Announcement

Collapse
No announcement yet.

মালঊন পুলিশের বরবরতা-

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মালঊন পুলিশের বরবরতা-

    কক্সবাজার থানার এসআই মানস বড়ুয়ার মধ্যযুগীয় বর্বরতা

    মূল খবর-- http://www.jugantor.com/online/count...7/04/18/45061/




    নারী উদ্যোক্তাকে রিমান্ডে নিয়ে দাবি করেছিলেন ৩০ লাখ টাকা। আর তা দিতে অস্বীকার করায় বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয় তার স্তন ও গোপনাঙ্গে। এতে অজ্ঞান হয়ে গেলেও শরীরের আরও কয়েক স্থানে দেয়া হয় গরম তারের ছ্যাঁকা।

    এভাবে রিমান্ডের নামে নির্যাতনে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছেন কক্সবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানস বড়ুয়া।

    মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজের ওপর ঘটে যাওয়া এসব দুঃসহ স্মৃতি বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নারী উদ্যোক্তা জীবন আরা।

    তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরতলীর লিংকরোড়স্থ নিজস্ব পাকা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অন্য দিনের মতো ব্যবসায়ী স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ রাতে পুলিশ তাদের ডেকে বাড়িতে ঢুকে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাড়ি তল্লাশির কথা বলে সবাইকে চোখ বেঁধে এক কোণে বসিয়ে রাখা হয়। এরপর এক পুলিশ বলে উঠে- 'স্যার, ইয়াবা পাওয়া গেছে।'

    জীবন আরা বলেন, বাড়িতে ইয়াবা পাওয়ার কথা বলে রাতেই স্বামী আলী আহমদ সওদাগর ও তাকে রাতে থানায় এনে হাজতে রাখা হয়। তাদেরকে আনার সময় পুলিশ বাসা থেকে ব্যাংক চেক, স্বর্ণালংকার ও একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। কিন্তু সিজার লিস্টে গাড়িটি জব্দের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি। স্বামী-স্ত্রীকে তিন দিন থানা হাজতে রেখে মাদক মামলায় জীবন আরাকে এক নাম্বার আসামি করে চালান দেয়া হয়।

    এই নারী উদ্যোক্তা দাবি করেন, কারাগারে নেয়ার ১০ দিন পর রিমান্ডের নামে তাকে থানায় এনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মানস বড়ুয়া প্রথমে তার স্বজনদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় তার স্তন ও গোপনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন শরীরের আরও কয়েক স্থানে ছ্যাঁকায় ফোস্কা পড়েছে।

    তিনি বলেন, এ অবস্থায় তাকে কারাগারে দিয়ে আসা হয়। বিনা চিকিৎসায় থাকায় বৈদ্যুতিক শকের ক্ষতস্থান থেকে পঁচা গন্ধ বের হলে কারা কর্তৃপক্ষ পরে সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নথিতে বৈদ্যুতিক শকের কথা উল্লেখ করেছেন।

    জীবন আরা বলেন, এসব কথা উল্লেখ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে জামিন চাওয়া হয়। আদালত নারী কর্মকর্তা দিয়ে চেকআপ করার পর তথ্যের সত্যতা পেয়ে অবশেষে জামিন দেয়।

    তিনি বলেন, এরপর কোথাও কোনো অভিযোগ কিংবা কিছু করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি বসায় পুলিশ। কক্সবাজার হাসপাতালে পুলিশ বার বার হয়রানি করছে দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    নির্যাতিতা এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, চমেকে তার শারিরীক অবস্থা দেখে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ চিকিৎসা না পেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন তিনি।

    কেন এই পুলিশি হয়রানি- এমন প্রশ্ন করা হলে জীবন আরা বলেন, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। নিজ ভবনে তার একটি বিউটি পার্লার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি তিন মাসে এক ব্যাচে ১৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। পেয়েছেন সরকারি উদ্যোক্তা ঋণও।

    তিনি বলেন, এ সুবাদে ঢাকার পশ্চিম উত্তরার কামালপাড়ার সিরাজুল হকের স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি কক্সবাজার এসে ঢাকায় যৌথ মূলধনে একটি পার্লার করার প্রস্তাব দেন। তার কথা বিশ্বাস করে চুক্তির পর ২৩ লাখ টাকাও দেয়া হয়। এটিই কাল হয়েছে তার।

