Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহু আকবার! ওয়া লিল্লাহিল হামদ- র*্যাব ও পুলিশঃ দুই তাগুত গ্রুপের মাঝে কামড়াকামড়ি শু

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহু আকবার! ওয়া লিল্লাহিল হামদ- র*্যাব ও পুলিশঃ দুই তাগুত গ্রুপের মাঝে কামড়াকামড়ি শু

    আল্লাহু আকবার! ওয়া লিল্লাহিল হামদ- র*্যাব ও পুলিশঃ দুই তাগুত দলের মাঝে কামড়াকামড়ি শুরু......
    ------------------------------------------------------------------------------------
    পুলিশের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে র*্যাবের ডিজির অভিযোগ
    জামাল উদ্দিন

    ১৭:৪০,
    অক্টোবর ১৩, ২০১৬

    র*্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ ও আইজিপি একেএম শহীদুল হকপুলিশের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে র*্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, এ ব্যাপারে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী দু’টি দলের মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া পুলিশ বাহিনী তথা সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হতে পারে।
    সিনিয়র সচিব বরাবরে দেওয়া চিঠিতে র*্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘র*্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র*্যাব) বাংলাদেশ পুলিশের একটি স্বতন্ত্র বিশেষায়িত এলিট ফোর্স। বাংলাদেশের সাতটি নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার বাহিনী ও কোস্টগার্ড) থেকে আগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এই বাহিনী গঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই র*্যাব জঙ্গিবাদ দমন, অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার, অবৈধ মাদক উদ্ধারসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশের র*্যাব ক্যাম্প থেকে প্রতিনিয়ত র*্যাবের অসংখ্য আভিযানিক ও গোয়েন্দা দল এবং সরকারি কাজে নিয়োজিত প্রশাসনিক দল প্রয়োজনবোধে ইউনিফর্ম বা সাদা পোশাকে সশস্ত্র বা নিরস্ত্র অবস্থায় সরকারি যানবাহনে অভিযান চালায়। একইসঙ্গে সরকারি কাজেও যাতায়াত করে থাকে। সম্প্রতি এ সব অভিযান বা সরকারি কার্যক্রম পরিচালনাকালে র*্যাবের আভিযানিক ও গোয়েন্দা দলের সদস্যরা পুলিশ বাহিনীর কতিপয় পুলিশ সদস্য কর্তৃক র*্যাবের পরিচয় দেওয়ার পরেও র*্যাব সদস্যদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণাত্মক কথা বলে, বিভিন্ন বাহিনী সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্যসহ শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। কিছু ক্ষেত্রে র*্যাবের সদস্যদের লাঠি এমনকি রাইফেল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের-সচিব-বরাবরে-র*্যাবের-ডিজির-অভিযোগপত্র




    চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বর্ণিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অধিকাংশ সময়েই এ সব ঘটনায় র*্যাবের পরিচয় পাওয়ার পরেও পুলিশ সদস্যরা র*্যাব সদস্যদের ওপর চড়াও হচ্ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই র*্যাব সদস্যরা আক্রান্ত হলেও অত্যন্ত ধৈর্য, পেশাদারী মনোভাব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে নিষ্ক্রিয় থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছে বিধায় বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এ সব ঘটনায় জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্রালাপ করা হলেও কোনও প্রকার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। অথবা কার্যক্রম সম্পর্কে র*্যাবকে অবগত করা হয়নি বিধায় দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন বিরূপ ধারণা র*্যাব সদস্যদের মনে সৃষ্টি হচ্ছে। যা তাদের মনোবল বা আভিযানিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। র*্যাব সদস্যদের মনে ক্ষতের সৃষ্টি করছে। ফলে পরবর্তী সময়ে অস্ত্রধারী দু’দলের মধ্যে এরূপ ঘটনা ঘটলে যেকোনও সময়ে তা বড় আকারের দুর্ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে যা পুলিশ বাহিনী তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যদের প্রয়োজনীয় প্রেষণা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।’ চিঠির সঙ্গে অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বিবরণও দেন র*্যাবের ডিজি।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি র*্যাবের ডিজি। তাছাড়া আইজিপিকে বাদ দিয়ে তিনি এমন অভিযোগ করতেও পারেন না। কোনও অভিযোগ করতে চাইলে তা আইজিপি বরাবরই করতে হবে। তবে র*্যাবের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    /এমএনএইচ/
    http://www.banglatribune.com/others/...ির

  • #2
    "দুই তাগুত দলের মাঝে কামড়াকামড়ি শুরু...... "

