Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফিরদের রক্ত হালাল হওয়ার দলিল-Murabit ভাই

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফিরদের রক্ত হালাল হওয়ার দলিল-Murabit ভাই

    কাফিরের রক্ত হালাল হওয়ার ব্যপারে ফুকাহাদের মতঃ


    قال الكاساني: (والأصل فيه: أن كل من كان من أهل القتال: يحلّ قتله سواء قاتل أو لم يقاتل). [بدائع الصنائع 101/7]

    কাছানি বলেন এই ক্ষেত্রে মূলনীতি হলোঃ (কাফের দের থেকে)যারা যুদ্ধকরার উপযোগি তাদের হত্যা করা বৈধ সে যুদ্ধেরত হোক অথবা যুদ্ধে রত না হোক।বাদায়ে ১০১/৭

    قال الشوكاني: (والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا). [السيل الجرار 369/4]

    শাওকানি বলেনঃ মুশরিক চাই যুদ্ধকরুক অথবা যুদ্ধ নাই করুক সে যতক্ষন মুশরিক আছে তার রক্ত ঝরানো বৈধ। আচ্ছআয়লুল জাররার ৩৬৯/৪

    وتأمل قول الفاروق عمر لأبي جندل -رضي الله عنهما-: (فإنما هم مشركون، وإنما دم أحدهم: دم كلب!). رواه أحمد والبيهقي.
    আর চিন্তা করো উমার রাজিঃ আবু জান্দাল রাজিঃ কে কী বলেছেন (তারা মুশরিক বৈ তো নয়, আর তাদের যে কারো রক্ত সুধু কুকুরেরে রক্ত।) আহমাদ বায়হাকির রিওয়াত।


    قال القرطبي: (والمسلم إذا لقي الكافر ولا عهد له: جاز له قتله).
    [تفسير القرطبي 338/5]
    আর মুসলিমের যদি সামনে কাফের পড়ে যায় যার সাথে কন চুক্তি নেইঃ তার জন্য জায়েয আছে একে হত্যা করে দেয়া।
    তাফছীরে কুরতবি ৩৩৮/৫

    قال ابن كثير: (قد حكى ابن جرير الإجماع على أن المشرك يجوز قتله إذا لم يكن له أمان وإن أمّ البيت الحرام أو بيت المقدس) [تفسير ابن كثير 6/2]
    ইবনে কাছীর বলেনঃ(ইবনে জারীর ইজমা/ঐক্যমত উল্ল্যেখ করেছেন যে, মুশরিক কে হত্যা করা জায়েযঃযদি তার জন্য নিরা পত্তা চুক্তি নাথাকে, যদিও সে হারাম শরীফ বা বায়তুল মাকদাসে হজ্জের উদ্দ্যশ্যে গমন করে, তাফছীরে ইবনে কাছীর ৬/২।

    (أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم: لم يكن ذلك له أمانا من القتل إذا لم يتقدم له أمان)[تفسير الطبري61/6]بتصرف
    সবাই ঐক্যমত যে মুশরিক যদি হারাম শরিফের সব গাছের বাকল /লতা পাতা দিয়েও নিজের বাহু,গলা জড়িয়ে রাখেঃ এটা তাকে হত্যা থেকে নিরাপদ করবেনা যদি আগে থেকে নিরাপত্ত্বাচুক্তি নাথাকে। তাফছীরে তাবারি ৬১/৬ ইষৎপরিবর্তিত

    قال الإمام النووي: (وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان) [روضة الطالبين 259/9]
    ইমাম নববি বলেনঃ(আর যেসব কাফের দের সাথে সন্ধি বা নিরাপত্ত্বাচুক্তি নেইঃ তাকে হত্যা করলে কোন রক্তমুল্য নেই সে যে ধর্মের অনুসারিই হোক না কেন। রাউজাতুত্তালিবীন ২৫৯/৯

