Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাশ্মির হামলা: ভারতের ‘পাশে’ বাংলাদেশ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাশ্মির হামলা: ভারতের ‘পাশে’ বাংলাদেশ

    সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় আশ্বাস দেন তিনি, যেই বার্তার একটি অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে রয়েছে।

    বোববার চার অস্ত্র ও গ্রেনেডধারী উরির সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালিয়ে ১৭ ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে; হামলায় আহত হন আরও ৩৫ জন। পরে হামলাকারীরাও পাল্টা গুলিতে মারা যান।

    শেখ হাসিনা ‘সন্ত্রাসী এই হামলায়’ নিহত ও আহত সৈনিকদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

    বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ এই কঠিন সময়ে ভারতের পাশে থাকবে।

    “ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ও সীমানাজুড়ে চলমান সব হুমকি নির্মূলে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।”

    সব ধরনের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী ধ্যান-ধারণা এবং এর সহিংস প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

    এর আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী সিএনএন-নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর বার্তার উল্লেখ করে ভারতের পাশে থাকার কথা জানান।

    “আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ রয়েছে। ভারতের জন্য কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশ তাদের পাশে থাকবে।”

    ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবে বলেও জানান হাইকমিশনার।

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে উৎসারিত মন্তব্য করে মুয়াজ্জেম বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতীয় সৈনিকের রক্ত যে বন্ধুত্বের ভিত্তি রচনা করেছিল, তা এখনো চলমান।

    “একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একাত্তরের চেতনাই যেন আমাদের ভিত্তি হিসেবে অমলিন থাকে তা আমি চাইব।ওই সময় আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলাম।”

    ২০১৪ সালের পর কাশ্মিরের উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলাগুলোর মধ*্যে রোববারের হামলাকে ‘সবচেয়ে প্রাণঘাতী’ বলা হচ্ছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, চার জন আত্মঘাতী ভোরবেলায় ওই হামলা চালায়। তিন ঘণ্টা ধরে চলা লড়াইয়ে তারা সবাই নিহত হন।

    এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে অভিযোগ তুলে পাকিস্তানকে ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারত।

    দেশভাগের পর থেকেই কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে। প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে সংঘটিত তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটিই হয়েছে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চল ঘিরে।

    এই হামলা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত তিক্ত সম্পর্কের দুটি শত্রুভাবাপন্ন দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও উসকে দিয়েছে; তৈরি হয়েছে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা।

    বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সামরিকায়িত এই সীমানাজুড়ে অনেক জায়গায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও প্রায়ই ঘটে থাকে।[[[[[[http://bangla.bdnews24.com/banglades...713.bdnews]]]]
    “মাছের জন্য যেমন পানি প্রয়োজন
    তেমনি মুজাহিদিনের জন্য জনগণের সমর্থন প্রয়োজন'

  • #2
    শেখ হাসিনা ‘সন্ত্রাসী এই হামলায়’ নিহত ও আহত সৈনিকদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

    বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ এই কঠিন সময়ে ভারতের পাশে থাকবে।
    الكفار ملة واحدة



    Comment

    Working...
    X