Announcement

Collapse
No announcement yet.

মাযহাবীরাই সালাফী লা-মাযহাবীরা খালাফী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মাযহাবীরাই সালাফী লা-মাযহাবীরা খালাফী


  • #2
    নীচের এই প্রবন্ধটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
    এই প্রবন্ধটির কিছু কথা আহনাফ মিডিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    “চরমপন্থী আহলে হাদিসদের মাঝে খ্যাতি কামানোর অন্যতম উপায় তাবলীগ জামাত নিয়ে কটাক্ষ করা, আকাবেরে দেওবন্দের মারহুমীনদের ব্যাপারে সত্য-মিথ্যা সাজিয়ে গুছিয়ে কুতসা রটানো এমনকি হানাফী মাযহাবকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা। আবার উগ্র ক্বওমীদের মধ্যে নাম যশ কুড়ানোর সহজ উপায় হল বয়ানে মাহফিলে আহলে হাদিসকে যাবতীয় সুন্নাহ বিবর্জিত ভাষায় তিরষ্কার ও গালাগালি করা যেন মনে হবে যে উম্মাহর জন্যে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ আর কোনটাই নেই। এই প্রবাহে কিছুদিন চলতে থাকলেই দেখা যায় অল্প বয়সেও অনেক আলেম বা ত্বলিব খুব সহজেই খ্যাতির শিখরে পৌছে যান এবং ধরাকে সরা জ্ঞান করে বক্তব্য দিতে থাকেন বা বেইনসাফির সাথে কলম চালতে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বীয় মাসলাকের বড়রাও এই কাজে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন এবং পরিণামে এমন অনৈক্য ও বিভেদের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যা সামাল দিতে সম্পূর্ন নতুন এক মেহনতের আঞ্জাম দিতে হয়।

    .

    দ্বীনী ইলম কম থাকা, আল্লাহকে সন্তষ্ট করার মানসিকতার পরিবর্তে দুনিয়ার কামাইকে প্রাধান্য দেয়, আখলাক আদবে ঘাটতি, সর্বোপরি উম্মাহর ঐক্য ও ফিকহুল ওয়াক্বেহ সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকার কারনে এই শ্রেণীটার মধ্যে এধরনের মানসিক বিকলাংগতা দেখা যায়। পাশাপাশি এই ধরনের আলোচনার মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা ত কামানো যায়ই, কিন্ত কোন ধরনের ঝুকির সম্মুখীন হতে হয় না। প্রশাসনের মোটেও মাথা ব্যাথা না যে কোন হুজুর কোথায় হাত বেধে নামাজ পড়ে বা কোন আলেম আল্লাহর অবস্থিতি সম্পর্কে কি ধারনা রাখে।

    .

    দুঃখজনক হলেও সত্য, এই গোত্রটাকে কখনই দেখা যায় না হিসবাহ, আল-ওয়ালা ওয়াল-বারাআহ, কুফর বিত ত্বাগুত, জিহাদ এসব মতানৈক্য বিহীন ব্যাপারে টু শব্দটিও করতে। এর চেয়েও বড় খারাবি হল যে, তারা এসব ব্যাপারে মুখে শুধু কুলুপ এটেই ক্ষান্ত হয় না বরং এই পথের দাঈ, কর্মী, সৈনিকদের ব্যাপারে মিথ্যাচার ও অযাচিত সমালোচনাও করে যায়। প্রথম অংশের গুনাহটুকু বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক, কিন্ত এই দ্বিতীয় বিষয়টি তো শুধু এসব আমলের বিপক্ষেই বলা না বরং এসব আমলে লিপ্ত বান্দাদের হক্ব ও নষ্ট করা। আর বান্দার হক্ব নষ্ট করার ব্যাপারে ইসলামের বিধান সবারই জানা। ছোট ছোট মাসয়ালা কে রঙ লাগিয়ে এত্ত বড় করে দেখাতে এরা এত পটু যে নিজের মতের থেকে সামান্য মতভিন্নতা প্রকাশ পেলে যে কাউকেই অনায়াসে গোমরাহ প্রমান করে ছেড়ে দিবে।

    .

    এজন্যেই আহমদ ইবনু হানবলের বিরুদ্ধে সে যামানার শত আলেম দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন, ইবনু তায়মিয়াকে রদ্দ করে বহু আলেম ফাতাওয়া দিয়েছিলেন, মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়হহাব কে নিজের গোত্রের পন্ডিতরাই করেছিল বিতাড়িত। আমাদের যামানায় শায়খ আযযাম বা শায়খ হাসান আল-বান্নাকে বদ আলেমদের কম অত্যাচার সহ্য করতে হয় নি, শায়খ উসামাকে ভন্ড সালাফি ও ভন্ড দেওবন্দী বহু আলেমের কোপানলে পড়তে হয়েছিল, আমিরিল মুমিনীন মুহাম্মাদ উমারের বিরোধিতায় আরব আজমের পেটপূজারী মাসলাহাতের উপাসকরা এক হয়ে দাড়িয়েছিল। আর এদেশেও জসীমুদ্দিনদেরকে এই ধরণের চরমপন্থী আহলে হাদিস আর চরমপন্থী ক্বওমীদের লক্ষ্যবস্ততে পরিণত হতে হয়েছে। কারন শুধু ঐ একটাই, হক্বের দিকে আহবান।

    .

    “শয়তান তাদের চোখে তাদের বদ কাজগুলোকে সুশোভিত কে উপস্থাপন করে...” –আত-তাওবা ৩৭

    =====================================
    The Base in the Land of Bengal..পেইজ থেকে সংগৃহিত।
    ·
    কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

    Comment


    • #3
      ফারাজী হযরতের বক্তব্য যে ভাইয়েরা সরাসরি শুনেছেন তারা হাকীকত বুঝতে পারবেন ।
      কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

      Comment

      Working...
      X