Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফেরদের সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা করা কিভাবে জায়েজ হবে-শাইখুল হাদীস আবু ইমরান (হাফি&

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফেরদের সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা করা কিভাবে জায়েজ হবে-শাইখুল হাদীস আবু ইমরান (হাফি&


  • #2
    একটা প্রশ্ন

    মডারেটর ভাইদের প্রতি অনুরোধ, আমার এই কমেন্ট আটকে রাখবেন না। তাহলে ইলম গোপন করার কারণে আল্লাহর দরবারে হিসাব দিতে হবে।

    ইবনে কুদামাহ রহঃ তার "আল-মুগনী" কিতাবে (৯/৩১৩ মাকতাবায়ে শামেলাহ অনুযায়ী) বলেন,

    [فَصْلٌ قِتَال الْحَرَّاثُ فِي الْمَعْرَكَة]
    (7617) فَصْلٌ
    فَأَمَّا الْفَلَّاحُ الَّذِي لَا يُقَاتِلُ، فَيَنْبَغِي أَنْ لَا يُقْتَلَ، لِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أَنَّهُ قَالَ: اتَّقُوا اللَّهَ فِي الْفَلَّاحِينَ، الَّذِينَ لَا يَنْصِبُونَ لَكُمْ الْحَرْبَ وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ لَا يُقْتَلُ الْحَرَّاثُ، إذَا عُلِمَ أَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْمُقَاتِلَةِ، وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يُقْتَلُ، إلَّا أَنْ يُؤَدِّيَ الْجِزْيَةَ، لِدُخُولِهِ فِي عُمُومِ الْمُشْرِكِينَ، وَلَنَا قَوْلُ عُمَرَ وَأَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَمْ يَقْتُلُوهُمْ حِينَ فَتَحُوا الْبِلَادَ، وَلِأَنَّهُمْ لَا يُقَاتِلُونَ، فَأَشْبَهُوا الشُّيُوخَ وَالرُّهْبَانَ.

    অধ্যায়ঃ যুদ্ধক্ষেত্রে কৃষকদের হত্যা সম্পর্কে...
    (অধ্যায় ৭৬১৭)
    যে সমস্ত কৃষক যুদ্ধ করে না, তাদের হত্যা না করা উচিৎ। যেহেতু উমার ইবনে খাত্তাব রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, "যুদ্ধের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কৃষকদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর।" [সুনানে বায়হাকী ৯/৯১] আওযা'ঈ রহঃ বলেন, কৃষকদের হত্যা করা হবে না, যেহেতু জানা কথা তারা যোদ্ধা নয়। তবে শাফে'ঈ রহঃ বলেন, "যদি তারা জিযিয়া না দেয় তবে হত্যা করা হবে, যেহেতু তারা সাধারণ মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত।" তবে আমাদের মতের পক্ষে উমার রাঃ বক্তব্য রয়েছে। তাছাড়া রাসুল সাঃ এর সাহাবীরা শহর বিজয় করার পর তাদের (কৃষকদের) হত্যা করতেন না, যেহেতু তারা (কৃষকরা) যুদ্ধ করে না। ফলে তারা বৃদ্ধ এবং দুনিয়াত্যাগী পুরোহিতদের মতই হল (যাদেরকে হত্যা করা হয় না।)

    .
    সেই যুগের কৃষকদের উপর কিয়াস করে তো এ কথা বলা যেতেই পারে, বর্তমানে কুফফারদের সিভিলিয়ান সাধারণ নাগরিকদের হত্যা না-জায়েয, যেহেতু তারা যুদ্ধের সাথে জড়িত নয়। তাই "লোন-ওলফ এটাক" কীভাবে বৈধ হতে পারে?

    Comment


    • #3
      আমার পূর্বের কমেন্ট পাবলিশ করায় মডারেটর ভাইদের দিল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
      .
      হুজুর! আপনি পূর্বে যেই ফতোয়া দিয়েছিলেন, সেটার সাথে পূর্বের কমেন্টে উমার ফারুক, উমার বিন আব্দুল আযীয, আওযায়ী, ইবনে কুদামা'র বক্তব্য কীভাবে মেলাবেন?
      .
      আপনার পূর্বের ফতোয়াঃ

      https://dawahilallah.in/showthread.p...%83%29&p=12744
      .
      তাছাড়া হানাফী ফকীহ সারাখসী রহঃ বলেছেন,
      لِأَنَّ الْآدَمِيَّ فِي الْأَصْلِ مَحْقُونُ الدَّمِ وَالْإِبَاحَةُ بِعَارِضِ الْقِتَالِ فَإِذَا زَالَ ذَلِكَ بِعَقْدِ الذِّمَّةِ عَادَ الْحَقْنُ الْأَصْلِيُّ
      প্রকৃতপক্ষে একজন আদম সন্তানের রক্ত ঝারানো নিষিদ্ধ। কিন্তু যদি সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, তবেই তার রক্ত ঝরানোর অনুমতি (মুবাহ) আছে। কিন্তু যদি যিম্মির চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের অবস্থা সমাপ্ত হয়, তবে তার রক্তের মৌলিক নিরাপত্তা পুনরায় ফিরে আসে।
      [আল মাবসুত ১০/৮১ মাকতাবায়ে শামেলা অনুযায়ী]
      .
      ইবনে তায়মিয়্যাহ রহঃ বলেছেন,
      فإن الأصل أن دم الآدمي معصوم لا يقتل إلا بالحق وليس القتل للكفر
      মূল নিয়ম হচ্ছেঃ একজন আদম সন্তানের রক্ত নিরাপত্তাপ্রাপ্ত (মা'সুম)। কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা যাবে না এবং তার কুফরের কারণেও তাকে হত্যা করা হয় না।
      [আস সারিমুল মাসলুল 'আলা শাতিমির রাসুল, পৃ. ১০৪ মাকতাবায়ে শামেলা অনুযায়ী]
      .
      হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত হিদায়াহ কিতাবে হানাফী মাযহাবের অবস্থান বর্ণনা করেন,
      ولا يتحقق منهم ولا يقتلوا امرأة ولا صبيا ولا شيخا فانيا ولا مقعدا ولا أعمى " لأن المبيح للقتل عندنا هو الحراب
      নারী, শিশু, অতিবৃদ্ধ, পঙ্গু, অন্ধদের হত্যা করা যাবে না, কারণ আমাদের মাযহাব অনুযায়ী হত্যার অনুমোদন দানকারী হচ্ছে যুদ্ধ যা তাদের কাছ থেকে সাব্যস্ত হয় না।
      [হিদায়াহ ২/৩৮০ মাকতাবায়ে শামেলা অনুযায়ী]
      .
      তো হানাফী মাযহাব অনুযায়ীও [ইমাম সারাখসী ও হিদায়াহ কিতাবের ভাষ্য] তো একথা বলা যায়, যেহেতু হারবী কাফির দেশের সিভিলিয়ানরা যুদ্ধে অংশ নেয় না, তাই তাদের হত্যা করা হারাম।
      .
      বিইযনিল্লাহ, দয়া করে একটি চিত্ত প্রশান্ত কারী জবাব দিবেন। কারণ মাওলানা আসেম উমার তার বিগত বিবৃতিতে আমাদের সাবধান করেছেন "শরীয়তের বাইরে গিয়ে যে যুদ্ধ হয়, সেটা জিহাদ নয় ফাসাদ।"

      Comment


      • #4
        সম্মানিত শায়খ!

        আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেনঃ

        فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ


        "সুতরাং যে [একবচন] তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তোমরা তার [একবচন] উপরেও সেই পরিমানে সীমালঙ্ঘন কর, যেই পরিমানে তারা তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে।"

        [সুরা বাকারাঃ ১৯৪]

        এই আয়াত দিয়ে অনেকে প্রমান করতে চায় যে, শরীয়তে কাফিরদের নারী-শিশু হত্যা করা না-জায়েয হলেও তারা যেহেতু আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে, তাহলে আমরা তাদের নারী-শিশু হত্যা করব। অথচ এই আয়াতে এই আয়াতে একবচন ব্যবহার করে বলা হয়েছে যেই ব্যাক্তি সীমালঙ্ঘন করবে, তার উপরে সীমালঙ্ঘন কর। কিন্তু যে সীমালঙ্ঘন করে নি, তার উপরে সীমালঙ্ঘন করার কথা তো আয়াতে নেই।

        তাছাড়া, আল্লাহ কুরআনে বলেছেনঃ

        وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى

        "কোন দায়ভার বহনকারী অপরের দায়ভার বহন করবে না।"
        [সুরা আন'আমঃ ১৬৪]

        এই আয়াত থেকেও কি এটা প্রমাণিত হয় না যে একের সীমালঙ্ঘনের কারণে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন করা না-জায়েয??

        আমরা মুসলিম উম্মাহ কাফের দ্বারা আক্রান্ত, নিপীড়িত, নির্যাতিত। কাফেররা আমাদের কোটি কোটি নারী-শিশু-পুরুষ হত্যা করেছে। কিন্তু এর পেছনে তো তাদের দেশের নেতৃবর্গ এবং সামরিক বাহিনী রয়েছে, সাধারণ নাগরিক যারা দিনে এনে, দিনে খায় তাদের তো এখানে হাত নেই। তবে কেন আমরা একের দোষে অন্যকে শাস্তি দিব? গুলশান হত্যাকান্ডে ৭-৮ জন নারী হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু শরীয়তের কোন বিধানে এটা জায়েয হতে পারে?

        দয়া করে উত্তর দিয়ে আমাদের অন্তর ঠান্ডা করবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হউন।

        Comment


        • #5
          মূল পোষ্টে কিছু নেই??

          Comment


          • #6
            ভাই আঞ্জেম চৌধুরী আপনার কি আরও কিছু দলিল আছে?? থাকলে সেগুলো আগে দিন। তারপর আমি পুরো দলিল দিবো ইংশা আল্লাহ।
            "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
            বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

            Comment


            • #7
              সর্বশেষ দলীল

              উল্লিখিত আয়াতে কারীমায় বলা হয়েছে:

              فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُواْ عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ
              "যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তার উপর তোমরা সীমালঙ্ঘন করো সেই পরিমানে সে সীমালঙ্ঘন করেছে।." [সুরা বাকারাঃ ১৯৪].

