Announcement

Collapse
No announcement yet.

সুন্নাতি লেবাস এবং বেশ ধরে ইসলাম বিদ্ধেষী আকিদার প্রচারক ইসলামের এক দুশমনকে চিনে নিন,

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সুন্নাতি লেবাস এবং বেশ ধরে ইসলাম বিদ্ধেষী আকিদার প্রচারক ইসলামের এক দুশমনকে চিনে নিন,

    সুন্নাতি লেবাস এবং বেশ ধরে ইসলাম বিদ্ধেষী আকিদার প্রচারক ইসলামের এক দুশমনকে চিনে নিন, হে প্রিয় মুজাহিদীন ভাইয়েরা!!



    প্রথম দৃষ্টিতে মনে হবে তিনি একজন আল্লাহ্*ওয়ালা ফকীহ বা দ্বীনের দাঈ। কিন্তু আসলে লোকটা সুন্নাতি লেবাস ও বেশ ধরে মুসলিমদের দ্বীনহীন করার মহা দুষ্কর্ম আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে।
    আশংকাজনক খবর হলো সে মাওলানা সাদ সাহেবের অন্ধভক্ত কাকরাইলের বিশিষ্ট মুরুব্বী ওয়াসিফ সাহেবের একান্ত ঘনিষ্ঠজন। ওয়াসিফ খানের সম্মানিত মেহমান।
    এই গুনধর এক পত্রিকার সম্পাদক। পত্রিকার সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত তার একটি এলখা আমাদের জানিয়ে ইসলামের শিকড় সে কীভাবে কাটছে, কীভাবে মুসলিমদের ঈমান-আকীদা নষ্ট করছে। আসুন দেখে নেই।
    -----
    "
    বাংলা ‘ফসলি সন’ নববর্ষের শুভেচ্ছা

    :: ড. কাজী এরতেজা হাসান ::

    আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। ঐহিত্যবাহী বাঙালির জাতিসত্তা প্রকাশের দিন। আজ বাঙালির আনন্দ-উল্লাসে নেচেগেয়ে বর্ষবরণের দিন। আমরা বাঙলা নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে এ আনন্দমেলার সকল সারথীকে শুভেচ্ছা জানাই। দিনটিকে ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ মঙ্গল শোভাযাত্রা, বইমেলা, ঘোড়ামেলা, হালখাতা প্রভৃতি উৎসবে মেতে উঠবে তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়া পাহাড়ে চলছে বৈসাবি উৎসবের আনন্দের ঝলকানি ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। এই তিনটি জাতিসত্তার যৌথ উৎসব বৈসাবি। এ উৎসবের মধ্যে আরেকটি হলো মার্মাদের পানি উৎসব বা ওয়াটার ফেস্টিভাল। বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাসে এটি অবশ্য নবমাত্রার সংযোজন।

    মূলত ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে মহামতী সম্রাট আকবরের হাত ধরেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের শুরু। তিনি ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক। চান্দ্র বর্ষ আরবি সন হিজরির সঙ্গে গ্রেগরিয়ান ইংরেজি সৌরবর্ষের যোগ করে দেশীয় সন বঙ্গাব্দ মাসের নামভিত্তিক এই নতুন সনের গোড়াপত্তন করেন তিনি। শুরুতে এটা ‘তারিখ-ই-ইলাহি’ বা ‘ফসলি সন’ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কেননা তখন প্রত্যেক কৃষিজীবীকে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। বাঙলা বর্ষবরণের এটাই ঐতিহাসিক ও মূল ভিত্তি। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়, যা পরিবর্তিত হয়ে আজকের পর্যায়ে এসেছে। আগে এ বর্ষবরণের সঙ্গে রাজ্যের বা শাসকদের পাশাপাশি কর্মজীবী মানুষের সংযোগ ছিল। এখন এটা নিছকই এক নিরাবয়ব ‘উৎসবে’ পরিণত হয়েছে। কেননা এখন সরকারি কাজ থেকে শুরু করে সাধারণের সব কাজই খ্রিস্টীয় বছর অনুযায়ী চলে। কার্যত বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলা সনের কোনোই সম্পর্ক নেই। তবুও এটা যে উৎসবের সঙ্গে আজও টিকে আছে, এটাই বা কম কিসে? সে সময় দিনটির প্রধান ঘটনা ছিল হালখাতা তৈরি করা। যা একটি নতুন হিসাব বই। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হলো বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। এ সময়ে দোকনদাররা ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন।

