Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুফতি আব্দুল হান্নান (আল্লাহ তায়ালা তার উপর রহম করুন) এর প্রাণ ভিক্ষা এবং আমার কিছু পর্÷

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুফতি আব্দুল হান্নান (আল্লাহ তায়ালা তার উপর রহম করুন) এর প্রাণ ভিক্ষা এবং আমার কিছু পর্÷

    বাংলাদেশের ভূমিতে যারা আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বুলন্দ করার চেষ্টা করেছেন এবং এই নিজের জান মালকে বিপদের সম্মুখ করেছেন তাদের মাঝে অন্যতম একজন হলেন মুফতি আব্দুল হান্নান। শাইখ আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নানের কথা তাওহীদবাদী মুসলিমরা কখনোই ভুলতে পারবে না। বিশেষ করে বাগমারার সাধারণ মুসলিমরা যারা জাগ্রত মুসলিম জনতার আমীরদের নিজেদের জানের চেয়ে বেশী ভালোবাসতেন।
    আমরা আশাবাদী যে শাইখ আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নান সহ যে সকল ভাইরা দ্বীন কায়েমের জন্য চেষ্টা করে গেছেন তাদের আমলকে আল্লাহ তায়ালা নষ্ট করবেন না।
    তবে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি তা হয়ত কোন কোন ভাই অপছন্দ করতে পারেন। কিন্তু তারপরেও আলোচনা করছি যাতে আমাদের কাছে সত্যটা উদ্ভাসিত হয়ে যায়। এখানের আলোচনাটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। তাই কোন ভাই দলীলের ভিত্তিতে বিরোধিতা করলে আমি তা সাদরে গ্রহণ করে নিবো।
    আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেনঃ
    قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ [٦٢:٨]
    বলুন,তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর,সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে,অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম,যা তোমরা করতে।
    আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
    لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۚ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٠:٤٩]
    প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে,যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে,না সামনে ফসকাতে পারবে,।
    আল্লাহর পথে যুদ্ধের ইচ্ছাকারী সকল ভাইয়ের জন্য এসব আয়াতের উপর দৃঢ় ইয়াক্বীন রাখা খুবই জরুরী একটি বিষয়। আরে যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয় তাদের তামান্নাইতো থাকে কিভাবে, কত দ্রুত আল্লাহর নিকট গমণ করা যায়। এক মুজাহিদ সে তো সর্বদা এই চিন্তায়ই থাকে কিভাবে সে শহীদ হতে পারবে। আল্লাহ কখন তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করবেন। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর অন্তরে শাহাদাতের কতইনা তড়প ছিল। তিনি সাঃ বলেনঃ আমি পছন্দ করি যে আমি শহীদ হবো আবার জীবিত হবো, আবার শহীদ হবো আবার জীবিত হবো, আবার শহীদ হবো আবার জীবিত হবো। সাহাবায়ে কেরাম তো সব সময় এই দোয়াই করতেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে তোমার রাস্তায় শহীদ হওয়া তাওফীক দান করো।
    শাহাদাততো এক মর্যাদা যাকে নবীরাও হাসিল করতে চেয়েছেন। যাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন তাকেই শাহাদাত দান করেন।
    কিন্তু শাহাদাতের মর্যাদার ক্ষেত্রে আল্লাহর রসূল কিছু পার্থক্য করেছেন এবং সর্বোত্তম শহীদ কে তাও বলেছেন।
    أفضل الْجِهَاد كلمة حق عِنْد سُلْطَان جَائِر
    সর্বোত্ত জিহাদ হলো জালেম বাদশাহর নিকট সত্য কথা বলা।
    অর্থাৎ জালিম বাদশাহর সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হলে সেই সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে গন্য হবে।
    আল্লাহর নবী সাঃ আরও বলেনঃ
    عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ:
