Announcement

Collapse
No announcement yet.

فرسان নবীজীর ঝাণ্ডার নিচে ঘোড়সওয়ারেরা - শায়েখ যাওয়াহিরি হাফিঃ ১ম অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • فرسان নবীজীর ঝাণ্ডার নিচে ঘোড়সওয়ারেরা - শায়েখ যাওয়াহিরি হাফিঃ ১ম অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ



    প্রথম অধ্যায়


    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    ইয়াহিয়া হাশিমের ঘটনা



    مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّـهَ عَلَيْهِ ۖ فَمِنْهُم مَّن قَضَىٰ نَحْبَهُ وَمِنْهُم مَّن يَنتَظِرُ ۖ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا ﴿٢٣

    মুমিনদের
    মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণকরেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তনকরেনি।(সূরা আহযাব ২৩)

    যদি আমি বেঁচে থাকি, তাহলে খাদ্য থেকে বঞ্চিত হবো না।
    আর যদি মারা যাই, তাহলে কবর থেকে বঞ্চিত হবো না।
    আমার হিম্মত বাদশাহদের হিম্মত, আমার সত্ত্বা স্বাধীন সত্ত্বা,
    যে কুফরীকে সর্বদা অপদস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। (ইমাম শাফেয়ী র.)


    টেকনিক্যাল মিলিটারি অপারেশনই সেসময়কার একমাত্র অপারেশন ছিল না। এই অপারেশনের বেশ কয়েক মাস পর ইয়াহিয়া হাশিম আল মিনিয়া পর্বতমালায় একটা গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করেন। অবশ্য এই প্রচেষ্টাও সফল হয়নি, কারণ এই ধরণের যুদ্ধে সাফল্য অর্জনের জন্য যে ধরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়, এখানে তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এতে অবশ্য একটা ইঙ্গিত এটাও ছিল যে, ইসলামী আন্দোলনের আদর্শে একটা পরিবর্তন এখন বাস্তব সত্য। আর এ সত্যও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এসময়কার মুসলিম তরুণেরা আর মোটেও ১৯৪০ এর দশকের তরুণদের মত নয়


    ইয়াহিয়া হাশিম ছিলেন মিশরে জিহাদের একজন অগ্রদূত। এই খেতাবটা তার নামের সাথে জুড়ে গিয়েছিল। আল্লাহ তাকে একটি গর্বিত হৃদয় এবং উচ্চ মনোবল দান করেছিলেন। যা তাকে সাহায্য করেছিল এই মিথ্যা জগতের সবকিছু উপেক্ষা করে, এ সবকিছুকে ত্যাগ করতে। তার আরেকটি ভাল গুণ ছিল, তিনি যা বিশ্বাস করতেন তার প্রতি তার প্রচণ্ড উদ্যম। তার ছিল (আল্লাহ তাকে রহম করুন) এমন একটা বিশুদ্ধ হৃদয় , যা তার মুসলিম ভাইদের জন্য ছিল সহমর্মী।

    সেসময় ইয়াহিয়া হাশিম একজন প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যা তরুণদের কাছে ছিল খুবই লোভনীয় একটা পদ। কিন্তু তিনি এই পদ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। আল্লাহর রাহে এই পদ এবং ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার সবকিছুই বিসর্জন দিতে তিনি সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন।


    আমি ইয়াহিয়া হাশিম এবং তার গ্রুপের সাথে প্রথম পরিচিত হই, ১৯৬৭ সালের জুনের পরাজয়ের পর।


    তিনি আমাদের সাথে যেভাবে যোগদান করেন তা ছিল একটি অনন্য ঘটনা। সেসময় দেশের সর্বত্র বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এবং শ্রমিকেরা নির্বিচারে বিক্ষোভ করছিল, যারা ইসরাইলী সেনাবাহিনীর সামনে থেকে নাসেরি সরকার এবং তার সেনাবাহিনীর পশ্চাদপসরণের ভুক্তভোগী ছিল। সেসময়কার সবচেয়ে শক্তিশালী আরব সেনাবাহিনী পরাজিত হয়েছিল, যার নেতা (জামাল আব্দুন নাসের) প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইসরাইল এবং তার সমর্থকদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করার জন্য। এই বিশাল সেনাবাহিনীর অবশিষ্ট অংশ তখন সিনাই মরুভূমিতে ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হাত থেকে পালাবার পথ খুজে বেড়াচ্ছিল। আর তাদের বিমানবাহিনীকে তো টেক অফ করার আগে ভুমিতেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল।



    আল হুসেইন মসজিদ থেকে আল জিহাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন

    আমরা ইমাম আল হুসেইনের (আল্লাহ তাকে রহম করুন) মসজিদ থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল বের করে আল-আজহার স্ট্রিট দিয়ে এগিয়ে কায়রোর কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং হুলওয়ান শিল্প এলাকার শ্রমিকদের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিই।


