Announcement

Collapse
No announcement yet.

লক্ষাধিক আলেমদের স্বাক্ষরিত ফতোয়ার এপিঠ-ওপিঠ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • লক্ষাধিক আলেমদের স্বাক্ষরিত ফতোয়ার এপিঠ-ওপিঠ

    লক্ষাধিক আলেমদের স্বাক্ষরিত ফতোয়ার এপিঠ-ওপিঠ

    এখানে দু’টি বিষয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ...!
    ১- ইতিহাসের পাতায় উলামায়ে ছু’ ও দরবারি আলেমদের ফতোয়া। এই শিরোনামের অধীনে ইতিহাসের বিভিন্ন গণফতোয়ার আলোচনা করা হবে।।
    ২- লক্ষাধিক আলেমের ফতোয়া নিয়া একটি পর্যালোচনা। এখানে ফতোয়ার এপিঠ-ওপিঠ নিয়ে আলোচনা হবে।

    ইতিহাসের পাতায় উলামায়ে ছু’ ও দরবারি আলেমদের ফতোয়াঃ-
    ১-
    ১৮০৩ সাল। দিল্লীর মসনদের তখন মুসলিম মোঘল শাসক। ইংরেজরা আইন-কানুনের হর্তাকর্তা বনে যায়। ঠিক তখন ভারতকে ‘দারুল হারব’ ঘোষণা করে ঐতিহাসিক ফতোয়া দেন শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলভি রহঃ। এই ফতোয়ার আলোকেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের নেতৃত্বে নেমে আসেন মুহাদ্দিসে দেহলভির হাতেগড়া শিষ্য সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহ। সীমান্তে ঘাঁটি গেড়ে প্রথমে ইংরেজ প্রভাবাধীন শিখদের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করেন। কিন্তু এতে অন্তরায় হয় সীমান্তের নামে মুসলমান শাসক সুলতান মুহাম্মদ খান, সে সাইয়্যিদ সাহেবের লক্ষ্যে বাধা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে জিহাদ করেন। একপর্যায়ে সায়্যিদ সাহেবের সাথে তার সমঝোতা হয়, তখন সায়্যিদ সাহেব তাঁকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কারণ জিজ্ঞেস করেন, তখন সে জড়ানো মোচড়ানো একটি কাগজ নিজের চিঠির লেফাফা থেকে বের করে সাইয়্যিদ সাহেবের সামনে রেখে দেয়। তিনি তা খুলে একটি বড় আকারের শরী’য়তের হুকুমনামা দেখতে পান। তার উপর ভারতবর্ষের বহু উলামা ও পীরযাদাদের সীল মোহরাংকিত দস্তখত ছিল। এই কাগজে তারা এই সুলতানকে সায়্যিদ সাহেবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্ররোচিত করে। এটার পূর্ণ বিবরণ পড়তে দেখুন, ‘ঈমান যখন জাগলো/সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদবি/ আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত/ পৃঃ ১৮৫-১৮৬’

    ২-
    ১৮৫৭ সালে সমগ্র ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধ বিদ্রোহ শুরু হয়। প্রথমদিকে বিদ্রোহীদের পাল্লা ভারী থাকার পরও মাত্র চৌত্রিশ জন আলেম তখন জিহাদের ফতোয়া দেন। আর ইংরেজদের আশীর্বাদপুষ্ট বিরাট সংখ্যক উলামা তখন জিহাদের বিরোধিতা করেন। পরে এদের অনেক নিজেদের ভূল বুঝলেও একদল ইংরেজদের দালালীতেই থেকেই যান। বিস্তারিত দেখুন- ‘উলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাযী’ ৪র্থ খন্ড/ সায়্যিদ মুহাম্মদ মিয়াঁ।

    ৩- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সামান্য পূর্বে, বেদাতী মাজারী ইংরেজদের দালাল আহমদ রেজা খান বেরেলভী ‘হুসামুল হারামাইন’ নামে একটি বই লেখে। বইটিতে দেওবন্দিদের কাফির আখায়্যিত করে ফতোয়া ছিল, পরে সে এটি নিয়ে মক্কা-মদীনা শরীফে যায়। দেওবন্দিদের বিরুদ্ধে এই ফতোয়ায় সেখানকার বিশিষ্ট আলেমদের ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর আদায় করতে। তার প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে অনেক আলেম এতে স্বাক্ষরও দিয়ে দেন। তখন মদীনায় ছিলেন শায়খুল আরব ওয়াল আজম হোসাইন আহমদ মাদানী রহ। তিনি এসব আলেমদের সামনে দেওবন্দিদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে তাদের ভুল ভেঙ্গে দেন। বিস্তারিত জানতে পড়ুন, শায়খুল ইসলাম হোসাইন আহমদ মাদানী সাহেবের জীবনীগ্রন্থ ‘চেরাগে মুহাম্মদ’/ মুল-লেখক আল্লামা জাহেদ আল-হোসাইনি রাহ, অনুবাদ মাওলানা মুহী উদ্দীন খাঁন হাফিজাহুল্লাহ/ পৃঃ ৭৬-৮০