    তিনি দাবি করেন, সীমা ব্যবসা খোলার পরিবর্তে ওই টাকায় ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ করছেন। জানতে পেরে ঢাকায় গিয়ে নোটারির মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকার পরিবর্তে তার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার বন্ধক দেন সীমা। কথা ছিল টাকা পরিশোধ করে গাড়ি নিয়ে যাবেন।

    'কিন্তু তা না করে ১০ লাখ টাকায় কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ কয়েক অফিসারের সঙ্গে চুক্তি করে আমাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন সীমা। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে তার গাড়ি তাকে ফেরত দিয়েছে পুলিশ' অভিযোগ করেন জীবন আরা।

    তিনি দাবি করেন, তার সঙ্গে করা ডিট ও গাড়ির সব কাগজপত্র এখনো তার হেফাজতে রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে জামিনে এলেও আটকের দিন বাড়ি থেকে নিয়ে আসা জিনিসের হদিস দিচ্ছে না পুলিশ।

    সীমার দেয়া টাকা পাওয়ার পর ব্যবসায়ী স্বামীর কাছ থেকে টাকা আদায়ে ওসিসহ অন্যরা পরিকল্পনা করে তার ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালান বলে অভিযোগ করেন এই নারী উদ্যোক্তা।

    তিনি বলেন, কারাগার থেকে বের হয়ে নির্যাতনের বিচার পেতে সহায়তার জন্য শহরের ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমিতিতে যান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে পুলিশ আবার তার ওপর হামলা চালায়। ওইসময় নুনিয়ারছড়া এলাকায় ইট দিয়ে পিটিয়ে তার দেবর জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে দেন এসআই মানস।

    জীবন আরা আরও জানান, সদর থানা পুলিশের পরিকল্পনায় এসআই মানস বড়ুয়ার অমানবিক নির্যাতনের বিষয় উল্লেখ করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ পুলিশ সদর দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকেও।

    এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা এই নারী উদ্যোক্তা।

    সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার নারী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফাতেমা নার্গিস ডেজী, সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা, অর্থ সম্পাদক রেহেনা আক্তার পাখি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    জানতে চাইলে এসআই মানস বড়ুয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'অভিযোগকারিনী আমার তদন্তাধীন মামলার আসামি। তাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। এতে আমার কিছুই হবে না।'

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, 'একজন নারীকে আমার এক এসআই কর্তৃক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন।'

    তিনি বলেন, উভয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • #2
    এটা কোন বর্বরতা নয় । যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা বর্বর জাতি বলে আখ্যায়িত হবে।

