Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুফফাররা যদি আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে, তবে আমরাও কি তাদের নারী-শিশু করতে পারব?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুফফাররা যদি আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে, তবে আমরাও কি তাদের নারী-শিশু করতে পারব?

    আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন -
    وَلا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلى أَلاَّ تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوى وَاتَّقُوا اللَّهَ - سورة المآئدة:8

    কোন কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। (সুরা মাইদাহ, আয়াত ৮)

    এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ক্বুরতুবী রহঃ বলেছেন,

    وَدَلَّتِ الْآيَةُ أَيْضًا عَلَى أَنَّ كُفْرَ الْكَافِرِ لَا يَمْنَعُ مِنَ الْعَدْلِ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُقْتَصَرَ بِهِمْ عَلَى الْمُسْتَحَقِّ مِنَ الْقِتَالِ وَالِاسْتِرْقَاقِ، وَأَنَّ الْمُثْلَةَ بِهِمْ غَيْرُ جَائِزَةٍ وَإِنْ قَتَلُوا نِسَاءَنَا وَأَطْفَالَنَا وَغَمُّونَا بِذَلِكَ، فَلَيْسَ لَنَا أَنْ نَقْتُلَهُمْ بِمُثْلَةٍ قَصْدًا لِإِيصَالِ الْغَمِّ وَالْحُزْنِ إِلَيْهِمْ

    অর্থ -
    “এই আয়াত আরো নির্দেশ করে যে কাফেরের কুফরের কারণে তাকে ইনসাফ থেকে বঞ্চিত রাখা যাবে না, এবং যুদ্ধ এবং দাসীকরণের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি (আচরণ) ন্যায়সঙ্গতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আর তাদের মুছলাহ করা জায়েয নয়। যদি তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করে এবং এভাবে আমাদের দুঃখে ভারাক্রান্ত করে, তবে তাদের কাছেও দুঃখ ও কষ্ট পৌঁছানোর জন্য আমরা তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুছলাহর মাধ্যমে হত্যা করব, এমন সুযোগ নেই।

    আল জামি’ লি-আহকামিল ক্বুরআন (তাফসীর আল ক্বুরতুবী) ৭/৩৭২


    দেখুন, ইমাম ক্বুরতুবী কী বলছেন! তিনি কিন্তু বলেন নি – কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে আমরাও তাদের নারী-শিশু হত্যা করব। বরং তিনি বলেছেন, যদি তারা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে দুঃখে আমাদের মন ভারী করে দেয়ও, তবে আমরা প্রতিশোধ হিসেবে যারা হত্যা করেছে কেবল তাদেরকেই হত্যা করব। কিন্তু তাদের হত্যার ক্ষেত্রেও মনের দুঃখ মেটানোর জন্য তাদের মুছলাহ (লাশ বিকৃতি) করতে পারব না! কারণ এটা ইনসাফের খেলাফ! আর তাই তিনি সুরা মাইদার ৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় এই প্রসঙ্গ নিয়ে এসেছেন, কারণ এই আয়াতে ইনসাফের কথা বলা হয়েছে।

    কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে, আমরাও তাদের হত্যা করব – এই প্রসঙ্গে আমি পূর্ববতী উলামাদের এই একটি বক্তব্যই পেয়েছি। আর এটিই উল্লিখিত মাসআলা বোঝার জন্য যথেষ্ট।

    আপনাদের কারো যদি জানা থাকে যে, অতীতে আল কায়েদা নারী-শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যে পরিনত করেছে, তাহলে জানাবেন। কারণ আমি এমন কোন ঘটনার কথা জানি না। তবে শর্ত হচ্ছে, ঐ ঘটনাতে নারী-শিশুদের পুরুষ হতে পৃথক করা যেতে হবে। যদি নারী-শিশু পুরুষের সাথে মিশে থাকে এবং তাদের আলাদা করা না যায়, তবে একে ইচ্ছাকৃত কিংবা টার্গেটেড হত্যা বলা হবে না।
    Last edited by Anjem Chowdhury; 07-19-2016, 09:01 PM.

