Announcement

Collapse
No announcement yet.

উস্তাদ আহমদ ফারুকের বার্তা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উস্তাদ আহমদ ফারুকের বার্তা

    আমরা যেনো মৌমাছির মতো হই......!

    উস্তাদ আহমদ ফারুক –রঃ
    সম্প্রতি বিভিন্ন জিহাদাঙ্গনে চলিত ফিতনা এবং পরীক্ষার ব্যাপারে মুজাহিদ ভাইদের প্রতি অন্তরের কথা ।
    আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ অতঃপর...
    ওইসব প্রিয় ভাইদের প্রতি যারা জিহাদ ও রিবাতের ময়দানে অটল আছেন, যারা যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কঠিন-দুর্দিনে ধৈর্যশীল আছেন, যারা নিজেদের অন্তরকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করছেন।
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু...
    হাসান হাদীসে নবী কারীম –সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে তিনি বলেন,
    “মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে একটি মৌমাছির মতো, যদি সে খায় তাহলে উত্তম খায়, যদি সে বর্জ্য দেয় তাহলে সে ভালো দেয়, যদি সে কোনো নরম গাছে বসে তাহলে তা ভাঙ্গে না...(বায়হাকি বর্ণনা করেছেন, এবং আলবানি হাসান বলেছেন, হাদীস নম্বরঃ ১০৭৮৫)
    আমাদের নবী ও হাবীবের উপর সহস্রাধিক দরুদ সালাম পেশ করি... অধিক অর্থপুর্ণ সংক্ষিপ্ত হাদীসের এই ইবারত মুমিনের অনেক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই হাদীসে আমাদেরকে যে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে সতর্ক করেছে তা হচ্ছে প্রকৃত মুমিন –যার মধ্যে অনেক উত্তম চরিত্রের সমন্বয় হবে- সংশোধন এবং কল্যাণলিপ্সু হবে, অধিক উপকারকারী, স্বল্প কষ্টদাতা হবে, তার ভেতর বাহির থেকে একমাত্র উত্তম কাজ এবং উপযুক্ত কাজই বের হবে, তার উপস্থিতি হবে এই পার্থিব জগতের জন্যে রহমতস্বরূপ এবং সৃষ্টিকুলের জন্যে উপকারী।
    একজন মুমিন মৌমাছির সাথে কয়েকভাবে সাদৃশ্য রাখেঃ
    * সে নিচুমনা এবং নোংড়া কাজ থেকে বিরত থাকবে যেভাবে একটি মৌমাছি আবর্জনা থেকে মুক্ত থাকে,
    * মুমিন কঠোর প্রচেষ্টা চালাবে যাতে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে একমাত্র উত্তম ব্যতীত কোনো কিছু প্রকাশ পাবে না – যেমনিভাবে মৌমাছির পেট থেকে উপকারী রং-বেরংয়ের মানুষের জন্যে ঔষধ পানীয় ব্যতীত অন্যকিছু বের হয় না।– এটা এজন্য যে মুমিন জানে সে হচ্ছে এমন উম্মতের একজন যাদেরকে মানুষের জন্যে বের করা হয়েছে, অর্থাৎ হেদায়াতের পথে মানুষকে পরিচালনের জন্যে, তাদেরকে এমন পথে নির্দেশনা দেওয়ার জন্যে যাদের দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে এবং তাদেরকে জাহিলিয়্যাতের অন্ধকার থেকে আল্লাহর শরীয়তের আলোকিত পথে নিয়ে আসার জন্যে,
    * সে নিজের বিনয়ত ও মানুষকে কম কষ্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও মৌমাছির সাদৃশ্য রাখে, যেমনিভাবে মৌমাছি যদি নরম গাছে বসে তা ভাঙ্গে না, এমনভাবে হবে একজন মুমিন... নিজ মুমিন ভাইদের প্রতি নরম কোমল অন্তরঙ্গ অমায়িক, তাদেরকে কোনো কিছু দ্বারা কষ্ট দিবে না এবং তাদেরকে স্পর্শের আঘাত করবে না, তাদের প্রতি বিনম্র, তাদের প্রতি দয়াশীল, তাদের জন্যে কল্যাণকামী হবে প্রতারক নয়!
    আসুন হে প্রিয় ভায়েরা! আমরা হই একটি মৌমাছির মতো, যদি এটা আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে না হয় তাহলে মৌমাছির থেকে কম যেনো না হই, মৌমাছি তার কাজ তো বিস্ময়কর! সহীহ হাদীসে আব্দুল্লাহ বিন উমর রাজি আল্লাহু থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রিয় হাবীব মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরেকটি উদাহরণ টানলেন – যার কোমলতা প্রথমটি থেকে কম হবে না- মুমিনের অবস্থা বর্ণনার জন্যে, তিনি সেথায় বলেন,
    মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে একটি খেজুরের ন্যায়। তুমি তার থেকে যতটুকু নিবে তা তোমার কল্যাণে আসবে। (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহীহাহ/ শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি রাহঃ/ হাদীস নম্বরঃ ২২৮৫)
    মৌমাছি অন্যান্যদের চেয়ে গাছ চয়নের ক্ষেত্রেও বিশেষ বৈশিষ্ট্য অবলম্বন করে, যাতে তার ফলসমুহ খাওয়া যায় এবং জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে উপকার লাভ করা যায় –তার খোসা থেকে বের হওয়া থেকে শুরু করে শুষ্ক হওয়া পর্যন্ত- যাতে তার কাঠ, পাতা, ডাল এবং মুকুল প্রত্যেকটি কোনো না কোনো অবস্থায় উপকার দেয়, অতঃপর তার উত্তম উতপাদন, সুন্দর ফল এবং তার স্থির ছায়া যা সময়ে সময়ে বেশি উপকার পৌছাতে থাকে... একজন মুমিনকে এমনই হওয়া চাই ... যিনি হবেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথার বাস্তব উদাহরণ এবং জীবন্ত নমুনাঃ
    আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ওই ব্যক্তি যে মানুষকে অধিক উপকার পৌছায়, আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হচ্ছে ওই প্রফুল্ল যা অন্য মুমিনের অন্তরে প্রবেশ করে অথবা তার থেকে দুঃখ দূর করে অথবা তার ঋণ শোধ করে অথবা তার ক্ষুধা নিবারণ করে। কোনো ভায়ের প্রয়োজন পুর্ণ করার জন্যে বের হওয়া আমার কাছে এই মসজিদে (অর্থাৎ মসজিদে নববীতে) এক মাস এতেকাফ করার চেয়ে উত্তম। যে তার ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করবে আল্লাহ তার গোপনীয় বিষয়সমূহ লুকিয়ে রাখবেন, এবং যে তার ক্রোধকে উপশম করবে -যদিও সে এটা প্রয়োগ চায় তাহলে প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে- আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার আশা পূরণ করে অন্তর পূর্ণ করে দিবেন, এবং যে ব্যক্তি তার ভায়ের কোনো প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্যে বের হবে এমনকি তা তার জন্যে প্রস্তুত করে দিবে আল্লাহ সেদিন তার পদ দৃঢ় রাখবেন যেদিন অনেক পদের স্খলন ঘটবে। নিশ্চয় দুচ্চরিত্র মানুষের আমলকে এমনভাবে নষ্ট করে দেয় যেভাবে সিরকা মধুকে নষ্ট করে দেয়। (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহীহাহ/ শায়খ আলবানি রাহ,/ হাদীস নম্বরঃ ৯০৬)
    আল্লাহ আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে এসব উত্তম গুণাবলি এবং মহান চরিত্র দ্বারা পরিপুষ্ট করুন, আমীন।
    আমার প্রিয় ভায়েরা!
    এখানে মুজাহিদদের তুলনায় অন্য কেউ এসব গুণাবলির জন্যে অধিক উপযুক্ত নয়, তারা হচ্ছেন এসব ব্যক্তিরা যারা এই কালেমার ঝান্ডার জন্যে দাড়িয়েছেন যার জন্যে সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করা হয়েছে, যার জন্যে রাসুলগণ প্রেরিত হয়েছেন এবং যার জন্যে কিতাবসমুহ অবতীর্ণ হয়েছে, তারা ওইসব বিষয়ের জন্যে প্রতিরোধে দাঁড়িয়েছেন যা হচ্ছে পার্থিবজগতের সবচেয়ে মুল্যবান, এই দ্বীনের সবচেয়ে মহান বিষয়ের জন্যে বরং সব আসমানি শরীয়তের মধ্যে, তারা এমন এক ইবাদতের মধ্যে অবস্থানরত আছেন যার ব্যাপারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইসলামের সম্মানের চূড়া... সুতরাং সবাইকে এই দায়িত্বের গুরুত্ব, কাজের মহত্ব এবং বিষয়ের বড়ত্ব বোঝা আবশ্যক, এবং তাদের চারিত্রিক উন্নতি এমন একটি উপযুক্ত স্তর পর্যন্ত পৌছা আবশ্যক যা অবস্থার সাথে মিলে... তারা এই গুরুত্বপুর্ণ নববী কাজে দৃঢ় আছেন... সৃষ্টিজগতকে হক্বের দিকে দাওয়াতের কাজ... তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান... এই গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত যথাযথ আদায় হবে না যতক্ষণ না আমরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই অনুপম আদর্শকে নিজের জীবনে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো যার উপর আল্লাহ তাঁর প্রশংসা করেছেন, আল্লাহ এভাবে বলেছেন, নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী... আল্লাহ অন্য আয়াতে তাঁর প্রশংসা এভাবে করেছেন, তোমাদের কাছে এসেছেন তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসুল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। (সুরা-তাওবাহঃ ১২৮) সৃষ্টিকুলের অবস্থায় তাঁর মনের ব্যাকুলতা এবং মানুষের হেদায়তের জন্যে তার অস্থিরতা অন্য আয়াতে এভাবে চিত্রায়িত করেছেন
    ত্বা-সীন-মীম। এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্মঘাতী হবেন। (সুরা-শুআরাঃ ১-৩)

