Announcement

Collapse
No announcement yet.

[হাদিস নং-২]আসুন প্রতিদিন একটি করে নবীজির(صلى الله عليه وسلم) হাদিস জানি!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • [হাদিস নং-২]আসুন প্রতিদিন একটি করে নবীজির(صلى الله عليه وسلم) হাদিস জানি!

    আসুন প্রতিদিন একটি করে নবীজির(صلى الله عليه وسلم) হাদিস জানি!


    মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়ন এর পূর্বে অল্প কিছু কথাঃ
    (রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়নের আদব,গুরুত্ব এবং ফজিলত এর ব্যাপারে বিস্তারিত আলিমদের নিকট থেকে জেনে নিয়েন ইংশাআল্লাহ। আমি সামান্য যা জানি তাই উল্লেখ করলাম।)

    *রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়নের সময় নিজের মনকে এইভাবে জাগরিত রাখতে হবে যে আমি রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর মজলিশে আছি।তাই রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর সম্মান এবং ভালোবাসা অধিক পরিমানে অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে।
    *রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর প্রতি দুরুদ এবং সালাম যথাযথ ভাবে পাঠ করতে হবে।
    *রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস পরিপূর্ণ শুনা এবং মানার নিয়ত পড়তে হবে।
    *রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস সাহাবায়ে কেরাম(রাদিয়াল্লাহু আনহুম) যেভাবে বুজেছেন এবং যেভাবে আমল করেছেন সেভাবেই আমাদের বুজতে হবে এবং সেভাবেই আমল করতে হবে।
    *রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস এর কোন কিছু আমাদের বুজে না আসলে হাকপন্থি আলিমদের নিকট জিজ্ঞাসা করতে হবে।
    *একজন আলেম বলেছেন যে ইলম অর্জনের জন্য ২-টি বস্তু দরকার। তা হলঃ ১। আদব, ২। তলব।
    *একটি ঘটনাঃ
    "ইমাম আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) খুব অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন।এমন সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি আসলো। সে এসে তাঁর নিকট রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস শুনতে চাইল। ইমাম আওযাই(র) তখন উঠে বসে হাদিসটি বর্ণনা করলেন অতঃপর আবার শুয়ে পরলেন। তখন ওই লোক তাকে জিজ্ঞেস করল আপনি তো শুয়ে শুয়ে আমাকে হাদিসটি বলতে পারতেন। তিঁনি তখন জবাব দিলেন রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস আমি শুয়ে শুয়ে বর্ণনা করা সমীচীন মনে করি না।"
    এরকম শত শত ঘটনা আছে আমদের পূর্বসূরিদের মাঝে। আমি শুধু উদাহরণস্বরূপ ১- টা ঘটনা উল্লেখ করলাম।
    সুবাহানাল্লাহ! কত তাযীম-আদব ছিল তাঁদের!!
    আল্লাহ্* আমাদের কে মাফ করুন এবং আমাদেরকে ও তাওফিক দান করুন।


    নোট-১ঃআমি জেনারেল শিক্ষিত। তাই শুধু হাদিসের বাংলা অনুবাদ কপি-পোষ্ট করব। কোন আলিম ভাই চাইলে এই উদ্যোগ নিতে পারেন যে প্রতিদিন একটি হাদিস আরবি+অর্থ+ব্যাখ্যাসহ আমাদের জন্য পোষ্ট করতে পারেন। অথবা, অন্য কোন ভাই আরও সুন্দরভাবে এই উদ্যোগকে সাজিয়-গুছিয়ে দিতে পারেন।
    নোট-২ঃআমি একা একা আমল না করে আপনাদের কে নিয়ে এই আমলটি করার ইচ্ছা হল।তাই এই উদ্যোগ নিলাম।আমার জন্য দুয়া করবেন।আজ যদি আমাদের সুযোগ থাকতো তবে তো আমরা সকল ভাই একসাথে বসে হালাকা করে কোন আলিম ভাই থেকে নিয়মিত হাদিসের দারস নিতাম। সেটা তো আমাদের হচ্ছে না তাই এই প্রচেষ্টা।আল্লাহ্* আমাদের কে কবুল করুন এবং মৃত্যু পর্যন্ত আমলটি করার তাওফিক দান করুন।



    হাদিস নং-২


    আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    { أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ }*
    অর্থাৎ, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহররম (মাসের রোজা)। { সহিহ মুসলিম,১৯৮২}

    شَهْرُ اللَّهِ বাক্যে شَهْر কে اللَّهِ -এর দিকে যে إضافة করা হয়েছে এটি إضافة تعظيم। অর্থাৎ, সম্মানের ইযাফত। আল্লামা ক্বারী রহ. বলেন, হাদিসের বাহ্যিক শব্দমালা থেকে পূর্ণ মাসের রোজা বুঝে আসে। তবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান ব্যতীত আর কোনো মাসে পূর্ণ মাস রোজা রাখেননি, এটি প্রমাণিত। তাই হাদিসকে এ মাসে বেশি পরিমাণে রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়েছে বলে ধরা হবে।
    শা’বান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক রোজা রেখেছেন বলে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হতে পারে মুহররম মাসের ফজিলত সম্বন্ধে তাঁকে একেবারে জীবনের শেষ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে আর তিনি তা বাস্তবায়ন করে যাবার সময় পাননি। {ইমাম নববি, শারহু সহিহ মুসলিম}
    "মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলুল্লাহর প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।"(সূরাঃতাওবা,আয়াতঃ১২০)

  • #2
    উত্তম উদ্যোগ

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহু খাইরান প্রিয় ভাই, অতি উত্তম উদ্যেগ। এটার পাশাপাশি যদি প্রতিদিন একটা ক্বুরআনের আয়াত ব্যাখ্যাসহ পোস্ট করেন উত্তম হবে ইনশাআল্লাহ
      বিন কাসিমের রণ বেশে
      কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
      দিকে দিকে লাগাও নারাহ
      জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, ভাই খুবই উপকারী।

        Comment


        • #5
          যাজাকাল্লাহ খাইরান ইয়া আখি।সুন্দর উদ্যোগ
          বিজয় তো এসেই গেছে

          Comment

          Working...
          X