  • #2
    জাজাকাল্লাহ। তবে আল কায়দা এমন হামলা করেছিল কিনা জানিনা।আমি খুব ভাল জানিনা,কিন্তুপেশোয়ারে ইস্কুলে তালেবান যে হামলা করেছিল সেখানে অধিকাংশ শিশু ছিল।

    Comment


    • #3
      প্রিয় ভাই,

      আপনি বারবার নারী শিশুদের কথা টেনে আনছেন কেন ? এই বিষয়ে আপনার সাথে কারো মত বিরোধ হয়েছে ?
      আমরা তো আপনার ঐ দাবীর বিরোধিতা করছি যা আপনি এই পোস্টে করেছেন যে, গুলশানে পুরুষদেরও হত্যা করা জায়েজ হয় নি।
      https://dawahilallah.in/showthread.p...A6%98%E0%A6%A8
      সামনে থেকে নারী-শিশু হত্যা নাজায়েজের প্রমান না দিলেই খুশি হব। কারণ তখন বিষয়টা অন্য দিকে মোড় নিবে। আর এই বিষয়ে তো আমরা সবাই একমতই।
      Last edited by আবু মুহাম্মাদ; 07-20-2016, 03:06 AM.
      মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
      রোম- ৪৭

      Comment


      • #4
        ভাই আমি বুজি নাই।। আরও একটু ব্যখ্যা করে বললে ভাল হয়।। আমার মাথায় শুধু নিচের কথা গুলা আসে।।যেই কারনে আমি মনে করি এইটা ঠিক।। ভাই আপনে আমার কথায় বিরক্ত/ রাগ হইয়েন না।। আমি বুজতে চাই।। শরীয়ত মানতে চাই।। নিচের কথায় আমার বুজার ভুল কই।।আমি আপনার কাছে সম্মানের সাথে জানতে চাই।।

        “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন –
        .
        সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সকল সীমালঙ্ঘনের (হুরুমাত) জন্য রয়েছে ক্বিসাসের নীতি। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালঙ্ঘন কর, যেমন সীমালঙ্ঘন তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা মুত্তাক্বী, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। [আল-বাকারা, ১৯৪]

        যদি কাফিররা আমাদের জনগণকে কোন বাছবিচার ছাড়া হত্যা করা নিজেদের জন্য বৈধ পরিগনিত করে নেয়, যদি তারা আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করে, যদি তারা যুদ্ধের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে তবে তাদেরকে একই ভাবে হামলা করা হবে, যেভাবে তারা হত্যা করে, সেভাবে তাদের হত্যা করা হবে, যেভাবে তারা বন্দী করে সেভাবে তাদের বন্দী করা হবে এবং আমরা সীমালঙ্ঘনকারী হবো না। কারন আগ্রাসনকারীর আগ্রাসনের জবাব দেয়া সীমালঙ্ঘন না।
        এ ব্যাপারে বিখ্যাত আলিম শায়েখ সালেহ আল উসাইমীনের বক্তব্য দেখুন –
        https://www.youtube.com/watch?v=bPVpv_afBHA
        .
        অতএব প্রথমত শারীয়াহগত অবস্থান থেকে সীমালঙ্ঘনকারী কাফির ক্বওমকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়াহ বৈধ।
        Reference : জংগীর সাথে কথোপকথন ’’

        “লক্ষ্য করবেন, ‘শত্রুরা আমাদের সাথে যে আচরণ করবে আমরাও সে আচরন করব’, এই ব্যাপারে এখনো আমি কোন দালিল উপস্থাপন করিনি। পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিমদের উপর যে হামলা চালিয়েছে এই দালিল নিয়ে আসলে তাদের জনসাধারনের পক্ষে যারা আজ তর্ক করছে তাদের কথা বলার কোনো সুযোগই থাকবে না।
        Reference : মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত দেশসমূহের জনসাধারণকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো: শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ)”

        Comment


        • #5
          Originally posted by আবু মুহাম্মাদ View Post
          প্রিয় ভাই,

          আপনি বারবার নারী শিশুদের কথা টেনে আনছেন কেন ? এই বিষয়ে আপনার সাথে কারো মত বিরোধ হয়েছে ?
          আমরা তো আপনার ঐ দাবীর বিরোধিতা করছি যা আপনি এই পোস্টে করেছেন যে, গুলশানে পুরুষদেরও হত্যা করা জায়েজ হয় নি।
          সামনে থেকে নারী-শিশু হত্যা নাজায়েজের প্রমান না দিলেই খুশি হব। কারণ তখন বিষয়টা অন্য দিকে মোড় নিবে। আর এই বিষয়ে তো আমরা সবাই একমতই।
          একমত...............

