Announcement

Collapse
No announcement yet.

The Tragedy of Hyderabad (স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ যেভাবে ভারত দখল করে নেয় )

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • The Tragedy of Hyderabad (স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ যেভাবে ভারত দখল করে নেয় )

    উনিশ আর বিশ শতককে বলা যায় মুসলমানদের জন্য এক ক্ষয়িষ্ণুতার যুগ। এ কালে এসে মুসলমানরা যা পেয়েছে তার চেয়ে হারিয়েছে অনেক বেশি। সাম্রাজ্যবাদের রক্তাক্ত থাবা একালে মুসলমানদের যতো বেশি রক্ত ঝরিয়েছে বোধহয় এর নজির ইতিহাসে খুব একটি পাওয়া যাবে না। দেখতে দেখতে মুসলমান দেশগুলো সাম্রাজ্যবাদের করতলগত হয়েছে। শত শত বছরের মুসলিম ঐক্যের প্রতীক খেলাফত খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছে আর সে সাথে মুসলমানদের উপর নির্যাতন আর নিবর্তনের দীর্ঘ ট্র্যাজেডি রচিত হয়েছে। এরকম এক ট্র্যাজেডির নাম ‘হায়দারাবাদ’।

    সাম্রাজ্যবাদের প্রধান পুরোহিত বৃটেন শুধু মুসলিম দুনিয়ায় তার খবরদারি আর রক্তক্ষয় করেই ক্ষান্ত হয়নি, উপনিবেশগুলো থেকে বিদায় নেবার সময় তারা এমনসব সমস্যা জিইয়ে রেখে গেছে যার মাশুল আজও মুসলমানদের গুণতে হচ্ছে। এর একটি বড় প্রমাণ হচ্ছে আজকের কাশ্মির। কিন্তু কাশ্মিরের সাথে হায়দারাবাদের পার্থক্য হচ্ছে কাশ্মিরের জনগণ অদ্যাবদি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী জিহাদ জারি রেখেছে আর হায়দারাবাদের আজাদী-পাগল মানুষের সংগ্রামকে অত্যাচার আর নিবর্তনের স্টিমরোলারের তলায় স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন হায়দারাবাদের নাম পৃথিবী মনে রাখেনি। হায়দারাবাদ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল, তার ছিল স্বাধীন প্রশাসন, প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা – এসব আজ বিস্মৃত – প্রায়, ইতিহাসের গর্ভে আশ্রয় পেয়েছে।

    মীর লায়েক আলীর লেখা ‘The Tragedy of Hyderabad’ গ্রন্থে হায়দারাবাদের আজাদী-পাগল মানুষের সে বেদনাঘন কাহিনীর বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়। মীর লায়েক আলী ছিলেন স্বাধীন হায়দারাবাদের শেষ প্রধানমন্ত্রী। আগ্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে হায়দারাবাদের প্রতিরোধ যুদ্ধে এই লায়েক আলী তাঁর দেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার জন্য শেষাবধি লড়াই চালিয়েছিলেন। এ লড়াই যখন চলছিল, ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী স্বাধীন হায়দারাবাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন বিশ্বশান্তির মন্ত্র উচ্চারণকারী পুরোহিত দেশগুলো এ অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করেনি। এমনকি জাতিসংঘও না।

    হায়দারাবাদের মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকের শেষ দিকে। তখন থেকেই হায়দারাবাদকে কেন্দ্র করে মুসলিম শিল্প-সংস্কৃতির যে বিকাশ ঘটে, তা পুরো দাক্ষিণাত্যকে প্রভাবিত করেছিল। ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও হায়দারাবাদ পুরোপুরি স্বাধীনতা বিসর্জন দেয়নি। ব্রিটিশ সরকারের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে একটি দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের বিদায়ক্ষণেই হায়দারাবাদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই সাম্রাজ্যবাদী বৃটেন বুঝতে পেরেছিল পৃথিবী জুড়ে তার কারবার করবার দিন শেষ হয়ে এসেছে। তখন তারা ভারত ত্যাগের একরকম প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিল। ভারতে বৃটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিন্দুদের সহযোগিতায়। তাই বিদায়ের কালেও তারা পুরনো মিত্রকে অসন্তুষ্ট করতে চায়নি। ভারত বিভক্ত হোক এবং ভারতের বুক জুড়ে মুসলিম লীগের দাবি মোতাবেক একটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক মুসলিম বিদ্বেষী বৃটেন কখনোই চায়নি।


    ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। তিনি ছিলেন নেহেরুর ব্যক্তিগত বন্ধু। তিনিও চাননি ভারত বিভক্ত হোক।

    কেবলমাত্র কায়েদে আযমের প্রবল ব্যক্তিত্ব ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সামনে ব্রিটিশ সরকার ও কংগ্রেসের হিন্দু নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের দাবিকে অখণ্ডনীয় বাস্তবতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    পাকিস্তানের দাবিকে যখন ধূলিসাৎ করা গেল না, তখন নেহেরু ও তার সাম্রাজ্যবাদী বন্ধু মাউন্টব্যাটেন র*্যাডক্লিফ রোয়েদাদের মাধ্যমে বিকলাঙ্গ পাকিস্তান দেয়ার ব্যবস্থা করলো। মুসলমানদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতি উপেক্ষা ও ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে খর্বাকৃতির পাকিস্তান দেয়ার এসব গোপন পরামর্শের কথা পরবর্তীকালে ল্যারি কলিন্স ও ডোমিনিক লাপিয়ের কৃত ‘Freedom at Midnight’ গ্রন্থে বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। দেশ বিভাগের সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দেশীয় রাজ্যগুলো তাদের ইচ্ছানুসারে ভারত অথবা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবে অথবা তাদের স্বাধীন সত্তা বজায় রাখতে পারবে। মীর লায়েক আলী জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত অনুসারেই হায়দারাবাদের নিজাম মাউন্টব্যাটেনের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছিল, হায়দারাবাদ ভারত বা পাকিস্তান কোনো রাষ্ট্রেই যোগ দিবে না, সে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই থাকবে।

    মাউন্টব্যাটেন উত্তরে নিজামকে জানান যে, তিনি তার পত্র যথাযথভাবে ব্রিটিশ সরকারের কাছে প্রেরণ করেছেন এবং তিনি খুব শিগগিরই তার উত্তর আশা করছেন। মীর লায়েক আলী লিখেছেন- উত্তরপত্রটি অবশ্য কখনোই আসেনি। কেননা, মাউন্টব্যাটেন পরবর্তীকালে স্বীকার করেছেন, তিনি নিজামের পত্রটি ব্রিটিশ সরকারের নিকট আদৌ প্রেরণ করেননি। মাউন্টব্যাটেনের এই স্বীকৃতির সাথেই যোগ রয়েছে হায়দারাবাদকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার ও কংগ্রেসের হিন্দু নেতৃবৃন্দের গভীর ষড়যন্ত্রের। ভারত বিভাগের পরেও কংগ্রেস মাউন্টব্যাটেনকে স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্ণর জেনারেল নিয়োগ করেছিল। এ ছিল তার মুসলমানদের সাথে বেঈমানীর পুরস্কার।

    মাউন্টব্যাটেনকে কংগ্রেস কর্তৃক গভর্ণর জেনারেল নিয়োগের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় রাজ্যগুলোকে সুচতুর দক্ষতার সাথে ভারতভুক্ত করা। দেশীয় রাজ্য হিসেবে কাশ্মির ও হায়দারাবাদের গুরুত্ব ছিল সর্বাধিক এবং নেহেরুর দৃষ্টি বেশি করে পড়েছিল এ দুটি রাজ্যের ওপর। দেশ বিভাগের সাথে সাথে হায়দারাবাদ নিজেকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করে। সেখানে একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একটি স্বাধীন সরকারের জন্য যা যা প্রয়োজন তাও চালু করা হয়। কিন্তু অখণ্ড ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা নেহেরু এটা মেনে নিতে পারেননি- ভারতের হৃৎপিণ্ডের মধ্যে পাকিস্তানের মতো আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্র মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। তাই তিনি একে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে রাতারাতি দখল করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    আগ্রাসনের তারিখ নির্ধারিত হয় ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮। এ দিনটি নির্ধারণ করার পেছনে একটি কারণ ছিল। এর মাত্র দুদিন আগে কায়েদে আযম ইন্তেকাল করেছিলেন- সমগ্র পাকিস্তান তখন শোকে মুহ্যমান। ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল, এ সময় হায়দারাবাদে অভিযান চালালে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তেমন কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না। কার্যত তাই হয়েছিল। আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত ভারতীয় বাহিনীর সাথে হায়দারাবাদের সেনাবাহিনী টিকে থাকতে পারেনি। হায়দারাবাদ ভারতের পদানত হয়েছিল। মাত্র পাঁচ দিনের যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী ৭০,০০০ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। লুটতরাজ, নারী ধর্ষণ এগুলো তো ছিলই। এই যে সার্বিক গণহত্যা, ভারতীয় বাহিনীর মানবতা বিরোধী রক্তক্ষয় ও লোকক্ষয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক চোখ তুলে তাকায়নি।

