Announcement

Collapse
No announcement yet.

যাকাত ও সদকার মাল জিহাদ এবং মুজাহিদদের প্ø

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যাকাত ও সদকার মাল জিহাদ এবং মুজাহিদদের প্ø

    সকল মাযহাবের আলেমগণ সর্বদা সকল যুগে একথা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, যাকাত ও সদকার মাল জিহাদ এবং মুজাহিদদের প্রদান করা বৈধ।
    হানাফীদের অভিমত
    ( কোরআনে যাকাতের ক্ষাৎ হিসাবে বর্নিত )‘ফী সাবীলিল্লাহ ’ এর ব্যাখ্যায় ইবনে আবেদীন রহ. উল্লেখ করেছেন, যে তারা হলেন ঐসব ব্যক্তি যাদের বাহন ধ্বংস হয়ে যাওয়া ও খরচাদী নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ফলে মুজাহিদ বাহিনী থেকে বিচিছন্ন হয়ে গেছে । একারনে তাদের জন্য যাকাত হালাল। যদি ও তারা উপার্জনে সক্ষম হয়। কারণ উপার্জনে লেগে যাওয়া তাদেরকে জিহাদ থেকে পিছিয়ে দিবে। (হাশিয়ায়ে ইবনে আবেদীনÑ ২/৩৪৩)
    মালেকীদের অভিমত
    ইবনুল আরাবী রহ. আহকামুল কুরআনে উল্লেখ করেন যে, ইমাম মালেক রা. বলেন যে, ‘সাবীলুল্লাহ’ অনেক। তবে এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত আছে বলে আমার জানা নেই যে,এ আয়াতে (যাতে জাকাতের খাত বর্ননা করা হয়েছে এখানে) সাবীলুল্লাহসমুহ থেকে জিহাদ উদ্দেশ্য। তবে ইমাম আহমদ ও আবূ ইসহাক থেকে যে বর্ণিত হয়েছে, সাবীলুল্লাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো হজ্জ। আমার নিকট একথার মর্ম হলো, হজ্জও জিহাদের ন্যায় সাবীলুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত। কেননা, এটা পূণ্যের পথ। একারণে তাকে ‘সাবীলুল্লাহ’ নাম দেয়া হয়েছে। ( অর্থাতঃ আহমাদ রহঃ হজ্জ কে সাবীলল্লাহ বলেছন পূণ্যময় কাজ হিসেবে যআকাত প্রদানের খাত হিসাবে নই।) এভাবেই এই জটিলতার সমাধান হয়ে যায়; শরীয়তের বিধান স্পষ্ট হয়ে যায় এবং ভিন্নমতের সুরাহা হয়ে যায়। আর কখনোই হজ্জের ক্ষেত্রে যাকাত প্রদানের কথা কারো থেকে বর্ণিত নেই।
    মুহাম্মাদ বিন আব্দুল হাকীম বলেন, যাকাত-সদকার মাল প্রদান করা হবে জিহাদে বাহনযন্ত্র ও অস্ত্রসস্ত্রের জন্য এবং যুদ্ধে যেসব রসদসামগ্রীর প্রয়োজন পরে সে জন্য এবং মুসলিমদের সুরক্ষায় শত্রুদের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে। কেননা, এসবই যুদ্ধের মাধ্যম এবং উপকরণের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একশত উট প্রদান করেছেন সাহল ইবনে আবী হাছমার ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য।
    শাফেঈদের অভিমত
    ইমাম নববী রহ. ‘রাওজাতুত তালেবীনে’ বলেন, মাসআলা: ‘ইবনে সাবীল’কে তার সম্পুর্ণ খরচ দেওয়া হবে, না শুধু সফরের প্রয়োজনীয় খরচ দেওয়া হবে? দু’টি অভিমত। প্রথমটিই সঠিক।
    মাসআলা: অতপর মুজাহিদ যুদ্ধা, তাকে তার খরচ, পোশাক দেওয়া হবে গমনাগমনের সময়কালের জন্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থানের সময়কালের জন্য, যদিও তা সুদীর্ঘ হয়। তাকে সম্পুর্ণ খরচ দেওয়া হবে, নাকি সফরের প্রয়োজনীয় খরচ দেওয়া হবে? এক্ষেত্রেও ইবনুস সাবীলের মতো দু’টি অভিমত রয়েছে। (এবং নববী রহ কথা হল মুজাহিদ কে তার সম্পুর্ন খরচ দেওয়া হবে এ অভিমতটিই সঠিক।) আর সে যদি অশ্বারোহী যুদ্ধা হয়, তাহলে তাকে অশ্ব ক্রয়ের জন্য এবং অস্ত্র ক্রয়ের জন্য ও যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জামাদী ক্রয়ের জন্য খরচ দেওয়া হবে এবং সে ওগুলোর মালিক