Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাফসীরে মা'আরেফুল কুরআন - শফী উসমানী। মুসলিম দেশে বসবাসরত হিন্দু/ বৌদ্ধ/ খ্রিস্টানদের হ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাফসীরে মা'আরেফুল কুরআন - শফী উসমানী। মুসলিম দেশে বসবাসরত হিন্দু/ বৌদ্ধ/ খ্রিস্টানদের হ

    লেখাটি নেয়া হয়েছে তফসীরে মা'আরেফুল-কোরআন-এর ষষ্ঠ খণ্ডের পৃষ্ঠা ৬৯০ থেকে।


    وكز - فَوَكَزَهُ مُوْسَى শব্দের অর্থ ঘুষি মারা।

    فَقَضَى عَلَيْهِ - বাক পদ্ধতিতে قضى عليه ও قضاه তখন বলা হয়, যখন কারও ভবলীলা সম্পূর্ণ সাঙ্গ করে দেওয়া হয়। তাই এখানে এর অর্থ হত্যা করা। (মাযহারী)


    قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْلِي فَغَفَرَ لَهُ - এই আয়াতের সারমর্ম এই যে, মূসা (আ) থেকে অনিচ্ছায় প্রকাশিত কিবতী-হত্যার ঘটনাকেও তিনি তাঁর নবুয়ত ও রিসালতের পদমর্যাদার পরিপন্থী এবং তাঁর পয়গম্বরসুলভ মাহায্যের দিক দিয়ে তার গোনাহ্ সাব্যস্ত করে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আল্লাহ্ তা'আলা ক্ষমা করেছেন। এখানে প্রথম প্রশ্ন এই যে, এই কিবতী কাফির শরীয়তের পরিভাষায় হরবী কাফির ছিল, যাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করাও বৈধ ছিল। কেননা, সে কোন ইসলামী রাষ্ট্রের যিম্মী তথা আশ্রিত ছিল না এবং মূসা (আ)-র সাথেও তার কোন চুক্তি ছিল না। এমতাবস্থায় মূসা (আ) একে "শয়তানের কাজ ও গোনাহ কেন সাব্যস্ত করেছেন? এর হত্যা তো বাহ্যত সওয়াবের কাজ হওয়া উচিত ছিল। কারণ সে একজন মুসলমানের উপর জুলুম করেছিল। তাকে বাঁচানোর জন্য এই হত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

    উত্তর এই যে, চুক্তি কোন সময় লিখিত হয় এবং কোন সময় কার্যগতও হয়। লিখিত চুক্তি যেমন সাধারণত মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যিম্মীদের সাথে চুক্তি অথবা অমুসলিম রাষ্ট্রের সাথে শান্তি-চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই ধরনের চুক্তি সর্বসম্পমতিক্রমে অবশ্য পালনীয় এবং বিরুদ্ধাচরণ বিশ্বাসঘাতকতার কারণে হারাম হয়ে থাকে। এমনিভাবে কার্যগত চুক্তিও অবশ্যপালনীয় এবং বিরুদ্ধাচরণ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

    কার্যগত চুক্তি এরূপঃ যে স্থানে মুসলমান এবং কিছুসংখ্যক অমুসলিম অন্য কোন রাষ্ট্রে পরস্পর শান্তিতে বসবাস করে, একে অপরের উপর হামলা করা অথবা লুটতরাজ করাকে উভয় পক্ষে বিশ্বাসঘাতকতা মনে করে, সেই স্থানে এ ধরনের জীবন যাপন ও আদান-প্রদানও এক প্রকার কার্যগত চুক্তি গণ্য হয়ে থাকে। এর বিরুদ্ধাচরণ বৈধ নয়। হযরত মুগীরা হবনে শো’বার একটি দীর্ঘ হাদীস এর প্রমাণ। হাদীসটি ইমাম বুখারী شروط অধ্যায়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। হাদীসের ঘটনা এই যে, ইসলাম গ্রহণের পূর্বে হযরত মুগীরা ইবনে শো'বা একদল কাফিরের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবন যাপন করতেন । কিছুদিন পর তিনি তাদেরকে হত্যা করে তাদের ধনসম্পত্তি অধিকার করে নেন এবং রসূলুল্লাহ্ (সা)-র কাছে উপস্থিত হয়ে মুসলমান হয়ে যান। তিনি কাফিরদের কাছ থেকে যে ধন-সম্পত্তি হস্তগত করেছিলেন, তা রসূলুল্লাহ (সা)-র খিদমতে পেশ করে দেন। তখন রসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ

