Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি সমসায়িক যুগান্তকারী প্রবন্ধ ||সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বনাম জিহাদ - মুজাহিদ আবু ইয়াহইü

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি সমসায়িক যুগান্তকারী প্রবন্ধ ||সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বনাম জিহাদ - মুজাহিদ আবু ইয়াহইü

    বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
    পরম করুণাময় ও অসিম দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি-

    একটি সমসাময়িক যুগান্তকারী প্রবন্ধ

    সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বনাম জিহাদ
    লেখক
    মুজাহিদ আবু ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ






    472.7KB
    word

    https://archive.org/details/SontrasOJongibaBonaJihad
    http://www.mediafire.com/file/yok2pm...ona+jihad.docx
    http://pc.cd/dBJotalK
    http://up.top4top.net/downloadf-296nmmeo1-docx.html
    http://www.almlf.com/i9aljgsq67az.html

    317.1KB
    pdf

    https://archive.org/details/SontrasO...naJihad_201610
    http://www.mediafire.com/file/y6jl8h...bona+jihad.pdf
    http://pc.cd/MlortalK
    http://up.top4top.net/downloadf-296z9ny41-pdf.html
    http://www.almlf.com/wwfgalevyt5m.html


    প্রকাশনা ও পরিবেশনা



    প্রকাশকাল
    ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ইংরেজি
    ----------------------------------------------------
    ওয়ার্ডপ্রেস
    https://usamamediaweb.wordpress.com

    ফেসবুক
    https://www.facebook.com/USAMAMEDIA/

    টুইটার
    https://twitter.com/usama_media

    আপনাদের নেক দুয়ায় আমাদের ভুলবেন না!
    Last edited by usama media team; 10-23-2016, 10:09 PM.
    শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত......

  • #2
    একটি সমসাময়িক যুগান্তকারী প্রবন্ধ
    সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বনাম জিহাদ

    লেখক
    মুজাহিদ আবু ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ


    সর্বোচ্চ প্রশংসা সেই আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তাআলার যিনি আমাদের ঈমানের মত নেয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন এবং আমাদের জন্য, সর্বোত্তম কিতাব, সর্বোচ্চ সম্মানিত রাসূল এবং সর্বোত্তম শরীয়াত বা বিধিবিধান প্রেরণ করেছেন! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক এবং তাঁর কোন শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তাঁর এবং তাঁর পবিত্র পরিবারের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আরো বর্ষিত হোক পবিত্র ও উত্তম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সাহাবা আজমাঈন রাঃ এবং তাবিঈন ও তাবে তাবিঈনদের উপর। আম্মাবাদ

    সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বনাম জিহাদ

    জঙ্গি বলতে কি বুঝ?/জঙ্গিবাদ কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যে এখন আর গুগল এ সার্চ দিতে হয় না!! আবাল, বৃদ্ধ বণিতা সকলের কাছেই বর্তমানে এই শব্দগুলো তার নিজের মতই পরিচিত!!! সবার মুখে মুখে আজ এই একটি বিষয়। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে মধ্য প্রাচ্য, পূর্ব-পশ্চিম সকল দেশে সকল অঞ্চলে এই ইস্যুটি পৌঁছে গেছে। বিশ্ব মিডিয়া জঙ্গিবাদ/সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে যা বলছে তাকে যদি সংজ্ঞায় ফেলা হয় তবে এর সারমর্ম এই হবে যে, “ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিছু ব্যক্তি(?) তাদের স্ব স্ব স্বার্থ হাসিল করার উদ্দ্যেশে কিছু সংখ্যক (?) উঠতি বয়সের যুবক দিয়ে যারা এডভেঞ্চার ও হতাশা থেকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করছে”। এই হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের মিডিয়ার প্রচার। আসলেই কি তাই? এটাই কি সত্যি? বাস্তবতা কি এটাই? আসুন! জানুন!, বুঝুন!...........................!!!!!!!!!!!! !!!