    প্রথাটি আগের মতো ঘটা করে না হলেও স্বর্ণের দোকানে অনেকটাই আছে। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের শুরু ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ আয়োজনের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এ ঐতিহ্যবাহী বাংলা বর্ষবরণকে ভ-ুলের উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশের ইসলাম ধর্মীয় প-িতরা বিতর্কের সৃষ্টি করছেন। তারা মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ প্রচলিত বর্ষবরণের বিরোধিতা করছে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত, এই বাংলা সন বা ‘ফসলি সনের’ যিনি গোড়াপত্তন করেন সেই মহামতী আকবর নিজেও ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ। তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ সন প্রবর্তনের ইচ্ছা নিয়েই এই সনের পত্তন করেন। সনটিকে ঘিরে তার সময়ই নানা উৎসবের প্রচলন শুরু হয়। সেই সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈসাবি, বউমেলা, ঘোড়ামেলা ইত্যাদি না থাকলেও মহামতি আকবর যে বাঙালির জন্য প্রতি বাংলা বছরের শুরুতে একটা উৎসবঘন পরিবেশের সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, আজকের মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈসাবি কিন্তু তারই ধারাবাহিকতা। কাজেই আজকের যুগে সেই আকবর থাকলেও (যদিও কথার কথা) একজন ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে যেমন তিনি এসবের অনুমোদন দিতেন, তেমনি বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ সরকারও কিন্তু এর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারেন না। প্রধামমন্ত্রীও তাদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। আমরা ইসলাম ধর্মে কি আছে কি নেই সেই বিতর্কে যেতে চাই না। আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের অধীনে আছি, এর বাইরে কি আছি কি নেই সেটা আমাদের জানারই বিষয় নয়। আগ্রহেরও বিষয়ও নয়।
    আর যাদের ধর্ম বিষয়ে আস্থাযোগ্য জানাশোনা বা পড়াশোনা নেই তাদেরও কিন্তু কোন ধর্মে কি নেই- এটাও বলার অধিকার নেই। তারা তো কোন ধর্মে কি আছে এটা কখনো বলতে যায় না। কাজেই কোন ধর্মে কি নেই এটাও তাদের বলা ঠিক নয়। এখন ইসলাম ধর্মে যা আছে বলে তারাও স্বীকার করেন কিন্তু তা যদি তারা মেনে না চলেন এবং তারা (ওলামা) যদি তা মানতে বলেন তা কি তারা মানবেন? তা হলে ইসলামে কি নেই- এটাও কেন তাদের বলতে যাওয়া? তাছাড়া তারা যখন বলেন, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে যে ইসলামে এটা নেই তার মানে তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে যা বলতে চাচ্ছেন তা ইসলাম ধর্মের প্রচারক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)ও অনুরূপ মন্তব্যই করেছেন বলে তারা বলতে চাচ্ছেন। আর এখানে যদি ‘মিথ্যা’ বা ‘ভ্রান্ত’ বলে থাকেন তখন তার মানে দাঁড়ায়, তিনি তার কথিত ‘মিথ্যা’ মহানবীর (সা.) উপরই চাপিয়ে দিচ্ছেন। তারা নিজেরাই ‘মিথ্যাবাদি’ হিসেবে কিন্তু নয়। যদি সত্য বলে থাকেন তো কথাই নেই। তবে যেহেতু তার ধর্ম বিষয়ে পূর্ণ ধারণা নেই বা থাকলেও তিনি যেহেতু ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শেই বিশ্বাসী কাজেই তার কোন ধর্মে কি নেই এ নিয়ে মন্তব্য না করাই উত্তম। এ ছাড়া তাদের ধর্ম বিষয়ে পড়াশুনারই বা সময় কোথায়? সাধারণ পত্রপত্রিকাই তো পড়ার সময় থাকে না। সবসময়েই বৈষয়িক বিষয়-আশয় নিয়েই যতো দৌড়াদৌড়ি। এ অবস্থায় নিবিষ্ট মনে ধর্মের পাতায় তাদের চোখ যাবে সেই সময়ই বা কোথায়? কাজেই ধর্মে কি নেই কি আছে এটাই বা তারা জানলেন কীভাবে কখন? তাদের উপর কি ‘ওহি’ নাজেল হয়? তারা যেমন ইসলামে কোনটা আছে, এটা যেমন বলেন না, কাজেই ইসলামে কোনটা নেই এটাও তাদের বলার প্রয়োজন কি? এই যে বলা হচ্ছে, মসজিদ ভাঙ্গাও ইসলাম সমর্থন করে। সমর্থন করলে করলো। না করলে না করল। কিন্তু তার সমর্থনে এমন উদাহরণ যদি তিনি টানেন- যেটা গ্রহণযোগ্য নয়, তখন কি হবে? তারা বলেন, ‘মসজিদে নববী’র আশে পাশে কিছু ছোটো মসজিদ ছিল। মসজিদে নববী সম্প্রসারণের স্বার্থে সেই ছোটো ছোটো মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। তাতে কি বোঝায়? মসজিদ ভাঙ্গা সমর্থন করে এটাই বোঝায়? কিন্তু সেখানে মসজিদ ভেঙ্গে মসজিদের সম্প্রসারণের স্বার্থে মসজিদই তো নির্মাণ করা হয়েছে। পানশালা তো নির্মাণ করা হয়নি। বা অন্যকিছু তো নির্মাণ করা হয়নি। এটা কি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার পক্ষে কোনো যুক্তি হলো নাকি তার এ ধর্মেই বিশ্বাস আছে কি নেই সেই সন্দেহই উস্কে দিল না! আর যারা কথায় কথায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ধর্মের অজুহাত খাড়া করে বলেন এ দেশ মুসলমানের দেশ- এ দেশের নব্বুই বিরান্নব্বুই শতাংশ মানুষ মুসলমান তাদেরও মনে রাখা উচিত এটা কোনো ইসলামিক রাষ্ট্র নয়। এটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং এই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটের মাধ্যমেই অনুমোদিত। তারা বলেন এটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা কেউ চাপিয়ে দেয়নি। তারাও তো ইসলামের দোহাই দিয়ে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কই, সেখানে তো তাদের সবাইরই জামানত তো বাজেয়াফত হয়ই উপরন্তু তার জন্য জরিমানাও গোনার জোগার হয়। সংবিধানে সে নিয়ম থাকলে তাদের এই জরিমানাই গোনতে হতো এবং নির্বাচনে অংশ নেয়ার সাধ আহ্বলাদও উবে যেতো। তাহলে তারা যে কথায় কথায় বলেন, এ দেশ নব্বুই বিরান্নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ বলছেন, কই সেই মুসলমানরা তো তাদের গ্রহণ করছেন না? তার মানে কি তবে দেশে নব্বুই শতাংশ মুসলমান নেই? তাহলে কিভাবে দেশ চলবে কিভাবে চলবে না এ নিয়ে তাদের এতো চাপাচাপি কেন? দেশে নব্বুই শতাংশ মুসলমান থাক বা না থাক, এ অধিকার তো দেশের জনগণই তাদের দেয় না।

    সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ। বাংলা বর্ষও ধর্মনিরপেক্ষ। এ সনটির যিনি প্রবর্তন করেন তিনিও আজকের সরকারের অনুরূপই ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। কাজেই এই সন বা সনটিকে ঘিরে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈসাবিসহ বিবিধ উদ্যাপন ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তিতেই চলতে থাকবে। সংস্কৃতিতে আছে, ‘যস্মিন দেশে যদাচার’। এটা মেনেই তারা তাদের ধর্ম পালন করবে। কাউকে তা চাপিয়ে দিতে পারবে না। তারা যেমন বলেন ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তারাও তো তাদের ধর্ম চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন যা দেশের আশি শতাংশ মানুষ সমর্থ করে না?

    মিশরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশটির আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড মুফতির পরামর্শ নেওয়া হয়। সেটা সে দেশের রীতি। আমাদের দেশে তো ওলামাদের পরামর্শ নেওয়ার রীতি সংবিধান দেয়নি। কাজেই তারা কেন উপযাচক হয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে পরামর্শ দিতে যাবেন? আর সরকারই বা কেন তাদের পরামর্শ গ্রহণ করবে। দেশের সংবিধান কি তার অনুমোদন দেয়? কাজেই আমরা চাই বাংলা নববর্ষকে তার আপন মহিমাতেই চলতে দেওয়া হোক।
    "

    http://www.dailyvorerpata.com/editor...7%87%E0%A6%B0/

  • #2
    ইতিহাস সাক্ষী কাফেররা ইসলামের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি
    ইসলামের মুল ক্ষতি করেছে মুসলিম নাম ও লেবাসধারী কিছু মুনাফেক
    হে আল্লাহ এই মুনাফিকদের আপনি আপনার সম্মানিত বান্দাদের দ্বারা ধ্বংস করে দিন... আমীন ইয়া আরহামার রাহীম
    আল-&#248হে রব আপনার যে প্রিয় বান্দারা জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে আপনার আরশের নিচে এসে ঘুমায় তাদের সাথী হবার তৌফীক দান করুন... আমীন ইয়া আরহামার রাহীম!!!

    Comment

    Working...
    X