              সুতরাং যে সীমালঙ্ঘন করেছে, তার উপরেই সীমালঙ্ঘন করতে হবে। অন্যদের উপর নয়।

              ১.
              এ কারণে ইবনে তায়মিয়্যাহ বলেন:
              وقال:{وإن عاقبتم فعاقبوا بمثل ما عوقبتم به} الآية. إن كان قد سبه فله أن يسبه مثل ما سبه إذا لم يكن فيه عدوان على حق محض لله أو على غير الظالم . فإذا لعنه أو سماه باسم كلب ونحوه فله أن يقول له مثل ذلك فإذا لعن أباه لم يكن له أن يلعن أباه ؛ لأنه لم يظلمه . وإن افترى عليه كذبا لم يكن له أن يفتري عليه كذبا ؛ لأن الكذب حرام

              "
              আল্লাহর বাণী: "যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তার উপর তোমরা সীমালঙ্ঘন করো সেই পরিমানে সে সীমালঙ্ঘন করেছে।" তাই কেউ যদি তাকে গালি দেয়, তাহলে তার অধিকার আছে ঐ ব্যাক্তিকে গালি দেবার, যতক্ষণ সে আল্লাহর হক্ব কিংবা নিরপরাধ ব্যাক্তির হক্ব সীমালঙ্ঘন না করে যদি ঐ ব্যাক্তি তাকে কুকুরের নামে নাম দেয় কিংবা অভিশাপ করে, তবে সে ঐ ব্যাক্তিকে একইভাবে জবাব দিতে পারবে কিন্তু যদি ঐ ব্যাক্তি তার পিতাকে অভিশাপ দেয়, তবে সে ঐ ব্যাক্তির পিতাকে অভিশাপ দিতে পারবে না- কেননা ঐ ব্যাক্তির পিতা তার উপর যুলুম করে নি।" আর যদি ঐ ব্যাক্তি তাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়, তবে সে ঐ ব্যাক্তিকে মিথ্যা অপবাদ দিতে পারবে না। কেননা মিথ্যা বলা হারাম।

              ["মাজমু’উল ফাতাওয়া", ১১/৫৪৭].

              (২)
              ইমাম কুরতুবী এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন
              :
              فمن ظلمك فخذ حقك منه بقدر مظلمتك ، لا تتعدى إلى أبويه ولا إلى ابنه أو قريبه ،
              "যে তোমার উপর যুলুম করে, তবে তুমি তোমার অধিকার তার যুলুমের সমপরিমাণে তার কাছ থেকে গ্রহন করো। কিন্তু তার বাপ-দাদা, সন্তানাদি কিংবা আত্মীয়দের উপর সীমালঙ্ঘন করো না।"

              ["তাফসীরে কুরতুবী", ২/৩৬০].

              ইমাম কুরতুবী আরো বলেন,
              وَأَنَّ الْمُثْلَةَ بِهِمْ غَيْرُ جَائِزَةٍ وَإِنْ قَتَلُوا نِسَاءَنَا وَأَطْفَالَنَا وَغَمُّونَا بِذَلِكَ، فَلَيْسَ لَنَا أَنْ نَقْتُلَهُمْ بِمُثْلَةٍ قَصْدًا لِإِيصَالِ الْغَمِّ وَالْحُزْنِ إِلَيْهِمْ

              আর কাফিরদের লাশ বিকৃতি করা না-জায়েয। আর
              তারা যদি আমাদের নারী এবং শিশুদের হত্যা করে এবং এর দ্বারা আমাদের দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, আমাদের জন্য এ সুযোগ নেই যে আমরাও ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হত্যা করব যেন কাফিরদের দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করা যায়।

              তাফসীর
              [سورة المائدة (5): آية 11], ৬/১১০ (মাকতাবায়ে শামেলা অনুযায়ী)

              (৩)
              সহীহ হাদীসে আছে:
              إِنَّ مِنْ أَعْتَى النَّاسِ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ قَتَلَ غَيْرَ قَاتِلِهِ

              "
              আল্লাহ আযযা ওয়াজাল্লের নিকট সবচেয়ে অবাধ্য ঐ ব্যাক্তি, যে হত্যা করে নি (হত্যার প্রতিশোধরূপে) তাকে হত্যা করে। "

              [
              সহীহ - "মুসনাদে আহমদ", ১৬০৩৩ - "মুস্তাদরাকে হাকেম", ৮০৯৭ - "সুনানে দারাকুতনী", ২৭৭১ - "সুনানে কুবরা", ১৪৬১০ - "মু’জামে কবীর", ১৭৯৭৮ - "ইবনে হিব্বান", ১৩/৩৪১].

              (৪)
              ইবনে কাছীর (৭৭৪ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
              قالوا معناه فلا يسرف الولي في قتل القاتل بأن يمثل به أو يقتص من غير القاتل

              "
              আল্লাহর বাণী: "হত্যার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করো না", [সুরা ইসরা :৩৩], এর অর্থ হচ্ছে: নিহতের ওয়ালী যেন হত্যাকারীর দেহ বিকৃত না করে হত্যা করে কিংবা যে হত্যা করে নি তার কাছ থেকে কিসাস নেয়ার মাধ্যমে বাড়াবাড়ি না করে।"
              ["তাফসীরে ইবনে কাছীর", ৫/৭৪].

              (৫)
              ইমাম কুরতুবী (৬৭১ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
              أي لا تقتلوا غير القاتل

              "
              হত্যা কারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করো না।"
              ["জামেউল আহকাম", ১০/২৩০].

              (৬)
              ইবনে জারীর তাবারী (৩১০ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
              فلا تقتل بالمقتول ظلما غير قاتله ، وذلك أن أهل الجاهلية كانوا يفعلون ذلك إذا قتل رجل رجلا عمد ولي القتيل إلى الشريف من قبيلة القاتل ، فقتله بوليه ، وترك القاتل ، فنهى الله عز وجل عن ذلك عباده

              "...
              নিহতের বদলা হিসেবে হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে যুলুম করে হত্যা করা যাবে না, কারণ জাহেলী যুগে মানুষ এটা করত. যদি এক লোক অপর লোককে হত্যা করত, তখন নিহতের ওয়ালী হত্যাকারীর গোত্রের অভিজাত কাউকে হত্যা করত। আর হত্যাকারীকে ছেড়ে দিত। আল্লাহ এটা নিষেধ করেন।“

              حدثنا محمد بن عبد الأعلى ، قال : ثنا محمد بن ثور ، عن معمر ، عن قتادة ( فلا تسرف في القتل ) قال : لا تقتل غير قاتلك ، ولا تمثل به .
              ক্বাতাদা বলেন: "আয়াতের অর্থ: হত্যাকারী ব্যাতীত অন্যকে হত্যা করবে না, এবং তার লাশ/দেহ বিকৃতও করবে না।."
              حدثنا ابن بشار ، قال : ثنا عبد الرحمن ، قالا ثنا سفيان ، عن منصور ، عن طلق بن حبيب ، في قوله ( فلا تسرف في القتل ) قال لا تقتل غير قاتله ، ولا تمثل به .

              তালাক বিন হাবীব
              বলেন: "তাই হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করো না এবং লাশ বিকৃতও করো না।"
              ["তাফসীরে তাবারী", ১৭/৪৪১].

              (৭)
              বাগাভী রহঃ বলেন:
              فقال ابن عباس ، وأكثر المفسرين : معناه لا يقتل غير القاتل وذلك أنهم كانوا في الجاهلية إذا قتل منهم قتيل لا يرضون بقتل قاتله حتى يقتلوا أشرف منه
              "ইবনে আব্বাস এবং অধিকাংশ মুফাসসীর বলেন: আয়াতের অর্থ নিহতের বদলা হিসেবে হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করা যাবে না, কারণ জাহেলী যুগে মানুষ এটা করত যদি কেউ নিহত হত, তারা কেবল হত্যাকারীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকত না বরং তারা গোত্রের অভিজাতদের হত্যা করত।”

              ["তাফসীরে বাগাভী", ৫/৯১].

              (৮)
              তাফসীরে জালালাইনে আছে:
              فَلاَ يُسْرِف } يتجاوز الحدّ { فِّى ٱلْقَتْلِ } بأن يقتل غير قاتله
              "বাড়াবাড়ি করো না, সীমা অতিক্রম করে, "হত্যার ক্ষেত্রে", হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যার মাধ্যমে"
              ["তাফসীরে জালালাইন", ১৭/৩৩].

              (৯)
              ইমাম আলূসী হানাফী এই আয়াতের তাফসীরে লিখেন:
              من قتل بحديدة قتل بحديدة ومن قتل بخشبة قتل بخشبة ومن قتل بحجر قتل بحجر ولا يقتل غير القاتل
              "যে লোহা দিয়ে হত্যা করে তাকে লোহা দিয়ে হত্যা করা হবে, যে কাঠ দিয়ে হত্যা করে তাকে কাঠ দিয়ে, আর যে পাথর দিয়ে হত্যা করে তাকে পাথর দিয়ে হত্যা করা হবে কিন্তু হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করা যাবে না।"
              ["রুহুল মা’আনী", ১৭/৩৩].

              তাহলে কি আমরা বলতে পারি না?
              • যদি কেউ আমাদের নারী কিংবা শিশুদের হত্যা করে, আমরা তাকে হত্যা করব। তার নারী আত্মীয় কিংবা শিশুকে নয়।.
              • যদি কেউ আমাদের নারীদের ধর্ষন করে, আমরা তাদের নারীদের ধর্ষন করব না। কারণ হারামে লিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেয়া জায়েয নয়।.
              • যদি কেউ যাদু দ্বারা আমাদের কাউকে হত্যা করে, আমরা যাদু দিয়ে হত্যা করব না। কেননা যাদু হারাম।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ্*, উভয় পক্ষ দলীল-আদিল্লা দিয়ে কথা বললে, সবাই উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ্*।

                Comment


                • #9
                  ভাই, আমি লিখাটা কোথাও পেয়ে শেয়ার করেছি মাত্র। হুজুরের সাথে আমার যোগাযোগ নেই, না হয় আমি হুজুরের কাছে আপনার বিষয়গুলো তুলে ধরতাম। এখানে কারো হুজুরের সাথে যোগাযোগ থেকে থাকলে এই দ্বায়ীত্ব পালন করার অনুরোধ করব।
                  আর আমি যেহেতু আলিম নই, তাই স্বল্প জ্ঞানে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবেনা। তবে দু একটি কথা।

