Announcement

Collapse
No announcement yet.

জাতিয় সংগিতের হুকুম কি ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জাতিয় সংগিতের হুকুম কি ?

    Amar nam nurul Absar ami akta
    school e porai sekane jatio
    songgit porte hoye ta islamer
    distite ki hobe janale kosi hobo
    উত্তর
    ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
    এতে কোন সমস্যা নেই। কারণ এতে
    কুফরী বা শিরকী কোন কথা আমাদের
    দৃষ্টিগোচর হইনি।
    ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ
    উত্তর লিখনে
    লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
    পরিচালক-তালীমুল ইসলাম
    ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার
    ঢাকা।
    ইমেইল- ahlehaqmedia2014@
    gmail.com
    lutforfarazi@yahoo.com

  • #2

    জাতীয় সঙ্গীতে শিরক রয়েছে , জাতীয় সঙ্গীতে জাতীয়তাবাদের জাহেলিয়াত রয়েছে, এখন হাতে সময় কম তাই সংক্ষিপ্ত ভাবে বললাম। পরে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

    Comment


    • #3
      দেখুন ঃ একটি প্রশ্ন-উত্তরঃ-

      বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া কি ঠিক?

      প্রশ্ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যগতভাবে পিটি করতে হয়।
      যেখানে ইসলাম বিরোধী বাক্যসম্বলিত জাতীয়
      সঙ্গীত গাইতে হয়। এক্ষণে আমাদের করণীয়
      কি?
      উত্তর :বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শিরক
      মিশ্রিত। যা মুখে বলা ও হৃদয়ে বিশ্বাস
      করা অমার্জনীয় গোনাহের কাজ। নিষ্পাপ
      বাচ্চাদের হৃদয়ে যারা এই বিশ্বাস প্রোথিত
      করে দিচ্ছেন, তারা আরও বেশি গোনাহগার
      হচ্ছেন। এমতাবস্থায় সম্মিলিতভাবে তা পাঠ
      করানো হ’লে সেক্ষেত্রে চুপ থাকতে হবে। আর
      বাধ্য করা হ’লে প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
      পরিবর্তন করতে হবে।
      রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
      বলেছেন, ‘স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির প্রতি কোন
      আনুগত্য নেই’(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত
      হা/৩৬৬৪ ও ৩৬৯৬ ‘নেতৃত্ব ও পদমর্যাদা’
      অধ্যায়)।
      Last edited by Ahmad Faruq M; 07-06-2016, 12:41 AM.

      Comment


      • #4

        হামযা ভাই,
        লুৎফুর রহমান ফরায়েজী এর সকল ফাত্বওয়া প্রচার থেকে বিরত থাকুন। কারন সে জিহাদ বিরুধী ফাত্বওয়া দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করেছে। সে দরবারী আলেম। যা থেকে সাবধান থাকতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম সতর্ক করেছেন।

        Comment


        • #5
          উস্তাদ আহমেদ ফারুক ভাই, আপনার দেয়া প্রশ্ন উত্তরটা কার দেয়া? এটা কোন দেশের জাতীয় সংগীত এর ব্যাপারে? এটা কি ভারতের ব্যাপারে নাকি? গীতার ব্যাপার যেহেতু উল্লেখ আছে।
          Last edited by Ahmad Faruq M; 07-06-2016, 12:43 AM.

          Comment


          • #6
            ভাই স্পষ্ট উত্তর দিলে জাতির জন্য অনেক ফায়দা হবে ইনঃ......।

            Comment


            • #7
              ভাই আমি জানি যে জাতীয় সঙ্গিতে শিরক রয়েছে তবে কোন কথা গুল শিরক এর অন্তরভহুক্ত তা জানলে ভাল হত ,তাই ভাই দয়া করে স্পষ্ট করে বললে ভাল হয় যে জাতীয় সঙ্গীতের কোন কথাগুল শিরক এর অন্তরভহুক্ত

              Comment


              • #8
                ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে--
                দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
                চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥
                তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,

                মা হিন্দুদের কাছে দেবতার প্রতি শব্দঃ মা কালি...।
                আবার চিরদিনের বৈশিষ্ট্য শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য।
                প্রাকৃতির পরিবর্তন এটা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি এটাকে কথিত মার সাথে সংযোক্ত করা হয়েছে...।

                Comment


                • #9
                  আমিও জানি শিরক আছে , আর শিরকি কথা বাধ্য ছাড়া মুখে বলা জায়েয নয় । অন্তরে বিশ্বাস করার তো প্রশ্নই আসেনা । সেই হিসাবে জাতীয় সংগীত জায়েয হবে না ।
                  কোন ভাই আরো স্পষ্ট উত্তর দিলে ভাল হত !

