Announcement

Collapse
No announcement yet.

আনসার আল ইসলামের নতুন বার্তা !! বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা অ&

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আনসার আল ইসলামের নতুন বার্তা !! বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা অ&

    যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে!


    PDF - http://docdro.id/dPa1EXS


    A Jihad Not Conducted In Accordance To The Shariah, Will Only Reap Strife & Turmoil.


    PDF - http://docdro.id/uw1jJQf

    যাচাই করুন/ Verify - https://justpaste.it/ver_10_June


    https://justpaste.it/ansar_june_10



    بِسْمِاللّهِالرَّحْمـَنِالرَّحِيمِ

    যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে


    অনুলিপি (মূল বার্তা - http://docdro.id/dPa1EXS)


    মিডিয়াতে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আমরা যা জানতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে আমরা এ ভূখন্ডের উলামায়ে কিরাম, তালিবুল ইলম, সাধারণ মুসলিম জনতা, এ ভূমির তাগুত এবং তাগুত বাহিনীর সদস্যদের জানিয়ে দিতে চাই যেঃ

    যদিও শুরু থেকেই র*্যাব, ডিবি, ডিজিএফআই, বিজিবিসহ তাগুত সরকারের গোলাম বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও আভ্যন্তরীন কুফর শক্তির পক্ষ হয়ে এ ভূখন্ডে সাধারণভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে কাফির ও তাগুতকে খুশি করতে, পাশাপাশি নিজেদের পদোন্নতির লোভে মুজাহিদিনের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে, মুজাহিদিনকে কাফিরদের হাতে তুলে দিয়েছে এবং মুজাহিদিনের পরিবারের উপরও অনেক সময় অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে আসছে, এবং এসব জালেম বাহিনীর সদস্যরাই শাপলা চত্বরে ইসলামবিদ্বেষী চক্র, তাগুত সরকার ও তাদের ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রভুদের খুশি করতে নির্বিচারে উলামা এবং তালিবুল ইলমদের উপর গুলি চালিয়েছে ও হত্যা করেছে - তথাপি আমরা মনে করি না এসব বাহিনীর সদস্যদের নিকৃষ্ট এসব অপরাধের কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা কখনো ইসলামী শরীয়াত অনুযায়ী বৈধ হতে পারে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেনঃ

    وَلَاتَزِرُوَازِرَةٌوِزْرَأُخْرَىٰ

    ‘কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না’। [সূরা ফাতির, আয়াতঃ ১৮]

    আমাদের প্রিয় রাসুলﷺঘোষণা করেছেনঃ

    أَلَالَايَجْنِيجَانٍإِلَّاعَلَىنَفْسِهِ. لَايَجْنِيوَالِدٌعَلَىوَلَدِهِ،وَلَامَوْلُودٌعَلَى وَالِدِهِ

    ‘কোন অপরাধী অপরাধ করে শুধু নিজের উপরই (শাস্তি) ডেকে আনে। কোন পিতা অপরাধ করে তার সন্তানের জন্য শাস্তি নিয়ে আসতে পারে না। আর না কোন সন্তান অপরাধ করে পিতার জন্য শাস্তি নিয়ে আসতে পারে। [সুনানে ইবনে মাজাহ]

    এ কারণে আমরা কখনোই এধরনের হামলাকে সমর্থন করি না, করতে পারি না, এ হামলা যে-ই করুক না কেন। বরং আমরা বিশ্বাস করি, কোন ব্যক্তির অপরাধের কারণে অন্য কারো উপর শাস্তি আপতিত হতে পারে না। ইসলামী শরীয়াত আমাদের এমনই শিক্ষা দেয়। অতএব কোন পুলিশ, র*্যাব কিংবা সেনা সদস্য যতোই ইসলামবিরোধী হোক না কেন, সে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে, তাওহীদ ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে যতোই ঘৃণ্য অপরাধ করুক না কেন, তার এসব অপরাধের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তার স্ত্রী-সন্তানকে হামলার নিশানা বানানো ও হত্যা করাকে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) শরীয়াতসম্মত মনে করে না এবং সমর্থন করে না। বস্তুত এ ধরনের হামলাকে আমরা মহানবী হজরত মুহাম্মাদﷺএর দেয়া জিহাদের শিক্ষার পরিপন্থী বলেই মনে করি।