                  ১। আপনি সুরা বাকারার ১৯৪ যে আয়াতের কথা বলেছেন, হুজুর সে আয়াত দিয়ে উক্ত লিখাটিতে কোন দলিল পেশ করেন নি। তাই এই আয়াতের ব্যপারে না জিজ্ঞাসা করে বরং হুজুরের উল্লেখিত দুটি আয়াত নিয়ে প্রশ্ন করলে ভালো হত। আয়াত দুটি সূরা তাওবাহ-৫,২৯
                  ২। বনু কুরাইজা গোত্রের গোত্রপ্রধানের চুক্তি ভঙ্গের কারনে তাদের সব পুরুষকেই হত্যা করা কিংবা আবু বাসির রাঃ-এর গেরিলা হামলায় সাধারন মানুষের কাফিলা লুট করে মানুষকে হত্যা যা রাসুল সাঃ নিন্দা করেননি , এবং সিরাত থেকে আরো কিছু ঘটনা পাওয়া যায় যাতে সাধারন কাফিরদের হত্যার নজির পাওয়া যায়।
                  ৩। মুফাসিরে কেরাম এসব হত্যার ক্ষেত্রে আমান অর্থ্যাত চুক্তিবদ্ধ না হওয়াকে শর্ত করেছেন। তবে শুধু শুধু হত্যা করার কথা কেউ বলেননি, অর্থ্যাত যুদ্ধের প্রয়োজনে বা ইসলামের বৃহত্বর স্বার্থে।
                  যেমনঃ
                  (এক) ইমাম তাবারী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর তাফসীরে তাবারীতে সূরা তাওবাহ এর এর ব্যাখ্যায় বলেন, যমিনের যেখানেই তাদেরকে পাও হত্যা করো, চাই তা হারাম শরীফে হোক বা হারাম শরীফের বাহিরে হোক। সন্মানিত মাসসমূহে হোক বা অন্য মাসে হোক। এবং তাদেরকে বন্দি করো। তাদেরকে ইসলামের রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ও মক্কা শরীফে প্রবেশে বাধা দাও। এবং তাদেরকে হত্যা কিংবা বন্দি করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ঘাঁটি বা রাস্তায় ওঁৎ পেতে বসে থাকো।
                  (দুই) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, মুসলিম ব্যক্তি যখন এমন কোন কাফেরের সাথে সাক্ষাত করে যার সাথে কোন চুক্তি নেই, তখন তাকে হত্যা করা জায়েজ। (তাফসীরে কুরতুবী-৫/৩৩৮)
                  (তিন) ইবনে কাছির (রহঃ) বলেন: অর্থ: ইবনে জারীর (রহঃ) এই ব্যাপারে ইজমা বর্ননা করেছেন যে, মুশরিকদেরকে হত্যা করা জায়েজ, যদি তাঁর সাথে ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে। যদিও সে বাইতুল হারাম বা বাইতুল মাকদিসে (পূন্যময় স্থানে) গমনরত অবস্থায় থাকে। (তাফসীরে ইবনে কাছীর-২/৬)
                  (চার) ইমাম তাবারী (রহঃ) অন্যত্র বলেনঃ অর্থ: এব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, কোনো মুশরিক যদি তাঁর গর্দানে, দুই বাহুতে দাড়িতে হারাম শরিফের সমস্ত লতা-পাতা লটকিয়ে রাখে তার যদি ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে তাহলে তাকে হত্যা থেকে ঐ কাজটি নিরাপত্তা দিবে না। (তাফসীরে তাবারী-৬/৬১)
                  ফোকাহায়ে কেরামদের বক্তব্য:
                  (ক) ইমাম সারাখসী (রহঃ) বলেন,

                  অর্থ: মুরতাদদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে হত্যা করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। কেননা, এরা ঐসকল কাফেরের পর্যায়ে, যার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে।
                  (খ) ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,

                  অর্থ: যেসকল কাফেরদের সন্ধিচুক্তি, আমান বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা চুক্তি নেই, তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন জিম্মাদারী নেই। চাই সে যেকোন ধর্মেরই হৌক না কেন। (রওজাতুত তালেবীন- ৯/২৫৯)
                  (গ) ইবনু মুফলিহ (রহঃ) বলেন:

                  কাফের এর সাথে যদি কোন ‘আমান’ না থাকে তাহলে তাঁকে হত্যা করলে কোন ধরনের দিয়ত বা কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কেননা সাধারণভাবে তাঁর রক্ত শুকুরের রক্তের ন্যায় বৈধ। (মিবদা’-৮/২৬৩)
                  (ঘ) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন:
                  বরকতময় আল্লাহ তাআলা কাফেরের রক্ত ও মাল বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যদি সে জিযিয়া প্রদান করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকে তাহলে নয়। ( আল-উম্ম ১/২৬৪)
                  (ঙ) ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন,
                  “আর কাফেরদের রক্ত মৌলিকভাবেই বৈধ, যেমনটা তরবারির আয়াতে রয়েছে। অধিকিন্তু যখন তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৫২২)
                  তিনি আরো বলেন:
                  “মুশরিক চাই সে যোদ্ধা হোক বা না হোক যতক্ষণ সে মুশরিক থাকবে ততক্ষণ তাঁর রক্ত বৈধ।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৩৬৯)
                  (চ) ইমাম মাওয়ারদী (রহঃ) “আহকামুস সুলতানিয়াহ” কিতাবে বলেন,

                  মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধের উপযোগী যে কাউকে সুযোগ পেলেই হত্যা করা বৈধ। চাই তারা যুদ্ধরত হোক বা না হোক। (আহকামুস সুলতানিয়াহ”/চতুর্থ অধ্যায়)।
                  (ছ) বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারীদের জবাবে প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন ইবনে জামাআহ (রহঃ) (যিনি ইবনে কাছীর ও আল্লামা যাহাবীর শিক্ষক)এর স্পষ্ট বক্তব্য হলোঃ যুদ্ধরত কাফেরদের যাকেই পাবে তাকেই হত্যা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ। চাই সরাসরি সে যোদ্ধা হোক অথবা না হোক। চাই সে যুদ্ধে গমনকারী হোক বা যুদ্ধ থেকে পিছনে থাকুক। দলিল হলো আল্লাহ তাআলার বানী:
                  “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
                  “অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো”। (সূরা তাওবাহ-৫)

                  Comment


                  • #10
                    ১। আপনি সুরা বাকারার ১৯৪ যে আয়াতের কথা বলেছেন, হুজুর সে আয়াত দিয়ে উক্ত লিখাটিতে কোন দলিল পেশ করেন নি। তাই এই আয়াতের ব্যপারে না জিজ্ঞাসা করে বরং হুজুরের উল্লেখিত দুটি আয়াত নিয়ে প্রশ্ন করলে ভালো হত। আয়াত দুটি সূরা তাওবাহ-,২৯
                    এটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। কাফিরদের নারী-শিশুরা যদি যোদ্ধা না হয় কিংবা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না হয়, তবে তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হারাম, যদি তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। যেমন গুলশানে - জন নারীকে আলাদা করে চিহ্নিত করার পরেও তাদের হত্যা করা হয়েছে। এই ফোরামে অনেকে (Abu Anwar Hindi) একে জায়েয প্রমাণের প্রয়াস পাচ্ছেন।
                    ২। বনু কুরাইজা গোত্রের গোত্রপ্রধানের চুক্তি ভঙ্গের কারনে তাদের সব পুরুষকেই হত্যা করা কিংবা আবু বাসির রাঃ-এর গেরিলা হামলায় সাধারন মানুষের কাফিলা লুট করে মানুষকে হত্যা যা রাসুল সাঃ নিন্দা করেননি , এবং সিরাত থেকে আরো কিছু ঘটনা পাওয়া যায় যাতে সাধারন কাফিরদের হত্যার নজির পাওয়া যায়।
                    বনু কুরাইজার প্রত্যেক পুরুষকে নয়, হাদীসেমুকাতিলাহশব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে। এমন একটি হাদীস দেখান যেখানে পুরুষ শব্দ আছে। মুকাতিলাহ কিতাল থেকে এসেছে, এর অর্থ যোদ্ধা কিংবা যারা যুদ্ধের সাথে জড়িত। কিন্তু সুনান আল বায়হাক্বী (/১১) তে উমার রাঃ এর স্পষ্ট বক্তব্য আছে, “তোমরা কৃষকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, যাদের যুদ্ধের সাথে সম্পর্ক নেই।আবু বাসীর রাঃ এর ঘটনা দ্বারা সর্বোচ্চ এটা প্রমাণ হয়, কাফিরদের অর্থনীতির উপর আঘাত হানতে হবে। আমেরিকা, ন্যাটো, ইন্ডিয়াদের সমস্ত অর্থনৈতিক টার্গেট বৈধ। কিন্তু কাফিরদের জনসাধারণ যাদের যুদ্ধের সাথে জড়িত নয়, তাদের হত্যার বৈধতা প্রমাণ হয় না। তাছাড়া সব ব্যাবসায়িক কাফেলায় অংশ নেয়া প্রত্যেকে যোদ্ধা ছিল।
                    ৩। মুফাসিরে কেরাম এসব হত্যার ক্ষেত্রে আমান অর্থ্যাত চুক্তিবদ্ধ না হওয়াকে শর্ত করেছেন। তবে শুধু শুধু হত্যা করার কথা কেউ বলেননি, অর্থ্যাত যুদ্ধের প্রয়োজনে বা ইসলামের বৃহত্বর স্বার্থে।
                    বিষয়টি আপনি যেমন বলছেন তেমন নয়। এই বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মাঝে মতপার্থক্য আছে। আবু হানীফা, মালেক, আহমদ (রহিমাহুমুল্লাহ) এর মতে, শুধু কুফরের কারণে কাফিরকে হত্যা করা বৈধ নয়, চাই তার আমান, আহদ না থাকুক। অপরদিকে ইমাম শাফেয়ীর মতে কুফরের কারণেই তাকে হত্যা করা বৈধ। শায়খুল হাদীস আবু ইমরান সাহেব (দাঃবাঃ) ইমাম শাফেয়ীর মতকে যারা প্রাধান্য দিয়েছেন, তাদের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। আপনি বললে, আমি বাকি ইমাম এবং তাদের মতের অনুসারী জমহুর ফুকাহায়ে কেরামের মত দিতে পারব। তাছাড়া, একেবারে প্রথম কমেন্টেইবনে কুদামামুগনীকিতাবের বরাত দিয়ে তো বলাই হয়েছে, জমহুরের কাছে যুদ্ধে জড়িত নয় এমন কাফিরদের টার্গেট বৈধ নয়। আমাদের শায়খ শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যাহ রহঃ এই বিষয়ে একটা স্বতন্ত্র বই- লিখেছেন। তিনিও জমহুরের পক্ষে ফতোয়া দিয়েছেন। বইয়ের নামقاعدة مختصرة في قتال الكفار ومهادنتهم وتريم قتلهم لمجرد كفرهمকাফিরদের সাথে যুদ্ধ সন্ধি এবং কেবল কুফরের কারণে তাদের হত্যা করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে একটি সংক্ষিপ্ত মূলনীতি। কিতাবের ডাউনলোড লিংকঃ http://www.archive.org/download/waq64745/64745.pdf এই কিতাবটি শায়খুল হাদীস আবু ইমরানের কাছে পৌছে দিতে পারলে ভালো হয়।

