Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমীরের শাহাতাদঃ আমেরিকার সংকল্প ও ইমারাতে ইসলামিয়ার ভবিষ্যৎ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমীরের শাহাতাদঃ আমেরিকার সংকল্প ও ইমারাতে ইসলামিয়ার ভবিষ্যৎ

    আমীরের শাহাতাদঃ আমেরিকার সংকল্প ও ইমারাতে ইসলামিয়ার ভবিষ্যৎ
    ডাউনলোড

  • #2
    আমীরের শাহাতাদ; আমেরিকার সংকল্প ও ইমারাতে ইসলামিয়ার ভবিষ্যৎ

    আমীরুল মো’মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর (রহিমাহুল্লাহ) একজন মানুষ ছিলেন। আল্লাহ্* তা’য়ালার বিধান অনুযায়ী নিদৃষ্ট সময় এবং নির্ধারিত জায়গায় তাঁর শরীর থেকে ‘রূহ’ আলাদা হয়েছে। আজ ইসলামীবিশ্ব খুবই সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। সব জায়গায় বিভিন্ন ধরণের বিস্তৃতি ও প্রসারতা লক্ষ্যণীয়। বিভিন্ন জায়গায় অভ্যন্তরীণ গোলযোগ বিদ্যমান। হতাশার এই পৃথিবীতে যুদ্ধের যথসামান্য সরঞ্জাম নিয়ে ‘ইমারাতে ইসলামিয়া’ উম্মাহ্*র প্রতিরক্ষার জন্য বেরিয়ে পড়েছে। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বাস্তাবিক জিহাদের পর সমস্ত মুসলমানরা খুশি, কিন্তু অনিশ্চিত ছিলো যে, সরঞ্জামের দিক দিয়ে দুর্বল এবং সংখ্যার দিক দিয়ে স্বল্প মুজাহিদীন বিশ্বের বড় বড় পরাশক্তি গুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান রাখতে সফল হবে(?)। কিন্তু যখন মহান আল্লাহ্* তা’য়ালা চেয়েছেন, তো এসব কিছু সম্ভব হয়েছে। সমস্ত মুসলমানের দৃষ্টি শুধুমাত্র এবং কেবলমাত্র ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রতি নিবদ্ধ। এবং তাঁদের এটা একমাত্র বিশ্বাস যে, মুসলমানদের এই বড় দুশমনের পরাজয় এবং মুসলিম জনসাধারণের মুক্তি এই ইমারাতে ইসলামিয়ার স্থায়িত্বের উপর নির্ভরশীল।
    আর এ কারণেই দুনিয়ার আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মুসলমানরা ইমারাতে ইসলামিয়া কে মর্যাদার প্রতীক হিসাবে দেখে থাকে। তাঁদের অন্তরে ইমারাতে ইসলামিয়ার মহাপরিচালকের অনেক উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। তাঁরা তালেবান মুজাহিদীনের সাথে সীমাহীন মুহাব্বত রাখে। তাঁদের সফলতা ও অগ্রযাত্রায় খুশি হয় এবং তাঁদের ব্যথায় ব্যাথিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমীরুল মো’মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর (রহিমাহুল্লাহ)-র শাহাদাতে শুধু