    জঙ্গিবাদ শব্দটির উৎপত্তি আজকের নয়। বরং বহু যুগ আগেই এর প্রচলন ঘটেছে। জঙ্গিবাদ এর সংজ্ঞায় যেটি বলা হল তার মাঝে দুটি বিষয় উল্লেখযোগ্য,
    ১। ধর্মের অপব্যাখ্যা।
    ২। ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা।

    সুতরাং, এটি স্পষ্ট যে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ তুমি যাই বল না কেন এটি (***সময়টা ভুলে গেছি, এখানে খৃষ্টান পাদ্রীদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ হয়েছিলো সেই সময়টা আসবে) থেকে সরাসরি ধর্মের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এরও পরবর্তীতে এটিকে আবার একটি নির্দিষ্ট একটি ধর্মের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে!! আর সেই ধর্মটি হল ইসলাম!! সুতরাং, কোন খৃষ্টান, হিন্দু, ইহুদী বা বৌদ্ধ ধর্মের নামে কাউকে হত্যা করলে যেমনটি হত্যা করা হয়েছে ধর্মের নামে ভারত এর গুজরাটে মুসলমানদেরকে পাইকারি হারে, যেমনটি হয়েছে ধর্মের নামে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা যার রেশ এখনও শেষ হয়নি, যেমনটি এখনও হচ্ছে ফিলিস্তিনে এর বিষফোঁড়া “ইসরাইল” নামক জায়গায় ধর্মের নামে ইহুদীরা সকল প্রকার বিধিনিষেধ, নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে গনহারে হত্যা করে যাচ্ছে!! এছাড়াও, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মধ্য প্রাচ্যে গণতান্ত্রিক ধর্মের অনুসারীরা কি অত্যাচার, ধ্বংস আর হত্যার খেলা খেলেছে এখনও খেলে যাচ্ছে তার হিসাব সবার জানা আছে!! আর সমাজতান্ত্রিক ধর্মের প্রবর্তক কার্ল মার্কস ও তার যোগ্য সেনাপতি লেনিন তার অনুসারীদের নিয়ে রাশিয়া, চীন, সহ এশিয়াতে কি দানবীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাও নিশ্চয় কারও অজানা থাকার কথা নয়!! হায়! কিছু মানুষ যেন চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতেও বন্ধ!! যাই হোক মুল প্রসঙ্গে আসি, বলছিলাম এখন জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ কে তারা শুধুমাত্র ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছে!!! এখন শুধুমাত্র ইসলাম এর সাথে জড়িত হত্যা বা কোন কর্মকাণ্ডকেই মিডিয়া জঙ্গি কর্মকাণ্ড হিসেবে তুলে ধরছে। এখন প্রশ্ন হল, ইসলাম কি এই কর্মকাণ্ডগুলোকে সমর্থন করে?? এগুলো কি সত্যিই ইসলামসম্মত? আমি আলোচনা করে যাচ্ছি, উত্তর ইনশাল্লাহ পাঠকবৃন্দই দিতে পারবে!!!

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদঃ
    আমরা বাংলাদেশ থেকে ঘটনা বিশ্লেষণের যাত্রা শুরু করি, দেখা যাক কোথায় গিয়ে এই যাত্রা শেষ হয়!! জঙ্গিবাদ নিয়ে সাম্প্রতিক যে আলোচনা শুরু হয়েছে তার সুচনা হয় ২০১৩ সালে ব্লগার রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের মধ্য থেকে। সেই ঘটনা থেকেই শুরু, যার শেষ হয়নি আজ অবধি। এই ব্লগার রাজিবকে যে অপরাধের কারনে হত্যা করা হয় তা হচ্ছে সে ইসলাম এবং মুসলমানদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি এবং কটূক্তিমূলক কথা বার্তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। রাজিব হায়দারকে হত্যার পর ২০১৫ সাল অবধি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৫ জন ব্লগার কে হত্যা করা হয় ঠিক একই কায়দায়, একই কারনে যারা সবাই ছিল রাজিব এর মতই উগ্রপন্থী ব্লগার। আর এই ধরনের উগ্রপন্থী ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই মুলত বাংলাদেশে “জঙ্গিবাদ” ইস্যুটি বাংলাদেশের প্রধান ইস্যু হয়ে দাড়ায়। এবং স্বাভাবিকভাবেই সকলের মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তোলে, যারা এই ধরনের হত্যাকাণ্ড জিহাদের নামে করছে সেটা কি সত্যিই জিহাদের অন্তর্ভুক্ত? বর্তমান অবস্থায় এই উত্তর জানা খুবই জরুরী। তো চলুন আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করি......

