Announcement

Collapse
No announcement yet.

নিজেকে পরিবর্তন করে না! কুরআনকে পরিবর্তন করে ফেলতে চায়!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নিজেকে পরিবর্তন করে না! কুরআনকে পরিবর্তন করে ফেলতে চায়!!

    নিজেকে পরিবর্তন করে না! কুরআনকে পরিবর্তন করে ফেলতে চায়!!

    কিছু বুদ্ধিজীবি এবং নামধারী আলেমের পক্ষ থেকে জিহাদের আয়াতের ব্যাপারে নিজেদের বানানো ভ্রান্ত উসূলের উত্তর।

    আল্লাহ তায়ালা আখেরী নবী হযরত মোহাম্মাদ সাঃকে পাঠিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত তার শিক্ষার উপর আমল করাকে সফলতার জন্য শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কুরআন মাজীদকে সকল মানুষের হেদায়াতের মাধ্যম বানিয়েছেন। কুরআন কারীম সকল সভ্যতা, তাহযীব-তামাদ্দুন নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত সকল আকীদাহ এবং সামাজিক রীতি-নীতি তাতে শামিল রয়েছে।

    এজন্যই তো কুরআনের প্রত্যেকটি আয়াত কেয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য। কুরআন বিশেষ কিছু ব্যক্তি বা বিশেষ কোন দলের জন্য নাযিল হয়নি, এমন নয় যে শুধু যারা নবী করীম সাঃ এর যমানায় ছিল। চা্ই তারা মুশরিকীন হোক বা মুনাফিকীন অথবা মুমিনীন। বরং কুরআনের শিক্ষা হচ্ছে ব্যাপক। কুরআন কারীম নিজের যুগের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তের মানুষের জন্য হেদায়াতের উৎস হয়ে আছে।

    কিন্তু আজ কাল কিছু বুদ্ধিজীবি এবং নামধারী আলেম স্বেচ্ছায় ক্বেতালের আয়াতগুলোর অপব্যাখ্যা করছে। তারা বলছে, কুরআনের যেখানেই মুশরিকদের সাথে যুদ্ধের কথা এসেছে সেখানে মুশরিকীনে মক্কা উদ্দেশ্য। আর তারা এই শয়তানী সুরত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা আয়াতের শানে নুযুল এবং পূর্বাপর আয়াত দেখিয়ে থাকে। যাতে বুঝে আসে যে, এ্ই বিধান আমাদের জন্য নয়। বরং তৎকালীন *মুসলিমদের উপর নাযিল হয়েছে।

    হায়,আফসোস এসকল আলেমদের উপর যাদেরকে লোকেরা আহলে হক্ব ভাবে। তারা কুরআনের তালীম এবং উসূলে তাফসীর থেকে শত মাইল দূরে।

    তাদের এই কথাটা কি কোন একটা নির্ভরযোগ্য তাফসীর বা উসূলে তাফসীরের কিতাব থেকে প্রমাণিত হবে? তারা কখনো এটা প্রমাণিত করতে পারবে না। কেননা, উসূলের কিতাবগুলো এই কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন বিবেক সম্পন্ন মুসলিম এই আয়াতগুলোকে নবী সাঃ এর যোগের লোকদের সাথে বা কোন দলের সাথে খাস করে নিতে পারে না। বরং বিধানগুলো ব্যাপক। এগুলো বিশেষ যুগ বা দলের সাথে খাস করে নেওয়া গোমরাহী ছাড়া আর কিছু নয়।

    কুরআনকে বুঝা জরুরী। কারণ বুঝা ছাড়া কোন কথার উপর আমল সম্ভব নয়। অন্যান্য ইলম শিখার জন্য যেমন কিছু নীতিমালা আছে তেমনিভাবে কুরআনের তাফসীরের জন্যও কিছু নীতিমালা আছে। যেগুলোকে উসূলে তাফসীর বা তাফসীরের মূলনীতি বলে নাম করণ করা হয়। এই সকল উসূলের বিপরীতে কুরআনের কোন আয়াতের কারো তাফসীর গ্রহণযোগ্য নয়।

    কুরআনের ব্যাপক বিষয়গুলোকে আসবাবে নুযুলের সাথে খাস করে দেওয়ার নীতি বাতিল হিসেবেই গন্য হবে। তাফসীরের নীতি অনুযায়ী এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে যে, যদি কোন আয়াত বিশেষ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল হয় তাহলে তার হুকুম ঐ ঘটনার সাথেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং হুকুমটা ব্যাপক হয়। এবং এমন যে ঘটনাই সামনে আসবে তার ক্ষেত্রে এ হুকুম কার্যকর হবে। যেমন, মিথ্যারোপ করার ঘটনা হযরত আয়েশা রাঃ এর ক্ষেত্রে ঘটেছে। কিন্তু তার হুকুম ঐরকম সকল মানুষকে শামিল করবে যারা কোন পবিত্র নারীর উপর তোহমত দিবে।

    কুরআনের যে কোন হুকুমকে খাস মনে করা গোমরাহী।
    এই কথা উসূলের সকল কিতাবে উল্লেখিত আছে। যেমন, আল ইতকান ফি উলূমিল কুরআন, আল ফাউযুল কাবীর, মুকাদ্দামাহ ফি উসূলিত তাফসীর, আত তিবয়ান ইত্যাদী।