    আমরা জুমুয়ার নামাযের জন্য ইমাম আল-হুসাইন মসজিদে গিয়েছিলাম। আমরা মসজিদের বিভিন্ন কোণে নিজেদের ছড়িয়ে দিলাম। নামাজের পর ইয়াহিয়া হাশিম দাড়িয়ে যান এবং লোকদের সম্বোধন করে এই পরাজয়ের ফলে মুসলিম উম্মাহ যেভাবে ভুক্তভোগী হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করেন। আমরা আল্লাহু আকবর ডাকের সাথে তার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলাম। কিন্তু এধরনের ঘটনার জন্য গোয়েন্দারাও প্রস্তুত ছিল। ছদ্মবেশী এজেন্টরা তাকে ঘিরে ফেললো এবং জোর করে তাকে মসজিদের বাহিরে নেয়ার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু করল। লোকজন তার এই সাহস দেখে বিস্মিত হয়েছিল, যা তারা আব্দুন নাসিরের আমলে আর দেখেনি। কিন্তু এজেন্টরা তাকে যখন চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে ধাক্কিয়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে তখনও ইয়াহিয়া তার জোর কণ্ঠে চিৎকার করে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মসজিদের বাইরের চত্বরে এসেও তার ভাষণ চালিয়ে যেতে থাকেন।


    তখন ছদ্মবেশী এজেন্টরা তাকে নীরব করার জন্য একটা কৌশলের আশ্রয় নিল। তাদের একজন তার ঘাড় ধরে বলতে থাকল," তুমি চোর, তুমি আমার মানিব্যাগ চুরি করেছ।" ঐ এজেন্ট তখন ইয়াহিয়ার চেয়েও জোরে চিৎকার দিচ্ছিল। এরপর তারা তাকে ঠেলে মসজিদের পাশের একটি ফার্মেসীতে ঢুকিয়ে তা বন্ধ করে দিল। কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি এসে তাকে হাসান তালাতের কাছে নিয়ে গেল। হাসান তালাত ছিল সে সময় জেনারেল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর।


    নাসেরি সরকার ছিল সেসময় বিভ্রান্ত এবং দুর্বল। তাদের নিরাপত্তা বাহিনী ঐ পরিস্থিতিতে তাদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারছিল না। তারা ছিল তখন দুই দাবানলের মাঝখানে- একদিকে ছিল পচা ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব যারা পরাজয়ের কলঙ্কে পক্ষাঘাতগ্রস্ত, অন্যদিকে ছিল একটা জনপ্রতিরোধ যারা ভয়ের বাধন ভেঙে প্রতিরোধ ও প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীকে বিস্মিত করেছিল একটি নতুন এবং অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সম্মুখীন করে। জিআইডি ভবনে তারা ইয়াহিয়াকে প্রচন্ডভাবে মেরে তাকে জিআইডি ডিরেক্টর হাসান তালাতের কাছে নিয়ে গেল।


    ইয়াহিয়া হাশিম পরবর্তীতে হাসান তালাতের অফিসে হওয়া এই ইন্টারভিউ এবং যে উভয়সংকটে শাসকগোষ্ঠী এসময় পড়েছিল তা সম্পর্কে আমাদের বলেছিলেন। জনগণের ক্ষোভ এসময় বিচারব্যবস্থাতেও পৌঁছে যায়। জিআইডি ডিরেক্টরের সামনে ছিলেন এসময় একজন কর্মরত প্রসিকিউটর (ইয়াহিয়া হাশিম) যাকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য বিচার করা যাবে না। এসময় সারা দেশ ছিল একটা জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মত, যা জিআইডি ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বাভাবিক পদ্ধতি, বিশেষত মুসলিমদের উপর যা তিনি অবলম্বন করতেন তা অবলম্বনে বাধা দিচ্ছিল


    হাসান তালাত ইয়াহিয়া হাশিমের সামনে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল, বারবার সে নিজেকে একজন সাচ্চা মুসলিম হিসেবে দাবি করতে লাগল, যে ইসলামের প্রতিরক্ষায় নিজেকে সম্পূর্ণ নিয়োজিত করেছে। অথচ তার এই পদোন্নতি ছিল মুসলমানদের রক্ত ও লাশের বিনিময়, যার মাধ্যমে সে শাসকদের সন্তুষ্ট করেছিল। কিন্তু ইয়াহিয়া হাশিম তাকে সিংহের মতই আক্রমণ করে, তার দাবীগুলোকে খণ্ডন করছিলেন। হাসান তালাতের অফিসের দেয়ালে একটা ফ্রেমে আল্লাহর নাম বাঁধাই করা ছিল। ইয়াহিয়া তাকে বললেন, "কেন তুমি এই ফ্রেমটাকে এখানে রেখেছো যখন তুমি আল্লাহকে জানোই না?"


    সরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে পশ্চাদপসরণে বাধ্য হল আর তাদের ভাল না লাগলেও কোন শর্তছাড়াই তারা ইয়াহিয়া হাশিমকে মুক্তি দিতে বাধ্য হল।


    সেসময় ইমাম আল হুসেইন মসজিদের এই বিক্ষোভ ছিল আসলে একটা আবেগের বিস্ফোরণের মত।


    ইয়াহিয়া হাশিম মুসলিমদের সরকারের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলা এবং জিহাদের দিকে তাদের আহ্বান করার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না। তার এই কার্যক্রম আব্দুন নাসেরের মৃত্যু এবং আল সাদাতের আমলের শুরুর দিকে মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যরা কারাগার থেকে ক্রমান্বয়ে মুক্তি পাওয়ার কারণে কিছু সুবিধা পায়।


    ইয়াহিয়া হাশিম বেশ কয়েকজন ব্রাদারহুড নেতার সাথে দেখা করেন। তার বিশুদ্ধ ভাবমূর্তি এবং শক্তিশালী আবেগ থাকার দরুন তিনি এমনভাবে তাদের সাথে আচরণ করেন যেন তারা ইসলামী আন্দোলনের বৈধ নেতা।


    তিনি আমাদের কাছে কাজের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বলেছিলেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই ছিল যে, নেতৃত্ব হবে তাদের মধ্য থেকে, কিন্তু আমাদের কোন দলের দ্বারা কোন সমস্যার উদ্ভব হলে তার দায়দায়িত্ব তারা নিবেন না। আমি ইয়াহিয়াকে বলেছিলাম, "এটা তো একটা সুবিধাবাদী মনোভাব। তারা শুধুমাত্র ভাল জিনিসগুলোই চায়, অথচ খারাপ জিনিস থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকবে!!"


    কিন্তু ইয়াহিয়া ব্রাদারহুডের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা এবং বিশ্বাসের কারণে কোন কথাই শুনতে রাজি ছিলেন না। যাইহোক, আল্লাহর ইচ্ছা এটাই ছিল যে, তিনি একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আসল সত্য আবিষ্কার করবেন। তার এক ভাই (সাথী) একটি নিরাপত্তা জনিত সমস্যায় জড়িয়ে পড়ল। এজন্যে তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন দেখা দিল। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইয়াহিয়া ব্রাদারহুডের নেতাদের কাছে গেলেন। কিন্তু তাদের উত্তর তাকে মর্মাহত করল। তারা তাকে বলল তিনি যেন ঐ ভাইকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করেন এবং তাকে কোন সাহায্য না করেন। এটা ইয়াহিয়া মেনে নিতে পারলেন না এবং তিনি ব্রাদারহুডের সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। ইয়াহিয়া ঐ ভাইয়ের দেখাশোনা ততদিন অব্যাহত রাখেন যতদিন না তাকে কোন নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।


    টেকনিক্যাল মিলিটারি কলেজের ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৭৪ সালে। এই বিদ্রোহে ইয়াহিয়া হাশিমের সহানুভূতি ছিল এবং তিনি এর খবরাখবর প্রথম থেকেই অনুসরণ করছিলেন। সেসময়ই তিনি প্রথম সরকারের সঙ্গে একটি সশস্ত্র সংঘাত শুরু করার চিন্তা করেন তিনি প্রথমে তার ঘনিষ্ঠ লোকদের একটি গেরিলা যুদ্ধ শুরুর আহ্বান করেন। তিনি আমার কাছেও এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, কিন্তু আমি এটা সমর্থন করিনি। আমি তাকে বলেছিলাম এই দেশের ভূখণ্ড এধরণের যুদ্ধের জন্য উপযোগী নয়। আমি গেরিলা যুদ্ধরীতি নিয়ে লেখা একটা বইও তাকে দিয়েছিলাম।


    কিন্তু এই চিন্তাধারায় তিনি এবং বেশ কিছু ভাই প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া হাশিম এরপর টেকনিক্যাল মিলিটারি কলেজের ঘটনায় অভিযুক্ত বেশ কিছু ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। এরপর তিনি ঐ ভাইরা যাতে পালিয়ে যেতে পারে এজন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করেন। যা তার ডেপুটি প্রসিকিউটর পদকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিল। এই পরিকল্পনায় ছিল মূলত একটি মিথ্যা আদেশ প্রস্তুত করা, যার বিষয়বস্তু ছিল ঐ ভাইদের এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা এবং এই স্থানান্তরের সময় যেন তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু ছদ্মবেশী এজেন্টরা কোর্টরুমে এক অভিযুক্ত ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া একটি চিঠির মাধ্যমে এই পরিকল্পনা জেনে যায়। এই চিঠি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা জানার পর পরই ইয়াহিয়া হাশিম পালিয়ে যাওয়ার এবং তার ব্যাক্তিগত গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।


