Announcement

Collapse
No announcement yet.

দোয়া দ্বারা কি সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়??

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দোয়া দ্বারা কি সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়??




    দোয়া দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া সংক্রান্ত হাদীসগুলোর কয়েক রকম ব্যাখ্যা হতে পারে:

    ১. যে সকল হাদিসে দোয়ার দ্বারা গুনাহ মাফ হয়ে যাওয়ার কথা এসেছে সেগুলোতে সগীরা গুনাহ উদ্দেশ্য। অর্থাৎ সগীরা এ সকল দোয়ার দ্বারা মাফ হয়ে যাবে। কিন্তু কবীরা গুনাহ মাফ হবে না। কেননা, কবীরা গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হয় না। তবে হ্যাঁ, আল্লাহ তাআলা যদি ইহসান করে কাউকে মাফ করে দেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।

    এখানে প্রশ্ন হতে পারে, কোন কোন হাদিসে এসেছে, ‘যুদ্ধের থেকে পলায়ন করে থাকলেও’; আবার কোন কোন হাদিসে এসেছে ‘সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ হলেও’- মাফ হয়ে যাবে। এ থেকে তো বোঝা যায় সগীরা কবীরা সব ধরণের গুনাহই মাফ হয়ে যায়!’

    এর সমাধান হল, এখানে বোঝানো উদ্দেশ্য, সে যতবড় গুনাহগারই হোক না কেন, এ সকল দোয়ার দ্বারা তার সগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। এ সব কবীরা গুনাহ দোয়ার দ্বারা সগীরা গুনাহ মাফ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হবে না।

    ইবনে আল্লান রহ. (মৃত্যু ১০৫৭ হি.) বলেন,
    أي:غفرت صغائر ذنوبه المتعلقة بحق ربه، وإن كان قد اقترف ما هو من الكبائر فلا يمنع ذلك من غفر الصغائر بالذكر المذكور
    “অর্থাৎ তার রবের সাথে সম্পৃক্ত সগীরা গুনাহ সমূহ মাফ হয়ে যাবে, যদিও সে কবীরা গুনাহ করেছে। এটা উল্লেখিত যিকিরের দ্বারা সগীরা গুনাহ মাফ হওয়ার পথে বাধা হবে না।” (দালীলুল ফালিহীন, ৮:৭১৮)

    তবে কবীরা গুনাহ মাফ হওয়ার জন্য তাওবা লাগবে।


    ২. কোন কোন দোয়াতে ‘আমি তাওবা করছি’ জাতীয় শব্দ থাকে। এ সকল দোয়ার দ্বারা সগীরা কবীরা সব ধরণের গুনাহই মাফ হবে, যদি আন্তরিক তাওবার সাথে পড়ে থাকে। তখন মূলত গুনাহ মাফ হচ্ছে আন্তরিক তাওবার দ্বারা। কারণ তাওবার দ্বারা সগীরা কবীরা সব ধরণের গুনাহই মাফ হয়ে যায়। আর তাওবা না করে শুধু দোয়া পড়ার দ্বারা গুনাহ মাফ হবে না। গুনাহে অটল থেকে শুধু মুখে মুখে মাফ চাওয়া বরং অনেক সময় ঠাট্টা বিদ্রেূাপ বলে গণ্য হতে পারে।

    মোল্লা আলী কারী রহ. (মৃত্যু ১০১৪ হি.) বলেন,
    ينبغي أن لا يتلفظ بذلك إلا أن كان صادقا وإلا يكون بين يدي الله كاذبا منافقا ولذا روى أن المستغفر من الذنب وهو مقيم عليه كالمستهزىء
    “ (আমি তাওবা করছি কথাটি) সত্য দিলে উচ্চারণ করা চাই। অন্যথায় আল্লাহ তাআলার কাছে মিথ্যাবাদি মুনাফিক বলে গণ্য হবে। এ কারণেই বর্ণিত আছে, ‘গুনাহে অটল থেকে ইসতিগফারকারী ব্যক্তি যেন ঠাট্টা বিদ্রেূাপকারী।” (মিরকাত, ৮: ২০৩)


    ৩. কোন কোন কবীরা গুনাহ অন্যান্য নেক আমলের দ্বারা মাফ হয়ে যেতে পারে। আর দোয়া যেহেতু একটি নেক আমল কাজেই দোয়ার দ্বারাও এই শ্রেণীর কোন কোন কবীরা গুনাহ মাফ হয়ে যেতে পারে।

    হাফেজ ইবনে হাজার রহ. আবু নুআইম ইস্পাহানী রহ. থেকে বর্ণনা করেন,
    ان بعض الكبائر تغفر ببعض العمل الصالح وضابطه الذنوب التي لا توجب على مرتكبها حكما في نفس ولا مال
    “কোন কোন কবীরা গুনাহ কতক নেক আমলের দ্বারা মাফ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল, কবীরা গুনাহটি এমন হতে হবে যার কারণে উক্ত গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তির জান বা মালের উপর নির্ধারিত কোন (দুনিয়াবী) শাস্তি আবশ্যক না হয়।” (ফাতহুল বারী, ২৫: ১৬০)


