Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিপথগামি নির্বোধ আলেমদের দ্বারা তৈরি ফতোয়া - "জঙ্গিবাদ হারাম"

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিপথগামি নির্বোধ আলেমদের দ্বারা তৈরি ফতোয়া - "জঙ্গিবাদ হারাম"



    ইসলামের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে হারাম আখ্যায়িত করে ফতোয়া দিয়েছেন লক্ষাধিক আলেম-ওলামা। এই ফতোয়ায় দেশের এক লাখ এক হাজার ৫২৪ জন মুফতি, আলেম-ওলামা দস্তখত করেছেন। গতকাল শনিবার
    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আলেমদের এই ‘ফতোয়া’ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। জঙ্গিদের জানাজা পড়াও হারাম বলে মত দেয়ার পাশাপাশি তারা বলেছেন, যারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মারা যাবেন তারা শহীদের মর্যাদা পাবেন। গত বছরব্যাপী লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, অধ্যাপক, বিদেশি, হিন্দু পুরোহিত, খ্রিস্টান পাদ্রী, বৌদ্ধ ভিক্ষুর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে একই কায়দায় হামলার প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে এ মত প্রকাশ করা হলো। সংবাদ সম্মেলনে মওলানা মাসঊদ বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের নাম ব্যবহার করে কতিপয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। মানুষের চোখে ইসলামকে একটা বর্বর, নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী ধর্মরূপে চিত্রিত করছে। এতে সরলমনা কেউ কেউ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। জঙ্গিদের অনেকেই ‘জিহাদি’ বললেও তারা আসলে ‘সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে এই মাওলানা বলেন, ইসলাম সন্ত্রাস সমর্থন করে না। আর যারা বেহেশত পাওয়ার আশায় আত্মঘাতী হামলা করছে; বলছে, মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী, তারা কোরআন ও হাদিসের আলোকে বেহেশত পাবে না। তাদের স্থান নিশ্চিত দোজখে। এমনকি ধর্মের নামে সন্ত্রাসকারী, জঙ্গি, গুপ্ত হত্যাকারীদের জানাজার নামাজ পড়াও হারাম। আর যারা এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মারা যাবে তারাই শহীদ হবেনÑঘোষণা করেন তিনি। মওলানা মাসঊদ জানান, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার উদ্যোগে বাংলাদেশের এক লাখ এক হাজার ৫২৪ জন মুফতি, আলেম-ওলামা এই ‘ফতোয়া’য় দস্তখত করেছেন। বিভাগীয় শহরগুলোর নামে ২৬টি এবং শুধু নারী আলেমদের স্বাক্ষরে ‘ফতোয়া’র চারটি খ- তৈরি হয়েছে। সব খ-েই জঙ্গিবাদ নিয়ে মূল ফতোয়ার সঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দ, মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া, শায়খ জাকারিয়া রিসার্চ সেন্টার ও জামিয়াতুল আসআদ মাদ্রাসাসহ হেফাজতের ইসলামের নেতাদের ফতোয়াও সংযুক্ত করা হয়েছে। ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নেতৃত্বে দস্তখত সংগ্রহ কমিটিতে ছিলেন সদস্য সচিব আবদুর রহিম কাসেমী, যুগ্ম সদস্য সচিব সদরুদ্দীন মাকুনুন, সদস্য আল্লামা আলীম উদ্দীন দুর্লভপুরী, হোসাইন আহমদ, দেলোয়ার হোসাইন সাঈফী, ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, আইয়ুব আনসারী, ইবরাহিম শিলাস্থানী, আবদুল কাইয়ুম খান, যাকারিয়া নোমান ফয়জী। ফতোয়ায় ১০টি প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে ১. মহান শান্তির ধর্ম ইসলাম কি সন্ত্রাস ও আতঙ্কবাদী কর্মকা-কে সমর্থন করে? ২. নবী ও রাসূল (সা.) বিশেষ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম কি এই ধরনের হিং¯্র ও বর্বর পথ অবলম্বন করে ইসলাম কায়েম করেছেন? ৩. ইসলামে জিহাদ ও সন্ত্রাস কি একই জিনিস? ৪. সন্ত্রাস সৃষ্টির পথ কি বেহেশত লাভের পথ না জাহান্নামের পথ? ৫. আত্মঘাতী সন্ত্রাসীর মৃত্যু কি শহিদী মৃত্যু বলে গণ্য হবে? ৬. ইসলামের দৃষ্টিতে গণহত্যা কি বৈধ? ৭. শিশু, নারী, বৃদ্ধ নির্বিশেষে নির্বিচার হত্যাকা- ইসলাম কি সমর্থন করে? ৮. ইবাদতরত মানুষকে হত্যা করা কী ধরনের অপরাধ? ৯. অমুসলিমদের উপসানালয়, যথাÑগির্জা, মন্দির, প্যাগোডা ইত্যাদিতে হামলা করা কি বৈধ? ও ১০. সন্ত্রাসী ও আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইসলামের দৃষ্টিতে সকলের কর্তব্য কি না? তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, জিহাদ ও সন্ত্রাস একই জিনিস নয়। জিহাদ হলো ইসলামের অন্যতম একটা নির্দেশ, পক্ষান্তরে সন্ত্রাস হলো হারাম ও অবৈধ। চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, যারা বেহেশত লাভের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন, জাহান্নামের এই পথ ছেড়ে দিয়ে তাদের মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে শান্তি ও হেদায়েতের পথে ফিরে আসতে হবে। পঞ্চম প্রশ্নের উত্তরে ‘আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী হামলা ইসলামের দৃষ্টিতে ‘হারাম’ বলা হয়েছে। নবম প্রশ্নের উত্তরে বলা আছে, মুসলিম সমাজে বসবাসকারী অমুসলিমকে যদি কেউ হত্যা করে সে বেহেশতের গন্ধও পাবে না। অমুসলিমদের গির্জা, প্যাগোডা, মন্দির ইত্যাদি উপাসনালয়ে হামলা করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম ও অবৈধ। এটি কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংযুক্ত প্রত্যেকটি ফতোয়াতেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে হারাম বলা হয়েছেÑবলেন মওলানা মাসঊদ। জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের ‘হৃদয় বৈকল্য’ দূর করা না গেলে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে এদের দমন করা সম্ভব নয় বলে মত দেন তিনি। এই সন্ত্রাসীরা তো ধর্মের নামে আত্মদানে প্রস্তুত। তাদের চৈতন্যের বিভ্রম দূর করা দরকার সবার আগে। ইসলামের সঠিক ও বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা তুলে ধরে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষে তা করা সম্ভব। ‘ফতোয়া’র মূল অংশ পুস্তক আকারে প্রকাশ করে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে দেশের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    সূত্রঃ ইনকিলাব পত্রিকা


