Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিভ্রান্তিকর ভুল থেকে সতর্কীকরণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিভ্রান্তিকর ভুল থেকে সতর্কীকরণ

    ফিকহি উদ্ধৃতিসমূহের মনগড়া অনুবাদ

    ফোরামের সম্মানিত ভাইগণ! আমি বেশ কয়েক দিন আগে ফোরামে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি পোষ্ট দেখতে পাই। তাতে আমার তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ হয়। কিন্তু তখন আমার ল্যাপটপটি নষ্ট থাকায় সুযোগ হয়ে উঠেনি। তাই এখন আরেক ভাইয়ের ল্যাপটপ দিয়ে জবাবটি লিখার চেষ্টা করলাম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার তাওফীকে।
    আনজেম চৌধুরী “কাফেরদের রক্ত হালাল না হারাম” শিরোনামে একটি পোষ্ট দিয়েছেন।তাতে তিনি নিজের মনগড়া কতগুলো বিভ্রান্তিকর মূলনীতি প্রমাণের জন্য (অথবা না পারলে কমপক্ষে কিছু কিছু প্রাথমিক লোকদের মনে সংশয় সৃষ্টির জন্য) বিভিন্ন মাযহাবের সম্মানিত ইমামদের কিতাব থেকে অনেকগুলো উদ্ধৃতি পেশ করেছেন, যেগুলোতে তার কথার সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই।কিন্তু তিনি অতি সূক্ষ্ণতার সাথে সেগুলোর এমন ভুল অনুবাদ করেন, যাতে ঐ সমস্ত ভাইয়েরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যাবেন, যারা আরবী বুঝেন না অথবা বুঝলেও উক্ত ইবারতগুলোর সাথে পূর্বপরিচিত নন।আমি উক্ত ভুলগুলো স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো ইংশাআল্লাহঃ
    ১।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন:
    الكافرالأصلي الذي ليس هومن أهل القتال، فإنه لايقتل عند أكثرالعلماء كأبي حنيفة ومالك وأحمد.

    “অধিকাংশ উলামা` যেমনঃ আবু হানীফা (রহঃ), মালিক (রহঃ), আহমাদ (রহঃ) এর মতে- মুরতাদ নয় এমন কাফির (কাফির আসলি) যদি যুদ্ধে সম্পৃক্ত (আহলুল ক্বিতাল) না হয়, তবে তাদের হত্যা করা যাবে না।”
    এর সঠিক অর্থ ও মর্ম:
    “যে আসলি কাফির (বা আদি কাফির ) যুদ্ধক্ষম (যুদ্ধের উপযুক্ত) নয়, অধিকাংশ আলেমের মতে তাকে হত্যা করা যাবে না।যেমন ইমাম আবু হানিফা, মালেক ও আহমাদ (রহ) এর মত এটা।”