    আবু নুআইম ইস্পাহানী রহ. এর এ অভিমত অনুযায়ীও ঐসব কবীরা গুনাহ মাফ হবে না যার কারণে দুনিয়াতে উক্ত গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তির জানের উপর বা মালের উপর নির্ধারিত কোন শাস্তি বা জরিমানা আবশ্যক হয়।



    মোটকথা, তাওবা ছাড়া এবং বান্দার হক আদায় করা এবং আল্লাহর হক কাজা করা ব্যতীত শুধু দোয়ার দ্বারা সব গুনাহ মাফ হওয়ার কোন সূরত নেই। তবে দোয়ার মাধ্যমে সগীরা গুনাহ এবং কোন কোন কবীরা গুনাহও মাফ হয়ে যায়। কাজেই আমাদের উচিৎ দোয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া। সাথে সাথে সকল গুনাহ থেকে তাওবা করা।



    [বি.দ্র.সগীরা গুনাহ রীতিমত করে যেতে থাকলে সেটা তখন আর সগীরা থাকে না, বরং কবীরা হয়ে যায়।]
    ***

  • #2
    আল্লাহ্* সুব্*, আহমাদ আল হিন্দি ভায়ের ইলমের মাধ্যমে আমাদেরকে আরও বেশি উপক্রিত করুন।আমীন।
    শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

    Comment


    • #3
      গুনাহে অটল থেকে ইসতিগফারকারী ব্যক্তি যেন ঠাট্টা বিদ্রেূাপকারী।” (মিরকাত, ৮: ২০৩)
      সত্তি-ই খুব উপকার হল এতে, তাই জাযাকাল্লাহ অন্তরের গহীন থেকে
      হে সম্মানিত শাম, আত্মমর্যাদাশীল খোরাসান আর বরকতময় গাজওয়ায়ে হিন্দ তথা সাড়া বিশ্বের মুজাহিদীন

      আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে।
      আলে ইমরান (১৩৯)

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ ভাই

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আহমাদ আল হিন্দি ভাইয়ের ইলম বৃদ্ধি করুক।আমিন

          Comment


          • #6
            আল্লাহ ভাইয়ের ইলমে বরকত দান করুন।আমিন

            Comment


            • #7
              Originally posted by Ahmad Al-hindi View Post


              “ (আমি তাওবা করছি কথাটি) সত্য দিলে উচ্চারণ করা চাই। অন্যথায় আল্লাহ তাআলার কাছে মিথ্যাবাদি মুনাফিক বলে গণ্য হবে। এ কারণেই বর্ণিত আছে, ‘গুনাহে অটল থেকে ইসতিগফারকারী ব্যক্তি যেন ঠাট্টা বিদ্রেূাপকারী।” (মিরকাত, ৮: ২০৩)

              [বি.দ্র.সগীরা গুনাহ রীতিমত করে যেতে থাকলে সেটা তখন আর সগীরা থাকে না, বরং কবীরা হয়ে যায়।]
              ***
              যাজাকাল্লাহ শাইখ
              খুবই উত্তম নসীহা খুঁজে পেয়েছি আপনার এই আলোচনায়
              আল্লাহ প্রিয় শাইখদেরকে হিফাজত করুন, আমীন

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ শায়েখ...........

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাহ

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by bokhtiar
                    প্রিয় শাইখ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদ্দারাইন।
                    হুজুর, আমার কিছু কথা, আমরা তো জানি শরিয়তের হক্ব দুই ধরণের একটি বান্দার দিকে লক্ষ করে আমরা বলি বান্দার হকে(যেমন, কারো মাল সম্পদ আত্যস্বাধ করা।) আরেকটি হক্ব হচ্ছে যা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যুক্ত। আল্লাহর হক্বের ব্যপারে আল্লাহ চাইলে বন্দাকে ক্ষমা করে দিবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বন্দার হক্বের ক্ষেত্রে বন্দা থেকে মাফ না নিলে আল্লাহ কি মাফ করে দিবেন??
                    এবং আরেকটি এই কথা, সমাজে অধিক পরিমাণে প্রচলিত, তাই কিছু লোকেরা এটাকে সুযোগ বানিয়ে আল্লাহর হক্ব আদায় করা থেকে দূরে থাকে।
                    আমি নিজে এক ভাইকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার পরে এইরকম একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি লাম। সে আমাকে বলল আরি শুধু আল্লাহর হকের দাওয়াত দেও বান্দার হক্বের খোজ নাই। আমি তাকে বললাম, ভাই আপনি কতটুকু বন্দার হক্ব আদায় করেছেন। পরে লোকটি বেকায়দায় পড়ে গেলো।

                    তাওবা ও গুনাহ মাফ প্রসঙ্গে কিছু কথা!! শিরোনামে ফোরামে একটা পোস্ট দেয়া হয়েছে। ওখানে আপনার প্রশ্নের কিছুটা উত্তর পাবেন ইনশাআল্লাহ!

                    Comment


                    • #11
                      jajakallah

                      Comment

                      Working...
                      X