Announcement

Collapse
No announcement yet.

কওমী উলামাদের সমালোচনার ব্যাপারে ইনসাফ বজায় রাখি!

Collapse
This topic is closed.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কওমী উলামাদের সমালোচনার ব্যাপারে ইনসাফ বজায় রাখি!


    ইদানিং কওমী উলামাদের সমালোচনা খুব হচ্ছে। অবশ্য সমালোচিত হওয়ার মতো কাজ তারা করেছেন অবশ্যই । তবে সমালোচনার ক্ষেত্রে ইনসাফ অবশ্যই বজায় রাখা চাই। কওমী উলামাদের এমনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে যেন বাকি সকলেই হকের উপর আছে, সকলেই জিহাদের পথে আছে আর কওমীর উলামারাই শুধু গোমরাহিতে নিপতিত। যেন তারাই জিহাদের পথে একমাত্র কাঁটা।


    কওমী উলামারা গোমরাহিতে আছেন; তারা জিহাদের পথে বাধা দিচ্ছেন- এসব কিছুই সত্য। কিন্তু জিজ্ঞেস করি, এদেশের জিহাদের কাজটা যারা শরয়ী পন্থায় চালিয়ে নিচ্ছেন তারা কি আসমান থেকে নেমে এসেছেন? না’কি তারা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সত্য দ্বীন শিখেছেন? না’কি স্কুল-কলেজ থেকে? না’কি মায়ের পেট থেকে?


    দু’চার জন হকপন্থী আলেম-উলামা যারা আছেন, দু’চার জন জিহাদের পথে কুরবানী দাতা আলেম যারা আছেন- তারা তো এ কওমী মাদ্রাসারই সন্তান। এখান থেকেই তারা সহীহ দ্বীন শিখেছেন। কওমী মাদ্রাসার এই লোকগুলো যদি জীবন কুরবানী না দিতেন তাহলে আমাদের দেশে সহীহ জিহাদ শুরু হতো বলে মনে হয় না। আর বর্তমানে কাজ যতটুকু চলছে তার সহীহ রাহনুমায়ী কারা করছেন? এই কওমী মাদ্রাসার আলেম উলামাই তো। তাগুতদের হাতে যেসকল আলেম গ্রেফতার হয়ে অমানবিক নির্যাতন ভোগ করছেন তারা তো এই কওমী মাদ্রাসারই সন্তান। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদের যিনি আমীর তিনিও তো এই কওমী মাদ্রাসারই সন্তান।


    আল্লাহ না করুন, আমারতো মনে হয়, কওমী মাদ্রাসার আলেম-উলামারা দু’চার দিন তাদের জিহাদী কার্যাক্রম ও রাহনুমায়ী বন্ধ রাখলে এদেশের জিহাদী দলগুলো দাওলার চেয়েও ভয়ংকর গোমরাহিতে নিপতিত হবে।


    কেউ কেউ হয়তো আমাকে স্বজনপ্রীতির অপবাদ দিতে পারেন যে, তিনি কওমী সন্তান বলে কওমী আলেমদের পক্ষে কথা বলছেন। আসলে একটু চিন্তা করে দেখুন, কথাগুলো স্বজনপ্রীতি কি’না! না বলে পারছি না বলেই বলছি। ভুল হলে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন। হেদায়াতের রাস্তা দেখান। কিন্তু কওমী আলেম উলামাকে নিয়ে যে ধরণের মন্তব্য করা হচ্ছে তার পরিণাম শুধু মনের ঝাল মিটানো ছাড়া আর ভাল কিছু হবে বলে মনে হয় না।

    হে আল্লাহ! আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান কর! তোমার দ্বীনের পথে কায়েম রাখ।