    মুজাহিদদের জন্যে এভাবে হওয়া আবশ্যক... মৌমাছির মতো অথবা খেজুর গাছের মতো... সৃষ্টির কল্যাণ এবং সফলতার অধিক মর্মব্যাথী... তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে একমাত্র উত্তম ব্যতীত কিছুই বের হবে না... তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন... এবং এই হাদীস হবে তাদের মানদণ্ড যে হাদীসের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচাত ভাই বীরদের শিরোমণি হযরত আলী রাজি আল্লাহু আনহুকে খাইবরে ইয়াহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রক্কালে অসিয়ত করেছেনঃ আল্লাহর কসম! তোমার দ্বারা একজন মানুষ হেদায়তপ্রাপ্ত হওয়া তোমার জন্যে গর্ভবতী উষ্ট্রীয় চেয়ে উত্তম। (ইমাম বুখারী রাহ তাঁর সহীহে বর্ণনা করেছেন) হ্যা, তাদের আবশ্যক এভাবে হওয়া... তাদের জীবন হচ্ছে রক্ত, আহত ব্যক্তি এবং তরবারীর সাথে, তাদের জীবন হবে অমসৃন পাহাড় ও গর্তে, কিন্তু তাদের অন্তর হবে সবার্ধিক কোমল, যা আহত উম্মতের জন্যে ব্যথিত হবে এবং তাদের অবস্থার উপর দয়াদ্র হবে... বরং তাদের প্রতি উপকার পৌছানোর ব্যাপারে অত্যধিক আগ্রহী হবে এমনকি কাফেরদের পর্যন্ত যাতে করে তাদেরকে হক্বের পথে নিয়ে আসা যায় এবং কল্যাণের পথে প্রদর্শন করা যায়। তাদেরকে অপরাধীদের ভয়ানক পরিণতি থেকে সতর্ক করা যায়।
    এটা হচ্ছে আমাদের ওই দ্বীন যা আমরা কুরআন ও সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরামের জীবন এবং সালাফে সালেহীনদের গ্রন্থ থেকে চিনতে পেরেছি, এটাই আমরা পেয়েছি চলমান জিহাদী সংগঠনের শায়খ, শীর্ষনেতা ও আলেমদের কাছ থেকে। আমি এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করছি হারিয়ে যাওয়া এই ফরজের মুজাদ্দিদ শায়খ শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহঃ, আমীরুল মুমিনীন, উম্মতের সম্মান ও শৌর্যের প্রতীক মোল্লা উমর মুজাহিদ –আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করুন-, শহীদে উম্মাহ আমেরিকাসংহারক শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ, হাকীমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহ, দুনিয়াবিমুখ ইবাদতগোজার শহীদ শায়খ মুস্তফা আবু ইয়াজিদ রাহিমাহুল্লাহ, বিশিষ্ট দায়ী মুজাহিদ শায়খ আবু ইয়াহইয়া লিব্বি রাহিমাহুল্লাহ, বিজ্ঞ আলেম অভিজ্ঞ নেতা শায়খ আতিয়াতুল্লাহ লিব্বি রাহিমাহুল্লাহ, শায়খ আলেম মুজাহিদ আবুল লাইছ আল-কাসেমি রাহিমাহুল্লাহ, সত্যপথে পাহাড়ের মত অটল অবিচল শায়খ আবু কাতাদাহ –আল্লাহ তাঁকে মুক্ত করুন-, সত্যপ্রকাশে আপোসহীন কারানির্যাতিত শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি -আল্লাহ তাঁকে মুক্ত করুন-, মুজাহিদ শায়খ হৃদয়স্পর্শী বক্তা অনন্য দায়ী’ উস্তাদ মুহাম্মদ ইয়াসির আফগানি রাহিমাহুল্লাহ, মুজাহিদ শায়খ বিচিত্রপ্রতিভার অধিকারী আবু মুসআব আসসুরি আল্লাহ -তাঁকে মুক্ত করুন-, শায়খ ফকীহ আবুল ওয়ালিদ ফিলিস্তিনি হাফিযাহুল্লাহ, বিশিষ্ট দায়ী’ শায়খ আনওয়ার আল-আওলাকি রাহিমাহুল্লাহ এবং অন্যান্য আরো শায়খগণ আল্লাহ আমাদেরকে যাঁদের সাথে থাকার এবং গ্রন্থাদি, লিখনী, বক্তব্য এবং নির্দেশনা দ্বারা আমাদেরকে উপকৃত হওয়ার দ্বারা সম্মানিত করেছেন, ... আল্লাহ তাআলা তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে এবং মুসলমানদের পক্ষ থেকে উত্তম বদলা দান করুন... কেননা তারা আমাদের পথকে জ্যোতির্ময় করেছেন... আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন চল্লিশ বছর বা ততোধিক বছরের জিহাদি প্রচেষ্টা এবং দাওয়াতের অভিজ্ঞতা যার মাধ্যমে আধুনিক জিহাদী সংগঠনসমূহ সারাবিশ্বের প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পড়েছে, আমাদেরকে একাধিকবার ভুল করা থেকে সতর্ক করেছেন যা পুর্বে সংগঠিত হয়েছিলো এবং আমাদেরকে ভয়ংকর পরিণাম দেখিয়েছেন, আমাদেরকে প্রদর্শণ করেছেন সফলতা-কামিয়াবির রাস্তা এবং দেখিয়ে দিয়েছেন ব্যর্থতা এবং অকৃতকার্যের পথ... তাদের কথার পুর্বে তাদের কাজই হচ্ছে আমাদের জন্যে সবক... আমরা তাঁদের প্রচেষ্টার মধ্যে, জিহাদের মধ্যে, দাওয়াতের মধ্যে, কিতাবাদি এবং সংকলনের মধ্যে দেখতেছি ইসলাম সম্পর্কে সঠিক বোধ... ইসলামি শিক্ষার আলোকিত প্রকৃত চিত্র... ইসলামকে পেয়েছি তার পূর্ণ শক্তিরূপে, স্পষ্টরূপে, অবিচলতার রূপে, সাচ্ছন্দ্যে মধ্যপন্থা ও সৌন্দর্যের সাথে... কতই না উত্তম তাঁদের সংস্পর্শ... কতই প্রশংসনীয় তাঁদের সাহচর্য... আল্লাহ তাঁদের নিহতদেরকে এবং মুসলমানদের নিহতদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন... এবং জীবতদের অটল অবিচল রাখুন এবং আমাদের উত্তম সমাপ্তি করুন।
    কিন্ত হে আমার প্রিয় ভায়েরা, আমরা আছি প্রতারণার বছরসমূহে, যেখানে মানূষকে তার গুণসমূহের নিন্দা করা হয় এবং দোষ সমূহের প্রশংসা করা হয়... অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে, এটাই আমাদের বাস্তবতা। অথচ জাতি আমাদের মধ্যে আমাদের নেতাদের মধ্যে এবং আমাদের নেতাদের মধ্যে কোনো দোষ পায় না একমাত্র এইগুলো ছাড়াঃ
    Last edited by Osama; 08-07-2015, 05:32 AM.