    قال ابن مفلح: (ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير) [المبدع263/8]

    ইবনে মুফলিহ রাহঃ বলেন( তাকে হত্যা করার দ্বারা দিয়াত (রক্তপন) বা কাফফারা ওয়াজিব হবেনা - অর্থাৎ কাফের তার আমান (নিরাপত্তা চুক্তি) নেই- কারন তার সাভাবিক ভাবে রক্তবৈধ যেমন শুকর। আল্মুব্দি ২৬৩/৮

    قال الإمام الشافعي: (الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة). [الأم 264/1]
    ইমাম শাফেয়ি রাহঃ বলেন মহামহিম আল্লাহ তায়ালা কাফেরের রক্ত ও সম্পদ বৈধ করে দিয়েছেন হ্যাঁ তবে যদি সে জিযয়া দেয় অথবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিরাপত্ত্বা লাভ করে নেয়,(তাহলে সে সেটা পাবে)আলউম্ম ২৬৪/১

    قال الشوكاني: (أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السبف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…). [السيل الجرار522/4]
    শাওকানি বলেনঃ কফের দের রক্ত মৌলিক ভাবেই বৈধ যেমন আয়াতুচ্ছায়ফে (নির্দেশ করা হয়েছে), আরযদি তারা যুদ্ধ বাধিয়ে রাখে তাহলে?( আর কী কথা) আচ্ছায়লুল জাররার ৫২২/৪


    শাইখ হারিস আন-নাজ্জারি তার دروسٌ في التوحيدِ والقتال এর তিন নং দরস الكافرُ المعصومُ الدم অর্থাৎ কাফেরের রক্ত হালাল এখানে লিখেনঃ


