Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমারতে ইসলামিয়া খোরাসানে 21-22 তারিখের মোবারক হামলাসমূহের তালিকা ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমারতে ইসলামিয়া খোরাসানে 21-22 তারিখের মোবারক হামলাসমূহের তালিকা ।

    কান্দাহার = শাউলিকোট জেলায় সিকিউরিটি ফোর্সের উপর হামলা। ১০ সেনা নিহত।
    নাঙ্গরহার = খোগিয়ানী জেলায় সেনা চৌকির *উপর হামলা ।চৌকি বিজয় । চৌকিতে নিযুক্ত ছয় সেনা নিহত । পাচ জন মুজাহিদদের হাতে বন্দি। প্রচুর পরিমান গনিমত লাভ । এক মুজাহিদ ভাই শহীদ।
    তাখার = স্থানীয় যোদ্ধাদের মাঝে পারস্পারিক লড়াই । দশ শত্রু নিহত।
    ফারাহ = শত্রু পক্ষের ট্যাংক বিধ্বস্ত। একজন নিহত। এক জন আহত
    খোস্ত - কাপিসা = বিমান বন্দর সেনা ক্যারাভানের উপর হামলা। মিযাইল হামলায় তিন সেনা নিহত।
    কোনার = কয়েকটি চৌকির উপর হামলা।কয়েক জন আহত সহ ৮ জন নিহত।
    পাকতিয়া = আমেরিকান ও পুতুল সেনাদের উপর হামলা। তিনটি সাপ্লাইগাড়ী বিধ্বস্ত। শত্রু পক্ষের জান মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি। মেরিন সেনারা আকাশ পথে বোমা বিস্ফোরণ করে। আলহামদু লিল্লাহ ! মুজাহিদগণ অক্ষত। অপরদিকে বাহাদুর এলাকায় হামলা। ৫টি ট্যাংক বিধ্বস্ত। ৪সেনা নিহত। তিন কমান্ডো আহত।
    জুযাযান = সেনা ক্যারাভানের উপর হামলা। দুই ট্যাংক বিধ্বস্ত। ৮সেনা নিহত।
    গজনী = শিলগর জেলায় হামলা। স্থানীয় যোদ্ধারা মুজাহিদদের ভয়ে তিনটি চৌকি খালি করে পালিয়ে যায়। অত্র জেলায় আরো দুই স্থানে হামলা। তিন পুলিশ নিহত।
    অপরদিকে মুজাহিদদের আগমন সংবাদে এই জেলায় এক প্রসিদ্ধ দুধর্ষ কমান্ডার তার দল বল নিয়ে চৌকি ছেড়ে পলায়ন। এমনি ভাবে কুনসুফ এলাকায় নিযুক্ত সেনারাও তাদের চৌকি ছেড়ে গজনী শহরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এমনি ভাবে বেশ কয়েকটি চৌকি সহ বিস্তৃত এলাকা মুজাহিদদের দখলে।
    কুন্দুজ - পাকতিয়া - ফারইয়াব = বর্বর আফগান সেনারা মুজাহিদদের হামলায় দিশেহারা হয়ে স্থানীয় জনগনের উপর হামলা চালায়। মহিলা শিশু সহ চার জন শহীদ। ছয় জন আহত।
    যাবুল = অভিযান রত বাহিনীর উপর হামলা। ট্যাংক সহ সকল সাওয়ারী ধ্বংস।
    কোনাড় = স্থানীয় যোদ্ধাদের উপর হামলা। দুই সেনা নিহত।
    খোস্ত- নুরিস্তান- লোগার = সিকিউরিটি ফোর্সের উপর হামলা। দুই সেনা নিহত। এক জন আহত। অপরস্থানে এ জাতীয় হামলায় এক সেনা নিহত। কয়েক জন আহত।
    মায়দান ওয়ার্দাক = পুতুল সেনাদের উপর পর পর দু্*টি বোমা বিস্ফোরণ। ৪সেনা জাহান্নামে।
    রোজগান = ট্রান্ককোট জেলায় পুলিশের উপর হামলা। ৪পুলিশ নিহত।
    গোর = পুতুল সেনাদের সামরিক রেঞ্জার গাড়ী মুজাহিদদের পুতে রাখা বোমায় বিধ্বস্ত । কয়েক জন আহত সহ ১৫ জন নিহত
    বদকশান = শত্রুর বোমায় শত্রু জাহান্নামে।
    বিহারক এবং ওয়ারদাজ এলাকার মাঝামাঝি অঞ্চলে স্থানীয় যোদ্ধাদের একটি দল মুজাহিদদের হামলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় আমেরিকান যুদ্ধ বিমানের আওতায় চলে আসে। মেরিন এয়ার ফোর্স তাদের মুজাহিদ ভেবে বোমা বর্ষণ করে। এতে অত্র অঞ্চলের ৮ যোদ্ধা নিহত।
    অপর দিকে মুজাহিদগণ ইয়ারদার এলাকায় পুতুল সেনাদের উপর হামলা চালান। তিন আরোহী সহ ট্যাংক বিধ্বস্ত।
    কাবুল = কুখ্যাত দাজ্জালী মিডিয়ার ভয়ংকর প্রোপাগান্ডা। ষড়যন্ত্রের গোমর ফাঁস ।
    গত ১৯ই এপ্রিল , ইমারতে ইসলামিয়ার তিন ফিদায়ী ভাই কাবুল শহরে কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স অফিসের উপর ফিদায়ী হামলা চালায়। এতে সিকিউরিটি ফোর্স, গোয়েন্দা প্রধান, পুলিশ অফিসার ও রাষ্ট্রপক্ষের বড় বড় নেতৃবৃন্দ সহ মোট ৯২ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। নিশ্ছিদ্র প্রহরাতে সুরক্ষিত এলাকা হওয়ায় জন সাধারণ এতে প্রবেশ করতে পারে না। তাই এই মোবারক হামলায় শত্রুপক্ষ ছাড়া সাধারনের কেউ বড় ধরণের হতাহতের শিকার হয়নি। কিন্তু রাষ্টপক্ষের জঘণ্য প্রতারকগোষ্ঠি এবং হলুদ সাংবাদিকতার