Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ০২রা মে, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ০২রা মে, ২০২০ঈসায়ী।

    দিল্লী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রমজান পরিস্থিতি: ঠিকমতো নেই সেহরি, ইফতার



    ইজহার আহমেদ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এক মাস পার করেছেন। যতদিন তার থাকার কথা, তার দ্বিগুণ সময় নয়াদিল্লীতে সরকারের আইসোলেশান ক্যাম্পে কাটিয়েছেন তিনি। কেন তাকে এখনও বাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে না, জানেন না তিনি।

    ৪০ বছর বয়সী আহমেদ দিল্লীর ওয়াজিরাবাদ এলাকার কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে আল জাজিরাকে বলেন, “এক মাসের মধ্যে তিনবার তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু প্রত্যেকবারই ফলাফল নেগেটিভ এসেছে”।

    আহমাদের মতো তাবলিগ জামাতের হাজার হাজার সদস্যকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছে।

    প্রতিকূল মিডিয়া প্রচারণা

    তাবলিগ জামাতের সদস্যরা মিডিয়ার প্রতিকূল প্রচারণার শিকার হওয়ার পর থেকে হিন্দু কট্টরপন্থীরা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভাইরাস সংক্রমনের অভিযোগ তুলেছে, যেটার কারণে বিশ্বে দুই লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে।

    #করোনাজিহাদ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহু নেতা তাবলীগের ধর্মীয় সমাবেশকে ‘করোনা সন্ত্রাস’ আখ্যা দিচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এই ভাষার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ইসলামভীতিমূলক আচরণ প্রকাশ পেয়েছে।

    ১ এপ্রিল আহমেদকে পুলিশ পূর্ব দিল্লীর শাস্ত্রি পার্ক থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি জানান, চার থেকে ছয়জন মানুষকে একসাথে অস্থায়ী কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে কোন ফ্যান নেই, ফলে গরম গুমট পরিবেশে তাদেরকে থাকতে হচ্ছে।

    সেহরি ও ইফতারিতে খাবারের অভাব নিয়েও হতাশা জানান তিনি। এর কারণে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে।

    তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “সেহরির সময় তারা কোন খাবার দেয় না এবং যখন ইফতারির সময় হয়, তখন আমাদেরকে কিছু খেজুর আর দুটো কলা দেয়া হয়”।

    “আমরা বাড়ি চলে যেতে চাই, এখানে আমাদেরকে আটকে রাখার কোন কারণ নেই, বিশেষ করে যেখানে তিনবার আমাকে পরীক্ষা করে কিছু পাওয়া যায়নি”।

    প্লাজমা দান করলো জামাত সদস্যরা

    তাবলিগি জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে যদিও অব্যাহত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, এর পরও দুই শতাধিক তাবলীগের সদস্য – যারা কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন – তারা অন্যান্য রোগিদের চিকিৎসার জন্য প্লাজমা দান করেছেন।

    জামাতের নেতা সাদ কান্দালভীর বিরুদ্ধে দিল্লীর সমাবেশ আয়োজনের জন্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জামাত সদস্যদের প্রতি তাদের রক্তের প্লাজমা দান করার আহ্বান জানান। তার আহ্বানের পর জামাতের সদস্যরা প্লাজমা দান করলো।

    সূত্র: আল জাজিরা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/02/37336/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ডিটেনশন ক্যাম্পে আসার আগেই মরে যাওয়া ভালো বললেন মালাউনদের অকথ্য নির্যাতনে শিকার হওয়া বৃদ্ধা নুরুল নেসা



    সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যেই আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে আরও এক বাঙালির মৃত্যু হয়। বন্দিশালায় মৃতের সংখ্যা পেরিয়েছে ৩০ এর উপরে। করোনা-সংক্ৰমণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতার মধ্যেও ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি নেই নাগরিক প্রমাণে ব্যর্থদের। অথচ দাগি অপরাধীরা অনেকেই ইতিমধ্যে ছাড়া পেয়েছেন। দু’বছরেরও বেশি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দিয়েছে কেন্দ্র ও আসাম সরকারকে। এরপর দেশের এমন পরিস্থিতিতে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে দু’বছরের বেশিদিন ধরে থাকা আবাসিকদের ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কদিন আগেই অসমের গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন শিবির থেকে জামিনে মুক্তি পান বিদেশি সন্দেহে বন্দী কলকাতার আসগর আলি। এরপর মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি সন্দেহে আটকে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধা নুরুল নেসা।