          Comment


          • #6
            সহমত......

            Comment


            • #7
              প্রিয় ভাই,

              আপনি বারবার নারী শিশুদের কথা টেনে আনছেন কেন ? এই বিষয়ে আপনার সাথে কারো মত বিরোধ হয়েছে ?
              আমরা তো আপনার ঐ দাবীর বিরোধিতা করছি যা আপনি এই পোস্টে করেছেন যে, গুলশানে পুরুষদেরও হত্যা করা জায়েজ হয় নি।
              https://dawahilallah.in/showthread.p...A6%98%E0%A6%A8
              সামনে থেকে নারী-শিশু হত্যা নাজায়েজের প্রমান না দিলেই খুশি হব। কারণ তখন বিষয়টা অন্য দিকে মোড় নিবে। আর এই বিষয়ে তো আমরা সবাই একমতই।
              উহুম, ভাই। সবাই একমত না। Abu Anwar Hindi ভাই লিখেছেন তাদের হত্যা করা ঠিক আছে। ফেসবুকের হানীন ইলদারম বলছে, কাফিরদের নারী-শিশু হত্যা ঠিক হয়েছে। জঙ্গীর সাথে কথোপকথন পেজ বলছে, ঠিক হয়েছে। Base in the land of Bengal বলছে ঠিক হয়েছ।

              আপনার মনে হয় জানা নেই, আত তিবইয়ান প্রকাশনী থেকে নারী-শিশুদের হত্যা জায়েয প্রমাণ করে একটি বেনামী (লেখকের নাম নেই) বইও বের হয়েছে।

              শায়খ আবু ক্বাতাদা ফিলিস্তিনী বলেছেন, জায়েয আছে।

              ইবনে উসাইমীন বলেছেন, জায়েয আছে।
              ------------------------------------------
              আপনার দেখি কোন আইডিয়াই নেই!?

              Comment


              • #8
                চিন্তার বিসয়...........
                দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                Comment