  • #2
    জাঝাকুমুল্লাহ শায়েখ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। আসলে বর্তমানে মাদারেসে কওমিয়্যাহর দুর্দশা দেখে হৃদয়টা হাহাকার করে উঠেছে। সবচে' কষ্ট লাগে আমাদের শায়েখদের (যারা কওমি মাদরাসা থেকে জিহাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বা জিহাদের পথে এগিয়ে আসছেন) থেকে আধুনিক দেওবন্দি উলামারা বারাআত ঘোষণা করছে, মাদরাসা থেকে বহিস্কার করছে। অবশ্যই উপমহাদেশের মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকে থাকা ও এখনো তাওহীদের সাক্ষ্য প্রদান করতে পারার পিছনে পীর- বুজুর্গ ও উলামায়ে দেওবন্দ ও তাদের অনুসারীদের অবদান রয়েছে। ইতিহাস যার নীরব সাক্ষী।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ শায়েখ

      Comment


      • #4
        সুন্দর পরামর্শ শাইখ। আমাদের জবানের ব্যাপারে যন্ত্রবান হওয়া উচিত
        বিজয় তো এসেই গেছে

        Comment


        • #5
          Originally posted by ahmad al-hindi View Post

          ইদানিং কওমী উলামাদের সমালোচনা খুব হচ্ছে। অবশ্য সমালোচিত হওয়ার মতো কাজ তারা করেছেন অবশ্যই । তবে সমালোচনার ক্ষেত্রে ইনসাফ অবশ্যই বজায় রাখা চাই। কওমী উলামাদের এমনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে যেন বাকি সকলেই হকের উপর আছে, সকলেই জিহাদের পথে আছে আর কওমীর উলামারাই শুধু গোমরাহিতে নিপতিত। যেন তারাই জিহাদের পথে একমাত্র কাঁটা।
          এরকম আসলে না মনে হয়। আসলে যে ব্যক্তি ১০টাকার আমানতের খিয়ানত করে আর যে ব্যক্তি ১কোটি টাকার খিয়ানত করে উভয়ের আলোচনা একরকম না হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।


          Originally posted by ahmad al-hindi View Post

          কওমী উলামারা গোমরাহিতে আছেন; তারা জিহাদের পথে বাধা দিচ্ছেন- এসব কিছুই সত্য। কিন্তু জিজ্ঞেস করি, এদেশের জিহাদের কাজটা যারা শরয়ী পন্থায় চালিয়ে নিচ্ছেন তারা কি আসমান থেকে নেমে এসেছেন? না’কি তারা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সত্য দ্বীন শিখেছেন? না’কি স্কুল-কলেজ থেকে? না’কি মায়ের পেট থেকে?
          ভাই! কওমি তালিবুল ইলম ভাই ছাড়াও অসংখ্য ভাই আজ সহিহ জিহাদের ময়দানে আছেন। আলিয়া মাদ্রাসার ভাইরাও তো আছেন। এধরনের বিভাজন কাম্য নয়। এবং আমি জেনারেল লাইনের ১জন ভাইও আজ পর্যন্ত পাইনি যারা কওমি উলামাদের মাধ্যমে এসেছেন। এটা বাস্তবতা... একেক জন একেক ভাবে এসেছেন... এটা মূল বিষয় না। তাই এভাবে বিভাজনও কাম্য না।