    যেসব ব্লগারদের কয়েক বৎসর যাবত হত্যা করে আসা হচ্ছে , তারা সকলেই অনেকদিন ধরেই আল্লাহ্* এবং আল্লাহ্* রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার দ্বীনকে নিয়ে শুধুমাত্র কুৎসাই রটায় নি, সাথে সাথে আরও কত অপবাদ যে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আর ইসলামী শরীয়ানুযায়ী যারা দ্বীনে ইসলামের ব্যাপারে এই ধরনের বিরুদ্ধাচরন করবে, তারা সরাসরি মুরতাদ হয়ে যায়। কেউ যদি আল্লাহ্* এবং তার রসূল মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কোনরুপ ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করে, তবে সেই ব্যাক্তি সাথে সাথে মুরতাদ হিসেবে গণ্য হবে। আর একজন আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে একজন প্রকৃত মুসলিমের দায়িত্ব হল তাকে সাথে সাথে মৃত্যুদণ্ড দেয়া। এই শাস্তি প্রদান করার দায়িত্ব প্রথমে বর্তায় রাষ্ট্রের উপর। যাদের আইন প্রয়োগ করার দায়িত্ব জনগন কর্তৃক দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র যদি এই ব্যাপারে কোনরূপ ব্যাবস্থা না নেয়, তখন আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে যে কোন মুসলিম কোন হক্কানি উলামায়ে কেরামের অনুমতি সাপেক্ষে এই ধরনের মুরতাদকে হত্যা করতে পারবে। এটাই আহলে হক ওয়াল জামাতের ফতোয়া এবং মতামত। তাকে ছেড়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই!! এই ব্যাপারে ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন, “ যদি কোন ব্যাক্তি রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটূক্তি করার মাধ্যমে মুরতাদ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সে তার ভুল বুঝে তওবাও করে,তবুও তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হবে!!! তাকে ক্ষমা করার অধিকার আমাদের নেই, আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে, তার মৃত্যুর পর আল্লাহ্* যদি চান তো সে ক্ষমা পাবে অথবা তাকে শাস্তি দিবেন, এটি একান্তই আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে”। এই ফতোয়ার ব্যাপারে এখতেলাফ থাকলেও উল্লেখ্যযোগ্য উলামায়ে কেরাম এই ফতোয়ার পক্ষে একমত প্রকাশ করেছেন। এবার চলুন আমরা সীরাতে খুজে দেখি রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জমানায় এই ধরনের ব্যাক্তিদের সাথে তিনি কিরুপ আচরন করেছেন.........

    রসূল মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জমানায়ও কিছু এই ব্যাক্তি ছিল যারা তাকে নিয়ে এইরূপই কুৎসা রটাত যা আজকের এই ব্লগাররা রটাচ্ছে। তদের মধ্যে অন্যতম ছিল ইহুদী সরদার কাব বিন আশরাফ। যার ব্যাপারে হুজুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরুক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, “ কে আছ যে কাব বিন আশরাফের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবে? কেননা সে আল্লাহ্* ও তার রসূলকে কষ্ট দিচ্ছে”!! তার ডাকে সাড়া দিয়ে একজন আনসার সাহাবী মুহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কাবকে হত্যার আগ্রহ প্রকাশ করে রসূল এর অনুমতি চান, এবং তিনি সেই সাহাবীকে অনুমতি প্রদান করেন। তারপর সেই সাহাবী সেই কাব বিন আশরাফকে হত্যা করেন, যার পূর্ণ সমর্থন ছিল রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর!! এই হত্যাকাণ্ড উৎসাহিত করে আরেক সাহাবীকে, যিনি ছিলেন খাযযাজ গোত্রের। তার নাম আব্দুল্লাহ বিন আতিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি আরেক কটূক্তিকারী আবু রাফেকে হত্যা করার অনুমতি চান এবং রসূল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকেও অনুমতি দিলেন। এছাড়াও আল হুয়াইরিদ বিন লুকাইদ কে একই কারণে হত্যা করলেন আলি ইবনে আবে তালিব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ সকল মুরতাদদেরই সাহাবীরা গুপ্তহত্তা করে পৃথিবীতেই তাদের রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননার শাস্তি প্রদান করেন। এরপর রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা বিজয় করলেন, তখন তিনি সকলকে ক্ষমা করে দিলেন এমনকি মুশরিকদের জন্যে মসজিদে নববীতে হিদায়াতের দোয়াও করলেন, কিন্তু এক শ্রেণী কে তিনি ক্ষমা করলেন না, এমনকি কঠিন ও স্পষ্ট কণ্ঠে ঘোষণা করলেন যে, “ এরা যদি কাবার গিলাফ ধরেও ঝুলে থাকে তবে তাকে সেখানেই হত্যা করবে”। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আবু খাতাল সহ তার দুই দাসীকে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ হত্যা করলেন!! এরা সেই শ্রেণী যারা আল্লাহ্* ও আল্লাহর রসুলের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিত!!! তারা এতোটাই ঘৃণিত শ্রেণী যে রহমাতাল্লিল আলামিনও তাদের ক্ষমা করেননি। এমনকি এই অপরাধ যদি কোন মহিলাও করে থাকে তাহলেও শাস্তির কোন হেরফের হবে না। যার উদাহরনই হচ্ছে আবু খাতালের দুই দাসী এর হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার ব্যাপারে ইবনে তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই ঘটনাই প্রমান করে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা একটি বিরাট অপরাধ!! এই ঘটনাটি একটি পরিষ্কার ও মজবুত প্রমান”।