    اما الاسلام فاقبله واما المال فلست منه في شيء - আবু দাঊদের ভাষা এরূপঃ اما المال فما لغدر لا حاجة لنا فيه তোমার ইসলাম তো আমি গ্রহণ করলাম, এখন তুমি একজন মুসলমান , কিন্তু এই ধন-সম্পদ বিশ্বাসঘাতকতা ও অঙ্গীকার ভঙ্গের পথে অর্জিত হয়েছে। কাজেই তা গ্রহণযোগ্য নয়। বুখারীর টীকাকার হাফেয ইবনে হজর বলেন, এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাফিরদের ধন-সম্পদ শান্তির অবস্থায় লুটে নেওয়া জায়েয নয়। কেননা, এক জনপদের অধিবাসী অথবা যারা এক সাথে কাজ করে, তারা একে অপরের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। তাদের এই কার্যগত চুক্তি একটি অামানত। এই আমানত আমানতকারীকে অর্পণ করা ফরয, সে কাফির হোক কিংবা মুসলিম। একমাত্র লড়াই ও জয়লাভের আকারেই কাফিরদের ধন-সম্পদ মুসলমানদের জন্য হালাল হয়। শান্তিকালে যখন একে অপরের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে, তখন কাফিরদের ধন-সম্পদ লুটে নেওয়া জায়েয নয়। বুখারীর টীকাকার কুন্তলানী বলেন ;

    إن أموال المشركين إن كانت مغنومة عند القهر فلا يحل أخذها عند الأمن فإذا كان الإنسان مصاحبا لهم فقد أمن كل و أحد منهم صاحبه فسفك الدماء وأخذ المال مع ذلك غدر حرام إلا أن ينبذ إليبهم عهدهم علی سواء -

    অর্থাৎ—নিশ্চয় মুশরিকদের ধন-সম্পদ যুদ্ধাবস্থায় হালাল ; কিন্তু শান্তির অবস্থায় হালাল নয়। কাজেই যে মুসলমান কাফিরদের সাথে বসবাস করে এবং কার্যগতভাবে একে অপরের কাছ থেকে নিরাপদ থাকে, তদবস্থায় কোন কাফিরকে হত্যা করা কিংবা জোর প্রয়োগে অর্থ-সম্পদ নেওয়া বিশ্বাসঘাতকতা ও হারাম, যে পর্যন্ত তাদের এই কার্যগত চুক্তি প্রত্যাহার করার ঘোষণা না করা হয়। ।

    সারকথা এই যে, এই কার্যগত চুক্তির কারণে কিবতীকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হলে তা জায়েয হত না, কিন্তু হযরত মূসা (আ) তাকে প্রাণে মারার ইচ্ছ। করেন নি। বরং ইসরাঈলী লোকটিকে তার জুলুম থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে হাতে প্রহার করেছিলেন। এটা স্বভাবত হত্যার কারণ হয় না। কিন্তু কিবতী এতেই মারা গেল। মূসা (আ) অনুভব করলেন যে, তাকে প্রতিরোধ করার জন্য আরও কম মাত্রার প্রহারও যথেস্ট ছিল। কাজেই এই বাড়াবাড়ি আমার জন্য জায়েয ছিল না। এ কারণেই তিনি একে শয়তানের কাজ আখ্যা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

    জ্ঞাতব্যঃ এটা হাকীমুল উম্মত, মুজাদিদে মিল্লাত হযরত মওলানা আশরাফ আলী থানভী (র)-র সুচিন্তিত অভিমত, যা তিনি আরবী ভাষায় ‘আহকামুল কোরআন’ —-সূরা কাসাস লেখার সময় ব্যক্ত করেছিলেন। এটা তাঁর সর্বশেষ গবেষণার ফল। কেননা, ১৩৬২ হিজরীর ২রা রজব তারিখে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।
    Last edited by দেওবন্দ; 08-10-2016, 12:27 PM.

  • #2
    আসসালামু আলাইকুম
    ভাই, আঞ্জেম চৌধুরিকে দেওয়া জবাবগুলো ভালভাবে পড়লে তো আর এই সন্দেহ থাকার কথা না।
    আর মানুষের ভুল হয়। তাগুতের কোলে বসে+ পা চেটে কে সঠিক ফতোয়া দিতে পারবে বলুন।
    যারা সারা দুনিয়ায় এলমের ফুলঝুরি ছড়ায় তারা যখন দাবি করে পাকিস্তানে জিহাদ ফরয না, তখন তাদের পূর্বসূরিদের লেখা এইখানে পোস্ট করে কি লাভ। !! যদিও আমার কাছে উত্তর চাওয়া হয় নি, তবুও আপনার লেখা দেখে চুপ থাকতে পারলাম না। আপনি দরকার হয় আঞ্জেম চৌধুরিকে দেওয়া জবাবগুলো আবার পড়েন।
    "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
    বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

    Comment


    • #3
      সেটাই। যা আঞ্জেম চৌধুরিকে বলা হয়েছে সেটা আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য ধরে নিতে পারেন। আপনাদের কথার ধাঁচে, প্রশ্নের ধরনে এবং বিভ্রান্তির মধ্যে মিল আছে।

      "বাংলাদেশে খারেজী সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (জে.এম.বি.)"

      জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশকে আমরা খারেজি মনে করি না। যদিও নিঃসন্দেহে বাগদাদি গ্রুপ খারেজি মানহাজের। মূল জেএমবি এখনো বাগদাদিকে বায়াহ দেয় নি। মুরতাদ ফোর্স যেটাকে জেএমবি বলেছে এটা জেএমবির- বাইরের গ্রুপ।

      ওয়া আলাইকুম আস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহ

      Comment


      • #4
        Originally posted by ibn mumin View Post
        আর মানুষের ভুল হয়।
        দয়া করে, আপনি এই লাইনটা পড়েন, এখানে কোন ভুল হয় নি।

        জ্ঞাতব্যঃ এটা হাকীমুল উম্মত, মুজাদিদে মিল্লাত হযরত মওলানা আশরাফ আলী থানভী (র)-র সুচিন্তিত অভিমত, যা তিনি আরবী ভাষায় ‘আহকামুল কোরআন’ —-সূরা কাসাস লেখার সময় ব্যক্ত করেছিলেন। এটা তাঁর সর্বশেষ গবেষণার ফল। কেননা, ১৩৬২ হিজরীর ২রা রজব তারিখে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।
        Last edited by দেওবন্দ; 08-10-2016, 12:31 PM.

        Comment


        • #5
          আসসালামু আলাইকুম। ইবন মুমিন, জুহায়মান ও দেওবন্দ ভায়েরা যদি জামাতবদ্ধ হয়ে থাকেন তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনারা জানার কথা, এখানে কে দেওবান্দী কে আহলে হাদিস, কে সালাফী কা হানাফী, এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক করা নিষেধ। বরং নাফসের বশীভূত না হয়ে কেউ দেওবন্দি হোন বা সালাফি হোন এতে কোন সমস্যা নেই যদি মূল আক্বিদাহ ঠিক থাকে। এখানে আল্লামা শফী ও হাকিমুল উম্মাত আশরাফ আলী থানবী রহমতুল্লোহি আলাইহিমা সম্পর্কে ভাই ইবন মুমিন যে মন্তব্য করেছেন তা একেবারেই আদব বহির্ভূত হয়েছে। উলামাদের ভুলকে আমরা সওয়াব পাওয়ার কারণ হিসেবে দেখি ইজতিহাদ করার কারণে। কিন্তু আমরা এ নিয়ে তাদের সম্মানে আঘাত দেই না। হারাম-হালাল, ফরয-ওয়াজীব নিয়ে পুর্ববর্তীদের মাঝেও এখতেলাফ ছিল। এ রকম বহু উদাহরণ থাকার কারণে আমি এখানে তা সময় বাঁচাতে উল্লেখ করলাম না। আপনি শাইখ মাক্বদিসী-র মন্তব্য দেখুন শাইখ বিন বায সম্পর্কে। আরও উদাহরণ আছে। উলামায়ে দেওবন্দের অবদান হয়ত পুরোপুরি না জানার কারণে আপনারা এ মন্তব্য করছেন। আল্লাহ মাফ করুন। ভাই দেওবন্দ! আপনার প্রতি নসিহত থাকবে আপনি বারে বারে 'দেওবন্দ, দেওবন্দী' করলে একটি দলাদলী মনোভাবের সৃষ্টি হবে যা ঠিক হবে না। আপনার বুঝা উচিৎ আল-ক্বায়েদার ভায়েরা ৯০% সালাফী। যারা আসল সালাফী। যারা কখনো দেওবন্দে পড়াশুনা করেননি বা হানাফী নন। আল্লামা শফীও ভুল করতে পারেন, হাকিমুল উম্মতও ভুল করতে পারেন। তবে এখানে তারা কোন ইসলামী দেশ যেখানে শরিয়ত ক্বায়েম আছে এবং যেখানে অমুসলিমরা জিযিয়া দিয়ে থাকে বা ইসলামী authority তাদেরকে আমান দিয়েছে, এ রকম জিম্মি বা আহলে আমানদের বুঝিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু, আমাদের দেশে বা কোন এমন দেশ আছে যেখানে শরিয়ত গালেব আছে বা কোন ইসলামী authority আছে যাদের দেয়া আমান আমরা ভংগ করতে পারবো না? অবশেষে আমার ভাই জুহায়মান! আপনাকে বলতে চাই: আগাম না জেনে & অনুমানের উপর ভিত্তি করে কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন। মুসলিমদের সম্মন্ধে ভাল ধারণা পোষন করুন। ভালবাসুন, সম্মান দিন। আপনি যদি আরাকানের মুসমিলদের জন্য কাঁদতে পারেন যারা বেশিরভাগ নামায নিয়মিতি পড়ে না, পর্দা করে না, তবে আপনি কেন এই ভায়ের প্রতি সুন্দর মানসিকতা পোষন করবেননা। এই ভাই শুধু জানতে চেয়েছেন, তিনি তো আঞ্জেমের মত ফাতওয়া দেননি
          আপনি পড়ুন সূরা হুজুরাত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এবং এই ভায়ের জন্য, আমার জন্য, ইবন মুমিন ভাই ও অন্য সকল মুসলিমের জন্য দু'আ করুন। আমাকে আপনাদের ভাই ও সহযোগী মনে করুন। মা'আসসালাম।