    এখানে أهل القتال (যুদ্ধক্ষম বা যুদ্ধের উপযুক্ত) নয় বলে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও এজাতীয় লোকদেরকে বাদ দেওয়া উদ্দেশ্য। কে যুদ্ধে সম্পৃক্ত, কে সম্পৃক্ত না অথবা কার জাতি যুদ্ধে জড়িত, কার জাতি জড়িত না তা বুঝানো উদ্দেশ্যনয়।
    প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
    ২।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন:
    فَأَبُوحَنِيفَةَ رَأَى أَنَّ الْكُفْرَمُطْلَقًا إنَّمَا يُقَاتَلُ صَاحِبُهُ لِمُحَارَبَتِهِ فَمَنْ لَاحِرَابَ فِيهِ لَايُقَاتَلُ وَلِهَذَا يَأْخُذُ الْجِزْيَةَ مِنْ غَيْرِأَهْلِ الْكِتَابِ الْعَرَبِ وَإِنْ كَانُوا وَثَنِيِّينَ. وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ مَالِكٌ وَأَحْمَد فِي أَحَدِ قَوْلَيْهِ وَمَعَ هَذَا يَجُوزُالْقَتْلُ تَعْزِيرًا وَسِيَاسَةً فِي مَوَاضِعَ. وَأَمَّاالشَّافِعِيُّ فَعِنْدَهُ نَفْسُ الْكُفْرِهُوَالْمُبِيحُ لِلدَّمِ إلَّا أَنَّ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ تُرِكُوا لِكَوْنِهِمْ مَالًا لِلْمُسْلِمِينَ
    “ইমাম আবু হানীফার (রহঃ) সিদ্ধান্ত হচ্ছে: কুফরের কারণে তার ধারকের (কাফের) সাথে লড়াই কেবল তখনই হতে পারে, যখন সে লড়াই করবে। আর যে লড়াইয়ে অংশ নিবে না, তার বিরূদ্ধে লড়াই করা যাবে না। আর একারণেই আহলে কিতাব না হয়ে মূর্তিপূজক হওয়া সত্ত্বেও আরবদের কাছ [যুদ্ধ না করে] থেকে জিযিয়া নেয়া হয়েছিল এবংএ বিষয়ে ইমাম মালিক (রহঃ), আহমদ (রহঃ) তার সাথে একমত পোষণ করেছেন (তার দুইমতের একটি অনুযায়ী)। তবে এটা সত্ত্বেও শাস্তি হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে কাফেরকে হত্যা করা কিছু ক্ষেত্রে জায়েয আছে। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মতে স্বয়ং কুফরই রক্ত মুবাহ (হালাল) হওয়ার কারণ। তবে নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় না, কারণ তারা মুসলিমদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে থাকে।”
    এর সঠিক অর্থ ও মর্ম:
    “তাই ইমাম আবু হানিফা রহ: এর মতে যেকোন ধরণের কুফরই হোক না কেন, উক্ত কুফরের কারণে তার ধারকের (কাফেরের) সাথে যুদ্ধ করা হয় শুধু তার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণে (অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি যুদ্ধক্ষম হওয়ার কারণে)। সুতরাং যাদের মধ্যে যুদ্ধক্ষমতা নেই, তাদেরকে হত্যা করা হবে না। একারণেই অনারবী আহলে কিতাবদের থেকে জিযিয়া নেওয়া হয়, এমনকি যদি তারা মূর্তিপূজকও হয়। এব্যাপারে ইমাম মালেক ও আহমাদ রহ: (তার এক মত অনুযায়ী) তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। এতদ্বসত্ত্বেও কয়েক স্থানে সাজা হিসাবে বা রাজনৈতিক স্বার্থে (যারা যুদ্ধক্ষম না) তাদেরকেও হত্যা করা যাবে। আর ইমাম শাফেয়ী রহ: এর মতে স্বত্বাগতভাবে কুফরীই রক্ত বৈধকারী। কিন্তু নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হয় না, যেহেতু তারা মুসলমানদের সম্পদ হয়।”
    এখানে বলা হয়েছে:
    ইমাম আবু হানিফা রহ: এর মতে কাফেরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয় তার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণে। আর যেহেতু তার পক্ষ থেকে যুদ্ধের কারণেই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, একারণে তাদের মধ্যে শুধু ‘যারা যুদ্ধক্ষমতা রাখে’ তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করা হবে (যেমন যুবক শ্রেণী)। আর যারা যুদ্ধক্ষমতা রাখে না (যেমন নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও এজাতীয় লোকগণ), তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে না।
    প্রিয় পাঠক! কাফেররা সর্বদাই মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন: “তারা সর্বদাই তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফেরাতে সক্ষম হয়।”
    তাই কাফেররা স্বউদ্যোগে যুদ্ধে নেমে আসুক বা না আসুক, তাদের বিরুদ্ধে সর্বদাই মুসলমানদের যুদ্ধ চলবে, যতক্ষণ না কুফর-শিরকের ফিৎনা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়, যেমনটা আল্লাহ সুবহানাহু পবিত্র কুরআনের সুরা আনফালের ৩৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন।
    অনুরূপ সূরা বারাআর মধ্যে বলেছেন:
    যে সমস্ত আহলে কিতাবরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে না, আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম হিসাবে মানে না এবং সত্য দ্বীনকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না তারা অবনত হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে।
    তাই এখানেও কে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করল, কে করল না, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি; বরং কে যোদ্ধা ও কে যোদ্ধা না তথা কে যুদ্ধক্ষম ও কে যুদ্ধক্ষম না সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর এটি (أهلالقتال বা যুদ্ধক্ষম) শরীয়তের একটি বিশেষ পরিভাষা। শরীয়ত- নারী, শিশু, বৃদ্ধ, গীর্জায় ইবাদতকারী সন্নাসী, লেংড়া ও এজাতীয় কিছু শ্রেণী ব্যতীত বাকী সকল পুরুষ কাফেরকে أهلالقتال (যোদ্ধা বা যুদ্ধক্ষম) গণ্য করে।
    প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আল্লাহই ভাল জানেন।
    ৩।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন।
    فإن الأصل أن دم الآدمي معصوم لايقتل إلا بالحق وليس القتل للكفر من الأمر الذي اتفقت عليه الشرائع ولا أوقات الشريعة الواحدة كالقتل قودا فإنه مما لاتختلف فيه الشرائع ولا العقول

    মূলনীতি হচ্ছে যেকোন আদম সন্তানের রক্ত মা'সুম (অর্থাৎ রক্ত ঝরানো থেকে বিরত থাকতে হবে)।কোন ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা যাবে না। শুধু কুফরের কারণে তাকে হত্যা করা এমন একটি বিষয়, যার ব্যাপারে শরীয়াহর বিধানসমূহ কোন একটি সময়ের জন্যও একমত হয় নি,যেমনটি কিসাস (القَوَدُالقِصاصُ - লিসানুল 'আরব) হিসেবে হত্যা করার ব্যাপারে হয়েছে, এমনকি বিবেকও (আক্বল) এতে একমত হয় না।
    [আস সারিম আল মাসলুল, পৃ. ১০৪]