                • #9
                  صحيح البخاري ت (10/ 237)
                  - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ حِينَ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ حَفِظْتُ بَعْضَهُ وَثَبَّتَنِي مَعْمَرٌ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ قَالَا خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَهُ وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ وَبَعَثَ عَيْنًا لَهُ مِنْ خُزَاعَةَ وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى كَانَ بِغَدِيرِ الْأَشْطَاطِ أَتَاهُ عَيْنُهُ قَالَ إِنَّ قُرَيْشًا جَمَعُوا لَكَ جُمُوعًا وَقَدْ جَمَعُوا لَكَ الْأَحَابِيشَ وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنْ الْبَيْتِ وَمَانِعُوكَ فَقَالَ أَشِيرُوا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيَّ أَتَرَوْنَ أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ وَذَرَارِيِّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّونَا عَنْ الْبَيْتِ فَإِنْ يَأْتُونَا كَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ قَطَعَ عَيْنًا مِنْ الْمُشْرِكِينَ وَإِلَّا تَرَكْنَاهُمْ مَحْرُوبِينَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجْتَ عَامِدًا لِهَذَا الْبَيْتِ لَا تُرِيدُ قَتْلَ أَحَدٍ وَلَا حَرْبَ أَحَدٍ فَتَوَجَّهْ لَهُ فَمَنْ صَدَّنَا عَنْهُ قَاتَلْنَاهُ قَالَ امْضُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ
                  এখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার পথে বাধাদানে গমন কারিদের বাড়ি ঘড়ে নারি শিশুদের উপর আক্রম চালিয়ে দেয়ার বিষয়ে মাশওয়ারা করেছেন , শত্রু যুদ্ধাদের যুদ্ধে বেকায়দা ফেলার কৌশল হিসাবে যদি নারি শিশুদের উপর এই আক্রমন নাজায়েজ হতো তাহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাশোয়ারা করলেন কিভাবে ? শরিয়োতে নাজায়েজ বিষয়ে মাশোয়ারা কিসের?
                  কাফের দের হত্যা করা এটা কি আদলের খেলাফ? আদল কি সব কিছু সমান সমান করার নাম? না প্রত্যেক কে তার উপোযুক্ত হক্ব প্রদান করার নাম।
                  ইমাম কুরতবির ভাষ্যে নারি শিশু হত্যা নিষেধ এটা আপনি কিভাবে আবিষ্কার করলেন এখানে নারি শিশুর হত্যার প্রতিষোধে তাদের লাশ বিকৃতি করবেনা এটা বলা হয়েছে , তাদের নারি শিশু কে হত্যা করা হবেনা এটা কিভাবে আপনি ইমাম কুরতুবির মুখে চাপিয়ে দিচ্ছেন, আপনি নারি শিশুদের হত্যার বেপারে ইমামদের একটি উক্তি ই পেয়েছেন
                  যেখানে নারি শিশুদের হত্যার ব্যপারে কোন বক্তব্যই নেই। এটাই আপনার দলীল।
                  আত তিবইয়ান প্রকাশনী থেকে নারী-শিশুদের হত্যা জায়েয প্রমাণ করে মুসান্নিফের নাম ছাড়া একটি বের হওয়া বইয়ের বিপরিতে। শায়খ আবু ক্বাতাদা ফিলিস্তিনী, ইবনে উসাইমীন জায়েজ বলে অভিমত প্রদানের ও তাদের গবেষনার বিপক্ষে। মাশাআল্লাহ!!
                  الْمُسْتَحَقِّ مِنَ الْقِتَالِ وَالِاسْتِرْقَاقِ، কুরতুবির এই ইবারতের অর্থ আপনি করেছেন "যারা হত্যা করেছে" আসলেই কি আপনি না বুঝে এমন অর্থ করেছেন? এই ইবারতের অর্থ "যারা যুদ্ধের এবং বন্দিত্ব বরনের বরনের উপযোগি"
                  এখন আপনি বলোন " তবে আমরা প্রতিশোধ হিসেবে যারা হত্যা করেছে কেবল তাদেরকেই হত্যা করব"। এটা
                  আর এই অর্থ "তবো আমরা প্রতিশোধ হিসেবে কেবল তাদেরকেই হত্যা করব যারা যুদ্ধ এবং বন্দিত্বের উপযোগি। (আর তাদের সাথে লাশ বিকৃতির আচরন জায়েজ নেই যদিও তারা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করে দুঃখে আমাদের মন ভারী করে দেয়, তবো ইচ্ছা করে তাদের লাশ বিকৃত করে আমরা তাদের কে দুঃখ- কষ্ট পৌছাতে পারিনা।" এই দুই অনুবাদে আসল বক্তব্যে কোন ব্যবধান হয় কিনা? এখানে তাদের নারি শিশু যুদ্ধ ওবন্দিত্বের উপযোগি কিনা এই বিষয়ে কোন আলোচনা করা হয়নি।সে বেপারে এখানে কোন বক্তব্যই নেই।
                  আপনি বলেছেন "তিনি কিন্তু বলেন নি – কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে আমরাও তাদের নারী-শিশু হত্যা করব।"
                  তাহলে তিনি কি এটা বলেছেন?-কুফফাররা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করলে আমরা তাদের নারী-শিশু হত্যা করব না।
                  এখানে এ বিষয়ের আলোচনা নেই। আপনি কিভাবে এমন সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম বিভ্রান্তিতে নিপতিত হচ্ছেন?/ না করছেন।

                  Comment


                  • #10
                    শত্রু যুদ্ধাদের যুদ্ধে বেকায়দা ফেলার কৌশল হিসাবে যদি নারি শিশুদের উপর এই আক্রমন নাজায়েজ হতো তাহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাশোয়ারা করলেন কিভাবে ? শরিয়োতে নাজায়েজ বিষয়ে মাশোয়ারা কিসের?
                    সহমত।

