Announcement

Collapse
No announcement yet.

রক্ত ঝরানোর নিষেধাজ্ঞা (حقن الدم) এবং রক্তের নিরাপত্তা (العصمة) সম্পর্কে মূলনীতি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রক্ত ঝরানোর নিষেধাজ্ঞা (حقن الدم) এবং রক্তের নিরাপত্তা (العصمة) সম্পর্কে মূলনীতি

    আমি এখানে উল্লিখিত অনেক অবস্থান থেকে সরে এসেছি।
    Last edited by Anjem Chowdhury; 07-24-2016, 01:32 PM.

  • #2
    "বর্তমানে এর কোনটাই মুসলিমদের নেই। সুতরাং মুসলিমরা জন্য বর্তমানে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফির রাষ্ট্রে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারবে না এবং যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফিরকেও হত্যা করতে পারবে না।"

    আচ্ছা আপনি আমার এই কথাটার উত্তর দিন ... মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি বর্তমানে বিশ্বে কি এমন কোন রাষ্ট্র আছে ?
    Last edited by polashi; 07-20-2016, 04:05 AM.
    কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

    Comment


    • #3
      আন্জেম চৌধুরী ! আল্লাহর ওয়াস্তে সারা বিশ্বের এমন একিট রাষ্ট্র দেখান যেটা কোন না কোন ভাবে বর্তমানে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি যেন আমরা সেই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে পারি !!!
      কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

      Comment


      • #4
        আন্জেম চৌধুরীকে বলব পলাশী ভাইয়ের উত্তর দিন। আপনি যেহেতু ফতোয়া দিয়েছেন, প্রতিটা প্রশ্নকারীর উত্তর দিবেন আশা করি।আপনি কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিচ্ছেন না। পাঠ বাই পাঠ উত্তর দেন। অনেক গুলো প্রশ্নের একটি উত্তর দিয়ে সকল কিছু গুলিয়ে ফেলছেন।
        ভাইয়েরা যদি,
        প্রশ্ন নং ১:
        প্রশ্ন নং ২:
        প্রশ্ন নং ৩:

        এভাবে লেখেন তাহলে আন্জেম চৌধুরী প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
        আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

        Comment


        • #5
          মুহতারাম আখী,

          আপনার কিছু কথার উত্তর এখানে দেখে নেনঃ-



          বাকি গুলো আসছে।
          মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
          রোম- ৪৭

          Comment


          • #6
            ৩. (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ) কারো রক্তের নিরাপত্তা না থাকা, আর তার রক্ত ঝরানো হালাল হওয়া সমান কথা নয়। ঠিক তেমনি কারো রক্ত ঝরানো নিষিদ্ধ হওয়া মানেই তার রক্তের নিরাপত্তা আছে, এমনটিও নয়।
            এটা আগে বিস্তারিত জানাতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              উফফ ভাই আঞ্জেম, আসলে আপনি কা চান আল্লাহ আর আপনি ছাড়া কেউ জানে না।
              আপনাকে না আগেই এর জবাব দেয়া হয়েছে...
              "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
              বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

              Comment


              • #8
                لَا يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَن يُجَاهِدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالْمُتَّقِينَ [٩:٤٤]
                আল্লাহ ও রোজ কেয়ামতের প্রতি যাদের ঈমান রয়েছে তারা মাল ও জান দ্বারা জেহাদ করা থেকে আপনার কাছে অব্যাহতি কামনা করবে না, আর আল্লাহ সাবধানীদের ভাল জানেন।
                ﴿٤٤﴾

                إِنَّمَا يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَارْتَابَتْ قُلُوبُهُمْ فَهُمْ فِي رَيْبِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ [٩:٤٥]
                নিঃসন্দেহে তারাই আপনার কাছে অব্যাহতি চায়, যারা আল্লাহ ও রোজ কেয়ামতে ঈমান রাখে না এবং তাদের অন্তর সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, সুতরাং সন্দেহের আবর্তে তারা ঘুরপাক খেয়ে চলেছে।
                ﴿٤٥﴾

                | Aya: | Page: Go |
                ۞ وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً وَلَٰكِن كَرِهَ اللَّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُوا مَعَ الْقَاعِدِينَ [٩:٤٦]
                আর যদি তারা বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক।
                ﴿٤٦﴾


