Announcement

Collapse
No announcement yet.

একজন পরাজিত মানসিকতার অধিকারী কবির কিছু প্রলাপঃ তবুও তুমি সহ্য করে যাও!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একজন পরাজিত মানসিকতার অধিকারী কবির কিছু প্রলাপঃ তবুও তুমি সহ্য করে যাও!

    অসম্ভব পুলিশপ্রেমি একজন কবি হচ্ছেন মুসা আল হাফিজ, উনি মরমী কবিও বটে, কিন্তু কেন যেন জিহাদ ও জিহাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের প্রতি উনার খুব রাগ ও ঘৃণা। সম্প্রতি কউমি তলাবাদের দ্বারা পরিচালিত অনলাইন সংবাদ পত্রিকাতে একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। তার প্রবন্ধ সম্পর্কে অধমের কিছু কথা-

    ভারতের মোম্বাইয়ে চরমপন্থীদের হামলার ঘটনার তাপ কিছুটা কমে এসেছে। ভারতে ইসলাম বিরোধী তুফান রাজনীতির মঞ্চ থেকে কিছুটা সরে গিয়ে সামাজিক চারণভূমি অধিকার করেছে। বিজেপির সদস্য সংখ্যা এক বছরে আরো আশি লক্ষ বেড়ে গেলো। সেখানকার আলেমরা মোম্বাই এর পাশে প্রবলভাবে দাঁড়িয়ে। ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্নে তুমুল সোচ্চার।

    পাঠক এই অংশটুকু মনে রাখবেন! প্রয়োজনে আরেকবার পড়ুন!


    এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এলেন সাইয়িদ সালমান হুসাইনী নদবী। তিনি হযরত আলী নদভীর রক্ত, চেতনা,কলম ও ইলমের উত্তরাধিকারী। ইসলামী বুদ্ধিজীবিতার বিশ্বব্যক্তিত্ব। সিলেটে তিনি অবস্থান করেন দুই দিন। এক অভিজাত হোটেলে উলামা সম্মেলনে যোগ দেবেন। তার আগে মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানিগঞ্জী ও আমি দেখা করলাম হযরতের সাথে, একান্তে।

    সেদিন প্রশ্ন করেছিলাম যে ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানায়, বাবরী মসজিদকে বধ্যভূমি বানায়, গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়ায়, সে ভারতে সামান্য এক হামলার কারণে আপনারা প্রতিবাদী হলেন, ভারতপ্রেমে সোচ্চার হলেন।

    প্রশ্নটি আবারো পড়ুন-
    যে ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানায়, বাবরী মসজিদকে বধ্যভূমি বানায়, গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়ায়, সে ভারতে সামান্য এক হামলার কারণে আপনারা প্রতিবাদী হলেন, ভারতপ্রেমে সোচ্চার হলেন।
    কিন্তু কেন?
    তীর্যক প্রশ্ন তিনি হয়তো আশা করেন নি। অল্পক্ষণ চুপ করলেন। তারপর বললেন, ভারতে মুসলমানরা খুব সুখে নেই। তবে বেঁচে আছে আপন ধর্ম ও ঐতিহ্য নিয়ে। তাদের সমস্যা হাজারো। কোনো সন্ত্রাসী হামলা সে সব সমস্যার সমাধান দেবে না। কাশ্মীরের মুসলিমদের মুসিবত কমাবে না। ঘাতকদের হাতকে দুর্বল করবে না। বরং একটি হামলা তাদেরকে আরো সবল করবে, মুসলিমদের আরো দুর্বল করবে। এ হামলার বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হলাম। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব।
    সত্যিই অদ্ভুত একটা বিষয় আমার কেন যেন বুঝে আসে না!

    - ভারত কাশ্মীরকে মুসলমানদের গোরস্থান বানাবে, তবুও কোন আলেমদের পক্ষ থেকে টু শব্দ নেই-
    - ভারত বাবরী মসজিদসহ হাজার হাজার মসজিদকে বধ্যভূমি বানাবে, তবুও টু শব্দ নেই (অল্প কিছু ব্যতিত)
    - গুজরাটে মুসলমানদের আগুনে পোড়াবে, মুসলিম রমণীদের গোপন অঙ্গে রড, সিগারেট ও ছুরি দিয়ে খণ্ডবিখণ্ড করবে, তবুও টু শব্দটি নেই
    - মুসলিম শিশুদের তরবারির ধারালো মাথা দিয়ে তরমুজের মত টুকরো করবে, তবুও টু শব্দটি নেই-
    - গরুর গোস্ত রাখার সন্দেহে পিটিয়ে মুসলমানদের বাজারে, রাস্তা ঘাঁটে মারবে, এমনকি মুসলিম রমণীদের ছাড় দিবে না, তবুও কোন টু শব্দটি নেই-
    পাঠক আমি আর কত বলবো????????????
    অথচ গত কালকের রিপোর্ট-
    - উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে মাইকে নামাজ না পড়তে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
    - গরু জবাই করলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছে-

