Announcement

Collapse
No announcement yet.

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০১-৫ম] ::

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০১-৫ম] ::

    কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০১] :: সাধারণ আলোচনা

    কম্পিউটার আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম।আর তাই এর যত্ন নেওয়াও আমদের জন্য খুবই প্রয়োজন। আজ এ ব্যাপারে সাধারণ আলোচনা করব।

    কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ আসলে কী?

    দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই বিশ্ব।আর এই এগিয়ে যাওয়ার পথে যে জিনিসটি আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে তা হল কম্পিউটার।বৃক্ষের যেমন নিয়মিত পরিচর্যা না করলে ভাল ফল আশা করা যায় না।তেমনি কম্পিউটারকে যদি পরিচর্যা না করেন,এটির প্রতি যদি যত্নবান না হন,তবে এর থেকেও ভাল ফলাফল আপনি আশা করতে পারবেন না।কম্পিউটারের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ সার্ভিস বা সেবা পাওয়ার জন্য অবশ্যই এটির যত্ন নিতে হবে।

    “মূলত কমিপউটারের বিভিন্ন অংশের সংযোগ দেওয়া,কম্পিউটারের সঠিক যত্ন নেওয়া,নির্দিষ্ট সময় পরপর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা,কোন যন্ত্র ঠিক মত কাজ না করলে তার মেরামত,পরিবর্তন ইত্যাদিকে সামগ্রিক ভাবে কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ বলা হয়।”

    কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা:

    মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।এখন এই মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের যদি কোন মানুষ যত্ন না নেয়,তাহলে কি তার থেকে ভাল ফল পাওয়া যাবে।যেই অংশের যত্নে আপনি ঘাটতি দেখাবেন সেই অংশটিই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।আর চিন্তা করুণ কম্পিউটার হচ্ছে সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশের সেরা।সুতরাং এর থেকে ভাল ফল পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই এর পরিচর্যা করতে হবে।বাইরের বিভিন্ন নিয়ামক যেমন:আদ্রতা,তাপমাত্রা,বিদ্যুত ক্ষেত্র, চুম্বক ক্ষেত্র, ধুলিকণা, ধোঁয়া, পানি ইত্যাদির প্রভাব থেকে কম্পিউটারকে রক্ষা করতে হবে।

    কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষনে আমরা যে সমস্ত অবহেলা করি:

    ১.কমিপউটারটা এমন এক স্থানে রাখি যেখানে সরাসরি ধুলাবালি প্রবেশ করে।
    ২.বিদ্যুতিক সংযোগ ঠিক মত দেই না।
    ৩.ইউ.পি.এস থাকলে এর সঠিক ব্যবহার করি না।
    ৪.ব্যবহারের পর কম্পিউটার ডেকে রাখি না।
    ৫.অনেকে আবার একেবারে বদ্ধ স্থানে কম্পিউটার রাখি,যার ফলে সি.পি.উর হাওয়া বের হওয়ার সুযোগ কম থাকে।
    ৬.কি-বোর্ড ও মাউসের যত্ন নিই না।
    ৭.ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকি না।
    ৮.কম্পিউটারের ভিতরের ফাইল/ফোল্ডার গুলো এলোমেলো ভাবে রাখি।

    প্রতিরোধমূল মূলক রক্ষণাবেক্ষণ:


    এ ব্যাপারে ধারাবাহিক পোস্ট দেয়া হবে।এখানে বেসিক কিছু জিনিস আলোচনা করা হল:
    প্রতিদিন যা করা দরকার:


    ১.প্রতিদিন ধুলোবালি মুছতে হবে।
    ২.ব্যবহারের সময় বিদ্যুতিক সংযোগ এর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
    ৩.কম্পিউটার টেবিলের আশেপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
    ৪.ব্যবহারের পর কম্পিউটার ডেকে রাখতে হবে।
    ৫.অতিরিক্ত সময় কম্পিউটার চালালো যাবে না।
    ৬.অনেক সময় আমরা করি কি,কম্পিউটার বন্ধ করে আবার হুট করেই ১০/২০ মিনিট পর এসে কম্পিউটার চালাই।এতে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়।একান্ত প্রয়োজন না হলে এমনটা করা যাবে না।
    ৭.আদ্রতা সম্পর্কে সচেতন থাকা।