আফগানিস্তান নয়, বরং পুরো ইসলামীবিশ্ব ব্যথিত। এবং সবাই এই ঘটনায় ক্রন্দনরত। কিন্তু শাহাদাতের যে মৃত্যুতে তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে, তা অনেক বড় মর্যাদা সম্পন্ন মৃত্যু’ই বটে। রাসুলুল্লাহ্* সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ধরণের মৃত্যুর’ই তামান্না করেছেন যে, “আমি তো এটা অনেক উত্তম মনে করি যে, আল্লাহ্*র রাস্তায় বারবার শহীদ হবো এবং বারবার জীবিত হবো”।
    সত্য পথের প্রত্যেক মুজাহিদ ইসলামের ভূমি সমূহ, মুসলমানদের প্রতিরক্ষা এবং ইসলামের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ্*র রাস্তায় লড়ে যাচ্ছে এবং এটাই তাঁর আসল টার্গেট। সে সর্বদা শাহাদাত পিয়াসী হয়। মানসুর সাহেবও (রহঃ) এমন একজন মুজাহিদ ছিলেন। এ পর্যন্ত যে আল্লাহ্* তা’য়ালা তাঁর হাতে মহৎ উদ্দেশ্য সমূহের অর্জন নিশ্চিত করেছেন এবং তাঁর আশাও পূর্ণ করেছেন।
    (আমীরুল মুমিনীনের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে) যে পর্যন্ত এভাবে ইমারাতে ইসলামিয়া কে ক্ষতি পৌছানো এবং অ্যামেরিকার বিজয়ী হওয়ার প্রশ্ন দেখা দেয়, তখন বাস্তবে সবকিছু দুনিয়ার সামনে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মুজাহিদীন নেতৃবৃন্দের শাহাদাত আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে কোনো ধরণের প্রভাব ফেলতে পারেনি। কেননা এটি হলো জিহাদ, এটি এমন নয় যে, কোনো ব্যাক্তির উত্থান পতনে এই জিহাদেরও উত্থানপতন ঘটবে। মুজাহিদীনের আক্বিদা হলো, সবকিছু ঐ মহান সত্তার ইচ্ছা ও হুকুমে হয়েছে, যাঁর জন্য এই কাজ আঞ্জাম দেয়া হচ্ছে ।
    মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহ্* ইমারাতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতা এবং আফগান জিহাদী আন্দোলনের স্থপতি ছিলেন। তাঁর মৃত্যু স্মরণকালের বৃহত্তম দুর্যোগ ছিলো। দুশমনরা মিডিয়ায় এই প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিলো যে, এখন ইমারাতে ইসলামিয়া শেষ হয়ে যাবে। অধিকাংশ মুজাহিদ অস্ত্র ত্যাগ করবে, আর যারা অবশিষ্ট থাকবে তাঁরা আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে পেরে উঠবে না। কমজুর এবং দুর্বল ঈমানের অধিকারী মুসলমানরা তাদের এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সাধারণ খাটি মুসলমানদের মাঝে হতাশা ছেয়ে গিয়েছিলো এবং মুজাহিদীনের মাঝে ভাঙ্গনের খতরা অনুভূত হচ্ছিলো।

