Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাক্বদীরের সার কথা - বিপদে কষ্ট না পাওয়া ও নিয়ামত পেয়ে খুশি না হওয়া

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাক্বদীরের সার কথা - বিপদে কষ্ট না পাওয়া ও নিয়ামত পেয়ে খুশি না হওয়া

    তাক্বদীর প্রতি সন্তুষ্টতা

    বিপদে কষ্ট না পাওয়া ও নিয়ামত পেয়ে খুশি না হওয়া


    আমরা সবাই জিবনে অনেক বিপদের পড়ি, আবার অনেক নিয়ামতও ভোগ করি। দুই অবস্থাতেই আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পরিক্ষা করেন। এটা দেখেন যে, আমরা তাকদীরের উপর কতটা বিশ্বাস পোষন করি। তো এই সমস্ত অবস্থায় একটা মৌলিক নীতি অনুসরণ করলেই ইংশাআল্লাহ আমাদের জন্যে হেদায়াতের উপর থাকা সহজ হয়ে যাবে। নিচের আয়াতটি একটু মনযোগের সাথে খেয়াল করুনঃ

    ﻣﺎ ﺃﺻﺎﺏ ﻣﻦ ﻣﺼﻴﺒﺔ ﻓﻲ اﻷﺭﺽ ﻭﻻ ﻓﻲ ﺃﻧﻔﺴﻜﻢ ﺇﻻ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﻦ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻧﺒﺮﺃﻫﺎ ﺇﻥ ﺫﻟﻚ ﻋﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻳﺴﻴﺮ (22) ﻟﻜﻴﻼ ﺗﺄﺳﻮا ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﻓﺎﺗﻜﻢ ﻭﻻ ﺗﻔﺮﺣﻮا ﺑﻤﺎ ﺁﺗﺎﻛﻢ ﻭاﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺤﺐ ﻛﻞ ﻣﺨﺘﺎﻝ ﻓﺨﻮﺭ (23) سورة الحديد

    (22) পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।

    (23 ) এটা এজন্যে বলা হয়, যাতে তোমরা যা হারাও তজ্জন্যে দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তজ্জন্যে উল্লসিত না হও। আল্লাহ কোন উদ্ধত ও গর্বকারীকে পছন্দ করেন না।

    যথাযথ চেষ্টা করার পরও যদি কাঙ্খিত বিষয়ে সফলতা না আসে, তখন তাক্বদীর কে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সিদ্ধান্ত কে প্রজ্ঞাপূর্ণ মনে করে তাতে অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ধৈর্য্য ধারন করতে হবে, হা হুতাশ করা যাবে না। তাহলে আল্লাহ তায়ালা ভবিষ্যতে ভালো কিছু ও বড় কিছু দান করবেন। কারণ আপনি যা হারিয়েছেন তাতে আপনার বিন্দু মাত্রও ক্ষমতা নেই। বরং আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করেই আপনার থেকে নিয়ে নিয়েছেন। তাই কস্ট পাওয়ার অর্থ হবে আপনি আল্লাহর এই ফায়সালাটাকে মানতে পারছেন না। যে ধারনাটা দ্বীনের দৃষ্টিতে আপনার জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর। বরং ধৈর্যের ফলে আল্লাহ বড় প্রতিদান দান করবেন ইংশাআল্লাহ।

    আফসোস, আমরা অধৈর্য হয়ে পড়ি, আল্লাহর ব্যাপারে বদ ধারণা করতে থাকি। আল্লাহর হিকমতপূর্ণ সিদ্ধান্ত কে না মেনে হা হুতাশ করতে থাকি। এই জন্য ভবিষ্যতের বড় প্রতিদানটাও হারিয়ে যায়।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ন দিক যা আমরা কেহই চিন্তা করি না। তা হল, আমরা কি আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে খুশি হব ?