    এবার পাঠকবৃন্দ, চিন্তা করার সময় এসে গেছে!!! এখন ভাই তুমিই বল, যেখানে রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোদ নিজে এই শ্রেণীর ব্যাপারে হত্যার পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং এতে উৎসাহ প্রদান করেছেন এবং হক্কানি উলামায়ে কেরাম দ্বারা স্বীকৃত তার মানে এই বিধান রহিত হয়ে যায়নি, তাহলে এদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মানতে আর প্রয়োগ করতে বাধা রইল কোথায়?? কেন এই ব্যাপারে আর কোন বিভ্রান্তি থাকবে?? কোন দেশের আইন যদি তাদের মৃত্যুদণ্ড না দেয় তাহলে সে সরাসরি আল্লাহর রসুলের বিধানকে বাদ দিল না?? আর কেউ যদি এই অপরাধের শাস্তি না দিয়ে এর পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে তার কি আর ঈমান থাকতে পারে??? না ভাই, এই ধরনের মনোভাব আর ঈমান একসাথে থাকতে পারে না!!! আর যারা এই ধরনের ঘৃণিত বল্গারদের হত্যা করেছে তারা তো সেই আনসার, যারা শাতিমদের হত্যা করে রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শান্তি দিয়েছিল!!! তাই, এটা যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জিহাদেরই অন্তর্ভুক্ত, তাতে কি আর কোন সন্দেহ আছে?????

