পেয়ে তারা বিষয়টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। রাব্বি ডভ কুকের ধর্মীয় জ্ঞান ও নীতিবোধ সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। তিনি আমাদের প্রজন্মের সর্বোত্তম মানুষগুলোর একজন। দশবছর আগে ইসরায়েলে যখন মারাত্নক খরা চলছিলো তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো গ্যালিলি সমুদ্র আবার কবে অথই পানিতে ভরে যাবে। রাব্বি কুক বলেছিলেন, যখন মসীহ আসবেন তখন এ সমুদ্র কানায় কানায় পূর্ণ হবে। সেই গ্যালিলি সমুদ্র কয়েক সপ্তাহ আগে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।’

        তিনি বলেন, ‘রাব্বি ডভ কুক এও বলেছিলেন যে, ইসরাইলের বর্তমান সরকার পরিবর্তন হবে না। তিনটি নির্বাচন হলেও তার কথাই ফলেছে। এ ব্যাপারে আরেকজন রাব্বি বলেছিলেন, ঐশ্বরিক পরিস্থিতি বলছে এটি নির্বাচনের সময় নয় বরং একটি যুদ্ধের সময়। যদি নির্বাচন হয়ও তবে নেতানিয়াহু থেকে কেউ ক্ষমতা নিতে পারবে না।’

        রাব্বি ইয়াকুব জিশলজ আরো বলেন, ‘কয়েক দশক আগে আধুনিক ইসরায়েলের সর্বশ্রদ্ধেয় ও মহাপ্রাজ্ঞ রাব্বি ইয়েজাক কাদুরি এবং রাব্বি মেনাসেম সেনিরসন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হবেন মসীহ আসার পূর্বে ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী। ইসরায়েলের বেশিরভাগ আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি এটিকেই সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে।’

        ইহুদি জাতির কাছে এ মসীহ হচ্ছেন দাজ্জাল। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স.) এর হাদীস অনুযায়ী কিয়ামতের আগে পৃথিবীতে দু’জন মসীহ আসবেন। একজন ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) বা ঈসা মসীহ, যিনি হবেন সত্যের ধারক। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং কিয়ামতের আগে আবার আসবেন। আর অন্যজন মসীহ দাজ্জাল, যে হবে মিথ্যুক এবং সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী।

        অন্যদিকে ইহুদিরা মনেকরে, ঈসা (আ.) আর আসার সুযোগ নেই। তাদের হিব্রু বাইবেলে আসা প্রতিশ্রুত মসীহর আগমন এখনো ঘটেনি। সে আসবে এবং বিশ্বের সব ইহুদিদের একস্থানে এনে সারা বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে। ফলে ইহুদিরা তাদের সেই মসীহর আগমনের জন্য পৃথিবীকে প্রস্তুত করছে।

        হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একইভাবে বলে গেছেন মিথ্যুক দাজ্জাল হবে ইহুদিদের নেতা এবং তাদের নিয়েই সে সারাবিশ্বে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে। যাকে হত্যা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন ঈসা (আ.)। সূত্র: ইসরায়েল *টুডে, কালের কন্ঠ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/26/37043/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চাবুক মারার শাস্তি বাতিল করতে যাচ্ছে সৌদি আরব



          শাস্তি হিসেবে দোররা বা চাবুক মারার বিধান বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বিবিসির কাছে আসা আইনি নথিপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

          সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, ইসলামি নিয়মে অপরাধীর চাবুক মারার পরিবর্তে কারাদণ্ড বা জরিমানার মত শাস্তি দেওয়া হবে।

          সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংস্কার করতে চান বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাদের ইচ্ছাতেই আইনে এমন পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

          মুহাম্মদ বিন সালমান ইতিপূর্বে পবিত্র ভূমি আরবে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। পবিত্র ভূমিতে নাপাক সিনেমা হল চালুসহ ওপেন কন্সার্টের নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাস্তবায়নসহ নানা অপকর্ম চালু করেছে।

          এইসব পশ্চিমা কুফরি সংস্কৃতি চালু করার জন্য বেছে নিয়েছে নির্যাতনের স্ট্রিম রুলার। যেই বিরোধীতা করবে তাকেই সহ্য করতে হবে গুম খুন বা বন্দীত্ববরণ ও জুলুম। ইতোমধ্যে শত শত সত্যনিষ্ঠ আলেম উলামাকে গ্রেফতার করে নিক্ষেপ করা হয়েছে নির্জন কারাপ্রকোষ্ঠে। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য আলিম ও বিশিষ্ট দ্বায়ী ব্যক্তিবর্গকে।

          লোহিত সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে “নিউম” নামের পশ্চিমা বেশ্যালয় চালুর জন্য নিজ ভূমি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করায় সৌদি দালাল প্রশাসন আবদুল রাহিম আল-হাওয়াইতি নামে সৌদি নাগরিককে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। যার একটি বিশেষ প্রতিবেদন ২২ এপ্রিল আল-ফিরদাউস নিউজেও উঠে আসে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/26/37035/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কাশ্মীরে সাংবাদিক হেনস্থা বন্ধ করতে মালাউন মোদি সরকারকে নির্দেশ দিলো অ্যামনেস্টি



            বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের মিথ্যে অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরের মালাউন পুলিশ ইউএপিএ আইনের অধীন চিত্র সাংবাদিক মাসরাত জাহারা ও সাংবাদিক পিরজাদা আশিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার ঘটনাকে গত মঙ্গলবার তীব্র সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া। ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম বন্ধ করতে চাপ দিয়েছে এই সংস্থা।

            সাংবাদিকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা বিষয়ে বলতে গিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা অবিনাশ কুমার বলেছেন, ইউএপিএ ভারতের সন্ত্রাসবাদরোধকারী আইন। কিন্তু যে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের নীতির সমালোচনা করছেন তাঁদের দমনপীড়নের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এই আইনকে। এটা এই আইনের অপব্যবহার। তিনি আরও যোগ করেছেন, কাশ্মীরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চেয়ে যে এফআইআর হয়েছে তা স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে লঙ্ঘন করছে।

            তাঁর মতে, কোভিড মহামারির এই সংকটকালে ইউএপিএ-র মতো কঠোর আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের টানাহেঁচড়া ও ধরপাকড় করে একটা প্রতিশোধ ও ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। তিনি এও বলেন, কাশ্মীরে দীর্ঘকাল ধরে লকডাউন চলছে। ইন্টারনেট স্পিডও নিয়ন্ত্রিত। এ ছাড়া তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই খেয়ালখুশি মতো কাউকে আটক করে রাখা হচ্ছে এবং তাঁরা আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়ার সুযোগটুকু থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। এভাবে কাশ্মীরের মানবাধিকাহরণ করা হচ্ছে তো বটে, সেইসঙ্গে ভারতসহ গোটা বিশ্বের কাছে সেখানকার সংবাদ এসে পৌঁছতে পারছে না।

            কাশ্মীরের সাংবাদিকদের থানায় ডেকে তাঁদের খবরের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। পীরজাদা আশিককে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নির্দিষ্টপুলিশ অফিসারের কাছে উপস্থিত হতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পীরজাদা আশিক জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের আগস্টের পর আমার সঙ্গে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমনটা হল। আমাকে তলব করা হল এবং আমার করা দুটি খবর নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। কোভিড টেস্টিং কিট কাশ্মীর থেকে জম্মুতে পাঠিয়ে দেওয়ার খবর বিষয়ে। আর একটি হল, দক্ষিণ কাশ্মীরে দুই সেনাকে মেরে ফেলে উত্তর কাশ্মীরের বরামুলাতে সমাধি দেওয়ার খবর প্রসঙ্গে। ওই দুই সেনার পরিবার মৃতদেহ দাবি করেও পাননি। এমনটা রিপোর্টের জন্য আমাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

            শ্রীনগরের ২৬ বছরের পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রসাংবাদিক মাসরাত জাহারাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ-বিরোধী পোস্ট করে যুবসমাজকে প্ররোচিত করার দায়ে ইউএপিএ আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মাসরাত জাহারার কাজ আন্তর্জাতিকমহলে প্রশংসিত হয়েছে এরআগে। প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জাজিরা সহ ভারতের প্রথম সারির নানা মিডিয়াতে। সাইবার পুলিশ স্টেশন কাশ্মীর জোন এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাসরাত জাহারার পোস্ট জনতাকে উত্তেজিত করতে পারে এবং এতে আইন – শৃঙ্খলা ব্যহত হতে পারে, সেই সঙ্গে ওই পোস্ট দেশদ্রোহমূলক কাজকর্মে উৎসাহ দেয়। এর আগেও সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে।

            আসিফ সুলতান নামের আরও এক কাশ্মীরি সাংবাদিককে ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়। এখনও তিনি মুক্তি পাননি। এ ছাড়া অরুণ ফেরেরা, বিনায়ক সেন, ভার্নন গঞ্জালভেজ, সুধীর ধাওয়ালে, মহেশ রাউত, সোমা সেন, সুরেন্দ্র গাডলিং, রোনা উইলসন, সুধা ভারদাবা, ভারভারা রাও, গৌতম বলাখা, অখিল গগৈয়ের মতো বহু মানবাধিকার কর্মীকে এই কঠোর আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
            পুবের কলম সূত্রে জানা যায়, অ্যামনেস্টির অবিনাশ কুমার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হলে তাকে অবশ্যই যুক্তি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। ভারত সরকারকে প্রেসের মুখে লাগাম পরানো বন্ধ করতে হবে।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/26/37042/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আসসালামু আলাইকুম
              বুঝতে পারলাম।
              আমরা ইমাম মাহদি( আঃ)আগমন এর অপেক্ষায় আছি
              মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ(আঃ) আসলে আমরা কিভাবে বুঝতে পারবো?
              فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

              Comment


              • #8
                উম্মাহ নিউজগুলো পড়লে মনে আঘাত লাগে, আর মুজাহিদ নিউজগুলো পড়লে আনন্দ লাগে।
                ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ আপনি মুমিনদের সহায় হয়ে যান.....আমীন.
                  রাব্বে কারিম.!আমাদের সকল কাজে ইখলাস দান করুন।বান্দার বাহবাহ পাওয়ার সুপ্ত কামনা থেকে হিফাজত রাখুন।আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      শয়তান বিন সালমান কতো কিছুই করলো, করছে, করবে আল্লাহই ভালো জানেন! আল্লাহ তা`আলা এসমস্ত জালেম, মুসলিম রুপি মুনাফিকদের থেকে উম্মতে মুসলিমাহকে হিফাজত করুন, আমীন।

                      Comment

                      Working...
                      X