    প্রতি সপ্তাহে যা একবার করা দরকার:

    ১.কম্পিউটারের আশেপাশ ভালমত পরিষ্কার রাখা।
    ২.এন্টিস্ট্যাটিক এবং ধূলা শোষক কাপড় দিয়ে কম্পিউটারের ডেস্ক,শেলফ মুছা।
    ৩.কম্পিউটার টেবিলের উপর থাকা কাজগপত্র,পত্রিকা ইত্যাদি গুছিয়ে রাখা।
    ৪.ডিস্ক ড্রাইভের রিড হেড পরিষ্কার করা।
    ৫.মনিটরের ডিসপ্লে পরিষ্কার রাখা।
    ৬.স্ক্যানডিস্ক প্রোগ্রাম চালনা করা।
    ৭.ভাইরাস স্ক্যান করা।

    প্রতিমাসে যা অত্যন্ত একবার করা দরকার:

    ১.ডিফ্র্যাগমেন্টেশন ও স্ক্যান করা।
    ২.ড্রাইভের হেড পরিষ্কার রাখা।
    ৩.কম্পিউটার খুলে ভিতরের অংশ পরিষ্কার করা।তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।না জেনে কোন যন্ত্রে হাত না দেওয়াই উত্তম।
    ৪.প্রিন্টার,কি-বোর্ড,মাউস পরিষ্কার করা।
    ৫.ভেন্টিলেশন ফিল্টার পরীক্ষা করা।
    ৬.এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম আপডেট করা।

    প্রতি ছয় মাসে অত্যন্ত যা করা দরকার:


    ১.সিডি ড্রাইভের গতি পরীক্ষা করে কম বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা।
    ২.বিভিন্ন সংযোগ ও সংযোগ পিন পরিষ্কার করা।
    ৩.প্রয়োজনীয় সফট্ওয়্যার আপডেট দেওয়া।

    কম্পিউটারের আশেপাশে কোন ধাতব পদার্থ রাখা যাবে না এবং ইলেকট্রিক শক থেকে রক্ষা পাবার জন্য অবশ্যই কম্পিউটারের বিদ্যুত সংযোগ ব্যবস্থায় আর্থিং থাকা উচিত।

  • #2
    কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০২] :: কম্পিউটারের সাথে কি কি যন্ত্রপাতির সংযোগ দেয়া হয় এবং কিভাবে?

    আজকে আমরা দেখব কম্পিউটারের সাথে কি কি যন্ত্রপাতির সংযোগ দেয়া হয় এবং কিভাবে।বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বেয়ে গঠিত আমাদের কম্পিউটার।আর তাই কম্পিউটারের যন্ত্রপাতিগুলা ঠিকমত সংযোগ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

    কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট হচ্ছে এমন একটি ধারক যার মধ্যে কম্পিউটারের প্রসেসিং কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্টিক, প্রসেসর, মেমরি, মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে।সিস্টেম ইউনিটের পেছনের দিকে সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ইনপুট-আউটপুট যন্ত্রপাতি, যেমন:কী-বোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার, স্ক্যানার, মডেম, স্পিকার ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়।এসব যন্ত্র সংযোগ দেওয়ার জন্য মাদারবোর্ডের পিছনে পোর্ট থাকে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এক্সপানশন স্লট কার্ড ব্যবহার করেও সংযোগ দেওয়া যেতে পারে।বর্তমানে মনিটর ব্যতিত অন্য প্রায় সকল যন্ত্রের জন্য ইউ.এস.বি পোর্ট ব্যবহার করা হয়।ইউ.এস.বি পোর্ট সিস্টেমের সামনেও সংযুক্ত থাকতে পারে।

    কম্পিউটার সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য তারের মাধ্যমে বা তারবিহীনভাবে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যন্ত্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করা হয়।

    প্রতিটি যন্ত্রের সাথে প্রধানত দুটি ক্যাবল সংযুক্ত থাকে:


    ১.ডেটা চলাচল তার বা ডেটা ক্যাবলের সংযোগ।
    ২.বিদ্যুৎ সরবারহ তারের বা পাওয়ার ক্যাবলের সংযোগ।

    ডেটা ক্যাবলের সংযোগ:

    প্রতিটি যন্ত্রের সাথে ডেটা ক্যাবল থাকে।এই ক্যাবল দ্বারা বিভিন্ন পোর্টের মাধ্যমে মনিটর,প্রিন্টার,স্ক্যানার,কী-বোর্ড,মাউস ইত্যাদি যন্ত্রপাতি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয়।কী-বোর্ড ও মাউসের ক্ষেত্রে শুধু ডেটা ক্যাবল থাকে,আলাদা পাওয়ার ক্যাবলের প্রয়োজন পড়ে না।
    বিদ্যুৎ সরবারহের (পাওয়ার সাপ্লাই) ক্যাবলের সংযোগঃ

    কম্পিউটারে কাজ করার জন্য সিস্টেমকে বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে তার বা ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হয়।বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে এই সংযোগ দুইভাবে হতে পারে।সরাসরি লাইনের সাথে সংযোগ অথবা ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার কিংবা ইউ.পি.এস এর মাধ্যমে সংযোগ।কম্পিউটারের সি.পি.ইউ বা অন্যান্য যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার তারকে পাওয়ার কার্ড বলা হয়ে থাকে।এই পাওয়ার কার্ডের মাধ্যমেই বিভিন্ন যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।কম্পিউটার যে পাওয়ার কার্ডটি দ্বারা পাওয়ার পায় সেটি তিন-পিনের কানেক্টরযুক্ত পাওয়ার কার্ড।পাওয়ার ক্যাবলের একটি প্রান্ত কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে অন্য প্রান্তটি বিদ্যুৎ লাইনের সাথে যুক্ত থাকে।এই কার্ডটি লাগানোর আগে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ভোল্টেজ সুইচের অবস্থান দেখে নিতে হবে।এটা কি ১১০v–এ আছে না ২২০v আছে।দ্বিতীয়টি আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য।মনিটর,স্ক্যানার,প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রপাতিকেও আলাদাভাবে বিদ্যুৎ সরবারহ করতে হয়।
    বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ

    কম্পিউটার সংযোগের ক্ষেত্রে সকল অংশের ক্যাবল সংযোগ শেষ করার পরই বৈদ্যুতিক সাপ্লাই লাইনের সাথে কম্পিউটারের সংযোগ দিতে হবে।অনুরূপ কম্পিউটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক সাপ্লাই লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।তারপর অন্যান্য সংযোগ বিছিন্ন করা যেতে পারে।
    পোর্ট(Port)

    কম্পিউটারের পোর্ট হল এক ধরনের পয়েন্ট বা সংযোগ মুখ। কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে কী-বোর্ড,মাউস,স্পিকার,স্ক্যানার ইত্যাদি যন্ত্রের সংযোগ পয়েন্ট থাকে।এ সংযোগ পয়েন্টকে বলা হয় পোর্ট।এ সমস্ত সংযোগ সাধারণত প্লাগযুক্ত ক্যাবলের সাহায্যে সিপিইউ বক্সের পেছনে দেওয়া হয়।যে প্লাগে পিন লাগানো থাকে তাকে বলে মেল প্লাগ(Male Plug)এবং যে প্লাগে ছিদ্র থাকে তাকে বলে ফিমেল প্লাগ(Female Plug)।

    কম্পিউটারের পোর্টের মধ্য দিয়ে ডেটা চলাচল এবং সংযোগের প্রকৃতি অনুসারে পোর্টকে বিভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়।
    যেমন:

    প্যারালাল পোর্ট।
    সিরিয়াল পোর্ট।
    ইউএসবি পোর্ট।
    মনিটর পোর্ট।
    কী-বোর্ড পোর্ট।
    মাউস পোর্ট।
    নেটওয়ার্কিং পোর্ট।
    অডিও পোর্ট।
    ভিডিও পোর্ট।
    গেম পোর্ট।

    আগামী পর্বে আমরা দেখব যে কিভাবে কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে বিভিন্ন অংশের সংযোগ স্থাপন করতে হয়।এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা।

