Announcement

Collapse
No announcement yet.

দ্বীন যার, প্রতিষ্ঠা পদ্ধতিও তার - সাইয়্যেদ কুতুব রাহিঃ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দ্বীন যার, প্রতিষ্ঠা পদ্ধতিও তার - সাইয়্যেদ কুতুব রাহিঃ

    দ্বীন যার, প্রতিষ্ঠা পদ্ধতিও তার

    সাইয়্যেদ কুতুব রাহিঃ


    সালাত আদায় যেমন আল্লাহর বিধান, নামাজ আদায়ের পদ্ধতিটাও তার প্রনীত। মুল নামাজের যেমন বিকল্প ব্যবস্থা নাই। ঠিক তেমনি ভাবে সালাত আদায়ের পদ্ধতির মধ্যেও বিকল্প ব্যবস্থার কল্পনা করা যায় না। এবং এর ব্যতিক্রম হলে সেই নামাজ বাতিল বলে গন্য হবে। ঠিক তেমনি ভাবে আল্লাহ তায়ালা দ্বীনকে বাস্তব মডেল হিসাবে আমাদের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমে এ নীতি চূরান্তভাবে নির্ধারন করে দিয়েছেন। তাই অন্য কোন নিয়ম-পদ্ধতি, রীতি নীতি এখানে গ্রহনযোগ্য নয় এবং তার দ্বারা এ দ্বীন পুন:প্রতিষ্ঠিত হওয়াও সম্ভব নয়।

    ভালো করে বুঝতে হবে যে, আকিদা বিশ্বাস ও সমাজ পরিবর্তন করা যেমন দ্বীনের উদ্দেশ্য তেমনি এ আন্দোলনের পদ্ধতি পরিবর্তন না করাও এ দ্বীনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এদ্বীন তার নিজস্ব আকিদা বিশ্বাসের ছাঁচে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত উম্মাহ গড়ে তোলে। এ জীবনব্যবস্থা মানুষের উপর মূহুর্তেই বিরাট এক নীতির বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তাকে বিব্রত করতে রাজি নয়; বরং তাদের চিন্তা-চেতনা ও কর্মধারায় মানবীয় প্রকৃতির সাথে সংগতি রেখে যতটুকু পরিবর্তন সহনীয় ততোটুকু বিধান প্রয়োগ করে। তাই আকিদা সংশোধন করা আর কর্মজীবন সংশোধন করাকে ইসলাম কোন পৃথক কর্মসূচী মনে করে না, বরং একই সাথে উভয় দিকটি সংশোধন করে।

    আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত যে, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য ইসলামের রয়েছে সম্পুর্ন নিজস্ব কর্মপদ্ধতি। এ পদ্ধতি সকল দিক থেকে বাস্তবসম্মত, ফলপ্রসূ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও চিরস্থায়ী। এ শাশ্বত দ্বীনের সুনির্ধারিত অন্যান্য বিধিবিধানের যেমন কোনো পরিবর্তন নেই, তেমনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার কর্মপদ্ধতিরও কোনো পরিবর্তন নেই। এ কর্মপদ্ধতির মৌলিক দিকগুলো বিশেষ কোনো যুগ, দেশ বা পরিবেশের জন্য তৈরি করা হয়নি বরং সকল যুগ, দেশ ও পরিবেশে একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এ শুধু সাহাবায়ে কেরামের জন্য নির্ধারিত একটি মডেল না।

    তাই যখন যে ভুখন্ডে দুনিয়ায় কোনো মানবগোষ্টি দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করবে, তাদেরকে এ নীতিই গ্রহন করতে হবে।গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র নামে জাহেলী কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে দ্বীন প্রতিষ্ঠা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। অন্য কোনো ব্যাপারেও যেমন মানবরচিত মতবাদের সাথে ইসলামের কোনো সামঞ্জস্য নেই, তেমনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অন্য কোনো জীবনব্যবস্থার পদ্ধতির সাথে ইসলামি পদ্ধতির জোড়া-তালি ফলপ্রসূ নয়। এবং তার কোনো প্রয়োজনও নেই। কারণ, মানবরচিত মতবাদ সর্বদাই সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মানুষকে পরিমাপ করে।

    আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহর দেয়া পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে। অন্য কোনো উপায়ে জাহেলী সমাজ পরিবর্তন কখনো সম্ভব হবে না। আমরা ইসলাম কিভাবে গ্রহন করলাম- তার সাথে ইসলামের কল্যান পাওয়া না পাওয়ার বিরাট সম্পর্ক রয়েছে; বরং এর উপরই নির্ভর করে দ্বীনের শাশ্বত কল্যান। আমরা লাভ করতে পারবো, নাকি তা থেকে বঞ্চিত হবো!