    এর সঠিক অর্থ ও সারমর্ম:
    “কেননা মূলনীতি হচ্ছে মানুষের রক্ত মাসুম বা সুসংরক্ষিত। যথার্থ কারণ ছাড়া তাদেরকে হত্যা করা যাবে না। আর কুফরের কারণে হত্যা করা এমন বিষয় নয়, যেটা সকল (নবীদের )শরীয়তে বা কোন এক (নবীর) শরীয়তেই সকল কালে বিদ্যমান ছিল, যেমনটা ছিল কিসাস হিসাবে হত্যা করার বিধানটি। কারণ এ ব্যাপারে (কিসাস হিসাবে হত্যা করার ব্যাপারে) বিভিন্ন (নবীর) শরীয়তের মধ্যে কোন তারতম্য নেই। আর কারো বিবেকও এতে দ্বিমত করে না।”
    অর্থাৎ কিসাস হিসাবে হত্যা করার বিধানটি সকল নবীর শরীয়তেই এক রকম ছিল, কিন্তু কুফরের কারণে হত্যা করার বিধানটি সকল নবীর শরীয়তে ছিল না। এমনকি এক নবীর শরীয়তেও সকল কালে বিদ্যমান ছিল না।
    এটা তো সোজা কথা। যেমন আমাদের নবীর শরীয়তে ইসলামের শুরু যুগে জিহাদের বিধান ছিল না।অত:পর আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদেরকে জিহাদের বিধান দিয়েছেন এবং কুফরের কারণে কাফেরদেরকে হত্যা করার বিধানও এসেছে। কিন্তু ঐ লোক এর কী মতলবি অনুবাদ করেছে। আল্লাহ হেফাজত করুন!
    প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।
    ৪।তিনি নিম্নোক্ত ইবারতের সারমর্ম যা লিখেছেন:
    إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال فإذا زال ذلك بعقد الذمة عاد الحقن الأصلي
    "মৌলিকভাবে একজন মানুষের রক্ত ঝরানো নিষেধ এবং (রক্ত ঝরানোর) বৈধতা কেবল তার যুদ্ধে সম্পৃক্ততার কারণেই হয়। আর যখন এটি (যুদ্ধে সম্পৃক্ততা) যিম্মাহর চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়ে যায়, তার (রক্ত ঝরানোর) নিষেধাজ্ঞা পুনরায় ফিরে আসে।” ["আল-মাবসুত", ১০/৮১]
    এর সঠিক অর্থ ও মর্ম:
    “মৌলিকভাবে মানুষের রক্ত সুসংরক্ষিত। বৈধতা দেওয়া হয়েছে কেবল যুদ্ধ-জিহাদের প্রসঙ্গটির কারণে। সুতরাং যখন যিম্মী চুক্তির কারণে যুদ্ধ প্রসঙ্গ থাকে না, তখন পুনরায় পূর্বোক্ত নিষেধাজ্ঞা ফিরে আসে।”
    উপরোক্ত কথার উদ্দেশ্যে হল:
    মুসলমানদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার বিধান দেওয়া হয়েছে বলে কাফেরদের রক্ত প্রবাহিত করা বৈধ হয়েছে। অন্যথায় সত্ত্বাগতভাবে মানুষের রক্ত নিষিদ্ধ বা সুসংরক্ষিত ছিল। সুতরাং যতদিন কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের বিধান বাকী থাকবে, ততদিন তাদের রক্ত বৈধ থাকবে। আর যখন কাফেররা মুসলমানদের সাথে যিম্মি চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার কারণে তাদের সাথে জিহাদ বন্ধ হয়ে যাবে, তখন পুনরায় তাদের সত্ত্বাগত নিরাপত্তা ফিরে আসবে।
    এখানে সাময়িকভাবে কাফেরদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা- না করার কথা বলা হয়নি; বরং কাফের-মুসলিমের মাঝে কিয়ামত অবধি স্থায়ী যুদ্ধ সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, যা কেবল কাফেরদের পক্ষ থেকে যিম্মী চুক্তি গ্রহণ করার দ্বারাই বন্ধ হয়।
    প্রিয় পাঠক! উভয় অনুবাদে উদ্দেশ্যের মাঝে কত পার্থক্য হয়ে গেছে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।আল্লাহই ভাল জানেন।
    প্রিয় পাঠক! এই আঞ্জেম চৌধুরীর লেখা পড়ে বোঝা যায়, সে ভুলে এগুলো করেনি। বরং দাজ্জালী করেছে। কারণ সে কতগুলো কিতাব ঘেটেছে!? তার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নির্দিষ্ট উদ্ধৃতিটি সংগ্রহ করেছে। আবার তার অনুবাদও করেছে। তথাপি প্রথমে কত বড় মুজতাহিদ সেজেছিল! নাম্বার দিয়ে দিয়ে এ বিষয়ে কতগুলো বানোয়াট মূলনীতি দাঁড় করিয়েছে। তাতে বোঝা যায়, সে ধোকাবাজ। অনুবাদের সূক্ষ্ণ মারপেচে ফেলে জেনারেল শিক্ষিত ভাইদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে এবং এই আশা করেছে যে, এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পূর্বেই অনেককে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেওয়া যাবে। আল্লাহ হেফাজত করুন!
    এই জনাব আঞ্জেম আরো বলেছে যে, ইকদামী (আক্রমণাত্মক) জিহাদের জন্য খলীফা শর্ত; অথচ কোন প্রকার জিহাদের জন্য খলীফা শর্ত হওয়ার কথা কোন কিতাবে উল্লেখ নেই। “খলীফা থাকলে তিনিই যুদ্ধ পরিচালনা করবেন, তার অনুমতি ছাড়া অভিযান পরিচালনা করা যাবে না” এটা ভিন্নকথা। আর “জিহাদের জন্য খলীফা শর্ত” এটা আরেকটি ভিন্ন কথা।
    তাই সব ভাই শুনে রাখুন, যখন খলীফা না থাকে, তখন জিহাদের জন্য খলীফা আদৌ শর্ত নয়। ইমাম ইবনে কুদামা রহ: বলেন,
    فإذا عدم الإمام لم يؤخر الجهاد
    তাই যখন খলীফা থাকবে না, তখন জিহাদকে বিলম্বিত করা হবে না।