                    Comment


                    • #11
                      আসসালামু আলাইকুম,
                      ভাই আঞ্জেম চৌধুরী আপনি হয়তো আমাকে শায়খুল হাদিস আবু ইমরান (হাফিঃ) মনে করেছেন। আসলে আমি একজন আম মানুষ। তবে আমি শায়খের ফতোয়াটা বিস্তারিত এইখানে দিলাম। আশা করি সকল সংশয় নিরসন হয়ে যাবে।

                      হারবি কুফফারদের কতল করার দলিলঃ শায়খুল হাদিস আবু ইমরান (হাফিঃ)

                      بسم الله الرحمن الرحيم
                      والصلاة والسلام على رسولنا الأمين صلواتُ ربي وسلامهُ عليه وعلى آله وصحبه أجمعين .. أما بعد
                      মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কোনো দেশ, গোত্র ও দলের সাধারণ সদস্যরাও যোদ্ধা হিসেবেই পরিগণিত। তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ।

                      ১। কোরআন থেকে দলীল:
                      (এক) আল্লাহ তাআলা বলেন:
                      فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ) التوبة5-)
                      অর্থ: অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো, তাদেরকে বন্দী করো, অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকো। (সূরা তাওবাহ-৫)
                      (দুই) আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন:
                      “قَاتِلُوا الَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ”
                      অর্থ: তোমরা যুদ্ধ করো আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন(ধর্ম) অনুসরণ করে না, যতক্ষণ না নত হয়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (সূরা তাওবাহ-২৯)
                      এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বিখ্যাত গ্রন্থ আল-উম্ম কিতাবে বলেন,
                      قال الشافعي في الأم : “أصل الفرض قتال المشركين حتى يؤمنوا , أو يعطوا الجزية” ..
                      “মূল ফরজ হলো, মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে অথবা জিজিয়া দিয়ে বশ্যতা স্বীকার করে থাকে।”

                      ২। হাদীস থেকে দলীল:
                      তাওহীদ একজন মানুষের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা দেয়। আর যে তাওহীদ গ্রহণ বা ঈমান আনে না তাঁর জান-মালেরও কোনো নিরাপত্তা থাকে না। কেননা, শিরক-কুফরী এমনই জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
                      أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي نَفْسَهُ وَمَالَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ رَوَاهُ عُمَرُ وَابْنُ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] أخرجه مسلم (1/52 ، رقم 21) ، والنسائى (6/4 ، رقم 3090)[
                      অর্থ: আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” সুতরাং যে ব্যাক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সাক্ষ্য দিবে তাঁর জান ও মাল-সম্পদ আমার থেকে নিরাপদ। তবে ইসলামের কোনো হক্* ব্যাতীত। আর তাঁর অন্তরের হিসাব আল্লাহ তাআলার উপর ন্যস্ত। (বুখারী, মুসলিম ১/৫২,হাঃ নং-২১। নাসায়ী-৬/৪ হাঃ নং৩০৯০)
                      وفي صحيح مسلم من حديث بريدة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يوصي قادة جيوشه وسراياه بقوله ] اغزوا باسم الله ، قاتلوا من كفر بالله ،[…
                      অর্থ: সহীহ মুসলিমে বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) কোনো বাহিনী বা সারিয়া প্রেরণের প্রাককালে সেনাপতিকে এই উপদেশ দিতেন যে, তোমরা আল্লাহর নামে যুদ্ধ করবে, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদেরকে হত্যা করবে……………।
                      (সহীহ মুসলিম-১৭৩১, ইবনে হিব্বান-১৫২৩)
                      أخرجه الترمذي أن الرسول الله صلى الله عليه وسلم: نصب المنجنيق على أهل الطائف، ورجاله ثقات .
                      অর্থ: তিরমিজিতে বর্নিত হয়েছে, রাসূল (সাঃ) তায়েফবাসীদের প্রতি মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) স্থাপন করেছেন। (সাবিলুস সালাম ৪/২৫৩১)
                      وبالحديث الآخر عن سلمة بن الأكوع: بيتنا هوازن مع أبي بكر الصديق وكان أمره علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم .
                      অর্থ: অপর একটি হাদিস বর্নিত হয়েছে সালামাহ বিন আকওয়া (রাঃ) হতে, তিনি বলেন, আমরা আবু বকর (রাঃ) এর সাথে হাওয়াযেন গোত্রের অধিবাসীদের উপর রাত্রী বেলায় আক্রমণ পরিচালনা করি। রাসূল (সাঃ) তাঁকে আমাদের আমীর নিয়োগ করে দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ)
                      عن عطية القرظي ، رضي الله عنه قال : عرضنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم قريظة فكان من أنبت قتل ، ومن لم ينبت خلي سبيله ، فكنت فيمن لم ينبت ، فخلى سبيلي .
                      وقد أخرجه أهل السنن الأربعة بنحوه وقال الترمذي : حسن صحيح
                      অর্থ: আতিয়াহ আলকুরাজী (রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, বনী কুরাইজার যুদ্ধে রাসূল (সাঃ) এর সামনে (কুরাইজাহ গোত্রের জনসাধারনকে) উপস্থিত করা হয়েছে। অতঃপর যাদের পশম গজিয়েছে (সাবালক হয়েছে) তাদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আর যাদের পশম গজায় নি তাদের পথ হত্যা থেকে রেহাই দেন। আর আমি ছিলাম তাদের মধ্যে। অতঃপর আমাকে হত্যা থেকে রেহাই দেন।
                      (আবু দাউদ, নাসায়ী,ইবনে মাজাহ, তিরমিজী। ইমাম তিরমিজি হাদিসটিকে হাসান সহীহ বলেছে।) উল্লেখ্য যে, বনী কুরাইজার সাধারণ লোকদের হত্যা করা হয়েছিল এদের সর্দারদের বিশ্বাসঘাতকতার কারনে। জনসাধারণদের সবাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করা সত্বেও সবালক সবাইকেই যোদ্ধা হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে এবং তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
                      قال ابن حزم في المحلى 7 / 299 تعليقا على حديث : عرضت يوم قريظة على رسول الله صلى الله عليه وسلم فكان من أنبت قتل ، قال ابن حزم : وهذا عموم من النبي صلى الله عليه وسلم ، لم يستبق منهم عسيفا ولا تاجرا ولا فلاحا ولا شيخا كبيرا وهذا إجماع صحيح منه
                      অর্থ: উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ইবনে হাযম (রহঃ) ‘আল মহাল্লা’(৭/২৯৯)গ্রন্থে বলেন, আর এটা রাসূল (সাঃ) এর পক্ষ থেকে সাধারণ নির্দেশ। তিনি তাদের মধ্যে কোনো কর্মচারী, ব্যবসায়ী, কৃষক, বৃদ্ধ কাউকে বাকী রাখেন নি।
                      এছাড়া,
                      যদি আমরা একথা মেনে নেই যে, আমেরিকা বা অন্যান্য ইয়াহুদী নাসারা ও কাফেররা বিশ্বাসঘাতক আরব শাসকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। তথাপি ও তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ।
                      সীরাতের দিকে লক্ষ্য করুন, আবু বাসীর (রাঃ) এর প্রসিদ্ধ ঘটনা, যার মূল আলোচনা বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে।
                      রাসূল (সাঃ) ও কুরাইশ কাফেরদের মাঝে হুদাইবিয়ার সন্ধি ও চুক্তি ছিল। তা সত্বেও আবু বাসীর (রাঃ) যখন মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনায় মুসলমানদের নিকট হিজরত করলেন তখন কাফেররা এসে চুক্তির শর্তানুযায়ী তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আবু বাসীরকে যারা ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তিনি তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যান। আর পরবর্তীতে আবু বাসীর (রাঃ), আবু জান্দাল ও অন্য যারা পরবর্তীতে উনার সাথে সংযুক্ত হয়েছেন সবাই মিলে কুরাইশদের কাফেলাগুলোতে আক্রমণ করে তাদের হত্যা করতেন, তাদের মালামাল ছিনিয়ে নিতেন। অথচ রাসূল (সাঃ) তাঁর এই কাজকে নিন্দা করেন নি। আর একথা সর্ববিদিত যে, যদি রাসূল (সাঃ) এর জ্ঞাতস্বারে কোন কাজ সংগঠিত হয়, আর তাতে তিনি নিন্দা না জানান, তাহলে এটা শরীয়তের পরিভাষায় تقرير বা “রাসূল (সাঃ) এর সম্মতি” হিসেবে গণ্য।
                      রাসুল (সাঃ) এর সাথে চুক্তি থাকাবস্থায় যদি এটা জায়েজ হয়, তাহলে এই সকল বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ আরব শাসক গুলোর চুক্তির কি কোনো বৈধতা আছে?! বরং নিঃসন্দেহে আমেরিকানদের হত্যা করা বৈধ।

                      ৩। সাহাবায়ে কেরামদের থেকে দলীল:
                      قال الفاروق عمر لأبي جندل -رضي الله عنهما-: فإنما هم مشركون، وإنما دم أحدهم: دم كلب!. رواه أحمد والبيهقي.
                      অর্থ: ওমর ফারুক (রাঃ) আবু জানদাল (রাঃ) বলেন, এরা মুশরিক, এদের রক্ত কুকুরের রক্ত। (মুসনাদে আহমদ ও বাইহাকী)