    Comment


    • #3
      কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০৩] :: কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে বিভিন্ন অংশের সংযোগ স্থাপন

      আজকে আমরা দেখব কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে বিভিন্ন অংশের সংযোগ স্থাপন দেয়া হয় এবং কিভাবে।কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট হচ্ছে এমন একটি ধারক যার মধ্যে কম্পিউটারের প্রসেসিং কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্টিক, প্রসেসর, মেমরি, মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে।আর তাই কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে বিভিন্ন অংশের সঠিকভাবে সংযোগ স্থাপন দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
      মনিটরের সংযোগঃ

      মনিটরের ডেটা স্থানান্তরের জন্য মনিটরের সাথে লাগানো তার বা মনিটর ডেটা ক্যাবলটি সিস্টেম ইউনিটের মনিটর পোর্টে লাগাতে হয়। মনিটরের ডেটা ক্যাবলকে ভিজিএ কানেকটরও বলা হয়। যদি মনিটরের নিজস্ব স্পীকার বা মাইক্রোফোন না থাকে তাহলে মনিটরের সাধারণত দুটি কর্ড থাকে। তার একটি মনিটর ইন্টারফেস ক্যাবল নামে পরিচিত,যা কম্পিউটারের পেছনে ভিডিও পোর্টে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ কানেক্টরটি মাত্র এককভাবেই পেছনে ভিডিও পোর্টে লাগানো যাবে। আর অন্য যে কর্ডটি সেটি হল পাওয়ার কর্ড। এটি দেয়ালের সকেটে অথবা সার্জ প্রটেক্টরে লাগানো হয়। সাধারণত দু’ধরনের মনিটর পোর্ট দেখা যায়। যেমন:আইবিএম ও আইবিএম কম্পাটিবল কম্পিউটারের জন্য এক ধরনের এবং ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য অন্য এক ধরনের। মূলত সিস্টেম ইউনিটের ভেতরে স্থাপিত মাদারবোর্ডের ভিজিএ কার্ডের পোর্টের সাথে মনিটরের কানেক্ট্রটি সংযুক্ত করতে হয়। ভিজিএ কার্ডের পোর্টটি মাদারবোর্ডের ক্যাসিং এর বাইরে প্রদর্শিত থাকে।ভিজিএ(ভিডিও গ্রাফিক্স এ্যারে) মনিটরের সংযোগক্ষেত্রে ১৫ পিনের ফিমেল সিরিয়াল পোর্টের সাথে মনিটরের মেইন কানেক্টরটি লাগানো হয়। এক্ষেত্রে মনিটরের মেইন কানেক্টরটি সঠিকভাবে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দু’পাশের দু’টি স্ক্রু এর মাথা ঘুরিয়ে টাইট করে সংযোগ দিতে হবে যাতে সংযোগটি ঠিলা না হয়।



      প্রিন্টারের সংযোগঃ

      যখন সিস্টেমের আলাদা কোন পেরিফেরাল,যেমন-প্রিন্টার কেনা হয় তখন এর সাথে প্রদত্ত নির্দেশিকা থাকে।যার সাহায্যে খুব সহজেই প্রিন্টার সেটআপ দেয়া যায়।কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট থেকে প্রিন্টারে ডেটা পাঠানোর জন্য সাধারণত ডেটা ক্যাবল এবং প্রিন্টার কার্যকর করতে পাওয়ার ক্যাবলের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।অনেক প্রিন্টারে প্যারালাল পোর্ট ব্যবহার করা হয়।যেটি দিয়ে একই সময়ে পাশাপাশি ডেটা স্থানান্তর করা হয়।মনিটরের ক্যাবল ও পোর্টে যেমন পিন আছে এখানেও তেমনি এবং একইভাবে লাগানো যায়।তবে আধুনিক প্রায় সকল কম্পিউটারের প্রিন্টারে ইউএসবি ইন্টারফেস দেখা যায়।আবার অনেক আধুনিক প্রিন্টারে ডেটা ক্যাবলের পাশাপাশি/পরিবর্তে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়।নেটওয়ার্ক প্রিন্টারে পৃথক কোন ডেটা ক্যাবলের প্রয়োজন হয় না।নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মাধ্যমেই ডেটা চলাচল করতে পারে।