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদঃ
    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি বুঝা আরও সহজ। আজকে সকল মুসলিম রাষ্ট্রে কুফফারা কিরুপ তাণ্ডব আর ধ্বংসের শেষ সীমানায় নিয়ে গেছে তা সবাই প্রত্যক্ষ করছে!! এমন কোন দিন নেই যেদিন মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর বাসিন্দারা এক বেলা শান্তিতে নিজ স্থানে বসবাস করতে পারে!!! প্রতিদিন বোমা, গুলি, বিমান হামলা, রকেট হামলা কি হচ্ছে না ওখানে??? যাকে পারে যেভাবে পারে সেভাবেই হত্যা, কখনো একক, কখনও পাইকারি হারে মুসলিম দেশগুলোতে, সিরিয়ার মত ভূখণ্ড যেটি কিনা নবীদের ভূখণ্ড, তাতে প্রতিদিন কি পরিমাণ মুসলিম নিহত হচ্ছে!!!!! একবার চিন্তা কর তো তোমার সাথে যদি এই ব্যবহার হয় তবে তুমি কি করতে? নিজেকে রক্ষার জন্যে অস্ত্র তুলে নিতে নাকি চুপচাপ বসে এবাদত বন্দেগী করতে??? কি করতে তখন তুমি, যখন তোমার মা-বোনকে ঠিক তোমারই সামনে সৈন্যরা কাপড় খুলে ইজ্জতহানি করার জন্যে উদ্যত হবে?? তুমি কি ওই সৈন্যেকে মারার জন্যে হামলে পরবে, নাকি হাত তুলে “ইসলাম শান্তির ধর্ম” বলে নিজেকে গুটিয়ে রাখবে!!! কোন ছেলের পক্ষে সম্ভব তার চোখের সামনে তার মাকে কেউ নির্যাতন করলে তা দাড়িয়ে দাড়িয়ে চুপচাপ সহ্য করবে? কোন ভাইয়ের পক্ষে সম্ভব তার চোখের সামনে তার বোনকে কেউ নির্যাতন করলে তা দাড়িয়ে দাড়িয়ে চুপচাপ সহ্য করবে? সম্ভব, যদি সেই ছেলে বা ভাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়!!! তাই, আজকে সারা বিশ্বে যেসব ছেলেরা ও ভাইয়েরা অস্ত্র হাতে তুলে ধরেছে তাদের মা বোনদের রক্ষার উদ্দেশ্যে, তাদেরকেই কেউ জঙ্গি বলছে আর এদের ব্যাপারে খারাপ বলছে আর তুমিও তাদের সাথে গলায় সুর মিলিয়ে মুসলমান হয়ে একই কথা বলছ???? একবারও কি ভাবলে না যে কে তাদেরকে জঙ্গি বলছে, কেন বলছে, যে বলছে সে কে?? কি তার পরিচয়??...... আল্লাহ সবাইকে উত্তম বুঝ দান করুন। আমীন।

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেতো আমাদের অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া ফরয হয়ে গিয়েছে সেই সময় থেকেই যে সময় থেকে মুসলিমরা তাদের শেষ খিলাফা হারাল ১৯২৪ সালে ইতিহাসের নিকৃষ্ট মুরতাদ মুস্তফা কামালের হাতে!!! সেই ১৯২৪ সাল থেকেই তো আমাদের সকলের জন্যে জিহাদ ফরয হয়ে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে এই ফরজের কাফফারা আদায় করেছিলেন আফগানিস্থানে ইমারত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমিরুল মুজাহিদীন মোল্লা উমর রহিমাহুল্লাহ!! ১৯৯৬ সালে এই প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি সকল মুসলিমদের পক্ষ থেকে এই পবিত্র ফরয দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু, ২০০১ সালে যখন কুফফাদের ষড়যন্ত্রে ও আক্রমণে এই ইমারতও ধ্বংস হয়ে যায়, তখন থেকে আবারো সকল মুসলিমদের জন্যে এই ইমারত ও খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা ফরযে আইন হয়ে যায়। যার দলীল হিসেবে বলা যায় “তোমাদের জন্যে হত্যাকে ফরয করা হলো” এই আয়াতের মাধ্যমে। এই আয়াতের ব্যাখ্যার মাধ্যমে হক্কানি উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মতি মূলক ফতোয়া এই যে, “ যদি কোন ইসলামি রাষ্ট্র কোন কুফফার বা এদের রাষ্ট্র দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে সেই ইসলামী দেশের পার্শ্ববর্তী দেশের উপর ওই দেশের ইমারত ও খিলাফত রক্ষার উদ্দেশে আক্রমন করা ফরযে আইন হয়ে যায়, আর এই দায়িত্ব যদি ওই দেশ পালন না করে, তবে এর পার্শ্ববর্তী দেশের উপর এই দায়িত্ব পৌঁছে, এভাবে সারা বিশ্বের মুসলমানদের উপর এই দায়িত্ব ফরযে আইন হয়ে যায়!!! তাই, আজ সারা বিশ্বে যেসকল মুসলিমরা সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, এবং মিডিয়া যে কর্মকাণ্ডকে “জঙ্গিবাদ” বলছে তা অবশ্যই ইসলাম সম্মত এবং জিহাদের অন্তর্ভুক্ত।