          Originally posted by ahmad al-hindi View Post

          দু’চার জন হকপন্থী আলেম-উলামা যারা আছেন, দু’চার জন জিহাদের পথে কুরবানী দাতা আলেম যারা আছেন- তারা তো এ কওমী মাদ্রাসারই সন্তান। এখান থেকেই তারা সহীহ দ্বীন শিখেছেন। কওমী মাদ্রাসার এই লোকগুলো যদি জীবন কুরবানী না দিতেন তাহলে আমাদের দেশে সহীহ জিহাদ শুরু হতো বলে মনে হয় না। আর বর্তমানে কাজ যতটুকু চলছে তার সহীহ রাহনুমায়ী কারা করছেন? এই কওমী মাদ্রাসার আলেম উলামাই তো। তাগুতদের হাতে যেসকল আলেম গ্রেফতার হয়ে অমানবিক নির্যাতন ভোগ করছেন তারা তো এই কওমী মাদ্রাসারই সন্তান। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদের যিনি আমীর তিনিও তো এই কওমী মাদ্রাসারই সন্তান।
          আল্লাহ্* তাদের কবুল করুন। আমিন। সহিহ জিহাদের বিষয়টি বুঝতে পারলাম না। তাগুতের হাতে গ্রেফতারির মধ্যে কওমির উলামা-তলাবারাও আছেন, আছেন জেনারেলরাও, আছেন আহলে হাদিসরাও... সহিহ রাহনুমার বিষয়টিও পরিস্কার না। কওমিদের চিন্তাধারা থেকে দূরে থেকে সালাফি চিন্তাধারার অনেক জিহাদ তেহরিক দাঁড়িয়েছে। তানজিম আল-কায়েদার অধিকাংশই সালাফি...। সালাফি-আশ'আরি বিভাজনও শায়খরা পছন্দ করেন না উম্মতের এই হালতে। এনিয়ে আলোচনা থেকেও দূরে রাখেন...। আর এখানে তো আরও গভীরে চলে যাচ্ছি আমরা।

          মাওলানা আসেম উমার (হাফিজাহুল্লাহ) আমির তা জিহাদের ময়দানে ত্যাগের কারণে। যোগ্যতার কারণে। স্রেফ কওমি হওয়ার কারণে না। এভাবে ক্লাসিফিকেশনগুলো চোখে লাগার মত।



          Originally posted by ahmad al-hindi View Post

          আল্লাহ না করুন, আমারতো মনে হয়, কওমী মাদ্রাসার আলেম-উলামারা দু’চার দিন তাদের জিহাদী কার্যাক্রম ও রাহনুমায়ী বন্ধ রাখলে এদেশের জিহাদী দলগুলো দাওলার চেয়েও ভয়ংকর গোমরাহিতে নিপতিত হবে।
          জী না। এমনটা পূর্বে দেখা যায় নি। জে এম বি'র ভাইরা তো কওমি উলামাদের ছাড়াই দু'চারদিন নয় সেই ৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকেই আছেন... কই উনারা তো দাওলার চেয়ে ভয়ংকর গোমরাহিতে লিপ্ত হোন নি।



          Originally posted by ahmad al-hindi View Post

          কেউ কেউ হয়তো আমাকে স্বজনপ্রীতির অপবাদ দিতে পারেন যে, তিনি কওমী সন্তান বলে কওমী আলেমদের পক্ষে কথা বলছেন। আসলে একটু চিন্তা করে দেখুন, কথাগুলো স্বজনপ্রীতি কি’না! না বলে পারছি না বলেই বলছি। ভুল হলে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন। হেদায়াতের রাস্তা দেখান। কিন্তু কওমী আলেম উলামাকে নিয়ে যে ধরণের মন্তব্য করা হচ্ছে তার পরিণাম শুধু মনের ঝাল মিটানো ছাড়া আর ভাল কিছু হবে বলে মনে হয় না।
          আসলে এটাকে আবেগ বলা যায় আসলে... এবং এটা স্বাভাবিক... কওমি উলামাদের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত তালিবুল ইলম ভাইরা দ্বীন শিখেছেন। দীর্ঘ সময় তাদের খেদমতে ছিলেন... তাই কথা বলার সময় উনাদের যে ভক্তি আসবে সেটা অন্য ভাইদের আসবে না এটা স্বাভাবিক... তাই কেউ যদি আদবের খেলাফ না করে একটু সরাসরি বলেন সেটা সম্মানিত আলেম ভাইদের একটু আন্তরিকতার সাথেই নেয়া উচিৎ।


          Originally posted by ahmad al-hindi View Post

          হে আল্লাহ! আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান কর! তোমার দ্বীনের পথে কায়েম রাখ।
          আমিন।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ Umar Abdur Rahman ভাই,