  • #2
    ১- আমরা এই আক্রান্ত উম্মাদেরকে ভালোবাসি, তাদের জন্যে আমাদের পার্শ্বদেশ বিছিয়ে দেই, তাদের প্রতি কল্যাণ পৌঁছাইতে চাই, এবং তাদেরকে পরিপুর্ণ দ্বীনে ফিরিয়ে আনতে চাই কোনো রকমের অপমান ব্যতীত, কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের জিহাদে আমরা তাদের সমর্থনকে আকর্ষিত করি –আল্লাহর সাহায্যের পর-, এজন্য আমরা শরীয়াহ অনুমোদিত প্রত্যেক মাধ্যম গ্রহণ করি, কিন্তু একজন অভিযোগকারী বলেন-আল্লাহ তাকে হেদায়ত দিন- আমাদের সংগঠন জামায়াতে কায়েদার মানহাজের উপর সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে যারা এর দাবিদার ( তারা চায় তাদের কাফেলাকে (কায়িদাতুল জিহাদ) কে দিনভ্রান্ত অবদমিত উম্মতের উপর সওয়ার করতে)... সৃষ্টিকর্তা কতো মহান... এটা কি আভিজাত্য না নীচ মানসিকতা?!

    ২- আমরা মনে করি উম্মতের লক্ষ্যে তাকফীর করা হচ্ছে শরয়ী হুকুম, কেননা এটা ইসলাম ও ইসলামের পথকে সংরক্ষণ রাখে, এটাই ইসলাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করে, কিন্তু এই মুহুর্তে আমরা তাকফীরের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা থেকে সতর্ক করছি এবং এই বিষয়ে আমাদের সালাফে সালেহীন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করছি, আমরা মনে করি না এই এই হুকুমাদি কয়েকটি মাসায়িলের উপর নির্ভর করা যার মধ্যে প্রত্যেক সাধারণ জাহিল যারা শরয়ী উলুম সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান রাখে এরা লিপ্ত হবে, এবং যার মধ্যে স্বল্প জ্ঞানের অধিকারী তালেবে ইলম লিপ্ত হবে, পরে তারা এর হুকুম যার উপর ইচ্ছা তার উপর যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বাস্তবায়ন করা শুরু করবে, আহলে ইলমরা এর জন্যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন এর প্রতি লক্ষ্য না রেখে... আমরা এই উদ্দিষ্ট সতর্কতা ও প্রশংসনীয় সীমারেখা গ্রহণ করায় কিছু অতিরঞ্জনকারী আমাদের উপর মুরজিয়া হওয়ার অপবাদ দিচ্ছেন- যেভাবে প্রথমটিকে আকড়ে ধরার কারণে মুরজিয়ারা আমাদের উপর অতিরঞ্জনের অপবাদ দিচ্ছে... আল্লাহর কাছেই এই অপবাদ ও মিথ্যাকথনের ব্যাপারে আমাদের অভিযোগ!
    আমরা উম্মতের উলামাদের মর্যাদা বুঝি ও জানি, তাদেরকে ভালোবাসি, তাদেরকে সম্মান করি এবং আমরা মনে করি তারাই হচ্ছেন উম্মতের প্রকৃত নেতৃবৃন্দ, আমরা উম্মাহকে আহবান করি তারা যেনো এইসব আলেমদের নেতৃত্বে আসেন, আমরা মনে করি উম্মতের সফলতা ও স্বীয় কল্যাণের দিকে ফিরে আসা আহলে ইলমের একটি তায়েফা ও আহলে জিহাদের তায়েফার একতা এবং দুনো তায়েফার ছিদ্র বন্ধ করার মধ্যে, এ জন্যে আমরা চেষ্টা করি আলেমদের ব্যাপারে ঢালাওভাবে মন্দ কথা না বলার, আমরা যদি কোনো ক্ষেত্রে দেখি শরীয়তের স্বার্থে কোনো আলেমের মন্দ দিক তোলে ধরার প্রয়োজন, তাহলে আমরা শুধু ওই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে কথা বলি, তার পথভ্রষ্টতা তুলে ধরি এবং উম্মাহকে সতর্ক করি তার অনুসরণ করা থেকে এবং উলামায়ে রব্বানিদের দিকে ফিরিয়ে দেই –আমরা কোনো ধরনের শিক্ষার্থী এবং মুর্খ লেখকের দিকে ফিরিয়ে দেই না- কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এখানে কিছু জিহাদি দাবিদার আছেন যারা এই দুনো তায়েফার সম্পর্কের মধ্যে কথা ও কাজের দ্বারা ফাটল ধরাচ্ছেন, যুগের বিপর্যয়ে নিজেদের কম ইলম থাকার পরও জটিল ইলমি বিষয়ে মুখ খোলে নিজের স্বাধীন মতের উপর পীড়াপীড়ি করছেন –অথবা বলুন অধিক জাহালতের দরুন-, আমরা দেখছি এই দল উলামায়ে রব্বানিদের উপর কঠিন শব্দ প্রয়োগে মোটেও দ্বিধা করছে না - ওইসব উলামাদের ব্যাপারে যাদের সত্যতা, অটলতা, সত্য-প্রকাশে আপোসহীনতা এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র জন্যে তাদের ত্যাগ-তিতীক্ষা সবার কাছে পরিষ্কার- শুধু এজন্যে যে নিজের মতের উলটো অথবা নিজের মন যা চায় তার বিরোধিতা করার দরুন, আমরা তাদেরকে দেখি মহান উলামাদের মর্যাদাহানি করে এমনসব কথা বলে যা সম্পুর্ণ শিষ্টাচার বহির্ভুত, যার দ্বারা কথকের মনের কুমতলব প্রকাশ পায়, তাদের জিহবার আগ্রাসন থেকেও বন্দি দুই শায়খ আবু কাতাদাহ ফিলিস্তিনি ও আবু মুহাম্মদ মাকদিসিও নিরাপদ থাকেন নি –আল্লাহ এই দুই শায়খকে মুক্ত করুন, এমনকি হাকীমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহও নিরাপদ নন, যেমনিভাবে তাদের থেকে মুক্ত থাকেন নি উম্মতের প্রসিদ্ধ অন্যান্য উলামায়ে কেরাম।
    ৪- আমরা মুসলমানদের রক্ত প্রবাহে যারপরনাই ব্যথিত, এবং অন্যায়ভাবে তাদের প্রতি ফোটা রক্ত প্রবাহে আমরা ব্যাকুল হচ্ছি, নির্যাতিত মুসলমানদের প্রজ্জলনই আমাদেরকে ঘর থেকে বের করেছে, আমরা বের হয়েছি তাদের দ্বীন, সম্মান, জান-মালের রক্ষার স্বার্থে, আমরা বিশ্বাস করি মুমিনের রক্তের সম্মান অকাট্য প্রমাণ দ্বারা স্থাপিত যা সুর্যের দ্বীপ্তিতার কুহেলিময়তা মুক্ত সুস্পষ্ট অকাট্য দলীল ছাড়া খন্ডন করা সম্ভব নয়, আমরা সতর্ক করি অত্যন্ত কঠোরভাবে অসার দলীল দ্বারা মুমিনদের রক্তকে হালাল করার ব্যাপারে অথবা নির্ভরযোগ্য আহলে ইলমরা তাদের গ্রন্থাদিতে রক্তপ্রবাহের বৈধতার ক্ষেত্রে যে সীমারেখা বর্ণনা করেছেন তারমধ্যে সম্প্রসারণ করা থেকেও আমরা সতর্ক করি দলীল-প্রমাণ ব্যতীত তাদের ব্যাপারে কোনো অপবাদ ছড়িয়ে দেওয়া, অথবা অন্যদলের সাথে নিজেদের পার্থক্য থাকার দরুন তাদেরকে বাগী(বিদ্রোহী) আখ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা। [এই সব কিতাবাদি থেকে, আমার প্রিয় শায়খ আবু ইয়াহইয়া লিব্বি রাহিমাহুল্লাহঃ শিরোনাম হচ্ছে – মাস আলাতুত তাতাররুস ফীল জিহাদিল মুআসির]