    ৪- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজরা উসমানি খেলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, এতে সমগ্র ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের দামামা বেজে ঊঠে। ইংরেজরা মুসলমানদেরকে দমাতে কিছু ইংরেজ মদদপুষ্ট আলেমদের দ্বারা একটি ফতোয়া প্রকাশ করে, এটা বিষয়বস্তু ছিলো, তুর্কিরা ইসলামের খলিফা না হওয়া এবং খেলাফতের হকদার না হওয়ার ব্যাপারে ফতোয়া লেখানো হয়। আর বার বার হযরত শায়খুল হিন্দ মাহমূদ হাসান দেওবন্দি রাহ’র সামনে দস্তখতের ও সত্যায়নের জন্যে পেশ করা হয়। কিন্তু শায়খুল হিন্দ রহ দস্তখত করতে অস্বীকৃতি জানান। আর ভরা মজলিসে তা ছুঁড়ে ফেলে তার লেখককে মন্দাচার করেন। দেখুন, আকাবিরে দেওবন্দঃ জীবন ও কর্ম, ২য় খন্ড/ পৃঃ ৪৩৪-৪৩৫।

    ৫- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শায়খুল হিন্দ রাহ হজ্ব চলে যান। একপর্যায়ে মদীনা ছাড়া বাকী এলাকা ইংরেজদের সহযোগিতায় উসমানিদের হাত থেকে শরীফ হোসাইন দখল করে নেয়। সে তার অনুগত দরবারী আলেমদের মাধ্যমে একটি ফতোয়া এই মর্মে জারী করা হয়, যে, উসমানী তুর্কিরা কাফির, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বৈধ ইত্যাদি।
    ওই ফতোয়ায় শায়খুল হিন্দ রাহ কে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্যে বলা হয়, তিনি এতে স্বাক্ষর দেন নি। ব্যস, এর কিছুদিন পর শরীফের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শরীফ তাঁকে ইংরেজদের হাওয়ালা করে দেয়, আর ইংরেজরা তাঁকে মাল্টার কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। (দেখুন- প্রাগুক্ত-পৃঃ ৪৫৫-৪৫৭)

    এবার আসুন, আমরা যদি উপরের ঘটনাসমূহে একটু গভীরভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই যে, জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে দরবারী আলেম ও উলামায়ে ছু’দের ফতোয়া নতুন নয়, অনেক পুরাতন। কিন্তু যখন এই বিভ্রান্তিকর ফতোয়ার বিরুদ্ধে হাতেগুনা কয়েকজন অবিচলতার সাথে দাঁড়িয়ে যান, তখন এ সব দালালদের ফতোয়া সমুদ্রের ফেনার মতো উড়ে যায়।

    এবার আলোচনার দ্বিতীয় দিক লক্ষাধিক আলেমদের ফতোয়া নিয়ে আলোচনা করতে চাই।

    এই ফতোয়ার মধ্যে হক-বাতিলকে একসাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। এখানে জিহাদ ও জঙ্গিবাদের সুষ্পষ্ট কোনো সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয় নি। যদিও জিহাদ ও জঙ্গিবাদকে পৃথক পৃথক বলা হয়ে হয়েছে, কিন্তু সুস্পষ্ট সংজ্ঞা উল্লেখ না করার কারণে অসম্ভব নয় এই শাহবাগে সোয়াব কামাইকারী হুজুররাও একদিন জঙ্গির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন।