                  Comment


                  • #10
                    জাতীয় সঙ্গীতের আরেক দিক

                    জাতীয় সঙ্গিতের আরেক দিক
                    জাতীয় সঙ্গীতের অবশ্যই একটি চেতনা আছে, তা হল, হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিতভাবে ভূখণ্ডভিত্তিক একজাতীয়তার চেতনা। যাতে এক দেশের অমুসলিমেকে আপন করে নেওয়া ও অন্য দেশের মুসলিমকে পর করার শিক্ষা রয়েছে। এই জাতীয়তার ভিত্তিতেই সঙ্গিতটিকে জাতীয় সঙ্গিত হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে, এই জাতীয়তার কথাই প্র্শাসন ও সরকার প্রচার করছে এবং এই জাতীয়তার চেতনা ঢুকানোর জন্যই স্কুলে এটা গাওয়ানো হয়। মোটকথা এতে ইসলামকে বাদ দিয়ে কুফরী জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাই এটা রাসূলুল্লাহ সা: এর সেই হাদিসের আওতাভুক্ত হবে “ এগুলো পরিত্যাগ কর; কারণ এগুলো নিকৃষ্ট বিষয়। আরেকটি হাদিস: যে জাতীয়তার দিকে আহ্বান করল, বা এর জন্য মৃত্যুবরণ করল, সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যু বরণ করল।”
                    আর কেউ যদি বলে, আমি এটাকে এই চেতনা নিয়ে গাইবো না’, তাহলে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ এ্খন এই সঙ্গীতটির সাথে কুফরী জাতীয়তাবাদ যুক্ত হয়ে গেছে।
                    Last edited by salahuddin aiubi; 07-05-2016, 06:00 PM.

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Jihadi View Post
                      উস্তাদ আহমেদ ফারুক ভাই, আপনার দেয়া প্রশ্ন উত্তরটা কার দেয়া? এটা কোন দেশের জাতীয় সংগীত এর ব্যাপারে? এটা কি ভারতের ব্যাপারে নাকি? গীতার ব্যাপার যেহেতু উল্লেখ আছে।

                      --->> ভাই আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার উত্তরের মধ্যেই স্পষ্ট করা আছে। এটা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গিতের ব্যপারে ভাই।

                      Comment


                      • #12

                        প্রশ্নোত্তর

                        দারুল ইফতা

                        হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

                        প্রশ্ন (১৬/৪১৬) : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যগতভাবে পিটি করতে হয়। যেখানে ইসলাম বিরোধী বাক্যসম্বলিত জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হয়। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?

                        -আব্দুল্লাহ যুবায়ের

                        আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া।

                        উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শিরক মিশ্রিত। যা মুখে বলা ও হৃদয়ে বিশ্বাস করা অমার্জনীয় গোনাহের কাজ। নিষ্পাপ বাচ্চাদের হৃদয়ে যারা এই বিশ্বাস প্রোথিত করে দিচ্ছেন, তারা আরও বেশি গোনাহগার হচ্ছেন। এমতাবস্থায় সম্মিলিতভাবে তা পাঠ করানো হ’লে সেক্ষেত্রে চুপ থাকতে হবে। আর বাধ্য করা হ’লে প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির প্রতি কোন আনুগত্য নেই’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৬৪ ও ৩৬৯৬ ‘নেতৃত্ব ও পদমর্যাদা’ অধ্যায়)।


                        http://at-tahreek.com/september2014/qa_17_12_16.html

                        Comment


                        • #13
                          আলহামদুলিল্লাহ । সকল ভাইকে ধন্যবাদ । আমি জনাব ফরায়েজির ফতোয়াটি পোষ্টমর্টেমের জন্য এখানে পোষ্ট করেছিলাম । কেননা , আমি ফতয়াটি মেনেনিতে পারছিলামনা , এইজন্য যে , জাতিয় সংগিত গাওয়া একটা গনতান্ত্রিক আইন । আর এটা একজন মুছলমান মানতে কিছুতেই পারেনা । জাযাকাল্লাহ ।

                          Comment


                          • #14
                            উত্তরঃ
                            ইন্নাল হামদা লিল্লাহ।
                            বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত শিরক, জাহিলিয়্যাহ দ্বারা পরিপূর্ণ। সুতরাং এটি গাওয়া সম্পূর্ণ হারাম।
                            প্রমানঃ
                            (১) জাতীয় সঙ্গীতের কথাগুলো নিম্নরূপঃ

                            আমার সোনার বাংলা,
                            আমি তোমায় ভালবাসি।

                            চিরদিন তোমার আকাশ,
                            তোমার বাতাস
                            আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।

                            ও মা,
                            ফাগুনে তোর আমের বনে
                            ঘ্রাণে পাগল করে
                            মরি হায়, হায় রে
                            ও মা,
                            অঘ্রানে তোর ভরা খেতে,
                            আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।।

                            কী শোভা, কী ছায়া গো,
                            কী স্নেহ, কী মায়া গো,
                            কী আঁচল বিছায়েছ
                            বটের মূলে,
                            নদীর কূলে কূলে।

                            মা, তোর মুখের বাণী
                            আমার কানে লাগে
                            সুধার মতো-

                            মা তোর বদন খানি মলিন হলে
                            আমি নয়ন
                            ও মা আমি নয়ন জলে ভাসি
                            সোনার বাংলা,
                            আমি তোমায় ভালবাসি।