    জাতিসংঘ থেকে খবর এলো- হায়দারাবাদ সংক্রান্ত যে আলোচনা সভা ১৬ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা ছিল, তা ২০ তারিখ পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম দমনের যে চিত্র একালে আমাদের সামনে স্পষ্ট হচ্ছে, তা একটিই ইঙ্গিত করে, মুসলিম নিবর্তনের ক্ষেত্রে সারা দুনিয়ার সব শক্তিই এক ও অভিন্ন সূত্রে গাঁথা। তাই হায়দারাবাদে ব্রাহ্মণ্যবাদী আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের চালিকাশক্তিগুলো নিস্ক্রিয়তার অভিনয় করে গেছে।

    হায়দারাবাদের যুদ্ধ থেকে আরেকটি জিনিস স্পষ্ট হয়ে ওঠে- মুসলমানের বিপর্যয় তার ভিতর থেকেই যুগে যুগে সূচিত হয়েছে। যুদ্ধে নিজাম বাহিনীর পরাজয় এতো ত্বরিত গতিতে সম্ভব হতো না, যদি হায়দারাবাদ বাহিনীর প্রধান এল এদরুস বিশ্বাসঘাতকতা না করতেন। পলাশীর যুদ্ধে মীর জাফর যে ভূমিকা পালন করেছিলেন সাঈদ আহমদ এল এদরুস তার পুনরাভিনয় করেছিলেন মাত্র। এ আলোচনা সম্পূর্ণ হবে না, যদি বিশ্বাসঘাতক এল এদরুসের পাশে দেশপ্রেমিক কাশেম রিজভীর নাম উচ্চারিত না হয়। এই দেশপ্রেমিক নিজস্ব উদ্যোগে দুই লাখ সদস্যের এক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছিলেন যারা ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল।
    হায়দারাবাদ আজ ইতিহাস হয়ে গেছে। কিন্তু সে ইতিহাস আমাদের জন্য কতকগুলো দিক নির্দেশনাও রেখে গেছে।
    • অখণ্ড ভারত তত্ত্বের প্রবক্তরা উপমহাদেশব্যাপী ব্রাহ্মণ্যবাদের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন এখনো বিসর্জন দেয়নি।
    • এ স্বপ্নের কথা সেই দশম শতাব্দীতে আলবেরুনী তার ‘কিতাবুল হিন্দ’-এ পরিস্কারভাবে লিখে গেছেন।
    • মনুসংহিতার সমাজের প্রধানরা যে অন্যের ন্যায্য দাবি-দাওয়াকে কখনোই মেনে নেয় না, তার কথা আলবেরুনীর চেয়ে সুন্দরভাবে কেউ বলতে পারেননি।
    • আধুনিককালে জওয়াহেরলাল নেহেরু তা ‘Discovery of India’ গ্রন্থে দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী সে স্বপ্ন বিস্তারের কথা পুনরায় উচ্চারণ করেছেন।

    এ ইতিহাসের পাতাগুলো আজ আমাদের নেড়ে-চেড়ে দেখবার প্রয়োজন আছে বৈকি! কারণ যে শক্তি হায়দারাবাদের বুক চিরে রক্তের বন্যা ছুটিয়েছিল, তারা যে আমাদের আজাদীকে পায়ের তলে পিষে মারবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই। সে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কাশেম রিজভীর মতো দেশপ্রেমিকদের কোমর বেঁধে দাঁড়ানোর সময় আজ এসেছে।

    সূত্রঃ বুকমাস্টার প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত “সাম্রাজ্যবাদ” গ্রন্থ।

    (collected & edited)
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

  • #2
    স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হায়দারাবাদ--- স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ https://dawahilallah.in/showthread.p...A7%87%E0%A6%B6
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      Hyderabad 1948: India's hidden massacre

      Hyderabad 1948: India's hidden massacre
      By Mike Thomson


      When India was partitioned in 1947, about 500,000 people died in communal rioting, mainly along the borders with Pakistan. But a year later another massacre occurred in central India, which until now has remained clouded in secrecy.