            Comment


            • #7
              আহমাদ আলহিন্দি ভাই ধ্রুব সত্য বিষয়টি সর্বোচ্চ বিনয় ও হিকমতপূর্ণভাবে বলে ফেৎনার উৎস বন্ধ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও উমর আব্দুর রহমান ভাই তাতে আপত্তি করলেন! এভাবে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ভাল ফলাফল বয়ে আনবে না।
              প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সালাফি দাবি করে তারা তো সালাফি নয়। তারা হল মাদখালী, গায়রে মুক্কাল্লিদ, লা মাযহাবি। প্রবৃত্তির অনুসরণকারী।
              আর আলকায়েদা, যারা সঠিক তাওহীদের উপর চলছেন, তারা তো জিহাদী হওয়ার কারণে এই হকের উপর উঠতে পারছেন। কথিত সালাফি হওয়ার কারণে নয়। আলকায়েদার হকের উপর থাকাতে কথিত সালাফিদের কোন ক্রেডিট নেই। কারণ কথিত সালাফীরা হল আলবানির উত্তরসূরী, মুকবিল বিন হাদির অনুসারী, সরকারী মওলবী বিন বাজের উত্তরসূরী, উসাইমিনের উত্তরসূরী, মতিউর রহমান মাদানীর উত্তরসূরী।
              অল্প কিছু মাদখালী গোমরাহী ছেড়ে আলকায়েদার সাথে জিহাদের পথে এসেছেন। পক্ষান্তরে আলকায়েদার অধিকাংশ সদস্য হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী, অনেকে শাফেয়ী মাযহাবের অুনুসারী।
              তাই এই মাদখালীদের দেওবন্দীদের বিরুদ্ধে বলার কোন অবকাশ নেই। কারণ তারা আরো বেশি দরবারী, আরো বেশি দালাল।
              যদি আলকায়েদা অকৃতজ্ঞ না হয়, তাহলে বলবো: আলকায়েদা হল দেওবন্দীদের মেহনতের ফসল। তাদের করুণার ফসল।
              এই শেষ যামাানয় দেওবন্দীদের ছাড়া জিহাদের হাল কারা ধরত?
              নিশ্চয়ই আফগানিস্তানই হল শেষ যামানার জিহাদের সূতিকাগার। এখান থেকেই আব্দুল্লাহ আয্যাম রহ:, শায়খ উসামাা বিন লাদেন রহ:, শায়খ যাওয়াহিরী সহ ৯০% আলকায়েদার নেতা জিহাদ শিখেছেন।
              পক্ষান্তরে মাদখালীরা, আলবানীর উত্তরসূরীরা ফিলিস্তীনী অসংখ্য নারী-পুরুষ হত্যা জড়িত, মসজিদে আকসাকে ইহুদীদের হাতে তুলে দেওয়ার সাথে জড়িত। তারাই মুরতাদ আরব শাসকদের শিকড় মজবুত করছে।

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ ভাইদের চিন্তা চেতনায় আরো মজবুতি ও তারাক্কি দান কর আমিন।।।

                Comment


                • #9
                  এই আলোচনাটি ফিতনার দিকে গড়াচ্ছে। তাই এটি বন্ধ হওয়া দরকার।

                  আহমেদ আল হিন্দী ভাই এর কিছু কথা ঠিক আছে যদিও কিছু কথার সাথে বাস্তবতার মিল নেই।
                  ইবনুল খাত্তাব ভাই এর কথাগুলো অনেকটাই একপেশে এবং বাস্তবতার খেলাফ। যেমনঃ সালাফী মানেই মাদখালি নয়। মাদখালিরা সালাফিদের একটি ভগ্নাংশ ঠিক যেমনঃ শাহবাগী ফরিদ গং উলামায়ে দেওবন্দের ভগ্নাংশ।

                  এই থ্রেডের আলোচনাগুলো এখানে বন্ধ করা হল। এখানে আর কোন কমেন্ট করতে দেয়া হবে না। ভাইদের কাছে অনুরোধ এমন কোন আলোচনা করবেন না যাতে ভাইদের মধ্যে বিভেদ শুরু হয়। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে বিষয়গুলো বুঝার তৌফিক দান করুন।
                  কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                  Comment

                  Working...
                  X