Announcement

Collapse
No announcement yet.

পহেলা বৈশাখ হয়ে গেছে ক্লিনিক্যালী ডেড। কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পহেলা বৈশাখ হয়ে গেছে ক্লিনিক্যালী ডেড। কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছ


    এবার পহেলা বৈশাখে সবার একটা কথাই ছিলো- ঢাকা ফাঁকা কেন ? মানুষজন এত কম কেন ??
    একজন বললো, আজকে নাকি সিএনজি চালক সাধারণ থেকে আরো কম ভাড়া নিয়েছে, কারণ প্যাসেঞ্জার কম ছিলো। এনটিভি খররে এসেছে- ফাঁকা ফাঁকা বৈশাখ
    বিস্তারিত বলা হয়- এবার পয়লা বৈশাখে ব্যবসায় লোকসান হবে মনে হয়। এখন পর্যন্ত একটা কিছুই বিক্রি করতে পারিনি। প্রচণ্ড রোদের তাপে দোকানেও ঠিকমতো বসতে পারছি না। এবারের বৈশাখ দেখে মনে হচ্ছে ফাঁকা ফাঁকা বৈশাখ।’
    খেলনাসহ বিভিন্ন ছোটখাটো জিনিস নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে বসেন আলমগীর হোসেন। পয়লা বৈশাখে ব্যবসা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে এভাবেই অভিজ্ঞতার কথা বলেন তিনি।
    ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর ডেমরা থাকেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তিনি এ ব্যবসা করেন। তিনি জানালেন, অন্য বছরের পয়লা বৈশাখের তুলনায় এবার ব্যবসায় লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। কারণ লোকজন বেশ কম।
    আজ পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীবাসীর অনেকেই খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সকাল ১০টার পর থেকে অনেকেই বাসায় ফিরতে শুরু করেন। (http://bit.ly/2ouSqiC)

    কেউ কেউ হয়ত গরমকে দায়ি করে, কিন্তু প্রতি পহেলা বৈশাখেই গরম থাকে, কিন্তু এবার কেন গরমের প্রভাব পড়লো। অনেকে অবশ্য বলেছে, আজ জুমার দিন- দুপুরের পর বেড়িয়েছে। আমি বলি- আরে ভাই জনবহুল ঢাকা প্রতি ছুটির দিনেই ভীড় থাকে। আর ছুটি পেলে তো এমনি কপোত-কপোতিদের ভ্যালেন্টাইন ডে হয়ে যায়, কিন্তু পহেলা বৈশাখে কথিত চেতনার যে ভীড় দেখার কথা ছিলো সেটা মোটেও ছিলো না।

    তবে কি পহেলা বৈশাখী চেতনার পরাজয় ঘটেছে, যেটুকু বেচে আছে, তার সবটাই সরকারী বাধ্যবাধকতা, নোটিশ দেয়ার ফসল ? পহেলা বৈশাখের চেতনাহীনতার কারণে এর সৃষ্টিকর্তা রবীন্দ্রধর্মের অনুসারি সানজিদা খাতুন তো স্বীকারই করে নিয়েছে- পহেলা বৈশাখ এখন বেসুরো তার কাছে (http://bit.ly/2pBmubF)।

    আসলে যেকোন মতবাদ সমাজে থাকা টিকে থাকে একটি আদর্শের উপর, চেতনার ভিত্তির উপর। আর পহেলা বৈশাখ যেহেতু জাতীয় উতসব হিসেবে দাড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তাই সেটাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আবশ্যক। কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে, এতদিন পহেলা বৈশাখের যে চেতনার কথা তাদের শোনানো হয়েছে তা ভুয়া, সব গোজামিলা। পহেলা বৈশাখ বলে বাঙালীর সার্বজনীন কোন উতসব নেই (হিন্দু বাঙালীর থাকতে পারে)। পহেলা বৈশাখ মোটেও হাজার বছরের অনুষ্ঠান নয়, মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের দেবদেবীর কাছে প্রার্থনা, রমনার অনুষ্ঠান হাজার নয় মাত্র ৫০ বছর আাগের সৃষ্টি, বেশিরভাগ কালচার চারুকলা আর ছায়ানটের আবিষ্কার, যার সথে আপামর জনসাধারণের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই।

    আপনি এখনও আমার কথা বিরোধীতা করতে পারেন। বলতে পারেন- না এখনও অনেক লোক পহেলা বৈশাখের সাথে আছে। আমি বলবো- ওরা হুজুগে পাবলিক। ওদের কাছে পহেলা বৈশাখ আর ভালেন্টাইন ডে‘র মধ্যে তফাত নেই, ছুটি পেলেই ওরা ঘুড়তে বেড়োয়। ওরা কিছুই বোঝে না। কিন্তু সচেতন লোকগুলো পহেলা বৈশাখ থেকে সরে এসেছে। এর প্রমাণ ফেসবুকের পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিভিন্ন নিউজগুলো কমেন্ট দেখুন। হাজার মানুষ পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে কমেন্ট করছে। একটা মানুষ যখন ফেসবুকে বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট করতে পারে, তখন তাকে সচেতন হিসেবেই ধরে নেয়া যায়। ঐ সচেতন মহল কিন্তু পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে চলে গেছে, শুধু গেছে বললে ভুল হবে- খুব বেশি পরিমাণে চলে গেছে। কোন একটি জাতীর বিরাট সচেতন মহল যখন কোন দিবসের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন ঐ দিবসটি আর জাতীয় দিবস থাকতে পারে না। আপনি আইন-শৃঙ্খলা-নোটিশ দিয়ে কিছুদিন হয়ত টিকিয়ে রাখতে পারেন, মিডিয়ার ক্যামেরা ভীড়ের মধ্যে ফোকাস করতে পারেন। কিন্তু শক্তিদিয়ে সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখা যায় না। তাই অবলীলায় বলা যায়- পহেলা বৈশাখ ইজ ক্লিনিক্যালী ডেড, নাউ ইটস জাস্ট এ ম্যাটার অফ টাইম ফর ইটস ডেথ ডিক্লিয়ারেশন ।
    উল্লেখ্য সম্মানিত উলামায়ে কেরামের ফাতাওয়া এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।

  • #2
    সুন্দর...........
    كتب عليكم القتال وهو كره لكم

    Comment


    • #3
      alhamdulillah

      Comment

      Working...
      X