  • #2
    জাজাকাল্লাহ.......................
    ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ আখী।

      Comment


      • #4
        বিসমিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। সঠিক কথা বলার জন্য জাযাকাল্লাহ খইরা। এবং আল্লাহর কাছে তাওফিক চাই সঠিক কথা বলার জন্য:
        আঞ্জেম এর পেছনে মানুষটি কে তো জানিনা, তবে আমার কাছে তার লেখা ও অতি উৎসাহী মনোভাবের বহি:প্রকাশের ফলে সন্দেহ তৈরী হয়েছে, যা একেবারেই অমূলক না। তার লেখা দেখে মনে হয় তিনি কোন জিহাদী জামাতের সদস্য নন। বরং নিজের ইল্ম জাহির করা ও এই ফোরামে নিজের অবস্থান জারি করা উনার উদ্দেশ্য হতে পারে। এতে করে তিনি কী চান এটি আল্লাহ ভাল বলতে পারবেন।
        বিভিন্ন কিতাবের reference দেয়া, এতো সোজা কাজ, কারণ এখন আছে শামেলা। প্রকৃত ইল্ম থাকলে সেটা তার লেখাতেই বুঝা যেত। তাকে আল্লাহ সঠিক রাস্তায় হিজরত করার তাওফিক দিন। এই ব্যাক্তির ব্যাপারে সালাউদ্দিন ভায়ের ন্যায় আমিও সকলকে সাবধান করছি! নিজে নিজে কিতাব ঘেটে কতদূর আর আগানো যায়। ভাই জামাতবদ্ধ হোন, আমীরের আনুগত্য করুণ। মুজাহিদ উলামাদের দিকে চোখ রাখুন। আলেমদের সাহায্য ছাড়া হুকুম বলা থেকে দূরে থাকুন যদি না আপনি নিজে যোগ্য আলেম হোন।

        যদি আমার এই ধারণা ভুল হয় তবে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।

        Comment


        • #5
          Originally posted by salahuddin aiubi View Post
          ফিকহি উদ্ধৃতিসমূহের মনগড়া অনুবাদ


          প্রিয় পাঠক! এই আঞ্জেম চৌধুরীর লেখা পড়ে বোঝা যায়, সে ভুলে এগুলো করেনি। বরং দাজ্জালী করেছে। কারণ সে কতগুলো কিতাব ঘেটেছে!? তার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নির্দিষ্ট উদ্ধৃতিটি সংগ্রহ করেছে। আবার তার অনুবাদও করেছে। তথাপি প্রথমে কত বড় মুজতাহিদ সেজেছিল! নাম্বার দিয়ে দিয়ে এ বিষয়ে কতগুলো বানোয়াট মূলনীতি দাঁড় করিয়েছে। তাতে বোঝা যায়, সে ধোকাবাজ। অনুবাদের সূক্ষ্ণ মারপেচে ফেলে জেনারেল শিক্ষিত ভাইদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে এবং এই আশা করেছে যে, এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পূর্বেই অনেককে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেওয়া যাবে। আল্লাহ হেফাজত করুন!