  • #2
    ইসলাম সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করেনা। আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে বেহেশত পাওয়া সম্ভব নয়। এমন সব ফতোয়া জারি করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করে এমন একটি ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

    তিনি এখন তার এই ফতোয়ার সমর্থনে দেশটির ইসলামী আলেমদের সাক্ষর সংগ্রহ করছেন।
    এমন সময়ে এই ফতোয়া জারির কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন মি. মাসউদ, যখন বাংলাদেশের পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে দেশটির বিভিন্ন মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত নজরদারী চালাচ্ছে।
    মূলত সপ্তাহ দুয়েক আগে বাংলাদেশের পুলিশ দেশটির ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা করে।
    এই বৈঠকের প্রেক্ষাপটেই মি. মাসউদ কিছু ফতোয়া দেবার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
    দেখা যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীর সাথে একটি বৈঠক করবার পরই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতোয়া দেবার উদ্যোগ আসছে।
    এটা করবার জন্য সরকার থেকে কি তাদের উপর কোনও চাপ দেয়া হয়েছে?
    মি. মাসউদ বলছেন, “না, কোন চাপ নেই। বরং আমরা মনে করি আলেম সমাজের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখে দেয়া সম্ভব না। একারণে আমি নিজ উদ্যোগেই এই ফতোয়া দেবার প্রস্তাব দিয়েছি”।
    মিস্টার মাসুদ জানাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য হল বিভাজন এড়াতে সারা দেশের আলেমদেরকে এই ফতোয়ার ব্যাপারে একমত করা এবং এজন্য তারা ফতোয়া ব্যাপক ভিত্তিতে প্রচারের আগে তাদের সাক্ষর নিচ্ছেন।
    মূলত এগারোটি প্রশ্নকে সামনে রেখে কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বক্তব্যের আলোকে ফতোয়াগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
    ফতোয়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি:
    • ইসলাম কখনো সন্ত্রাস সমর্থন করেনা। বরং সন্ত্রাস হিংসা হানাহানি নির্মূল করার জন্যই ইসলামের আবির্ভাব।
    • জিহাদ ও সন্ত্রাস এক জিনিস নয়। জিহাদ ইসলামের একটি অন্যতম নির্দেশ, পক্ষান্তরে সন্ত্রাস হারাম এবং অবৈধ।
    • আত্মঘাতী হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।
    • সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি হারাম হওয়ায় এটা বেহেশত পাওয়ার পথ নয়। এটা দোযখের পথ।
    • ইসলামে নিরপরাধ মানুষকে গণহারে হত্যা বৈধ নয়।
    • শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও দুর্বল-যারা যুদ্ধে শরিক নয়, তাদেরকে হত্যা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
    • যেকোনো অবস্থায় খুন করা অপরাধ। ইবাদত বা উপাসনা রত কাউকে হত্যা করা সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ।
    • অমুসলিমদের গির্জা, প্যাগোডা, মন্দির ইত্যাদি উপাসনালয়ে হামলা করা হারাম ও অবৈধ।