    5- আমরা মনে করি কঠিন অবস্থার উপর বিবেচনা করা উচিৎ যার উপর আমাদের প্রিয় উম্মাহ গত কয়েক দশকধরে অতিক্রম করছে –এখনপর্যন্ত অতিক্রম করছে- ইসলামি আধিপত্যের পতন হওয়ার দরুন, মুরতাদ শাসকবর্গের জুলুমের দরুন, দ্বীন থেকে স্বেচ্ছায় তাদের দূরে থাকার দরুন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমুহে সেকিউলার শিক্ষাব্যবস্থা আবশ্যক করার দরুন, এগুলো এজন্য করা হয়েছে যাতে করে আগামী প্রজন্ম ভ্রান্ত আকীদা এবং শরীয়তের সুস্পষ্ট শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধী হয়, ইসলামের দায়ী এবং আহলে ইলমের উপর সত্যপ্রকাশে বাধা দেওয়া ও শরীয়তের প্রকৃত স্বরূপ সাধারণ মুসলমানের কাছে পৌছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করা... এই সামগ্রীক প্রচেষ্টার ফলে আমাদের সমাজে অনেক মুর্খতা এবং সাধারণ মুসলমানদের অন্তর থেকে শরীয়তের অনেক আহকাম উধাও হওয়ার কারণ হয়েছে... এই প্রত্যেক বিষয় আমাদেরকে এই বিষয় আবশ্যক করে যে আমরা নিজেদের উম্মহের সাথে আরো অধিক কোমলতা ও ভালোবাসার সাথে ব্যবহার করবো, তাদের উজরসমূহ গ্রহণ করব, তাদের প্রতি আকাঙক্ষা করব যাতে তারা প্রকৃত দ্বীনে ফিরে আসে এবং আল্লাহর দিকে আহবানে আমাদের সাথী হয়, কিন্তু আজ আমরা দেখছি তাদেরকে যারা ইসলামকে ও ইসলামী বন্ধুত্বের সুতিকাগারকে একটি সীমাবদ্ধ পরিসরে বন্দি করে ফেলেছে, এই উম্মতের সাথে নিজেদেরকে বড় ভেবে এদের উপর উপহাস করছে, এবং ওতপেতে বসে আছে যাতে কোনো ভুল নজরে পড়তেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাদের সাথে ঘৃণা করে যাদের সাথে মুজাহিদরা ভালবাসা এবং কোমলতার সাথে ব্যবহার করার প্রতি আহবান করেন, আমরা দেখি তারা বলে, আমরা কোন উম্মহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবো? সৌদী ইসলামি উম্মাহের? না ইখওয়ানি? না সরুরী? না কুয়েতের হিজবে উম্মাহের?... আশ্চর্য লাগে যখন কাউকে বলতে দেখি তোমরা উম্মতের দিকে ফিরে আসো! যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করো কোন উম্মাহ, ইখওয়ান, সালাফিয়্যাহ, জামিয়াহ, সুফিবাদ, আলকায়েদা, এই উম্মতের দিকে আমরা ফিরে যাবো?
    তাদের এই বক্র চিন্তার বিষয়ে আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, তিনিই উত্তম রক্ষক!
    ৬- আমরা প্রচেষ্টা চালাই উম্মাহকে প্রধান সমস্যার দিকে একত্রিত করার, এর প্রধান হচ্ছে বিষধর সাপের মাথা আমেরিকা ও তার পোষ্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, জিহাদ হবে মুসলমানদের ভুমিসমুহ ও পবিত্র স্থানসমুহকে স্বাধীন করার জন্যে, আমরা মনে করি আমেরিকার আধিপত্যের পতন পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারী আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে আইন প্রনয়নকারী মুরতাদ শাসকদের পতনের কারণ হবে, মুসলমানদেরকে জাতীয়তাবাদের নামে খন্ড-বিখন্ড ও কৃত্রিম সীমারেখার বন্ধন থেকে মুক্ত করে এক খিলাফাহের ছায়াতলে এক ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে এক করার কারণ হবে... এজন্য আমরা ওইসব পদক্ষেপ থেকে সতর্ক করি যার কারণে জিহাদের বন্ধন প্রান্তিক লড়াইয়ে রূপ নেয় এবং মুজাহিদদের প্রচেষ্টা একটি বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে রূপ নেয়। বরং আমরা ওই মুল পথের দিকে উতসাহিত করি যা অঙ্কন করেছেন মুজাহিদদের নেতৃবৃন্দ –যাদের শীর্ষে রয়েছেন শহীদ শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ- দ্বীনের বৃহৎ স্বার্থে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও গভীর অনুধাবনের ভিত্তিতে। আসুন, আমরা যুক্ত হই এই পথচলাকে সমাপ্ত করে আল্লাহর সাহায্যে একটি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছার স্বার্থে।
    ৭- আমরা মনে করি আল্লাহর দিকে আহবান (দাওয়াহ) করা এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা যমজ দুই ভাই, যারা একসাথে চলে কখনো বিচ্ছিন্ন হয় না, উভয়টিই মহান ইবাদত, এ দুটির প্রত্যেকটির ফজীলত রয়েছে। আহকাম মুলনীতি রয়েছে, এদুটির মধ্যে বিপরীত এবং স্ববিরোধী সম্পর্কে নেই। বরং একটি হচ্ছে অপরটির পরিপূরক, উভয়টিই তাওহীদকে কেন্দ্র করে চলে। আমাদের দাওয়াত হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাহর দিকে এবং আমাদের জিহাদ হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’কে প্রতিরক্ষার লড়াই, আমরা বিশ্বাস করি আমরা একই সাথে মুজাহিদ এবং দায়ী’ এবং এর দ্বারা নিজেদেরকে সম্মানিত মনে করি। আমরা মনে করি এই উম্মতের উপর চাপিয়ে দেওয়া জাহিলি শাসনব্যবস্থাকে পরিবর্তনের জন্যে চালিত কোনো প্রচেষ্টাই ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হবে না যতক্ষণ না এই দুই মহান ইবাদতকে আকড়ে ধরা হবে – বরং শরীয়তের পরিপূর্ণ আহকামকে আকড়ে ধরার মাধ্যমে, প্রত্যেকটির হুকুম ও স্তরকে ওইভাবে রেখে যেভাবে ফেকহের কিতাবাদিতে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে – আমরা শরীয়তের সাথে সম্পর্কিত কোনো দাওয়াতি আমলকে হেয় করা এবং দুই ইবাদতের মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক তৈরি থেকেও সতর্ক করি।
    ৮- আমরা মুজাহিদদেরকে শরয়ী রাজনীতি বোঝার প্রতি গুরুত্বারোপ করি, আমরা মনে করি জিহাদি সংগঠনসমুহ অধিকাংশ সময় এমন সব পরিস্থিতির মুখোমুখী হয় যেখানে বিভিন্ন দল, জাতি এবং দেশের সাথে চলতে হয়, যা বিভিন্ন অবস্থায় ভিন্ন আচরণের দাবি রাখে, এজন্য আমরা মনে করি মুজাহিদ, তালেবে ইলম এবং উমারাদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে –প্রত্যেকে নিজের স্তর, দায়িত্ব এবং কাজের ধরন অনুযায়ী- শরয়ী রাজনীতির আহকাম, আপেক্ষিক গুরুত্বের জ্ঞান, কল্যাণ ও অনিষ্টতা মুল্যায়নের ভালো জ্ঞান অর্জন করবেন। জিহাদের ফিকহ হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মসলহতকে কেন্দ্র করে, কল্যাণের বিবেচনা এবং অনিষ্টতা দূরীকরণের উপর নির্ভর। যেসব জিহাদি সংগঠন দ্বীনের এই গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায়কে ভালোভাবে বুঝে নি এবং তার আহকামাদি শিখেনি অধিকাংশ যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারা পরাজিত হবে এবং জিহাদের মহান লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে। যদিও এখানে ওখানে কিছু রণক্ষেত্রে তাদের সফলতা বাস্তবায়িত হয়, জিহাদি সংগঠনসমুহ পুর্ণ সফলতার সাথে বিশেষ নেতৃত্বকে সাধারণ পর্যায়ের নেতৃত্বে নিয়ে যায়, যদি তার সদস্যকে শিষ্টাচারের শিক্ষা না দেয়, তাদের অনুভুতি, বোধ এবং শিক্ষাকে মানুষকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রশস্ত না করে -বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবং বিভিন্ন স্তরে- নিজেদের বোঝ অনুযায়ী, উম্মাহের রাজনৈতিক অনুভুতি, শত্রুদের সংখ্যা কমানো এবং বন্ধুদের সংখ্যা বাড়ানোর জ্ঞান, তাদের মাথায় এই বিষয় ভালোভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া যে রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় রত থাকা যথেষ্ট নয় বরং তাদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে এটা দেখা যে অধিক প্রাধান্যশীল মসলহত কোনটি, যার বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এর মধ্যে ক্ষতি কী যার মধ্যে পতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে, অতঃপর দুই কল্যাণের মধ্যে অধিক উত্তম কল্যাণ নির্ধারণ এবং দুই ক্ষতির মধ্যে অধিক ক্ষতিকর বিষয়ের অনুধাবন...