    যদিও এ হত্যাকান্ডকে আমরা আদৌ সমর্থন করি না কিন্তু মিডিয়া ও তাগুত সরকারের কেউ কেউ এ হামলার দায়ভার আমাদের পবিত্র জিহাদ ও মুজাহিদীন এর উপর চাপাতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, আল্লাহর অনুমতিতে ইসলামবিদ্বেষী চক্র ও কুফর শক্তির পক্ষ হয়ে এ ভূমির মুসলিমদের মাঝে অশ্লীলতা ও বিকৃতির প্রচারকদের বিরুদ্ধে একের পর এক সফল হামলার মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম এ দেশের তাওহীদি জনতা, উলামায়ে কিরাম ও তালিবুল ‘ইলমদের অন্তরে যে ভাবমূর্তি তৈরী করে নিয়েছে তা ক্ষুণœকরার লক্ষ্যেই কুফরী ও তাগুতি শক্তির আজ্ঞাবহ মিডিয়া এ হামলার দায়ভার “ব্লগার হত্যাকারী গোষ্ঠীর” উপর চাপানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইনশাআল্লাহ তাদের এ চক্রান্ত তাদের পূর্ববর্তী চক্রান্তগুলোর মতোই ব্যর্থ হবে।

    আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদﷺসাধারণভাবে লড়াইয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ও সুনির্দিষ্টভাবে শত্রুর ঐ সকল মহিলা ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন যারা সরাসরি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করে না। সার্বিকভাবে মুসলিমরা এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনগণ সর্বাবস্থায় ইসলামী শরীয়াতের অনুসরণ করতে বাধ্য। ব্যক্তিগত অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারন ও হামলা করার কোন অধিকার আমাদের নেই। বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নাযিলকৃত কিতাবের মাপকাঠি অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহﷺএর দেখানো পথ অনুযায়ী আমাদের কর্মপন্থা, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ ও হামলা বাস্তবায়নে আমরা বাধ্য।

    আলহামদুলিল্লাহ, আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) এখন পর্যন্ত যতগুলো বরকতময় আক্রমন করেছে তার সবই শরীয়াতের চিরন্তন মাপকাঠিতে উত্তীর্ন লক্ষ্যবস্তুতেই করেছে। সকল চিন্তাশীল পর্যবেক্ষকের কাছে তাই এ বিষয়টি পরিস্কার যে, সাধারণ মুসলিম জনগণ কিংবা তাগুতের বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের নারী ও শিশুদের আক্রমণ করার কর্মপদ্ধতি আর আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) এর কর্মপদ্ধতি বা মানহাজ এক না। বরং আনসার আল ইসলাম সর্বদা গভীর গবেষণা ও শর’ঈ বিশ্লেষণের পরই প্রতিটি হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে এবং বাস্তবায়ন করে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রকাশ করেছি - কারা আমাদের নিশানায় আছে এবং কারা আমাদের পরবর্তী হামলার নিশানা হতে পারে। আমাদের এই ঘোষণা প্রকাশ্য ও সু¯পষ্ট যাতে কোন রকমের বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। এই প্রকাশ্য ও সু¯পষ্ট ঘোষণার পরও যারা আমাদের উপর এ ধরনের হামলার দায়ভার চাপিয়ে দিতে চায়, যারা মুজাহিদিনের নামে কালিমা লেপন করতে চায়, যারা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের উচিত সতর্ক হওয়া। সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক সুযোগসন্ধানী মিথ্যাবাদী ও গুজবরটনাকারীর।

