Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমাদের সমাজে বিরাজমান বিশাল এক ভাইরাস## ফাইনাল##

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমাদের সমাজে বিরাজমান বিশাল এক ভাইরাস## ফাইনাল##

    সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। যিনি মানব জাতির হেদায়েতের জন্য অসংখ্য নবী( আ: )দের পাঠিয়েছেন। যিনি রহিম ও রহমান। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নাবী হযরত মুহামম্মাদে আরবী (সা: ) এর উপর, তার পরিবার ও সাহাবি রা. দের উপর।
    আমি গত পোষ্টে বলেছিলাম, আমাদের সমাজে চলমান একটি ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করব। যার প্রয়োগ সমাজে কতটুকু আছে তা জানার জন্য আপনাদেরকে নক করেছিলাম। যাযাকাল্লাহ আপনারা তার যথোচিত জবাব ও পরামর্শ দিয়েছিলেন। যাক তাহলে শুরু করি ভাইরাসটি সম্পর্কে সামন্ন্য আলোচনা। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন

    জি¦ ভাই! আমি আবারো বলছি যে কি সেই ভাইরাস যা আমাদের সামাজের মানুষদের সত্য গ্রহনে অনাগ্রহি করে রাখছে? ইসলামকে সঠিক ভাবে যখন আমাদের দয়ি ভাইয়েরা তোলে ধরছে, ঠিক তখনিই কি এমন জিনিস যা মাদয়ুর মনকে দাওয়াত কবুলের প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে? আর তা হল:- বাব-দাদা বা আকাবির পুজা। এটা এমন একটি ভাইরাস যা প্রত্যেক যুগেই ছিল। প্রত্যেক নাবী আ. ও দায়িদের সাথে একই ব্যবহার করেছিল সমাজের মানুষ। যখন নবী (আ.)রা দওয়াহ নিয়ে মানুষদের নিকট পৌছাতো তখন তার এটাকে অস্বিকার করতনা, বরং এই বাহানা দিত যে আমাদের বাব-দাদারা বা যাদের আমরা সমাজের সবচেয়ে জ্ঞানি মনে করি তাদেরকেতো একথা বলতে শুনিনি। তুমি যা বলছ তা আমাদের বহুদিন দরে চলে আসা নিয়মের বহির্ভূত। আর এই কারনে তারা তাদের মরুব্বিদের ছেড়ে, তাদের প্রথাকে ছেড়ে ইসলামকে ধরতে পারিনি। শিরিক ও কুফুরির পথ থেকে তাউহিদের পথে আসতে পারিনি। ঠিক আজও আমাদের সমাজের মানুষেরা সেই বাহানাই দিতেছে যার করণে পূর্ববর্তি জাতিগুলো ধ্বংশ হয়েছে। হে! আমার সম্প্রদায় তোমরা তাদের মত হয়ে যেওনা।
    আজ আপনি দেখবেন: সমাজের অধিকাংশ খারাপ কাজ হচ্ছে আমাদের (সংবিধান) দ্বিন ইসলাম না থাকার করনে। রাষ্টীয় সংবিধান গনতন্ত্রের ফলে সমাজের যত অবক্ষয়।যাক তারপরও আপনি যদি এই গনতন্ত্রের নোংরামি সমাজের মানুষদের সামনে তুলে ধরেন, বিশেষ করে মাদ্রসার ছাত্রদের সামনে। তাহলে তাদের উত্তর একটাই। আমাদের বাব-দাদারা বা বড় বড় আলেমরা কি এটা বুঝেনা????? তারা যদি এটা বুঝে করতে পারে আমরা করতে সমস্যা কোথায়? অথচ এটা যে কুফুরি তা নিজেই সাক্ষি দিচ্ছে। তারপরও গ্রহণ করেনা বাব-দাদা বা আকাবির পুজার কারনে। আমরা এখন দেখব:- অন্নান্য জাতিরা কিভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল:-
    কউমে ইব্রাহীম (আঃ):::
    إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَٰذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ [٢١:٥٢]قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ [٢١:٥٣]قَالَ لَقَدْ كُنتُمْ أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ [٢١:٥٤]قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ [٢١:٥٥]قَالَ بَل رَّبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَىٰ ذَٰلِكُم مِّنَ الشَّاهِدِينَ [٢١:٥٦]وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُم بَعْدَ أَن تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ [٢١:٥٧]
    ইব্রাহীম স্বীয় পিতা ও সম্প্রদায়কে বলল: এই মূর্তিগুলো কি, যাদের তোমরা পুজারি হয়ে বসে আছ? তারা বলল; আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের এরূপ পূজা করতে দেখেছি। সে বলল তোমরা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছ এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও। তারা বলল তুমি কি আমাদের কাছে সত্য সহ এসেছ না কৌতুক করছ? সে বলল না; তিনিই তোমাদের পালনকর্তা যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তা। যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন। এবং আমি তোমাদের উপর এ বিষয়ে অন্যতম সাক্ষদাতা। আল্লাহর কসম যখন তোমরা ফিরে যাবে আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যপারে একটা কিছু করে ফেলব। (সূরা আম্বীয়া-৫২-৫৭)
    কউমে নূহ (আঃ):::
    فَقَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَوْمِهِ مَا هَٰذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُرِيدُ أَن يَتَفَضَّلَ عَلَيْكُمْ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَأَنزَلَ مَلَائِكَةً مَّا سَمِعْنَا بِهَٰذَا فِي آبَائِنَا الْأَوَّلِينَ [٢٣:٢٤]إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ بِهِ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوا بِهِ حَتَّىٰ حِينٍ [٢٣:٢٥]
    এ লোক তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। আসলে সে তোমাদের উপর নেতৃত্ব করতে চায়। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তো একজন ফেরেস্তা পাঠাতে পারতেন। তাছাড়া এ লোক যা বলছে তাতো আমাদের বাপ-দাদাদের কাছ থেকে শুণিনি! আসলে লোকটার মধ্যে পাগলামি রয়েছে বা তার সাথে কোন জ্বীন আছে। অতএব তোমরা এ ব্যক্তির প্রতি ভ্রক্ষেপ করোনা বরং কিছু দিন অপেক্ষা কর। (সূরা মুমিন-২৩-২৫)
    কউমে সালেহ (আঃ):::
    قَالُوا يَا صَالِحُ قَدْ كُنتَ فِينَا مَرْجُوًّا قَبْلَ هَٰذَا ۖ أَتَنْهَانَا أَن نَّعْبُدَ مَا يَعْبُدُ آبَاؤُنَا وَإِنَّنَا لَفِي شَكٍّ مِّمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ [١١:٦٢]
    হে সালেহ! ইতিপূর্বে আপনি আমাদের কাছে আকাংখিত ব্যক্তি ছিলেন। আপনি কি বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা উপাস্যদের পূজা করা থেকে আমাদের নিষেধ করছেন। অথচ আমরা আপনার দাওয়াতের ব্যপারে যথেষ্ট সন্দিহান। ( সূরা হুদ-৬২)
    কউমে শোআয়েব (আঃ):::
    قَالُوا يَا شُعَيْبُ أَصَلَاتُكَ تَأْمُرُكَ أَن نَّتْرُكَ مَا يَعْبُدُ آبَاؤُنَا أَوْ أَن نَّفْعَلَ فِي أَمْوَالِنَا مَا نَشَاءُ ۖ إِنَّكَ لَأَنتَ الْحَلِيمُ الرَّشِيدُ [١١:٨٧]
    তোমার সালাত কি তোমাকে এ কথা শিক্ষা দেয় যে, আমরা আমাদের ঐসব উপাস্যদের পূজা ছেড়ে দেব যা আমাদের পূর্ব পুরুষেরা যুগ যুগ ধরে পুজা করে এসেছে? আর আমাদের ধন সম্পদ যা ইচ্ছেমত ( তোমার দেওয়া হালাল হারাম এর বিধান না মেনে) উপার্জন করি তা পরিত্যগ করি। তুমিতো একজন সহনশীল ও সৎ ব্যক্তি।( অর্থাৎ তুমি জ্ঞানী ব্যক্তি হয়ে এ কথা কি ভাবে বলতে পার?) (সূরা হুদ-৮৭)
    কউমে মুছা (আঃ)
    فَلَمَّا جَاءَهُم مُّوسَىٰ بِآيَاتِنَا بَيِّنَاتٍ قَالُوا مَا هَٰذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّفْتَرًى وَمَا سَمِعْنَا بِهَٰذَا فِي آبَائِنَا الْأَوَّلِينَ [٢٨:٣٦]
    وَقَالَ مُوسَىٰ رَبِّي أَعْلَمُ بِمَن جَاءَ بِالْهُدَىٰ مِنْ عِندِهِ وَمَن تَكُونُ لَهُ عَاقِبَةُ الدَّارِ ۖ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ [٢٨:٣٧]
    তোমরা এসব অলীক জাদু মাত্র। আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের মধ্যে এসব কথা শুনিনি। মূসা বললেন, আমর পালনকর্তা সম্যক জানেন কে তার নিকট থেকে হেদায়েতের কথা নিয়ে আগমন করেছে এবং কে প্রাপ্ত হবে পরকালের গৃহ। নিশ্চয়ই যালেমরা সফলকাম হবে না। ( সূরা ক¦াসাস- ৩৬-৩৭)
    কউমে হুদ (আঃ):::
    وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ [٢٦:١٣٢]أَمَدَّكُم بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ [٢٦:١٣٣]وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ [٢٦:١٣٤]إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ [٢٦:١٣٥]قَالُوا سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ الْوَاعِظِينَ [٢٦:١٣٦]إِنْ هَٰذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ [٢٦:١٣٧]وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ [٢٦:١٣٨]
    তোমরা ভয় কর সে মহান সত্তাকে যিনি তোমাদের সাহায্য করেছেন ঐসকল বস্তু দ্বারা যা তোমাদের জানা, অর্থাৎ তিনি তোমাদের সাহায্য করেছেন গবাদি পশু ও সন্তানাদি দ্বারা এবং উদ্যান ও ঝর্ণা সমূহ দ্বারা। আমি তোমাদের জন্য মহাদিবসে শাস্তির আশংকা করছি। কউমের নেতারা বলল: তুমি উপদেশ দাও বা না দাও সবই আমাদের কাছে সমান। তোমার এ সব কথা পুর্ববর্তীদের রীতি-অভ্যাস বৈ কিছু না। আমরা শাস্তি প্রাপ্ত হব না। (সূরা শো’আরা-১৩২-৩৭)
    অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা স্পষ্ট হয়ে গেলাম এটা একটা মানসিক ভাইরাস যা কেবল কোরআন ও হাদিসের অনুসরণের পরিবর্তে মানুষদের অনুসরণ করার কারণে হয়ে থাকে। এটার ফলে মানুষের কথাকে আল্লাহর আদেশ থেকে বেশি মূল্যায়ণ করা হয়। তাই আমি বলব; নিজেকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে পরিচালিত করুণ, কোরআন ও হাদিসকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করবেন না।