    তবুও কেউ কোন টু শব্দটি করেনি, পক্ষান্তরে কেউ প্রতিবাদ করলে সেটা হঠকারিতা হয়ে যায়-
    কেউ তার বোনদের সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিলে হঠকারিতা হয়ে যায়-



    হামলাটি কী ইসলামের পক্ষ থেকে? না। একটি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে, যারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না। ভারতের আলেমরা একে দেখেছেন কিছু মুসলিমের অপরাধমূলক হটকারিতা হিসাবে। যার দায়ভার থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের হেফাজত করা ছিলো তাদের দায়িত্ব। হামলাকারীরা এতোই নির্বোধ যে, তারা জানে না এ রকম কয়েক শত হামলা ভারতের মতো রাষ্ট্রের কোনোই ক্ষতি করবে না। কিছু মানুষকে ওরা মারবে। কিন্তু পরিণতিতে মুসলমান ও ইসলামের যে ক্ষতি হবে, তা সুদূরপ্রসারী। আমরা সেই ক্ষতি হতে দিতে চাই না। এমন হামলাকে তাই মুসলিমদের নিরাপত্তাবিরোধী হামলা হিসেবে গণ্য করি।
    - সত্যিই অদ্ভুত
    - আমাকে তিলে তিলে হত্যা করবে, তখন আমার নিরাপত্তা বহাল থাকবে...
    -আমার নও মুসলিম বোনকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে, তখনও আমার নিরাপত্তা বহাল থাকবে-
    - গরুর পেশাবখোরেরা আমার বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করবে, তখনও আমি নিরাপদ...
    সত্যিই আমি অনেক নিরাপদ......
    সাবধান একটা ঢিলও মারা যাবে না, কারন এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে...


    হ্যা হে কবিরা!
    - তোমরা জিহাদ ও মুজাহিদের বিরুদ্ধে লিখে যাও! কারন পশ্চাৎ দিক থেকে তোমার উপর হামলার ভয় নেই-উপরন্তু পুলিশ হচ্ছে তোমাদের বন্ধু
    - তোমরা আইএসের ধুয়া তুলে জিহাদকে বেমালুম ভুলে যাও, বা চেপে যাও! কারন তোমাকে সমর্থনকারী ও সহযোগিতা প্রদানকারী বাহিনী সর্বদা রয়েছে-

    আসলে
    - তোমরা মজলুমদের জন্য একটি কবিতাও লিখতে পার না, যদিও বা লিখ, তবে মজলুমদের প্রতি তোমাদের আহবান থাকে, মজলুম যেন সয়ে সয়ে যায় তার উপর চালিত জুলুম
    - তোমরা নদীর স্রোতের তরঙ্গ নিয়ে কবিতার বিশাল বই লিখতে পারবে, কিন্তু পেশাবখোরদের ছুরির আঘাতে আমার মা, ভাই ও বোনদের দেহ থেকে যে রক্তের স্রোত বয়ে যায়, তার জন্য তোমার কলম থেকে একটু কালিও ঝরবে না, যদিও বা ঝরে সেখানেও আহবান থাকবে, সয়ে সয়ে যাও!
    - তোমরা মরমী কবিতার নামে এমনসব উচ্ছাঙ্গের কবিতা লিখবে, যার একটি শব্দও সাধারন মুসলমানদের বুঝে আসবে না, কিন্তু কোন দিনই আমার নির্যাতিত জননীর জন্য তোমার একটি সাদামাটা কবিতাও থাকবে না, যদিও বা থাকে, সেখানেও থাকবে, মা সয়ে সয়ে যাও!




  • #2
    100% রাইট.

