Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের ফজীলত : পর্ব-১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদের ফজীলত : পর্ব-১

    সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবঃ জন্য । আমরা কেবলমাত্র তাঁরই প্রশংসা করি , তাঁর কাছেই সাহায্য চাই , তাঁর কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর কাছেই হেদায়েত চাই । রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক রহমতের নবী , তাওবার নবী , যোদ্ধের নবী এবং তরবারির নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর । যার জীবনীতে রয়েছে মানবজাতির সফলতা আর কামিয়াবি ।

    মুসলিম জাতীর কল্যাণের জন্য আল্লাহ সুবঃ এই জাতীর উপর জিহাদকে ফরজ করেছনে, যদিও তা অনেকের কাছে অপছন্দনীয় ।আর এই জিহাদের রয়েছে অনেক ফজিলত কুরআন ও হাদীসে । আমরা জিহাদের কিছু ফজিলত নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ ।


    *জিহাদের মাধ্যমে জান্নাত বেচাকেনা হয় ,

    আল্লাহ সুবঃ বলেন ,

    “ নিশ্চয় আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ; এর বিনিময়ে যে , অবশ্যই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত । তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে, কখনও হত্যা করে এবং কখনও নিহত হয় । তাওরাত , ইনজীল এবং কোরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে । নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহর চাইতে শ্রেষ্ঠ আর কে আছে ? সুতরাং তোমরা আনন্দ কর তোমাদের সে সওদার জন্য যা তোমরা তাঁর সাথে করেছ আর এটাই হল বিরাট সাফল্য” । (সূরা তাওবা আয়াত ১১১)

    এ আয়াতে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ । তা হচ্ছে বেচা-কেনা করতে হলে চারটি জিনিসের প্রয়োজন (১) ক্রেতা (২) বিক্রেতা (৩) পণ্য (৪) মূল্য ।
    এখানে আল্লাহ সুবঃ নিজে হচ্ছেন ক্রেতা আর মুমিনগণ হচ্ছেন বিক্রেতা , মুমিনের জান-মাল হল পণ্য এবং জান্নাত হচ্ছে বিনিময় । আর এ কথা পরিষ্কার যে , বিক্রিত পণ্য বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বেশি তাই সে তা মূল্য দিয়ে ক্রয় করা থাকে । বুঝা গেল যে আল্লাহর কাছে মুমিনদের জান-মাল কত গুরুত্বপূর্ণ অথচ প্রকৃত পক্ষে এগুলোর মালিক পূর্ব থেকেই আল্লাহ সুবঃ নিজেই । শুধুমাত্র জিহাদের ময়দানে আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল ব্যয় করার গুরুত্ব এবং ফজীলত বয়ান করার জন্যই নিজে ক্রেতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন ।

    বেচা-কেনার সময় মালের কোয়ালিটি উল্লেখ করা হয়ে থাকে ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ সুবঃ-ও মুমিনদের থেকে যে পণ্য ক্রয় করেছেন (মুমিনদের জান-মাল ) তার কোয়ালিটি উল্লেখ করেছেন । আল্লাহ সুবঃ বলেন

    অর্থ, “তারা তাওবাকারী , ইবাদতকারী , আল্লাহর প্রশংসাকারী , সিয়াম পালনকারী , রুকুকারী , সিজদাকারী , সৎকাজের আদেশদাতা , অসৎকাজের নিষেধকারী এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা হেফাযতকারী । আর মুমিনদেরকে তুমি সুসংবাদ দাও”। (সূরা তাওবা আয়াত ১১২)
    তাহলে বুঝা গেল যাদের মাঝে এই গুনগোলী থাকবে সেই সকল লোকদের জান-মাল আল্লাহ সুবঃ ক্রয় করবেন ।


    *যারা জিহাদ করে তারা সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ।

    আল্লাহ সুবঃ বলেন

    অর্থ, “ সমান নয় সেসব মুমিন যারা বিনা ওজরে ঘরে বসে থাকে এবং ঐসব মুমিন যারা আল্লাহর পথে নিজেদের জানমাল দিয়ে জিহাদ করে । যারা স্বীয় জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের উপর যারা বসে থাকে । আর প্রত্যেককেই আল্লাহর কল্যাণের ওয়াদা করেছেন । আল্লাহ মুজাহিদীনদের মহান পুরষ্কারে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপরে । এসব তার পক্ষ থেকে মর্যাদা ক্ষমা ও রহমত । আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু” । ( সূরা নিসা আয়াত ৯৫-৯৬)


    *আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা পুরষ্কারের অঙ্গিকার ।

    আল্লাহ সুবঃ বলেন
    অর্থ , “সুতরাং যারা ইহকালের বিনিময়ে পরকাল ক্রয় করেছে তারা যেন আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে । আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে তারপর সে নিহত হোক বা বিজয়ী হোক অবশ্যই আমি তাকে দান করব মহা পুরস্কার” । ( সূরা নিসা আয়াত ৭৪ )


    *আল্লাহ দয়া ও সন্তুষ্টির আঙ্গিকার

    আল্লাহ সুবঃ বলেন

    অর্থ, “যারা ঈমান এনেছে হিজরত করেছে এবং নিজেদের জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ । আর তারাই প্রকৃত সফলকাম । তাদের রব তাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন স্বীয় অনুগ্রহের ও সন্তোষের এবং জান্নাতের যার মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী নিয়ামত । তারা সেখানে অনন্তকাল থাকবে নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার” । ( সূরা তাওবা আয়াত ২০-২২ )

    চলবে ইনশাআল্লাহ...

  • #2
    অনেক সুন্দর হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্*।

    Comment


    • #3
      جزاك الله....اخى
      كتب عليكم القتال وهو كره لكم

      Comment

      Working...
      X