          আল্লাহু আকবর ! ভাই অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। আঞ্জেম চৌধুরি নামক ব্যক্তির কথার মধ্যে অনেক সন্দেহজনক বিষয় আছে। আনওয়ার শাহ আল হিন্দী ভাইয়ের সাথে আমি একমত, ইনি কোন জামাতের সাথে যুক্ত না, নিজে নিজে বিভিন্ন লেখা পড়ে একেকবার একেকরকম কথা বলছে। যদি সুধারনা রাখতে চাই তাহলে বলতে হয় আঞ্জেম চৌধুরি বয়সে শিশু কিংবা চিন্তায় শিশু যার মধ্যে চিন্তার পরিপক্কতা আসে নাই, তাই যখন যে খ্যেয়াল উঠে তা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে যান

          Comment


          • #6
            জাঝাকাল্লাহু খাইরান ভাই।

            Comment


            • #7
              আঞ্জেম যে ইচ্ছা পুর্বক দাজ্জালি করেছে আমি মৃদু ভাষায় উল্লেখ করেছিলাম কিন্তু নিশ্চিত নাহয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম না ।

              وَأَنَّ الْمُثْلَةَ بِهِمْ غَيْرُ جَائِزَةٍ وَإِنْ قَتَلُوا نِسَاءَنَا وَأَطْفَالَنَا وَغَمُّونَا بِذَلِكَ، فَلَيْسَ لَنَا أَنْ نَقْتُلَهُمْ بِمُثْلَةٍ قَصْدًا لِإِيصَالِ الْغَمِّ وَالْحُزْنِ إِلَيْهِمْ
              আনজেম সাহেব!আপনার অনুবাদঃ
              আর কাফিরদের লাশ বিকৃতি করা না-জায়েয। আর তারা যদি আমাদের নারী এবং শিশুদের হত্যা করে এবং এর দ্বারা আমাদের দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, আমাদের জন্য এ সুযোগ নেই যে আমরাও ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হত্যা করব যেন কাফিরদের দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করা যায়।
              তাফসীর [سورة المائدة (5): آية 11], ৬/১১০ (মাকতাবায়ে শামেলা অনুযায়ী)

              আপনি ভুল বিভ্রান্তি সৃষ্টি কারি অনুবাদ করেছেন।১-কালামের মাঝে ওয়ায়ে ওয়াসলিয়াকে শরতিয়া বানিয়েছেন ২- নাক্তুলাহুম বিমুসলাতিন এর মধ্যে বিমুসলাতিন কয়েদের তরজমা বাদ দিয়ে অর্থ ঘুরিয়ে দিয়েছেন।এটা ইচ্ছাকরে চালাকি করা ছাড়া ভুলে কাকতালিয় ভাবে হইয়েছে!দুনো জায়গায়? এমন চিকন ভাবে! ওহু।
              সঠিক অনুবাদঃ
              আর কাফিরদের লাশ বিকৃতি করা না-জায়েয। যদিও তারা আমাদের নারী এবং শিশুদের হত্যা করে এবং এর দ্বারা আমাদের দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, তবো তাদের দুঃখ ও বেদনা দেয়ার ইচ্ছায় আমাদের কে ইচ্ছাকৃতভাবে কাফেরদের লাশ বিকৃত করে হত্যা করার অবকাশ নেই
              এখানে মূল আলোচনা লাশ বিকৃত করা নিয়ে আর আপনি বানিয়েছেন নারি হত্যা কে আলোচ্য বিষয় আয়াতের বক্তব্য এভাবেই বিকৃত করেছেন।

              আপনি উল্লেখ করেছেনঃ
              إِنَّ مِنْ أَعْتَى النَّاسِ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ قَتَلَ غَيْرَ قَاتِلِهِ
              "আল্লাহ আযযা ওয়াজাল্লের নিকট সবচেয়ে অবাধ্য ঐ ব্যাক্তি, যে হত্যা করে নি (হত্যার প্রতিশোধরূপে) তাকে হত্যা করে। "
              ইমাম কুরতুবী (৬৭১ হি.) তার তাফসীরে লিখেন:
              أي لا تقتلوا غير القاتل
              "হত্যা কারী ব্যাতীত অপরকে হত্যা করো না।"
              ["জামেউল আহকাম", ১০/২৩০].
              فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُواْ عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ
              "যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তার উপর তোমরা সীমালঙ্ঘন করো সেই পরিমানে সে সীমালঙ্ঘন করেছে।." [সুরা বাকারাঃ ১৯৪].
              সুতরাং যে সীমালঙ্ঘন করেছে, তার উপরেই সীমালঙ্ঘন করতে হবে। অন্যদের উপর নয়।
              এই আয়াত থেকেও কি এটা প্রমাণিত হয় না যে একের সীমালঙ্ঘনের কারণে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন করা না-জায়েয??