      কী-বোর্ড ও মাউস সংযোজনঃ

      আমরা যে কী-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করি সেগুলো বেশিরভাগই পিএস/২ সিস্টেমের,তবে অনেক কী-বোর্ড ও মাউস ইউএসবি অথবা ওয়্যারলেস ইন্টারফেস বিশিষ্ট।যার ফলে দেখা যায় যে আপনি কোন পোর্টে মাউস বা কী-বোর্ড লাগাবেন তা নির্ভর করে আপনার যন্ত্রটি কোন সিস্টেমের।যাদের কী-বোর্ড ও মাউস পিএস/২ সিস্টেমের, তাদের অবশ্যই সংযোগ দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।লাগানোর সময় জোরে লাগানো যাবে না,এতে পিন নষ্ট বা ভেঙ্গে যেতে পারে।
      স্পীকার ও মাইক্রোফোনের সংযোগঃ

      আপনার সিস্টেম ইউনিটের পিছনে মাদারবোর্ডের সাথে সাউন্ড কার্ড লাগানো আছে।সাউন্ড কার্ডের সবুজ রঙ্গের পোর্টের সাথে স্পিকারের জ্যাক লাগাতে হয়।কোন কোন স্পিকারে ব্যাটারি লাগে আবার কোন কোন স্পিকারে নিজস্ব পাওয়ার কার্ড থাকে।যে কম্পিউটারে স্পীকারটি লাগাতে হবে তা কোন ধরণের যাচাই করে দেখতে হবে।

      মাইক্রোফোন লাগানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় জোড়াতালির প্রয়োজন হতেপারে। যেমন:একাধিক ফোন একসাথে লাগানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।এসব ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল সাহায্য করতে পারে।মাইক্রোফোন বসানোর সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন কারো কথা পিকআপ করতে কোন সমস্যা না হয়।



      অন্যান্য পোর্টগুলো ও নিয়ম মেনে লাগাতে হবে।এখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল যে,আপনি যখন মাদারবোর্ড কিনবেন তখন তার সাথে একটি ছবিযুক্ত স্টিকার দেয়া হয়,যেখানে মাদারবোর্ড এর কোন পাশে কোন পোর্ট,কোনটি কোথায় সংযোগ দিতে হবে এ ব্যাপারে সচিত্র দেখানো হয়ে থাকে আপনি ওখান থেকে সাহায্য নিতে পারেন।আর কোন যন্ত্র কিনার সময় ত ওখানে আলাদা একটা ম্যানুয়াল পাবেনই।ওখান থেকে দেখে দেখে কাজ করতে পারেন।তবে আবার মিস্টার বিনের টিভি সংযোগ দেবার মত যেন না করেন………।


      আগামী পর্বে আমরা আমাদের যে সমস্ত অসতর্কতার কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি করি বা ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।ইনশাআল্লাহ।

      Comment


      • #4
        কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০৪] :: কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকারক কারণগুলো আপনি জানেন তো?একটি অসর্তকতাই আপনার কম্পিউটারের ক্ষতির কারণ

        মানুষ বা পশুপাখির শরীরে যেমন বিভিন্ন ভাবে রোগবালাই এর জন্ম নিতে পারে, তেমনি আপনার সাধের কম্পিউটারটিতেও নানা কারণে সংক্রামক দেখা দিতে পারে।আর তখন আমাদের মাথায় হাত।কিন্তু আগে থেকে ধারণা থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।আজ আলোচনা করব কিভাবে বা কি কি কারণে কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
        পারিপাশ্বিক কারণ:
        তাপমাত্রা:

        যে কয়েকটি কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি হয় তার মধ্যে অন্যতম হল তাপমাত্রা।যখন কম্পিউটার চলে তখন এর ভিতরের যন্ত্রপাতিগুলা উত্তপ্ত হতে থাকে।এজন্য আপনার কম্পিউটারের আশেপাশে একটু খোলা জায়গা রাখতে হবে,যেটি দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যেতে পারে।একটানা অনেকখন কম্পিউটার চালানো উচিত হয়।
        আদ্রতা:

        বায়ুর আদ্রতা যদি বেশি হয় তাহলে বায়ুর জলীয় বাষ্প কম্পিউটারের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ,চুম্বকীয় ডিস্ক ইত্যাদির উপর জমা হয়।যা ধাতব যন্ত্রাংশে মরিচা ধরায়।অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি পরিবেশকে স্যাঁতসেঁতে করে দেয় যা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে বা ছত্রাক জন্ম দিয়ে এদের কার্যকারীতা এবং আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেয়।


        ধুলিকণা:

        মূলত এই জিনিসটিই আমাদের কম্পিউটারের বড় শত্রু।এর কারণে কম্পিউটারে নানা রকমের সমস্যা হয়।ধুলাবালির কারণে কী-বোর্ডের কী গুলো জ্যাম হয়ে থাকে আবার মাউস ঠিকমত কাজ করে না।ধুলাবালি আপনার স্বাস্থের জন্য ও ক্ষতিকর।



        কার্বন কণা:


        আমরা অনেকেই যে জিনিসটির বেশি সচেতন থাকি না,তা হল এই কার্বন কণা।আপনার কম্পিউটারের আশেপাশে কোথাও রান্নাবান্নার ব্যবস্থা থাকলে,কলকারখানার বা অন্য কোন উৎস থেকে ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকলে তা থেকে আগত কার্বন কণা আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে।অনেক সময় শর্ট সার্কিট ও হতে পারে।


        ক্ষয় বা করোশন:

        এটি অনেক সূক্ষ একটি বিষয়।কম্পিউটারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের সংযোগ পিন,ক্যাবল,ইন্টারফেস কার্ড,চিপ ইত্যাদি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ প্রতিনিয়ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সরু হয়ে যায়।এ ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তনকে ক্ষয় বা করোশন বলে।



        বিদ্যুৎ সরবরাহ জনিত সমস্যা:



        কম্পিউটার নষ্ট বা ক্ষতি হওয়ার জন্য বিদ্যুৎজনিত সমস্যা অন্যতম।বিদ্যুৎ প্রবাহজনিত সমস্যাকে আমরা ৫ ভাগে ভাগ করতে পারি।



        ব্রাউন আউট: কোন কারণে যদি এমন হয় যে পরিমিত মাত্রার চেয়ে বিদ্যুৎ সরবারহের ভোল্টেজ কমে যায় তাহলে তাকে ব্রাউন আউট বলে।অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদা মিটানোর অক্ষমতার জন্যই এমনটা ঘটে থাকে।
        ব্লাক আউট: অনেক সময় দেখা যায় যে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়,একে ব্লাক আউট বলে।সাধারণত ঝড়,বজ্রপাত,সুইচিং সমস্যা ইত্যাদির কারণে এমনটা হয়।এতে র*্যামের তথ্য মুছে যায়।কোন কারণে যদি এর ফলে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে চালু করার সময় সবকিছু(যন্ত্রপাতি) ভালমত দেখে নিতে হবে।ঝড়,বজ্রপাত অব্যাহত থাকলে কম্পিউটার না চালানোই ভাল।
        ট্রানসিয়েন্ট: বিদ্যুৎতের লাইনে সৃষ্ট ভোল্টেজ বা কারেন্টের অপেক্ষাকৃত বড় ধরনের স্পাইককে বলা হয় ট্রানসিয়েন্ট।তবে কথা হল যে,অনেক ট্রানসিয়েন্ট পাওয়ার সাপ্লাই দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।কিন্তু সমস্যা হল অনেক ট্রানসিয়েন্ট এই বাঁধা অতিক্রম করে কম্পিউটারের বর্তনী পর্যন্ত পৌঁছে যায়।যার ফলে ডেটা মুছে যেতে পারে বা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।কখনও কখনও বর্তনী সর্ম্পূণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
        নয়েজ: বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে বিভিন্ন ধরনের নয়েজ হতে পারে। যেমন:বিদ্যুৎ প্রবাহের আপ-ডাউন,বিশষ করে ভোল্টেজ বেড়ে গেলে নয়েজ হয়ে থাকে।এ অবস্থায় কম্পিউটারের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।
        স্পইক ও সার্জ: হঠাৎ করে অত্যন্ত ক্ষুদ্র সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক শক্তি বেড়ে যাওয়াকে স্পাইক বলে।স্পাইক নিবারনের ব্যবস্থা না থাকলে সার্কিটের ক্ষতি হয়।আর বিদ্যুৎ বিভবের ক্ষণস্থায়ী বেড়ে যাওয়াকে বলে সার্জ।মিটারে প্রদর্শন করা যায় এতটুকু সময় পর্যন্ত সার্জের স্থায়িত্ব থাকে।



