Announcement

Collapse
No announcement yet.

খুশীর সংবাদ গ্রহণ করুন হে উম্মাহ! গণজাগরণমঞ্চের কর্মী দিয়াজ ইরফানকে নিজ বাসার সিলিংয়&#

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • খুশীর সংবাদ গ্রহণ করুন হে উম্মাহ! গণজাগরণমঞ্চের কর্মী দিয়াজ ইরফানকে নিজ বাসার সিলিংয়&#

    খুশীর সংবাদ গ্রহণ করুন হে উম্মাহ! গণজাগরণমঞ্চের কর্মী দিয়াজ ইরফানকে নিজ বাসার সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে



    আত্মহত্যার কোনও আলামত নেই দিয়াজের শরীরে!
    উদিসা ইসলাম
    ১৪:৫৫, নভেম্বর ২১, ২০১৬
    জানালার বাইরে থেকে তোলা দিয়াজের আত্মহত্যার দৃশ্য




    বারবার দেশের বাইরে চলে যেতে চাওয়া গণজাগরণমঞ্চের কর্মী দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে নিজ বাসার সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়ার পর থেকে তার মৃত্যুর ঘটনাটি সাজানো কিনা সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তার সহযোদ্ধা, স্বজন, এমনকি পুলিশের মধ্যেও। কী করে পরিপাটি অবস্থায় বিছানার ওপর দুই পা রেখে সিলিং এ ঝুলে আত্মহত্যা করা যায় তা নিয়ে নানা সমালোচনাও শুরু হয়েছে।

    তাকে আগেই হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রমাণ স্পষ্ট এমনটা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তাও। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ময়নাতদন্ত নিয়ে কোনও কথা না বলার নির্দেশনা থাকায় আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। তবে তার শরীরের তিন জায়গায় সুস্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর চেয়ে বিস্তারিত বলা এ মুহুর্তে সম্ভব নয়।’

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তার বাম কাঁধে যে আঘাতের চিহ্ন আছে তা মারাত্মক এবং তার হাতের মুষ্টি যেভাবে বদ্ধ করা ছিল তাতে বোঝা যায় দিয়াজ ভীষণ কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। বাকিটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে জানানো হবে।

    দিয়াজ ইরফান (২৭) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। দিয়াজ চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী পক্ষের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দংয়ে। তবে তার চেয়ে বড় পরিচয় তিনি গণজাগরণ মঞ্চে সক্রিয় থেকে বেশ কয়েকবার হুমকিও পেয়েছেন।

    ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী

    গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলয়ের দুই নম্বর ফটকের বাসায় সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানায়।

    ঝুলন্ত এই ছবি বিশ্লেষণ করে অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘এ রকমআত্মহত্যার ঘটনা তারা আগে পর্যবেক্ষণ করেননি। তাই এটি আত্মহত্যা কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনাগুলো সবসময়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দেয় সাধারণ মানুষকে। তবে কেউ সম উচ্চতার কোনও অবস্থানে দাঁড়িয়ে গলায় ফাঁস দিতে পারবে না। এর জন্য তাকে ঝুলতেই হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসুক। তারপরে বিস্তারিত জানাবো।’

    দিয়াজের মরদেহ উদ্ধারের সময় থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তার (দিয়াজ) শারীরিক যে অবস্থা দেখা গেছে তাতে আত্মহত্যার কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি। তাছাড়া পরনে বাইরের পোশাক পরা ছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে বাইরে বা ঘরে খুন করে সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে কেউ। তবে ঘরের দরজা কীভাবে ভেতর থেকে বন্ধ রাখা হলো সে বিষয়েও ধন্দে পড়েছেন তারা।

    প্রবাসে বসবাসরত গণজাগরণ মঞ্চের এক কর্মী নিজেকে দিয়াজের ঘনিষ্ঠ দাবি করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনও একটা সমস্যার মধ্য দিয়ে সে (দিয়াজ) যাচ্ছিল এটা স্পষ্ট। সে একমাস আগেও আমার কাছে দেশ ছাড়ার কথা বলেছিল।

    তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমি দেশছাড়ার কয়েকদিন আগেও তার সঙ্গে একত্রে রাত কাটিয়েছি। আমার কাছের পাঁচজন মানুষের একজন ছিল দিয়াজ। গণজাগরণ চট্টগ্রামের খুব গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিল দিয়াজ।

    ওই প্রবাসী দাবি করেন, ‘এটা ক্লিয়ার মার্ডার।’

    এদিকে, দিয়াজের লাশ উদ্ধারের সময় ঘরের পেছন দিকে একটি মই পাওয়া গেছে। ওই মই বেয়েই আততায়ী ঘরে প্রবেশ করেছে বলে পুলিশের ধারণা।

    উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক ব্লগার নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পর নানাভবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এভাবে একের পর এক কর্মী হারিয়ে শঙ্কা এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রলীগসহ গনজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।

    দিয়াজের ঝুলন্ত ছবিটি সংগ্রহ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তার বন্ধু রাজেশ পল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঝুলন্ত ছবিটি ফেসবুকে দিতে চাইছিলাম না। কিন্তু আত্মহত্যা আত্মহত্যা চেঁচামেচিতে আর সহ্য করতে পারলাম না। খাটের সঙ্গে পা লাগিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা কি কখনোই সম্ভব?’