              আচ্ছা তাহলে এবার বলোন দেখি ,
              কতল বিসসাবাব এর মধ্যে আকেলার উপর দিয়ত আসে হত্যা কারির উপর নয় ।
              কাসামার বিধানে অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই তার উপর ও কসম জরিমানা আসে ,এ গুলো কি এই আয়াতের পরি পন্থি ?
              واتقوا فتنة لاتصيبن الذين ظلموا منكم خاصة
              এমন ফিতনা থেকে বাচার চেষ্টা কর যা সুধু জালেম দেরকেই ধরবেনা।অন্যরা ও এর ভুগান্তি ভোগ করতে হবে।

              আসলে আপনার উল্লেখিত আয়াত সমুহের ভিত্তিতে ফুকাহায়ে কিরাম মুসলমানদের পারষ্পরিক জিনায়াতের(ফৌজদারি) কিছু বিধান ইসতিমবাত করেছেন , ফুকাহাদের এই উক্তি এগুলো হলো মুসলমান দের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে পারস্পরিক দিয়াত কিছাছের ক্ষেত্রে। যুদ্ধের মধ্য কাফের দের শক্তি ধংশ করতে যা দর কার তা করা এই আয়াতের নিষেধ করা হয় নাই, বদরে মুসলমান শহীদ হয়েছে ১৪ জন কাফের মরে ছে ৭০ জন কি বলবেন? সমতা রক্ষা হয়নি? মুয়াকাবাত বিল মিসল এটা উম্মতের জন্য জায়েয,অস্বীকার করার জু নেই।
              যুদ্ধের স্বার্থে ওপ্রয়োজনে শত্রুযোদ্ধার সাথে সংশ্লিষ্টের উপর আঘাত তার উপর আঘাত হিসেবেই গন্য,
              এই আয়াত গুলোর আলোকে ফুকাহায়ে কিরাম
              মুসলমান দের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে পারস্পরিক দিয়াত কিছাছের ক্ষেত্রের মাসয়ালা গূলো ও ইস্তিম্বাত করেছেন সে গুলো আপনি কাফেরের সাথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করচ্ছেন ,
              যুদ্ধের মধ্য কাফের দের শক্তি ধংশ করতে যা দর কার তা করা এই আয়াতে নিষেধ করা হয় নাই।
              রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওমরার পথে বাধা দান কারি কাফেরদের বাড়িঘরে রে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের উপর আক্রমন করে দেয়ার পরামর্শ করে ছেন।( বুখারি) নাজায়েজ হলে এটা করবেন কিনা এইনিয়ে পরামর্শের কি আছে?

              আচ্ছা বলোন দেখি!
              যুদ্ধ ক্ষেত্রে কি এটা দেখা হয় কে হত্যা করল আর কে হত্যা করল না, যে এখনো হত্যা করে নি তাকে হত্যা করা যাবেনা? এভাবেই কি যোদ্ধ হয় ? কিসের সাথে কি ঘুলিয়ে বিভ্রান্তির সৃষতি করচ্ছেন?
              যুদ্ধের কার্য্যক্রম আর কিছাছ গ্রহন একই বিষয় না জনাব?
              সহীহ হাদীসে আছে:
              দরীদ ইবনে সিম্মা বুড়ু মানুষ্টি কে সাহাবি হত্যা করে এসেছেন।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও্যাসাল্লাম এর অনুমোদন দিয়ে ছেন ......।
              কাব বিন আশরাফ কে রাসুল ছাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম হত্যা করিয়েছেন , এটা কি কারো হত্যার বিনিময়ে হয়েছিল?
              আবুরাফে কে রাসুল ছাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গুপ্তহত্যা করিয়েছেন।কারো হত্যার বিনিময় ছাড়া,
              রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সারিয়্যা গুলো ছিল কাফের সাধারন ব্যবসায়ি ইত্তাদি কাফেলার বিরোদ্ধে।
              আক্রমনাত্নক যুদ্ধকি আপনার উল্লেখিত এই আয়াত গুলোর আবেদনের পরিপন্থি? নাউজুবিল্লাহি মিনযালালিক।
              তাহ্রীফ করছেন আপনি! ফুকাহেয়ে কিরামের এক ক্ষেত্রের আলোচনাকে আপ্নি আপনার মনমত অন্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করচ্ছেনন।
              Last edited by murabit; 08-03-2016, 12:22 AM.

              Comment


              • #8
                প্রথমে তো তিনি বহু উল্টাপাল্টা পোস্ট দিলেন। পরে আবার কি মনে করে সরে দাঁড়ালেন আল্লাহ মালুম।
                ওনার প্রথম দিকের পোস্টগুলো দেখে আমার শরীরের পশমগুলো ক্ষোভে রি রি করত । ওনি বলেন কী !
                ওনার সব চিন্তাভাবনা বাড়াবাড়ি/ ছাড়াছাড়ি, অতি উৎসাহ / নিরুৎসাহ মূলক। এক কথায় এ’তেদাল বা মধ্যপন্থা নেই
                যাকে এক কথায় বলা যায় ফেৎনা প্রবণ মস্তিষ্ক।
                কাঁদো কাশ্মিরের জন্য !..................