          Comment


          • #6
            Originally posted by ibn mumin View Post
            আসসালামু আলাইকুম
            ভাই, আঞ্জেম চৌধুরিকে দেওয়া জবাবগুলো ভালভাবে পড়লে তো আর এই সন্দেহ থাকার কথা না।
            আর মানুষের ভুল হয়। তাগুতের কোলে বসে+ পা চেটে কে সঠিক ফতোয়া দিতে পারবে বলুন।
            যারা সারা দুনিয়ায় এলমের ফুলঝুরি ছড়ায় তারা যখন দাবি করে পাকিস্তানে জিহাদ ফরয না, তখন তাদের পূর্বসূরিদের লেখা এইখানে পোস্ট করে কি লাভ। !! যদিও আমার কাছে উত্তর চাওয়া হয় নি, তবুও আপনার লেখা দেখে চুপ থাকতে পারলাম না। আপনি দরকার হয় আঞ্জেম চৌধুরিকে দেওয়া জবাবগুলো আবার পড়েন।
            এভাবে বলা উচিত নয় ভাই। উলামাদের সন্মান রেখে কথা বলি ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              আমার একটা প্রশ্ন হলঃ মুসলিম দেশে বসবাসরত কাফেরদের হত্যার হুকুম আর কাফের দেশ থেকে মুসলিম দেশে আসা কোন হারবী কাফেরের হত্যার হুকুম কি একরকম ?

              Comment


              • #8
                Originally posted by ustad ahmad faruq View Post
                আমার একটা প্রশ্ন হলঃ মুসলিম দেশে বসবাসরত কাফেরদের হত্যার হুকুম আর কাফের দেশ থেকে মুসলিম দেশে আসা কোন হারবী কাফেরের হত্যার হুকুম কি একরকম ?
                ভাই উক্ত বিষয় নিয়ে aqis এর আলেমদের কে পিডিএফ এর মাধ্যমে বর্ননা সহকারে ফতুয়া দেওয়ার জন্য আহবান করছি। এরপর যাতে কেহ কোন প্রকার প্রশ্ন করতে না পারে।
                যেমন :অনেকেই গুলশান হামলার বিষয় তোলে বলে। বেসামরিক ব্যক্তি ও মহিলাদের হত্যা করা বৈধ বা নিস হামলা ?
                রেফারেন্স সহ উল্লেখ করবেন। মানুষ জিহাদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ের বৈধতা নিয়ে কথা বলে।
                aqis এর আলেমরা যদি পিডিএফ অডিও,ভিডিও তে রেফারেন্সসহ উল্লেখ করতেন, তাহলে উত্তম হত। জিহাদ নিয়ে মানুষের নিকট কথা বলার সময় আমাদের নিকট রেফারেন্স দেওয়া সহজ হয়ে যায়।
                Last edited by আল জিহাদ; 08-10-2016, 04:40 AM.
                আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post
                  আমার একটা প্রশ্ন হলঃ মুসলিম দেশে বসবাসরত কাফেরদের হত্যার হুকুম আর কাফের দেশ থেকে মুসলিম দেশে আসা কোন হারবী কাফেরের হত্যার হুকুম কি একরকম ?
                  জ্বি না, হযরত! কখনোই না। কারণ আলোচ্য আয়াতের তাফসীরে লেখা হয়েছে, মুসলিমদের সাথে যুগযুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বিধর্মীদের সাথে একটি "অলিখিত আমান" বিদ্যমান থাকে, যার বিরূদ্ধাচরণ করা কবীরা গোনাহ। বিরূদ্ধাচরণ করতে গেলে প্রথমে আমান প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে হবে।

                  বাংলাদেশে গত ২ বছর সন্ত্রাসী খারেজী জঙ্গিগোষ্ঠী আই.এস. বেছে হিন্দু পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু, পীর-মাজার
                  পন্থী, শিয়া, কাদিয়ানী, খ্রিস্টান পাদ্রীদের হত্যা করেছে। এটা জায়েয হয়েছে কী? আমার প্রশ্ন এখানেই।

