Announcement

Collapse
No announcement yet.

আগে ঈমান পরিপূর্ণ করি পরে জিহাদে বের হব !!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আগে ঈমান পরিপূর্ণ করি পরে জিহাদে বের হব !!!

    অনেক ভাইয়েরা বলে থাকে যে , আগে ঈমানের উপর মেহনত করে ঈমানকে পরিপূর্ণ করি । ঈমান যখন মজবুত ও পরিপূর্ণ হবে তখন আমরা জিহাদে যাব । আর না হয় যদি ঈমানে দুর্বলতা থাকে বা ঈমান পরিপূর্ণ না থাকে তাহলে জিহাদে যাওয়ার পরে ঈমানের দুর্বলতার কারণে শত্রুর ভয়ে জিহাদ থেকে পলায়ন করার আশঙ্কা রয়েছে । আর জিহাদ থেকে পলায়ন করা কবিরা গুনাহ এবং জিহাদ থেকে পলায়নকারীর উপর আল্লাহ সুবঃ রাগান্বিত হন । ঈমান পরিপূর্ণ করা ছাড়া জিহাদে গেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে , গুনাহও হবে আবার আল্লাহ সুবঃ-ও রাগ করবেন । কাজেই আগে ঈমান পরিপূর্ণ করি পরে জিহাদে যাব ।

    যারা এসব কথা বলে তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন !

    ১. কতদিন ঈমানের মেহনত করলে ঈমান পরিপূর্ণ হবে ? শরীয়ত কি দিন , সপ্তাহ , মাস , বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন ?

    ২. ঈমান কতটুকু থাকলে পরে ঈমান পূর্ণ হয় ?

    ৩. কিভাবে বুঝবেন ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না ? জিহাদে বের হয়ে নাকি না হয়ে ? আপনাদের কথামত ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য হলেও তো জিহাদে যাওয়া প্রয়োজন । ঈমান পরীক্ষার জন্য হলেও কি জিহাদে গিয়েছেন ?

    ৪. প্রচলিত তাবলীগে যে ভাইয়েরা বছরের পর বছর লেগে আছে তাদের ঈমান কি পরিপূর্ণ হয় নি ?

    ৫. যে ভাইয়েরা প্রচলিত তাবলীগ করতে করতে মৃত্যু বরণ করেছে জিহাদের যায়নি , তাদের ঈমান কি পূর্ণ হওয়া ছড়াই মৃত্যু বরণ করেছেন ? তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?

    ৬. সাহাবায়ে কেরাম তকদিন ঈমানের মেহনত করেছিলেন ? যদি বলেন তের বছর মক্কায় ঈমানের মেহনত করে , মদিনায় পরে জিহাদ করেছেন (যদিও একথার কোন ভিত্তি নেই ) তাহলে বলব , যে সাহাবারা মদিনায় ঈমান এনেছে তারা কত বছর ঈমানের মেহনত করেছেন ? এমনও সাহাবা আছেন যারা ঈমান গ্রহণ করে অন্য কোন ইবাদত করার তেমন সুযোগ হয়নি এমনকি এক ওয়াক্ত সালাত ও । তারাও জিহাদে গিয়ে শহীদ হয়ে গেছেন , তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?

    ৭. কোরআন এবং হাদীসের কোথায় আছে যে , যতটুকু ঈমান নিয়ে অন্য সব ইবাদত করতে পারেন ততটুকু ঈমান নিয়ে জিহাদে যেতে পারবেন না ?

    আসল কথা হল যে , তারা জিহাদে যেতেই চাইনা বরং জিহাদ থেকে পলায়ন করাই উদ্দেশ্য । এমন লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ সুবঃ সূরা আহযাবের ১৩ নং আয়াতে কত সুন্দর করেই না বলেছেন ,

    “তাদের একদল নবীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে বলেছিল , আমাদের বাড়ী-ঘর খালি , অথচ সেগুলো খালি ছিল না , পালায়ন করাই ছিল তাদের তাদের উদ্দেশ্য” ।
    আয়াতে আল্লাহ সুবঃ তাদের কথা কে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছেন যারা নবীর কাছে এসে জিহাদে না যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইত । এবং মিথ্যা ওজুহাত দেখাত যে , আমদের বাড়ী-ঘর খালি রেখে আমরা কিভাবে জিহাদে যাব । আল্লাহ সুবঃ বলছেন না তাদের ঘর-বাড়ী খালি না বরং জিহাদের না যাওয়ার জন্য এসব তাদের মিথ্যা ওজুহাত । ঠিক তেমনিভাবে এখনও একশ্রেণীর লোক ঈমানের দুর্বলতার ওজুহাত দিয়ে জিহাদে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে চাই । তার ভাবে জিহাদে না গিয়ে অন্যান্য ইবাদত করে ঈমানকে পূর্ণ করে নিবে ।

    তাদের বুঝা উচিৎ যে , জিহাদে যাওয়ার দ্বারাই ঈমান বৃদ্ধি পায় , ঈমান পূর্ণ হতে থাকে । আল্লাহ সুবঃ এমনই বলেছেন ,
    ‘‘যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে , তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সরঞ্জাম জমা করেছে ; তাদের ভয় কর । তখন তাদের ঈমান আরও বেড়ে গেল এবং বলে আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’’ ...
    ( সূরা আলে ইমরান ,আয়াত ১৭৩) ।
    অন্য আয়তে আল্লাহ সুবঃ বলেন ,