    মহান আল্লাহ জিহাদকে নির্ধারন করেছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত ও দায়িত্ব হিসেবে। কোন ইবাদাত শুধুমাত্র তখনই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে যখন সে ইবাদাত পালন করা হবে রাসূলুল্লাহﷺএর সুন্নাহ অনুযায়ী, শরীয়াতের মূলনীতি ও বেঁধে দেয়া সীমানা অনুসারে। খেয়ালখুশি মত রক্ত ঝরানোর মাধ্যমে এ ইবাদাতের হক্ব আদায় করা সম্ভব না। তাই নিশ্চয় আমাদের মানহাজ (কর্মপদ্ধতি) যে কোন মূল্যে প্রতিশোধ গ্রহণ কিংবা অন্যায় রক্ত ঝরানোর মানহাজ নয়। নিশ্চয়ই আমাদের মানহাজ জিঘাংসা ও অন্যায় সহিংসতার মানহাজ নয়। বরং আমাদের মানহাজ হল মুহাম্মাদﷺএর আনীত শরীয়াতের আলোকে, সালফে সালেহীনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, এ উম্মাতের অগ্রবর্তী উলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা অনুসারে - দাওয়াহ ও জিহাদের মানহাজ। আমাদের মানহাজ হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ ও মানবজাতির প্রতি রহমত স্বরূপ যেখানে স্থান নেই কোন শিথিলতার কিংবা চরমপন্থার। হাকীমুল উম্মাত শায়েখ আইমান আল যাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহ’র নেতৃত্বে সারা বিশ্বব্যাপী তানযীম কায়েদাতুল জিহাদের মুজাহিদরা শহীদ শায়েখ উসামা বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ’র এই মানহাজেরই অনুসরণ করে আসছেন। আমরা এই বরকতময় মানহাজ থেকে বিচ্যুত হইনি এবং সকল প্রশংসা আল্লাহরই।

    অতএব যে তরবারী আমরা ধারণ করেছি ক্রুসেডার-যায়নবাদী অক্ষের কেন্দ্রবিন্দু আমেরিকা, তার গোলাম তাগুত শাসকগোষ্ঠী, তার এজেন্ট ইসলামবিদ্বেষী চক্র ও আঞ্চলিক ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, যে তরবারী আমরা ধারণ করেছি কুফরের ইমামদের বিরুদ্ধে, সে উন্মুক্ত তরবারী দিয়ে নিরপরাধ নারী ও শিশুদের আঘাত করা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।

    একই সাথে এই ভূমির তাগুতের সেনাদের এবং আন্তর্জাতিক কুফর ও আঞ্চলিক ব্রাহ্মণ্যবাদের গোলামদের জেনে রাখা উচিত - এই তরবারীর নাগাল থেকে তারা ততক্ষন পর্যন্ত নিরাপদ নয়, যতক্ষন তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের বর্তমান অবস্থান বজায় রাখবে। নিশ্চয়ই আমরা মু’মিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর, রহমতের নবী এবং মালাহিমের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহﷺএর পথের অনুসারী এবং আমরা নতুন কোনো পথের উদ্ভাবনকারী নই।

    এবং সমস্ত প্রশংসা কেবল আল্লাহ তা’আলার জন্যই।



    মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ,

    মুখপাত্র,

    আনসার আল ইসলাম,

    আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা।

    সূত্র - আনসার আল ইসলামের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যনেল
    Last edited by Umar Abdur Rahman; 06-11-2016, 06:52 PM.

  • #2
    জাঝাকাল্লাহু খাইরান।

    Comment


    • #3
      বাংলা ও ইংরেজী এই ষ্ট্যাটমেন্টগুলো হোম পেইজ ও স্ক্রলে দেয়ার জন্য মডারেটর ভাইদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

      Comment


      • #4
        বারতার রিঅ্যাকশন -

        এসপিপত্মী হত্যার নিন্দা জানিয়ে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার বিবৃতির বিষয়ে ইকবাল বাহার (সিএমপি কমিশনার) বলেন, একজন নিরাপরাধ গৃহবধুকে মারা হয়েছে যার লেবাস পরিপূর্ণ ইসলামী।

        “এ কারণে তারা নিজেদের বাঁচাতে কিংবা জড়িত না থেকেও এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারে। আমরা সব বিবেচনা করে কাজ করছি।”।

        সূত্রঃ BDnews24 [এসপিপত্নী হত্যায় জড়িত সন্দেহে যুবক গ্রেপ্তার]
        আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

        Comment


        • #5
          যাকারিয়া ভাইয়ের সাথে সহমত। অফিশিয়াল বক্তব্যগুলো হোম পেইজে ও স্ক্রলে থাকা প্রয়োজন।
          আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

          Comment


          • #6

            সাফ কথা...........