                  জাযাকাল্লাহু খইরান! এই অধমের পোস্টে কমেন্ট করার জন্য। আর আল্লাহর কাছে শোকর আপনি আমাকে ভুল বুঝেন নি।

                  Comment


                  • #10
                    @দেওবন্দ ভাইঃ আপনার আবেগ আমি বুঝি কিন্তু বাস্তবতা কঠিন... আচ্ছা আপনি একটু খোজ নিয়ে দেখেন তো ১৯৭১ এর যুদ্ধের ব্যাপারে শফি উসমানি সাহেবের ফতোয়া কি?? আশরাফ আলি থানবি (রাহিঃ) কি শাহ আব্দুল আযিয (রাহিঃ) এর ভারতবর্ষ দারল হারব এই ফতোয়া সাপোর্ট করেছিলেন? উনি ভারতবর্ষ সম্পর্কে কি ফতোয়া দিয়েছিলেন?? যখন ভারত খ্রিস্টানদের দখলে ছিল??
                    আর ভাই দেওবন্দ থেকে যেমন মাওলানা আসেম উমর আছে ঠিক তেমনি ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেবেও আছেন।
                    সালাফিদের মধ্যে যেমন রাবি আল মাদখালি আছে ঠিক তেমনি আছে শায়খ উসামা বিন লাদেন।
                    যেমন আমার স্কুল থেকে পড়া লেখা করে আমি জঙ্গি হয়েছি ঠিক তেমনি আমার স্কুলের ফ্রেন্ডরা এখন ভার্সিটির সামনে দারিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী মিছিল করে।
                    মূল কথা কোন স্কুল, কলেজ/ মাদ্রাসা হকের মাপ কাঠি না।
                    কোন কিছু হক না বাতিল তা আমাদের মিলিয়ে নিতে হবে সাহাবা (রাজিঃ) জামাতের সাথে। একমাত্র তারাই হকের মাপ কাঠি।
                    যাই হোক ভাই, আমি আপনার সাথে এই বিষয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। আর আমার এই কথায় মূল পোস্টের থিমই হারিয়ে যাচ্ছে।
                    ইংশা আল্লাহ, খুব দ্রুতই এই বিষয় নিয়ে আলাদা একটা পোস্ট লিখবো। -সালাম।
                    "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
                    বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

                    Comment


                    • #11
                      পূর্বসূরিদের লেখা এইখানে পোস্ট করে কি লাভ। !!!

                      অন্যান্য জবাব ইনশাআল্লাহ আসবে, কিন্তু (পূর্বসূরিদের লেখা এইখানে পোস্ট করে কি লাভ)এই কথাটি কি মাথা ঠিক রেখে দেয়া হয়েছে?

                      أُولَئِكَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ مِنْ ذُرِّيَّةِ آدَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِنْ ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْرَائِيلَ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَاجْتَبَيْنَا إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُ الرَّحْمَنِ خَرُّوا سُجَّدًا وَبُكِيًّا (58) فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا (59) إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُولَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْئًا (60)
                      فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ وَرِثُوا الْكِتَابَ يَأْخُذُونَ عَرَضَ هَذَا الْأَدْنَى وَيَقُولُونَ سَيُغْفَرُ لَنَا وَإِنْ يَأْتِهِمْ عَرَضٌ مِثْلُهُ يَأْخُذُوهُ أَلَمْ يُؤْخَذْ عَلَيْهِمْ مِيثَاقُ الْكِتَابِ أَنْ لَا يَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ وَدَرَسُوا مَا فِيهِ وَالدَّارُ الْآخِرَةُ خَيْرٌ لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ (169) وَالَّذِينَ يُمَسِّكُونَ بِالْكِتَابِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُصْلِحِينَ (170)
                      নবিগনের উত্তরসূরি পর্যন্ত পথ হারা হয়েছে,এবার কোন উত্তর সূরির কারনে পুর্বসূরিদের উপর আপত্তি তোলার ক্ষেত্রে চিন্তা ভাবনা করা চায়।
                      আমাদের মহান আকাবিরদের কারো থেকে জিহাদ বিরোধিতার কোন বিষয় কেহ দেখাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহু তায়ালা।
                      ইলিয়াছ রাঃ বলেছেন আমার এই গাশ্ত তিনদিন চিল্লাহ এগুলো আমার মূল মিশনের আলিফ,বাআ, তাআ,।
                      আমার উদ্দ্যেশ্য জমি'মাজাআবিহিন্নাবিয়্যু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বাস্তবায়ন করা।(বর্তমানে বাজারে চলমান মালফুজাতেও এই ইবারত গুলো বিদ্যমান)
                      থানবি রঃ অন্যতম খলিফা শাহ আব্দুল গনি ফুলপুরি রাঃ প্রশিক্ষন নিয়ে একা ৫০০ জনের সাথে লড়ার মত যোগ্যতা সম্পন্ন লাঠিয়াল হয়ে ছিলেন। সেই চেতনার ধা্রাবাহিকতা আলহামদুলিল্লাহ বর্তমান জিহাদের সাথে ও স্বরাস্বরি অনেকটা প্রত্যক্ষভাবেই সংযোক্ত হয়েছে।
                      দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাই মূলত ছিল আল্লাহ তায়ালার আয়াতে নির্দেশিত তাহাররুফ লিলকিতাল
                      يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوهُمُ الْأَدْبَارَ (15) وَمَنْ يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَى فِئَةٍ فَقَدْ بَاءَ بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ (16)

