Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের সাধারণ দিক নির্দেশনা, সম্মানিত ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদের সাধারণ দিক নির্দেশনা, সম্মানিত ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ

    শাইখ জাওয়াহিরী বলেন “খ্রিষ্টান, শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের যারা মুসলিম ভূখণ্ডে বসবাস করছে তাদের সাথে ঝগড়া না করা যদি তারা সীমালংঘন করে তবে তাদের সীমালংঘনের আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া করা যথেষ্ট হবে। এই প্রতিক্রিয়া একটি বিবৃতি সহ আসতে পারে যে আমরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ শুরু করতে চাই না যেহেতু আমরা কুফরের প্রধান আমেরিকার সাথে যুদ্ধে রত আছি এবং নিকট ভবিষ্যতে আল্লাহর ইচ্ছায় ইসলামী রাস্ট্র কায়েমের পরে আমরা তোমাদের সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে চাই।”

    (জেনারেল গাইডলাইন থেকে)

    শাইখ জাওয়াহিরী আরো বলেন “সাধারন ভাবে যারা আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করেনি অথবা, এই ধরনের শত্রুতাপূর্ণ কর্মকান্ডে জড়িত হয়নি তাদের সাথে যুদ্ধ করা অথবা লক্ষ্যবস্তু বানানো পরিহার করবেন এবং প্রাথমিক লক্ষ্য ক্রুসেডার বাহিণীর উপর আর তারপরে তাদের স্থানীয় সহযোগীদের উপর রাখবেন।
    যারা যুদ্ধে জড়িত নয় এমন নারী এবং শিশু এবং এমনকি যদি যারা আমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত তাদের পরিবার ও হয় তবুও তাদেরকে হত্যা ও তাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকুন। তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে যতটুকু সম্ভব বিরত থাকুন।”
    (জেনারেল গাইডলাইন থেকে)


    সুবহানাল্লাহ, শাইখ আমাদের কি শিখাচ্ছেন? আর আমরা এই ফোরামে কাফিরদের রক্ত সক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ( যা অনেক ক্ষেত্রে বাহাসে পরিণত হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আক্রমণও হচ্ছে) বাংলাদেশের জনতাকে কি বুঝাতে চাচ্ছি?

    কোনটার বেশি দরকার ছিলো? কাফিরদের রক্ত হালাল না হারাম এই বিষয়টা উম্মাহকে বুঝানো না বিভিন্ন কাফিরদের ব্যাপারে ক্বায়িদাতুল জিহাদের দৃষ্টিভঙ্গি উম্মাহকে বুঝানো?
    শয়তান আমাদেরকে আমাদের লক্ষ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের আম জনতা মনে করতে শুরু করেছে কাফিরদের বিরুদ্ধে আই এস এর দৃষ্টিভঙ্গি আর আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোন পার্থক্য নেই। ক্বায়িদা যা আই এসও তা, যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন আর কি।

    ও আমার ভাই, সবেতো চলা শুরু, এখনই কুকুরের ঘেউ ঘেউ দেখে চমকে গেলে? রাস্তার ধারের প্রতিটি কুকুরকেই কি জবাব দিতে হবে? তাহলে সামনে এগুবে কখন? তোমরাই না, ক্বুরআনের এই আয়াতের উপর আমল করতে চাও “তারা কোন নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করেবেনা” ।

    সম্মানিত ভাইদের আরেকবার শাইখ জাওয়াহিরীর “জেনারেল গাইডলাইন ফর জিহাদ” পড়ার আহবান করছি।
    বিন কাসিমের রণ বেশে
    কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
    দিকে দিকে লাগাও নারাহ
    জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সুন্দর চিন্তা। মূল মাসলা বুঝার পাশাপাশি তানজীমের মানহাজও সবাইকে সাফ করা জরুরী।

    তবে এই ফোরামে আলোচনা মানেই এটা নয় যে, জনগণকে আমরা আমাদের মানহাজ জানাচ্ছি। শরয়ী হুকুম জানা / বুঝা এক বিষয় আর নিজেরা সেই হুকুমের উপর আমল করা (ওয়াজিব না হলে) অন্য বিষয়। তবে সতর্কতার জন্য এই সংক্রান্ত মাসয়ালা আলোচনার সময় উপরে উল্লেখিত সাধারণ দিক নির্দেশনার কথাগুলো উল্লেখ করে দিলে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ। কেউ শুবুহাত তৈরী করতে পারবে না।

    Comment


    • #3
      mashallah, uvoyti ekosathe jruri, zajakumullahutayala.