    سِيِّدُ الشُّهَدَاءِ حَمْزَةُ ابن عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَرَجُلٌ قَامَ إِلَى إِمَامٍ جَائِرٍ فَأَمَرَهُ وَنَهَاهُ فَقَتَلَهُ
    শহীদদের সর্দার হচ্ছে হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং ঐ ব্যক্তি যে জালেম বাদশাহর নিকট দাড়িয়ে সৎকাজে আদেশ করে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করে। অতঃপর ঐ জালেম তাকে হত্যা করে ফেলে।
    কুরআন সুন্নাহ দ¦ারা এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত যে, জালেম বাদশাহর সামনে মাথা নত না করে তার সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হওয়াটা অনেক বড় এক মর্যাদা প্রাপ্তি।
    আমরা যদি অতীত আকাবিরদের স্মৃতি থেকে দেখি তাহলেও অনেক দলীল পাবো যে, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন এবং তাবে তাবেয়ীনদের কর্মপন্থা এক্ষেত্রে কী ছিল। ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর জানাযা জেল থেকে বের হয়েছে, উনি কি নিজের মতাদর্শ থেকে সরে গিয়েছিলেন? ইমাম আহমদ রহঃ এত নির্যাতন করা সত্তেও কি উনি নিজের ফতওয়াকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন? ইমাম ইবনে তাইয়িমাহ রহঃ এর লাশ কি জেল থেকে বের হয়নি? উনারা কি মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ফতওয়া তুলে নিয়েছিলেন?
    আমরা সূরা বুরুজের ঐ যুবকের ঘটনা নিশ্চিত পড়েছি, যে তাগুত বাদশাহ নিজেকে হত্যার সিস্টেম শিখিয়েছিল। এটা শুধু এই কারণেই ছিল যে, মানুষ সত্য কোনটা তা বুঝে নিক এবং মানুষ শিখে নিক যে, সত্যের জন্য কিভাবে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়। আর আল্লাহ তায়ালাও তো এই জিনিসটাকে ভালোবাসেন। তাইতো তিনি কুরআনে এই ঘটনা বর্ণনা করে দিয়েছেন।
    আমরা যখন বিশ্বাস করি, জালেম এবং কাফের বাদশাহদের সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হলে সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে গন্য হবে। তখন কিভাবে তাগুদ শাসকদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেতে পারি?
    বিশেষ করে প্রাণ ভিক্ষার অর্থ যখন হয়, নিজের অতীতের সব কাজকে ভুল হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া এবং জীবনে আর কখনো এই ভুল করবে না বলে অঙ্গীকার করা। মুফতি আব্দুল হান্নান সাহেব কে তার অতীতের সব কাজকে ভুল প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? উনি কি স্বীকার করে নিচ্ছেন, যে উনার অতীতের সব কাজ ভুল ছিল? উনি কি ভবিষ্যতে এই কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করতে চাচ্ছেন?
    প্রাণ ভিক্ষার কথা শুনার পর থেকে আমার মাথায় এই চিন্তাগুলো ঘুুরপাক খাচ্ছিল। আশায় ছিলাম কোন ভিজ্ঞ ভাই এই ব্যাপারে কলম ধরবেন। কিন্তু আমার আশা পূর্ন হলো না। আমি এখনো নিশ্চিত নয় যে. মুফতি হান্নান ভাইকি বাস্তবেই প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন নাকি তাগুতরা একটি নাটক সাজিয়েছে? কারণ, এই বিষয়টি আমাদের সবার মাথাই কাজ করে যে, এই মুরতাদ তাগুত সরকার অন্য সকল ফাঁসির আসামীকে মাফ করে দিলেও কোন মুজাহিদকে মাফ করবে না। হতে পারে এখানে এসে মুফতি সাহেবের অন্তরে দুনিয়াবী কোন জিনিসের মহব্বত উদয় হয়েছে! অথবা উনি হয়ত তাগুতদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন!
    তবে যত কিছুই হোক একজন মুজাহিদের অন্তরে শাহাদাতের কামনাতো সব কিছুর চেয়ে প্রিয় হওয়া দরকার ছিল। আমাদের জন্য এর চেয়ে বড় সফলতা আর কি হতে পারে!
    আল্লাহ ভাইকে মাফ করুন! উনার সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন এবং উনাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন!(আমীন)