    তিনি জানান, ‘এটাকে ভিন্নভাবে নেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলেই আমি ছবিটি প্রকাশ করেছি। তবে ছবির সোর্স এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা তার জন্যও বিপদজনক হতে পারে।

    ওই ছবিতে দেখা যায়, ভীষণ শান্তভাবে দিয়াজ সিলিং এ ঝুলে আছে। তার পা দুটো খাটের ওপর। বাইরে যাওয়ার শার্ট প্যান্ট পরিহিত।

    /ইউআই/টিএন/





    ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজকে কি হত্যা করা হয়েছে?
    চট্টগ্রাম ব্যুরো
    ১২:২৬, নভেম্বর ২১, ২০১৬
    দিয়াজ ইরফান চৌধুরী

    কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এ প্রশ্ন এখন তার পরিবার ও দলীয় সহকর্মীদের মুখে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় অবস্থিত বাসভবনের নিজ কক্ষে গতকাল রবিবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন দেখে এ প্রশ্ন জেগেছে দিয়াজের পরিবারসহ বিভিন্ন মহলে।

    সুরতহালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে না চাইলেও তারা মরদেহের শরীরের যে বর্ণনা দিয়েছেন এবং দিয়াজের ঘরের যে চিত্র দেখা গেছে তাতে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছেন তার পরিবার সদস্যসহ অনেকেই। তবে ঘর ভেতর থেকে বন্ধ রাখার ঘটনাও ভাবিয়ে তুলেছে তাদের। বিষয়টি নিয়ে ঘটনার পর থেকেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

    এদিকে আজ সোমবার সকালে দিয়াজের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে তার মরদেহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেছে তার অনুগত ছাত্রলীগ নেতারা। এদিকে আজ সকালে দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে শহরের পাঁচলাইশ থানার প্রবর্তক মোড় অবরোধ করে দিয়াজের অনুগত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে টানা তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

    এদিকে, দিয়াজের মরদেহ উদ্ধারের পরপরই রবিবার রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নূরেআলম মিনা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দিয়াজের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় পেয়েছেন তিনি। পরে সবার উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    এসপি নূরেআলম মিনা আরও জানান, তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজকে দেখতে পান। এর পরপরই সিআইডির ফরেনসিক টিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়। তারা আলামত সংগ্রহ করেছেন। তিনি মরদেহের শরীরের গলা ও হাতে দাগ দেখতে পেয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, আজ মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে । ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বোঝা যাবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা।

    তবে এ ঘটনার তদন্তকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং পুরো বিষয়টি যাতে নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করা হয় সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

    এদিকে, গত রাতেই দিয়াজের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন হাটহাজারী থানার ইউএনও আফসানা বিলকিস। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গতকাল রাতে (রবিবার) ছাত্রদের দাবির মুখে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও পরিবারের উপস্থিতিতে দিয়াজের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেছেন।

    তিনি জানান, দিয়াজের শরীরের তিন জায়গায় জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।এর মধ্যে গলায় কালচে দাগ, দুই হাতের কুনই থেকে নিচ পর্যন্ত লালচে দাগ, ও বাম পায়ের নিচে আঁচড়ের দাগ ছিল।

    তিনি আরও জানান, সুরতহালের সময় দিয়াজের ঘর ছিল অগোছালো। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

    এদিকে, দিয়াজের পরিবার দাবি করেছে আত্মহত্যা করেননি দিয়াজ, তাকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে।

    এমনকি দিয়াজের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিয়াজের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থার যে ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেছে সেটিতে দেখা যায় পরিপাটি বিছানায় বালিশের ওপর দাঁড়ানো দিয়াজ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। তাই, তার ঘর গোছালো ছিল না এ যুক্তিও মানতে রাজি নন দিয়াজের পরিবার সদস্যরা।

    গণমাধ্যমের কাছে দিয়াজের মামা রাশেদ আমিন চৌধুরী ও তার এক বোন দাবি করেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত দাবি করে এ ঘটনার পেছনে দলীয় কোন্দলকেই ইঙ্গিত করেছেন তারা।

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি তাইফুল হক ও তপুকে দুষ্কৃতকারীরা কুপিয়ে আহত করার পরে এ ঘটনার জন্য সংগঠনের একাংশ দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ও আরেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মামুনের বাসায় ভাঙচুর চালায়। ওই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দিয়াজের বাবা-মাসহ পরিবার সদস্যরা রাতে বাসায় থাকতেন না। দিয়াজের পরিবার সদস্যরা বিষয়টি উল্লেখ করে এর সঙ্গে দিয়াজের মৃত্যুর যোগসূত্র আছে কিনা তাও তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

  • #3
    খুশীর সংবাদ গ্রহণ করুন হে উম্মাহ!

    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

    Comment


    • #4
      আলহামদুলিল্লাহ! ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!
      যিনি এমন সুসংবাদ শুনিয়েছেন, মহান আল্লাহ্* তাঁর নেক তামান্নাগুলো কবুল করুন।
      سبيلنا سبيلنا الجهاد الجهاد
      طريقنا طريقنا الجهاد الجهاد

      Comment


      • #5
        আলহামদুলিল্লাহিল্লাঝ্বি নাছ্বরা আবদাহু ওয়া,আ আজ্জাদিনাহ। আল্লার রাসূল সা বলেছেন ইসলামের শুত্রুরা মারা এই দোওয়া পড়তে হয়। আর অপেক্ষা করি, দেখি উনি বুল্ড আউট নাকি রান আউট। নাকি সেচ্ছায় অবসর গ্রহন।

        Comment


        • #6
          আল্লাহু আকবার......

          Comment


          • #7
            আল্লাহ আকবার সে কি ভাবে মরছে সেটা সুনলে আনন্দ লাগবে

            Comment


            • #8
              আলহামদু লিল্লাহ!

              Comment


              • #9
                যাজাকাল্লাহ আখি ফিল্লাহ
                আল&#2509

                Comment

                Working...
                X