Announcement

Collapse
No announcement yet.

স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ--- স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ--- স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ

    বাংলাদেশী হিন্দুরা নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেনঃ
    .
    বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত বলেছেন, "বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে দিয়ে স্থিতিশীল ভারত উপমহাদেশ অর্জন করা কখনও সম্ভব হবে না। তাই ভারত যদি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চায় তাহলে আমাদের দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিনাশ করা বন্ধ করতে তাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে"
    .
    বাংলাদেশের সুপরিচিত অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এ অঞ্চলে ভারত একটি বড় শক্তিধর দেশ। প্রতিবেশী দেশে যখন হিন্দুদের নৃশংসভাবে জবাই করা হয় ভারত তখন অলস বসে থাকতে পারে না"
    .
    এক পুরোহিতকে হত্যার পর বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশন তাদের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে নিহতের পরিবার ও আশ্রমের সহযোগীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে।
    .
    কমিশনের দ্রুত এ পদক্ষেপের প্রশংসা করে পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রানা দাসগুপ্ত বলেছেন, "ভারতকে এর চেয়ে বেশি কিছু করতে হবে"
    .
    নিউজ লিঙ্ক= see comment
    .
    .
    সম্প্রতি বাংলাদেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা সংগঠিত হচ্ছে । আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশের অভিশপ্ত মূর্তিপূজারীরা এবার প্রকাশ্যেই হিন্দু নির্যাতন এবং গুপ্তহত্যার অযুহাত তুলে বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।


    এবার আসেন আমরা একটু একসময়ের স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ থেকে ঘুরে আসি ।
    .
    হায়দারাবাদ ছিল ২০০ বছরের স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র । ব্রিটিশ ভারতের সাথে তার অধীনতামূলক মিত্রতা ছিল । ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পাবার পর ভারতের পক্ষ থেকে হায়দারাবাদকে ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদান করার জন্য আহবান করা হয় । কিন্তু হায়দারাবাদ নিজেদের স্বাধীন স্বতন্ত্র সত্তা ধরে রাখার পক্ষে অবস্থান নেয় ।
    .
    ১৯৪৮ সালের জুলাই মাসে জওয়াহের লাল নেহরু ঘোষণা করেন, ‘যখন প্রয়োজন মনে করব তখন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করা হবে।’
    .
    ভারত হায়দরাবাদে নানা রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে হায়দারাবাদের রাজা তা কঠোর হাতে দমন করেন। একপর্যায়ে ভারত হায়দরাবাদের ব্যাপারে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেয়, যার অংশ হিসেবে সেখানে কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় করা হয়। কলুষিত করা হয় রাজনীতিকে। শিক্ষাঙ্গন, সাংস্কৃতিক জগৎ, বুদ্ধিজীবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুগত লোক তৈরি করা হয়। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অনুগত দালাল সৃষ্টি করা হয় এবং উগ্রপন্থীদের দিয়ে নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়।
    .
    উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলগুলোর ইন্ধনে হায়দ্রাবাদের অভ্যন্তরে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে মুসলিম জমিদার ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গুপ্তহত্যা শুরু হয়। এক হিসাব মতে প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি তাদের গুপ্তহত্যার শিকার হয়। এ পরিস্থিতিতে হায়দারাবাদের রাজা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে গঠিত রাজাকারদের ( বাংলায় যার অর্থ হয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী) দায়িত্ব দেন হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধের। রাজাকারেরা কমিউনিস্টদের পাকড়াও অভিযান শুরু করে, অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
    .
    কমিউনিস্টরা সবাই ছিল হিন্দু, সুতরাং এ সুযোগকে কাজে লাগাল ভারত সরকার। বহুল প্রতীক্ষিত হায়দ্রাবাদ দখলের অজুহাত এখন তাদের হাতে; তারা প্রচার করলো হায়দারাবাদের হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে, উগ্র মুসলিমরা পাইকারী হারে হিন্দুদের হত্যা করছে ।
    .
    .
    ১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ‘অপারেশন পোলো’ নাম দিয়ে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী হায়দরাবাদে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণ শুরুর আগেই স্বাধীন হায়দরাবাদের সেনাপ্রধান আল ইদরুসকে কিনে নেয় দিল্লি। আল ইদরুস দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত অরক্ষিত রেখে সেনাবাহিনীকে অপ্রস্তুত অবস্থায় রাখে । এরপর ভারত হায়দরাবাদে শুরু করে চতুর্মুখী সামরিক আক্রমণ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে একাত্ম হয়ে উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো হায়দরাবাদে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। বিমান হামলায় শহর-বন্দর-গ্রাম গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। হায়দারাবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাহিনীর হাতে হায়দারাবাদের ২০০ বছরের স্বাধীনতার অবসান ঘটে এবং হায়দরাবাদ ভারতের অংশে পরিণত হয়। এরপর হায়দরাবাদকে অন্ধ্র, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র এই তিন রাজ্যে বিভক্ত করা হয়।