                      কারন তারা ইংরেজদের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন মুসলমানদের পূর্ন আযাদি ও শরয়ী বিধানের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যই, ইংরেজ মনিবের বদলে হিন্দু প্রভুর কর্তৃত্ব মানার জন্য নহে , আর যতক্ষন এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হয়েছে যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে দেয়ার কোন অবকাশ নেই, তাহলে আল্লাহর গজবে পড়তে হবে, এই জন্য তারা মুখূমুখি যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে না পেরে গেরিলা যুদ্ধের দিকে টার্ন করেছেন, আর গেরিলা যুদ্ধের অপরিহার্য্য উপদান হলো জণ সম্প্রিক্ততা, এই জন্য দারূল উলূমের উসূলে হাশ্তেগানার একটি মৌলিক নীতি ছিল জনগনের চাদায় মাদ্রাসা পরিচালনা ,আকাবির দের অন্যান্য বিষয়গুলোর মত এটিকেও আমরা বিকৃত করে ঘৃণিত ভিক্ষাবৃত্তি ও ফাসেক ফাজেরের চাটুকারিতায় রূপান্তরিত করেছি।কারন জন সংযোগের মাধ্যমেই যুদ্ধের খরচ মুজাহিদের আশ্রয়, আনছার, মুহাজির, মুজাহিদ, তৈরির এন্তেজাম হবে।যদিও খালফ রুগে আক্রান্ত হয়ে আমরা সালাফের সেই তরিকায় পুরোপুরি ছিলামনা তবো চিংগারি স্ফুলিংগ বাকি ছিল যা আফগানে জলে উঠেছিল,এবং জলেচলছে ,(ইনশাল্লাহু তায়ালা চলবে) শায়খ উসামা হাসান তুরাবির দেশ সুদানে বাহ্যিক ব্যর্থ হয়ে আফগানে এসে নানুতুবি,থানবির উত্তরসুরিদের দ্বারাই সমাদৃত হয়ে উম্মতকে কৃতার্থ করতে পেরেছেন। সত্যি কথা বলতে গেলে আকাবিরে দারুল উলূমের উন্নত শাখাটি... এখন ...আফগানে...।
                      আমাদের আকাবির অনেকে সেই সময়ের বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে প্রত্যক্ষ জিহাদে শরিক হতে পারেননি কিন্তু এর জন্য তড়প, ধরকন, সর্বদা তাদের মধ্যে টগবগ ছিল। যার কারনে উসমানি খিলাফতের উদ্দ্যশ্যে তারা এই দেশ থেকে সেচ্ছাযুদ্ধা অর্থ সহায়তা রাজনৈতিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন। দারুল উলুমে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রুমালের কাহিনি ও এর সাথেই সম্পৃক্ত। শফি উসমানি তার উসমানি খিতাব যেন বর্তমানে তালেবানি খেতাবের মত, এটা ইসলামি খিলাফত ও জিহাদের একটি লগো। ভাই জিন্দারা বিভিন্ন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে যায় , এদের উপর শরিয়তের সীমাতিরিক্ত আশা , আস্থা ও অনুসরন এটিও আরেকটি বাড়াবাড়ি।
                      ( কিয়ামত পর্যন্ত মুজাহিদ জামাত থাকবে)এখন অনেকে নফছের জিহাদ কেই জিহাদ বলতে চায় তাদের কে জিজ্ঞেস করি চরমুনাইর মরহুম পীরসাহেব ফজলুল কারীম রহঃ আফগানিস্তানের মাঠে গিয়েছিলেন কেন ?
                      শায়খুল হাদিস আল্লামা আযীযুল হক্ব রাঃ আরাকানের পাহাড়ে গিয়ে মাটিতে শুয়ে কেন বলেছিলেন আল্লাহর রাস্তার কিছু মাটি মাখিয়ে নিতে দাও।
                      ইসমাঈল শহীদ রাঃ উত্তাল যমুনা ভরা মৌসুমে সাত্রিয়ে পারি দিতেন, প্রচন্ড গরমে দুপর বেলায় নগ্ন পায়ে পাহাড়ে হাটতেন কোন জিহাদের উদ্দেশ্যে?
                      মক্কায় কোন জিহাদ ফরজ ছিলনা ? নফছের জিহাদ ? বাস্তব জিহাদ থাকবে আছে চক্ষুষ্মানরা দেখবে অন্ধরা বাহানা বানাবে , এমনিতে অন্ধঅরা মাযুর তার পিছনে সুস্থদের নামাজ হবেনা।তার অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই সে পারলে পিছনে এসে শরিক হবে। আবার বলছি বেয়াদবির পরিণাম ভাল না।আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাফ করেদিন।
                      যুদ্ধ হলো ধোঁকা আর গদর হলো হারাম।
                      বিশ্লেশনে যাওয়ার আগে সহজ ভাবে বলি, বর্তমান গ্লোবালিজ দুনিয়ায় মুজাহিদীন এক পক্ষে ইসরাঈলকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা কারি, জাতিসংঘ, ন্যটো, ইউরূপিয়/আফ্রিকান ইউনিয়ন আমেরিকা ভারত বার্মা... সবাই মুজাহিদদের ঘোষিত প্রতিপক্ষ, প্রত্যেকেই অপর পক্ষের জন্য মারতে মরতে প্রস্তুত এর জন্য কোন স্থান নির্ধারিত নেই।
                      এদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শান্তি চুক্তি হলেও তারা ইসরাঈলের সহায়তা করার কারনে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই চুক্তি ভেঙ্গে যাবে।
                      আর নেতার চুক্তিলংঘনের খেসারত জনতা বহন করতে হয় এটা দ্বীনি দুনিয়াবি উভয় নিয়মেই প্রযোয্য।

