Announcement

Collapse
No announcement yet.

দরবারিদের যুক্তি খন্ডন - ১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দরবারিদের যুক্তি খন্ডন - ১

    *"‪#‎মুশরিকদের‬ মনে আর একটা সংশয় বদ্ধমূল হয়ে আছে, তা হল এই যে, তারা বলে থাকে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ কলেমা পাঠ করা সত্ত্বেও উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু যাকে হত্যা করেছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই হত্যাকাণ্ডটাকে সমর্থন করেন নি। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীসটিও তারা পেশ করে থাকে যেখানে তিনি বলেছেন, “আমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যে পর্যন্ত না তারা বলে (মুখে উচ্চারণ করে) “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।” তদ্রূপ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর উচ্চারণকারীদের হত্যা না করা সম্বন্ধে আরও অনেক হাদীস তারা তাদের মতের সমর্থনে পেশ করে থাকে।

    এই ‪#‎মূর্খদের‬ এসব প্রমাণ পেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, যারা মুখে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ উচ্চারণ করবে, তারা যা ইচ্ছা তাই করুক, তাদেরকে কাফের বলা যাবে না, হত্যাও করা যাবে না। এ-সব জাহেল মুশরিকদের বলে দিতে হবে যে, একথা সর্বজনবিদিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং তাদেরকে কয়েদ করেছেন যদিও তারা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলত।
    আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ বানু হানীফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন যদিও তারা সাক্ষ্য দিয়েছিল যে, ‘আল্লাহ ছাড়া নেই কোনো ইলাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল; তারা ‪#‎নামাযও_পড়তো‬ এবং ইসলামেরও দাবী করত। ঐ একই অবস্থা তাদের সম্বন্ধেও প্রযোজ্য যাদেরকে ‘আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া ঐ সব (বর্তমান কালে যারা শির্ক করে সে-সব) জাহেলরা স্বীকার করে যে, যারা পুনরুত্থানকে অস্বীকার করে তারা কাফের হয়ে যায় এবং হত্যারও যোগ্য হয়ে যায়— তারা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা সত্বেও।

    **অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি ইসলামের রুকনসমূহের যে কোনো একটিকে অস্বীকার করে, সেও কাফের হয়ে যায় এবং সে হত্যার যোগ্য হয় যদিও সে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে”। তা হলে ইসলামের একটি শাখা অঙ্গ অস্বীকার করার কারণে যদি তার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর উচ্চারণ তার কোনো উপকারে না আসে, তবে রাসূলগণের দ্বীনের মূল ভিত্তি যে তাওহীদ এবং যা হচ্ছে ইসলামের মূখ্য বস্তু, যে ব্যক্তি সেই তাওহীদকেই অস্বীকার করল তাকে ঐ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর উচ্চারণ কেমন করে বাঁচাতে সক্ষম হবে? কিন্তু ‪#‎আল্লাহর_দুশমনরা‬ হাদীসসমূহের তাৎপর্য বুঝে না।"

    - কাশুফুশ শুবুহুত,শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব (রহ)
    ---------------------

    *শায়খ আলবানি উনার ফিতনাতুত তাকফির রিসালাহ টিতে "মুসলিম দেশসমূহের শাসকদের রিদ্দাহ প্রমাণিত নয়" এই প্রসঙ্গে উসামা (রা) এর হাদিস এনেছেন। (যাদের যুক্তি ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওহাব খন্ডন করেছেন এবং এই ধরনের যুক্তিদাতাদের মূর্খ মুশরিকদের সাথে তুলনা করেছেন!!!!)

    **মুজাফফার বিন মহসিন "ভ্রান্তির বেড়াজালে ইকামাতে দ্বীন" কিতাবে বিচ্ছিনভাবে মুসলিম শরিফের একটি হাদিসের উল্লেখ করে নামাজ আদায়কারী শাসককে তাকফির করা যাবে না বলেছেন। (শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব এই যুক্তিও খন্ডন করেছেন এবং এই ধরনের ব্যখ্যাদানকারীকে আল্লাহ'র দুশমন হিসেবে উল্লেখ করেছেন)

    সুতরাং, এক্ষেত্রে কি শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব (রহ) কি খাওয়ারিজ সাব্যস্ত হবেন?

    শায়খ আলবানি (রহ)'র ‪#প্রশ্ন‬ - "শাসকেরা কতবার শরিয়তের খেলাফ বিচার করলে কাফির বলে গন্য হবে?"
    "শাসকদের এব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তারা কখনোই বলবে না ইসলাম অনুযায়ী শাসন জায়েজ নয়। তাহলে তারা কিভাবে কাফির হতে পারে?"
    (ফিতনাতুত তাকফির, পৃষ্ঠা ১৫, ই সি এস প্রকাশনী)

    শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহিম (রহ)'র ‪#উত্তর‬ - "ঘটনাচক্রে ২/১ বারই হতে পারে। আর যদি কোনো ব্যক্তি তা সচরাচর নিয়ম বানিয়ে ফেলে, এবং শারী'আহ বিরোধী আইন মেনে চলে তবে তার এ কাজটি কুফুরি হিসেবে সাব্যস্ত হবে; ‪যদিও‬ সে ভুল স্বীকার করে এবং বলে যে আল্লাহ'র আইনই অধিক ন্যায়সঙ্গত। আর এ কুফুরি ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।"
    (ফাতাওয়া শাইখ মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহিম, ১২/২৮০ অনুবাদ- ডক্টর মানজুরে ইলাহি)

    সুতরাং, এক্ষেত্রে কি শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহিম আলে শায়খ (রহ) কি খাওয়ারিজ সাব্যস্ত হবেন?
    Last edited by Abu Khubaib; 09-10-2015, 08:07 AM.
    إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏

    "যখন আমরা কোন সম্প্রদায়ের নিকট পৌছি যুদ্ধের জন্য, এটি তাদের জন্য দুর্বিষহ সকাল যাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল।"

    (সহিহ বুখারি, ৩৭১)

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সুন্দর কালেকশন করেছেন ভাই। আল্লাহ আপনাকে অনেক জাযা দান করুন।

    তবে উপস্থাপনাটা আরো বিনয়ী হলে হয়তো সেটা উদ্দিষ্ট পাঠকদের মনে কিছুটা প্রশ্নের সঞ্চার করতে পারতো। এই ব্যাপারে দৃষ্টি দিবেন আশাকরি।

    পরবর্তী যুক্তি খন্ডনের অপেক্ষায় রইলাম।

    Comment


    • #3
      বারাকাল্লাহ আখি পরামর্শের জন্য। এখন আমি কিছুটা এডিট করে নিজের কথা আরো কমিয়ে দিয়েছি।
      إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏

      "যখন আমরা কোন সম্প্রদায়ের নিকট পৌছি যুদ্ধের জন্য, এটি তাদের জন্য দুর্বিষহ সকাল যাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল।"

      (সহিহ বুখারি, ৩৭১)

      Comment

      Working...
      X