    তাহলে কেন “জঙ্গিবাদ” এর অপবাদ??
    এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে জানতে হবে এই “জঙ্গি” শব্দটার অর্থ কি? “জঙ্গ” শব্দ থেকে “জঙ্গি” শব্দটি এসেছে, আর “জঙ্গ” শব্দের অর্থ হল যুদ্ধ আর যারা যুদ্ধ করে তাদেরকেই “জঙ্গি” বলা হয়!! সুতরাং, বুঝতেই পারছেন যে শব্দটি কোন নেগেটিভ শব্দ না, বরং মিডিয়ার প্রচারে এটি এখন নেগেটিভ শব্দে পরিনত হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্ন হল, কেন? কেন মিডিয়া এই জিহাদকে “জঙ্গিবাদ” বলে এটিকে খারাপ প্রমান করার চেষ্টা করছে?? বন্ধু, কারন মিডিয়া তোমার চিরশত্রুদের নিয়ন্ত্রণে!! এই মিডিয়াকে এখন তারাই নিয়ন্ত্রণ করে যারা তোমাকে ততক্ষন পর্যন্ত পছন্দ করবে না যতক্ষন না তুমি তাদের মতাবলম্বী হবে!! এই ব্যাপারে আলাহ তায়ালা তার কুরআনুল করীমে বলেছেন, “ইহুদী নাসারা কিছুতেই আপনার ব্যাপারে সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষন না তুমি তাদের ধর্ম অবলম্বন করবেন”। তো, আমাদের সৃষ্টিকর্তা যেখানে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন যে, এরা কখনই আমাদের সন্তুষ্ট হবে না, সেখানে তাদের বন্ধু ভাবার আমাদের আর কি কারন থাকতে পারে?? আর, কোথাও কখনও শুনেছেন যে, শত্রু কখনও তার প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যাপারে ভাল কিছু বলে? আর তারা তো আমাদের সাধারন শত্রু নয়, বরং এরা সরাসরি আমাদের আদর্শিক এবং আমাদের রব কর্তৃক শত্রু!! তো, তারা কিভাবে তারা আমাদের পক্ষে অবস্থান নিবে! কিভাবেই বা নিবে!! আজকে মুসলমানদের কি জানি হয়েছে, আমরা কোন সাহায্য চাইলে চাই এই কুফফাদের কাছেই, আশ্রয়ের প্রয়োজন হলে ছুটে যাই তাদের কাছে, কোন পক্ষে অবস্থান নিলে তাদের অবস্থানে গিয়ে দাড়াই! তাদের দ্বারাই আমরা অত্যাচারিত, কিন্তু এর হাত থেকে রক্ষার জন্যে বাঁচতে চাইলে আমরা আল্লাহর রাস্তায় না গিয়ে তাদের পথে গিয়ে দাড়াই। এটি আমার কাছে এমন লাগে যেন কোন ব্যাক্তি বক্সিং খেলতে রিং এ প্রবেশ করেছে। যথারীতি খেলা শুরু হয়েছে এবং তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী তোমাকে একটা পাঞ্ছ করেছে, আর তুমি চিৎকার করে দর্শকদের কাছে অভিযোগ দিলে এটা ঠিক না!! এই লোকটা আমাকে কেন মারছে!! আমি তো শান্তি চাই!! বন্ধু, সে তোমার শত্রু!! আর তুমি তোমার শত্রুর কাছ থেকে মার ছাড়া আর কি আশা করতে পার?যারা আমাদের দ্বীনের শত্রু, তারা এসেছেই আমাদের দ্বীনকে ক্ষতি করার জন্যে। এদের প্রথম লক্ষ্য থাকে যাতে তুমি তোমার দ্বীন থেকে বের হয়ে যাও, তাতে তারা সমর্থ না হলে ২য় ধাপে তারা চেষ্টা করে তোমার আমলে বিদয়াতসহ শিরকী আমল ঢুকিয়ে দিতে। আর এই প্রচেষ্টাও ব্যার্থ হলে শেষমেশ তারা বলে “তুমি তোমার ধর্ম পালন কর, কিন্তু এর প্রসার কর না।তুমি তোমার নিজের মত এই ধর্ম পালন কর, আমরা কিছু বলব না”। আর এই কথাও যেসব মুমিন না মানে বরং তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে অবদান রাখে, তারাই এই কুফফাদের ভীষণ শত্রু হয়ে দাড়ায়। আর তাদের ব্যাপারেই যত অপবাদ আর নির্যাতন নেমে আসে। আর যারা তাদের সাথে আপোষ করে তাদের সুরে সুর মিলিয়ে বলে “ ইসলাম শান্তির ধর্ম, তাই এখানে সব শান্তিতে চলেবে কোন মারামারি, হানাহানি চলবে না” তাদের কথা শুনে মনে হয় ইসলামের শান্তি তারা তাদের পকেটের টাকায় কিনে ফেরি করে করে বেড়াচ্ছে!! হ্যাঁ, ইসলাম অবশ্যই শান্তির ধর্ম। কেননা, ইসলাম শুধুমাত্র নিজেই শান্তির কথা চিন্তা করে না, বরং সকলের জন্যে যেটা ভাল হবে, সেটার ব্যাবস্থাই ইসলাম করে। আর তা করতে গিয়ে যদি আবর্জনা দূর করার প্রয়োজন পরে, তবে তাও ইসলাম কঠোর ব্যাবস্থার মাধ্যমে করে!! আর এই জন্যেই ইসলাম শান্তির ধর্ম!!তাই, আমাদের এই ব্যাপারটা ভাল ভাবে বুঝতে হবে যে যারা আমাদের কওমি শত্রু তারা কখনই আমাদের ব্যাপারে ভাল কিছু প্রচার করবে না। আর বর্তমানে বিশ্বের সকল মিডিয়া তাদের নিয়ন্ত্রণে তাই এটাই কি স্বাভাবিক না যে তারা আমাদের ভাল কাজগুলোকে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করবে? আমাদের উচিত কোন খবর আসে তাকে ভালরুপে যাচাই করা, হাদিসেও এই ব্যাপারে নির্দেশনা এসেছে। হাদিসে আছে, যখন তোমাদের কাছে বিধর্মী কাছ থেকে কোন খবর আসে তা তোমরা ভালরুপে যাচাই করে নাও, যাতে পরবর্তীতে এর জন্যে তোমাদের অনুতাপ করতে না হয়(***হাদিসটি ভালরুপে মনে নেই। হাদিসটির রেফারেন্স ও ভুলে গেছি)।। আর কিভাবে দিক নির্দেশনা দেয়া যায়!! কোরআনে, হাদিসে সব জায়গায় এদের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। আর কি চাই?? তাই, এই কুফফাদের মিডিয়ার কথায় আমাদের বিভ্রান্ত না হয়ে আগে আমাদের সকল কাজ কোরআন ও হাদিস দ্বারা বিচার করতে হবে যে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। আমাদের ভাল মন্দের মাপকাঠি রাখতে হবে ইসলামকে, অন্য কিছু নয়।

