Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন ও সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসল

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন ও সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসল

    বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে ভারতের ক্যাম্পেইন এগেনস্ট এট্রোসিটিজ অন মাইনরিটিস ইন বাংলাদেশ (ক্যাম্ব) নামের একটি সংস্থা।


    পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনি ও রোববার সংস্থাটির সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আগামী দিনের কর্তব্য নির্ধরণ করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের দুই সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা উপস্থিত ছিলেন।





    ওই সম্মেলনে বক্তরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের ওপর সব হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ ও সহিংসতাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে হেট ক্রাইম এবং সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার খর্ব করার বিষয় বিচারের জন্য আলাদা শাখা গঠন এবং বৈষম্যমূলক আইসিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

    সম্মেলনে বাজেয়াপ্ত ও দখল করে নেওয়া হিন্দু সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবির পাশাপাশি সরকার যাতে ইসলাম তোষণ বন্ধ করে এবং সংখ্যালঘু নিধন বন্ধ করে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য দাবি জানানো হয়েছে।

    ক্যাম্ব নামের সংস্থাটির সম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে আগত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে মঠ-মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, জমিজমা দখল ও উচ্ছেদ, নারী ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।



    (কলকাতায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভাষণ দিচ্ছেন ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায়। ১ এপ্রিল, ২০১৭। )





    সম্মেলনের শুরুতে ক্যাম্বের আহ্বায়ক মোহিত রায় বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়েই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে বিভিন্ন বক্তা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপর জোর দিলেও সম্মেলনের ঘোষণা পত্রে বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছার উপর আস্থা রাখা হয়েছে।


    সম্মেলনের উদ্বোধন করে ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে দেশ বিভাগের সময় থেকে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।


    তিনি ঘটনাক্রম উল্লেখ করে বলেছেন কীভাবে হিন্দুরা বিভিন্ন সময়ে গণহত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সচেতন ও জাগরুক হতে হবে। তবেই ভারত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।


    যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা মানবাধিকারকর্মী শীতাংশু গুহ আভিযোগ করেছেন, হিন্দুদের উপর নির্যাতন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের উপর নির্যাতনের কোনও বিচার হয় না। প্রশাসন উল্টে সহায়তা করে দুষ্কৃতকারীদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাতে হিন্দুদের উপর নির্যাতন না হয় তা নিশ্চিত করুন মোদি সরকার।


    বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষও মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা যদি সজাগ হন এবং বাংলাদেশের সমস্যা নিজের মনে করে এগিয়ে আসেন তবেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আন্দোলন সফল হবে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও এমপি উষাতন তালুকদার বলেছেন, চট্টগ্রামের আদিবাসিদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রশাসনে তাদের অংশিদারিত্বের কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমেই সব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সম্মেলনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের অবদানকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।


    আলোচকরা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ২৩ লাখই হিন্দু। সম্মেলন শেষে যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে।



    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

  • #2
    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ের দাবি

    বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বিষয়ে কলকাতায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন ও সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বিলুপ্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।


    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভালো নেই বলে সম্মেলনে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাংসদ উষাতন তালুকদার। চট্টগ্রামের আদিবাসী এলাকাকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত করার পরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।


    বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় হিন্দুরা গণহত্যার শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে সম্মেলনের উদ্বোধক, ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায় বলেন, “দেশ বিভাগের সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলেছে। এখনো তা অব্যাহত।”


    গত ১ ও ২ এপ্রিল কলকাতায় ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আগামী দিনের কর্তব্য শীর্ষক’ সম্মেলনটির আয়োজন করে ভারতের ‘ক্যাম্পেইন এগেনস্ট এট্রোসিটিজ অন মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ (ক্যাম্ব)’।



    গত ১৫ বছর ধরে সংস্থাটি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্বের আহ্বায়ক মোহিত রায়।


    এই সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।


    পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান
    সম্মেলন থেকে অভিযোগ তোলা হয়, বাংলাদেশে ধর্ষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে।
    ধারাবাহিক ইসলামি আগ্রাসনের পরিণতিতে বাংলাদেশ থেকে কীভাবে হিন্দুরা বিতাড়িত হচ্ছে, কীভাবে তাঁদের সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে, এসব বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে। আর এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই এককাট্টা বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশিষ্টজনেরা।
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা মানবাধিকারকর্মী শীতাংশু গুহ অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনার শাসনামলে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অথচ এসব নির্যাতনের কোনো বিচার হয় না। উল্টো প্রশাসন দুষ্কৃতকারীদের সহায়তা করে।”
    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মোদি সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
    সম্মেলনের উদ্বোধক তথাগত তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সচেতন হতে হবে। তবেই ভারত সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।”
    বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষও পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের বাংলাদেশের সমস্যা নিজের মনে করে এগিয়ে আসেন আসার আহ্বান জানান।

    মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু অবদানের স্বীকৃতি
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুরাই মুসলমানদের চেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা শীতাংশু গুহ।

    তিনি বেনারকে বলেন, “পাকিস্তানিদের টার্গেটের শিকার হয়ে মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন। অথচ তারা সেই মর্যাদা পাচ্ছেন না।”
    অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ বেনারকে বলেন, “যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম নেই স্পিরিট আজ আর নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হলেও হিন্দুদের অবদানের বিষয়টিকে সরকার গুরুত্ব দেয় না।”
    তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে ২৯৩১টি হিন্দু নির্যাতনের ঘটনার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখেছি সরকার হিন্দুদের অধিকার নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। আইনের আশ্রয় নেবারও কোনো সুযোগ নেই।”

    বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে
    বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাওয়ার অভিযোগ এনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রতিনিধিরা।

    অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণালব্ধ পর্যবেক্ষণ থেকে জানানো হয়, ১৯৬৪-২০১৩ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ১৩ লক্ষ হিন্দু দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আর এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে আগামী দুই দশকের মধ্যে হিন্দুশূন্য হয়ে যাবে বাংলাদেশ।

    সেন্টার ফর রিসার্চ ইন ইন্দো-বাংলা রিলেশেনস-এর ডিরেক্টর বিমল প্রামাণিক বলেন, “১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৯ শতাংশ। ২০০১ সালে তা ৮.৫ শতাংশে আর ২০১৭ সালে ৭.৪ শতাংশে নেমে এসেছে।”

    সম্মেলনের ঘোষণাপত্র
    কলকাতা সম্মেলনের শেষ দিনে ১৪ দফার একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। তাতে বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসাত্মক আক্রমণ বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশেষ ক্ষমতায় হেট ক্রাইম এবং সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার খর্ব করার বিষয় বিচারের জন্য আলাদা শাখা গঠন,

    সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম কথাটির বিলুপ্তি এবং বৈষম্যমূলক আইসিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানানো হয়।


    এ ছাড়া বাজেয়াপ্ত ও দখল হয়ে যাওয়া হিন্দু সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের অবদানকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও জোর দাবি ওঠে।


    সংসদে, সিভিল সার্ভিসে এবং সামরিক বাহিনীতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালু করার দাবিও তোলা হয়েছে ঘোষণাপত্রে।




    http://www.benarnews.org/bengali/news/minority_bangladesh-04032017150520.html

    https://deshbhabona.com/uncategorize...6%95%E0%A7%87/


    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment

    Working...
    X