Announcement

Collapse
No announcement yet.

লজ্জা পেতে পেতে আজ নির্লজ্জ হয়ে গেছি নিজেও

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • লজ্জা পেতে পেতে আজ নির্লজ্জ হয়ে গেছি নিজেও

    কিছু বিষয় আছে যা নিয়ে মুক্ত আলোচনা এড়িয়ে যেতে চাইলেও যাওয়া যায়না। 'সমকামিতা' ঠিক এরকমই একটি বিষয়। ফ্রেন্ডলিস্টে প্রচুর মুরুব্বী আছেন পরিচিত। হয়ত তাদের সামনে মুখোমুখি বসে এইসব আলোচনা চালানো সম্ভব হবেনা। তবে আশার কথা এইযে, আমরা বড় হয়েছি এবং ভালোভাবে বড় হবার জন্য এই আলোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। .

    বিষয়টি বাংলাদেশে উঠে এসেছে সম্প্রতি এদেশের প্রথম সমকামী পত্রিকা 'রূপবান' এর সম্পাদক হত্যার মধ্য দিয়ে। কারা হত্যা করেছে উনাকে তা জানা নেই। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রচুর হত্যার ঘটনা ঘটছে। কে কোন কারণে হত্যা হচ্ছে তা বুঝবার উপায় নেই তার পেশা এবং নেশা দেখে।

    নেশা কথাটি একারণেই এনেছি যে, সমকামিতা আমার কাছে একটি বিকৃত যৌন নেশা মনে হয়। এখন যদি অন্যান্য নেশাকে আইন করে নিষেধ করা যায় তবে সমাকামিতা কেন যাবে না? প্রশ্ন রইলো সরকারের কাছে। ধর্মীয় বিষয় বাদ'ই দিলাম যেহেতু ইসলামের চেতনার বিপরীতে নতুন চেতনা উদ্ভাবনে সরকার মরিয়া।

    সমকামিতা কোনো নতুন বিষয় নয় এদেশের জন্য। এটি আগেও ছিল যখন মানুষ পর্নের সাথে পরিচিত ছিল না তখন থেকেই। আগের দিনে সমাজের সম্পদশালীরা নিজেদের আনন্দের জন্য দেখতে সুন্দর দরিদ্র কিশোরদের বেছে নিতেন। তাদের স্ত্রীরা সেই ছেলেকে সতীনের মতোই দেখতেন। কিন্তু গুমরে গুমরে কাঁদতেন। স্বামীর বিরুদ্ধে যাবার সাহস তাদের হতো না। সমাজে এটিকে তখন নিজের প্রতিপত্তি জাহির করবার একটি উদ্দেশ্য হিসেবেই দেখা হতো। 'ঘেঁটুপুত্র' শব্দটির সাথে যারা পরিচিত তারা জানেন। .

    এখন কথা হলো, কেন সমকামিতাকে 'না'? প্রথম এবং প্রধান কারণ স্বাভাবিকভাবে মাথায় যা আসে তা হলো, পৃথিবীর সবাই যদি সমকামী হয়ে যান তবে কী হবে? প্রকৃতিবিরুদ্ধ এই রীতি কিংবা ইচ্ছার দ্বারা মানবজাতি তার বংশ হারাবে। নতুন শিশু জন্মগ্রহণ করবে না। অথচ পৃথিবীর এবং মানব-মানবীর সৃষ্টিই হয়েছে বংশ বৃদ্ধিকে ঘিরে। সমকামিতার ব্যাপক প্রচলনে একসময় মানবজাতি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিবর্তনবাদীরাও এইকথা স্বীকার করতে বাধ্য। কারণ এই দুই প্রজাতি সৃষ্টির পেছনে তাহলে তাদের ব্যাখ্যা কী থাকে? শুধু পুরুষই হতে পারতো। পুরুষ অ্যামিবা কিংবা পুরুষ শিম্পাঞ্জী'র বিবর্তন। যেহেতু সুযোগ আছে প্লেজার নেবার। এখানে কিন্তু বিবর্তনবাদীরা মার খেয়ে যান।

    কেবল যৌন তৃপ্তির জন্যই যদি এই অস্বাভাবিক সম্পর্ককে বৈধতা দেয়া হয় তবে পশু সঙ্গমের বৈধতা দেবার দাবি যখন কেউ কেউ তুলবে তখন কী হবে? যদি কখনো পশু সঙ্গম বৈধ করার দাবি করা হয় তখনো ওই সব দেশ তা বৈধ করে দিয়ে অতি উদারতার প্রমাণ দিতে পারবে?

    অর্থনৈতিক কিংবা প্রযুক্তিতে উন্নতদেশের উদাহরণ টেনে আনছেন কেন উনারা? অসভ্যতা কি অর্থনীতি কিংবা প্রযুক্তিতে উন্নত হলেই মুছে যায়? নাকি সভ্যতার অর্থ আরো ব্যাপক?