হয়ে যাবে। আর তাকে অশ্ব এবং অস্ত্র ভাড়া করে এনে দেয়ার ও অবকাশ রয়েছে। মালের স্বল্পতা ও বিস্তৃতির কারণে অবস্থার মধ্যে পাথর্ক্য আসবে। যদি সে পদাতিক যুদ্ধা হয় তাকে অশ্ব ক্রয়ের জন্য খরচ দেওয়া হবে না। তৎকালীন মিশরের শাসক সুলতান কুতয যখন শামের দিকে তাতারীদের ধেয়ে আসার বিষয়ে বিচারক ও ফকীহদের পরামর্শ গ্রহণ করছিলেন, তখন আলেমদের শিরোমণি ইয ইবনে আব্দুস সালাম রহ. বলেছিলেন, যখন শত্রু ইসলামী রাষ্ট্রের উপর ধাওয়া করে, বিশ্বের সকল মুসলমানের উপর তাদের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করা ফরজ হয়ে যায়। তখন বাইতুল মালে যদি কোন সম্পদ না থাকে, তখন জিহাদে সহায়তার জন্য প্রজাদের সম্পদ অধিগ্রহণ করা শাসকদের জন্য বৈধ রয়েছে। এ জন্য বিক্রি করে দিতে পার তোমাদের স্বর্ণে আসবাব ও উন্নত দ্রব্যসামগ্রী। আর প্রত্যেক সৈনিককে শুধু অস্ত্র ও বাহন দেওয়া হবে। আর এক্ষেত্রে তারা ও সর্বসাধারণ যুদ্ধাগণ সমপর্যায়ের অধিকার ভোগ করবে। আর সৈনিকদের হাতে উৎর্কষ্ট বিলসসামগ্রী ও প্রাচুর্যময় সম্পদ থাকাবস্থায় প্রজাদের সম্পদ অধিগ্রহণ বৈধ্য হবে না। আর এ কথার উপরই সভা সমাপ্ত হয় এবং ইয ইবনে আব্দুস সালাম রহ. যা বলেছেন এর উপর আস্থা ও সম্মতি প্রদান করা হয়। (আননুুজুমুয যাহেরাহ ফী আহদাছী সানাহÑ ৬৫৭, খÑ৭, পৃষ্ঠা: ৭২-৭৩)
    হাম্বলীদের অভিমত
    ইবনে কুদামা রহ. ‘আলমুগনী’ গ্রন্থে বলেন, ‘কুরআনের কারীমে যতবার ‘সাবীলুল্লাহ’ উল্লেখ করা হয়েছে, এর দ্বারা উদ্ধেশ্য হলো জিহাদ, তবে অল্পকিছু এর ব্যতিক্রম। সুতরাং আয়াতকে এ অর্থেই প্রয়োগ করতে হবে। কেননা,এটাই প্রকাশ যে,এর দ্বারা উদ্দেশ হলো জিহাদ। কারণ যাকাত দুই শ্রেণীর ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। ১. যাকাতের প্রতি মুখাপেক্ষী। যেমন ফকীর, মিসকিন, দাসমুক্তি, ঋণগ্রস্থ, ঋণপরিশোধের প্রয়োজনে। ২. অথবা যাদের প্রতি মুসলিম সমাজ মুখাপেক্ষী। যেমন যাকাত বিভাগের কর্মচারী, মুজাহিদ যুদ্ধা এবং সম্প্রীতি কাঙ্খিত ব্যক্তি এবং পারস্পরিক দ্বন্দ নিরসনের জন্য ঋণগ্রস্থ ব্যক্তিকে।
    শরহুল কাবীরের ২/৭১৩ নং পৃষ্ঠায় বলেছেন, মাসআলা: গাজী সে তার যুদ্ধের জন্য যে সম্পদের প্রয়োজন যদিও তা অধিক হয়, তাকে তার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ দেওয়া হবে এবং অস্ত্র ক্রয়ে, অশ্বারোহীকে অশ্বক্রয়ে, যানবাহনের জন্য, বর্ম ক্রয়ের জন্য এবং এছাড়াও যুদ্ধের জন্য যা যা প্রয়োজন যদিও তা অধিক হয়। কেননা, যুদ্ধকার্য এগুলোর দ্বারাই সম্পন্ন হয়।
    গায়াতুল মুনতাহী ও তার ব্যাখ্যা গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, আমীরের জন্য যাকাতের মাল দিয়ে অশ্ব ক্রয় করা এবং তা যুদ্ধকার্য সম্পাদনকারীকে প্রদান করা বৈধ। যদি ও যুদ্ধা নিজেই যাকাতের নেসাবের মালিক হয়। (তথাপি তাকে তার যুদ্ধের প্রয়োজন পুরণে যাকাত প্রদান করআ যাবে।) কেননা, সে যাকাতের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে আছে ইমামের নিকট যাকাত আদায় করে দেওয়ার মাধ্যমে। যেমনভাবে আমীরের জন্য যাকাতের মাল দ্বারা জিহাদের জন্য নৌযান ইত্যাদি ক্রয় করা জায়েয আছে। যেহেতু এগুলোও যুদ্ধার প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। আর মুসলমানদের জন্য কল্যাণকরা কাজগুলো ইমামের জন্য আনজাম করার সুযোগ রয়েছে। কারণ সেই কল্যাণ সম্পর্কে অন্যদের থেকে ভালো বুঝে। (মাতালিবু উলিন নুহা, ২/১৪৭-১৪৮)