    الكفار المحاربون هم الذين ليس لهم مع المسلمين عهد ولا ذمة، فإذا لم يكن بين الكفار وبين المسلمين عهد فهم أهل حرب؛ وإن لم تكن الحرب قائمة، كل من ليس له عهد مع المسلمين من أمان فهو من أهل الحرب مع المسلمين وهذه مسألة إجماعية وليست مسألة اجتهادية أو قول الجمهور بل انعقد الإجماع على هذا كما قال الإمام الطبري رحمه الله في تفسير جامع البيان، قال رحمه الله: "أجمعوا على أن المشرك لو قلد عنقه أو ذراعيه لحاء جميع أشجار الحرم لم يكن ذلك له أمانًا من القتل إذا لم يكن تقدم له عقد ذمة من المسلمين أو أمان" يقول لو أن الكافر اعتصم بجميع أشجار الحرم التي يحرم قطعها لو اعتصم بها جميعًا لم يكن ذلك أمانًا له حتى يعطيه المسلمون الأمان
    (মুহারিব) যুদ্ধা কাফের হলো তারা যাদের সাথে মুসলিমদের কোন সন্ধি বা চুক্তি নেই, যদি কাফেরদের মাঝে আর মুসলমানদের মাঝে কোন সন্ধি নাথাকে তাহলে তারা আহলে হারব অর্থাৎ যুদ্ধ উপযোগি যুদ্ধা, যদিও এখন যুদ্ধবেধেগিয়ে না থাকে, যাদের মাঝে আর মুসলিমদের মাঝে কোন নিরা পত্ত্বা সন্ধি নেই তারাই মুসলমানদের জন্য যুদ্ধপোযোগি যুদ্ধা।
    এটা একটি ইজমায়ি তথা সর্বসম্মত মাসআলা , কোন মতোবিরোধ যুক্ত বা গবেষনাযোগ্য মাসয়ালা নহে ,অথবা জুমহুর তথা বেশি সংখ্যকের অভিমত এমন ও নহে,বরং এর উপর ঐকমত্য সম্পন্ন হয়েছে যেমন ইমাম তাবারি রাহিঃ তাফছীরে জামিউল বায়ানে বলেনঃ সকলেই ঐকমত যে মুশরিক যদি হারাম শরিফের সব গাছের বাকল /লতা পাতা দিয়েও নিজের বাহু,গলা জড়িয়ে রাখেঃ এটা তাকে হত্যা থেকে নিরাপদ করবেনা , আগে থেকে যদি মুসলমানদের পক্ষ থেকে নিরাপত্ত্বাচুক্তি অথবা করারোপের মাধ্যমে নিরাপত্ত্বা না দেয়া থাকে। তিনি বলেন যে কাফের যদি হরমের তাবতঐসব বাকল দ্বারাও নিজেকে জড়িয়ে রাখে যে গুলো কাটা হারাম/ নিষীদ্ধ এই সব গুলোধরেও যদি আশ্রয়ি হয় তবো এটা তার জন্য নিরাপত্ত্বা বিধান করবেনা, যতক্ষন মুসলিমগন তাকে নিরাপত্ত্বা না দিবে।
    বর্তমান পৃথীবিতে মুজাহিদ দের সাথে কাফের গুষ্ঠির যুদ্ধ উভয় পক্ষ থেকে প্রকাশ্য স্পষ্টঘোষিত ভাবে বিদ্যমান এমন কেহ আছে যে এই যুদ্ধের ব্যপারে বেখবর? এর বেনিফিটের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই?
    এখন পুরা দুনিয়া দুই ভাগে বিভক্ত ফুস্তাতু ইমান ফুস্তাতু নিফাক্ব , এক পক্ষ মুসলিম মুকাতিল মুজাহিদীন অপর পক্ষ তাদের কে জংগিবাদি আখ্যায়িত করে এদের দমনে সচেষ্ট,এই মুজাহিদীনের সাথে যেসব কাফের দের সন্ধি বা নিরাপত্ত্বাচুক্তি নেই তাদের বেপারে মুজাহিদীনের কোন দায় দায়িত্ব নেই। আবু বাছীর উৎবা রাজিঃ দুই কাফেরের এক কাফের কে হত্যা করে দিয়েছেন, (বুখারি) অথচ সেই কাফের দের সাথে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া ছাল্লামের চুক্তি ছিল, পরবর্তিতে আবুজান্দাল সহ তার বাহিনী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লামের সাথে সন্ধিকৃত কুরায়শদের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, সেই যুদ্ধকে তখন আবুসুফিয়ান ও অন্যান্য কাফের ও অযৌক্তিক বলেনাই।আর এখন কিছু নাম ধারি ... তাগুত মুরতাদ মুজাহিদের শত্রুদের আশ্রিত কাফের দের হত্যার উপর প্রশ্ন তোলে । এটা কি মুর্খতা, অজ্ঞতা না মুনাফেকির কোন প্রকার? আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন, বিশ্বময় এই ইমান কুফরের জিহাদে মুজাহীদ গবেষক উলামায়ে কিরাম যাদের হাতে মুসহাফ-সাইফ, কিতাব-কিতাল, হাদীস-হাদীদ এক সাথে রয়েছে সেই আহলে সুগুর উলামাদের থেকে মাসয়ালা নিতেহবে। যেমনটি বলেছেন ইমাম আহমাদ আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক ,আর যেটি সব ফুকাহায়ে কিরামের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত যে যারা যুগের ঘটনা বলির নেপথ্য জ্ঞান রাখেনা তারা আর মুর্খ সমান। ইবনুল কায়্যিম বলেন তারা মানূষদের বিভ্রান্ত কারি ইমাম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেছেন আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের পরে সবচেয়ে ভয় করি বিভ্রান্ত কারি ইমামদের।কবি ইকবাল বলেন যে তুমাদের কাফেরদের গুলামি শিখায় সে ইমাম নহে।
    আশা করি এখান থেকে নিরেপক্ষ ভাবে আলোচনার খোরাক পাওয়া যাবে।

  • #2
    jazakallah

    Comment

    Working...
    X