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাহ ভাই সর্তক করার জন্য ।

                  Comment


                  • #10
                    হাঁ হাঁ হাঁ!!! হে হে হে!!! কী ওস্তাদ! ১ মাস পর!? আমার লেখাগুলো কি খুব সূক্ষ্ম ছিল, নাকি আপনার বুদ্ধিটা খুব স্থুল?? কোনটা? ভুল ধরতে ১ মাস লেগে গেল...
                    .
                    ভাই, আপনি পারেনও! গন্ডারও হার মানবে। অনুবাদের বিভ্রান্তি ধরতেই যদি ১ মাস লেগে যায়, তাহলে জাতির কপালে খারাবী আছে। আমাদের আলেম ডিপার্টমেন্টের যে এই হতাশাজনক অবস্থা জানা ছিল না। শেষতক বেড়িয়ে এলো। আল হামদু লিল্লাহ। যাদের বোঝার বুঝে নিয়েছে।
                    .
                    আমি আমার পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসেছি। সুতরাং আপনার কথার জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করব না। কুফফারদের রক্ত হালাল। নারী-শিশু হত্যা মারফু হাদীস দ্বারা নিষেধ। আল্লাহর রাসুল থেকে প্রমাণিত সহীহ মারফু' হাদীসের মোকাবেলা কোন ফকীহ, কোন মুজতাহিদ করতে পারে না। হোক সেই ফক্বীহ আবু ক্বাতাদা ফিলিস্তিনী... যতক্ষণ না আল্লাহর রাসুল এবং সাহাবীদের আমলের দলীল না আনবেন, ততক্ষণ আপনাদের বক্তব্য প্রত্যাখাতি থেকে যাবে। নারী-শিশুদের হত্যা করলে কী ভয়ানক পরিণতি আপনাদের বরণ করতে হবে, তা বোঝার জন্য আসেম ওমর হাঃ এর "শরীয়ত ব্যাতীত যুদ্ধ, ফেতনা বৈ কিছু নয়" লেখাটা পড়বেন। আশা করা যায়, মোটা মাথায় কিছু হলেও ঢুকবে।
                    .
                    আমি চেয়েছিলাম, রুক্ষ আচরণ পরিত্যাগ করব। কিন্তু আমার অবর্তমানে গীবতের আখড়া বসিয়ে আপনারা কি ফুলের মালা আশা করেন? সমালোচনা করবেন দলীল দিয়ে... তা না করে ট্যাগ লাগালেন- দাজ্জাল... প্রতারক... এজেন্ট... বাহ বাহ!! কী বাদ রেখেছেন।
                    .
                    আখেরে আমি মুজাহিদদের কল্যানই চাই। আলেম নামধারী মূর্খরা যেন সচেতন হয়, তৃপ্তির ঢেকুঁর না তুলে একটু মুত্বলা'য়াহ করে, সেটাই চাই। আপনারা নিজেদের আলেম বলেন, লজ্জা করা উচিৎ।
                    .
                    আমি কোন আলেম নই। আমি জ্ঞান বিলাতেও এই প্রশ্নগুলো করি নি। আমার মনে ইশকাল ছিল। তাই তর্কের অবতারণা করেছি, যেন দলীল পাই। বহুদিন পর যাকারিয়া আব্দুল্লাহ ভাই আল মাওসুয়াহ আল ফিক্বহিয়্যাহর উদ্ধৃতি দিলেন, এরপর আমার ভুল ভেঙে যায় এবং পূর্বোক্ত সমস্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেই।
                    .
                    যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাটা মাদ্রাসা পড়ুয়াদের শিখতে হবে। আরবদেশেও আলেম হয়, কিন্তু আমাদের দেশের মত গেঁয়োভূত হয় না। মাকতাবাতুশ শামিলাহ'র সাথে আলেম নামধারী যারা পরিচিত না... তাদের মাতম করা উচিৎ। একজন জেনারেল লাইনের মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে যার ১ মাস লাগে তার বনবাস যাওয়া উচিৎ।
                    .
                    ধৈর্যের বাধ ভেঙে দিয়েছেন বলেই এত কথা বললাম। হাযা ক্বিসাস।