                لَوْ خَرَجُوا فِيكُم مَّا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا خِلَالَكُمْ يَبْغُونَكُمُ الْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّاعُونَ لَهُمْ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ [٩:٤٧]
                যদি তোমাদের সাথে তারা বের হত, তবে তোমাদের অনিষ্ট ছাড়া আর কিছু বৃদ্ধি করতো না, আর অশ্ব ছুটাতো তোমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশে। আর তোমাদের মাঝে রয়েছে তাদের গুপ্তচর। বস্তুতঃ আল্লাহ যালিমদের ভালভাবেই জানেন।
                ﴿٤٧﴾


                لَقَدِ ابْتَغَوُا الْفِتْنَةَ مِن قَبْلُ وَقَلَّبُوا لَكَ الْأُمُورَ حَتَّىٰ جَاءَ الْحَقُّ وَظَهَرَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ كَارِهُونَ [٩:٤٨]
                তারা পূর্বে থেকেই বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ সন্ধানে ছিল এবং আপনার কার্যসমূহ উল্টা-পাল্টা করে দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সত্য প্রতিশ্রুতি এসে গেল এবং জয়ী হল আল্লাহর হুকুম, যে অবস্থায় তারা মন্দবোধ করল।

                Comment


                • #9
                  ৪. (ক) একজন কাফিরের রক্ত ঝরানো হালাল হয় (مباح الدم) তখনই, যখন সে নিজে কিংবা তার জাতি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে (عرض القتال)। কিন্তু যদি সে কিংবা তার জাতি মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়, তবে তার নিরাপ্ততা না থাকা স্বত্তেও তার রক্ত ঝরানো বৈধ নয়।
                  বর্তমানে এর কোনটাই মুসলিমদের নেই। সুতরাং মুসলিমরা জন্য বর্তমানে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফির রাষ্ট্রে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারবে না এবং যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফিরকেও হত্যা করতে পারবে না।

                  anjem ভাই! আপনার কাছ থেকে এই নতুন কথাটি শুনলাম, আপনি দ্লিল দিয়েন ভাই!

                  Comment


                  • #10
                    فإن الأصل أن دمّ الآدمي معصوم وكان دم الكافر في أول الإسلام معصوماً بالعصمة الأصلية وبمنع الله المؤمنين من قتله قال تعالى :- { ألم تر إلى الذين قيل لهم كفوا أيديكم } , ولقوله - صلى الله عليه وسلم - :- (لم أُؤْمر بالقتل بعد ) وكدم القبطي الذي قتله موسى - عليه السلام - ودم الكفار الذين لم تبلغهم الدعوة في زماننا ... ولأن بلوغ الدعوة استتابة عامة من كل كفر ، وإنا لانجيز قتل كافر حتى نستتيبه فإن قتل من لم تبلغه الدعوة غير جائز لقوله تعالى :- { قل للذين كفروا إن ينتهوا يغفر لهم ما قد سلف } وهذا معنى الإستتابة .
                    إنجاح حاجة السائل (ص: 23)