    আমরা যদি ইসলামকে নিছক পাণ্ডিত্যপূন্য একটি মতবাদ হিসাবে গ্রহন করি, জ্ঞানগর্ভ পংতি আওড়িয়ে মজলিস গরম করি বা মানুষকে বিস্মিত করার জন্য আসমানি গ্রন্থ অধ্যায়ন করি তাহলে আল্লাহপ্রদত্ব বিপ্লবী ধারাকে দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবো। এর মাধ্যমে আমরা এটাই বুঝাতে চাই যে, মানবজাতির সংস্কারের জন্য আল্লাহপ্রদত্ত পদ্ধতির চেয়ে মানুষের বানানো পদ্ধতিগুলো বেশি কার্যকর ! মানুষের বানানো প্রদ্ধতিকে সংশোধন করে আল্লাহর দ্বীনের পদ্ধতির সমপর্যায়ে উন্নিত করতে চেষ্টা করে। এধরনের চিন্তা চেতনা আল্লাহর দ্বীনের সাথে কত মারাত্নক বিদ্রুপ তা কলমের ভাষায় বুঝানো সম্ভব নয়।

    এটা দীর্ঘদিন বিজাতীদের শাসনাধীন থাকায় গড়ে উঠা পরাজিত মানষিকতার নগ্ন বহি:প্রকাশ। তবে হ্যাঁ এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইসলামী আদর্শ প্রচার করা, লিখনী শক্তির মাধ্যমে এর বিধিবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা; এগুলো ইসলামেরই কাজ বটে। কিন্ত এটাও মনে রাখতে হবে এ গুনকীর্তন ও নিছক প্রচারনার দ্বারা কখনো সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এ জন্য বাস্তব সংগ্রামের বিকল্প নেই।

    মনে রাখতে হবে ইসলামি সাহিত্য, আলোচনা ও ওয়াজ নচিহত দ্বারা শুধু দ্বীন প্রতিষ্টার সংগ্রামে নিয়োজিত মুজাহিদরাই উপকৃত হতে পারে। তাত্তি্ক আলোচনা সাধারন মানুষের ততটা ফলপ্রসূ হয় না। তাই ইসলামের মৌলিক আকিদাহ গ্রহন করা ও মৌলিক হুকুম-আহকাম পালন করা যতোটা অপরিহার্য, দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত ও রাসুল সা: জীবনে উপস্থাপিত পদ্ধতি অবলম্বন করাও ততোটা আবশ্যকীয়। তাই তো আল্লাহ পাক বলেনঃ { অবশ্যই এ কুরআন এমন এক পথের দিক নির্দেশনা দেয়, যা অতি (সরল) ও মজবুত এবং যে সব ঈমানদার মানুষেরা নেক আমল করে, এ কুরআন তাদেরকে এ সু-সংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য আল্লাহর নিকট রয়েছে এক মহা পুরস্কার। (সুরা বনী ইসরাইল: ৯) }

  • #2
    সুন্দর আলোচনা...!!!
    كتب عليكم القتال وهو كره لكم

    Comment


    • #3
      মনে রাখতে হবে ইসলামি সাহিত্য, আলোচনা ও ওয়াজ নচিহত দ্বারা শুধু দ্বীন প্রতিষ্টার সংগ্রামে নিয়োজিত মুজাহিদরাই উপকৃত হতে পারে। তাত্তি্ক আলোচনা সাধারন মানুষের ততটা ফলপ্রসূ হয় না। তাই ইসলামের মৌলিক আকিদাহ গ্রহন করা ও মৌলিক হুকুম-আহকাম পালন করা যতোটা অপরিহার্য, দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত ও রাসুল সা: জীবনে উপস্থাপিত পদ্ধতি অবলম্বন করাও ততোটা আবশ্যকীয়।
      মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
      রোম- ৪৭

      Comment


      • #4
        অনেক দিন অপেক্ষায় ছিলাম তাহরীদ মিডিয়ার কোন পোস্টের ৷ কারন আপনাদের পোস্টগুলো খুব সুন্দর হয় ৷ যেমন এই পোস্টি ৷ মাশাআল্লাহ ৷

        Comment


        • #5
          আল্লাহর দেয়া পদ্ধতিকে বাদদিয়ে নিজেদের আবিষ্কৃত পদ্ধতিকে প্রাধান্য দেয়া ধৃষ্টতার শামিল।

          Comment


          • #6
            তিন শ্রেণীর লোক আল্লাহ দেয়া পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েমে সচেষ্ট হয় না।
            ১/ দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট।
            ২/ ভীতু লোকেরা।
            ৩/ক্ষমতা লোভী।

            Comment


            • #7
              zajakallah

              Comment


              • #8
                মনে রাখতে হবে ইসলামি সাহিত্য, আলোচনা ও ওয়াজ নচিহত দ্বারা শুধু দ্বীন প্রতিষ্টার সংগ্রামে নিয়োজিত মুজাহিদরাই উপকৃত হতে পারে। তাত্তি্ক আলোচনা সাধারন মানুষের ততটা ফলপ্রসূ হয় না। তাই ইসলামের মৌলিক আকিদাহ গ্রহন করা ও মৌলিক হুকুম-আহকাম পালন করা যতোটা অপরিহার্য, দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত ও রাসুল সা: জীবনে উপস্থাপিত পদ্ধতি অবলম্বন করাও ততোটা আবশ্যকীয়।

                Comment


                • #9
                  জাযাকুমুল্লাহ খাইর,
                  তাহরিদ মিডিয়া যেন বাস্তবেই তাহরিদ

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকুমুল্লাহ।
                    সুন্দর নির্বাচন,চমৎকার অনুবাদ।
                    আল্লাহ কবুল করুন।আমীন।

                    Comment


                    • #11
                      মাসাআল্লাহ, খুব সুন্দর আলোচনা পেশ করা হয়েছে। জাঝাকুমুল্লাহ খাইরান
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment

                      Working...
                      X