            মহিলা মেরে কাপুরুষতার পরিচয় দেয়ার মত তানযিম আনসার আল ইসলাম না।
            ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা দিন দুপুরে পুরুষ কোপানোর মত সাহস রাখি।
              ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

              Comment


              • #8
                Originally posted by tipo soltan View Post
                আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা দিন দুপুরে পুরুষ কোপানোর মত সাহস রাখি।
                মহিলা মেরে কাপুরুষতার পরিচয় দেয়ার মত তানযিম আনসার আল ইসলাম না।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Muhammad Khair View Post
                  যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে! PDF - http://docdro.id/dPa1EXS A Jihad Not Conducted In Accordance To The Shariah, Will Only Reap Strife & Turmoil. PDF - http://docdro.id/uw1jJQf যাচাই করুন/ Verify - https://justpaste.it/ver_10_June https://justpaste.it/ansar_june_10 بِسْمِاللّهِالرَّحْمـَنِالرَّحِيمِ যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে অনুলিপি (মূল বার্তা - http://docdro.id/dPa1EXS)
                  মিডিয়াতে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আমরা যা জানতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে আমরা এ ভূখন্ডের উলামায়ে কিরাম, তালিবুল ইলম, সাধারণ মুসলিম জনতা, এ ভূমির তাগুত এবং তাগুত বাহিনীর সদস্যদের জানিয়ে দিতে চাই যেঃ যদিও শুরু থেকেই র*্যাব, ডিবি, ডিজিএফআই, বিজিবিসহ তাগুত সরকারের গোলাম বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও আভ্যন্তরীন কুফর শক্তির পক্ষ হয়ে এ ভূখন্ডে সাধারণভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে কাফির ও তাগুতকে খুশি করতে, পাশাপাশি নিজেদের পদোন্নতির লোভে মুজাহিদিনের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে, মুজাহিদিনকে কাফিরদের হাতে তুলে দিয়েছে এবং মুজাহিদিনের পরিবারের উপরও অনেক সময় অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে আসছে, এবং এসব জালেম বাহিনীর সদস্যরাই শাপলা চত্বরে ইসলামবিদ্বেষী চক্র, তাগুত সরকার ও তাদের ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রভুদের খুশি করতে নির্বিচারে উলামা এবং তালিবুল ইলমদের উপর গুলি চালিয়েছে ও হত্যা করেছে - তথাপি আমরা মনে করি না এসব বাহিনীর সদস্যদের নিকৃষ্ট এসব অপরাধের কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা কখনো ইসলামী শরীয়াত অনুযায়ী বৈধ হতে পারে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেনঃ
                  وَلَاتَزِرُوَازِرَةٌوِزْرَأُخْرَىٰ ‘কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না’। [সূরা ফাতির, আয়াতঃ ১৮] আমাদের প্রিয় রাসুলﷺঘোষণা করেছেনঃ أَلَالَايَجْنِيجَانٍإِلَّاعَلَىنَفْسِهِ. لَايَجْنِيوَالِدٌعَلَىوَلَدِهِ،وَلَامَوْلُودٌعَلَى وَالِدِهِ ‘কোন অপরাধী অপরাধ করে শুধু নিজের উপরই (শাস্তি) ডেকে আনে। কোন পিতা অপরাধ করে তার সন্তানের জন্য শাস্তি নিয়ে আসতে পারে না। আর না কোন সন্তান অপরাধ করে পিতার জন্য শাস্তি নিয়ে আসতে পারে। [সুনানে ইবনে মাজাহ]