    পরিশেষেঃ

    হুজুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় যখন তিনি পাহাড়ে দাড়িয়ে সত্য ধর্মের ঘোষণা দিলেন, তখনও তাকে বিভিন্ন ভাবে অপবাদ দেয়া হয়েছিলো। আমার তো মনে হয়, তিনি এই জমানায় উপস্থিত থাকলে তাকেো “জঙ্গি” বলা হত!! দাজ্জালের ফিত্নার সময় যখন ইমাম মাহদি আসবেন, আপনি নিশ্চিত থাকেন, তাকেও এই একই উপাধি দেয়া হবে!! এতে কোন সন্দেহ নেই!! যেখানে “আলামিন” নামে এই ব্যাক্তিকেই কাফের মুশরিকরা ছেড়ে দেয়নি, তার উম্মত হিসেবে আমাদের ছেড়ে দেয়ারও কোন কারন নেই। তাই, একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের সকল দিক চিন্তা করে এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে ভাল আর কে খারাপ। শেষের কথা বলে বিদায় নিচ্ছি, আমি বলেছিলাম, আলোচনার পরে তুমিই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। এখন শেষ প্রশ্ন করে বিদায় নিচ্ছি, তুমি কি পারবে এই প্রবন্ধে আলোচিত সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে??? আল্লাহ সবাইকে প্রকৃত বুঝ দান করুন। আমিন


    এই লিঙ্কটি অনলাইনে ছড়িয়ে দিন
    https://justpaste.it/zmos
    Last edited by usama media team; 10-23-2016, 10:09 PM.
    শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত......

    Comment

    Working...
    X