                    "মৌলিক ভাবে মানুষের রক্ত সুরক্ষিত আর কাফেরের রক্তও ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে সংরক্ষনেরএইমূলের আওতায় ছিলো,এবং এই কারনে ও যে তখন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে মুমিন্দের জন্য যুদ্ধের ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল, যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন (আপনি ওদের দেখেন নি যাদের কে বলে হয়েছে যে হাত গুটিয়ে রাখ) এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ও বলেছেন আমাকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এবং কিবতির রক্ত যাকে মুসা আলাইহিচ্ছালাম হত্যা করে দিয়েছিলেন, এবং বর্তমান সময়ে সে সব কাফেরদের রক্ত যাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছেনি। আর এই কারনে যে দাওয়াত পৌছে যাওয়া এটাই প্রত্যকটা ফাফেরে জন্য তওবার ব্যপক আহবান হিসেবে গন্য।আমরা তাওবার ডাকের আগে কাফেরের হত্যা বৈধমনে করিনা। কারন যার নিকট দাওয়াত পৌছেনি তাকে হত্যা করা বৈধনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন "কাফেরদের বলে দিন যদি তারা কুফর থেকে ক্ষান্ত হয় তাহলে তাদের পুর্ব কৃতগুলো মাফ করে দেয়া হবে",আর এটাই হলো তাওবার ডাকের অর্থ ।"
                    আল্লাহ তায়ালার পক্ষথেকে এই আয়াত নাযিল হয়ে যাওয়া এর অর্থ হলো তাওবার ডাক হয়ে গিয়েছে ,আর ইসলামের সংবাদ যে কোন ভাবেকোন দেশে সাধারন ভাবে তাদের নেতৃবৃন্দের নিকট পৌছে গেলে সবার কাছে পৌছে গিয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। সাহাবায়ে কিরাম দায়াত পৌছিয়েছেন কিসরা কায়সার বাদশার কাছে রাজধানিতে, আক্রমন করেছেন সিমান্ত অঞ্চলে নিজেদের নিকটবর্তি গ্রামে গঞ্জে,
                    حتى يبعث فى امها رسولا
                    আপনার রাব্ব কোন জন পদ ততক্ষন ধংশ করেন না যতক্ষন তাদের মূল ভূখন্ডে রাসূল প্রেরন না করেন।মূল ভূ খন্ডে রাসুল প্রেরন করা হয়ে গেলে সবার কাছে দাওয়াত পৌছে গিয়েছে ধরে নেয়া হবে।এইজন্য ফুকাহায়ে কিরাম লিখেছেন যে এমন কোন দ্বীপ যদি থাকে যেখানে বাস্তবেই ইসলামের ডাক কোন ভাবেই পৌছেনি, তাদের সাথে যুদ্ধ শুরু করার আগে দাওয়াত দিয়ে নিতে হব, যদি মুসলমানদের ক্ষতির আসংকা না থাকে তবে দাওয়াত দিতে গেলে আগাম সতর্ক হয়ে যাওয়ার কারনে যদি মুসলমান বেকায়দায় পড়েযেতে হয় তাহলে সেখানে ও অতর্কিতে হামলা করা যাবে। এছাড়া সারা পৃথিবীতে বর্তমানে দাওয়াত পৌছে গিয়েছে ।এই জন্য ইমাম আহমাদ ইবনে হানবাল রাঃ সেই তার যামানায় বলে গিয়েছেন
                    لااعلم احدا يدعى اليوم
                    বর্তমানে কাহাকেও দাওয়াত দেয়ার জরুরাত রয়েছে আমার জানানেই।তাহলে এখন!? রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ও্য়া সাল্লাম বলেছেন ঈহুদি খৃষ্টান বা কেহ আমার আগমনের কথা শুনেছে অতঃপর ঈমান আনেনি সেই জাহান্নামে যাবে। তাদের ইসলামের ব্যপারে সংবাদ শুনা হয়ে গিয়েছে, হুজ্জত কায়েমের জন্য এই টুকুই যতেষ্ঠ। বাকি সম্পুর্ন হাকিকত সহ সব প্রশ্নের জবাব সহ বুঝা এটা মুসলমানের কয়জনের হয়েছে।এটা চলমান প্রক্রিয়া এর শেষ নেই।
                    فاقتلو المشركين حيث وجدتموهم
                    মুশ্রিকদের যেখানে পাও বধ কর এই আয়াতের দ্বারা কাফেরের আসলি মাহকুনুদ্দাম হওয়া রহিত হয়ে গিয়েছে।
                    أنَّ الأصل في الكافر أنه حلال الدم والمال وأنَّ الشريعة الإسلامية قد أباحت للمسلمين قتله وأخذ ماله واستراق امرأته ولا يحرم دم الكافر أو ماله وعرضه إلاّ بحكم شرعي طارئ على هذا الأصل كالذمة والعهد والهدنة والأمان.
                    التأصيل الشرعي لأحداث أمريكا ـ حسين بن محفوظ (ص: 10)
                    কাফেরের ব্যপারে মূলনীতি হলো তার রক্ত সম্পদ হালাল, শরিয়াতে ইসলামি মুসলমানদের জন্য বৈধকরে দিয়েছে যে সে তাকে হত্যা করবে এবং তার সম্পদ নিয়ে নিবে এবং তার স্ত্রী বাঁদি বানিয়ে নিবে। আর কাফেরের জান মাল ইজ্জত নিরাপদ নয়, কিন্তু যদি এই সাভাবি মৌলিক অবস্থার পরে শরিয়তের অস্থায়ি কোন নিয়মচলে আসে তাহলে সেই নিয়মে আবার নিরাপত্তা লাভ করবে যেমনঃ জিয়ায়া দিয়ে জিম্মি হয়েগেল,চুক্তি করলো, সন্ধি হলো,নিরাপত্ত্বার প্রতিশ্রুতি অর্জন করলো।
                    এখন রহিত হয়ে যাওয়া বিধান উল্ল্যেখ করে কোন ধরনের খিদমাত আঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন।
                    ৪. (ক) একজন কাফিরের রক্ত ঝরানো হালাল হয় (مباح الدم) তখনই, যখন সে নিজে কিংবা তার জাতি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে (عرض القتال)। পৃথীবির কোন রাষ্ট্রটি এমন আছে যারা মুসলিমদের বিরোদ্ধে/মুসলিম তায়েফায়ে মুকাতিলার বিরোদ্ধে যুদ্ধে লিপ্তনয়? জাতি সংঘের সমর্থক কোন রাষ্ট্র/ এর বাইরের কোন রাষ্ট্র?
                    আমেরিকার বলয়ের কোন রাষ্ট্র / রাশিয়ার বলয়ের কোন রাষ্ট্র?
                    /
                    Last edited by murabit; 07-20-2016, 07:15 PM.