    বি: দ্র: দায়ী ভাইদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ হেদায়েত আল্লাহর কাছে।
    ‘নিশ্চয় আপনি যাকে চান তাকে হেদায়েত দিতে পারবেন না বরং আল্লাহ যাকে চান তাকেই হেদায়েত দান করেন।(আল-কোরআন)

  • #2
    জাযাকাল্লাহ
    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ আখি ফিল্লাহ
      সমাজের সর্বত্রে আজ এ ভাইরাসের ছড়াছড়ি, আমাদের উচিত হবে যদি উল্লেথিত আয়াত গুলো মুখস্থ করে সঠিক সময়ে বলতে পারা
      যারা গুরামী বা আসাবিয়্যাত ব্যধিতে আক্রান্ত তাদের জন্য ভালই উপশম হবে

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ আখি খুব গুরুত্তপূর্ণ পোস্ট ,আমাদের উচিত আমেলদেরকে সম্মানের সাথে বুঝানো ।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ আঁখি। আল্লাহপাক আমাদের আসবিয়্যাত তথা গোড়ামি থেকে হেফাজত করুন।।
          কুরআন সুন্রাহর গুরুত্ব বুঝে একে আকড়ে ধরার তৌফিক দান করুন।

          Comment


          • #6
            আখি ফিল্লাহ ওহিব্বুকা ফিল্লাহ। জাযাকাল্লাহ

            Comment

            Working...
            X