                  এ কারণে আমরা কখনোই এধরনের হামলাকে সমর্থন করি না, করতে পারি না, এ হামলা যে-ই করুক না কেন। বরং আমরা বিশ্বাস করি, কোন ব্যক্তির অপরাধের কারণে অন্য কারো উপর শাস্তি আপতিত হতে পারে না। ইসলামী শরীয়াত আমাদের এমনই শিক্ষা দেয়। অতএব কোন পুলিশ, র*্যাব কিংবা সেনা সদস্য যতোই ইসলামবিরোধী হোক না কেন, সে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে, তাওহীদ ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে যতোই ঘৃণ্য অপরাধ করুক না কেন, তার এসব অপরাধের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তার স্ত্রী-সন্তানকে হামলার নিশানা বানানো ও হত্যা করাকে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) শরীয়াতসম্মত মনে করে না এবং সমর্থন করে না। বস্তুত এ ধরনের হামলাকে আমরা মহানবী হজরত মুহাম্মাদﷺএর দেয়া জিহাদের শিক্ষার পরিপন্থী বলেই মনে করি। যদিও এ হত্যাকান্ডকে আমরা আদৌ সমর্থন করি না কিন্তু মিডিয়া ও তাগুত সরকারের কেউ কেউ এ হামলার দায়ভার আমাদের পবিত্র জিহাদ ও মুজাহিদীন এর উপর চাপাতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, আল্লাহর অনুমতিতে ইসলামবিদ্বেষী চক্র ও কুফর শক্তির পক্ষ হয়ে এ ভূমির মুসলিমদের মাঝে অশ্লীলতা ও বিকৃতির প্রচারকদের বিরুদ্ধে একের পর এক সফল হামলার মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম এ দেশের তাওহীদি জনতা, উলামায়ে কিরাম ও তালিবুল ‘ইলমদের অন্তরে যে ভাবমূর্তি তৈরী করে নিয়েছে তা ক্ষুণœকরার লক্ষ্যেই কুফরী ও তাগুতি শক্তির আজ্ঞাবহ মিডিয়া এ হামলার দায়ভার “ব্লগার হত্যাকারী গোষ্ঠীর” উপর চাপানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইনশাআল্লাহ তাদের এ চক্রান্ত তাদের পূর্ববর্তী চক্রান্তগুলোর মতোই ব্যর্থ হবে। আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদﷺসাধারণভাবে লড়াইয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ও সুনির্দিষ্টভাবে শত্রুর ঐ সকল মহিলা ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন যারা সরাসরি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করে না। সার্বিকভাবে মুসলিমরা এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনগণ সর্বাবস্থায় ইসলামী শরীয়াতের অনুসরণ করতে বাধ্য। ব্যক্তিগত অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারন ও হামলা করার কোন অধিকার আমাদের নেই। বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নাযিলকৃত কিতাবের মাপকাঠি অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহﷺএর দেখানো পথ অনুযায়ী আমাদের কর্মপন্থা, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ ও হামলা বাস্তবায়নে আমরা বাধ্য। আলহামদুলিল্লাহ, আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) এখন পর্যন্ত যতগুলো বরকতময় আক্রমন করেছে তার সবই শরীয়াতের চিরন্তন মাপকাঠিতে উত্তীর্ন লক্ষ্যবস্তুতেই করেছে। সকল চিন্তাশীল পর্যবেক্ষকের কাছে তাই এ বিষয়টি পরিস্কার যে, সাধারণ মুসলিম জনগণ কিংবা তাগুতের বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের নারী ও শিশুদের আক্রমণ করার কর্মপদ্ধতি আর আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) এর কর্মপদ্ধতি বা মানহাজ এক না। বরং আনসার আল ইসলাম সর্বদা গভীর গবেষণা ও শর’ঈ বিশ্লেষণের পরই প্রতিটি হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে এবং বাস্তবায়ন করে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রকাশ করেছি - কারা আমাদের নিশানায় আছে এবং কারা আমাদের পরবর্তী হামলার নিশানা হতে পারে। আমাদের এই ঘোষণা প্রকাশ্য ও সু¯পষ্ট যাতে কোন রকমের বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। এই