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by salahuddin aiubi View Post
                      ৪. (ক) একজন কাফিরের রক্ত ঝরানো হালাল হয় (مباح الدم) তখনই, যখন সে নিজে কিংবা তার জাতি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে (عرض القتال)। কিন্তু যদি সে কিংবা তার জাতি মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়, তবে তার নিরাপ্ততা না থাকা স্বত্তেও তার রক্ত ঝরানো বৈধ নয়।
                      বর্তমানে এর কোনটাই মুসলিমদের নেই। সুতরাং মুসলিমরা জন্য বর্তমানে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফির রাষ্ট্রে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারবে না এবং যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফিরকেও হত্যা করতে পারবে না।

                      anjem ভাই! আপনার কাছ থেকে এই নতুন কথাটি শুনলাম, আপনি দ্লিল দিয়েন ভাই!
                      ঠিক বলেছেন
                      দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                      জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Zakaria Abdullah View Post
                        এটা আগে বিস্তারিত জানাতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
                        বিস্তারিত এখানে পাবেন ইংশাআল্লাহঃ- https://dawahilallah.in/showthread.p...ed=1#post13745
                        মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
                        রোম- ৪৭

                        Comment


                        • #13
                          @ মুহতারাম যাকারিয়া আব্দুল্লাহ,

                          ৩. (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ) কারো রক্তের নিরাপত্তা না থাকা, আর তার রক্ত ঝরানো হালাল হওয়া সমান কথা নয়। ঠিক তেমনি কারো রক্ত ঝরানো নিষিদ্ধ হওয়া মানেই তার রক্তের নিরাপত্তা আছে, এমনটিও নয়।
                          দলীলঃ
                          وَلَوْ قُتِلَ وَاحِدٌ مِمَّنْ ذَكَرنَا أَنَّهُ لَا يَحِلُّ قَتْلُهُ فَلَا شَيْءَ فِيهِ مِنْ دِيَةٍ وَلَا كَفَّارَةٍ، إلَّا التَّوْبَةُ وَالِاسْتِغْفَارُ؛ لِأَنَّ دَمَ الْكَافِرِ لَا يَتَقَوَّمُ إلَّا بِالْأَمَانِ وَلَمْ يُوجَدْ

                          আর যাদের হত্যা করা বৈধ নয় বলে আমরা উল্লেখ করেছি, তাদের কাউকে হত্যা করলে কাফফারা, দিয়ৎ কোন দণ্ড নেই; তবে তাওবা এবং ইস্তিগফার করতে হবে। কারণ আমান ছাড়া কাফিরের রক্তের সুরক্ষিত হয় না, যা (আমান) তাদের মধ্যে পাওয়া যায় না।

                          বাদাই'উস সনাই' ৭/১০১

                          দেখুন, একই ব্যাক্তির ক্ষেত্রে আল্লামা কাসানী রহঃ বলছেন -
                          (১) তার রক্তের নিরাপত্তা নেই।
                          (২) তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। হারাম কাজ করলেই তাওবা-ইস্তিগফার করতে হয়।

                          এতে কী বোঝা যায় না, নিরাপত্তা না থাকলেই হত্যা করা বৈধ হয়ে যায় না? এটাই আমার কথার প্রথম অংশের (কারো রক্তের নিরাপত্তা না থাকা, আর তার রক্ত ঝরানো হালাল হওয়া সমান কথা নয়) দলীল।

