Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেনো আল কায়েদা-তালেবান ইসরাইল হামলা করছে না...???

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেনো আল কায়েদা-তালেবান ইসরাইল হামলা করছে না...???

    কেনো আল কায়েদা-তালেবান ইসরাইল হামলা করছে না...???
    .
    .
    .
    একটি প্রশ্ন বার বার করা হয় যে, কেনো তালেবান-আলকায়দা ইসরাইল হামলা করে না?
    ইনশা-আল্লাহ কুরআন-সুন্নাহ- ও ইতিহাস-বাস্তবতার আলোকে এর জবাব দিবো।

    .

    [SIZE=3]কুরআন করীম থেকেঃ [/SIZE]
    আল্লাহ তাআলা বলেন,
    হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফিরদের যাদেরকে নিকটে পাও তাদের সাথে লড়াই করো। [সুরা তাওবাহ- ১২৩]
    দেখুন, এই আয়াতে নিকটবর্তী কাফিরদের সাথে লড়াই করার কথা বলা হয়েছে। আপনি যদি এই দৃষ্টিকোণে তালেবান-আলকায়েদার উপর চোখ রাখেন, তাহলে দেখবেন, তারা তাদের নিকটবর্তী কাফিরের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আফগানে আমেরিকার নেতৃত্বে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে। সিরিয়ায় বাশার-ইরানি রাফিজি, রাশিয়া-আমেরিকার বিরুদ্ধে। সোমালিয়ায় কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে। মালিতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। এভাবে প্রতিটি জায়গায় নিকটবর্তী কাফিরের বিরুদ্ধে জিহাদ করে যাচ্ছে। মনে রাখুন, আলকায়েদা একটি সংগঠন, রাষ্ট্র নয়। তাই সংগঠন যেভাবে বিস্তার লাভ করে, আলকায়েদা সেভাবে বিস্তার লাভ করে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
    .

    সুন্নাহ থেকেঃ

    ইসলামের প্রথমযুগে মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিতহয়েছেন মক্কায়। যার কারণে মুসলমানদের সবাই মদীনায় হিজরত করেন। মদীনায় গিয়েই রাসুল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করেন। তখনো মক্কায় কিছু দুর্বল মুসলমান ছিলেন।
    এরপরে রাসুল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধারাবাহিকভাবে ছোট ছোট গোত্র যেমন-বনু কুরাইজা, বনু নজীর, বনু কায়নুকা এবং খাইবার অবশেষে একপর্যায়ে হিজরতের ৮ম বছরে মক্কা জয় করেন।
    এক্ষেত্রে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, যে, যেহেতু তখন মক্কার কাফেররাই ছিলো ইসলামের ঘোর দুশমন, তাহলে কেনো প্রথমে মক্কায় হামলা করলেন না? তা জয় করলেন না?
    যে কারণে মক্কায় তখন হামলা করা হয় নি, বর্তমানে ঠিক একই কারণে ইসরাইল-আমেরিকায় হামলা করা যাচ্ছে না। তবে তাদের মধ্যে যাদেরকেই নিকটে পাওয়া যাচ্ছে তাদের উপরই হামলা করা হচ্ছে।
    .

    ইতিহাসে পাতা থেকেঃ

    সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবি রাহ যখন বায়তুল মুকাদ্দস উদ্ধারের জন্যে জিহাদ শুরু করেন। তখন তার উদ্ধারের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয় তখনকার শীয়া, মুনাফিক ও দালাল শাসকরা। তিনি প্রথমে এই দালাল শাসকদের মূলোৎপাটন করে মিসর-সিরিয়াকে এক করেছেন, অত:পর বায়তুল-মুকাদ্দস উদ্ধার করেছেন। ঠিক তদ্রুপ বায়তুল মুকাদ্দস উদ্ধারের প্রথম বাধা এই দালাল. মুনাফিক ও শীয়া শাসকগোষ্ঠী বাশার-সিসিগং। এদেরকে পরাজিত করা ব্যতীত বায়তুল মুকাদ্দস উদ্ধার করা কঠিন।

    ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জিহাদের ফতোয়া দেন শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলভি রাহ’। ১৮০৩ সালে। তখন জিহাদের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রাহ’র নেতৃত্বে একটি মুজাহিদবাহিনী বের হয়। ১৮২৪ সালে। এরা প্রথমে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন কারণে ঘাঁটি গাড়েন। পরে সেখান থেকেই জিহাদের সূচনা করেন। এক্ষেত্রে প্রথমে তাদের বাধা হয়, শিখ ও মুসলিম নামধারী দালালরা। তিনি প্রথমে এদের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করেন, একপর্যায়ে শহীদ হন। কিন্তু ইংরেজদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো যুদ্ধে শরীক হওয়ার সুযোগ হয় নি।
    ঠিক এভাবে যখন শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ, ১৯৯৮ সালে আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন তখন এই দালাল নামধারী মুসলিম শাসকরা প্রথমে বাধা হয়, এরাই আমেরিকার স্বার্থে মুজাহিদদের বাধা দেয়। এজন্যে মুজাহিদরা তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে বাধ্য হন।
    আশা করি এতটুকু আলোচনার পর আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
    .

    এখন আমি দেখাতে চাচ্ছি, যে, তালেবান-আলকায়েদার এখন পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে কী কী করেছে:

    শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ যখন আফগানিস্তানে হিজরত করেন, তখন এই মহান মুজাহিদের সম্মানে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানে আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমর রাহ এর উপস্থিতিতে একটি গার্ড অফ অনারের ব্যবস্থা করা হয়, ওই সময় মোল্লা উমর রাহ বলেন,
    'আমাদের লক্ষ্য শুধু আফগানিস্তান নয়, বরং চেচনিয়া, আরাকান. কাশ্মীর ও ফিলিস্তিন আমাদের গন্তব্য’

    শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ বলেন, ''আমাদের ফিলিস্তিনের ভায়েরা! নিশ্চয় তোমাদের রক্তই আমাদের রক্ত, তোমাদের সন্তানেরাই আমাদের সন্তান। আমরা তোমাদেরকে কখনোই অপদস্থ হতে দেব না। হয় তো বিজয় আসবে, নয় তো আমরা ওই শাহাদাত গ্রহণ করবো যা হযরত হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব গ্রহণ করেছেন।''

    আফগানিস্তানে ক্রুসেডারদের হামলার পর তিনি বলেন, 'কসম ওই আল্লাহর! যিনি আকাশকে খুটিবিহীন দাড় করিয়েছেন। আমেরিকা এবং সেখানে বসবাসরতরা ততদিন পর্যন্ত শান্তিতে থাকতে পারবে না, যতদিন না আমরা ফিলিস্তীনে শান্তিতে থাকতে পারবো!
    আর যতদিন না সমস্ত কাফিররা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভুমি থেকে বের হবে।'


    আলকায়েদার বর্তমান প্রধান শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ ফিলিস্তিনকে নিয়ে অনেক বার্তা দিয়েছেন, এরমধ্যে একটি বার্তার শিরোনাম হচ্ছে, ‘ফিলিস্তিন আমাদের এবং প্রতিটি মুসলমাদের ইস্যু’।

    একথা সবারই জানা যে যাযাবর ইয়াহুদিদের কলোনি ইসরাইল হচ্ছে আমেরিকা নামক পাখিরই একটি ডানা,
    সুতরাং পাখি মরে গেলে ডানা তো এম্নিতেই নাই হয়ে যাবে!!!
    .

    এবার ফিলিস্তিনকে আলকায়েদার কার্যকর কিছু পদক্ষেপের কথা বলছি।




    এখন কিছু জিহাদিগ্রুপের কথা উল্লেখ করবো যারা বিভিন্ন সময় ইসরাইল হামলা করে।
    ১- গাজায় আল কায়েদার একটি শাখা আছে, যার নাম হচ্ছে নাসির সালাহুদ্দীন ব্রিগেড। যারা এখনো প্রকাশ্যে বিভিন্ন
    কারণে আল কায়েদার হাতে বাইয়াহ দেয় নি। তবে আল কায়েদার মানহাজ অনুসরন করে। যেমন - তাদের পতাকা কালো,
    তারা নিজেদের প্রয়োজিত ভিডিও তে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে না। গাজায় ইসরাইলের সর্বশেষ হামলার তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অপারেশন চালিয়েছে।