চর্চাকারী লোভাতুর সাংবাদিকচক্র মুজাহিদদের ব্যাপারে বিরুপ পতিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য ভয়ংকর প্রোপাগান্ডার আশ্রয় নেয়। পাকিস্তান, মিশর, ইরাক, সিরিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মার্কিনী ও তার দোসরদের করা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী-শিশুও দূর্বল জনসাধারণের ছবির কাটিং একত্রিত করে এই মোবারক ফেদায়ী হামলার সাথে জুড়ে দেয়। যাতে মানুষ মনে করে এসব লোকেরা এই হামলায়ই ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। ইমারতে ইসলামীর তথ্য পরিবেশনা বিভাগ তাদের এই নোংড়া মিথ্যাচারের তাংক্ষনিক প্রতিকারের চেষ্টা চালান। এবং প্রতিটি ছবির বাস্তব পরিচিতি, কোন দেশের ঘটনা, কাদের হামলা, কোন পত্রিকায় এ ছবি এসেছে সব পুন্খানো পুন্খানো বর্ণনা করে দিয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্রের গোমর ফাঁস করে দেন।
    আহ! কত সরল প্রকৃতির মুখলিস মুমিন তাদের এই নোংড়া প্রপাগান্ডার কারণে মুজাহিদদের প্রতি কুধারণা করে আছে।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দাজ্জালী মিডিয়ার অপকৃয়া থেকে হেফাযত করুন। আমীন!!!
    কাবুল = ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদগণ হালকা ও ভারী অস্ত্র নিয়ে তোরগোর এলাকায় মজবুদ সেনা দলের উপর হামলা। শত্রু পক্ষের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি। দেড় ঘন্টা হামলা অব্যাহত। অবশেষে সবাই পলায়ন ।
    মায়দান ওয়ার্দাক = মুজাহিদদের পাতা সুরঙ্গ বোমায় শত্রু ট্যাংক বিধ্বস্ত। সকল আরোহী হালাক। নিহতদের লাশ নিতে আসা সেনাদের উপর দ্বিতীয় বার হামলা। এতে পুরো সেনা দল পর্যদস্ত। আরো বেশ ক্ষয় ক্ষতির শিকার।
    বিহারক ও ওয়ারদুজ এলাকায় ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শত্রু সেনারা মুজাহিদদের দখলে থাকা কয়েকটি মোর্চায় হামলা চালায়। মুজাহিদগণ প্রচন্ড শক্তিতে তাদের প্রতিরোধ করে। এতে দুশমনের কয়েক ডজন সেনা আহত ও নিহত হয়। বেশ সংখক বন্দি আর বাকিরা পলায়ন।
    ব্যার্থ কাপুরুষ সেনারা মুজাহিদদের হাতে মার খেয়ে প্রতিশোধ নিতে জনগনের উপর হামলা চালায়। প্রাপ্ত তথ্য মতে মহিলা সহ তিন শিশু শহীদ।
    নাঙ্গরহার = প্রাদেশিক গভর্নরের ক্যারাভেনে হামলা। সাথে সাথে বিস্ফোরণ। ট্যাংক বিধ্বস্ত। ৬ সেনা হালাক।
    ফাতাহবাদ এলাকায় সুড়ং বোমায় রেঞ্জার গাড়ী বিধ্বস্ত। দুই সেনা গুরুতর আহত।
    কুন্দুজ = বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকটি চৌকিতে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণ। কয়েক জন আহত সহ ২২ সেনা নিহত। এক কমান্ডার জাহান্নামে।
    মায়দান = সুড়ং বোমায় শত্রু ট্যাংক বিধ্বস্ত। আরোহীরা মারাত্মক আহত। স্নাইপারের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত।
    হেলমান্দ ও কুন্দুজ = ইমারতে ইসলামিয়ার দাওয়াহ বিভাগের মেহনতে প্রকৃত সত্য বুঝতে পেরে স্থানীয় যোদ্ধা ও পুলিশ বাহিনীর মোট ২১ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি মুজাহিদদের সাথে মিলিত হয়। তারা আসার সময় ট্যাংক সাজোয়া যান ও বিপুল পরিমান অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আসে। মুজাহিদগণ নবাগত তাওবাকারী ভাইদেরকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে বরণ করেন। তারা সবাই আজীবন দ্বীনের বিজয়ের পথে কাজ করার প্রতি শ্রুতি দেন।

    Last edited by abuusama; 04-25-2016, 07:31 PM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ!

    Comment


    • #3
      allaho akbar

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার।সে দিন বেশী দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশের হামলাগুলোর লিষ্ট প্রকাশ পাবে ইনশাআল্লাহ।আল্লাহ তুমি সেই দিনটিকে ত্বরাণ্বিত কর।
        শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

        Comment

        Working...
        X