                          আর, দ্বিতীয় অংশের (ঠিক তেমনি কারো রক্ত ঝরানো নিষিদ্ধ হওয়া মানেই তার রক্তের নিরাপত্তা আছে, এমনটিও নয়) জন্য দলীল হলঃ
                          ১. আমরা সবাই জানি, ইসলাম কিংবা আমান/আহদ/যিম্মাহ ছাড়া কোন ব্যাক্তি নিরাপত্তা লাভ করে না। যেমনঃ আল্লামা মারগিনানী বলেছেন - العاصم وهو الدين أو الإحراز হিদায়াহ ২/৩৭৯
                          ২. আবার দেখুন, আল্লামা সারাখসী বলেছেন, فإن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال "নিশ্চয়ই যেকোন মানুষের রক্ত ঝরানো মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ। আর বৈধতা অর্জিত হয় যুদ্ধে অংশ নেয়ার দ্বারা।" আল মাবসুত - ১২/১৬৫

                          এখন, আল্লামা সারাখসীর কথা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তিনি জানেন, ইসলাম কিংবা আমান ছাড়া রক্ত নিরাপদ হয় না, তারপরেও তিনি বলেছেন - আদমসন্তানের রক্ত মৌলিকভাবে ঝরানো নিষিদ্ধ। রক্তের নিরাপ্ততা না থাকলেই যদি রক্ত ঝরানো বৈধ হয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে আসলো??

                          এভাবে প্রমানিত হলঃ কারো রক্ত ঝরানো নিষিদ্ধ হওয়া মানেই তার রক্তের নিরাপত্তা আছে, এমনটিও নয়।

                          Comment


                          • #14
                            @ আবুল ফিদা, Salahuddin Aiubi

                            ৪. (ক) একজন কাফিরের রক্ত ঝরানো হালাল হয় (مباح الدم) তখনই, যখন সে নিজে কিংবা তার জাতি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে (عرض القتال)। কিন্তু যদি সে কিংবা তার জাতি মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়, তবে তার নিরাপত্তা না থাকা স্বত্তেও তার রক্ত ঝরানো বৈধ নয়।
                            আমার বক্তব্যের প্রথম অংশের (একজন কাফিরের রক্ত ঝরানো হালাল হয় (مباح الدم) তখনই, যখন সে নিজে কিংবা তার জাতি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে (عرض القتال)) দলিলঃ

                            আল্লামা সারাখসী বলেছেন,
                            فإن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال

                            "নিশ্চয়ই যেকোন মানুষের রক্ত ঝরানো মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ। আর বৈধতা অর্জিত হয় যুদ্ধে অংশ নেয়ার দ্বারা।"
                            আল মাবসুত - ১২/১৬৫

                            এই দলীলের দ্বারা প্রমাণিত হলঃ ব্যাক্তিগতভাবে যুদ্ধে অংশ নিলে তার রক্ত ঝরানো হালাল হয়। আর সে নিজে অংশ না নিয়ে যদি তার জাতি অংশ নেয়, তারপরেও তাকে তার জাতির একজন হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং ধরা হবে সেও যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।

                            Comment


                            • #15
                              বর্তমানে এর কোনটাই মুসলিমদের নেই। সুতরাং মুসলিমরা জন্য বর্তমানে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফির রাষ্ট্রে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারবে না এবং যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন কোন কাফিরকেও হত্যা করতে পারবে না।

                              এ কথায় আপনার সমস্যা কেন??????


                              আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, খলিফা ছাড়া আক্রমণাত্মক জিহাদ করা যায়? কুফফারদের যেই সকল দেশ মুসলিমদের বিরূদ্ধে এখনও যুদ্ধে লিপ্ত হয় নি, যেমনঃ চিলি, পাপুয়া নিউগিনি, সামোয়া আইল্যান্ড, বার্বাডোস ইত্যাদি। এসব দেশে আমরা আগ বেড়ে যুদ্ধ করতে পারব? তাহলে তো আর আমাদের জিহাদ দিফায়ী জিহাদ থাকছে না, আক্রমণাত্মক জিহাদ হয়ে যাচ্ছে।

                              যেই কাফেররা (নিজে কিংবা তার জাতি) মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত নয়, তাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে খলিফা লাগবে, ইসলামী রাষ্ট্র লাগবে।

                              Comment

                              Working...
                              X