Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের মিথ্যাবাদিতা ও ধোঁকাবাজি।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের মিথ্যাবাদিতা ও ধোঁকাবাজি।

    ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের মিথ্যাবাদিতা ও ধোঁকাবাজি।

    ফতোয়া দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র মুফতী সাহেবদের। এটা শরিয়াহর স্বীকৃত একটি নিয়ম। এমন কি হাজার হাজার হাদীস মুখস্থ আছে,এমন মুহাদ্দিসের জন্যও ফতোয়া দেয়ার সুযোগ নেই, যদি না তিনি ইজতিহাদ ও ফিকহ বুঝার যোগ্যতা না রাখেন।
    সাধারণ আলেমরা তো ফতোয়া দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।

    ফরিদুদ্দিন মাছুদ সাহেব নামের যে পথভ্রষ্ট শাহবাগী আলেম, এক লক্ষ মুফতি আলেম উলামা ও মুফতি সাহেবদের সাক্ষর সংগ্রহের ঘোষনা দিচ্ছেন, তার দেয়া এই শিরোনামের মধ্যেই ধোঁকাবাজি ও মিথ্যায় ভরপুর ।

    প্রথমতঃ বাংলাদেশে একলক্ষ মুফতি নেই। একটা পরিসংখ্যান দেই, বুঝতে পারবেন। “দারুল ইফতা” বা ফ্যাকাল্টি অব ইসলামিক জুরিসপন্ডেন্স মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ এডুক্যাশনাল ডিগ্রি বলা যায়। এই বিভাগে পড়তে হলে ছাত্রকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রখর মেধাবী হতে হয়। এমন ইফতা বিভাগআছে এমন মাদরাসার সংখ্যা বাংলাদেশে হাতেগোনা।

    দেশের সবচেয়ে বেশি মাদরাসা সম্পন্ন এলাকা ঢাকা বিভাগে সবমিলিয়ে পঞ্চাশ থেকে ষাটটি মাদরাসায় ইফতা বিভাগ চালু আছে। এর মধ্যেপ্রায় বিশটির মত মাদরাসায় এমন ইফতা বিভাগ আছে, যাদের (ইফতা বিভাগে) ছাত্র সংখ্যা পঞ্চাশ বা ততোধিক । কিন্তু বাদবাকি ইফতা বিভাগগুলো ছাত্রসংখ্যা পাঁচজন থেকে শুরু করে পনর-বিশ জনের মধ্যেই। কারন ইফতা বিভাগে ভর্তি হতে হলে কঠিন এক্সামের মুখোমুখি হতে হয়। অধিকাংশই ভর্তি পরিক্ষায় বাদ পড়ে ভর্তি হতে পারেনা। এ গেলো ঢাকা বিভাগের কথা। এরপর সবচেয়ে বেশি মাদরাসা সিলেট ও চটগ্রাম বিভাগে। তন্মধ্যে আমার জানা মতে সিলেট জেলায় ইফতা বিভাগ আছে মাত্র তিনটি মাদরাসায় । যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেই, সব ইফতা বিভাগ মিলে গড়ে বছরে এক হাজার করে মুফতি তাদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন, তাহলেও স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মুফতি সাহেবদের সংখ্যা পয়তাল্লিশ হাজার। এখানে সে সব মুফতি সাহেবদের কথা আর উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করলাম না, যারা স্বাধীনতার পর ইন্তেকাল করেছেন, কিংবা এই ফতোয়ায় সাক্ষর করেননি।

    সুতরাং ফড়িদুদ্দিন মাছুদ আল শাহবাগী যে দাবী করছেন, তিনি এক লক্ষ মুফতির সাক্ষর সংগ্রহ করেছেন, তার এই দাবী মিথ্যা। বাংলাদেশে এত পরিমান মুফতি সাহেব নেই। মুফতি ছাড়া যাদের থেকে ফতোয়ার সাক্ষর নিয়েছেন, এটা নিকৃষ্টতম একটা ধোঁকাবাজি ও ঠকবাজি হয়েছে। কারনঃ যাদের ফতোয়ার দেয়ার যোগ্যতা নেই তাদেরকে ভুলভাল বুঝিয়ে সাক্ষর সংগ্রহ করে “ফতোয়া” বলে প্রচার করা চরম নিকৃষ্ট ছোটলোকী হয়েছে । এছাড়া সাক্ষরদাতা অনেকেই বলছেন, আমাদেরকে বলাই হয়নি, এটা একটি ফতোয়া।

    এত বড় একটা মিথ্যা বলে, ধোঁকাবাজি করে উলামায়ে দেওবন্দের মুখে চুনকালি মেখে দিলেন শাহবাগী ফরিদুদ্দিন মাসুদ। আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিন, অন্যথায় দুনিয়ায় বেইজ্জতের মউত দিন যাতে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দেখে নেয়, বিশ্বাসঘাতরা। আর আখেরাতের শাস্তি আল্লাহর হাতেই।
    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

  • #2
    http://www.rtnews24.com/religion/isl...7%87%E0%A6%B0/
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      ইয়া আল্লাহ! হিদায়াত নছীব কর প্রতিকারের সুযোগ দাও, নতুবা এমন দৃ্ষ্টান্তমূলক বিচার করো যেন জিহাদ বিরোধিতার পরিনতি মুসলমানদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়, কোন মুসলমান যেন এমুন দুঃসাহস আর না দেখায়।

      Comment


      • #4
        এই সমস্ত আলেমদের উচিত শিক্ষা দে্ওয়া দুরকার

        Comment


        • #5
          যাযাকাল্লা

          Comment


          • #6
            যাযাকাল্লা

            Comment


            • #7
              যাজাকাল্লাহ
              হে ওলামায়ে কেরাম আমরা আপনাদের সন্তান
              AQIS

              Comment

              Working...
              X