    এখানে শাইখ ইবনে তাইমিয়্যাহ রহঃ এর উসুলে তাফসীর থেকে একটি কথা বর্ণনা করছি। তিনি বলেনঃ
    “এরকম অনেক কথা আছে যা সালাফরা বলেছেন, অমুক আয়াত মক্কার মুশরিকদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। অথবা আহলে কিতাব ইহুদী কিংবা খৃষ্টান অথবা মুমিনদের বিশেষ কোন দলের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। সালাফদের একথার উদ্দেশ্য এই নয় যে, ঐ আয়াতগুলোর হুকুম ঐ ব্যক্তিদের ব্যাপারে খাস এবং অন্যদের এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এরকম কথা কোন মুসলমানতো দূরের কথা, কোন বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তিও বলতে পারে না।

    এ ব্যাপরে ইখতেলাফ আছে যে, ঘটনার প্রেক্ষিতে যে ব্যাপক শব্দ কুরআনে ব্যবহার হয়েছে তা কি শুধু এই ধরণের ঘটনার সাথেই খাস নাকি আম। কিন্তু কোন মুসলিম আলেমই একথা বলেননি যে, কুরআন ও সুন্নাহর ব্যাপক বিষয়গুলো কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সাথে খাস। সর্বোচ্চ এতটুকু বলতে পারেন যে, ঐ ব্যাপক বিষয়টি নির্দিষ্ট ঐ ব্যক্তির মতো লোকদের ব্যাপারে খাস। অর্থাৎ তার হুকুম এরকম সকল ব্যক্তিদের জন্য যারা অমুক ব্যক্তিদের মতো।”


    এখানে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে,শানে নুযুলের কারণে কোন আয়াতের হুকুমকে খাস কিছু ব্যক্তিদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছুই নয়। এখন এই বিষয়টি মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে আহলে ইলমদের কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।

  • #2
    যাজাকুমুল্লাহ খাইরান, উত্তম আলোচনা।
    মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
    রোম- ৪৭

    Comment


    • #3
      جزاكم الله أحسن الجزاء علي ما أفدتنا
      ووفقكم الله علي الدوام

      Comment


      • #4
        আখী জাযাকুমুল্লাহ খাইরান, সুন্দর আলোচনা।

        Comment


        • #5
          উলামাদের কে আরো সতর্ক করে চলতে থাকুন। আপনার ফিকিরে আল্লাহ তাআলা বারাকাহ দান করুন। আমীন।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ আখি,
            উত্তম আলোচনা!
            আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন।
            আমিন!
            "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ ভাই খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে আল্লাহ পাক কবুল করেন

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।
                খুবই উপকারী আলোচনা করেছেন ভাই
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment


                • #9
                  মুহতারাম তাহরীদ মিডিয়া ভাই!

                  আলোচনা খুবই জরুরী ও সময়ের দাবী মুওয়াফিক! আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন ও আমাদের কে এরকম যুগোপযোগী বিষয়ে সতর্ক করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

                  মুহতারাম ভাই! যদি বেয়াদবি মনে না করেন তাহলে একটা মাশওয়ারা ছিলঃ মাশওয়ারাটি হলো: আমাদের এ আলোচনাটা আলিম কেন্দ্রীক তাই আপনার এ কথা গুলোর রেফারেন্স উল্ল্যেখ করে যদি আমাদের সৌভাগ্যবান করতেন তাহলে অনেক উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ!

                  আমাদের জিহাদি সাইট গুলো ও চ্যানেল গুলোর বড় একটা সুনাম হলোঃ দলিল ভিত্তিকতা, মানুষ এটা অন্তরে গেঁথে নিয়েছে যে, মুজাহিদরা যাই বলে দলীল সহ বলে,

                  আমি এটা বলছিনা যে আপনার নিকট দলীল নেই, আমি যা বলছি তা হলো এ আলোচনাটি প্রচারের ক্ষেত্রে যদি দলিল ভিত্তিক হয় তাহলে বেশি সফলতা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ!
                  হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                  Comment


                  • #10
                    মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন প্রিয় ভাই...
                    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দিন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment


                    • #11
                      আলহামদুলিল্লাহ্* অনেক উপকারী পোস্ট।এমন আকিদা শুধু কিছুসংখ্যক আলেমদের না। বরং তাদের ভক্তেরও।বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,যদি একশতজন আলেম এই অপব্যক্ষা করেন এবং প্রতি আলেমের এক হাজার ভক্ত থাকে, তাহলে তাদের ফলওয়ার দাড়াল এক লক্ষে।কতিপয়য় কিছু উলামেয়ে সূ এরজন্য এক লক্ষ মুসলিম এই ভান্ত আকিদায় বিশ্বাসী হয়ে গেল।তাই অনেকেই মনে করেন সুরা তাওবার বিধানগুলো তখনকার কাফের এবং মুনাফিকদের জন্য নাযিল হয়েছে,তা এখন কার্যকর হবেনা।সুতরাং উলামায়ে সূর প্রতিটা অপব্যক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়া দিতে হবে।যাতেকরে কোন মুসলিম গুমরাহির মায়াজালে আঁকরে না যায়।আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন...।

                      Comment

                      Working...
                      X