                    ইমামদের ক্বাউল থেকে যা বুঝা যায়, কাফেরর রক্ত হালালের মূলনিতির মধ্যে নারী-শিশুও সামিল ছিল। অর্থাৎ মূলত জায়েজ ছিল। কিন্তু হারাম ভিন্ন কারণেঃ- যেমন তারা যুদ্ধ্যে সক্ষম না হওয়ার তাদের মাধ্যমে ক্ষতি তো নেইই বরং বিভিন্ন উপকারে আসে। বিভিন্ন নসে হারামের এটাই ইল্লাত বা কারণ।
                    কিন্তু যদি তারা কোন ক্ষতি করে বা তাদের হত্যা করলে যুদ্ধ্যের সামান্যতম উপকার হলেও মূল হুকুমেই ফিরে আসবে। কাফ্র হিসেবে হত্যা জায়েজ।
                    Last edited by আবু মুহাম্মাদ; 07-21-2016, 07:18 PM.
                    মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
                    রোম- ৪৭

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by আল্লার বান্দা View Post
                      জাজাকাল্লাহ। তবে আল কায়দা এমন হামলা করেছিল কিনা জানিনা।আমি খুব ভাল জানিনা,কিন্তুপেশোয়ারে ইস্কুলে তালেবান যে হামলা করেছিল সেখানে অধিকাংশ শিশু ছিল।
                      ভাই, পেশোয়ারে স্কুল হামলা করেছিল তেহরিকে তালেবানের এক অংশ। তালিবান ও আল-কায়েদার তরফ থেকে এই হামলার বৈধতা দেয়া হয় নি বরং এটা তাদের মানহাজ নয় বলে উল্লেখ করেছেন।

                      Comment


                      • #12
                        আত তিবিয়ানের বইতে অনেক আলেমদের ফতোয়া দেয়া আছে। যেমন শায়েখ হামুদ শোয়াইবি, নাসির ফাহদ। ফিলিস্তিনের ৮০ জনের মতো শায়েখের ফতোয়াও দেয়া। ইনারা কি সব গোমরাহ? বাতিল ফিকহি অবস্থান গ্রহন করছেন তারা? বেনামি বই বলে ইনাদের নামের ওজন চাঁপা দেয়া যাবে না

                        Comment


                        • #13
                          صحيح البخاري ت (10/ 237)
                          - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ حِينَ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ حَفِظْتُ بَعْضَهُ وَثَبَّتَنِي مَعْمَرٌ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ قَالَا خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَهُ وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ وَبَعَثَ عَيْنًا لَهُ مِنْ خُزَاعَةَ وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى كَانَ بِغَدِيرِ الْأَشْطَاطِ أَتَاهُ عَيْنُهُ قَالَ إِنَّ قُرَيْشًا جَمَعُوا لَكَ جُمُوعًا وَقَدْ جَمَعُوا لَكَ الْأَحَابِيشَ وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنْ الْبَيْتِ وَمَانِعُوكَ فَقَالَ أَشِيرُوا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيَّ أَتَرَوْنَ أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ وَذَرَارِيِّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّونَا عَنْ الْبَيْتِ فَإِنْ يَأْتُونَا كَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ قَطَعَ عَيْنًا مِنْ الْمُشْرِكِينَ وَإِلَّا تَرَكْنَاهُمْ مَحْرُوبِينَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجْتَ عَامِدًا لِهَذَا الْبَيْتِ لَا تُرِيدُ قَتْلَ أَحَدٍ وَلَا حَرْبَ أَحَدٍ فَتَوَجَّهْ لَهُ فَمَنْ صَدَّنَا عَنْهُ قَاتَلْنَاهُ قَالَ امْضُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ
                          এখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার পথে বাধাদানে গমন কারিদের বাড়ি ঘড়ে নারি শিশুদের উপর আক্রম চালিয়ে দেয়ার বিষয়ে মাশওয়ারা করেছেন , শত্রু যুদ্ধাদের যুদ্ধে বেকায়দা ফেলার কৌশল হিসাবে যদি নারি শিশুদের উপর এই আক্রমন নাজায়েজ হতো তাহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাশোয়ারা করলেন কিভাবে ? শরিয়োতে নাজায়েজ বিষয়ে মাশোয়ারা কিসের?
                          @মুরাবিত ভাই, "أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ وَذَرَارِيِّ" এর অর্থ হত্যা করা নয়। "মাইল" মাসদারের অর্থ উপর থেকে নিচে পতিত হওয়া। এখানে রাসুল সাঃ পরামর্শ করেছেন, নারী-শিশুদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাদের দাসে পরিণত করবেন কি-না? দাস বানাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু হত্যা করতে স্বয়ং রাসুল সাঃ নিষেধ করেছেন।
                          ইমামদের ক্বাউল থেকে যা বুঝা যায়, কাফেরর রক্ত হালালের মূলনিতির মধ্যে নারী-শিশুও সামিল।
                          @ আবু মুহাম্মদ ভাই, আপনি এই কথা কীভাবে বলেন? আপনিই তো "আল মাওসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ" এর উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন, জুমহুর হত্যা বৈধ হওয়ার জন্য কুফরের পাশাপাশি ইত্বাক্বাতুল ক্বিতাল বা যুদ্ধ করার ক্ষমতা শর্ত করেছেন। তাহলে, নারী-শিশুর রক্ত হালাল হওয়া কীভাবে বুঝা যায়? হ্যাঁ, নারী-শিশুরা মুসলিমদের সম্পত্তিতে পরিণত হয় কিন্তু এটাকেই তাদের হত্যা নিষেধ হওয়ার কারণ ইমাম শাফিয়ী, ইবনু হাযম প্রমুখ সংখ্যালঘু ফক্বীহ বলেছেন।