  • #2
    মোহতারাম আখী, ধারনার উপর ভিত্তি করে একজনের উপর কলম ধরা অনেক বড় অন্যায়। আর যদি ব্যাক্তিটা এমন হয় যিনি আমার জন্মের আগে থেকেই মুজাহিদ তাহলে তো আরো ভয়ানক যে, আমরা তাদের উপর ধারনা বসে কথা বলব। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
    আপনি তো জানেনই যে, ফাসেকের কথা গ্রহনের অনুমতি থাকলেও কাফের মুরতাদের কথা গ্রহনের অনুমতিই নেই।
    আপনি একটু চিন্তা করুন তো! যেই আলেমকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে কিন্তু উনি ত্বাগুতের সামনে মাথা ঝুকান নি, একটা শব্দও বের করতে পারেন নি উনার ব্যপারে জঘন্য মুরতাদের কথার উপর ভিত্তি করে তোহমাত দেয়া কত বড় জুলুম!!!
    ভাই, আর কখন আমরা কুফফার মিডিয়ার কথাকে অহীর মত বিশ্বাস করা থেকে বের হয়ে আসব?
    Last edited by আবু মুহাম্মাদ; 04-10-2017, 09:15 AM.
    মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
    রোম- ৪৭

    Comment


    • #3
      যারা বর্তমান মিডিয়াকে বিশ্ব্যাস করে তাদের কথাকে আমরা কি ভাবে মেনে নিব?
      ان الدين عندالله الاسلام
      ইসলামই একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আমাদের সকল কে ভুক ধারনা থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন আমিন

        Comment


        • #5
          আখী আমারা যে নিউজ পাচ্ছি সেগুলো দালাল মিড়িয়ার খবর।। তাই প্রকৃত খবর তো আল্লাহই জানেন।। তিনি যদি না বলে থাকেন,,, তবে একজন মুজাহিদ এর বিরুদ্ধে কথা বলা তো মারাত্মক।। আল্লাহু আলাম।। তাই আমরা ভাল ধারনাই করবো ইনশাআল্লাহ।। তবে যদি বিশ্বস্ত সুত্র থেকে জানা যায় সেটা ভিন্ন কথা।।।
          ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
          কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
          যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
          নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


          ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ আবু মুহাম্মাদ ভাই! ঠিক বলেছেন। আমরা কি পরে কোনওভাবে জানতে পারবো না যে, উনি আসলে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলেন কি না? আশা করি, জানতে পারবো। তখন বলা যাবে। বিশেষ করে উনার পরিবারের কেউ শেষ সাক্ষাৎ করলে তো জানা যাবে।

            Comment


            • #7
              সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবী আমীর হয়ে মিশরে যাওয়ার শুরুর দিকে সেনাবাহিনীর যোগ্যতা যাচাই করার জন্য একদিন সামরিক মহড়ার আয়োজন করেন। ওই মহড়ায় মিশরের সেনাবাহিনীর তৎকালীন সেনাপতি কিছু নর্তকীকেও নিয়ে আসে। এমনকি এক নর্তকীকে সে সুলতানের হুজরাতে ঢুকাতেও সক্ষম হয়। সুলতানের এক রক্ষী এই ঘটনা দেখে দ্বিধায় পড়ে যান। পড়ে আলী বিন সুফিয়ান তাঁর দ্বিধা দূর করেন। কারণ এই ঘটনার রহস্য শুধু সুলতান, আলী বিন সুফিয়ান আর ওই নর্তকীই জানতেন।
              আশা করি আল্লাহ তায়ালা মুফতী সাহেবের ব্যাপারে আমাদের সব দ্বিধা দূর করবেন।
              Last edited by hadid_bd; 04-10-2017, 10:15 AM.

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ আবু মুহাম্মাদ ভাই! ঠিক বলেছেন।
                বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

                Comment


                • #9
                  আখি কিছু বলার নাই কারন অন্য অন্যান্য কমেন্ট পেয়ে আপনি নিশ্চয় ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে। শুধু এতটুকুই বলবো যে "প্রান ভিক্ষার" বিষয়টা সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে তাগুতরা আমাদের দুর্বল করার জন্য এইসব কথা ছড়াচ্ছে। আল্লাহ তার সকল মুজাহিদ বান্দাদের সবর করার তৌফীক দেন... আমীন!!!
                  আল-&#248হে রব আপনার যে প্রিয় বান্দারা জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে আপনার আরশের নিচে এসে ঘুমায় তাদের সাথী হবার তৌফীক দান করুন... আমীন ইয়া আরহামার রাহীম!!!

                  Comment


                  • #10
                    ভাই আবু মোহাম্মাদ! আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জাযাকাল্লাহ! আমিও উনার ব্যাপারে ভাল ধারণাই রাখার চেষ্টা করি। তবে এব্যাপারে অনেকেই প্রশ্ন করছে। আমার মনে হয় এই বিষয়টা ক্লিয়ার করা দরকার যে আমাদের জন্য তাগুতদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা শরিয়ত সম্মত নয়। যদি কেউ চায় আল্লাহ না করুন তাহলে তা দলিল হতে পারেনা।
                    আলেম ভাইদের নিকট আবেদন, আপনারা এই বিষয়টা নিয়ে কিছু লেখা লেখি করুন যাতে মাসয়ালাটা ক্লিয়ার হয়ে যায়।