  • #2
    জাঝাকাল্লাহ অাখি, অামাদের মাঝে এখনতো এই ফি সাবিলিল্লাহ এর ব্যাক্ষ্যা নিয়েই বিভৃান্তি অাছে।
    অাল্লাহ অামাদের হেফাজত করুন।
    কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ মুহতরাম ,
      অামাদের মাঝে এখনতো এই “ফি সাবিলিল্লাহ” এর ব্যাখ্যা নিয়েই বিভ্রান্তি অাছে।

      Comment


      • #4
        সুবহানাল্লাহ !!!
        আমাদের সকলের উচিত জিহাদ ও মুজাহিদদের জন্যে আমাদের যাকাত প্রদান করা। অন্যকে উতসাহিত করা। উম্মাওতের ই দুর্যোগে তারাই জাকাত পাওয়ার অধিক হকদার। যারা দীনের ঝান্ডাকে উড্ডীন করার জন্যে তাদের জান মাল সবকিছু বিলিয়ে দিচ্ছে।

        Comment


        • #5
          জাযাকুমুল্লাহ !
          আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন

          Comment


          • #6
            জাযাকুমুল্লাহ !

            Comment


            • #7
              জাজাকাল্লাহ

              Comment


              • #8
                জাযাকুমুল্লাহ !
                আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন

                Comment

                Working...
                X