    কিন্তু মোবারক হোক ইমারাতে ইসলামিয়ার নেতৃত্ব! এ সংকটময় মূহুর্তে ইহা তাঁর অসাধারণ তীক্ষ্ণ মেধার প্রকাশ ঘটিয়েছে। আল্লাহ্* তা’য়ালা তার সাহায্য করেছেন। তার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে এবং ঐক্য অটুট রয়েছে। মুসলমানরা ঐ এক আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলো যাকে আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহ. নিজের স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। সত্য কথা হলো, আল্লাহ্* তা’য়ালা আমিরুল মু’মিনীন রহ. কে অসাধারণ তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও বিচক্ষণতা দান করেছেন। তাঁর রহ. স্থলাভিষিক্ত তাঁর পরিপূর্ণ আশানুরূপ হয়েছেন। যদিও তাঁর নেতৃত্বের সময়কাল খুবই সংক্ষিপ্ত ছিলো, কিন্তু এই স্বল্প সময়ে অপ্রতিরুদ্ধ সংকল্প, মজবুত ঈমান এবং অগ্রযাত্রার এমন কাজ আঞ্জাম দিয়ে গেছেন যা সর্বদা অনুভূতিসম্পন্ন মুসলমান বিশেষ ভাবে মুজাহিদীনের জন্য গৌরবের বস্তু হয়ে থাকবে।
    আমীরুল মুমিনীন রহ. দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন, কিন্তু জিন্দেগীতে এমন কোনো সাধারণ ভুল এবং সামান্য পদস্খলন ঘটেনি যার দ্বারা মুজাহিদীনের গৌরবময় ইতিহাসে কালো দাগ লাগতে পারে। বরং তিনি স্বল্প সময়ে যা কিছু করেছেন তা মুসলমানদের জন্য অপার আনন্দের বিষয়। আমীরুল মু’মিনীনের শাহাদাতের পর অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অত্যন্ত দাম্ভিকতা ও অহংকারের সাথে তাঁর শাহাদাতের ঘোষণা দিয়েছিলো এবং বলেছিলোঃ ‘তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুরের মত যেই শান্তি আলোচনার অস্বিকৃতি জানাবে তাঁর পরিণাম এই নেতার মত হবে। ভবিষ্যতে অ্যামেরিকার স্বার্থ রক্ষার খাতিরে তালেবানের সর্বোচ্চ এই নেতার মত অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপরও আঘাত হানা হবে’।
    এ কথাগুলোতে ওবামার বাচনভঙ্গি সীমাহীন কুরুচিপূর্ণ, অত্যন্ত অহমিকাপূর্ণ ও অনুভূতিহীন ছিলো। ওবামার পক্ষ থেকে কাবুল সরকারকে ‘জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত এবং সেটাকে জনগণের ইচ্ছাধীন শাসিত’ ঘোষণা দেয়া স্পষ্ট ভুল। যদি জনসাধারণের সমর্থনের উপর ভিত্তি করে এই শাসনব্যবস্থা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, ঘোষখুর, ডাকাত এবং জাতীয় সম্পদ আত্মসাৎকারীর নাম হয়, তাহলে নিশ্চিত’ই বর্তমান হুকুমত তার ইচ্ছাধীন হুকুমত। এবং এ লোকেরা এমন হুকুমত কে টিকিয়ে রাখতে চায়। যদি জনগণ বলতে পুরো আফগানিস্তানের সকল শহুরে (শহরের অধিবাসী) হয়, তাহলে প্রত্যেকে এই প্রশ্ন করতে পারে যে, যদি বর্তমান শাসনব্যবস্থা জনগণের ইচ্ছাধীন হয় তাহলে আফগানিস্তানের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমসহ সকল এলাকার আফগান জনগণ ঐ লোকদের সহায়তা কেন করছে যারা কাবুল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে? হাজারো নিরপরাধ আফগানিদের হত্যাকারী এবং আফগানিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যাক্তি হলো রশীদ দোস্তম। যাকে কিনা ওবামাও বড় হত্যাকারী হিসাবে জানে। তাকে অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে নমিনেশন দেয়া হয়নি। এ লোক আশরাফ গানির এমন স্থলাভিষিক্ত যে, আশরাফ গানির অনুপস্থিতিতে তার প্রতিনিধিত্ব করে। তা সত্ত্বেও ওবামা এমন একটি শাসনব্যবস্থা কে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বলে চালিয়ে দেয়। ওবামা আমীরুল মূ’মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুরের রহ. শাহাদাতের যে কারণ বর্ণনা করেছে, তা হলো শান্তি আলোচনায় তিনি প্রতিবন্ধক ছিলেন। সামগ্রিক ভাবে পুরো বিশ্ব এবং বিশেষভাবে জাতিসংঘ কে এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিৎ, দুনিয়ার শক্তিশালী গ্রুপের কি এ অধিকার আছে যে, যদি প্রতিপক্ষ তাদের সাথে শান্তি আলোচনা করে অথবা শান্তি আলোচনার জন্য শর্ত উত্থাপন করে, তাহলে শক্তিশালী গ্রুপ কি তার উপর আঘাত হানতে পারে?