                    Comment


                    • #11
                      ভাই জাজাকাল্লাহ

                      Comment


                      • #12
                        সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবী আমীর হয়ে মিশরে যাওয়ার শুরুর দিকে সেনাবাহিনীর যোগ্যতা যাচাই করার জন্য একদিন সামরিক মহড়ার আয়োজন করেন। ওই মহড়ায় মিশরের সেনাবাহিনীর তৎকালীন সেনাপতি কিছু নর্তকীকেও নিয়ে আসে। এমনকি এক নর্তকীকে সে সুলতানের হুজরাতে ঢুকাতেও সক্ষম হয়। সুলতানের এক রক্ষী এই ঘটনা দেখে দ্বিধায় পড়ে যান। পড়ে আলী বিন সুফিয়ান তাঁর দ্বিধা দূর করেন। কারণ এই ঘটনার রহস্য শুধু সুলতান, আলী বিন সুফিয়ান আর ওই নর্তকীই জানতেন।
                        আশা করি আল্লাহ তায়ালা মুফতী সাহেবের ব্যাপারে আমাদের সব দ্বিধা দূর করবেন।
                        ঠিক বলেছেন ভাই ।

                        Comment


                        • #13
                          অন্যান্য ভাইরা উক্ত বিষয়টির উপরে সুন্দর ভাবে যথেষ্ট বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

                          আমাদের সবার ই উচিৎ হয় - কলম ধরার আগে, বা কথা ব্যাক্ত করার আগে যথেষ্ট পরিমান চিন্তা করে নেয়া, সম্ভব হলে যিনি জানেন এমন কারো সাথে মাশোয়ারা করে নেয়া, দরকার হলে ইস্তিখারা করে নেয়া, এরপর ইতমিনান হলে মনের ভাব প্রকাশ করেন। কেন?

                          কারন আপনার কথার মুল্য আছে, হয়ত তা উম্মতের মধ্য থেকে কারো উপকার করবে অথবা কারো ক্ষতি করবে, আর যদি দুইটির কোনটিই না করে তবে সেটি তেমন বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত যার উপকার ও নাই, অপকারও নাই।

                          তবে খাস করে মুজাহিদিন দের ব্যাপারে কোন কথা বলার আগে খুব সতর্ক থাকা চাই, কারন চিন্তা করে দেখেন আমাদের আমির গন দাওলার এমন ফাসাদ যা প্রকাশ্যে উম্মাহর রক্ত ঝরাচ্ছিলো তাদের ফাসাদের ব্যাপারে কত দিন পরে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন? এখানে বেশ কিছু হিকমাহ আছে তবে একটি হচ্ছে এমন কথা বার্তা তে সবার আগে সাধারন মুসলিম বেশি কষ্ট পায় আর কাফের রা সবচেয়ে বেশি খুশি হয়!

                          আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন।
                          মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by bokhtiar
                            হুজুরকে ছাড়ানোর জন্য এখনোও যেহেতু চেষ্টা অব্যাহত, এর উপর ভিত্তি করে বলা যায় হুজুর এখনোও মুজাহিদ হিসেবেই সমাজে আছেন। ঐত কিছুদিন পূর্বে হুজুরকে মুক্ত করার জন্য হুজি ভাইয়েরা চেষ্টা করেছেন।
                            আমি আল্লাহর কাছে দোওয়া করি আল্লাহ হুজুরের সমস্ত ইখলাস পূর্ণ আলমগুলোকে আপনি কবুল করুন।
                            পত্রিকায় দেখলাম - আনসার আল ইসলামের ভাইরা এই প্রচেষ্টার সাথে জড়িত ছিলেন। আল্লাহু আ'লাম।
                            কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                            Comment


                            • #15
                              ভাই একথা তো বাস্তব... শায়খ হাফিজাহুল্লাহকে কন্ডেম সেলে রেখে উনার নামে যা ইচ্ছা তা ছড়ানো সম্ভব!! এবং এটাই হচ্ছে! কাফির-মুরতাদদের এই পলিসি বহু পুরনো...

                              মুজাহিদিনদের ক্যরাক্টার এসাসিনদের জন্য বানর-কুকুরদের উত্তরসূরিরা শায়খ আওলাকি রহঃ কে প্রস্টিটীউট সলিটেশনের কেস দিয়েছিল। শায়খ উসামা রহঃ কে বাজে ফিল্ম দেখার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল...

                              আর মুরতাদের তো এরচেয়েও নিকৃষ্ট!!!

                              আল্লাহ তা'আলা যেন মুফতি সাহেবের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আমিন!

                              Comment

                              Working...
                              X