    ‘‘ যখন মুমিনরা শত্রুবাহিনীকে দেখল , তখন বলল , আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্য বলেছেন । এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণ বৃদ্ধি পেল’’ । ( সূরা আহযাব ,আয়াত ২২ ) ।

    এই আয়াত দ্বারা বুঝা গেল যে , জিহাদের ময়দানে শত্রুদের দেখে ঈমান বেড়েই যায় , ঈমান বৃদ্ধি পেতে থাকে । কাজেই ঈমানের দুর্বলতার কথা বলে জিহাদ থেকে দূরে থাকার কোন কারণ নেই । বরং ঈমানে দুর্বলতা থাকলে এবং ঈমান পূর্ণ না থাকলে জিহাদে গিয়ে ঈমানের দুর্বলতা দূর করে ঈমানকে পূর্ণ করাই হল ঈমানের দাবী ।

    আল্লাহ সুবঃ আমাদের কে সঠিক বোঝ দান করুণ !

  • #2
    masallah............

    Comment


    • #3
      আখি খুব সুন্দর একটা পোষ্ট করেছেন মাসাল্লাহ। আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা আপনাকে তার শান মুতাবেক জাযা দান করুণ... আমীন!!!
      আল-&#248হে রব আপনার যে প্রিয় বান্দারা জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে আপনার আরশের নিচে এসে ঘুমায় তাদের সাথী হবার তৌফীক দান করুন... আমীন ইয়া আরহামার রাহীম!!!

      Comment


      • #4
        ১. কতদিন ঈমানের মেহনত করলে ঈমান পরিপূর্ণ হবে ? শরীয়ত কি দিন , সপ্তাহ , মাস , বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন ?
        ২. ঈমান কতটুকু থাকলে পরে ঈমান পূর্ণ হয় ?
        ৩. কিভাবে বুঝবেন ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না ? জিহাদে বের হয়ে নাকি না হয়ে ? আপনাদের কথামত ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য হলেও তো জিহাদে যাওয়া প্রয়োজন । ঈমান পরীক্ষার জন্য হলেও কি জিহাদে গিয়েছেন ?
        ৪. প্রচলিত তাবলীগে যে ভাইয়েরা বছরের পর বছর লেগে আছে তাদের ঈমান কি পরিপূর্ণ হয় নি ?
        ৫. যে ভাইয়েরা প্রচলিত তাবলীগ করতে করতে মৃত্যু বরণ করেছে জিহাদের যায়নি , তাদের ঈমান কি পূর্ণ হওয়া ছড়াই মৃত্যু বরণ করেছেন ? তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?
        ৭. কোরআন এবং হাদীসের কোথায় আছে যে , যতটুকু ঈমান নিয়ে অন্য সব ইবাদত করতে পারেন ততটুকু ঈমান নিয়ে জিহাদে যেতে পারবেন না ?
        জিহাদ ফরজ অবস্থায় জিহাদি কর্মেতৎপর হওয়া ছাড়া যত আমল করবে সব বদদ্বীনি হিসাবে গন্য হবে।যেমন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও্য়াসাল্লাম বলেছেন।
        عن اب)ن عمر قال
        y سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول " إذا تبايعتم بالعينة ( بالكسر السلف ) وأخذتم أذناب البقر ورضيتم بالزرع وتركتم الجهاد سلط الله عليكم ذلا لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم
        "
        قال أبو داود الإخبار لجعفر وهذا لفظه . K صحيح سنن أبي داود (2/ 296
        ... জিহাদ ছেড়ে দেয়ার কারনে তোমাদের উপর লাঞ্চনা (কাফের বেদ্বীনের নেত্রিইত্ব কর্তৃত্ব) চেপে বসবে আর
        তোমাদের এ লাঞ্চিত অবস্থা দূর হবে না যতক্ষন দ্বীনের দিকে ফিরে না আসবে ।
        এখন এই ফরজে আইন তরকের সাথে অন্য যত আমলই করে যেতে থাকনা কেন তার কোন দিন এছলাহ হওয়ার ছবক পড়া শেষ হবেনা। আর কাফের মুশরিকরা মাঠ খালি পেয়ে আগে বাড়তেই থাকবে। কারন সেই পক্ষের জন্য তো যুদ্ধ করতে এছলাহের শর্ত নেই শয়তান উদ্ভট সব শর্ত এনে দাড় করিয়েছে মুনাফিকদের সামনে।না কারদারা ওযরে বেসিয়ার। কাজ না করবে যে তার বাহানা অনেক।এসবই শয়তানের ওহী , যেমন একদল মারেফতি বলে ইবলীছ সব স্থানে সিজদা দিয়ে ভরে ফেলেছে এখন সিজদা দেয়ার স্থান কোথায় এই জন্য নামাজ পড়েনা।
        আর এই মুনাফেকি ও বদদ্বীনির উপরই তাদের মৃত্যু হবে।তাদের ক্ষেত্রে করুন বাস্তবতা হলোঃ নারায়ে শয়তান; মুনাফিক জিনাবাদ।

        Comment


        • #5
          'জাজাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ ভাই ...........জাযাকাল্লাহ

            Comment


            • #7
              আল্লাহ সুবঃ আমাদের সকলকে দীনের জন্য খালেছ ভাবে কাজ করার তৌফীক দান করুণ এবং জিহাদের ময়দানে একত্র করে দেন সেই দুআ করি । আমিন !

              Comment


              • #8
                যাঝাকাল্লাহ
                সত্যের পথে মৃত্যুর এক অদম্য বাসনা আমাদের থামতে দেই না।

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লহ, সুন্দর পোস্ট।

                  Comment

                  Working...
                  X