      In September and October 1948, soon after independence from the British Empire, tens of thousands of people were brutally slaughtered in central India.

      Some were lined up and shot by Indian Army soldiers. Yet a government-commissioned report into what happened was never published and few in India know about the massacre. Critics have accused successive Indian governments of continuing a cover-up.

      The massacres took place a year after the violence of partition in what was then Hyderabad state, in the heart of India. It was one of 500 princely states that had enjoyed autonomy under British colonial rule.

      When independence came in 1947 nearly all of these states agreed to become part of India.

      But Hyderabad's Muslim Nizam, or prince, insisted on remaining independent. This refusal to surrender sovereignty to the new democratic India outraged the country's leaders in New Delhi.

      After an acrimonious stand-off between Delhi and Hyderabad, the government finally lost patience.

      Historians say their desire to prevent an independent Muslim-led state taking root in the heart of predominantly Hindu India was another worry.

      Members of the powerful Razakar militia, the armed wing of Hyderabad's most powerful Muslim political party, were terrorising many Hindu villagers.

      This gave the Prime Minister, Jawaharlal Nehru, the pretext he needed. In September 1948 the Indian Army invaded Hyderabad.

      In what was rather misleadingly known as a "police action", the Nizam's forces were defeated after just a few days without any significant loss of civilian lives. But word then reached Delhi that arson, looting and the mass murder and rape of Muslims had followed the invasion.

      Determined to get to the bottom of what was happening, an alarmed Nehru commissioned a small mixed-faith team to go to Hyderabad to investigate.

      It was led by a Hindu congressman, Pandit Sunderlal. But the resulting report that bore his name was never published.

      Historian Sunil Purushotham from the University of Cambridge has now obtained a copy of the report as part of his research in this field.

      The Sunderlal team visited dozens of villages throughout the state.

      At each one they carefully chronicled the accounts of Muslims who had survived the appalling violence: "We had absolutely unimpeachable evidence to the effect that there were instances in which men belonging to the Indian Army and also to the local police took part in looting and even other crimes.
      "During our tour we gathered, at not a few places, that soldiers encouraged, persuaded and in a few cases even compelled the Hindu mob to loot Muslim shops and houses."


      The team reported that while Muslim villagers were disarmed by the Indian Army, Hindus were often left with their weapons. The mob violence that ensued was often led by Hindu paramilitary groups.


      In other cases, it said, Indian soldiers themselves took an active hand in the butchery: "At a number of places members of the armed forces brought out Muslim adult males from villages and towns and massacred them in cold blood."


      The investigation team also reported, however, that in many other instances the Indian Army had behaved well and protected Muslims.
      The backlash was said to have been in response to many years of intimidation and violence against Hindus by the Razakars.


      In confidential notes attached to the Sunderlal report, its authors detailed the gruesome nature of the Hindu revenge: "In many places we were shown wells still full of corpses that were rotting. In one such we counted 11 bodies, which included that of a woman with a small child sticking to her breast. "


      And it went on: "We saw remnants of corpses lying in ditches. At several places the bodies had been burnt and we would see the charred bones and skulls still lying there."


      At a number of places members of the armed forces brought out Muslim adult males...
      and massacred them



      The Sunderlal report estimated that between 27,000 to 40,000 people lost their lives.


      Sunderlal report


      No official explanation was given for Nehru's decision not to publish the contents of the Sunderlal report, though it is likely that, in the powder-keg years that followed independence, news of what happened might have sparked more Muslim reprisals against Hindus.


      It is also unclear why, all these decades later, there is still no reference to what happened in the nation's schoolbooks. Even today few Indians have any idea what happened.


      The Sunderlal report, although unknown to many, is now open for viewing at the Nehru Memorial Museum and Library in New Delhi.


      There has been a call recently in the Indian press for it to be made more widely available, so the entire nation can learn what happened.


      It could be argued this might risk igniting continuing tensions between Muslims and Hindus.


      "Living as we are in this country with all our conflicts and problems, I wouldn't make a big fuss over it," says Burgula Narasingh Rao, a Hindu who lived through those times in Hyderabad and is now in his 80s.
      "What happens, reaction and counter-reaction and various things will go on and on, but at the academic level, at the research level, at your broadcasting level, let these things come out. I have no problem with that."

      রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

      Comment


      • #4
        জাজাকাল্লাহ !!!!
        খুব সুন্দর তথ্য দেওয়ার জন্য ।

        Comment

        Working...
        X