                          Comment


                          • #14
                            @মুরাবিত ভাই, শরীয়ত একের অপরাধে অন্যকে হত্যা করা না-জায়েয ঘোষণা করেছে, নিচের দলীলগুলো দেখুন। এরপর এই দলীলগুলো খণ্ডন করে প্রমাণ করুন, একের অপরাধে অন্যকে হত্যা জায়েয আছে।
                            Last edited by Anjem Chowdhury; 07-21-2016, 05:56 PM.

                            Comment


                            • #15
                              হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে হত্যাকারী ব্যাতীত অন্যকে হত্যা করা হারাম।

                              @মুরাবিত ভাই, শরীয়ত একের অপরাধে অন্যকে হত্যা করা না-জায়েয ঘোষণা করেছে, নিচের দলীলগুলো দেখুন। এরপর এই দলীলগুলো খণ্ডন করে প্রমাণ করুন, একের অপরাধে অন্যকে হত্যা জায়েয আছে। কাফিরদের পুরুষেরা আমাদের নারী-শিশু হত্যা করেছে, অপরাধী পুরুষ, এর প্রতিশোধ নারীদের উপর নেয়া হবে কেন? ধরা যাক, আব্দুল্লাহর পিতাকে সাদেক খুন করেছে। তাহলে আব্দুল্লাহ কাকে খুন প্রতিশোধ হিসেবে কাকে খুন করবে? সাদেককে নাকি তার পিতাকে? উত্তর সাদেককে, কারন তার পিতার দোষ নেই। এটাই ইনসাফ। আর আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের সাথেও ইনসাফ করতে আদেশ করছেন। এরশাদ হচ্ছে-

                              ولا يجرمنكم شنأن قوم على الا تعدلوا، اعدلوا هو أقرب للتقوى سورة مائدة 8
                              "কোন জাতির প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের ইনসাফ করা থেকে বিরত না রাখে, তোমরা ইনসাফ করো, এটাই তাকওয়ার নিকটবর্তী" [মায়িদাহ, আয়াত ৮]

                              1.
                              আল্লাহ বলেন,
                              فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُواْ عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ

                              "যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তার উপর তোমরা সীমালঙ্ঘন করো সেই পরিমানে সে সীমালঙ্ঘন করেছে।." [সুরা বাকারাঃ ১৯৪].