        ব্যবহারকারীর অসাবধানতার জন্য যেসব ক্ষতি হয়:

        আপনার গায়ের পোশাকটি কতটা সুন্দর থাকবে তা কিন্তু আপনার উপরই নির্ভর করে।পোশাকটি পড়ে বের হওয়ার পর আপনি যদি আপনার পোশাকটির প্রতি যত্নবান না হন,তবে কিন্তু তা নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।ঠিক তেমনি একটি কম্পিউটারের স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার ব্যবহারকারীর উপর।
        সাধারণ ব্যবহাকারীর যে সমস্ত ভুলগুলোর কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে থাকে:

        অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটে ঝাকুনী খায়। এতে হার্ডডিস্কের মারাত্বক ক্ষতি হয়।
        অনেক সময় ডিস্ক ডুকাতে গেলে আমরা জোর করে তা ডুকাতে চেষ্টা করি। এতে শুধু ডিস্কেরই ক্ষতি হয় না। ড্রাইভের হেড এর ও ক্ষতি হয়।
        সি.পি.উ,মনিটর,প্রিন্টার ইত্যাদির প্লাগগুলো সঠিকভাবে না লাগানোর ফলে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
        আমরা অনেক সময় ডিস্ক,প্রেনড্রাইভ,ওয়েভ ক্যাম ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলে রাখি,এতে কম্পিউটারের ক্ষতি হতে পারে।
        কম্পিউটারের আশেপাশে খাওয়া-দাওয়া,ধুমপান করা,চা-কফি পান করা ত্যাগ করতে হবে। অসাবধানতাবশত যদি কম্পিউারের কোন যন্ত্রের উপর এসব পদার্থ পড়ে তাহলে তা মারাত্বক ক্ষতির কারণ।
        খুব জোড়ে আমরা অনেকে কী-বোর্ডে আঘাত করি। এটা করা যাবে না।
        অনেক সময় কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করে আবার তা সাথে সাথে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। এতে বিদ্যুৎ প্রবাহের আপ-ডাউন এর ফলে মনিটরের পিকচার টিউভ নষ্ট হয়ে যেতে পারে অথবা মূল্যবান কোন আইসি কেটে যেতে পারে।

        এছাড়াও ভাইরাস বা অন্যান্য নানাবিধ কারণে কম্পিউটারের ক্ষতি হতে পারে।

        Comment


        • #5
          কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত [পর্ব-০৫] :: ক্ষতিকারক বিভিন্ন কারণসমূহ থেকে কিভাবে আপনার কম্পিউটারকে রক্ষা করবেন

          স্বাভাবিক রক্ষণাবেক্ষণ:

          ধুলিকণা পরিষ্কারকরণ:

          প্রতিদিনই আমাদের কম্পিউটারের টেবিলর উপর নানা প্রকার ধুলিকণা জমা হয়।তাই প্রতিদিন কাজের শুরুতে হালকা একটা কাপড় দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের
          ভিতরও অনেক ধুলিকণা জমে থাকে।মাসে অত্যন্ত একবার তা পরিষ্কার করতে হবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন চিপ বা মাদারবোর্ডের গায়ে হাত না লাগে।পরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই চৌম্বকীয় পদার্থ বিহীন ব্রাশ বা ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে।
          সংযোগপুনঃ স্থাপন:
          প্রতিমাসে অত্যন্ত একবার কম্পিউটারের বিভিন্ন সংযোগগুলা পরীক্ষা করে দেখতে হবে সবকিছু ঠিক আছে কিনা।
          বায়ুনিয়ন্ত্রণ:

          কম্পিউটার কক্ষে অবশ্যই বায়ু নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রাখতে হবে।অনাকাংঙ্খিত তাপমাত্রা,আদ্রতা যেন কম্পিউটারের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
          বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রন:

          বৈদ্যুতিক ভোল্টজ এর আপ-ডাউন এর জন্য কম্পিউটার এর মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে।এজন্য অবশ্যই ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে।
          ড্রাইভের হেড পরিষ্কার করা:

          এই জিনিসটাকেই মনে হয় আমরা সবচেয়ে অবহেলার মধ্যে রাখি।কিন্তু এমনটা করা যাবে না।কিছুদিন পরপর এই জিনিসটিও পরিষ্কার করতে হবে।তা না হলে ড্রাইভে নানা রকমের ত্রুটি দেখা যায় এবং ডিস্ক থেকে তথ্য পড়ার ক্ষেত্রে ত্রুটির সম্ভাবনা বাড়ায়।
          ডিস্কের ত্রুটি নির্ণয় করণ:

          ব্যবহারজনিত বা যান্ত্রিক কারণে অনেক সময় ডিস্কে বিভিন্ন বিভিন্ন রকমের ত্রুটি দেখা দেয় যেমন: disk error, read error, file allocation error, cluster chain, bad sector ইত্যাদি এরূপ ত্রুটির বেশির ভাগই বিভিন্ন ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার দ্বারা চিহ্নিত করা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।এ জাতীয় সফ্টওয়্যারকে ডায়াগনষ্টিক সফ্টওয়্যার বলে।এসকল সমস্যা নিরসণের জন্য বিভিন্ন রকম ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার রয়েছে।যেমন:নরটন ডিস্ক, মেকএ্যাপি, পিসি টুলস ইত্যাদি।
          কভার ব্যবহার:
          এটার ক্ষেত্রে কোন ছাড় নাই।অবশ্যই নিরাপত্তার চাদরে(কভারে) আপনার কম্পিউটারটিকে ডেকে রাখতে হবে।
          স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার না করা:
          কম্পিউটার কক্ষে এরোসল বা হেয়ার স্প্রে জাতীয় কিছু ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।কেননা এসব স্প্রে-তে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ কম্পিউটারের সার্কিটের ক্ষতি করতে পারে।
          চুম্বক ক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা:

          চুম্বক ক্ষেত্র থেকে আপনার কম্পিউটারকে দূরে রাখতে হবে।তা না হলে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।
          ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বা ইএমআর(EMR):

          ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ফলে অবাঞ্ছিত দূষণ বা বিকরিত রশ্নি কম্পিউটারের এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে। ইএমআর দুই ধরনের।

          নিম্ন কম্পাঙ্কের ইএমআর
          উচ্চ কম্পাঙ্কের ইএমআর।

          এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনার টেলিভিশন থেকে কম পক্ষে ৭ ফিট দূরে কম্পিউটার থাকতে হবে।
          প্রতিরক্ষামূলক রক্ষণাবেক্ষণ:
          প্রোগ্রামও তথ্য নিরাপদ সংরক্ষণ:
          ব্যাকআপ হচ্ছে তথ্য বা প্রোগ্রামকে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় সিডি বা অন্য ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখা।এ কাজটি করা অত্যন্ত ভাল।
          ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম থেকে রক্ষাকরণ:

          ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম বলতে ভাইরাস এর উপর বেশি জোড় দেওয়া হচ্ছে।এটির ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে।
          বিদ্যুৎতের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিতকরণ:
          পূর্বে অনেকবারই বলা হয়েছে যে,বিদ্যুৎতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে কম্পিউটার এর মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।আজকাল সঠিক মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিতকরণেরজন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। যেমন: ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, ইউপিএস, আইসোলেটর, রেগুলেটর, ফিল্টার,সার্জপ্রটেক্টর, আইপিএস ইত্যাদি।

          Comment


          • #6
            যাজাকাল্লাহ

            Comment

            Working...
            X