    সমাকামিতা আসলে একটি বিকৃতি, একপ্রকার মানসিক রোগ এবং যৌনতার ভিন্নতার নেশা। এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 'নারীকে ভালো লাগছে না-এতে আমার কি দোষ?' এরকম যুক্তি দিয়ে পৃথিবীর আরও প্রচুর খারাপ নেশাকে খারাপ কাজকে বৈধ করে ফেলা যায়। যেহেতু ভালো লাগছে না এবং যা ভালো লাগবে তা করো। বিষয়টি কি এরকম? তাহলে সাইকোপ্যাথরা বিকৃত খুন করে যেমন আনন্দ পায়, সেটিকে বৈধ করা হয় না কেন? যেহেতু আনন্দ পাওয়াটাই মুখ্য এখানে। নীতি কিংবা প্রকৃতি তথা সমাজের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই এদের। সমস্যা কি?

    তথাকথিত উন্নতবিশ্বের একটি দেশ জাপান। প্রায় বছর তিনেক আগে একটি ডকুমেন্টরি দেখেছিলাম। রিয়েল ডল নামের জড় পদার্থের সাথে সঙ্গমকেও অনেক ব্যর্থ পুরুষ তাদের জীবনের আশ্রয় হিসেবে ধরে নিয়েছিল। তাদের নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে, অনেক দুঃখ প্রকাশ হয়েছে কিন্তু আদতে সবাই চাইছিল তাদের ওই পথ থেকে সরিয়ে আনতে। এসবিএস এর যেই সাংবাদিক এই প্রতিবেদন করেছিলেন তিনি নিজে আটজনকে পরবর্তিতে বিয়ের জন্য খরচ যোগান এবং মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলেন কন্সালটেন্সির মাধ্যমে।

    মানুষের ব্যক্তিগত যৌনতা কিরকম হবে তার জন্য একজনকে বৈধ করা হয়েছে। স্বাভাবিক সুন্দর সমাজের জন্য। আর মানবীকে বৈধ করা হয়েছে মানবের জন্য, স্বাভাবিক সুন্দর পৃথিবীর জন্য। সেখানে ব্যক্তিগত আনন্দলাভের জন্য সমকামিতার বৈধতা যখন যখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেয়া হয় তখনই সমাজের সচেতন মানুষ এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে বাধ্য হন। নইলে এই নিস্ফল এবং মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর বিকৃতিকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সামগ্রিকভাবে সম্ভব কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে। আজ যে ছেলেটি জানলো সমকামের কথা কাল তার যদি ইচ্ছে জাগে তবে সে আইনের কথা ভেবে ওপথে পা বাড়াবে না। কিন্তু আইন না থাকলে এবং প্রয়োগ না ঘটলে সে চাইতে পারে জিনিসটি কেমন তা দেখে নিতে যদি সুযোগ থাকে।

    যেহেতু মানুষের কামনা নতুন নতুন জিনিসের প্রতি দ্রুতগতিতে ধাবমান। অনুসন্ধিৎসু মানুষ। সুযোগ থাকলে আর সামাজিক কিংবা পারিবারিক নিন্দার ভয় না থাকলে সমাজের কয়জন পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসার মর্যাদা দিতে চাইতেন তা এখানে আনতে হলো। বলতে খারাপ লাগছে তবুও বাধ্য হলাম।

    সমাকামিতার প্রশ্নে নিরপেক্ষ থাকবার সুযোগ নেই পৃথিবীর স্বাভাবিকতা ধরে রাখবার স্বার্থেই। আমাদের সরকার এবং মুক্তমনারা উন্নতবিশ্বের মতো দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তৈরি করতে পারেন না, উন্নতবিশ্বের মতো শিক্ষা ব্যবস্থা আনতে পারেন না, উন্নতবিশ্বের মতো হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধ কমিয়ে আনতে পারেন না। তারা পারেন উন্নত বিশ্বের নোংরামিকে টেনে এনে 'আমরা উন্নত বিশ্বের কাছাকাছি গিয়েছি' নামক স্বমেহনে লিপ্ত হতে। কী পরিমাণ মূর্খতা! এইদেশে জন্মে লজ্জা পেতে পেতে আজ নির্লজ্জ হয়ে গেছি নিজেও।

    (collected)



  • #2
    সমকামিতা আমার কাছে একটি বিকৃত যৌন নেশা মনে হয়। এখন যদি অন্যান্য নেশাকে আইন করে নিষেধ করা যায় তবে সমাকামিতা কেন যাবে না? প্রশ্ন রইলো সরকারের কাছে। ধর্মীয় বিষয় বাদ'ই দিলাম যেহেতু ইসলামের চেতনার বিপরীতে নতুন চেতনা উদ্ভাবনে সরকার মরিয়া।
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment

    Working...
    X