                              সুতরাং যে সীমালঙ্ঘন করেছে, তার উপরেই সীমালঙ্ঘন করতে হবে। অন্যদের উপর নয়।

                              2.
                              এ কারণে ইবনে তায়মিয়্যাহ বলেন:
                              وقال:{وإن عاقبتم فعاقبوا بمثل ما عوقبتم به} الآية. إن كان قد سبه فله أن يسبه مثل ما سبه إذا لم يكن فيه عدوان على حق محض لله أو على غير الظالم . فإذا لعنه أو سماه باسم كلب ونحوه فله أن يقول له مثل ذلك فإذا لعن أباه لم يكن له أن يلعن أباه ؛ لأنه لم يظلمه . وإن افترى عليه كذبا لم يكن له أن يفتري عليه كذبا ؛ لأن الكذب حرام
                              "আল্লাহর বাণী: "আর যদি তোমরা শাস্তি দাও, তবে শাস্তি দাও সেই পরিমানে, যেই পরিমাণে তোমরা শাস্তির শিকার হয়েছো।" তাই কেউ যদি তাকে গালি দেয়, তাহলে তার অধিকার আছে ঐ ব্যাক্তিকে গালি দেবার, যতক্ষণ সে আল্লাহর হক্ব কিংবা নিরপরাধ ব্যাক্তির হক্ব সীমালঙ্ঘন না করে। যদি ঐ ব্যাক্তি তাকে কুকুরের নামে নাম দেয় কিংবা অভিশাপ করে, তবে সে ঐ ব্যাক্তিকে একইভাবে জবাব দিতে পারবে। কিন্তু যদি ঐ ব্যাক্তি তার পিতাকে অভিশাপ দেয়, তবে সে ঐ ব্যাক্তির পিতাকে অভিশাপ দিতে পারবে না- কেননা ঐ ব্যাক্তির পিতা তার উপর যুলুম করে নি।" আর যদি ঐ ব্যাক্তি তাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়, তবে সে ঐ ব্যাক্তিকে মিথ্যা অপবাদ দিতে পারবে না। কেননা মিথ্যা বলা হারাম।

                              ["মাজমু’উল ফাতাওয়া", ১১/৫৪৭].

                              3.
                              ইমাম কুরতুবী এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন:
                              فمن ظلمك فخذ حقك منه بقدر مظلمتك ، لا تتعدى إلى أبويه ولا إلى ابنه أو قريبه ،
                              "যে তোমার উপর যুলুম করে, তবে তুমি তোমার অধিকার তার যুলুমের সমপরিমাণে তার কাছ থেকে গ্রহন করো। কিন্তু তার বাপ-দাদা, সন্তানাদি কিংবা আত্মীয়দের উপর সীমালঙ্ঘন করো না।"
                              ["তাফসীরে কুরতুবী", ২/৩৬০].

                              4.
                              সহীহ হাদীসে আছে:
                              إِنَّ مِنْ أَعْتَى النَّاسِ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ قَتَلَ غَيْرَ قَاتِلِهِ
                              "আল্লাহ আযযা ওয়াজাল্লের নিকট সবচেয়ে অবাধ্য ঐ ব্যাক্তি, যে হত্যা করে নি (হত্যার প্রতিশোধরূপে) তাকে হত্যা করে। "
                              [সহীহ - "মুসনাদে আহমদ", ১৬০৩৩ - "মুস্তাদরাকে হাকেম", ৮০৯৭ - "সুনানে দারাকুতনী", ২৭৭১ - "সুনানে কুবরা", ১৪৬১০ - "মু’জামে কবীর", ১৭৯৭৮ - "ইবনে হিব্বান", ১৩/৩৪১].

                              5.
                              ইবনে কাছীর (৭৭৪ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
                              قالوا معناه فلا يسرف الولي في قتل القاتل بأن يمثل به أو يقتص من غير القاتل
                              "আল্লাহর বাণী: "হত্যার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করো না", [সুরা ইসরা :৩৩], এর অর্থ হচ্ছে: নিহতের ওয়ালী যেন হত্যাকারীর দেহ বিকৃত না করে হত্যা করে কিংবা যে হত্যা করে নি তার কাছ থেকে কিসাস নেয়ার মাধ্যমে বাড়াবাড়ি না করে।"
                              ["তাফসীরে ইবনে কাছীর", ৫/৭৪].