    ২- লেবাননে আল কায়েদার অনুসারী হচ্ছে আব্দুল্লাহ আযযাম ব্রিগেড। যারা বিভিন্ন সময় ইসরাইলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট ছুড়েছে।
    ৩-মিসরে হচ্ছে আন্সারুল বায়তিল মাকদিস। তারা বেশ কয়েকবার ইসরাইলের গ্যাসলাইনে আগুন ধরিয়েছে। এ ছাড়াও তারা বিভিন্ন সময় ইসরাইলে হামলা করে।

    ৪- সিরিয়ায় আছে জাবহাতুন নুসরা। এরাতো এখন আমেরিকা-রাশিয়া-বাশারের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আমীর বারবার বলেছেন, তাদের লক্ষ্য ফিলিস্তিন।
    .

    এবার ইনবক্সে এক ভায়ের বার্তা দিয়ে লেখাটি শেষ করছি, ওই ভাই পাঠিয়েছেন-
    ‘উইকিপিডিয়ার একটি পেইজ আছে। যার টাইটেল দেওয়া "list of islamist terrorist attacks" (তাদের কাছে যা টেরোরিস্ট এটাক মনে হয় আর কি!) উইকিতে ঢুকে এই শিরোনামে সার্চ করলেই হলো। এই পেইজে ১৯৮০ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দুনিয়ার যে কোন প্রান্তে মুজাহিদরা দুশমনের উপর যত হামলা করেছে তার সবই বা অধিকাংশ লিপিবদ্ধ করা। আপনি শুধু একবার সেখানে চোখ বুলান। ওয়াল্লাহি! আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে! যত ধরনের ছোট বড় হামলা হয়েছে তার বেশিরভাগ, হ্যাঁ বেশিরভাগ হয়েছে ইসরায়েলে!! আমি যখন তালিকাটা দেখছিলাম তখন অনেকবার এমনও হয়েছে যে পরপর কয়েকবার ইসরায়েলের পতাকা দেখেছি। আমাদের ভাইয়েরা ইসলামের দুশমনের বিরুদ্ধে সবসময় হামলা করে যাচ্ছেন। তবে আমরা কেন জানতে পারি না এসব? ইসরায়েলের ভিতরে এত অভিযানের কথা কেন আমরা মিডিয়ায় কখনো দেখি না? হতে পারে তারা এসব প্রচারে উৎসাহী নয়, কারণ এসব প্রকাশ পেলে তাদের ফাটা ইজ্জত আবার ফুটা হয়ে যাবে। হতে পারে এসব মিডিয়ায় কিছু কিছু আসে, আমরাই আলসেমিতে থাকার কারণে খেয়াল করি নি। . তবে যাই হোক। ইহুদিদের উপর কখনো হামলা করা হয় না এমন অভিযোগ পুরোপুরি অবান্তর তা আমরা নিজে জানার পর অন্যকে জানাতে পারি’।
    ওই ভাইয়ের কথা এখানেই শেষ...!
    .
    এগুলো তো সবেমাত্র শুরু। আসল তো এখনো বাকী!!

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তাআলা বলেন
      , ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফিরদের যাদেরকে নিকটে পাও তাদের সাথে লড়াই করো। [সুরা তাওবাহ- ১২৩]

      দেখুন, এই আয়াতে নিকটবর্তী কাফিরদের সাথে লড়াই করার কথা বলা হয়েছে। আপনি যদি এই দৃষ্টিকোণে তালেবান-আলকায়েদার উপর চোখ রাখেন, তাহলে দেখবেন, তারা তাদের নিকটবর্তী কাফিরের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আফগানে আমেরিকার নেতৃত্বে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে। সিরিয়ায় বাশার-ইরানি রাফিজি, রাশিয়া-আমেরিকার বিরুদ্ধে। সোমালিয়ায় কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে। মালিতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। এভাবে প্রতিটি জায়গায় নিকটবর্তী কাফিরের বিরুদ্ধে জিহাদ করে যাচ্ছে। মনে রাখুন, আলকায়েদা একটি সংগঠন, রাষ্ট্র নয়। তাই সংগঠন যেভাবে বিস্তার লাভ করে, আলকায়েদা সেভাবে বিস্তার লাভ করে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
      রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

      Comment


      • #4
        jazakallah khairan

        Comment

        Working...
        X