    আমরা যত নিয়ামতই ভোগ করি, এক্কেবারে হেদায়াতের উপর অটল থাকা থেকে নিয়ে জুতার ফিতা পর্যন্ত; সবই একমাত্র আল্লাহর তায়ার পক্ষ থেকেই। এতে বিন্দু মাত্র আমাদের কোন হাত বা দখল নেই।
    আসবাব হচ্ছে একটা রাস্তা সদৃশ। মনে করুন, একজন আপনাকে কিছু দিতে চায়। কিন্তু তারা বাড়ি থেকে আপনার বাড়িতে জিনিসগুলো আনার মত কোন রাস্তা নেই। এখন দাতা ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই একটা রাস্তা বানিয়ে আপনাকে পাঠিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু উনার একটা নিয়ম হচ্ছে, যে যত সুন্দর ও বড় করে রাস্তা বানিয়ে দিবে, তার কাছে তত সুন্দর ও বড় জিনিস পাঠাবে। কারণ খারাপ বা ছোট রাস্তা দিয়ে তো আর ভারী বা বড় জিনিস পাঠানো যায় না!!!
    তবে এখানে খয়াল করুন, যে জিনিস দান করা হচ্ছে সেটাতে কিন্তু আপনার বিন্দু মাত্র দখল নেই। সেটা সম্পূর্নই দাতার ইচ্ছা। উনার যদি মনে না চায় তাহলে আপনি যতই সুন্দর করে রাস্তা বানান, জিনিস কিন্তু আসবে না। আর উনার ইচ্ছা হলে নিজেই রাস্তা বানিয়ে পাঠিয়ে দিবেন।
    ঠিক তেমনি আপনার চেষ্টা যদি সঠিক হয় তাহলে আল্লাহ আপনার আসবাবের পথ ধরে নিয়ামত পাঠিয়ে দিবেন। এখানে আপনার বিন্দু মাত্র দখল নেই।

    শুকুরিয়া বনাম খুশি হওয়া

    মানুষ কোন কিছু পায়ে খুশি হয় তখনই যখন সেটা নিজের চেষ্টায় হয়ে থাকে। কিন্তু অন্যের দান করা কোন জিনিসে তাকে প্রশংসা করা হয়, কিন্তু নিজে গর্ব করার কোন কারণ থাকে না। কারণ প্রশংসা ও গর্ব এক বিষয় নয়। এখন কেউ আপনাকে একটা জিনিস দিল, আর এটা আপনি নিজের বলে অন্যদের সামনে গর্ব করলেন তাহলে কেমন নিমকহারামী হবে আপনি বলুন। ঠিক তেমনই আমরা সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করব। কিন্তু গর্ব বা খুশি হওয়া নয়। তবে দ্বীনের কোন ভাল সংবাদ পেলে তো খুশি হওয়ার কথা আল্লাহই বলে দিয়েছেন।

    কোরাসঃ ইখলাসে মূল কথা হল, কোন নিয়ামত পেয়ে মুখে হাসি না আসা।
    Last edited by তাহরীদ মিডিয়া; 04-26-2017, 05:02 PM.

  • #2
    আখি খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা, একজন মোমিনের জীবনে তার আকীদাই তার সব চেয়ে বড় ও দামী সম্পদ। সটিক আকীদা পোষণ করা প্রতিটা মানুষের উপর ফরজ। মানুষের জীবনে আকীদার চেয়ে উত্তম কিছু আর নেই।
    #আখি, আপনাদের লিখাগুলো মনদিয়েই পড়ার চেষ্টা করি। কখনো যদি আমরা কমেন্টে ভুল বুঝি এমনটা প্রমাণ হয়, তাহলে অনুরোধ থাকলো শুদ্রে দেওয়ার।
    #আপনাদের নিয়মিত পোস্ট যেটা চলছে, তার ৩য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
    Maassalamo.
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      যাজাকুমুল্লাহ খাইরান, যদি আমাদের কাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ফায়দা পৌছান তো এটা সম্পূর্নই আল্লাহর ইচ্ছা ও প্রসংসা। এতে আমাদের কোন হাত নেই। আল্লাহ তায়ালা সবাইকেই হেদায়াতের উপর রাখুন।

      জি তৃতিয় পর্ব দেয়া হয়েছে।

      Comment


      • #4
        জাযাকুমুল্লাহ............

        Comment


        • #5
          যাযাকাল্লাহ ইয়া আঁখি!!!
          চমৎকার পোস্ট করলেন ভাই!!!!


          যাযাকাল্লাহ!!!! হে! প্রিয় মুজাহিদ ভাই আমার, অত্যান্ত উপকারি পোস্ট করলেন আপনি!!!! আল্ হ্বামদুলিল্লাহ!!!! সীমাহিন কৃতজ্ঞতা
          জ্ঞাপন করছি ভাই!!!! ...

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ন। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে খেয়াল রাখার তাউফিক দান করুন।

            Comment


            • #7
              ..جزاكم الله أحسن مايجزي به عباده الصالحين

              Comment

              Working...
              X