    আলহামদুলিল্লাহ!
    বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

    Comment


    • #3
      অভিযানের সময় র*্যাব সদস্যদের মারধর ও গালিগালাজ করা হয়েছে’
      বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
      ১৮:৫৬,
      অক্টোবর ১৩, ২০১৬
      বেনজীর আহমেদদায়িত্ব পালনের সময় পরিচয় দেওয়ার পরও কিছু পুলিশ সদস্য গালিগালাজ ও মারধর করেছে র*্যাব সদস্যদের অভিযোগ করেছেন র*্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, ‘পুলিশ সদস্যরা লাঠি ও রাইফেল দিয়েও আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে র*্যাব সদস্যদের।’

      ওই চিঠিতে র*্যাবের ডিজি বলেন, ‘সারাদেশের র*্যাব ক্যাম্প থেকে প্রতিনিয়ত র*্যাবের অসংখ্য আভিযানিক ও গোয়েন্দা দল এবং প্রশাসনিক দল সরকারি কাজে প্রয়োজনে ইউনিফর্ম বা সাদা পোশাকে সশস্ত্র বা নিরস্ত্র অবস্থায় সরকারি যানবাহনে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। সম্প্রতি এসব অভিযান বা সরকারি কার্যক্রম পরিচালনাকালে র*্যাবের আভিযানিক ও গোয়েন্দা দলের সদস্যরা র*্যাবের পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য তাদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণাত্মক কথা বলে, বিভিন্ন বাহিনী সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্যসহ শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। কিছু ক্ষেত্রে র*্যাবের সদস্যদের লাঠি ও রাইফেল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে পুলিশ।’

      সিনিয়র সচিব বরাবরে লেখা অভিযোগে র*্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সময়ে অস্ত্রধারী এই দুটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে এরূপ ঘটনা ঘটলে যেকোনও সময়ে তা বড় ধরনের দুর্ঘটনা সৃষ্টি করতে পারে। যা পুলিশ বাহিনী তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। এ সব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্রালাপ করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কেও র*্যাবকে অবগত করা হয়নি। যা র*্যাব সদস্যদের মনোবল ভাঙন ধরাতে পারে। একইসঙ্গে আভিযানিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।’

      চিঠিতে র*্যাবের ডিজি আরও বলেন, ‘অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, র*্যাবের পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশ সদস্যরা র*্যাব সদস্যদের ওপর চড়াও হচ্ছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই র*্যাব সদস্যরা আক্রান্ত হলেও অত্যন্ত ধৈর্য, পেশাদারী মনোভাব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে নিষ্ক্রিয় থেকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেছে। এ কারণেই বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
      http://www.banglatribune.com/others/...াজ

      Comment


      • #4
        ধ্বংস করুক আল্লাহ তাগুত দিয়ে তাগুত কে
        হে সম্মানিত শাম, আত্মমর্যাদাশীল খোরাসান আর বরকতময় গাজওয়ায়ে হিন্দ তথা সাড়া বিশ্বের মুজাহিদীন

        আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে।
        আলে ইমরান (১৩৯)

        Comment


        • #5
          নিশ্চয়ই তারা ধ্বংস হবে এবং তাদের বাতিল ইলাহ গুলোও
          হে আকসা আমরা আসছি........

