Announcement

Collapse
No announcement yet.

‘‘উত্তম প্রতিদান’’

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ‘‘উত্তম প্রতিদান’’

    আসুন না আমরাও চেষ্টা করি ।
    হযরত আবু দারদা রাযি. যিনি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এক প্রিয় সাহাবী । দীনের জন্য সদা ব্যাকুল এক মাহানুভব । প্রিয় রাসুলের খেদমত করা , তার সান্নিধ্যে থাকা এবং দীনের যে কোন প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেয়া নিবেদিতপ্রাণ এক সাহাবী । হ্যাঁ , এই সাহাবীর একটি ঘটনাই বলছি তোমাদের ।

    তখন ইসলামের প্রাথমিক যুগ । আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দিন অতিবাহিত হচ্ছে । একে তো আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই , উপরন্ত ইসলাম গ্রহণ করার কারণে পরিবার ও সমাজ থেকে সীমাহীন বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা ও অসহযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন । ফলে কখনো খেয়ে কখনো বা না খেয়ে সাহাবীদের দিন অতিবাহিত হচ্ছে । কিন্তু তা সত্ত্বেও সাহাবায়ে কিরামগণ দিন ও ইসলামের উপর অটল ও অবিচল থাকেন । মজবুতির সাথে আঁকড়ে রাখেন নিজেদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসমূহকে ।

    এমনই এক সময়ে মহান আল্লাহ্* তা’আলা মুসলমানদেরকে তাঁর পথে মুক্ত হস্তে , স্বচ্ছ হৃদয়ে দান করতে আহ্বান জানালেন । পবিত্র কুরআনে তাঁর পথে দান করাকে তাঁকেই ঋণ দেয়া বলে উল্লেখ করে ঘষোণা করলেন ,
    من ذا الذي يقرض الله قرضا حسنا فيضا عفه له اضعافا كثيرة والله يقبض و يبسط و اليه ترجعون
    অর্থ, এমন কে আছে ! যে আল্লাহকে ঋণ দেবে উত্তম ঋণ ? তারপর আল্লাহ্* তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন । আল্লাহ্*ই সংকুচিত করেন এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই নিকট তোমরা সকলে প্রত্যাবর্তন করবে । (সূরা বাকারা , আয়াতঃ ২৪৫)
    মহানবী সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা সাহাবীদেরকে পাঠ করে শুনালেন তখন তখন এই আয়াত শুনে হযরত আবু দারদা রাযিঃ প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ,
    ‘ হে আল্লাহ্*র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমার মাতা পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক ! আল্লহ তা’য়ালা কি আমাদের নিকট ঋণ চাচ্ছেন ? তাঁর তো ঋণের কোন প্রয়োজন নেই ? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন ,
    আল্লাহ্* তা’য়ালা এর বদলে তোমাদেরকে বেহেশতে প্রবেশ করাতে চাচ্ছেন । (অর্থাৎ আল্লাহ্* চান তোমরা তার পথে দান করো আর এর উসিলাই তিনি তোমাদেরকে জান্নাতে দান করবেন )
    একথা শুনে হযরত আবু দারদা রাযিঃ বললেন ,
    হে আল্লাহ্*র রাসুল হাত বাড়ান । রাসুল হাত বাড়ালেন । হযরত আবু দারদা রাযিঃ বলতে লাগলেন ,
    আমি আমার দুটি বাগানই আল্লাহকে ঋণ দিলাম ।
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন , একটি আল্লাহ্*র পথে ওয়াকফ করে দাও এবং অপরটি নিজের পরিবারের ভরন-পোষণের জন্য রেখে দাও ।
    হযরত আবু দারদা রাযিঃ বললেন ,
    আপনি সাক্ষ্য থাকুন , এ দুটি বাগানের মধ্য যেটি উত্তম , যাতে খেজুরের ৬০০ ফলন্ত বৃক্ষ রয়েছে , সেটি আমি আল্লাহ্*র রাস্তায় ওয়াকফ করে দিলাম । রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন ,
    এর বদলে আল্লাহ্* তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন ।
    (তথ্যসূত্র , তাফসীরে মা’আরেফুল কুরআন )
    এই ছিল সাহাবীদের অবস্থা , তারা তাদের জীবনের সবচেয়ে পছন্দের জিনিস আল্লাহ্*র রাস্তায় দান করে দিতেন । আমরাও কি পারিনা এভাবে দান করতে ? যা আমাদের পছন্দের ? যা আমরা অনেক বেশি ভালবাসি ???
    আল্লাহ্* তা’য়ালা আমাদের তৌফিক দান করুক ।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ!

    Comment

    Working...
    X