                      ৪। মুফাসসিরীনদের থেকে থেকে দলীল:
                      (এক) ইমাম তাবারী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর তাফসীরে তাবারীতে সূরা তাওবাহ এর ৫ নং আয়াতঃ
                      فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ) التوبة5-)
                      অর্থ: অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো। (সূরা তাওবাহ-৫)
                      এর ব্যাখ্যায় বলেন,
                      قال الطبري : ( فاقتلوا المشركين ) يقول : فاقتلوهم ( حيث وجدتموهم ) ، يقول : حيث لقيتموهم من الأرض ، في الحرم ، وغير الحرم في الأشهر الحرم وغير الأشهر الحرم ( وخذوهم ) يقول : وأسروهم ( واحصروهم ) ، يقول : وامنعوهم من التصرف في بلاد الإسلام ودخول مكة( واقعدوا لهم كل مرصد ) ، يقول : واقعدوا لهم بالطلب لقتلهم أو أسرهم “كل مرصد” ، يعني : كل طريق ومرقب .
                      অর্থ: যমিনের যেখানেই তাদেরকে পাও হত্যা করো, চাই তা হারাম শরীফে হোক বা হারাম শরীফের বাহিরে হোক। সন্মানিত মাসসমূহে হোক বা অন্য মাসে হোক। এবং তাদেরকে বন্দি করো। তাদেরকে ইসলামের রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ও মক্কা শরীফে প্রবেশে বাধা দাও। এবং তাদেরকে হত্যা কিংবা বন্দি করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ঘাঁটি বা রাস্তায় ওঁৎ পেতে বসে থাকো।
                      (দুই) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন,
                      والمسلم إذا لقي الكافر ولا عهد له: جاز له قتله.]تفسير القرطبي 338/5[
                      অর্থ: মুসলিম ব্যক্তি যখন এমন কোন কাফেরের সাথে সাক্ষাত করে যার সাথে কোন চুক্তি নেই, তখন তাকে হত্যা করা জায়েজ। (তাফসীরে কুরতুবী-৫/৩৩৮)
                      (তিন) ইবনে কাছির (রহঃ) বলেন:
                      قد حكى ابن جرير الإجماع على أن المشرك يجوز قتله إذا لم يكن له أمان وإن أمّ البيت الحرام أو بيت المقدس]تفسير ابن كثير 6/2[
                      অর্থ: ইবনে জারীর (রহঃ) এই ব্যাপারে ইজমা বর্ননা করেছেন যে, মুশরিকদেরকে হত্যা করা জায়েজ, যদি তাঁর সাথে ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে। যদিও সে বাইতুল হারাম বা বাইতুল মাকদিসে (পূন্যময় স্থানে) গমনরত অবস্থায় থাকে। (তাফসীরে ইবনে কাছীর-২/৬)
                      (চার) ইমাম তাবারী (রহঃ) অন্যত্র বলেনঃ
                      أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم: لم يكن ذلك له أمانا من القتل إذا لم يتقدم له أمان
                      [تفسير الطبري61/6]بتصرف.
                      অর্থ: এব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, কোনো মুশরিক যদি তাঁর গর্দানে, দুই বাহুতে দাড়িতে হারাম শরিফের সমস্ত লতা-পাতা লটকিয়ে রাখে তার যদি ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে তাহলে তাকে হত্যা থেকে ঐ কাজটি নিরাপত্তা দিবে না। (তাফসীরে তাবারী-৬/৬১)

                      ৫। ফোকাহায়ে কেরামদের বক্তব্য:
                      (ক) ইমাম সারাখসী (রহঃ) বলেন,
                      قال السرخسي: ولا شيء على من قتل المرتدين قبل أن يدعوهم إلى الإسلام لأنهم بمنزلة كفار قد بلغتهم الدعوة] المبسوط 120/10[
                      অর্থ: মুরতাদদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে হত্যা করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। কেননা, এরা ঐসকল কাফেরের পর্যায়ে, যার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে।
                      (খ) ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,
                      قال الإمام النووي: وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان]روضة الطالبين 259/9[
                      অর্থ: যেসকল কাফেরদের সন্ধিচুক্তি, আমান বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা চুক্তি নেই, তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন জিম্মাদারী নেই। চাই সে যেকোন ধর্মেরই হৌক না কেন। (রওজাতুত তালেবীন- ৯/২৫৯)
                      (গ) ইবনু মুফলিহ (রহঃ) বলেন:
                      ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير المبدع263/8
                      কাফের এর সাথে যদি কোন ‘আমান’ না থাকে তাহলে তাঁকে হত্যা করলে কোন ধরনের দিয়ত বা কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কেননা সাধারণভাবে তাঁর রক্ত শুকুরের রক্তের ন্যায় বৈধ। (মিবদা’-৮/২৬৩)
                      (ঘ) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন:
                      الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة)[الأم 264/1(
                      বরকতময় আল্লাহ তাআলা কাফেরের রক্ত ও মাল বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যদি সে জিযিয়া প্রদান করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকে তাহলে নয়। ( আল-উম্ম ১/২৬৪)
                      (ঙ) ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন,
                      أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السيف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…. السيل الجرار522/4].
                      “আর কাফেরদের রক্ত মৌলিকভাবেই বৈধ, যেমনটা তরবারির আয়াতে রয়েছে। অধিকিন্তু যখন তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৫২২)
                      তিনি আরো বলেন:
                      والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا] السيل الجرار 369/4.[
                      “মুশরিক চাই সে যোদ্ধা হোক বা না হোক যতক্ষণ সে মুশরিক থাকবে ততক্ষণ তাঁর রক্ত বৈধ।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৩৬৯)
                      (চ) ইমাম মাওয়ারদী (রহঃ) “আহকামুস সুলতানিয়াহ” কিতাবে বলেন,
                      “ويجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من مقاتلة المشركين ، محارباً وغير محارب” ] الأحكام السلطانية : الباب الرابع[
                      মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধের উপযোগী যে কাউকে সুযোগ পেলেই হত্যা করা বৈধ। চাই তারা যুদ্ধরত হোক বা না হোক। (আহকামুস সুলতানিয়াহ”/চতুর্থ অধ্যায়)।
                      (ছ) বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারীদের জবাবে প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন ইবনে জামাআহ (রহঃ) (যিনি ইবনে কাছীর ও আল্লামা যাহাবীর শিক্ষক)এর স্পষ্ট বক্তব্য হলোঃ
                      “يجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من الكفار المحاربين سواء كان مقاتلاً أو غير مقاتل ، وسواء كان مقبلاً أو مدبراً ، لقوله تعالى “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
                      যুদ্ধরত কাফেরদের যাকেই পাবে তাকেই হত্যা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ। চাই সরাসরি সে যোদ্ধা হোক অথবা না হোক। চাই সে যুদ্ধে গমনকারী হোক বা যুদ্ধ থেকে পিছনে থাকুক। দলিল হলো আল্লাহ তাআলার বানী:
                      “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
                      “অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো”। (সূরা তাওবাহ-৫)
                      [تحرير الأحكام في تدبير أهل الإسلام ص 182
                      বাস্তবতা: বাস্তবতা হচ্ছে, আমেরিকা ও ইসরাইল আমাদের সাধারণ মুসলমানদেরকে দিন-রাতে হত্যা করে যাচ্ছে। তারা দখলদার ইসরাইলের মাধ্যামে ৫০ বছরের ও বেশী সময় ধরে ফিলিস্তিনে আমাদের সাধারণ মুসলমানদেরকে হত্যা করে যাচ্ছে। তাদের ঘর বাড়ি বোমা মেরে, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে। আর আফগানিস্তান ও ইরাকের কথা কি বলবো! সেখানে তারা হাজার হাজার নিরপরাধ সাধারণ মুসলমানদেরকে হত্যা করেছে। তারা সোমালিয়ায় ১৩ হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে ও সুদানে গনহত্যা চালিয়েছে। এককথায় সারা বিশ্বে এই আমেরিকা আমাদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। মুসলমান, মুজাহিদদেরকে হত্যা, গ্রেফতার ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
                      তারা যেমন আমাদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করেছে আমরাও তাদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা বৈধ। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন:
                      (فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ)
                      “সুতরাং যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে তাদের উপরও তোমরা সীমালঙ্ঘন করো যেমন সীমালঙ্ঘন তারা তোমাদের উপর করেছে”। (সূরা বাকারাহ-১৯৪)
                      আমেরিকার সাধারণ জনগণ তাদের সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছে। সেই দেশে অবস্থান করে সেই দেশ ও শাসকদের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় তাদের এই অসম্মতি তাদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়, যতক্ষণ না তারা তাদের স্থান ও অবস্থান পরিত্যাগ করে।
                      একটা বিষয় স্মর্তব্য যে, আলহামদুলিল্লাহ মুজাহিদরা যখন কোনো কাজ করেন তখন এটা শরয়ীভাবে যাচাই বাছাই করেই করে থাকেন।
                      আর কাফেররা মুজাহিদদের নিন্দা বা বিরোধিতা করা নতুন কোন বিষয় নয়। এমর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
                      يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
                      …তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং এক্ষেত্রে তাঁরা কোন নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করবে না। …। (সূরা মায়েদাহ-৫৪)
                      عن ثوبان، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق لا يضرهم من خذلهم حتى يأتي أمر الله وهم كذلك”.
                      সাওবান (রাঃ)বলেন, রাসূল (সাঃ) বএছেনঃ সর্বদা আমার উম্মতের একটি তায়েফাহ (দল) হক্বের উপর বিজয়ী থাকবে। তাদেরকে যারা নিন্দা করবে তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিয়ামত সংগঠিত হওয়া পর্যন্ত তারা এর উপর অটল থাকবে। (সহীহ মুসলিম)
                      সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।

                      ———————————
                      উত্তর প্রদানে, শাইখুল হাদীস আবু ইমরান (হাফিজাহুল্লাহ)
                      উৎসঃ দাওয়াহ ইলাল্লাহ ওয়েবসাইট
                      "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
                      বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

                      Comment


                      • #12
                        আন্জেম চৌধুরী ! নীচের লেখাটির উপর কি আপনার কোন কমেন্ট আছে ?