    এখানে আত্মঘাতী হামলা মুজাহিদরা আরবিতে যাকে ইস্তেশহাদী, উর্দুতে ফেদায়ী আর বাংলাতে শহীদী হামলা বলেন, এটাকে হারাম বলা হয়েছে। কিন্তু এ প্রশ্নের জবাবে মারকাযুদ্দাওয়াহের বর্তমান অধ্যক্ষ, মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের বড় ভাই, মুফতি আবুল হাসান আব্দুল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর বলেছেন, ‘উপমহাদেশের প্রখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস সুবিখ্যাত হাদীস ভাষা ই'লাউসনুমানের রচয়িতা আল্লামা জাফর আহমদ উসমানী ( রহঃ ) তাঁর কিতাবে ( আহকামুল কুরআন ) বহু আয়াত, হাদীস এবং ইমামদের বক্তব্য উল্লেখ করে এ ধরনের হামলা ( মুসলমানদের উপকারের স্বার্থে আত্নঘাতী হামলা ) কে শুধু জায়েযই বলেননি বরং হামলাকারী শাহাদাতের সুউচ্চ মরতবা পাবেন এ কথাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। ( দ্রষ্টব্যঃ আহকামুল কুরআন - ১১ / ২৯০- ২৯২ )’

    এমনিভাবে মুফতি তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহ এতটুকু না বললেও, তিনি বলেছেন,
    ‘... এর দ্বারা বোঝা যায় যে, এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা যার দ্বারা মৃত্যুকে নিশ্চিত মনে করা হয়, কিন্তু ইসলামি সৈন্যের এটা আবশ্যক। তাহলে এগুলো আত্মহত্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না। বরং এটা জিহাদের অংশ, ‘ওয়াল্লাহু আ’লাম’। মাঝেমধ্যে এমন কাজ করার দরকার পড়ে এবং সালাফদের কাজ দ্বারা বোঝা যায় যে, এগুলোরও সুযোগ আছে।

    তবে এসব উদাহরণ এবং প্রচলিত আত্মঘাতী হামলার মধ্যে এই পার্থক্য যে, সেখানে প্রকৃত হামলা শত্রুদের উপর হয়, যদিও অধিক ধারণা এই হয় যে, শত্রু আমাকে মেরে ফেলবে, কিন্তু প্রচলিত আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে ধ্বংস করে অন্যকে ধ্বংস করার মাধ্যম বানানো হয়, এজন্যে বান্দাহর এসবের জায়েযের ব্যাপারে শরহে সাদর হয় নি। তবে যারা কোনো ফতোয়ার ভিত্তিতে এমনভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং এখলাসের সাথে আঞ্জাম দেন, আমি তাদের ব্যাপারে আল্লাহর রহমতের আশা রাখি।
    (ইনআমুল বারী, দুরুসে বুখারী/ শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা মুফতি তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহ/ খন্ড-৭/ পৃঃ ১০৮৬-১০৮৭)

    আমার কথার মূল উদ্দেশ্য হলো যে, এই প্রচারিত ফতোয়ায় যেভাবে আত্মঘাতী হামলাকে উনারা যেভাবে প্রচার করেছেন, স্বীকৃত মুফতিদের ফতোয়া এর ধারে কাছেও নয়।
    এ ছাড়া বাকী বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি বলবো যে, এগুলোর কথা সত্য, কিন্তু মতলব খারাপ...

    ২- বাংলাদেশে মুফতির সংখ্যা কয়জন এর সঠিক সংখ্যা না জানলেও এদের সংখ্যা যে এক লক্ষ নয় এটা নিশ্চিত, এর মধ্যে কয়জন মুফতি ওই প্রচারিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর দিয়েছেন? আমরা বিশ্বস্তসূত্রে খবর পেয়েছি যে, বিভিন্ন মাদরাসায় স্বাক্ষর করার জন্যে শুধু কাগজ পাঠানো হয়েছে, ফতোয়ার পূর্ণ বিবরণ পাঠানো হয় নি। এটা ফতোয়ার কোন উসুলের মধ্যে পড়ে? আমরা এও জানি, যে, এখানে অনেক আযোগ্য, গায়রে আলেম, তালিবে ইলম ফতোয়া দেওয়ার যোগ্যতা রাখে না এমন ব্যক্তিরও স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে কি ওই অযোগ্যকে ফতোয়া দেওয়ার বৈধতা দেওয়া হয় নি? আগামীতে যদি এই অযোগ্য ব্যক্তি ভুল ফতোয়া দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় তখন এর দায়ভার কি এই ফরীদ মাসউদ হুজুর নিবেন? যে অযোগ্যতার অভিযোগে মওদুদি সাহেব ও ডা জাকির নায়েকের ফতোয়া গ্রহণ নয়, সে অভিযোগ কেনো এদের উপর করা যাবে না?
    নিঃসন্দেহে তারা এসব অযোগ্যদের স্বাক্ষর নিয়ে একটি অমীমাংসিত ফেতনার দ্বার উন্মুক্ত করলেন...!!