প্রকাশ্য ও সু¯পষ্ট ঘোষণার পরও যারা আমাদের উপর এ ধরনের হামলার দায়ভার চাপিয়ে দিতে চায়, যারা মুজাহিদিনের নামে কালিমা লেপন করতে চায়, যারা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের উচিত সতর্ক হওয়া। সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক সুযোগসন্ধানী মিথ্যাবাদী ও গুজবরটনাকারীর। মহান আল্লাহ জিহাদকে নির্ধারন করেছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত ও দায়িত্ব হিসেবে। কোন ইবাদাত শুধুমাত্র তখনই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে যখন সে ইবাদাত পালন করা হবে রাসূলুল্লাহﷺএর সুন্নাহ অনুযায়ী, শরীয়াতের মূলনীতি ও বেঁধে দেয়া সীমানা অনুসারে। খেয়ালখুশি মত রক্ত ঝরানোর মাধ্যমে এ ইবাদাতের হক্ব আদায় করা সম্ভব না। তাই নিশ্চয় আমাদের মানহাজ (কর্মপদ্ধতি) যে কোন মূল্যে প্রতিশোধ গ্রহণ কিংবা অন্যায় রক্ত ঝরানোর মানহাজ নয়। নিশ্চয়ই আমাদের মানহাজ জিঘাংসা ও অন্যায় সহিংসতার মানহাজ নয়। বরং আমাদের মানহাজ হল মুহাম্মাদﷺএর আনীত শরীয়াতের আলোকে, সালফে সালেহীনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, এ উম্মাতের অগ্রবর্তী উলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা অনুসারে - দাওয়াহ ও জিহাদের মানহাজ। আমাদের মানহাজ হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ ও মানবজাতির প্রতি রহমত স্বরূপ যেখানে স্থান নেই কোন শিথিলতার কিংবা চরমপন্থার। হাকীমুল উম্মাত শায়েখ আইমান আল যাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহ’র নেতৃত্বে সারা বিশ্বব্যাপী তানযীম কায়েদাতুল জিহাদের মুজাহিদরা শহীদ শায়েখ উসামা বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ’র এই মানহাজেরই অনুসরণ করে আসছেন। আমরা এই বরকতময় মানহাজ থেকে বিচ্যুত হইনি এবং সকল প্রশংসা আল্লাহরই। অতএব যে তরবারী আমরা ধারণ করেছি ক্রুসেডার-যায়নবাদী অক্ষের কেন্দ্রবিন্দু আমেরিকা, তার গোলাম তাগুত শাসকগোষ্ঠী, তার এজেন্ট ইসলামবিদ্বেষী চক্র ও আঞ্চলিক ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, যে তরবারী আমরা ধারণ করেছি কুফরের ইমামদের বিরুদ্ধে, সে উন্মুক্ত তরবারী দিয়ে নিরপরাধ নারী ও শিশুদের আঘাত করা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। একই সাথে এই ভূমির তাগুতের সেনাদের এবং আন্তর্জাতিক কুফর ও আঞ্চলিক ব্রাহ্মণ্যবাদের গোলামদের জেনে রাখা উচিত - এই তরবারীর নাগাল থেকে তারা ততক্ষন পর্যন্ত নিরাপদ নয়, যতক্ষন তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের বর্তমান অবস্থান বজায় রাখবে। নিশ্চয়ই আমরা মু’মিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর, রহমতের নবী এবং মালাহিমের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহﷺএর পথের অনুসারী এবং আমরা নতুন কোনো পথের উদ্ভাবনকারী নই। এবং সমস্ত প্রশংসা কেবল আল্লাহ তা’আলার জন্যই। মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ, মুখপাত্র, আনসার আল ইসলাম, আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা। সূত্র - আনসার আল ইসলামের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যনেল
                  মহিলা ও শিশু হত্যা করা বা মারা আমাদের কাজ নয় । তবে যদি তারা যুদ্ধের ময়দানে নৃতৃত্ব দেয় তাহলে ভিন্ন । সুতরাং মনে রাখতে হবে আমাদের ভাইয়েরা যা করেন সব কিছু কোরআন হাদিস দেখে সসম্পূর্ন যাচাই বাছাইয়ের পর ই করেন । আর আমরা কাপুরুশের মত কাউকে যুদ্ধা করি না আমরা বিরপুরুষের মত যুদ্ধ করি না ।