    ফরিদ উদ্দিন মাসউদ যদিও বলছেন, এই ফতোয়া জারির ক্ষেত্রে তারা সরকার বা পুলিশের কোন সাহায্য সহযোগিতা নিচ্ছেন না, কিন্তু এটা স্পষ্ট যে পুলিশের একটি প্রচ্ছন্ন সমর্থন তাদের একাজে রয়েছে।

    আলেম-উলামাদেরকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী প্রচারণায় অন্তর্ভুক্ত করবার প্রথম পদক্ষেপও পুলিশের তরফ থেকেই এসেছে।
    অবশ্য একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষই মনে করে মাদ্রাসাগুলোই কট্টর ধ্যানধারণা গড়ে উঠবার উর্বর লীলাভূমি।
    কিন্তু পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলছেন, “মৌলবাদী চিন্তা চেতনা একক ব্যক্তি থেকেই আসে। এটা মাদ্রাসায় পড়লেই যে হবে তা না। আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এমন মানুষদের মধ্যেও মৌলবাদী চিন্তা চেতনা আছে। তাদের অনেকেই জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত”।
    জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতে সরকার থেকেও মসজিদগুলোতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের গোয়েন্দা নজরদারীও চলছে গত দু সপ্তাহের বেশী সময় ধরে।



    ঢাকার ..... কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম .......... বলেন, পুলিশের একটি দল এরই মধ্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল তথ্য সংগ্রহ করবার জন্য।


    “তারা এসে আমাদের ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং পরিচালনা কমিটির সব সদস্যদের নাম, ফোন নম্বর, স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে”।



    মি. উল্লাহ আরো জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে তার মসজিদে সাপ্তাহিক জুম্মার নামাজের সময় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও তার নজরে পড়ছে এবং তারা এসে তার সাথে পরিচিতও হয়ে গেছে।



    দেশটির আনাচে কানাচে বহু সংখ্যক মসজিদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কেউ কেউ এর সংখ্যা আড়াই লাখ হবে বলেও উল্লেখ করেন।



    পুলিশ প্রধান মি. হক বলছেন,
    সবগুলোর তথ্যই সংগ্রহ করা হবে এবং এজন্য জনগণের সহায়তা তারা পাবেন বলে আশা করছেন।


    “পরিচালনা কমিটিগুলোতে জঙ্গিবাদ বা মৌলবাদী ধ্যানধারণা পুষ্ট কোনও ব্যক্তি আছে কি না এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমামের উপর ওই কমিটির কোনও প্রভাব আছে কি না সেগুলো আমরা দেখব”।



    এদিকে ফরিদ উদ্দিন মাসউদের অনুসারীরা জানাচ্ছেন, তারা এর মধ্যে সারা দেশে কমিটি গঠন করে অব্যহতভাবে তাদের ফতোয়ার সমর্থনে সাক্ষর সংগ্রহ করছেন।
    এরই মধ্যে দশ হাজারে বেশী সাক্ষর নেয়া হয়ে গেছে।
    তারা আশা করছেন ফেব্রুয়ারি নাগাদ তারা এক লাখ সাক্ষর গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবেন।
    তারপরই ব্যাপক ভিত্তিক প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলগুলোতে তারা ফতোয়াগুলো সরবরাহ করবেন।

    Comment


    • #3

      Comment


      • #4
        রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

        Comment

        Working...
        X