    এ হলো স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ পতন এবং ভারতের প্রদেশে পরিনত হবার ইতিহাস । লক্ষনীয় ব্যপার হলো, হায়দারাবাদ দখল করার আগে ভারত সেখানে গুপ্তহত্যা শুরু করে এবং হিন্দু নির্যাতনের অযুহাত তুলে সেখানে হামলা করে । আজকের বাংলাদেশে একের পর এক রহস্যময় গুপ্ত হত্যা এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারতের কাছে পদক্ষেপ গ্রহন করার আর্জি জানানো দেখে হায়দারাবাদ পতনের সেই ইতিহাস মনে পড়ে গেল । ইতিহাসের কেমন যেন মিল খুজে পাচ্ছি ।

    collected

    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

  • #2
    বাংলাদেশী হিন্দুরা নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

    ‘ঝুঁকিতে’ থাকা বাংলাদেশী হিন্দুরা তাদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশটির সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইন ও হিন্দুস্তান টাইমসে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ধারাবাাহিক হামলার প্রেক্ষিতে তারা চাইছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকার যেন বিষয়টি ঢাকার কাছে তুলে ধরে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী রানা দাসগুপ্ত পিটিআইকে বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হলো হিন্দুরা। এ সম্প্রদায়টি বাংলাদেশে ঝুঁকির মুখে। মৌলবাদী ও জামায়াতিরা বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের মূলোৎপাটনের চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট দেশ হিসেবে ভারত এক্ষেত্রে কিছু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের বড় আশা রয়েছে। তার উচিত এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

    ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ১০ই জুন হিন্দুদের আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডে (৬০)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্দেহজনক ইসলামপন্থিরা। এ নিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ কর্মীদের ওপর ধারাবাহিক হামলার চতুর্থ শিকার হলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এ ব্যক্তি।
    রানা দাসগুপ্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একজন প্রসিকিউটরও। তিনি বলেছেন, ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ও মৌলবাদী গ্রুপগুলো হিন্দু সম্প্রদায়কে সমূলে উৎপাটন করতে চায়। গত দু’বছর ধরে ধর্মীয় এই তৎপরতার আরও অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে দিয়ে স্থিতিশীল ভারত উপমহাদেশ অর্জন করা কখনও সম্ভব হবে না। তাই ভারত যদি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চায় তাহলে আমাদের দেশে (বাংলাদেশে) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিনাশ করা বন্ধ করতে তাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে একজন পুরোহিত, একজন খ্রিস্টান দোকানি, একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ এক সপ্তাহে নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে হত্যা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে, উগ্রপন্থিরা একটি মন্দিরের পুরোহিতকে কুপিয়ে হত্যা করে। তার সহায়তায় এগিয়ে যাওয়া এক ভক্তকে গুলি করে আহত করে। এপ্রিলে উদারপন্থি একজন প্রফেসরকে রাজশাহীতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একই মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন দর্জিকে হত্যা করা হয় তার দোকানের ভিতর। বাংলাদেশে প্রথম এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও তার এক বন্ধুকে ইসলামপন্থিরা ঢাকায় তার বাসায় হত্যা করেছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থি ব্লগারদের ওপর ধারাবাহিক হামলা হয়েছে।

    ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা ভয়াবহ। যদিও আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে তবু তৃণমূল পর্যায়ে পরিস্থিতি নির্মম। ধর্ষণ, হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহায় সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।’ বাংলাদেশের সুপরিচিত অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর ভারত চাপ সৃষ্টি না করলে মৌলবাদীদের থামানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে ভারত একটি বড় শক্তিধর দেশ। প্রতিবেশী দেশে যখন হিন্দুদের নৃশংসভাবে জবাই করা হয় ভারত তখন অলস বসে থাকতে পারে না। পুরোহিতকে হত্যার পর বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশন তাদের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে নিহতের পরিবার ও আশ্রমের সহযোগীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে। কমিশনের দ্রুত এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রানা দাসগুপ্ত। তারা বলেছেন, ভারতকে এর চেয়ে বেশি কিছু করতে হবে। মানবাধিকার গ্রুপ ও বাংলাদেশের হিন্দু নেতারা দাবি করছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আরও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। ধর্মীয় সংখ্যালঘু নেতারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের একজন সিনিয়র মন্ত্রী মনে করছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা আসলে ধর্ম নিরপেক্ষ ও উদার আওয়ামী লীগ সরকারের সামনে বাধা সৃষ্টির জন্য করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে টেলিফোনে পিটিআইকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে এর জন্য দায়ী মৌলবাদী ও জামায়াত চক্র। তারা বাংলাদেশের খারাপ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়। এসব হামলা সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে নয়, বরং আসল টার্গেট হলো আমাদের সরকারের ক্ষতি করা এবং আমাদের দেশকে একটি মৌলবাদী দেশে পরিণত করা। আমরা কখনও তা হতে দিতে পারি না। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ।
    তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, হিন্দুদের নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত যদি পদক্ষেপ নেয় তাহলে ঢাকা কি করবে। এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত সুসম্পর্ক। ভারত আমাদের বন্ধু। যদি ভারত বিষয়টি আমাদের কাছে তুলে ধরে আমরা আলোচনা করবো। এতে ক্ষতির কিছু নেই।

    http://www.m.mzamin.com/article.php?mzamin=18119
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার নয়, বেশী বেশী ক্রসফায়ার চান হিন্দু পরিষদ নেতারা!

      রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

      Comment

      Working...
      X