          Comment


          • #6
            বন্ধুরা আনন্দিত হউন! আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন-
            ----------------------------------------------------------------------------
            যা ঘটবার, ধীরে ধীরে তাই ঘটছে। পুলিশশাসিত সমাজে এটা বলতে গেলে একেবারে অনিবার্য ছিল। সরকার জননির্ভর ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল নয় বলে রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা সম্পূর্ণরূপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ফলে এসব বাহিনী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তারা যত না দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত, তার চেয়ে অধিক ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে। আর জবাবদিহিতা না থাকায় এসব বাহিনীর কিছু সদস্য নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মানুষজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় এদের নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। সরকার এসব বাহিনীকে বিরোধী দল ঠ্যাঙ্গানোর কাজে অবাধে ব্যবহার করছে বলে এদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ ব্যবস্থা নেয়ার ইচ্ছা তাদের নেই।
            এ রকম আশঙ্কা আমরা অনেক আগেই করেছিলাম। সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। দেশের সর্বত্র আওয়ামী লীগারদের মধ্যে প্রতিদিন যে খুনোখুনির ঘটনা ঘটছে, সেটি শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও বিস্তৃত হতে চলেছে। পুলিশের দাবি- মাছের রাজা যেমন ইলিশ, তেমনি দেশের রাজা হয়েছে পুলিশ। এ দাবি একেবারে অহেতুক নয়। আমরা প্রতিদিন তাই দেখছি। স্বার্থের দ্বন্দ্ব এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এদের প্রত্যেকেই জানে, এই সরকার কিভাবে ক্ষমতায় এসেছে, কিভাবে ক্ষমতায় আছে। ফলে প্রশাসন, র*্যাব, পুলিশ সবাই ক্ষমতার হিস্যা চায়। সরকার এখানে অসহায় অবস্থায়ই পড়েছে।
            এ রকম খবর এখন প্রতিদিনের কাগজেই কিছু না কিছু পাওয়া যায়। শুধু গত শনিবারের সংবাদপত্রের দু’টি খবর উল্লেখ করা যায়। তার একটি খবর ‘যে চিঠি নিয়ে ক্ষুব্ধ র*্যাব’ শিরোনামে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, র*্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের ডিসি। তিন মাস আগে দেয়া চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ ঘুরে এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে। এ দিকে মোবাইল কোর্টের বিরুদ্ধে দেয়া চিঠির কিছু বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে র*্যাব। অপর দিকে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মেজবাহ উদ্দিন ও অভিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম।
            পত্রিকা উল্লেখ করেছে, গত রমজান মাসে চট্টগ্রাম জেলা সদরে র*্যাব পরিচালিত মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উত্থাপন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেন চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মেজবাহ উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে উপসচিব হিসেবে যোগদান করেছেন। গত ২৯ জুন পাঠানো ডিসির চিঠিতে বলা হয়, ‘ডিসিকে না জানিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে র*্যাবের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত না করে এবং কোনো ধরনের সাক্ষাৎ ও পরামর্শ ছাড়াই চালানো হয় এসব অভিযান। এ ছাড়া অভিযানের বেশির ভাগই রাত অবধি পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্তের সামর্থ্যরে বাইরে শাস্তি দেয়া হচ্ছে, যা মোবাইল কোর্টের মূল চেতনার পরিপন্থী।’ অভিযোগে আরো বলা হয়, ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ও বিচারিক ক্ষমতাবহির্ভূত শাস্তি প্রদানের ফলে শাস্তিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংশোধনের সুযোগও থাকছে না। এর ফলে সাধারণ মানুষের মনে মোবাইল কোর্ট-ভীতি সৃষ্টি করছে।’
            চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘র*্যাবে পদায়িত ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জরিমানার বিপরীতে ১০ পয়েন্ট করে অর্জিত হয় মর্মে জানা যায়। পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বাস্তবতা-বিবর্জিতভাবে জরিমানা করা হচ্ছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে সিলগালা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম শহরে র*্যাবের মোবাইল কোর্ট আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি জানান, কয়েকটি অভিজাত হোটেলে র*্যাবের অভিযানে জন-অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে জেলা প্রশাসন কর্র্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।’ জনস্বার্থ উপেক্ষা করে র*্যাবের স্বার্থ রক্ষার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে চিঠিতে সরওয়ার আলমকে র*্যাব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিসি মেজবাহ উদ্দিন। এ প্রসঙ্গে র*্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, নিয়ম মেনেই র*্যাবের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অপর দিকে চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, আইন অনুযায়ী কোনো জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পূর্বশর্ত হচ্ছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সাক্ষাৎ করে অনুমতি নেবেন। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একবারও সে নিয়ম মানেননি। তাকেও কিছু জানানো হয়নি। এ নিয়ে এখন নানাভাবে পানি ঘোলা করার চেষ্টা চলছে।
            এ দিকে র*্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ তার সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাকর যে, যেকোনো সময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এতে বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যরা র*্যাবের পরিচয় জানার পরও তার সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রেই মারধর করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরা র*্যাব সদস্যদের লাঠি ও রাইফেল দিয়ে পিটিয়েছে। বেনজীর আহমেদ এ রকম একটি চিঠি সিনিয়র হোম সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক খানকে পাঠিয়েছেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর।