                  Comment


                  • #10
                    আনসার আল ইসলামের বার্তার রি-অ্যাকশানঃ

                    আলকায়দার রহস্যজনক বক্তব্য
                    আমাদেরসময়.কম

                    এই প্রথমবারের মতো একটি রহস্যজনক বক্তব্য দিল আলকায়েদা। পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে আনসার আল ইসলাম। এটি আলকায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস)-এর বাংলাদেশ শাখা। এ খবর দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর উপর নজরদারি করা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
                    আনসার আল ইসলামের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৫ জুন মাহমুদা আক্তারকে হত্যা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এই হত্যাকা- জিহাদিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

                    আনসার আল ইসলামের এই বক্তব্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এই হত্যাকা-ের ব্যাপারে আলকায়েদাকে সন্দেহ করে কোনো বক্তব্যই দেওয়া হয়নি।(!!!!) আলকায়েদাও আগে এমন দাবি করেনি যে এই হত্যাকা-টি তাদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ এই হত্যাকা- সম্পর্কে ধারণা করছে, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী ভূমিকার জন্যই তার স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হতে পারে।
                    ...
                    বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে মুক্তমনা লেখক, অধ্যাপক, ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং সংখ্যালঘু হত্যার দায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস কিংবা কখনও আনসার আল ইসলাম দাবি করেছে। এসব হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করার খবর দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স।

                    গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দেওয়া হয়। এর পর ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী, সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকা-ের পরও একই সংগঠনটির পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত এ দুটি সংগঠনের কেউই মিতু হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেনি। এবার আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে এ হত্যাকা-ের নিন্দা জানানোর কথাই জানিয়েছে সাইট ইনটেলিজেন্স। তবে তাদের খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
                    আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

                    Comment


                    • #11
                      রি-অ্যাকশান ২ঃ

                      মিতুর খুনি কারা?
                      বাংলা ট্রিবিউন

                      -----

                      এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কারা খুন করলো? কেন খুন হলেন তিনি? এই হত্যাকাণ্ডের দায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম অস্বীকার করার পরপরই এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। জঙ্গি নাকি অন্য কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মিতুকে হত্যা করেছে? কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরই এখন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে পুলিশ বলেনি মিতুর খুনি কারা। তবে, খুনি যারাই হোক, যে কারণেই তাকে হত্যা করা হোক, তদন্ত শেষে রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে জানান চট্টগ্রাম পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

                      গত ৫ জুন সকালে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওইদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও চট্টগ্রাম পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের ধরন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাদৃষ্টে প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে এমনই মনে হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হতে চলেছে। পুলিশের ধারণা এখনও এমনটিই রয়েছে।

                      গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগার, শিক্ষক, লেখক ও ভিন্ন মতাদর্শ ও মতাবলম্বী জঙ্গি হামলায় হত্যার শিকার হচ্ছেন। প্রথমদিকে বিচ্ছিন্নভাবে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করলেও গত সেপ্টেম্বর থেকে আনসার আল ইসলাম নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে দায় স্বীকার করা শুরু হয়। গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যার পর আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার শুরু করে(!!!)। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স নামের একটি ওয়েব সাইট সেটি প্রচার করে। বাংলাদেশে আল-কায়েদা ও আইএসের অস্তিত্ব রয়েছে মর্মেও প্রচারণা চালায় সাইটটি।

                      গত এক সপ্তাহে দেশে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার কয়েকজনের বিষয়েই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ভারতীয় উপমহাদেশীয় আল-কায়েদার (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা নামে দাবিদার জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’(!!!)। কিন্তু মিতু হত্যাকাণ্ডে গত এক সপ্তাহ চুপ থাকলেও শনিবার আনসার আল ইসলাম বলেছে, মিতু হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তারা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, জিহাদিদের ওপর দোষ চাপাতেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এ ধরনের হত্যা ইসলামে অনুমোদনযোগ্য নয়।