                        হারবি কুফফারদের কতল করার দলিলঃ শায়খুল হাদিস আবু ইমরান (হাফিঃ)

                        بسم الله الرحمن الرحيم
                        والصلاة والسلام على رسولنا الأمين صلواتُ ربي وسلامهُ عليه وعلى آله وصحبه أجمعين .. أما بعد
                        মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কোনো দেশ, গোত্র ও দলের সাধারণ সদস্যরাও যোদ্ধা হিসেবেই পরিগণিত। তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ।

                        ১। কোরআন থেকে দলীল:
                        (এক) আল্লাহ তাআলা বলেন:
                        فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ) التوبة5-)
                        অর্থ: অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো, তাদেরকে বন্দী করো, অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকো। (সূরা তাওবাহ-৫)
                        (দুই) আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন:
                        “قَاتِلُوا الَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ”
                        অর্থ: তোমরা যুদ্ধ করো আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন(ধর্ম) অনুসরণ করে না, যতক্ষণ না নত হয়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (সূরা তাওবাহ-২৯)
                        এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বিখ্যাত গ্রন্থ আল-উম্ম কিতাবে বলেন,
                        قال الشافعي في الأم : “أصل الفرض قتال المشركين حتى يؤمنوا , أو يعطوا الجزية” ..
                        “মূল ফরজ হলো, মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে অথবা জিজিয়া দিয়ে বশ্যতা স্বীকার করে থাকে।”

                        ২। হাদীস থেকে দলীল:
                        তাওহীদ একজন মানুষের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা দেয়। আর যে তাওহীদ গ্রহণ বা ঈমান আনে না তাঁর জান-মালেরও কোনো নিরাপত্তা থাকে না। কেননা, শিরক-কুফরী এমনই জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
                        أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي نَفْسَهُ وَمَالَهُ إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ رَوَاهُ عُمَرُ وَابْنُ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] أخرجه مسلم (1/52 ، رقم 21) ، والنسائى (6/4 ، رقم 3090)[
                        অর্থ: আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” সুতরাং যে ব্যাক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সাক্ষ্য দিবে তাঁর জান ও মাল-সম্পদ আমার থেকে নিরাপদ। তবে ইসলামের কোনো হক্* ব্যাতীত। আর তাঁর অন্তরের হিসাব আল্লাহ তাআলার উপর ন্যস্ত। (বুখারী, মুসলিম ১/৫২,হাঃ নং-২১। নাসায়ী-৬/৪ হাঃ নং৩০৯০)
                        وفي صحيح مسلم من حديث بريدة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يوصي قادة جيوشه وسراياه بقوله ] اغزوا باسم الله ، قاتلوا من كفر بالله ،[…
                        অর্থ: সহীহ মুসলিমে বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) কোনো বাহিনী বা সারিয়া প্রেরণের প্রাককালে সেনাপতিকে এই উপদেশ দিতেন যে, তোমরা আল্লাহর নামে যুদ্ধ করবে, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদেরকে হত্যা করবে……………।
                        (সহীহ মুসলিম-১৭৩১, ইবনে হিব্বান-১৫২৩)
                        أخرجه الترمذي أن الرسول الله صلى الله عليه وسلم: نصب المنجنيق على أهل الطائف، ورجاله ثقات .
                        অর্থ: তিরমিজিতে বর্নিত হয়েছে, রাসূল (সাঃ) তায়েফবাসীদের প্রতি মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) স্থাপন করেছেন। (সাবিলুস সালাম ৪/২৫৩১)
                        وبالحديث الآخر عن سلمة بن الأكوع: بيتنا هوازن مع أبي بكر الصديق وكان أمره علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم .
                        অর্থ: অপর একটি হাদিস বর্নিত হয়েছে সালামাহ বিন আকওয়া (রাঃ) হতে, তিনি বলেন, আমরা আবু বকর (রাঃ) এর সাথে হাওয়াযেন গোত্রের অধিবাসীদের উপর রাত্রী বেলায় আক্রমণ পরিচালনা করি। রাসূল (সাঃ) তাঁকে আমাদের আমীর নিয়োগ করে দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ)
                        عن عطية القرظي ، رضي الله عنه قال : عرضنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم قريظة فكان من أنبت قتل ، ومن لم ينبت خلي سبيله ، فكنت فيمن لم ينبت ، فخلى سبيلي .
                        وقد أخرجه أهل السنن الأربعة بنحوه وقال الترمذي : حسن صحيح
                        অর্থ: আতিয়াহ আলকুরাজী (রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, বনী কুরাইজার যুদ্ধে রাসূল (সাঃ) এর সামনে (কুরাইজাহ গোত্রের জনসাধারনকে) উপস্থিত করা হয়েছে। অতঃপর যাদের পশম গজিয়েছে (সাবালক হয়েছে) তাদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আর যাদের পশম গজায় নি তাদের পথ হত্যা থেকে রেহাই দেন। আর আমি ছিলাম তাদের মধ্যে। অতঃপর আমাকে হত্যা থেকে রেহাই দেন।
                        (আবু দাউদ, নাসায়ী,ইবনে মাজাহ, তিরমিজী। ইমাম তিরমিজি হাদিসটিকে হাসান সহীহ বলেছে।) উল্লেখ্য যে, বনী কুরাইজার সাধারণ লোকদের হত্যা করা হয়েছিল এদের সর্দারদের বিশ্বাসঘাতকতার কারনে। জনসাধারণদের সবাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করা সত্বেও সবালক সবাইকেই যোদ্ধা হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে এবং তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
                        قال ابن حزم في المحلى 7 / 299 تعليقا على حديث : عرضت يوم قريظة على رسول الله صلى الله عليه وسلم فكان من أنبت قتل ، قال ابن حزم : وهذا عموم من النبي صلى الله عليه وسلم ، لم يستبق منهم عسيفا ولا تاجرا ولا فلاحا ولا شيخا كبيرا وهذا إجماع صحيح منه
                        অর্থ: উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ইবনে হাযম (রহঃ) ‘আল মহাল্লা’(৭/২৯৯)গ্রন্থে বলেন, আর এটা রাসূল (সাঃ) এর পক্ষ থেকে সাধারণ নির্দেশ। তিনি তাদের মধ্যে কোনো কর্মচারী, ব্যবসায়ী, কৃষক, বৃদ্ধ কাউকে বাকী রাখেন নি।
                        এছাড়া,
                        যদি আমরা একথা মেনে নেই যে, আমেরিকা বা অন্যান্য ইয়াহুদী নাসারা ও কাফেররা বিশ্বাসঘাতক আরব শাসকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। তথাপি ও তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ।
                        সীরাতের দিকে লক্ষ্য করুন, আবু বাসীর (রাঃ) এর প্রসিদ্ধ ঘটনা, যার মূল আলোচনা বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে।
                        রাসূল (সাঃ) ও কুরাইশ কাফেরদের মাঝে হুদাইবিয়ার সন্ধি ও চুক্তি ছিল। তা সত্বেও আবু বাসীর (রাঃ) যখন মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনায় মুসলমানদের নিকট হিজরত করলেন তখন কাফেররা এসে চুক্তির শর্তানুযায়ী তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আবু বাসীরকে যারা ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তিনি তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যান। আর পরবর্তীতে আবু বাসীর (রাঃ), আবু জান্দাল ও অন্য যারা পরবর্তীতে উনার সাথে সংযুক্ত হয়েছেন সবাই মিলে কুরাইশদের কাফেলাগুলোতে আক্রমণ করে তাদের হত্যা করতেন, তাদের মালামাল ছিনিয়ে নিতেন। অথচ রাসূল (সাঃ) তাঁর এই কাজকে নিন্দা করেন নি। আর একথা সর্ববিদিত যে, যদি রাসূল (সাঃ) এর জ্ঞাতস্বারে কোন কাজ সংগঠিত হয়, আর তাতে তিনি নিন্দা না জানান, তাহলে এটা শরীয়তের পরিভাষায় تقرير বা “রাসূল (সাঃ) এর সম্মতি” হিসেবে গণ্য।
                        রাসুল (সাঃ) এর সাথে চুক্তি থাকাবস্থায় যদি এটা জায়েজ হয়, তাহলে এই সকল বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ আরব শাসক গুলোর চুক্তির কি কোনো বৈধতা আছে?! বরং নিঃসন্দেহে আমেরিকানদের হত্যা করা বৈধ।

                        ৩। সাহাবায়ে কেরামদের থেকে দলীল:
                        قال الفاروق عمر لأبي جندل -رضي الله عنهما-: فإنما هم مشركون، وإنما دم أحدهم: دم كلب!. رواه أحمد والبيهقي.
                        অর্থ: ওমর ফারুক (রাঃ) আবু জানদাল (রাঃ) বলেন, এরা মুশরিক, এদের রক্ত কুকুরের রক্ত। (মুসনাদে আহমদ ও বাইহাকী)

                        ৪। মুফাসসিরীনদের থেকে থেকে দলীল:
                        (এক) ইমাম তাবারী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর তাফসীরে তাবারীতে সূরা তাওবাহ এর ৫ নং আয়াতঃ
                        فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ) التوبة5-)
                        অর্থ: অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো। (সূরা তাওবাহ-৫)
                        এর ব্যাখ্যায় বলেন,
                        قال الطبري : ( فاقتلوا المشركين ) يقول : فاقتلوهم ( حيث وجدتموهم ) ، يقول : حيث لقيتموهم من الأرض ، في الحرم ، وغير الحرم في الأشهر الحرم وغير الأشهر الحرم ( وخذوهم ) يقول : وأسروهم ( واحصروهم ) ، يقول : وامنعوهم من التصرف في بلاد الإسلام ودخول مكة( واقعدوا لهم كل مرصد ) ، يقول : واقعدوا لهم بالطلب لقتلهم أو أسرهم “كل مرصد” ، يعني : كل طريق ومرقب .
                        অর্থ: যমিনের যেখানেই তাদেরকে পাও হত্যা করো, চাই তা হারাম শরীফে হোক বা হারাম শরীফের বাহিরে হোক। সন্মানিত মাসসমূহে হোক বা অন্য মাসে হোক। এবং তাদেরকে বন্দি করো। তাদেরকে ইসলামের রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ও মক্কা শরীফে প্রবেশে বাধা দাও। এবং তাদেরকে হত্যা কিংবা বন্দি করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ঘাঁটি বা রাস্তায় ওঁৎ পেতে বসে থাকো।
                        (দুই) ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন,
                        والمسلم إذا لقي الكافر ولا عهد له: جاز له قتله.]تفسير القرطبي 338/5[
                        অর্থ: মুসলিম ব্যক্তি যখন এমন কোন কাফেরের সাথে সাক্ষাত করে যার সাথে কোন চুক্তি নেই, তখন তাকে হত্যা করা জায়েজ। (তাফসীরে কুরতুবী-৫/৩৩৮)
                        (তিন) ইবনে কাছির (রহঃ) বলেন:
                        قد حكى ابن جرير الإجماع على أن المشرك يجوز قتله إذا لم يكن له أمان وإن أمّ البيت الحرام أو بيت المقدس]تفسير ابن كثير 6/2[
                        অর্থ: ইবনে জারীর (রহঃ) এই ব্যাপারে ইজমা বর্ননা করেছেন যে, মুশরিকদেরকে হত্যা করা জায়েজ, যদি তাঁর সাথে ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে। যদিও সে বাইতুল হারাম বা বাইতুল মাকদিসে (পূন্যময় স্থানে) গমনরত অবস্থায় থাকে। (তাফসীরে ইবনে কাছীর-২/৬)
                        (চার) ইমাম তাবারী (রহঃ) অন্যত্র বলেনঃ
                        أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم: لم يكن ذلك له أمانا من القتل إذا لم يتقدم له أمان
                        [تفسير الطبري61/6]بتصرف.
                        অর্থ: এব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, কোনো মুশরিক যদি তাঁর গর্দানে, দুই বাহুতে দাড়িতে হারাম শরিফের সমস্ত লতা-পাতা লটকিয়ে রাখে তার যদি ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে তাহলে তাকে হত্যা থেকে ঐ কাজটি নিরাপত্তা দিবে না। (তাফসীরে তাবারী-৬/৬১)