    Comment


    • #3
      যতক্ষণ পর্যন্ত এই শিষ্টাচার এবং জ্ঞান অর্জিত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত মুজাহিদরা মারাত্মক সব রাজনৈতিক ভুলে লিপ্ত হবে যার ফলে দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং কুফফারদের জন্যে স্বীয় হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জিহাদি সংগঠনকে বাগিয়ে নেওয়া সহজ হবে- কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে, অনেকে দ্বীনের স্বার্থে শরয়ী রাজনীতি এবং দ্বীনকে নিয়ে তোষামোদ করার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেন না, আর অনেকে নিজেদের অসতর্কতার দরুন দ্বীনের এই মহান অধ্যায়কে এভাবে দেখেন যে মুজাহিদদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে প্রত্যেক ওইসব কথা বলা এবং ওইসব কাজে দাড়ানো যার দ্বারা তাদের উপর জমিনের উম্মতেরা একসাথে উত্তেজিত হন এবং এর দ্বারা নিজেদের শত্রুরা বৃদ্ধি পায়, এবং বন্ধু ও সমর্থকরা কমে যায়, আর নিজেদের জন্যে এও আবশ্যক মনে করেন যে সর্বদা সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে এমন ভাষায় কথা বলা যার দ্বারা নির্ধারিত সংকীর্ণ ব্যাখ্যা সমাজে ছড়ায় এবং এমন ভঙ্গিতে কথা বলা যার দ্বারা জাতি পলায়ন করে এবং তাদের থেকে দূরে চলে যায়... অতঃপর তারা ধারণা করে তাদের এই পদ্ধতি হচ্ছে তাদের আকীদার পোক্ততা এবং মানহাজের স্বচ্ছতা। অথচ তাদের ইলমের স্বল্পতা ও সংকীর্ণ অনুধাবনের জন্যে তারা জানে না যে এ ব্যাপারে তাদের দলীল নেই, এর দ্বারা তাদের দুরত্ব তৈরি হচ্ছে ওই মহান মধ্যপন্থা থেকে যাকে সাথে করে সর্বশেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হয়েছেন, তাদের অনুসারী হচ্ছে পুর্ববর্তী উম্মতের মতো যারা নিজেদের নফসে কঠিন কাজ আরোপ করেছে, নিজেদের উপর অনেক কষ্ট ও এমন নিত্য নতুন ডাণ্ডা-বেড়ি চাপিয়ে নিয়েছে যে গুলো আল্লাহ তাদের উপর ফরজ করেন নি, এগুলোর যথার্থ মূল্যায়ন ওরা করতে পারে নি যার কারণে তারা ধ্বংসের চলে গেছে, আল্লাহ আমাদেরকে এই ধ্বংসাত্মক পথ থেকে মুক্তি দিন।
      ৯- আমরা গুরুত্বারোপ করি মুজাহিদদের মধ্যকার মতবিরোধিতার সময় শিষ্টাচারে পরিপূর্ণ হতে, এই বিষয়ে তারা অন্যান্য মানুষদের তুলনায় অধিক জ্ঞান রাখার মুখাপেক্ষী, কেননা অধিকাংশ মানুষ এই মতপার্থক্যের জন্যে বিরোধীদের অপপ্রচারের মুখে চরম সমস্যায় পড়ে, তাদের বোঝা উচিৎ যে বিরোধীরা কিন্তু সব এক সমান নয়, বরং তাদের মধ্যে অনেক স্তর রয়েছ্*, তাই এদের সবার সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই সব পার্থক্যগুলো লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। একথা অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে, মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা মতপার্থক্যের সময় ইনসাফ করতে ভুলেন না, আল্লাহর দরবারে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হতেও, যদিও তা নিজের উপর হয় বা মাতাপিতা ও নিকটাত্মীয়ের ক্ষেত্রে হয়, তাদের জেনে রাখা উচিত যে, মুমিনরা হচ্ছেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী, তারা ভর্তসনাকারী, অভিশাপকারী, অশ্লীলকথক এবং নোংড়াবচনকারী হন না, তারা ঝগড়ার সময় কুরুচিপূর্ণ শব্দ বলেন না, যদিও বিরোধীরা কাফির বা মুরতাদ হয়, তাদেরকে একথা ভালোভাবে আত্মস্থ করা প্রয়োজন যে আসল শক্তি হচ্ছে দলীল দেওয়ার মধ্যে, উপহাস করা এবং ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার মধ্যে নয়।
      ১০- আমি মুজাহিদদের প্রতি গুরুত্বারূপ করি তারা যেনো অন্যদের পুর্বে নিজেরা ভালোভাবে ইসলামকে আকড়ে ধরেন, নিজেদের মধ্যে সমানভাবে –ছোট-বড়, দুর্বল-শক্তিশালীদের মধ্যে- আল্লাহ তাআলা্র হুদুদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যদের জন্যে আদর্শ হন, শরীয়তের হুকুমের সামনে নিজেকে নত করার মধ্যে চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেন, এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না যে শরীয়তের ঝান্ডাবাহী তারা হবে যারা নিজেদের মধ্যে আল্লাহর শরীয়ত বাস্তবায়নে শিথিলতা প্রদর্শন করবে অথবা এর হুকুম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিজেদের মত ও বাসনার উলটো হওয়ার দরুন বিভিন্ন কুটচালের আশ্রয় নিবে... না, এটা কখনো মুজাহিদদের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না! কিন্তু আমরা অত্যন্ত ব্যথিতভাবে অবলোকন করছি যে এখানে অনেক বিষয়ে বার বার আহবান করা হয়েছে অন্যান্য মুজাহিদদের সাথে নিজেদের বিরোধ নিষ্পত্তির স্বার্থে আল্লাহপ্রদত্ত শরীয়তের বিচারকে মেনে নেওয়ার জন্যে, কিন্তু মাকড়সার জালের চেয়েও দুর্বল যুক্তি দিয়ে তা থেকে পিছু হটা হয়েছে... আমরা আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি যেনো সত্যের দিকে সবাইকে সুন্দরভাবে ফিরিয়ে আনেন!
      ১১- আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামি শাসনব্যবস্থার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে শূরা’র দ্বারা সুচনা করা, আর যার মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তাকে শাসক হিসেবে নির্বাচন করা হচ্ছে উম্মতের অধিকার, বিশেষকরে আহলুল হাল ওয়াল আকদের। আর আমরা এই সত্য থেকে কখনো দূরে সরতে চাই না কেননা শুরার গুরুত্ব বোঝাতে এরকম সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায় এবং আসারে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তার জন্যে যে মুসলমানদের পরামর্শ ছাড়া বাইয়াত গ্রহণ করবে [ইবনে হিব্বানে এটা হযরত উমর রাজিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করা হয়েছে/ দ্বিতীয় খন্ড/ অধ্যায়ঃ নিজের বাপ-দাদা যখন কুফরের প্রকারের দিকে ব্যবহার করতে চান তখন তাদের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশের ক্ষেত্রে ধমক/ পুর্ণ হচ্ছেঃ শোনো! আমার কাছে খবর পৌছেছে যে, অমুক বলেছেন, যদি উমর মারা যান, তাহলে আমি অমুকের বাইয়াত নিবো, যে মুসলমানদের পরামর্শ ছাড়া বাইয়াত গ্রহণ করবে, তাহলে তার কোনো বাইয়াহ নেই, এবং তা তাদের জন্যে যারা তার হাতে বাইয়াহ দিবে...] আমরা মনে করি জিহাদ হচ্ছে ওইসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্যে, যেগুলোর কারণে মুসলমানদের দেশসমূহে এমন শাসক নিয়োগে অন্তরায় সৃষ্টি হয় যারা আল্লাহর কিতাব দিয়ে শাসন করবে, আমরা এজন্য জিহাদ করি না যে আমরা উম্মাহকে তরবারী দিয়ে শাসন করবো বরং এজন্য যে পবিত্র শরীয়ত আমাদের জন্যে এবং আমাদের উম্মাহের জন্যে শাসক হবে। এজন্য আমরা মুজাহিদগ্রুপকে নসীহাহ দেই যে বেশি বেশি পরামর্শ গ্রহণ করার এবং রাষ্ট্র ও ইমারাহ অন্যান্য মুজাহিদদের গ্রুপের সাথে পরামর্শ ও মতামত ব্যতীত ঘোষণা না করা, বিশেষকরে সেসব মুজাহিদদের যারা ত্যাগ ও জিহাদের ক্ষেত্রে অগ্রগামী, সেসব উলামায়ে রাব্বানি ও মুখলিস দায়ী এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গে পরামর্শ ব্যতীত কোনো ঘোষণা না করা, তেমনিভাবে আমাদের মুসলিম ভাইদের নসিহত করি যে যদি এক বিন্যাস, উম্মাহের একতা ও এক কালিমায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার স্বার্থে তাদেরকে পদ থেকে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয় তখন যেনো বিনয়ের সাথে তা মেনে নেন।