    প্রশ্ন হলো, দুনিয়ায় এমন অনেক লোক আছে যারা অ্যামেরিকার সাথে অনেক বিষয়ে ইখতিলাফ ও মতানৈক্য করে। অ্যামেরিকাকে হুমকি ধমকিও দেয়। অ্যামেরিকা কি এমন বাহাদুর যে, তার প্রতিপক্ষ কে ধ্বংস করার অধিকার রাখবে? ইউক্রেন প্রশ্নে অ্যামেরিকা রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছিলো। রাশিয়ার উপর অভিযোগ ছিলো যে, সে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়েছে। আর এটা নাকি পুরো ইউরোপে আক্রমণ করার নামান্তর। তাহলে এ অবস্থায় কি অ্যামেরিকার এই অধিকার রয়েছে যে, সে পুতিনের উপর আক্রমণ করে বসবে? অ্যামেরিকা অনেক প্রচেষ্টা ব্যয় করেছিলো যে, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখবে। উত্তর কোরিয়াকে ফুঁসলিয়ে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে বিরত রাখতে অনেক চেষ্টা করেছে; কিন্তু সে কোনো ধরণের প্রভাব-প্রতিপত্তির তোয়াক্কা করেনি। এবং পূর্ণ সাহসিকতার সাথে তার পারমাণবিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে গেছে। জেদ আর একগুঁয়েমির সাথে ধারাবাহিক অভিজ্ঞতা অর্জন করে চলেছে। এখন তো এ কথাও প্রকাশিত হতে শুরু করেছে যে, সে হাইড্রোজেন বোমাও বানাচ্ছে। এমনিভাবে চীন, ভিনেজুয়েলা, কিউবাসহ আরো কিছু দেশের সাথে অ্যামেরিকার টানাপোড়েন চলছে। আর কেউ তাদের কথা মানে না। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা কে ধ্বংস করা এবং তার উপর আক্রমণের কল্পনাও অ্যামেরিকা করতে পারে না। কেননা , অ্যামেরিকা অত্যন্ত ভীতু দুশমন। জাতি সংঘ কে এ কথা স্বীকার করে নেয়া উচিৎ যে, আইন নয়; বরং শক্তি ও বদমাআশীর শাসন এবং কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত। অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় অপরাধ এটিই যে, সে স্বার্থ ও উপকার যুদ্ধের মাঝেই দেখে থাকে। সে কখনোই চায় না যে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ বন্ধ হোক; এবং আফগান সংকটের সমাধান আলোচনার মাধ্যমে হোক। অ্যামেরিকা শান্তি আলোচনার জন্য একেবারেই প্রস্তুত নয়।
    অ্যামেরিকার দেমাগ থেকে এখনো বোকামিপূর্ণ ধোঁকা বের হয়নি; এবং তারা এখনো বিজয়ের স্বপ্ন দেখছে। যে সকল মুজাহিদীনের হাতে ১৫ বছর ধরে তারা কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে, তাদের কাছে দাবী করছে যে, হাতিয়ার সমর্পণ করে কাবুল সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে যাও! আশ্চর্য কথা হলো, নিজেদের নির্লজ্জ এই বোকামিপূর্ণ দাবিকে কে তারা আলোচনার নাম দিচ্ছে(?)। সম্ভবত তার খিয়াল হলো, এর দ্বারা নিজেকে কে শান্তিকামী আর মুজাহিদদেরকে নিরাপত্তার দুশমন সাব্যস্ত করবে। কিন্তু, বর্তমান এই অবস্থায় এক দখলদার, আগ্রাসী, লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যাকারী কে মানুষ কিভাবে শান্তিকামী বলে বিশ্বাস করবে? অ্যামেরিকার প্রতারণাপূর্ণ চেহারা বিশ্ববাসী চিনেছে। এবং তার ধুর্তামিতে সকলে অবগত। এজন্য শান্তি আলোচনাকে তার ইচ্ছাধীন ব্যাপারাদির সাথে শর্তযুক্ত করে দিয়েছে। আর তাই, এখন শান্তি আলোচনায় কোনো সমাধান পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ কারণে, শায়েখ হাইবাতুল্লাহ্* এটা এমন কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, এখন এর নাম’ই নেয়া হচ্ছে না আর।