                      Comment


                      • #12
                        হে উম্মাহর উলামাগণ ! আমরা আপনাদেরকে দিকেই চেয়ে আছি.........।
                        কাঁদো শামের জন্য...........

                        Comment


                        • #13
                          বিশ্লেশনে যাওয়ার আগে সহজ ভাবে বলি, বর্তমান গ্লোবালিজ দুনিয়ায় মুজাহিদীন এক পক্ষে ইসরাঈলকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা কারি, জাতিসংঘ, ন্যটো, ইউরূপিয়/আফ্রিকান ইউনিয়ন আমেরিকা ভারত বার্মা... সবাই মুজাহিদদের ঘোষিত প্রতিপক্ষ, প্রত্যেকেই অপর পক্ষের জন্য মারতে মরতে প্রস্তুত এর জন্য কোন স্থান নির্ধারিত নেই।
                          এদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শান্তি চুক্তি হলেও তারা ইসরাঈলের সহায়তা করার কারনে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই চুক্তি ভেঙ্গে যাবে।
                          আর নেতার চুক্তিলংঘনের খেসারত জনতা বহন করতে হয় এটা দ্বীনি দুনিয়াবি উভয় নিয়মেই প্রযোয্য।
                          হযরত, আপনার কথা সম্পূর্ণ ঠিক। কিন্তু ধরুন, আমার পাশের ফ্ল্যাটে এক হিন্দু থাকে। সে দীর্ঘ ৬ বছর আমার প্রতিবেশী। তার সাথে যিম্মাহর চুক্তি না থাকলেও মাওঃ আশরাফ আলীর মতে কার্যগত অলিখিত আমান আছে। তাই, সেই হিন্দু যদি শাতেম না হয়, তাকে হত্যা করা উচিৎ নয়। কারণ শাতেমের সাথে কোন চুক্তি নয়। একারণে আই.এস. জঙ্গিরা যে শিয়া, হিন্দু পুরোহিত হত্যা করছে, সেটা জায়েয হওয়া উচিত না। অন্তত আমার বুঝে এটাই আসছে... খোলাসা করতে পারবেন কী? নাফা'আল্লহু বিকুমুল উম্মাহ।

