Announcement

Collapse
No announcement yet.

সিলেটে বিস্ফোরণে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সিলেটে বিস্ফোরণে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

    সিলেটে বিস্ফোরণে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২


    শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই জঙ্গি আস্তানার এক কিলোমিটারের মধ্যে পাঠানপাড়ায় এই বিস্ফোরণ ঘটে।

    নিহতরা হলেন- পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. কয়সার এবং কলেজছাত্র অহিদুল ইসলাম অপু।

    সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রুকনুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই অপুর মৃত্যু হয়। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিদর্শক কয়সার মারা যান।

    কয়সার সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    আহতদের মধ্যে র*্যাব ৯ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও মেজর আজাদ, সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মনিরুল ইসলাম ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুনুর রশিদ রয়েছেন। এদের মধ্যে দুই র*্যাব কর্মকর্তা ও ডিবির ওসি মনিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

    বিস্ফোরণে আহত আরও ১৭ জন ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন- মোস্তাক আহমেদ, নাজিমউদ্দিন, রোমেল আহমেদ, অহিদুল ইসলাম, ইসলাম আহমেদ, নুরুল আলম, বিপ্লব হোসেন, আব্দুর রহিম, সত্তারউদ্দিন, রাহিম মিয়া, হোসেন আহমেদ, মামুন আহমেদ, ফারুক মিয়া, সালাউদ্দিন শিপার, গুলজার আহমেদ, রিমন আহমেদ ও আজমল আলী।

    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিববাড়ির ওই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর তা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর প্রায় ৩০ ঘণ্টা সেখানে পাহারা বসিয়ে শনিবার সকালে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেখানে জিম্মি দশায় থাকা ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হলেও অভিযান এখনও চলছে।

    ওই অভিযান নিয়ে সন্ধ্যায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান সাংবাদিকদের ব্রিফ করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কাছের পাঠানপাড়ায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায় বলে ওই সময় সেখানে উপস্থিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিলেট প্রতিনিধি মঞ্জুর আহমেদ জানান।

    শিববাড়ির মূল সড়ক থেকে ওই জঙ্গি আস্তানার দিকে যে রাস্তাটি গেছে, তার কাছেই এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান তিনি।

    কীভাবে এই বিস্ফোরণ সে বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    তবে বিস্ফোরণে আহত গুলজার আহমেদ ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জঙ্গি আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানের খবর নিতে আসা কয়েকজন ওই জায়গায় ছিলেন।

    “লুঙ্গি পরা এক লোক হাতে একটি কালো পলিথিন নিয়ে আসে। কয়েকজন তাকে আটকে পলিথিনে কী আছে জানতে চাইলে সে বলে, ‘লাল শাক’। এর পরপরই একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হন।

    “এরপর পুলিশ ও র*্যাব এলে আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২৫ জনের মতো আহত হন।”

    বিস্ফোরণস্থলে ক্ষতিগ্রস্ত একটি মটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখার কথা জানান মঞ্জুর আহমদে।

    http://bangla.bdnews24.com/samagraba...1308942.bdnews

  • #2
    আলহামদুল্লাহ

    এই যাবত ৬ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গেছে। rab এর গোয়েদ্ধা বিভাগের প্রধান গুরুতর আহত।

    Comment


    • #3
      Originally posted by khalid bin walid View Post
      আলহামদুল্লাহ
      rab এর গোয়েদ্ধা বিভাগের প্রধান গুরুতর আহত।
      ভাই! শুধু গুরুতর না, আরও অনেক কিছু। কাল যে ম্যান্টল হয়েছে আর ঠিক হয়নি! এই কীটের চিকিৎসা এখন আর মুসলিম দেশে সম্ভব না, এটাকে তার জাতভাই খ্রিস্টানদের (সিঙ্গাপুর) কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।

      Comment


      • #4
        শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তনার এক কিলোমিটারের মধ্যে ওই জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন পুলিশের দুই পরিদর্শকসহ ছয়জন। র*্যাবের গোয়েন্দা প্রধানসহ আরও অন্তত ৪৩ জন আহত হন বিস্ফোরণে।

        Comment


        • #5
          ভেতরে থাকা জঙ্গিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং বেশ দক্ষ বলে মনে করছে সেনাবাহিনী।

          ব্রিগেডিয়ার ফখরুল বলেন, “তাদের কাছে স্মল আর্মস আছে, এক্সপ্লোসিভ আছে, আইইডি আছে, তারা ওয়েল ইকুইপড।

          বাড়ি ঘিরে তৎপর সেনা সদস্যরা

          বাড়ি ঘিরে তৎপর সেনা সদস্যরা

          “আমরা যে গ্রেনেড ছুড়েছি, তারা সেগুলো ধরে উল্টা আবার আমাদের দিকে নিক্ষেপ করেছে। টিয়ার শেল ছুড়লে যে আগুন জ্বালাতে হয়, তারা এসব টেকনিক জানে।”

          ভেতরে ‘বড়’ কোনো জঙ্গি থাকতে পারেন বলে ধারণার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও জানিয়েছেন।

          নানা স্থানে বিস্ফোরক স্থাপন করে জঙ্গিরা বাড়ি দুটিতে অভিযান চালানো কঠিন করে তুলেছে বলে জানান ব্রিগেডিয়ার ফখরুল।

          “তারা আইইডি ফিক্স করেছে, তাতে ধারণা করা যাচ্ছে, জঙ্গি যারা আছে তারা ভালো জ্ঞান রাখে কীভাবে দুর্গম করে তুলতে হয়।

          সুতরাং অপারেশন শেষ করাতে ভালো ঝুঁকি আছে, এজন্য সময় লাগছে।”

          কখন নাগাদ অভিযান শেষ হতে পারে- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের কমান্ডোরা চেষ্টা করছে। নিশ্চিত করে বলতে পারছি না যে অপারেশন কখন শেষ হবে। অপারেশন পরিচালনা বেশ ডিফিকাল্ট হচ্ছে।”

          “আজ সকাল থেকে বিভিন্ন টেকটিক অ্যাপ্লাই করছিলাম, রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে হোল তৈরি করে… সুবিধা হচ্ছিল না। পরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করি। তাতে জঙ্গিরা কিছুটা অসুবিধায় পড়ে। তাদের ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়,” বলেন তিনি।

          Comment


          • #6
            তাদের কাছে যদি কমপক্ষে ১-২ টা একে-৪৭ থাকতো , তাহলে এই তাগুত বাহিনীর বারোটা বেজে যেত ।
            কি আশ্চর্য ! শুধুমাত্র এক জায়গায় আক্রমণেই তারা দম ফেলতে পারছে না , যখন সারা দেশে জিহাদ কায়েম হয়ে যাবে , তখন তো তারা ঘুমাতেও পারবে না । এজন্যই আমাদের এক শায়েখ কথা প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন , বাংলাদেশে জিহাদ পরিচালনা করা সবচেয়ে সহজ ।
            আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি , আল্লাহ যেন, এই ঘটনাটিকে জিহাদের উৎস বানিয়ে দেন । এবং জঙ্গিবাদকে আরও ব্যপক করে দেন । আমীন ।

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

              Comment

              Working...
              X