      ১২- আমরা প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা অর্জনের পুর্বে ইমারাহ ও রাষ্ট্র ঘোষণায় তাড়াহুড়া করি না, শরীয়াহ শুধু নাম ও কয়েকটি শব্দ বিন্যাসের আলোকে আরোপিত হয় না বরং বাস্তবতা ও অর্থপূর্ণ অবস্থার মাধ্যমে হয়, একথা বলার উদ্দেশ্য হলো পরিপুর্ণ তামকীন(পুর্ণ অবস্থান ব্যতীত) ও প্রভাবশালী সংগঠন ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র ও ইমারাহ ঘোষণা না করা, এই অভিজ্ঞতা বার বার দেখা দিয়েছে যে অনেক প্রভাবশালী গ্রুপ বিশ্বায়নের ছায়াতলে ও আন্তর্জাতিক জাহিলি শাসনব্যবস্থার অধীনে পৃথিবীর ছোট্ট এক কোণে কিছু আধিপত্য অর্জন করেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা তামকীন অর্জন করেনি, তারা সক্ষম নয় নিজের ভুখন্ডের সংরক্ষণে, নিজেদের নাগরিকদের প্রতিরক্ষায়, না তারা তাদের অধীনে বসবাসরত মিলিয়ানাদি জনগণের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে সফল, কাফির বাহিনীর সৈন্য তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে পাঠানোর সাথে সাথেই তাদের এই আধিপত্য শেষ হয়ে যায়... এই ধরনের গ্রুপ দ্বারা নিজেদেরকে রাষ্ট্র ঘোষণার কথার অর্থ হচ্ছে মুসলমানদের প্রতিরক্ষাকে ধ্বংস করা, এবং মুসলমানদের মধ্যে নৈরাশ্য ও দুরাশা বিস্তার করা এবং এর দ্বারা মুসলমানরা ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করার কল্পনা করা থেকে পলায়ন করে; এজন্য আমরা মনে এই অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক জিহাদ চালিয়ে যাওয়া, [অথবা যেটিকে শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ নাম দিয়েছেন প্রত্যেক দলের সাথে আচরণ সম্পর্কে তার মূল্যবান গ্রন্থ ঃ নবীজী –সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে-র ঝান্ডার ছায়াতলের অশ্বারোহী। এটা হচ্ছে ওই নাম যা কিছু পশ্চিমা শিক্ষার্থীদের চয়নকৃত নামের সাথে অনেক সাদৃশ্য রাখে আমাদের যুদ্ধ পলিসিকে তারা নাম দিয়েছে Asymmetric Warfare অবিন্যস্ত যুদ্ধের পলিসি]
      সময়ের পুর্বে আধিপত্য বিস্তারের লোভ না করা, জিহাদের দাবানলকে ওইসব মুসলিমভূমিতে নিয়ে যাওয়া যেগুলোর উপর কাফিররা আগ্রাসন চালিয়েছে, আন্তর্জাতিক শাসনব্যবস্থায় একের পর এক হামলা চালিয়ে এর প্রধান সাপের মাথা আমেরিকায় আঘাত হানা – এর পতনের সাথে সমস্ত জাহিলি বিশ্বব্যবস্থার পতন হবে – এবং মুসলিমবিশ্ব থেকে অপমানিত লাঞ্ছিত হয়ে সৈন্য অপসারন করে নিবে, সুতরাং এটাই হচ্ছে উত্তম পথ উম্মাহকে মুক্তির এবং ইসলাম ও আহলে ইসলামের পরিপুর্ণ কর্তৃত্ব ফিরিয়ে আনার, নবুওতের আদলে আধিপত্যবিস্তারকারী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার।
      ১৩- আমরা বিশ্বাস করি দলীয় ও সাংগঠনিক আসাবিয়্যাহ এবং ব্যক্তির নাম,বিশেষণ ও শ্লোগানে অতিরঞ্জন এমন বিষয় যার জন্যে আল্লাহ ক্ষমতাশালী বানান নি, এটা হচ্ছে দুরারোগ্য ব্যধি যদি তা কোনো মুজাহিদগ্রুপের দেহে পাওয়া যায় তাহলে তার থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় থাকবে না। যে গ্রুপের মধ্যে এই ব্যধির সংক্রমন হয়েছে তার মধ্যে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি, এই জন্য আমরা আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে এই ঘাতক ব্যধি থেকে সতর্ক করি, তাদেরকে উতসাহিত করি একমাত্র আল্লাহর জন্যে নিজেদেরকে মুক্ত করতে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র ভিত্তির উপর ঈমানি বন্ধনকে আকড়ে ধরতে, সত্যের সাথে সত্যের পথে চলতে, হক ও বাতিলের ক্ষেত্রে নিজের দল, ভাই এবং নেতাদেরকে সমানভাবে সাহায্য না করতে – আমাদেরকে এটা খুব ব্যথা দেয় যে, আমরা অনেককে দেখতে পাই যারা বার বার এমন সব শ্লোগানের পুনরাবৃত্তি ঘটান যা তাদের অনুসারীদেরকে এই মারাত্মক আসাবিয়্যাহের দিকে নিয়ে যায়, আমরা ভয় পাচ্ছি তাদের গ্রুপ এমনসব আকীদায় বাকী থাকবে যা তারা বুঝবেই না, আমরা জানি নিশ্চয় বাকী থাকবে তারা যারা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের জন্যে কাজ করে, আর অন্যান্য দল-সংগঠন তাড়াতাড়ি না হলেও বিলম্বে পতন হয়ে যাবে, তেমনিভাবে আমরা ভয় পাচ্ছি আমাদের ভাইদের উপর নিজেদের আমীরদের প্রশংসায় অতিরঞ্জন করা থেকে, তাদের মুখ দিয়ে এমন সব নির্ধারিত অর্থের কথা বের হয়েছে যা অন্তরে বসার পর এর পরিণামে প্রশংসা করা যায় না, আল্লাহ আমাদের জন্যে যথেষ্ট তিনিই উত্তম রক্ষক!
      ১৪- আমরা বিশ্বাস করি জিহাদ হচ্ছে এমন অনন্য ইবাদত যা সমস্ত উম্মাহকে শরীয়তের মহান লক্ষ্যের জন্যে এক করে –ভালো মন্দ সবাইকে- কালেমায়ে তাওহীদের ছায়াতলে। তাদেরকে মুক্তি দেয় বিচ্ছন্নতা, দল-উপদল, শাখাগত বিষয়ে ঝগড়া করা এবং জাহিলি আসাবিয়্যাহসহ সব ধরনের বিষয় থেকে। অতঃপর এদের ধনুককে প্রকৃত শত্রুর দিকে নিবদ্ধ করে যারা সর্বক্ষেত্র সামরিক দিক থেকে, আকীদাগত দিক থেকে, চিন্তাগত দিক থেকে, রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা সতর্ক করি মুজাহিদদেরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে যা তারা যেনো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আলেমদের ইলমি বিতর্ককে জিহাদের ময়দানে অথবা এসব বিষয়ের কোনো একটির দিকে দাওয়াত দেওয়া থেকে অথবা কোনো মূলনীতিকে কেন্দ্র করে নতুন দল করা অথবা জিহাদি আন্দোলন করা থেকে। এ প্রত্যেক বিষয় মুজাহিদদের বিন্যাসকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং তাদের তা থেকে ফিরিয়ে দেয় যা এর চেয়ে অধিক গুরুত্বপুর্ণ, এবং এমন সব বিষয়ে লিপ্ত করে দেয় যা মুজাহিদদের শৌর্যবীর্যকে দূর করে দেয়, কুফফার ও মুরতাদদের আধিপত্য বিস্তার করতে সুযোগ করে দেয় এবং মুজাহিদদের রক্ত, সম্মান, মালসমুহকে হালাল করে দেয়, এবং তাদের মসজিদসমুহ, মাদ্রাসাসমুহ এবং তাদের গ্রুপ ধ্বংস করে দেয়।