    ২০১৬ সালে অসমের হাফলং থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হয়েছিলেন ষাট বছরের অসুস্থ বৃদ্ধা নুরুল নেসা। তার বাবার বাড়ি কাছাড়ের মাসিমপুর এলাকায়। পেটের টানে কাজের জন্য স্বামীর সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন হাফলং। এখন তার স্বামী এবং বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। সীমান্ত পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর প্রথমে কোকরাঝাড় বেং পরে শিলচর সেন্ট্রাল জেলের ডিটেনশন শিবিরে থাকতে হয় তাকে। তিন বছর ডিটেনশন ক্যাম্প কাটানোর পর গত বুধবার তাঁর মুক্তি মেলে। ওইদিন খোলা আকাশের নিচে বেড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধা নুরুন নেসা। তুলে ধরেন তিন বছর ধরে ডিটেনশন শিবিরে তার উপর টানা অকথ্য অতাচারের কাহিনি। নুরুন নেসার সঙ্গে এইদিন আরও দু’জন ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন। এরা হলেন সাধন মালাকার (৫৬) ও সুনীল রায় (৫৬)। এদের প্রত্যেককেই হাফলং-এর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করেছিলো।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে যেসব বন্দির মেয়াদ ৩ বছর পার হয়ে গিয়েছে তার শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু তবুও এদের মুক্তি মিলছিলো না। এখন লকডাউনের কারণে তাঁদের জামিনে মুক্তি মিলল। এঁদের প্রত্যেকেই বহু বছর ধরেই অসমে বসবাস করছেন। যেমন সাধনের। বাড়ি কাছাড়ের জামালপুর, আর সুনীল রায় থাকতেন হাফলঙে। আবার নুরুন নেসার বাড়ি ডিসাহাসাও জেলার হাফলং থানার কাশিপুরে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব এবং আইন লড়াই চালানোর মতো অর্থবল না থাকায় তাদের তিন বছর ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাতে হল। নুরুন নেসা দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুরোগে ভুগছেন। স্পষ্ট করে কথা বলতে পারেন না। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে বারবার বলে চলেন, ওরা আমাকে খুব মারধর করেছে, অন্যদের জামা কাপড় ধুতে বাধ্য করেছে না করলে খাবার কেড়ে নিযেছে। এমনকী প্রয়োজনীয় ওষুধটুকুও জোটেনি।

    জেলের ভিতর কাজ করতে গিয়ে হাতে মারাত্মক চোট পেলেও তার চিকিৎসা জোটেনি। নিজের স্বামী এবং সন্তানকে আগেই হারিয়েছেন। কাজেই আগের মতো মনের জোরও নেই, নেই শারীরিক সক্ষমতা। তবুও অসুস্থ শরীর নিয়ে তাকে কাজ করতে হয়েছে। লকডাউনের পর প্রথম দফায় হাফলঙের ১৪ জনকে ডিটেনশন মুক্ত করা হয়। কিন্তু নুরুন নেসার মুক্তি মেলেনি জামিন দারের অভাবে। শেষমেশ বুধবার মুক্তি মিলল। বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়িতে রওনা হওয়ার সময় শুধু বললেন, আমার মতো আর কাউকে যেন ডিটেনশন ক্যাম্পে আসতে না হয়। এর থেকে মরে যাওয়া ভালো।

    সূত্র: টিডিএন বাংলা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/02/37339/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের অর্থে হিন্দুদের ১৮১২টি মন্দির সংস্কার করার সিদ্ধান্ত ভারত ঘেষা আওয়ামী লীগের



      জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সারাদেশে ১৮১২টি মন্দিরের সংস্কার করতে ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

      ‘সমগ্র দেশে হিন্দুদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার’ শীর্ষক প্রকল্পটি চলতি মাসে শুরু করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন করবে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। গতকাল মঙ্গলবার তাগুত প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খবর: বাংলাদেশটুডে

      প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৭৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক সহায়তা আকারে ২ হাজার ৯৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও সরকারের মুসলিমদের থেকে আদায়কৃত করের তহবিল হতে ৩ হাজার ৩১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা মন্দিরের উন্নয়নে ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।

      সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখ। যা দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/02/37348/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবার ঝালকাঠিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ



        ঝালকাঠিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ত্রাণের দাবিতে পৌরসভার ৪ , ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ হয়।

        বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , করোনা পরিস্থিতির কারণে এই মানুষগুলো প্রায় একমাস কর্মহীন। তাঁদের কারও বাড়িতে কোনো খাবার নেই। তাঁরা আজ পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। এমনকি তাঁরা সরকারের দেওয়া রেশন সুবিধাও পাননি। সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলররা বেছে বেছে যারা ভোট দিয়েছেন এবং নিজেদের স্বজনের ত্রাণ দিচ্ছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সচ্ছল ব্যক্তিরা রেশন কার্ড পেয়েছেন। এভাবে সরকারের দেওয়া সব সুবিধা থেকেই তাঁরা বঞ্চিত।
        রিপোর্ট: প্রথম আলো

        বিক্ষোভের সময় উপস্থিত থাকা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার বলেন, *’আমার ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭০০ গরিব পরিবার রয়েছে। আমি বিতরণের জন্য রেশন কার্ড পেয়েছি ৬৫০টি। তাই যারা ত্রাণ পায়নি, তারা বিক্ষোভ তো করবেই


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/02/37340/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করলো সাধারণ মানুষ



          সিলেটে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, করোনার সরকারের পক্ষ থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নগরের সোনারপাড়া এলাকায় কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি। বিক্ষোভকারীরা কাউন্সিলর আবদুর রকিবের (তুহিন) বিরুদ্ধে ত্রাণ সহায়তায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলেন। শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের শিবগঞ্জ মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন দুই থেকে নারী-পুরুষ।
          খবর: প্রথম আলো

          আবদুর রকিব নামে একজন বলেন, ওয়ার্ডে ৩০ টন চালের চাহিদা রয়েছে, ‘বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র আট টন। তারপর আবার চালচুরির ঘটনা তো আছেই।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/02/37343/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X