Announcement

Collapse
No announcement yet.

আজ দুপুর থেকেই কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাই...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আজ দুপুর থেকেই কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাই...

    আজ দুপুর থেকেই কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাই চিন্তা করলাম এটার একটা সমাধান জানা খুব দরকার।

    সেই চিন্তা থেকেই ভাইদের নিকট কিছু প্রশ্ন, বিশেষ করে আলিম ভাইদের উত্তর কামনা করছি...

    (উত্তরগুলো শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে দিলে ভালো হয়, কৌশলগত দৃষ্টি কোণ থেকে নয়, কারণ যা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ তা কৌশল হিসেবে গ্রহণ করাও বৈধ আর যা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ তা কৌশল হিসেবে গ্রহণ করাও অবৈধ)

    ভুমিকাঃ-

    ধরুন এই ভূমিতে কিতাল শুরু হয়ে গিয়েছে মুরতাদ আওয়ামী এবং এর তাওাগিতবাহিনীদের বিরুদ্ধে।
    এই ভুমির আনসার আল ইসলাম এর মুজাহিদিন ভাইয়েরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে সসস্ত্র লড়াই এ নেমেছে বিএনপি এবং বিএনপিকে সামরিক, আর্থিক সাপোর্ট দিচ্ছে আমেরিকা। যদিও তারা লড়াই করছে আওয়ামী তাগুত এর বিরুদ্ধে কিন্তু তারা তাদের আকিদা পরিবর্তন করেনি, তারা লড়াই করছে একটি গণত্রান্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। তাদের সাথে জামাত-ই-ইসলাম, জাসদ কমিউনিস্ট পার্টি ও যোগ দিয়েছে এবং তারা মিলে একটি জোট গঠন করেছে। এবং এদের মুল উদ্দেশ্য হলো আওয়ামী সরকার কে হটানো।

    এখন আমার প্রশ্নগুলো হলোঃ

    ১. শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে এই অবস্থাতে কি মুজাহিদিন ভাইদের সেই জোট এ যোগদান করা জায়েজ হবে ?

    ২. যদি জায়েজ হয় তবে এখন বর্তমানে জামাত-ই-ইসলামির, বিএনপি এর সাথে জোট বাঁধা জায়েজ হবে না কেন ? (যদিও তারা গনত্রান্তিক পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েম করতে চায় যা সম্পূর্ণ বাতিল ধারণা, তবে আমার প্রশ্ন এটা নয় যে তাদের পদ্ধতি ঠিক কিনা। আমি জানি যে তাদের এই পদ্ধতিটাই হারাম। এখানে আমার প্রশ্ন হলো বর্তমানে বিএনপি'র সাথে জোট বাঁধার বিষয় টা নিয়ে পদ্ধতি নিয়ে নয়)

    ৩. উপরে যে কিতাল চলমান অবস্থার কথা বললাম, সেই অবস্থায় ধরুন আনসার-আল-ইসলাম এর মুজাহিদিন ভাইয়েরা সেই জোট এর সাথে না-জায়েজ ভেবে জোটবদ্ধ হন নি, তারা একক ভাবে আওয়ামী মুরতাদ এর বাহিনীর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় সেই জোট আওয়ামী মুরতাদের পাশাপাশি মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। সেই জোট মুজাহিদিনদের হত্যা করছে এবং মুজাহিদিন রাও তাদের হত্যা করছেন।
    যদিও জামাত-ই-ইসলাম সরাসরি মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না। কিন্তু তাদের সাথে জোটবদ্ধ আছে তখন জামাত-ই-ইসলাম এর প্রতি আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন হবে ? যেহেতু তারা সেই জোটেরই একটা অংশ এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব ও স্থাপন করেছে।

    ৪. আর যদি জামাত-ই-ইসলাম ও সেই জোটের অন্যান্য সদস্যদের মত মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তবে তখন তাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি-ভঙ্গি কেমন হবে ?