                          Comment


                          • #14
                            আপত্তি মনে হয় না

                            আপত্তি মনে হয় না

                            অলিখিত নিরাপত্তা চুক্তির কথাটা আমি মারেফুল কুরআনেও পেয়েছি, যা আল্লামা শফী রহ: আশরাফ আলী থানবী রহ: এর বরাতে উল্লেখ করেছেন এবং বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্ত উমদাতুলকারী তেও পেয়েছি, যা আল্লামা আইনী রহ: লিখেছেন। উমদাতুলকারী তে হযরত মুগীরা ইবনে শুবা রা: এর সেই ঘটনা দিয়ে দলিল দেওয়া হয়েছে, যা জনাব দেওবন্দ ভাইও উল্লেখ করেছেন। এই অলিখিত নিরাপত্তা চুক্তির কথাটা আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত ও বোধগম্যও মনে হয়। তবে কাফেরের রক্ত মৌলিকভাবে বৈধ হওয়ার সাথে তো এই অলিখিত নিরাপত্তা চুক্তির মতটির কোন বিরোধ নেই। কারণ নিরাপত্তা চুক্তির কারণে তো রক্ত নিরাপদ হতেই পারে।
                            এই অলিখিত নিরাপত্তা চুক্তির মতটি মানার দ্বারা যে ফলাফল বের হয়ে আসে তা হল:
                            ১। যদি কোন দারুল ইসলামের শাসকরা মুরতাদ হয়ে যাওয়ার কারণে বা কাফেররা দারুল ইসলামকে দখল করে নেওয়ার কারণে তা দারুল হরব এ পরিবর্তিত হয়ে যায়, তাহলে যে সমস্ত যিম্মীরা পূর্বে এই দেশে বসবাস করত, তারা এখনও নিরাপদ থাকবে। পূর্ব থেকে নিরাপদে বসবাস করে আসার কারণে কেমন যেন এখনও একটি চুক্তি আছে। তাই যতক্ষণ না তারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুুদ্ধে জড়ায় বা যুদ্ধে কোন প্রকার সহযোগীতা করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে হত্যা করা যায় না। এভাবে ধারাবাহিকভাবে তাদের বংশধররাও।
                            ২। কোন কাফের দারুল হরবে ছিল। পরে সে ইসলাম গ্রহণ করে দারুল ইসলামে চলে আসল। তাহলে সে পূর্বে কাফের থাকা অবস্থায় তার স্বজাতীর কাছ থেকে যে টাকা/পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেটাকে ছিনতাই বা চুরি হিসাবে ধরা হবে। সেটা সে ভাল কাজ করেছিল এমনটা ধরা হবে না। এবং হত্যা করে থাকলেও এমনই মাসআলা হওয়ার কথা।
                            ৩। কোন মুসলিম যদি দারুল হরবে বসবাস করে (যদিও তা জায়েয নেই)। এক্ষেত্রে সে যদি সরকারের অনুমতিক্রমে বসবাস করে তাহলে তো স্পষ্টলিখিত চুক্তিই হল, যা ভঙ্গ করা তথা সেখানকার কারো মাল নিয়ে নেওয়া বা কাউকে হত্যা করা হবে বিশ্বাসঘাতকতা। আর যদি সরকারের অনুমতিক্রমে নাও হয়, তথাপি সবসময় কাফের প্রতিবেশির সাথে পারস্পরিক নিরাপত্তার সাথে বসবাস করে আসার কারণে এক প্রকার অলিখিত চুক্তি হয়ে যায়, যার কারণে তাদেরকে হত্যা করা বা তাদের মাল নিয়ে নেওয়া হবে বিশ্বাসঘাতকতা।
                            ৪। যদি কোন দারুল ইসলামের মুসলিম অনুমতি ছাড়া দারুল হরবে প্রবেশ করে এবং সে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসও করে না, তাহলে তার সাথে কোন নিরাপত্তা চুক্তি নেই। তাই তার ক্ষেত্রে এই মুলনীতি প্রযোজ্য হবে: কাফেরের জান মাল মৌলিকভাবে বৈধ ।
                            ৫। যেকোন কাফের, তার সাথে লিখিত নিরাপত্ত চুক্তি থাকুক বা অলিখিত চুক্তি থাকুক, সে যিম্মী হোক বা যেই হোক, যদি সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্পর্ক রাখে, তাহলে তার জান মাল বৈধ।
                            সম্মানিত ভাইগণ! এই বিষয়গুলো মানতে আমার তেমন আপত্তি মনে হয় না। তবে যেকেউ উত্তম দলিল দিলে তা স্বতষ্ফুর্তভাবে মেনে নেব ।
                            আরেকটি বিষয়, প্রিয় ভাইয়েরা! কেউ জিহাদ বিমুখ হওয়ার কারণে তার ব্যাপারে প্রশ্ন আসা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সেক্ষেত্রে ব্যক্তির বিষয়গুলো বললেই তো হয়। তার শ্রেণী বা জামাতের নাম বলে সাম্প্রদায়িকতার আগুন জালিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন কি?!

                            Last edited by salahuddin aiubi; 08-09-2016, 12:39 AM.

                            Comment


                            • #15
                              মুরাবিত ভাই! তবে আকাবিরদের কারো কারো থেকে জিহাদ বিমুখিতা পাওয়া গিয়েছে।


                              পূর্বের কমেন্টর সংশোধিত রূপ। এই পরিবর্তিত কমেন্টটির প্র্রতি উস্তাদ আহমাদ ফারুক ভাই ও মুরাবিত ভাইয়ের দৃষ্টিঁ আকর্ষণ করছি।
                              Last edited by salahuddin aiubi; 08-14-2016, 12:11 AM.

                              Comment

                              Working...
                              X