    ইয়াহিয়া হাশিম এবং তার সহযোদ্ধারা পালিয়ে মরুভুমি সংলগ্ন আল-মিনিয়া প্রদেশের একটি পাহাড়ি অঞ্চলে চলে আসেন। তারা কিছু অস্ত্র ক্রয় করেন এবং পাহাড়ের উপর এমনভাবে অবস্থান গ্রহণ করেন যেন তারা একটা সামরিক ইউনিট। কিন্তু পার্শ্ববর্তী গ্রামের মেয়র তাদেরকে সন্দেহ করে বসে এবং পুলিশকে তাদের সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। পুলিশ এসে তাদের আক্রমণ করে এবং তাদের অ্যামুনিশন ফুরিয়ে যাওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করে। ইয়াহিয়া হাশিম ইউনিট কমান্ডারের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে গেলে সে তার দিকে গুলি ছুড়ে মারে, এতে তিনি নিহত হন। এটাই ছিল ইয়াহিয়া হাশিমের গল্প। যিনি ছিলেন সত্যিকারভাবেই জিহাদের একজন অগ্রপথিক। যিনি তার বিশ্বাসের খাতিরে নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন।

  • #2
    সুবহানাল্লাহ। চমৎকার অনুবাদ। আল্লাহ আপনার ইলম্ এর মধ্যে বারাকাহ দান করুন। জিহাদের পথে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। পরিশেষে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ! খুব সুন্দর অনুবাদ।
        আমরা অনেক ভাইয়েরা-ই "ফুরসানু তাহতা রায়াতিন নাবী" বইটার বাংলা খুঁজছিলাম...। আজ কিছুটা পেলাম আলহামদুলিল্লাহ। পুরো বইটির বাংলা অনুবাদ কি করা হয়েছে? বা মুহতারাম ইবন যিয়াদ ভাই কতটুকুর অনুবাদ করেছেন?
        জাযাকাল্লাহু খাইরান।
        আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
        জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
        বিইযনিল্লাহ!

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা মুহতারাম ইবন যিয়াদ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ নসীব করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            Originally posted by বদর মানসুর View Post
            মাশাআল্লাহ! খুব সুন্দর অনুবাদ।
            আমরা অনেক ভাইয়েরা-ই "ফুরসানু তাহতা রায়াতিন নাবী" বইটার বাংলা খুঁজছিলাম...। আজ কিছুটা পেলাম আলহামদুলিল্লাহ। পুরো বইটির বাংলা অনুবাদ কি করা হয়েছে? বা মুহতারাম ইবন যিয়াদ ভাই কতটুকুর অনুবাদ করেছেন?
            জাযাকাল্লাহু খাইরান।
            মুহতারাম ভাই, বইটা ৫০০পৃষ্ঠার উপরে। আমি প্রায় ত্রিশ পৃষ্ঠা বা তারচেয়ে কিছু বেশি অনুবাদ করেছিলাম। এরপর বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে কাজটা আর কনটিনিউ করতে পারিনি। পরবর্তীতে আবার শুরু করতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। তবে খুশির বিষয় হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ অন্য এক ভাই পুরোটাই নাকি অনুবাদ করেছেন। মুহতারাম সালাহুদ্দিন ভাই ওনার আইডি দিয়ে পর্যায়ক্রমে পুরো বইটার অনুবাদ আপলোড করছেন ফোরামে। কিছুদিনের মধ্যে পিডিএফও হয়তো চলে আসবে।
            আরেকটা বিষয়, আমি যে কাজটা শুরু করে মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছিলাম, এতে আমার নিজের ভিতর কিছুটা অপরাধবোধ কাজ করত। এখন কাজটা আরেক ভাই করে ফেলাতে মনটা অনেক হালকা হয়ে গেছে। আবার একটু দুঃখ হচ্ছে যে, এই কাজটা আমার করার কথা ছিল। কিন্তু আমার অলসতার কারণে আমি দ্বীনের কাজ থেকে মাহরুম হয়েছি। আল্লাহ তাআলার ইসতিবদালের সুন্নাহ এখানে বাস্তবায়ন হয়েছে। এটা সবার জন্য একটা শিক্ষা।

            Comment


            • #7
              Originally posted by abu ahmad View Post
              আল্লাহ তা‘আলা মুহতারাম ইবন যিয়াদ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ নসীব করুন। আমীন
              আমিন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের কাজের জন্য কবুল করুন।

              Comment

              Working...
              X