    Comment


    • #3
      নারীরা ঘরেই নিরাপদ

      নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা,
      ‘দিনলিপি’র সন্ধান
      ‘এসআই আমাকে ধর্ষণ করেন,
      অভিযোগ নেননি ওসি’
      ময়মনসিংহ অফিস | ২৫ এপ্রিল ২০১৭,
      ০৮:১৭
      ‘আমার মরে যাওয়ার একমাত্র কারণ
      এসআই মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম
      আমাকে ধর্ষণ করেন। ১৭/০৩/১৭ ইং রাত
      ২.০০ ঘটিকায়। আমার অভিযোগ
      অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গ্রহণ করেন না।’
      ‘দিনলিপি’তে (ডায়েরি) এ রকম কথা
      লিখে গেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর
      থানার কনস্টেবল হালিমা বেগম। এ
      কথা জানান হালিমার বাবা হেলাল
      উদ্দিন আকন্দ। তিনি গতকাল সোমবার
      দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ
      সম্মেলন করেন। এতে তিনি ‘হালিমার
      লেখা দিনলিপি’ (ডায়েরি) ও ওসির
      কাছে করা ধর্ষণের শিকার হওয়ার
      ‘লিখিত অভিযোগ’ গণমাধ্যমের
      কর্মীদের দেখান।
      গৌরীপুর থানার ব্যারাকে ২ এপ্রিল
      নিজের কক্ষে শরীরে আগুন দেন
      হালিমা। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা
      মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
      নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িত
      সন্দেহে ওই রাতেই এসআই মিজানুলকে
      পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ৪ এপ্রিল
      হালিমার বাবা বাদী হয়ে
      মিজানুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায়
      প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
      মিজানুল বর্তমানে কারাগারে
      আছেন।
      ওসির কাছে ‘লিখিত অভিযোগে’
      হালিমা উল্লেখ করেন, মিজানুল
      তাঁকে নানা সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে
      আসছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ায়
      মিজানুল তাঁর ক্ষতি করার হুমকি দেন।
      ১৭ মার্চ দিবাগত রাত দুইটার দিকে
      মিজানুল হত্যার হুমকি দিয়ে ব্যারাকে
      হালিমাকে তাঁর কক্ষে ধর্ষণ করেন।
      বিষয়টি একই থানার এসআই রিপন
      জানতেন। রিপন বিষয়টি চেপে যেতে
      বলেন। ওসির কাছে এ ঘটনায় অভিযোগ
      দিতে হালিমাকে পরামর্শ দেন।
      সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে
      হালিমার বাবা হেলাল উদ্দিন আকন্দ
      বলেন, ‘আমার মেয়ের মৃত্যুর পর ৬ এপ্রিল
      গৌরীপুর থানার ব্যারাক থেকে তার
      ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিই। সেখানে তার
      একটি ডায়েরি (দিনলিপি) পাওয়া
      যায়। তাতে হালিমা নিজের হাতে
      ওই সব কথা লিখে গেছে।’ তিনি বলেন,
      একে তো হালিমা নিজ ব্যারাকে
      ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার ওপর
      সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি
      করেছেন—এত অপমান সহ্য করতে
      পারেননি হালিমা। মেয়ের প্রতি এই
      অন্যায়ের তিনি দৃষ্টান্তমূলক বিচার
      দাবি করেন।
      এসআই রিপন সরকার বলেন, ‘আমি এ
      ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। এসব
      অভিযোগ বানোয়াট।’ ওসি দেলোয়ার
      আহম্মেদ বলেন, ‘হালিমার সঙ্গে
      মিজানুলের অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জন
      শোনার পর হালিমার কাছে জানতে
      চেয়েছিলাম মিজানুল তাঁকে উত্ত্যক্ত
      করেন কি না। হালিমা তখন কোনো
      অভিযোগ করেননি।’