                      তাহলে মিতুর খুনি কারা? এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, জঙ্গিরাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত এমনটিই মনে করছি। তবে তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য, জানা যাবে কারা মিতুর খুনি।

                      মিতু হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকারের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার বলেন, দায় স্বীকার ও অস্বীকারের যে বিষয়টি আসছে, তা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করে না। যখন দায় স্বীকার করে তখনও না, যখন দায় অস্বীকার করে তখনও না। এ নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও সুযোগ নেই। যতক্ষণ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে এবং মূল খুনিদের গ্রেফতার করতে না পারছি, ততক্ষণ কিছুই বলতে পারছি না। সব ধারণা ও কারণ নিয়েই পুলিশ কাজ করছে।

                      মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সর্বশেষ শনিবার চট্টগ্রামের শীতল ঝরনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহ জামান রবিন নামের একজনকে। মিতু হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া তিন জনের একজন রবিন হতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। তবে সিসিটিভি ফুটেজ স্পষ্ট না হওয়ায় সেটিও এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পুলিশ কর্মকর্তারা। রবিন কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলেও ধারণা তাদের।

                      গ্রেফতারকৃত রবিনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, রবিনকে এখনও ওভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা যায়নি। আজকে জিজ্ঞাসাবাদ করব, কাল আদালতে নেব। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে মিতু হত্যার ঘটনার সময় রবিন ঘটনাস্থলে ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে তার ফোনে কথা বলার দৃশ্য ধরা পড়েছে। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিংবা ভাড়াটে খুনিও হতে পারেন রবিন। তিনি কিলিং মিশনে ছিল কিনা ফুটেজগুলো মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
                      আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

                      Comment


                      • #12
                        আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা দিন দুপুরে পুরুষ কোপানোর মত সাহস রাখি।
                        মহিলা মেরে কাপুরুষতার পরিচয় দেয়ার মত তানযিম আনসার আল ইসলাম না।..............
                        যারা ঈমান আনে তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে আর যারা কুফরি করে তারা যুদ্ধ করে তাগোতের পথে সুতরাং তোমরা তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত অত্যান্ত দুর্বল।।(নিসা:৭৬)

                        Comment


                        • #13
                          আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন ;লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; ;লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে ;লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।




                          jazakallah
                          ان الدين عندالله الاسلام
                          ইসলামই একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম

                          Comment


                          • #14
                            আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা দিন দুপুরে পুরুষ কোপানোর মত সাহস রাখি।

                            সাফ কথা...........
                            মহিলা মেরে কাপুরুষতার পরিচয় দেয়ার মত তানযিম আনসার আল ইসলাম না।

                            Comment


                            • #15
                              ইখওয়াতি ফিল্লাহ, জাযাকুমুল্লাহু খাইরান। এই হত্যাকান্ড আমাদের উপর চাপানোর অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে।
                              #তাগুত বাহিনীর ব্যর্থতা, তারা পুরোপুরি ব্যর্থ্য, তা না হলে আমরা আসিকার করার পরও আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে, যাতে করে জনগন আমাদের শুত্রু হয়ে যায়, আর আমরা সহজে ধরা পরি।
                              #আসল হত্যাকারীকে আড়াল করতেই এর দায়ভার আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে!!!
                              আনছার আল ইসলাম নিরাপরাধ কোন মানুষকে হত্যা করেনি, করবেওনা। যারা কাপুরুষ কেবল তারাই মহিলাদের হত্যা করতে পারে।
                              # তাগুত বাহিনিকে বলছি, ভালো করে শোনে রাখ! জিহাদ হচ্ছে একটি আমল, যা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার জন্য অনেকগুলো শর্ত আছে, শর্তগুলো পুরণ হলেই তা কেবল কবুল হবে। আমরা হুট করে বোমা মারার দল নয়। শরিয়ত নির্দেশ দিলেই কেবল আনছার আল ইসলাম তাদের দায়িত্ব পালন করে।

                              অন্যের হিদায়তের জন্য নিজে জাহান্নামি বানায় না।
                              আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                              আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                              Comment

                              Working...
                              X