    ৫. এই অবস্থাতে ধরুন জামাত-ই-ইসলাম কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে কিন্তু তারা সুযোগ থাকা সর্তেও সেখানে পুরোপুরি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করছে না, এই অবস্থায় আনসার আল ইসলাম এর মুজাহিদীনরা তাদের সাথে যুদ্ধ করে সেই এলাকাগুলো দখল করে যেন তাতে পরিপূর্ণ ভাবে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়। মুজাহিদিনদের এই কাজ কি না-জায়েজ হবে ?

    আপাতত উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে ভালো হতো ভাইয়েরা...

  • #2
    আফগান স্তান আমাদের সামনে উদাহরণ সরুপ

    Comment


    • #3
      Originally posted by mohammod bin maslama View Post
      আফগান স্তান আমাদের সামনে উদাহরণ সরুপ
      হ্যাঁ ভাই, তা তো অবশ্যই তবে আমাকে উত্তরগুলো স্পেসিফিক ভাবে বললে ভালো হতো।
      আসা করি, খোলাসা করে উত্তরগুলো দিবেন ভাই।

      Comment


      • #4
        উমার রাঃকে কেউ একজন কোন বিষয়ে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করেছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন এ বিষয়টা কি ঘটেছে? উত্তর না। তখন তিনি তাকে বললেন যখন ঘটবে তখন আসবে।

        ঠিক তেমনি এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন আলোচনা করা সময়ের অপচয়। যখন এরকম পরিস্থিতি আসবে তখন সম্মানিত উলামায়ে কেরাম সিদ্ধান্ত নিবেন। এবিষয় গুলো নতুন নয়। বিভিন্ন ময়দানে এখন বর্তমান। প্রয়োজন হলে তাদের থেকেও পরামর্শ নেওয়া যাবে।

        সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আল-কায়িদার অবস্থান দেখা যেতে পারে। আল-কায়িদা তাদের মানহাজ পরিবর্তন করেনা করে কৌশল। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

        Comment


        • #5
          ভাই অপেক্ষা করুন। সাহায্য আসবেই মানে আপনার প্রশ্নের উত্তর।

          Comment


          • #6
            Originally posted by mohammod bin maslama View Post
            ভাই অপেক্ষা করুন। সাহায্য আসবেই মানে আপনার প্রশ্নের উত্তর।
            আমীন... অপেক্ষায় রইলাম ভাই ।

            Comment


            • #7
              Abu sinan ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্ন গুলোর আলোকেই আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ম প্রন্থা ঠিক করা জরুরি হয়ে পরেছে। পুলিশ ও আর্মি নয় এই দেশের স্থার্নেসি আম জনতা ও আলেমরাই দ্বীন কায়েমের পথে বড় বাধা। এটা আমার বাস্তব অভিগ্যতা থেকেই বলছি।
              যার থেকে যে সুবিধা নেওয়া য়ায় নীতিতে জনগন তার অবস্থানে থেকেই হয়তো বড়জোর আমাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাবে আর আফছুচ করবে এর বেশি কিছু নয়। তাই জনতার সাপোর্ট পেতে হলে মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রেখে নতুন পলিসি গ্রহন করার সময় হয়েছে।
              আর হয়রত ওমর র: এর মন্তব্য রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে মানানসই হলেও এই উদাহরন সব জায়গায় খাটবেনা। আমিও উপরের প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাৃ।jazakallah

              Comment


              • #8
                জি আখি, সেই পরিস্তিতি আসলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ পথ খুলে দিবেন।...!!!
                كتب عليكم القتال وهو كره لكم

                Comment


                • #9
                  আসসালামু আলাইকুম।
                  ঊসুলুদ্দিন ও উসুলুল ফিকাহ এ শরিয়াতের কিছু মৌলিক উসুল আছে যার উপর ভিত্তি করে হুকুম নির্ধারিত হয়। এর মাঝে কিছু কাজ কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। এর অন্যতম হলো শিরক।
                  গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থার চুক্তির সাথে যুদ্ধ/সাধারন অবস্থার কোন চুক্তির মৌলিক ভিত্তি এক থাকে না।

                  আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করুন।
                  কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

                  Comment

                  Working...
                  X