      Comment


      • #4
        ভাই ভাষা হারাই ফেলছি কি বলমু

        Comment


        • #5
          পুলিশের চেহারা

          শিবচরে ‘আতঙ্ক’ ভদ্রাসন
          পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র
          প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৪৩ |
          আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৪৯ |
          মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
          এলাকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য
          স্থাপন করা হয়েছিল পুলিশ তদন্ত
          কেন্দ্রটি। এখন সেটি সাধারণ
          মানুষের জন্য এক আতঙ্ক হয়ে
          দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ
          এলাকাবাসীর। একজন নারী ইউপি
          সদস্য একে বলছেন এলাকার
          বিষফোঁড়া। আর এ জন্য তারা দুষছেন
          ওই তদন্ত কেন্দ্রের একজন উপপরিদর্শক ও
          একজন কনস্টেবলকে।
          এলাকাবাসীর অভিযোগ,
          মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার
          ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের
          উপপরিদর্শক নূরুল ইসলাম ও কনস্টেবল
          (গাড়ির চালক) জাবেদ হোসেন যখন-
          তখন নিরীহ মানুষকে ভয় দেখিয়ে,
          আটক করে টাকা আদায় করেন। টাকা
          দিতে না পরলে নির্যাতন, মাদক
          মামলায় ফাঁসানো ও সন্দেহভাজন
          হিসেবে থানায় চালান করে দেন।
          ফলে শত বছরের পুরনো ভদ্রাসন
          বাজারে আসতে ভয় পায় মানুষ।
          সন্ধ্যার পর অনেকটা শূন্য হয়ে যায়
          বাজারটি।
          সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের
          কাছে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন
          বাজারের দোকানিসহ সাধারণ
          মানুষ। পরে এ ব্যাপারে জানতে
          চাইলে পুলিশ সুপার সরোয়ার
          হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি
          সমাধানের চেষ্টা করছেন।
          সাংবাদিকদের কাছে ভদ্রাসন
          বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক
          অভিযোগ করেন, একটি মামলায়
          চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ
          দেয়ার জন্য এসআই নূরুল ইসলাম ও
          কনস্টেবল জাভেদ দেড় লাখ টাকা
          দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি
          না হওয়ায় তার দোকান বন্ধ করে
          দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন তারা।
          বাজারে মাছ বিক্রি করে বাড়ি
          ফেরার পথে আটক করা হয়েছিল মাছ
          ব্যবসায়ী সিরূপ দাসকে। এই
          অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এসআই
          নূরুল ইসলাম ও ড্রাইভার জাভেদ
          আমাকে আটক করে বলেন, তোর
          কাছে ইয়াবা আছে। আমি অবাক
          হয়ে অস্বীকার করলে আমাকে মারধর
          করে শিবচর থানায় পাঠিয়ে দেয়।
          পরে আমি ৩০ হাজার টাকা দিলে
          সন্দেহভাজন হিসেবে আমাকে জেল
          হাজতে চালান দেয়।’
          দীর্ঘ দিন ধরে ভদ্রাসন বাজারে
          ব্যবসা করছেন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী
          সরোয়ার হোসেন। তার দাবি,
          কোনো দিন তার নামে কেউ দুর্নাম
          করেনি। ‘অথচ পুলিশ আমাকে আটক
          করে ব্যাপক নির্যাতন করে। আমার
          আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ১ লাখ
          ৪ হাজার টাকা আদায় করে পরে ৫০
          পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়
          আমাকে।’
          বাজারে আজিম নামের এক
          ব্যবসায়ীকে উলঙ্গ করে শারীরিক
          নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে বলে
          জানান বাজারের ব্যবসায়ীরা। গনি
          নামের এক ব্যক্তিকে টাকার জন্য
          আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে মুখে গামছা
          বেঁধে নির্যাতন করার কথা জানান
          ভুক্তভোগীরা।
          বাজারের শাকসবজি বিক্রেতা এক
          নারী বলেন, ‘এই তদন্ত কেন্দ্রের
          পুলিশদের ভয়ে আমরা বাজারে
          আসতে ভয় পাই। তাদের কথা না
          শুনলে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার
          করে।’
          নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী
          বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকা থাকে।
          এই তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রাতে আমার
          বাসায় এসে গালাগালি করে। ওর
          ভয়ে আমি এই বাজারে যেতে
          পারি না। ভয়ে ভয়ে থাকি।’
          ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা
          সদস্য নাছিমা বেগম এই পুলিশ কেন্দ্র
          এখন এলাকার বিষফোঁড়া হয়ে
          দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তার
          ভাষ্য, পুলিশের নির্যাতনে ভয়ে
          এলাকায় নিরীহ মানুষ রাতে
          ঘুমাতে পারে না। যখন-তখন যাকে
          ইচ্ছে তাকে মাদক, অস্ত্র মামলার ভয়
          দেখিয়ে টাকা আদায় করে। এ
          ব্যাপারে আইজিপি ও
          স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজর কামনা করেন
          তিনি।
          এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে
          চাইলে এসআই নূরুল ইসলাম
          সাংবাদিকের সঙ্গে অশ্লীল ভাষা
          প্রয়োগ করেন।
          তবে পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন
          বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ লিখিত
          অভিযোগ করলে তদন্ত করে তাদের
          বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে
          আমি চেষ্টা করছি, বিষয়টি
          সমাধানের।’
          (ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/মোআ)
          সংবাদটি শেয়ার করুন

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ খায়রান " জনতার কন্ঠ "

            Comment


            • #7
              এই সংবাদ গুলো আর বেশি প্রচার হওয়া দরকার

              Comment


              • #8
                মিডিয়ার বিভিন্ন ভিডিওতে এই জুলুমগুলো তুলে ধরা দরকার।
                কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                Comment

                Working...
                X