    ওবামা ধমকি দিয়েছিলো যে, “যদি তালেবানরা মোল্লা আখতার মানসুরের রহ. মত শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে দেয়; তাহলে তার পরিণতিও মোল্লা আখতার মানসুরের রহ. মত হবে”। ওবামা আসলে ঐ সকল লোকদের সম্বোধন করেছিলো যারা বিগত ১৫ বছর ধরে বহুজাতিক ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক আত্মসচেতন ব্যাক্তির ওবামার এই অনুভূতিহীন নির্বুদ্ধিতায় মনে হাসি পাচ্ছে !
    ষড়যন্ত্রবাজ দুশমন নতুন আমীর নির্ধারনের সময়ও মতানৈক্য সৃষ্টি করার খুব চেষ্টা চালিয়েছিলো। ইসলামী বিশ্বে কিংকর্তব্য বিমুঢ়তা ও অনাস্থা সৃষ্টির প্রায়াস চালিয়েছিলো। মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সীমাহীন মিথ্যা প্রোপ্যাগান্ডা চালানো হয়েছিলো। বলা হয়েছে, নেতৃত্বের জন্য অনেক নাম সামনে এসেছে; আর মুজাহিদীনরা নতুন আমীর নির্ধারনের ব্যাপারে ইখতিলাফের স্বীকার। যখন আমিরুল মূ’মিনীন শায়খ হাইবাতুল্লাহ্* আখন্দযাদাহ্* হাফিজাহুল্লাহ্*র হাতে সকলে বাইআতের ঘোষণা দিলেন; বিরোধী কোনো আওয়াজ উঠেনি, একতা ও ঐক্যের বন্ধন অটুট রইলো। তখন দুশমন এমনিতেই খামোশ হয়ে গেলো। সকল মুসলিম জনসাধারণ এটার উপর নিশ্চিন্ত ছিলো যে, আমাদের নতুন আমীরও পুর্বের আমীর মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহ. ও মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর রহ. এর পদচিহ্ন অনুস্বরণ করে চলবেন এবং জিহাদ জারী রাখবেন। কখনোই আসল মাকসাদ থেকে পিছু হটবেন না। আর না নিজের উচ্চ মাকসাদের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করবেন। ইনশাআল্লাহ্*, অ্যামেরিকা জেনে নিক যে, বিগত দুই দশক থেকে বেশী সময়ে ইমারাতের নেতৃত্ব অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাদের যোগ্যতা এবং ইলম-এ অনেক সংযোজন ঘটেছে। এতে বেশী হবে না যদি বলি যে, ইমারাতে ইসলামিয়্যার হাজার হাজাত নেতাদের মাঝে ইমারাতের (আমীরুল মু’মিনীন হওয়ার) যোগ্যতা রয়েছে। আল্লাহ্* না করুন; এর পরও যদি ইমারাতে ইসলামিয়ার নেতৃত্ব শহীদ হতে থাকেন; তার পরও শত্রুদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে কোনো ধরণের কমতি আসবে না। বরঞ্চ, মুজাহিদীনের ক্ষোভ ও ক্রোধ আরও বৃদ্ধি পাবে। দুশমন থেকে প্রতিশোধ গ্রহনের স্পৃহা আরও কঠোরভাবে বেড়ে যাবে। এবং এই কঠোরতা শেষ পর্যন্ত অ্যামেরিকা এবং দখলদার রাষ্ট্রগুলোর ধ্বংসের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ্*।




    (সুত্রঃ ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের একমাত্র উর্দূ ম্যাগাজিন মাহ্*নামা শরীয়ত।)

    Comment


    • #3
      সুবহান আল্লাহ,অসাধারন প্রভাব বিস্তারকারি একটি বিবৃতি...
      "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
      বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

      Comment


      • #4
        জাজাকাল্লাহ।
        শামের জন্য কাঁদো.....

        Comment


        • #5
          ভাই জাযাকাল্লাহ।এভাবে বিভিন্ন ম্যগাজিনের গুরুত্তপুর্ণ লেখা গুলো অনুবাদ করে ছারলে ভাল হয়।

          Comment


          • #6
            جزاكم الله

            Comment


            • #7
              ওবামা আসলে ঐ সকল লোকদের সম্বোধন করেছিলো যারা বিগত ১৫ বছর ধরে বহুজাতিক ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক আত্মসচেতন ব্যাক্তির ওবামার এই অনুভূতিহীন নির্বুদ্ধিতায় মনে হাসি পাচ্ছে !
              মুচকি হাসি দেয়ার উত্তম যায়গা এগুলোই।
              মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
              রোম- ৪৭

              Comment

              Working...
              X