    Comment


    • #3
      ইয়া আল্লাহ্ সকল মুসলিমদের সঠিক বুঝ দান করুন।।।
      ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
      কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
      যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
      নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


      ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ, প্রিয় umar mukhtar ভাই!
        হে রব্বে মুজাহিদীন! সত্যের পথে এ কলমকে আরও অটল-অবিচল রাখুন!
        বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

        Comment


        • #5
          জাজা কাল্লাহ ভাই

          Comment


          • #6
            এই লোক অন্তন্ত ধূর্ত। এর পুলিশ প্রীতির কথা কারো অজানা নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে কিছুদিন আগে এই লক মুলহীদের ব্যাপারে পোস্ট করেছিলেন।অথচ সে হাল্লাজকে আল্লাহর ওলী মনে করে
            বিজয় তো এসেই গেছে

            Comment


            • #7
              মুসা আল হাফিজের চেয়ে সালমান নাদভির বক্তব্য পড়ে আরও গা গুলিয়ে উঠলো!!!!!!

              আসলে নিজের পরিবার নিয়ে আরামে আছেন তো!! তাই আর কি... এরা হক হলে দুনিয়াতে বাতিল নেই!!

              ইয়া আল্লাহ্*! আপনি মীর জাফর, আবুল ফজলদের উত্তরসূরীদের সফল হতে দিয়েন না!!!

              Comment


              • #8
                Originally posted by Umar Abdur Rahman View Post
                মুসা আল হাফিজের চেয়ে সালমান নাদভির বক্তব্য পড়ে আরও গা গুলিয়ে উঠলো!!!!!!

                আসলে নিজের পরিবার নিয়ে আরামে আছেন তো!! তাই আর কি... এরা হক হলে দুনিয়াতে বাতিল নেই!!

                ইয়া আল্লাহ্*! আপনি মীর জাফর, আবুল ফজলদের উত্তরসূরীদের সফল হতে দিয়েন না!!!
                অামিন ছুম্মা অামিন......

                Comment


                • #9
                  লোকটাকে চিনে রাখুন! মুসা আল হাফিজ! তার একটি অনুষ্ঠানে সুসজ্জিত বেগানা নারীরা ছবি তুলছে... লাল কালিতে আমি মুছে দিয়েছি। ওরাই আজ মুসলিম জাতির ঠিকাদার বনে গেছে।

                  Comment


                  • #10
                    ধ্বংস তাদের জন্য

                    Comment


                    • #11
                      اللهم اهدناالصراط المستقيم
                      كتب عليكم القتال وهو كره لكم

                      Comment


                      • #12
                        তাদের কাছে দুনিয়া বড় এই কারনে দুনিয়ার সামান্য ক্ষতির সম্ভাবনা বিলাসিতার ক্ষেত্রে সামান্য বেঘাত বড় ক্ষতি মনে হয় । আর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বকর রাজঃ তাদের কাছে দ্বীন বড় এই জন্য তারা একথা বলেঃ "দ্বীনের সামান্য ক্ষতি হবে আর আমি বেচে থাকবো এটা হতে পাড়ে না"। এক ওসমান রাজিঃ হত্যার প্রতিশোধের ক্ষেত্রে একজন মুসলমানের প্রতি কৃত যুলুমের প্রতিকারের তোলনায় নবি সহ গুটা উম্মতের মৃত্যু কে তারা তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন। এসব কোটি কবি সাহিত্যিক বুজুর্গ মিলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমান হবে? তিনি যদি এক উম্মতির প্রতিশোধে জীবন বাজি রাখতে পারেন, তাহলে শত শত মুসলমানের প্রতিশোধের তোলনায় সালমানদের বিলাসিতায় সম্ভাব্য ব্যঘাত সৃষ্টি না করা বেশি জরুরি হয়েগেল? হায়রে গোলাম! এমন কায়েমি গুলামির সবক তোদের কে শিখাল। ইজ্জত আল্লাহ আল্লাহর রাসুলের এবং মুমিনদের কিন্তু মুনাফিক গুষ্টি তা জানেনা। তাদের দেখলে তাদের (নাদুস নুদুস) শরির তোমাকে মুগ্ধ করবে কথা বললে তুমি শুনতে শুরু করবে । (ভীতুরদিম) চিৎকার শুনলেই মনে করে তাকে খেয়েফেলবে , আল্লাহর লানত তাদের উপর কোথায় (জাতিকে নিয়ে ) ফিরে যাচ্ছে। তিন সাহাবি তাবুক যুদ্ধে গমন নাকরার অপরাধে তাদের সাথে চলা ফিরা নিশিদ্ধ হয়ে যায়। এসব জিহাদ পরিহার কারি ,বিমুখ বরং বিরোধিদের সহবত মারাত্নক ক্ষতিকর। যত এদের সংশ্রব গ্রহন করবে নিফাক সংক্রমিত হতে থাকবে। আল্লাহর আয়াত স্মরন থাকার পর এই জালেমদের সাথে আর বসোনা

                        Comment

                        Working...
                        X