      Comment


      • #4
        ১৫- আমরা বিশ্বাস করি আমীরের আনুগত্য ও মান্যতা হচ্ছে গোনাহের ক্ষেত্র ব্যতীত জিহাদের কেন্দ্রের খুটি, জিহাদ জামাআত ব্যতীত নয়, জামাআত শোনা-মানা ব্যতীত নয়। আমরা মনে করি সৎ কাজে আমীরের আনুগত্য করা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে’র আনুগত্য করা, এটা হচ্ছে একটি ইবাদত যার দ্বারা আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবো, কোনো দলের একক সফলতা নেই অন্যদের উপর, শত্রুর উপর তাদেরকে চূর্ণ করার জন্যে একতার মতো অন্যকিছু নেই, আর এই একতা ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না এইসব সৈন্যদল এমন একজনের নেতৃত্বে আসবে যিনি সবাইকে নেতৃত্ব দিবেন, এবং তার আনুগত্য হবে নিজের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, কঠিন-সহজাবস্থায়। এই আমরা নিজেদেরকে এবং আমাদের ভাইদেরকে আমীরের অবাধ্য হওয়া থেকে সতর্ক করি, নিশ্চয় শয়তান আমীরের অবাধ্য হওয়াকে সুন্দরভাবে চিত্রায়িত করবে, এবং তার মনে ঢুকিয়ে দেবে যে এর মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে, এটা এমন আধিপত্য যা কখনো নিঃশেষ হবার নয়, কিন্তু আমাদের ভালোভাবে বোঝা উচিৎ যে, এর মধ্যে কোনো উপকার নেই যা একজন মুজাহিদ অবাধ্য হয়ে পা ফেলে... দ্বীন প্রতিষ্ঠা দ্বীনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে হয় না!
        ১৬- আমরা আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমর –আল্লাহ তাঁকে সত্যের উপর অবিচল রাখুন- কে আমাদের আমীর, মাথার মুকুট ও চক্ষুর শীতলতা মনে করি। আল্লাহ আমাদের ধারণাকে তাঁর উপর সত্য বলে প্রমাণিত করেছেন যে, তিনি তার আধিপত্যকে নিয়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র প্রতিরক্ষায় উদয় হয়েছেন, বিতাড়িত অপরিচিত মুহাজির মুজাহিদদের সংরক্ষণে দাড়িয়েছেন, তিনি এবং ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানে তাঁর ভায়েরা ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন ক্রুসেড হামলার মোকাবেলায় দাড়িয়েছেন, না পিছু হটেছেন, না পরিবর্তিত হয়েছেন আর না দর কষাকষি করেছেন। বরং তাঁরা তাদের জিহাদ ও কিতালকে নিজ ভূমি থেকে কাফেরদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অব্যাহত রেখেছেন, একমাত্র আল্লাহ তাআলার সার্বভৌমত্ব সেখানে প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়েছেন যা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, এই ব্যক্তিরা সত্যের উপর সদা অব্যাহত রয়েছেন... আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করুন এবং কাবুলে তাদেরকে পূর্ণশক্তি, দৃঢ়পদ ফিরিয়ে নিন, সুস্পষ্ট শরীয়াহের বিজয়ের জন্যে আল্লাহ তাদেরকে এগুলো পদদলিত করার তাওফীক দিন। আমরা মনে করি, প্রত্যেক মুজাহিদের কাঁধে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের ঋণ রয়েছে, বরং প্রত্যেক মুসলিমের কাঁধে। নিশ্চয় এখানে বৈশ্বিক, সামাজিক ও শরয়ী কার্যক্রম রয়েছে যা উম্মাহকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখে, এজন্য আমরা প্রত্যেক মুসলিমকে তাদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানাই, তাদের কাছে বাইয়াহ দেওয়া, তাদের কল্যাণ কামনা করা, তাদেরকে শক্তিশালী করা এবং তাদেরকে কথা ও কাজে সাহায্য করার প্রতি। আমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ওই কর্মকারীর কর্ম থেকে নিজেদেরকে মুক্ত ঘোষণা করি যারা নিজেদের মানহাজের স্বার্থে মুসলমানদের ঐক্যকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেন অথবা এর বিপরীতে নতুন আমির ঘোষণা করেন। আমরা তাদের (আমীরদের)কে নিষ্পাপ মনে করি না কেননা তারা মানুষ, ভুল-শুদ্ধ উভয়টি তাদের পক্ষ থেকে হতে পারে, কিন্তু ভুলের ক্ষেত্রে আবশ্যক হচ্ছে তাদের প্রতি নসীহার আদব সহকারে নাসীহা উপস্থাপন করা, তাদের প্রতি সুধারণা পোষণ করা এবং তাদের কথা ও কাজকে উত্তম পাত্রে রাখা, যেহেতু তাদের জীবনচরিতে প্রচুর কল্যাণ পাওয়া গেছে এবং দ্বীনের জন্যে তাদের ত্যাগ-তিতীক্ষাও রয়েছে যা আজও অব্যাহত, আল্লাহ দুনিয়া-আখিরাতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করুন- এজন্য আমরা খুব ব্যথিত হয়েছি ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের মানহাজকে ঘিরে বিগত দিনের অনেক কথা-বার্তা দ্বারা এবং আমরা দেখেছি আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমর –হাফিজাহুল্লাহ-র বাইয়াহকে ত্যাগ করার প্রতি আহবান এবং এর মুকাবেলায় নতুন আমীরকে বাইয়াহ দেওয়া প্রসঙ্গে। আমরা দেখেছি অনেককে এ ব্যাপারে ঘুরিয়ে দাওয়াত দিচ্ছেন, আবার অনেক সরাসরি আমীরুল মুমিনীনের বাইয়াহ ত্যাগ করে নতুন আমীরের দিকে বাইয়াহ দেওয়ার কথা বলেছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
        ১৭- আমরা মনে করি জিহাদী কাজের জন্যে পরিশুদ্ধ আত্মা, উত্তম চরিত্র এবং আত্ম-সংশোধন আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে আমরা যেনো শত্রুর মুখোমুখী হওয়ার সময় তাঁকে অধিকহারে স্মরণ করি, এর হিকমত হচ্ছে যে হত্যা, লড়াই, হাড়গোড় ও মাথার খুলির সাথে বসবাস অন্তরকে কঠিন করে দেয়, এটা এমন মারাত্মক ব্যাধি যা অসংখ্য ব্যধির জন্ম দেয়। একপর্যায়ে এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। যেসব জিহাদি সংগঠন নিজেদের সেনাদেরকে তারবিয়াত দেওয়া ও আত্মশুদ্ধির দিকে গুরুত্বারূপ করবে না তারা নিজেদের প্রধান ইন্ধন ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দুনিয়ার সফলতা ও আখেরাতের কামিয়াবির পথ হারিয়ে ফেলে। অন্তরের ব্যধির চিকিৎসা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ দ্বারা এবং বেশি বেশি আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করা, ফরজ ও নফল সালাতের প্রতি গুরুত্বারূপ করা। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় ও খরচ করা, বেশি বেশি দুআ ও ইস্তেগফার করা, দরিদ্রদেরকে সাহায্য করা এবং তাদের সাথে উঠাবসা করা, প্রতিবেশি ও ভাইদের খিদমত করা, মুসলমানদের অন্তরে আনন্দ দেওয়া, মাতাপি্তার আনুগত্য করা ও তাদেরকে শান্তি দেওয়া, সামাজিক সদ্ব্যবহারের বিষয়াদি বেশি বেশি পড়া, পরকালের অবস্থা ও জান্নাতের প্রতি উতসাহী হওয়া – আল্লাহ আমাদেরকে তাদের আহল হিসেবে কবুল করুন- জাহান্নাম থেকে ভয় দেখানো, আল্লাহ আমাদেরকে তা থেকে এমনভাবে দূরে রাখুন যেভাবে পুর্ব আর পশ্চিমের মধ্যে দুরত্ব তৈরি করেছেন, আমিন।
        আমার মুজাহিদ ভায়েরা!
        এটা আমাদের বার্তার কয়েকটি আলোকিত জ্ঞানসমূহ, যেগুলো আমরা জেনেছি, যেগুলো আমরা পেয়েছি এবং আমরা আমাদের জিহাদের শায়খ, নেতৃবৃন্দ এবং আলেমদের থেকে পেয়েছি......
        এগুলোকে আমি সীমিতকারে সংক্ষেপে নিম্নে পুনরাবৃত্তি করছিঃ
        ১- মুসলিম উম্মাহের জন্যে নিজেদের ডানা মেলিয়ে দেওয়া, তাদের সাথে উ্ঠাবসা করা, মহান প্রভুর সাহায্য লাভের পর তাদের সমর্থন অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো।
        ২- তাকফীরের মাসায়িলে পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা, বারাবাড়ি না করা।
        ৩- আলেমদের গুরুত্ব বোঝা, আহলে ইলম ও আহলে জিহাদের মত্যবর্তী ছিদ্র বন্ধ করা।
        ৪- মুসলমানদের রক্তের সংরক্ষণের ব্যাপারে পূর্ণ মর্মব্যথী হওয়া, অসার দলীল দিয়ে তাদের রক্ত নিয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হওয়া।
        ৫- উম্মাহ যে কঠিন অবস্থায় আছে এর দিকে লক্ষ্য রাখা, তাদের সাথে নম্র আচরণ করা এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহবান করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
        ৬- উম্মাহকে প্রধান সমস্যার পাশে জড়ো করা, আর এর মূলে রয়েছে ইয়াহুদি ও আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই।
        ৭- দাওয়াতী কাজের গুরুত্ব বোঝা, এবং জিহাদের কাজের সাথে এর সুদৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করা।
        ৮- মুজাহিদদেরকে অন্যান্যদের তুলনায় শরয়ী রাজনীতি বোঝানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা।
        ৯- ইখতেলাফের আদব সম্পর্কে জ্ঞান রাখা।
        ১০- আমাদের আভ্যন্তরীণ বিন্যাসে শরীয়তের আহকামকে আকড়ে ধরা এবং এর সাথে সাথে বাহিরে এর বাস্তবায়ন ও রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো।
        ১১- গ্রহণযোগ্য সালিস নির্বাচনের মাধ্যমে শুরার মূলকে আকড়ে ধরা এবং উম্মতের মধ্যে ছোট ছোট দল তৈরি না করা।
        ১২- পরিপূর্ণ প্রতিরক্ষা অর্জন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আধিপত্য ও তামকীন(ভুখন্ডে পুর্ণ অবস্থান) লাভের পূর্বে রাষ্ট্র ও ইমারাহ ঘোষণায় তাড়াহুড়া না করা।
        ১৩- দলীয় আসাবিয়াহ ও ব্যক্তির ক্ষেত্রে অতই প্রশংসা থেকে বেচে থাকা।
        ১৪- আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের মধ্যে চলা ইলমি ইখতেলাফকে জিহাদের ময়দানে নিয়ে আসা থেকে বেচে থাকা।
        ১৫- সৎ কাজে আমীরের আনুগত্য আবশ্যক মনে করা।
        ১৬- ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের অধীনে জড়ো হওয়া এবং কথা ও কাজে এর সাহায্য করা।
        ১৭- আত্মশুদ্ধি ও অন্তর পরিশোধনের প্রতি গুরুত্বারূপ করা।
        এগুলো হচ্ছে আমাদের মানহাজের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক – এখানে পুরোটাকে তুলে ধরার ইচ্ছা নয়- সুতরাং কেউ আমাদের বিরুদ্ধে বিকৃত নতুন মানহাজ নিয়ে আমাদেরকে এই স্বচ্ছ মানহাজ থেকে ফিরানোর জন্যে যেনো বের না হয়, কেউ আমাদের বোধকে যেনো এই বলে তুচ্ছ না করেন যে আমাদের মাশায়েখদের মানহাজ পরিবর্তিত ও বিকৃত হয়ে গেছে... না আল্লাহর কসম, এটা আমাদের মানহাজ ছিলো এবং পরিবর্তন হয় নি... আমরা আল্লাহর কাছে এর উপর অবিচলতার জন্যে দুআ করি... হ্যা, আমরা স্বীকার করি আমাদের অপরাগতায়, আমাদের নিজেদের ত্রুটির কারণে যে আমাদের বোঝের মধ্যে শরীয়তের আহকাম হিসেবে অনেক ভুল হয়েছে অথবা নিজ জীবনে এর বাস্তবায়নে ত্রুটি হয়েছে, অথচ শরীয়ত হচ্ছে স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রত্যেক ভুল ত্রুটি থেকে মুক্ত, এজন্যে আমরা মনে করি যে নসিহতের দরোজা উন্মুক্ত আছে, এবং শরীয়তের আলোকে যে আমাদেরকে ভুলের উপর সতর্ক করবে আমরা অবশ্যই তার কাছে কৃতজ্ঞ হবো, লা হাওলা ওয়া কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ...
        সর্বশেষে, আমরা প্রত্যেক ভুমির মুজাহিদদেরকে বলি, বিশেষকরে কায়েদাতুল জিহাদে আমাদের ভাইদেরকে ও জিহাদের ভুমি শামে অবস্থিত মুজাহিদ ভাইদেরকে, যে আপনারা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওই হাদীসের উপর চিন্তা করবেন যা হযরত আবু মুসা আশআরী রাজিয়াল্লাহু বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
        কোনো কষ্টের উপর আল্লাহর চেয়ে কেউ বেশি ধৈর্যশীল নন, তারা তাঁর পুত্র আছে বলে, তাঁর জন্যে সমকক্ষ নির্ধারণ করে অথচ তিনি তাদেরকে মাফ করে দেন, তাদের থেকে বিপদ সরান, তাদেরকে রিযক দেন এবং তাদেরকে দান করেন । (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহীহাহ/শায়খ আলবানি রাহিমাহুল্লাহ, হাদীস নম্বরঃ ২২৪৯)
        হে প্রিয় ভায়েরা! আপনারা সর্বশেষ নিকটবর্তী সময়ে শুনেছেন অনেক কষ্টকর কথা, গালি, তিরস্কার, বাতিল অপবাদ, মিথ্যা কথা, বড়দের উপর এমন বাড়াবাড়ি যা অন্তরকে আহত করে, হৃদয়কে রক্তাক্ত করে। কিন্তু আমরা আপনাদেরকে বলি যে এগুলো আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও, আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও, ধীরস্থিরতা ও সহনশীলতার দ্বারা অলংকৃত হও, মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিদান করো, জুলুমকে ন্যায় বিচার দ্বারা মোকাবেলা করো ফিতনার কারণে একটুও বিচ্যুত হয়ো না, সত্যের উপর অবিচল থাকো... কেননা এগুলো হচ্ছে সমুদ্রের ফেনা যা খুব তাড়াতাড়ি বাতাসের সাথে উড়ে যাবে!
        আমি নিজেকে ও আপনাদেরকে আহবান করি যে আমরা যেনো হই মৌমাছি বা খেজুর গাছের মতো... আমাদের ছায়া হবে শীতল... আমাদের ফল হবে মিষ্ট... আমাদের দৃশ্য হবে উত্তম... আমাদের উপস্থিতি হবে উত্তম ও উপকারী... আল্লাহ আমাকে ও আপনাদেরকে এভাবে হওয়ার তাওফীক দিন, আমিন!
        আল্লাহ যদি আমার বয়েস দীর্ঘ করেন, এবং আমাকে তাওফীক দেন তাহলে আল্লাহর অনুমতিতে আগামী প্রবন্ধে এর প্রতি পয়েন্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
        ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাহবিহি ওয়াসাল্লাম
        লিখেছেন
        উস্তাদ আহমদ ফারুক রঃ
        Last edited by Osama; 08-07-2015, 05:32 AM.