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ আবু মুজাহীদ ভাই।
        তবে উভয় আলোচনাই একসাথে জরুরী।
        একটা হলো মানহাজ অপরটা মাসয়ালা।

        Comment


        • #5
          জাজাকুমুল্লাহ খাইরান ভাইয়েরা। সব ভাইদের "জাকারিয়া আব্দুল্লাহ" ভাইয়ের কথাগুলো আমলে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। মাসআলার পাশাপাশি মানহাজও সবার সামনে পরিষ্কার করা জরুরী। দাওলার গুলশান হামলার পর থেকেই এই মাসয়ালাটি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। তবে যতটুকু আলোচনা করা হয়েছে মাসয়ালা সক্রান্ত ততটুকু আলোচনা করা উচিৎ ছিল এই বিষয়ে ক্বায়িদার মানহাজ নিয়ে। আম মানুষ এসব দেখে মনে করছে, আমরা আর দাওলা একি। মিডিয়াও এ কথা মানুষের মনে পুশ করছে। গুলশান হামলার আগে যখন দাওলা ধারাবাহিকভাবে ঝিনাইদহ ও এর পাশেপাশের অঞ্চলের কাফিরদের হত্যা করছিলো তখন আমাদের ভাইয়েরা তুলনামূলকভাবে চুপ ছিলেন, ফলে ওগুলো নিয়ে কোন ফিতনা হয়নি, মানুষ দাওলা আর ক্বায়িদাকে এক করেনি। কিন্তু গুলশান হামলা নিয়ে আমরা এত বেশি বলেছি যে মানুষ আমাদের দাওলার সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। দাওলার মার্কেটিং আমরাই করেছি।

          আওয়ামকে সাথে নিয়ে চলতে হবে এর মানে এই নয় যে আওয়ামের অনুগামী হতে হবে, তবে আওয়ামকে শত্রুও বানানো যাবেনা।

          আমাদের মাথায় রাখা উচিৎ "আম মানুষেরা মাসআলা বুঝতে চায়না বরং আম মানুষ আমাদের আমল দেখতে চায়, আমাদের কর্মপন্থা কি সেটা দেখতে চায়"

          "আম মানুষেরা যে কোন জিনিসকে দ্বীনি দৃষ্টিকোন থেকে দেখার আগে দুনিয়াবি দৃষ্টিকোন দিয়ে দেখে" এ কথাটা মাথায় রেখে চলতে হবে ।

          আমি এ কথা বলছিনা যে বিভিন্ন কাজের শুধু দুনিয়াবি ফায়দাটুকু মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে, বরং বলতে চাচ্ছি "আম মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের কাজের দ্বিনী ফায়দার দিকগুলোর সাথে সাথে দুনিয়াবি ফায়দার দিকগুলোও আম মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে "


          গুলশান হামলার শরয়ী আলোচনা আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ ছিল, আর আম মানুষের সামনে "কৌশলগত আলোচনা" বেশি করে তুলে ধরা উচিৎ ছিল। তাহলে মুনাফিক্বরাও আম মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নিতে পারতোনা আবার বাংলাদেশী দাওলাহও আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলতে পারতোনা, যেহেতু আমরা কৌশলগত আলোচনা করেছি।


          আমি নিতান্ত ছোট একটা মানুষ। বয়সও বিশ পার হয়নি অর্থাৎ এমনিতেও ছোট, অমনিতেও ছোট। তাই আমার কথাগুলোর মাঝে ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক। এর যা কিছু উত্তম আল্লাহ যেনো তা দিয়ে উম্মতকে উপকৃত করেন আর যা কিছু নিকৃষ্ট তা থেকে সবাইকে পবিত্র রাখেন। আল্লাহ যেনো আমাদের সবাইকে মাফ করে দেন। আর আমাদের সবুজ পাখি হিসেবে জান্নাতে একত্রিত করেন।
          বিন কাসিমের রণ বেশে
          কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
          দিকে দিকে লাগাও নারাহ
          জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

          Comment

          Working...
          X