                    Comment


                    • #11
                      হাযা ক্বিসাস

                      বেশ কয়েক দিন আগে ফোরামে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি পোষ্ট দেখতে পাই
                      আমার ল্যাপটপটি নষ্ট থাকায়
                      একেই বলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।
                      এক কথায় বলা যায় ফেৎনা প্রবণ মস্তিষ্
                      সে ভুলে এগুলো করেনি। বরং দাজ্জালী করেছে।
                      আপনার অবগতির জন্য জানাই আমি কোনো কিতাব ঘাটি নি। জাস্টপেস্ট.কম এ A Response to the Murderers of Alan Hening ও Their Sympathizers এই লেখাটি কেবল পড়েছি। সমস্ত উদ্ধৃতি সেখান থেকে নেয়া।
                      আঞ্জেম যে ইচ্ছা পুর্বক দাজ্জালি করেছে আমি মৃদু ভাষায় উল্লেখ করেছিলাম
                      ---------------
                      জাযাউস সাইয়িআতি সাইয়িআতুন বি মিসলিহা।
                      Last edited by Anjem Chowdhury; 08-03-2016, 12:10 AM.

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Anjem Chowdhury View Post
                        হাঁ হাঁ হাঁ!!! হে হে হে!!! কী ওস্তাদ! ১ মাস পর!? আমার লেখাগুলো কি খুব সূক্ষ্ম ছিল, নাকি আপনার বুদ্ধিটা খুব স্থুল?? কোনটা? ভুল ধরতে ১ মাস লেগে গেল...
                        .
                        ভাই, আপনি পারেনও! গন্ডারও হার মানবে। অনুবাদের বিভ্রান্তি ধরতেই যদি ১ মাস লেগে যায়, তাহলে জাতির কপালে খারাবী আছে। আমাদের আলেম ডিপার্টমেন্টের যে এই হতাশাজনক অবস্থা জানা ছিল না। শেষতক বেড়িয়ে এলো। আল হামদু লিল্লাহ। যাদের বোঝার বুঝে নিয়েছে।
                        আমি শুধু এতটুকুই বলতে চাই, আমাদের দায়িত্বশীল ভাইয়েরা যেন উপরের কথাগুলো গভীরভাবে চিন্তা করেন।

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Anjem Chowdhury View Post
                          ...আমার লেখাগুলো কি খুব সূক্ষ্ম ছিল, নাকি আপনার বুদ্ধিটা খুব স্থুল?? কোনটা? ...


                          ... ভাই, আপনি পারেনও! গন্ডারও হার মানবে। .........

                          ...হোক সেই ফক্বীহ আবু ক্বাতাদা ফিলিস্তিনী...

                          ... আশা করা যায়, মোটা মাথায় কিছু হলেও ঢুকবে।...

                          ... আলেম নামধারী মূর্খরা যেন সচেতন হয়, তৃপ্তির ঢেকুঁর না তুলে একটু মুত্বলা'য়াহ করে, সেটাই চাই। আপনারা নিজেদের আলেম বলেন, লজ্জা করা উচিৎ।

                          ... আরবদেশেও আলেম হয়, কিন্তু আমাদের দেশের মত গেঁয়োভূত হয় না। মাকতাবাতুশ শামিলাহ'র সাথে আলেম নামধারী যারা পরিচিত না... তাদের মাতম করা উচিৎ। একজন জেনারেল লাইনের মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে যার ১ মাস লাগে তার বনবাস যাওয়া উচিৎ।
                          .
                          ধৈর্যের বাধ ভেঙে দিয়েছেন বলেই এত কথা বললাম। হাযা ক্বিসাস।

                          একজন মুসলিমকে এভাবে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গতে যারা বাধ্য করেছেন আর যারা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে কেমন যেন ইটের জবাব পাটকেলে দিয়েছেন, সকলের জন্যই আমার কাঁদতে ইচ্ছা করছে। পরিশেষে সকল ভাইদের জন্যই প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমাদের রক্ষা করুন। আমিন।

                          Comment


                          • #14
                            শুরু থেকেই Anjem Chowdhury আইডিটি আমার কাছে জামাতুল বাগদাদীদের মনে হয়ে আসছে। আর এখন উনার আদব-ভাষা দেখে আরো নিশ্চিত হলাম। গত একমাস যাবত উনি ফোরামের ভাইদের বিভ্রান্ত করেছেন... মর্ডারেটর ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

                            salahuddin aiubi ভাইকে যাজাকাল্লাহ। পাশাপাশি Murabit ও আবু মুহাম্মদ ভাইকেও, যারা শুরু থেকেই এই বিভ্রান্তির জবাব দিয়ে আসছেন।

                            Comment


                            • #15
                              ভাই ...,স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে দলাদলি !!! আদবের খেলাপ যেই করুক তাকেই আদবের নসিহত করতে হবে...পোস্ট টি করাই হয়েছে সন্দেহ আর অনুমান এর ভিত্তি করে ...একই সাথে রেপ্লাইগুলা...মনে হচ্ছে অনেকেই নিজের এতদিন চাপা কথা প্রকাশ করলেন...!!!!
                              এখান থেকে আমাদের আসলে কিছু শিখার আছে কি ...??...!!!!!!!

                              Comment

                              Working...
                              X