                        ৫। ফোকাহায়ে কেরামদের বক্তব্য:
                        (ক) ইমাম সারাখসী (রহঃ) বলেন,
                        قال السرخسي: ولا شيء على من قتل المرتدين قبل أن يدعوهم إلى الإسلام لأنهم بمنزلة كفار قد بلغتهم الدعوة] المبسوط 120/10[
                        অর্থ: মুরতাদদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে হত্যা করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। কেননা, এরা ঐসকল কাফেরের পর্যায়ে, যার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে।
                        (খ) ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,
                        قال الإمام النووي: وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان]روضة الطالبين 259/9[
                        অর্থ: যেসকল কাফেরদের সন্ধিচুক্তি, আমান বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা চুক্তি নেই, তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন জিম্মাদারী নেই। চাই সে যেকোন ধর্মেরই হৌক না কেন। (রওজাতুত তালেবীন- ৯/২৫৯)
                        (গ) ইবনু মুফলিহ (রহঃ) বলেন:
                        ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير المبدع263/8
                        কাফের এর সাথে যদি কোন ‘আমান’ না থাকে তাহলে তাঁকে হত্যা করলে কোন ধরনের দিয়ত বা কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কেননা সাধারণভাবে তাঁর রক্ত শুকুরের রক্তের ন্যায় বৈধ। (মিবদা’-৮/২৬৩)
                        (ঘ) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন:
                        الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة)[الأم 264/1(
                        বরকতময় আল্লাহ তাআলা কাফেরের রক্ত ও মাল বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যদি সে জিযিয়া প্রদান করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকে তাহলে নয়। ( আল-উম্ম ১/২৬৪)
                        (ঙ) ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন,
                        أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السيف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…. السيل الجرار522/4].
                        “আর কাফেরদের রক্ত মৌলিকভাবেই বৈধ, যেমনটা তরবারির আয়াতে রয়েছে। অধিকিন্তু যখন তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৫২২)
                        তিনি আরো বলেন:
                        والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا] السيل الجرار 369/4.[
                        “মুশরিক চাই সে যোদ্ধা হোক বা না হোক যতক্ষণ সে মুশরিক থাকবে ততক্ষণ তাঁর রক্ত বৈধ।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৩৬৯)
                        (চ) ইমাম মাওয়ারদী (রহঃ) “আহকামুস সুলতানিয়াহ” কিতাবে বলেন,
                        “ويجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من مقاتلة المشركين ، محارباً وغير محارب” ] الأحكام السلطانية : الباب الرابع[
                        মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধের উপযোগী যে কাউকে সুযোগ পেলেই হত্যা করা বৈধ। চাই তারা যুদ্ধরত হোক বা না হোক। (আহকামুস সুলতানিয়াহ”/চতুর্থ অধ্যায়)।
                        (ছ) বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারীদের জবাবে প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন ইবনে জামাআহ (রহঃ) (যিনি ইবনে কাছীর ও আল্লামা যাহাবীর শিক্ষক)এর স্পষ্ট বক্তব্য হলোঃ
                        “يجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من الكفار المحاربين سواء كان مقاتلاً أو غير مقاتل ، وسواء كان مقبلاً أو مدبراً ، لقوله تعالى “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
                        যুদ্ধরত কাফেরদের যাকেই পাবে তাকেই হত্যা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ। চাই সরাসরি সে যোদ্ধা হোক অথবা না হোক। চাই সে যুদ্ধে গমনকারী হোক বা যুদ্ধ থেকে পিছনে থাকুক। দলিল হলো আল্লাহ তাআলার বানী:
                        “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
                        “অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো”। (সূরা তাওবাহ-৫)
                        [تحرير الأحكام في تدبير أهل الإسلام ص 182
                        বাস্তবতা: বাস্তবতা হচ্ছে, আমেরিকা ও ইসরাইল আমাদের সাধারণ মুসলমানদেরকে দিন-রাতে হত্যা করে যাচ্ছে। তারা দখলদার ইসরাইলের মাধ্যামে ৫০ বছরের ও বেশী সময় ধরে ফিলিস্তিনে আমাদের সাধারণ মুসলমানদেরকে হত্যা করে যাচ্ছে। তাদের ঘর বাড়ি বোমা মেরে, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে। আর আফগানিস্তান ও ইরাকের কথা কি বলবো! সেখানে তারা হাজার হাজার নিরপরাধ সাধারণ মুসলমানদেরকে হত্যা করেছে। তারা সোমালিয়ায় ১৩ হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে ও সুদানে গনহত্যা চালিয়েছে। এককথায় সারা বিশ্বে এই আমেরিকা আমাদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। মুসলমান, মুজাহিদদেরকে হত্যা, গ্রেফতার ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
                        তারা যেমন আমাদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করেছে আমরাও তাদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা বৈধ। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন:
                        (فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ)
                        “সুতরাং যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে তাদের উপরও তোমরা সীমালঙ্ঘন করো যেমন সীমালঙ্ঘন তারা তোমাদের উপর করেছে”। (সূরা বাকারাহ-১৯৪)
                        আমেরিকার সাধারণ জনগণ তাদের সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছে। সেই দেশে অবস্থান করে সেই দেশ ও শাসকদের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় তাদের এই অসম্মতি তাদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়, যতক্ষণ না তারা তাদের স্থান ও অবস্থান পরিত্যাগ করে।
                        একটা বিষয় স্মর্তব্য যে, আলহামদুলিল্লাহ মুজাহিদরা যখন কোনো কাজ করেন তখন এটা শরয়ীভাবে যাচাই বাছাই করেই করে থাকেন।
                        আর কাফেররা মুজাহিদদের নিন্দা বা বিরোধিতা করা নতুন কোন বিষয় নয়। এমর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
                        يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
                        …তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং এক্ষেত্রে তাঁরা কোন নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করবে না। …। (সূরা মায়েদাহ-৫৪)
                        عن ثوبان، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق لا يضرهم من خذلهم حتى يأتي أمر الله وهم كذلك”.
                        সাওবান (রাঃ)বলেন, রাসূল (সাঃ) বএছেনঃ সর্বদা আমার উম্মতের একটি তায়েফাহ (দল) হক্বের উপর বিজয়ী থাকবে। তাদেরকে যারা নিন্দা করবে তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিয়ামত সংগঠিত হওয়া পর্যন্ত তারা এর উপর অটল থাকবে। (সহীহ মুসলিম)
                        সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।

                        ———————————
                        উত্তর প্রদানে, শাইখুল হাদীস আবু ইমরান (হাফিজাহুল্লাহ)
                        উৎসঃ দাওয়াহ ইলাল্লাহ ওয়েবসাইট
                        Last edited by tipo soltan; 07-13-2016, 12:43 PM.
                        ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                        Comment


                        • #13
                          আন্জেম চৌধুরীর মতো পূর্বে একটি আইডি থেকে এ ধরণের পোস্ট দিতে দেখা গেছে । যা সকলকে অনেক বিরক্ত করেছে সেটা ছিল আওলাকির শিষ্য।
                          আন্জেম চৌধুরীরর অবস্থাও অনেকটা তেমন অর্থাৎ সন্দেহ ছড়ানো।
                          উপরে শাইখুল হাদীস আবু ইমরান (হাফিজাহুল্লাহ) এর লেখাতে যা আলোচনা হয়েছে এগুলোে আমরা শুরু থেকেই জেনে এসেছি।

                          সে এসে এখানে কতগুলো সন্দেহ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কি করল ?


                          আমাদের ভাইদেরকে বলব
                          শাইখুল হাদীস আবু ইমরান (হাফিজাহুল্লাহ) এর লেখাটি ভালোভাবে পড়ার জন্য যাতে আন্জেম চৌধুরীর , আওলাকীর শিষ্যের মতো লোকেরা সন্দেহ ছড়াতে না পারে ।
                          Last edited by polashi; 07-13-2016, 12:40 PM.
                          কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

                          Comment


                          • #14
                            ...................................
                            ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                            Comment


                            • #15
                              ولكن هذا النهي عن قتل الأطفال الأبرياء ليس مطلقا، وهناك نصوص أخرى تقيده، فقوله سبحانه وتعالى: (وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ) قال أهل العلم صاحب الاختيارات وغيره من أهل العلم وابن القيم والشوكاني وغيرهم كثير والقرطبي رحمه الله في تفسيره، أن الكفار إذا تقصدوا أن يقتلوا لنا نساء أو أطفال، فلا حرج أن نعاملهم بالمثل، ردعا لهم أن يعيدوا الكرة لقتل أطفالنا ونسائنا، فهذا من الناحية الشرعية. وأما الذين يتكلمون دون علم بالشريعة، ويقولون: لا ينبغي هذا طفلا أن يقتل .. وعلما أن هؤلاء الشباب الذين فتح الله
                              عليهم لم يتعمدوا قتل الأطفال، وإنما ضربوا أكبر مركز للقوة العسكرية في العالم ـ البنتاجون، الذي هي أكثر من أربعة وستين ألف موظف ـ مكان عسكري ومركز فيه القوة والخبرة العسكرية.

                              الأبراج التجارة العالمية ـ الذين ضوربوا فيها وقتلوا فيها هم قوة اقتصادية وليسوا مدرسة أطفال وليس سكن، الأصل، الذين هم في هذه المراكز رجال، يدعمون أكبر قوة اقتصادية في العالم تعيث في الأرض فسادا. فهؤلاء لابد أن يقفوا وقفة لله سبحانه وتعالى ويعيدوا الحسابات لابد أن يعيدوا هذه الحسابات، فنحن نعامل بالمثل: الذين يقتلون نسائنا وأبرياءنا نقتل نساءهم وأبرياءهم إلى أن يكفوا عن ذلك).

                              (إن الذين يتكلمون عن الأبرياء في أمريكا، لم يذوقوا حرارة فقد الأبناء، ولم يذوقوا أن ينظروا إلى أشلاء أبناءهم في فلسطين وفي غيرها، بأي حق يحرم أهلنا في فلسطين الأمن، تصطادهم طائرات الهليكوبتر في بيوتهم، بين نساءهم وأطفالهم؟ كل يوم يشلون الجرحى والجثث، ثم يأتي هؤلاء السفهاء يتباكون على قتلى أمريكا ولا يتباكون على أبناءنا؟ ألا يخشون أن يعاقبوا بمثل هذا العقاب؟).