    ৩- শুনেছি এই ফতোয়ায় নাকি প্রায় ৯ হাজার নারী মুফতির স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে!! বাংলাদেশে হাজার হাজার আলেমা আছেন জানি, কিন্তু কয়জন নারী মুফতি আছেন? বাংলাদেশের কোন কোন মহিলা মাদরাসায় নারীরা ফতোয়া দেন? কোন মহিলা মাদরাসায় নারীদের ফতোয়া কোর্স আছে? তাহলে এত নারী মুফতি কই পাইলেন?
    বাংলাদেশের শীর্ষ কয়েকটি মহিলা মাদরাসা সম্পর্কে আমার বেশ ভালো জ্ঞান আছে। আলহামদুলিল্লাহ আমারও দু’বোন আলেমা, আরেকজন আলেমা হওয়ার পথে, আমাদের আত্মীয়তার প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় (চাচাত, ফুফাত, খালাত, মামাত, তালতো বোন) মিলে প্রায় ৩০ জন র্ধ আলেমা আছেন। এদের মধ্যে আমাদের দু’জন তালতো বোন বুখারী শরীফও পড়ান, আছেন কয়েকজন মুহাদ্দিসাও। আলহামদুলিল্লাহ এদের প্রায়ই জিহাদি মাইন্ডেড। হয়তো একদিন এরা এদেশে হবেন পাকিস্তানের জামেয়া হাফসা উম্মে হাসসান ও হামনা আব্দুল্লাহর মানসকন্যা ইনশাআল্লাহ! তখন দেখবেন আমাদের এই আলেমা-মুহাদ্দিসা বোনদের সামনে আপনাদের এই নয় হাজার তথাকথিত নারী মুফতি বাতাসের মতো ঊড়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। তখন কেনো এখনো ঊড়ে যাবে।

    ৪- আমরা যদি গভীরভাবে তলিয়ে দেখি, তাহলে আমাদের কাছে এটা রোদ্দুর দুপুরের মতো প্রোজ্জ্বল হয়ে যাবে যে, উনারা এখানে স্বাক্ষরের নামে জালিয়াতি করে দ্বীনের একটি পরিভাষার সাথে উপহাস করেছেন।

    ৫- এই ফতোয়ার একটি ভালো দিকও আছে। যেভাবে মদ্যপানের মধ্যে অনেক খারাপ দিকের মধ্যেও কিছু ভালো দিক আছে। এই ভালো দিকটি হচ্ছে যে, একসময় এই আওয়ামী তাগুত সরকারই ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা করেছিল। একসময় ফতোয়াকে বলা হত ফতোয়াবাজি। আজ তারাই নিজেদের স্বার্থে ফতোয়াকেই জোরেশোরে প্রচার করছে। এতে জনমনে ফতোয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হবে। এক সময় হয়তো হাইকোর্টের রায়ের চেয়ে মানুষের মনে ফতোয়ার গুরুত্ব বেশি হবে। এতে মানুষ যখন পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক ফতোয়া দেখবে তখন তারা নিজেই ফতোয়ার দলীল-আদিল্লাহ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কারা রাহমানকে সন্তুষ্ট রাখার জন্যে ফতোয়া দিচ্ছেন আর কারা শয়তানকে সন্তুষ্ট রাখার জন্যে ফতোয়া দিচ্ছেন। আল্লাহ হয়তো এভাবেই ফাসিক-ফাজিরদের দ্বারা দ্বীনকে শক্তিশালী করবেন।

    পরিশেষে ফরীদ হুজুরের অনুসারী মুফতিদের বলবো যে, আপনারাতো সেই নভেম্বর থেকে প্রায়ই সাত মাস সরকারী সহযোগিতা ও প্রচারণায় মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তো আপনাদের কি এই দম আছে, যে, আপনাদের দারুল আমান আর আমাদের তাগুত সরকারকে বলবেন, যে, উনারা কি উনাদের পা চাটা কুকুরদের মাত্র তিন মাসের জন্যে গুটিয়ে রাখবেন, আর আমরা মাত্র তিন মাস নিজেদের খেয়ে প্রচারণা চালাবো, ওরা আমাদের ভাইদের ও আলেম-উলামাদেরকে কোনো রকমের হয়রানি করবে না। তাহলে দেখবেন, আপনাদের এই লক্ষ আলেমের স্বাক্ষরিত ফতোয়া আমাদের ভাইদের প্রচারণার সামনে তাসের প্রসাদের মতো নির্মমভাবে মাটিতে মিশে যাবে ইনশাআল্লাহ।
    আপনারা যদি মনে করেন, আপনারা মঙ্গলগ্রহ জয় লাভ করে ফেলেছেন, তাহলে অনলাইনে এসে দেখুন, আপনাদের অনুসারীরা কি অসহায়ভাবে আত্মসমর্থন করছে। কেউ কেউ পালিয়ে বেরাচ্ছে অনিশ্চিত আশ্রয়ের সন্ধানে।