            বেনজীর আহমেদ নিজেও একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তার চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করেছেন যে, র*্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন পুলিশবাহিনীর অধীনস্থ একটি স্বাধীন এলিট ফোর্স। এখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আর গঠন করার পর থেকেই জঙ্গি তৎপরতা রোধ, সশস্ত্র অপরাধীদের আটক, মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন র*্যাব ক্যাম্প থেকে অপারেশন চালানোর জন্য বা গোয়েন্দা তৎপরতার জন্য পোশাক পরে কিংবা সাদা পোশাকে অস্ত্রসহ বা অস্ত্র ছাড়া সরকারি গাড়িতে করে তারা দায়িত্ব পালন করে।
            চিঠিতে বেনজীর আহমেদ উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অপারেশন চালানোর সময় বা সরকারি কাজকর্ম করার সময় র*্যাব সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য এবং শারীরিক মারধরের শিকার হচ্ছে। এসব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, র*্যাব সদস্যদের পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশবাহিনীর সদস্যরা এ ধরনের আচরণ করছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই র*্যাব সদস্যরা অপরিসীম ধৈর্য, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার কারণে শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। কিন্তু এখন র*্যাব সদস্যদের এমন ধারণা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। বারবার এ ব্যাপারে তাগিদ দিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এটা খুবই মনোবল ভেঙে দেয়ার মতো ঘটনা। যাতে র*্যাবের অপারেশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যদি আরো ঘটে, তাহলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এবং তাতে পুলিশ এমনকি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
            এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, এটা পুলিশ ও র*্যাবের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে র*্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই র*্যাব ও পুলিশের মধ্যে কিছু দ্বন্দ্ব চলে আসছে। যদিও তা খুব বেশি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়নি। অপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, র*্যাব যেহেতু পুলিশের অধীনস্থ একটি বাহিনী, সে হিসেবে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে না জানিয়ে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলকে জানানো উচিত ছিল। এ ব্যাপারে র*্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ২৬ সেপ্টেম্বরের একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। সেদিন র*্যাবের যোগাযোগ শাখার দু’জন সদস্য সিরাজগঞ্জ গিয়েছিলেন। তারা কাজ শেষে একটি মাইক্রোবাসে করে ফিরছিলেন। টাঙ্গাইলের কাছে রোড এক্সিডেন্টের ফলে তারা প্রচণ্ড যানজটে আটকা পড়েন। সে সময় অন্য যানবাহনকে ওভারটেক করে যখন র*্যাব সদস্যরা আসছিলেন, তখন একজন পুলিশ সদস্য মাইক্রোবাসটি থামান। মাইক্রোবাসের ড্রাইভার নিজেকে র*্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেন। কিন্তু পুলিশ সদস্য তাতে কর্ণপাত না করে ড্রাইভারকে টানাহেঁচড়া করে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করেন। ওই পুলিশ সদস্য মাইক্রোবাসটিও আটক করেন। কারণ হিসেবে বলেন, মাইক্রোবাসে র*্যাবের মনোগ্রাম নেই। পরে র*্যাবের টাঙ্গাইল ক্যাম্প থেকে অন্যরা এসে এ দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ ছাড়া গত ৩ আগস্ট র*্যাব-৪ এর দু’জন সদস্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। যখন তারা তোলারবাগে ডেলটা হাসপাতালের সামনে আসেন, তখন একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদের থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চান। র*্যাব সদস্যরা তাদের পরিচয়পত্র দেখান এবং বলেন, গাড়ির কাগজপত্র ব্যাটালিয়নে রয়েছে। কিন্তু সার্জেন্ট মোটরসাইকেলটি আটক করে সেখানে রেখে নিজে অন্য কোথাও চলে যান। পরে র*্যাবের একজন সিনিয়র এএসপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সার্জেন্টের সাথে যোগাযোগ করে তাকে দেখা করতে বলেন। কিন্তু সার্জেন্ট সেখানে আর ফিরে আসেননি। র*্যাবের সিনিয়র এএসপি ওই দু’জন সদস্য ও মোটরসাইকেলসহ ফিরে আসেন। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে ওই ঘটনার জন্য র*্যাবের কাছেই কৈফিয়ত চাওয়া হয়। বেনজীর আহমেদ একে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন।
            এ ছাড়া গত ১৩ এপ্রিল র*্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার যিনি একজন মেজরও বটে, রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা ডিউটি পালন করছিলেন। র*্যাবের একজন কনস্টেবল সংশ্লিষ্ট মেজরকে জানান, একজন পুলিশ কর্মকর্তা রমনা রেস্তোরাঁর পার্কিং এলাকা থেকে র*্যাবের সব গাড়ি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। মেজর তখন কনস্টেবলকে অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর যানবাহনের সাথে র*্যাবের যানবাহনও রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু দু-তিন মিনিট পরই ওই কনস্টেবল ফোন করে মেজরকে জানান, ডিএমপি ডেপুটি কমিশনার তাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালিগালাজ করছেন এবং গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে বলছেন। ডিসি তখন মেজরের গাড়ির ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেন, এই গাড়ি কার? ড্রাইভার এটি মেজরের গাড়ি জানালে ডিসি বলেন, ‘র*্যাবের মেজর, লে. কর্নেল সবাই চোর।’ মেজর এগিয়ে শুনতে পান ওই ডিসি গাড়ির ড্রাইভারকে বিশেষ প্রাণীর বাচ্চা বলে গালি দিচ্ছেন। সে সময় মেজর ডিসিকে বলেন, ঠিক আছে র*্যাবের গাড়ি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তখন পুলিশ অফিসার মেজরকে বলেন, ‘আমি আপনার সাথে কথা বলছি না।’
            র*্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের আশঙ্কা সত্য হোক, এটা আমরা চাই না। সে রকম পরিস্থিতি সত্যি সত্যিই ক্ষতিকর রূপ নিতে পারে, যা নাগরিকদের জন্য দুঃসংবাদ।

            http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/160012

            Comment

            Working...
            X