                              6.
                              ইমাম কুরতুবী (৬৭১ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
                              أي لا تقتلوا غير القاتل
                              "হত্যা কারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করো না।"

                              ["জামেউল আহকাম", ১০/২৩০]

                              7.
                              ইবনে জারীর তাবারী (৩১০ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
                              فلا تقتل بالمقتول ظلما غير قاتله ، وذلك أن أهل الجاهلية كانوا يفعلون ذلك إذا قتل رجل رجلا عمد ولي القتيل إلى الشريف من قبيلة القاتل ، فقتله بوليه ، وترك القاتل ، فنهى الله عز وجل عن ذلك عباده
                              "... নিহতের বদলা হিসেবে হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে যুলুম করে হত্যা করা যাবে না, কারণ জাহেলী যুগে মানুষ এটা করত. যদি এক লোক অপর লোককে হত্যা করত, তখন নিহতের ওয়ালী হত্যাকারীর গোত্রের অভিজাত কাউকে হত্যা করত। আর হত্যাকারীকে ছেড়ে দিত। আল্লাহ এটা নিষেধ করেন।“
                              حدثنا محمد بن عبد الأعلى ، قال : ثنا محمد بن ثور ، عن معمر ، عن قتادة ( فلا تسرف في القتل ) قال : لا تقتل غير قاتلك ، ولا تمثل به .
                              ক্বাতাদা বলেন: "আয়াতের অর্থ: হত্যাকারী ব্যাতীত অন্যকে হত্যা করবে না, এবং তার লাশ/দেহ বিকৃতও করবে না।."
                              حدثنا ابن بشار ، قال : ثنا عبد الرحمن ، قالا ثنا سفيان ، عن منصور ، عن طلق بن حبيب ، في قوله ( فلا تسرف في القتل ) قال لا تقتل غير قاتله ، ولا تمثل به .
                              তালাক বিন হাবীব বলেন: "তাই হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করো না এবং লাশ বিকৃতও করো না।"
                              ["তাফসীরে তাবারী", ১৭/৪৪১].

                              8.
                              বাগাভী রহঃ বলেন:
                              فقال ابن عباس ، وأكثر المفسرين : معناه لا يقتل غير القاتل وذلك أنهم كانوا في الجاهلية إذا قتل منهم قتيل لا يرضون بقتل قاتله حتى يقتلوا أشرف منه
                              "ইবনে আব্বাস এবং অধিকাংশ মুফাসসীর বলেন: আয়াতের অর্থ নিহতের বদলা হিসেবে হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করা যাবে না, কারণ জাহেলী যুগে মানুষ এটা করত। যদি কেউ নিহত হত, তারা কেবল হত্যাকারীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকত না বরং তারা গোত্রের অভিজাতদের হত্যা করত।”
                              ["তাফসীরে বাগাভী", ৫/৯১].

                              9.
                              তাফসীরে জালালাইনে আছে:
                              فَلاَ يُسْرِف } يتجاوز الحدّ { فِّى ٱلْقَتْلِ } بأن يقتل غير قاتله
                              "বাড়াবাড়ি করো না, সীমা অতিক্রম করে, "হত্যার ক্ষেত্রে", হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যার মাধ্যমে"
                              ["তাফসীরে জালালাইন", ১৭/৩৩].

                              10.
                              ইমাম আলূসী হানাফী এই আয়াতের তাফসীরে লিখেন:
                              من قتل بحديدة قتل بحديدة ومن قتل بخشبة قتل بخشبة ومن قتل بحجر قتل بحجر ولا يقتل غير القاتل
                              "যে লোহা দিয়ে হত্যা করে তাকে লোহা দিয়ে হত্যা করা হবে, যে কাঠ দিয়ে হত্যা করে তাকে কাঠ দিয়ে, আর যে পাথর দিয়ে হত্যা করে তাকে পাথর দিয়ে হত্যা করা হবে – কিন্তু হত্যাকারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করা যাবে না।"
                              ["রুহুল মা’আনী", ১৭/৩৩]
                              Last edited by Anjem Chowdhury; 07-21-2016, 05:51 PM.

                              Comment

                              Working...
                              X