    আপনারা এই ফতোয়া প্রচার করে হয়তো, কিছুদিন সরকারের সাথে বসে মিনারেল ওয়াটার খেয়ে ফেসিয়াল টিস্যুতে হাত মুছতে পারেন, কিন্তু যারা নিজেদের জীবনকে বাজী রেখে আমরণ জিহাদের ঘোষণা দিয়েছে, যারা আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরির হাতে আমরণ জিহাদের বাইয়াহ নিয়েছে তাদের পথচলাকে আপনারা কোনোভাবে ব্যাহত তো দূর কী বাত, মন্থরও করতে পারেন নি। আপনারা একলক্ষ কেনো? সারাবিশ্বের পাঁচ লক্ষ – দশ লক্ষ উলামায়ে সালাতীন ও দরবারী মোল্লাদের স্বাক্ষর নিলেও তারা তাদের পথ থেকে একটু বিচ্যুত হবে না ইনশাআল্লাহ। বরং তাদের মুখ থেকে উচ্চারিত হবে কুরআনের সে বাণী-
    'তাদেরকে যখন বলা হয়, যে তোমাদের বিরুদ্ধে মানুষ একাট্টা হয়েছে, তোমরা তাদেরকে ভয় পাও, এতে তাদের ঈমান বেড়ে যায়, এবং তারা বলে, আল্লাহ আমাদের জন্যে যথেষ্ট...!! আমাদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি উত্তম অভিভাবক!'

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই, খুবই সুন্দর লিখেছেন।
    আল্লাহ আপনার লেখনীতে বরকত দান করুন।

    Comment


    • #3
      جزاك الله تعالى وأجزل لك عطاءه

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ভাই, খুবই সুন্দর লিখেছেন...

        Comment


        • #5
          মাশাল্ললাহ।
          বারাকাল্লাহু ফিক।

          Comment


          • #6
            আপনারা যদি মনে করেন, আপনারা মঙ্গলগ্রহ জয় লাভ করে ফেলেছেন, তাহলে অনলাইনে এসে দেখুন, আপনাদের অনুসারীরা কি অসহায়ভাবে আত্মসমর্থন করছে। কেউ কেউ পালিয়ে বেরাচ্ছে অনিশ্চিত আশ্রয়ের সন্ধানে।

            আপনারা এই ফতোয়া প্রচার করে হয়তো, কিছুদিন সরকারের সাথে বসে মিনারেল ওয়াটার খেয়ে ফেসিয়াল টিস্যুতে হাত মুছতে পারেন, কিন্তু যারা নিজেদের জীবনকে বাজী রেখে আমরণ জিহাদের ঘোষণা দিয়েছে, যারা আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরির হাতে আমরণ জিহাদের বাইয়াহ নিয়েছে তাদের পথচলাকে আপনারা কোনোভাবে ব্যাহত তো দূর কী বাত, মন্থরও করতে পারেন নি। আপনারা একলক্ষ কেনো? সারাবিশ্বের পাঁচ লক্ষ – দশ লক্ষ উলামায়ে সালাতীন ও দরবারী মোল্লাদের স্বাক্ষর নিলেও তারা তাদের পথ থেকে একটু বিচ্যুত হবে না ইনশাআল্লাহ। বরং তাদের মুখ থেকে উচ্চারিত হবে কুরআনের সে বাণী-
            'তাদেরকে যখন বলা হয়, যে তোমাদের বিরুদ্ধে মানুষ একাট্টা হয়েছে, তোমরা তাদেরকে ভয় পাও, এতে তাদের ঈমান বেড়ে যায়, এবং তারা বলে, আল্লাহ আমাদের জন্যে যথেষ্ট...!! আমাদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি উত্তম অভিভাবক!'
            বারাকাল্লাহু ফিক। চমৎকার জবাব।
            আল্লাহ তায়ালা আপনার কলমকে আরো ধারালো করে দিন। এভাবে কলমের জিহাদ জারি রাখেন ভাই। তবে ব্যাক্তিগত ইনফরমেশন না আসলেই ভাল হবে নিরাপত্তার দিক থেকে।

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ! বারকাল্লাহু ফি হায়াতিক। -আমিন!

              Comment

              Working...
              X