                            গানের কথা থেকে এ বিষয়গুলো খুবই স্পষ্ট-

                            শিরকঃ

                            (১) এখানে বার বার 'মা' বলে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে বোঝানো হচ্ছে। এটা শিরক। কারণ হিন্দুরা তাদের মিথ্যা উপাস্য দেবীদের 'মা' বলে ডেকে থাকে। ভারতীয় হিন্দুরা তাদের দেশের ভূখণ্ডকে দেবী মনে করে। এ সঙ্গীতের রচয়িতা এই শিরকী আকীদা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বাংলার ভূখন্ডকে দেবী (বাতিল মাবুদ) সাব্যস্ত করে, একে 'মা' বলে সম্বোধণ করেছে। যা সুস্পষ্ট শিরক।

                            (২) বারবার "তোমার আকাশ, তোমার বাতাস" বলে এই গানে বাংলার আকাশ, বাতাসকে এই কথিত দেবী তথা 'মা' এর সাথে সংশ্লিষ্ট করে বলা হচ্ছে এই আকাশ, বাতাস এই কথিত মায়ের!! অথচ আল্লাহ তায়ালা কুরআনে অসংখ্য আয়াতে ইরশাদ করেন -

                            لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ
                            নিশ্চয়ই আসমানে যা আছ, জমীনে যা আছে সবই আল্লাহর। (সুরা বাকারা ২৮৪; সুরা আলে ইমরান ১০৯, ১২৯; সুরা নিসা ১২৬,১৩১,১৩২ সহ আরো বহু আয়াত)

                            সুতরাং যে ব্যাক্তি এই কথিত 'মা' তথা মিথ্যা দেবী/উপাস্যের জন্য আকাশ, বাতাস, আমের বন, ভরা ক্ষেত ইত্যাদি মালিকানা হিসেবে সম্পৃক্ত করে, সে শিরক করেছে।

                            (৩) জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় মানুষ আবেগে চোখ বন্ধ করে, মনের গভীর থেকে গেয়ে থাকে, অনেক সময় আবেগের আতিশয্যে তাদের চোখ বেয়ে পানিও গড়িয়ে পড়ে এবং তারা এই সমস্ত আবেগ বাংলাদেশ নামক "মা" তথা মিথ্যা উপাস্যর জন্য প্রদর্শন করে, অথচ আল্লাহ ব্যাতীত কারো জন্য জন্য এমন আবেগ-ভালোবাসা প্রদর্শন শিরক। আল কুরআনে আল্লাহ বলেন -

                            وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ
                            "আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে তাদেরকে আল্লাহর ভালবাসার মত ভালবাসে।" (সুরা বাকারাঃ ১৬৫)

                            * যদি এই সঙ্গীতে (১), (২) এ উল্লেখিত শিরকে আকবর নাও থাকত, তারপরেও এই গান গাওয়ার সময় উপরোক্ত পন্থায় আবেগ প্রদর্শন হারাম। কেননা এরূপ আবেগ-বিনয়-নম্রতা একজন মুসলিম কেবল নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর জন্যই প্রদর্শন করে থাকে। সুতরাং এই সঙ্গীতে শিরক মিশ্রিত হওয়ায় এই আবেগ প্রদর্শন আরো কঠিন কবীরা গুনাহ ও হারাম কার্যে পরিণত হয়েছে।

                            জাহিলিয়্যাহঃ

                            জাতীয় সঙ্গীতের প্রচলন মূলত জাতীয়বাদ তথা জাহিলিয়াতের চেতনা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। অথচ আসাবিয়্যাহ তথা জাতীয়বাদ সম্পূর্ণ হারাম। এ সম্পর্কে প্রচুর দলীল আছে। কিন্তু মূল আলোচনার বিষয়বস্ত জাতীয়বাদ না হওয়ায় তা উল্লেখ করা হল না। শুধু এই হাদীসটি উল্লেখ করা হলঃ

                            لَيْسَ مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ مَاتَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ
                            "যে ব্যাক্তি জাতীয়তার দিকে আহ্বান করবে সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, যে এর জন্য লড়াই করবে সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, যে জাতীয়তাবাদের (বিশ্বাসের) উপর মৃত্যুবরণ করবে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়।” আবু দাউদঃ ৫১২১।

                            ** উপরের আলোচনা থেকে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট - বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত একটি শিরকি সঙ্গীত। যে ব্যাক্তি সজ্ঞানে এই শিরক করবে, [অর্থাৎ (১), (২), (৩) এ উল্লিখিত শিরক সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরও করবে] তাকে তাকফীর করা হবে। তার জান-মাল হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে অজ্ঞ হয়, তবে তার অজ্ঞতার কারণে 'উযর বিল জাহল নীতি অনুযায়ী তাকে তাকফীর করা থেকে বিরত থাকা হবে।

                            আর আল্লাহই তায়ালাই সর্বাধিক জ্ঞাত।

                            Comment

                            Working...
                            X