                              وأما القول بأن الأمريكان وغيرهم من الكفار معاهدين وذميين!! فهو قول غريب وعجيب إذ
                              (إن هؤلاء قد انتقض عهدهم بما قامت به حكومتهم من مظاهرة اليهود على المسلمين في فلسطين، هذا أولاً، و بما قامت به حكومتهم كذلك من حرب ضد المسلمين في أفغانستان والعراق، و أصبحت أمريكا دولة محاربة للإسلام و المسلمين بعد غزوها المباشر و الصريح لأفغانستان ثم للعراق و احتلالها له و بالتالي أصبح الأمريكيون حربيون كلهم، دماؤهم و أموالهم مباحة للمسلمين في جميع أنحاء العالم، و دليل هذا أن النبي صلى الله عليه و سلم حينما عقد الصلح بينه و بين قريش ـ كما هو معروف ـ في صلح الحديبية وقع الشرط: أنه من أحب أن يدخل في عقد رسول الله صلى الله عليه وسلم وعهده فعل ومن أحب أن يدخل في عقد قريش وعهدهم فعل فدخلت بنو بكر في عقد قريش وعهدهم ودخلت خزاعة في عقد رسول الله صلى الله عليه وسلم وعهده ... فخرج نوفل ابن معاوية الديلي في جماعة من بني بكر فبيت خزاعة وهم على الوتير فأصابوا منهم رجالاً وتناوشوا واقتتلوا وأعانت قريش بني بكر بالسلاح وقاتل معهم من قريش من قاتل مستخفياً ليلاً ... وخرج عمرو بن سالم الخزاعي حتى قدم على رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة فوقف عليه وهو جالس في المسجد بين ظهراني أصحابه فأنشده قصيدة يخبره فيها بالخبر و يستنصره، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نصرت يا عمرو ابن سالم.
                              و من ثمَّ غزا رسول الله صلى الله عليه وسلم قريشاً و وقع الفتح الأعظم فتح مكة.
                              و في هذا دليل على أن عهد قريش قد انتقض بسبب أن نفراً منها أعانوا بني بكر بالسلاح في قتلهم لرجال من بني خزاعة ـ تدل بعض الروايات ـ على أنهم كانوا مسلمين
                              إننا لو تصورنا صحة الميثاق الذي بين الحكومات العربية و غير العربية مع الولايات المتحدة الأمريكية لكان هذا الميثاق منتقضاً بين أمريكا و بين المسلمين بما تقوم به أمريكا من دعم واضح و ظاهر لليهود على إخواننا المسلمين في فلسطين بشتى صور الدعم العسكري و السياسي و الاقتصادي فكيف و نحن نعتقد أن هذا الميثاق غير شرعي و أن الانخراط فيه و الاحتكام إليه هو من صور التحاكم إلى الطاغوت الذي يعتبر ناقضاً من نواقض الإسلام و كان يسع هذه الدول لو كانت حريصة على إسلامها أن تكون مع بقية دول عدم الانحياز التي لم تنخرط في هذا الميثاق الأممي الطاغوتي.
                              و إذا كان تصرف نفر يسير قاموا بمساعدة رجالٍ من بني بكر بالسلاح على قتل أشخاص من بني خزاعة أدى إلى أن يغزو رسول الله قريشاً كلها و يقاتلهم لا فرق بين من أعان و من لم يعن و بين من شارك في القتال و بين من لم يشارك طالما أن الجميع ساكت و راضٍ بما حصل فالحكم فيهم سواء. و هكذا لا فرق بين الحكومة الأمريكية و بين شعبها فالكل أصبح محارباً يستحق القتل، فالحكومة تباشر تقديم الدعم بجميع أنواعه لليهود الغاصبين المحتلين لبلاد الإسلام في فلسطين، و الشعب يدعم حكومته بأغلبية ساحقة في مواقفها هذه ـ و الحكم هنا للغالب ـ و لا عبرة بالقلة المعارضة فالشعب هنا يعتبر بمثابة الردء لحكومته، و جاءت الحروب الأخيرة التي شنتها أمريكا على أفغانستان و العراق و تأييد أغلبية الشعب لحكومته في شن هذه الحروب ليكون دليلاً آخر يؤكد على أن أمريكا و شعبها أصبحوا حربيين تباح دماؤهم و أموالهم في كل زمان و مكان.
                              و جاءت الحرب الأخيرة على العراق التي خالفت فيها أمريكا المواثيق الدولية فحربها كانت ظالمة بجميع المقاييس حتى عند الكفار أنفسهم، فهي بالتالي خارجة عن ما يسمى بالشرعية الدولية و القانون الدولي، فالعهد و الميثاق معها منتقض شرعا ـ وهذا نقوله لمن يأخذ بالشرع ـ و منتقض قانوناً و هذا نقوله للعلمانيين و سائر المنافقين و المرتدين و خطباء المنابر في الحرمين و غيرهما الذين يقدسون القانون الدولي و يدعون إلى حل قضايا و مشكلات المسلمين من خلاله، والله المستعان.
                              ومن هذا يتضح أنه ليس لهم عهد ولا ذمة، لا على أساس شرعي، ولا على أساس قانوني، فهذه الشبهة ساقطة على كل حال) (1).
                              قال ابن القيم رحمه الله تعالى (2): (وفيها (أي غزوة فتح مكة) انتقاض عهد جميعهم بذلك، ردئهم و مباشريهم إذا رضوا بذلك، وأقروا عليه ولم ينكروه، فإن الذين أعانوا بني بكر من قريش بعضهم، لم يقاتلوا كلهم معهم، ومع هذا فغزاهم رسول الله صلى الله عليه وسلم كلهم، وهذا كما أنهم دخلوا في عقد الصلح تبعا، ولم ينفرد كل واحد منهم بصلح، إذ قد رضوا به وأقروا عليه، فكذلك حكم نقضهم للعهد، هذا هدي رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي لا شك فيه كما ترى.
                              وطرد هذا جريان هذا الحكم على ناقضي العهد من أهل الذمة إذا رضي جماعتهم به، وإن لم يباشر كل واحد منهم ما ينقض عهده، كما أجلى عمر يهود خيبر لما عدا بعضهم على ابنه، ورموه من ظهر دار ففدعوا يده، بل قد قتل رسول الله صلى الله عليه وسلم جميع مقاتلة بني قريظة، ولم يسأل عن كل رجل منهم هل نقض العهد أم لا؟ وكذلك أجلى بني النضير كلهم، وإنما كان الذي همَّ بالقتل رجلان، وكذلك فعل ببني قينقاع حتى استوهبهم منه عبد الله بن أبي، فهذه سيرته وهديه الذي لا شك فيه، وقد أجمع المسلمون على أن حكم الردء حكم المباشر في الجهاد).
                              قال ابن حزم رحمه الله وهو يعلق على حديث عطية القرظي رضي الله عنه حيث قال: (عرضت يوم قريظة على رسول الله صلى الله عليه وسلم فكان من أنبت قتل ومن لم ينبت خلى سبيله فكنت فيمن لم ينبت) (فهذا عموم من النبي صلى الله عليه وسلم لم يستبق منهم عسيفاً ولا تاجراً ولا فلاحاً ولا شيخاً كبيراً وهذا إجماع صحيح منهم رضي الله عنهم متيقن لأنهم في عرض من أعراض المدينة لم يخف ذلك على أحد من أهلها) (1).
                              ومن أراد الاستزادة في الرد على هذه الشبهة فليقرأ رسالة (برآة الموحدين من عهود الطواغيت والمرتدين) ورسالة (نصوص الفقهاء حول أحكام الإغارة والتترس) ورسالة (الخصائص الشرعية للجزيرة العربية) ورسالة (خصائص جزيرة العرب) ورسالة (حكم استخدام أسلحة الدمار الشامل) وكتاب (حقيقة الحرب الصليبية الجديدة) ففيه توضيح رائع لهذه المسألة والله الهادي إلى سواء السبيل.


                              إرشاد الحيارى في إباحة دماء النصارى في جزيرة العرب ـ حفيد أبي بصير (ص: 41)
                              إلا أن العدو إذا مثل بقتلى المسلمين جاز للمسلمين أن يمثلوا بقتلى العدو وترتفع الحرمة في هذه الحالة، والصبر وترك المثلة أفضل للمسلمين، أما الرسول (فالصبر وترك المثلة في حقه على الوجوب لأن الله سبحانه وتعالى أمره بالصبر وقال له: (واصبر وما صبرك إلا بالله) وقال للمؤمنين: (ولئن صبرتم) ندباً على الصبر، فالشاهد من الآية أن المثلة محرمة وارتفعت الحرمة في حال المعاقبة بالمثل، والآية عامة فيجوز أن يعامل المسلمون عدوهم بالمثل في كل شيء ارتكبوه ضد المسلمين، فإذا قصد العدو النساء والصبيان بالقتل، فإن للمسلمين أن يعاقبوا بالمثل ويقصدوا نساءهم وصبيانهم بالقتل لعموم الآية.
                              قال ابن مفلح في الفروع 6/ 218 نقلاً عن شيخ الإسلام ابن تيمية: إن المثلة حق لهم، فلهم فعلها للاستيفاء وأخذ الثأر، ولهم تركها، والصبر أفضل، وهذا حيث لا يكون في التمثيل بهم زيادة في الجهاد، ولا يكون نكالاً لهم عن نظيرها، فأما إذا كان في التمثيل الشائع دعاءً لهم إلى الإيمان أو زجراً لهم عن العدوان، فإنه هنا من باب إقامة الحدود والجهاد المشروع. و انظر الاختيارات لشيخ الإسلام 5/ 521.
                              قال ابن القيم في حاشيته 12/ 180: وقد أباح الله تعالى للمسلمين أن يمثلوا بالكفار إذا مثلوا بهم وإن كانت المثلة منهيا عنها فقال تعالى: (وإن عاقبتم فعاقبوا بمثل ما عوقبتم به) وهذا دليل على جدع الأنف وقطع الأذن وبقر البطن ونحو ذلك هي عقوبة بالمثل ليست بعدوان والمثل هو العدل، وأما كون المثلة منهيا عنها فلما روى أحمد في مسنده من حديث سمرة بن جندب وعمران بن حصين قال ما خطبنا رسول الله خطبة (إلا أمرنا بالصدقة ونهانا عن المثلة).
                              Last edited by murabit; 07-23-2016, 10:50 AM.

                              Comment

                              Working...
                              X