        Comment


        • #5
          “মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে একটি মৌমাছির মতো, যদি সে খায় তাহলে উত্তম খায়, যদি সে বর্জ্য দেয় তাহলে সে ভালো দেয়, যদি সে কোনো নরম গাছে বসে তাহলে তা ভাঙ্গে না...(বায়হাকি বর্ণনা করেছেন, এবং আলবানি হাসান বলেছেন, হাদীস নম্বরঃ ১০৭৮৫)
          কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

          Comment


          • #6
            আমরা বিশ্বাস করি আমীরের আনুগত্য ও মান্যতা হচ্ছে গোনাহের ক্ষেত্র ব্যতীত জিহাদের কেন্দ্রের খুটি, জিহাদ জামাআত ব্যতীত নয়, জামাআত শোনা-মানা ব্যতীত নয়। আমরা মনে করি সৎ কাজে আমীরের আনুগত্য করা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে’র আনুগত্য করা, এটা হচ্ছে একটি ইবাদত যার দ্বারা আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবো, কোনো দলের একক সফলতা নেই অন্যদের উপর, শত্রুর উপর তাদেরকে চূর্ণ করার জন্যে একতার মতো অন্যকিছু নেই, আর এই একতা ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না এইসব সৈন্যদল এমন একজনের নেতৃত্বে আসবে যিনি সবাইকে নেতৃত্ব দিবেন, এবং তার আনুগত্য হবে নিজের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, কঠিন-সহজাবস্থায়। এই আমরা নিজেদেরকে এবং আমাদের ভাইদেরকে আমীরের অবাধ্য হওয়া থেকে সতর্ক করি, নিশ্চয় শয়তান আমীরের অবাধ্য হওয়াকে সুন্দরভাবে চিত্রায়িত করবে, এবং তার মনে ঢুকিয়ে দেবে যে এর মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে, এটা এমন আধিপত্য যা কখনো নিঃশেষ হবার নয়, কিন্তু আমাদের ভালোভাবে বোঝা উচিৎ যে, এর মধ্যে কোনো উপকার নেই যা একজন মুজাহিদ অবাধ্য হয়ে পা ফেলে... দ্বীন প্রতিষ্ঠা দ্বীনকে ধ্বংস করার মাধ্যমে হয় না!
            যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। (১১০ঃ১-৩)

            Comment

            Working...
            X