Announcement

Collapse
No announcement yet.

১৭ই আগস্টের আহবান || Al Burqan Media

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ১৭ই আগস্টের আহবান || Al Burqan Media

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

    ১৭ই আগস্টের আহবান

    ১৭ই আগষ্ট ২০০৫।

    সারাদেশের ৬৩টি জেলায় বোমা ফাটিয়ে কি জানাতে চেয়েছিল জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ?
    কেউ কি তার ৩য় চোখ দ্বারা সেটা বুঝতে চেয়েছেন?
    নাকি চোখে হলুদ মিডিয়ার চশমা পড়ে তাদের বলা বুলি আওড়াচ্ছেন?

    হে উম্মাতে মুহাম্মাদী !

    চোখ খুলুন। ৩য় চোখ মানে আপনার বিবেকের চোখ খুলুন।
    একবার চিন্তা করুন,
    কেন এই জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ এর আমীর সহ শীর্ষস্থানীয় ভাইয়েরা তাদের জীবন বিলিয়ে গেলেন?
    কেন তারা মানব রচিত আইনের কাছে মাথা নত করলেন না?
    সরকার তো বলেছিল, তারা যদি ভুল স্বীকার করে প্রাণ ভিক্ষা চায়, তবে তাদের মাফ করে দেয়া হবে? তবে কেন তারা রাজি হন নি?
    আসুন একটু জেনে নিই, কি লিখা ছিল দুই পৃষ্ঠার ঐ কাগজে? যার জন্য তাদেরকে ফাঁসীতে ঝুলানো হল?
    যার জন্য তাগুতের মাসনাদ নড়ে গেল?
    কেন তারা আমেরিকায় যেয়ে তাদের সাহায্য ভিক্ষা চাইল?

    জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ -এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের আহবান !

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক। অতঃপর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
    কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-
    إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ
    অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেয়ার অধিকার নাই। (সূরা ইউসুফ : ৪০)
    أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ
    অর্থ : শুনে রাখ ! তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। (সূরা আ’রাফ : ৫৪)

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
    لَا تَزَالُ ‏عِصَابَةٌ‏ ‏مِّنْ أُمَّتِيْ يُقَاتِلُوْنَ عَلَى أَمْرِ اللّٰهِ قَاهِرِيْنَ لِعَدُوِّهِمْ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتّٰى تَأْتِيَهُمُ السَّاعَةُ وَهُمْ عَلَى ذَالِكَ
    অর্থ : আল্লাহর আইনকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমার উম্মতের মধ্যে একটি ইছাবা (দল) সব সময় সশস্ত্র জিহাদ করে যাবে। তারা তাদের শত্রুদের প্রতি কঠোর হবে, যারা তাদের বিরোধীতা করবে, তারা তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তারা কিয়ামাত পর্যন্ত এ কাজ চালিয়ে যাবে। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ইমারাহ, ই. সে. হা : ৪৮০৫)

    জনগণের প্রতি আহবান !

    প্রিয় দেশবাসী মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি রূপে এবং শুধুই তাঁর ইবাদাতের জন্য যাতে থাকবে না কোন অংশীদার। আমাদের মাঝে শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করেছেন এই শিক্ষা দেয়ার জন্য যে আমরা কিভাবে আমাদের বিশ্বাস ও কাজ কর্মে ত্বাগুতকে বর্জন করতে পারি। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
    وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ
    অর্থ : প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই আমি রাসূল পাঠিয়েছি এ দায়িত্ব দিয়ে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর এবং সকল প্রকার তাগুতকে বর্জন কর। (সূরা নাহল : ৩৬)

    তাগুতঃ মানুষ যদি আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইলাহ বা উপাস্যের আসনে বসিয়ে তার ইবাদাত বা আনুগত্য করে এবং কোন ব্যাপারে তাকে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তবে অংশীদার ইলাহকে বলা হয় “তাগুত”।

    ক্ষমতাসীন তাগুতঃ আল্লাহর বিধান পরিবর্তনকারী জালিম শাসক, অর্থাৎ যে শাসক আইনের বলে হারামকে হালাল করে। যেমনঃ যিনা, সুদ, মদ্যপান বা অশ্লীলতার অনুমোদন দেয়, কিংবা হালালকে হারাম করে। যেমনঃ জিহাদ-ক্বিতালে বাধা দেয়। অনুরূপভাবে, যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে নিজেদের তৈরিকৃত অথবা কাফির-মুশরিকদের বিধান অনুযায়ী শাসন করে সে হলো ক্ষমতাসীন তাগুত”।

    কোন মুসলিম ভূখন্ডে আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য কারো বিধান চলতে পারে না। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম বাস করা সত্ত্বেও আমাদের দেশে আল্লাহর বিধান কার্যকর নেই। উপরন্তু দেশের জেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নিম্ন ও উচ্চ আদালত গঠন করে যে বিচারকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে তার মূল ভিত্তি হচ্ছে মনুষ্য রচিত সংবিধান। যে সংবিধান প্রণয়ন করেছে কিছু জ্ঞানপাপী মানুষ। কথা ছিল মানুষ হিসেবে একজন মানুষের কাজ হবে আল্লাহর দাসত্ব করা ও আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা। কিন্তু সে মানুষ আজ নিজেই সংবিধান রচনা করে আল্লাহর বিধানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

    এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছে আল্লাহ বিরোধী শক্তি। কারণ যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র প্রধান কিংবা রাষ্ট্রের অন্যান্য পরিচালকবর্গ নির্বাচিত হচ্ছেন তা একটি সম্পূর্ণ অনৈসলামিক পদ্ধতি। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে কোথাও প্রচলিত কাফির-মুশরিক বিরচিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি পদ্ধতির স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। এসব প্রত্যেকটি পদ্ধতিই হচ্ছে আল্লাহর বিধানের প্রতিপক্ষ এক একটি ব্যবস্থা। এবং কাফির-মুশরিক ও ইহুদী মস্তিষ্ক প্রসূত এসব বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে শুধুমাত্র মুসলিম আক্বীদা ও বিশ্বাসকে ধ্বংস করার মানসে। কাজেই এদেশের মুসলিম জনতার আজ ভাবার সময় এসেছে।

    তাই জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ আল্লাহর হুকুম ও ঈমানের দাবীকে সামনে রেখে এই প্রচলিত বিচার ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে। পাশাপাশি যে সংবিধানকে ভিত্তি করে দেশ পরিচালিত হচ্ছে, তা আল্লাহর বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক; বিধায় এ ব্যবস্থা ও তথাকথিত নির্বাচন পদ্ধতি পরিহার করে আল্লাহর হুকুম ও রাসূলের তরীকায় দেশ পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। অন্যথায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহ নির্দেশিত ক্বিতাল পদ্ধতির সামগ্রিক বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর।

    অতএব যতদিন পর্যন্ত দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না হয়, ততদিন পর্যন্ত তাগুতের বিচারালয়ে যাওয়া বন্ধ রাখুন। আপনাদের যেকোন বিচার ফয়সালার জন্য মাসজিদের খতিব, মাদরাসার মুহাদ্দিস ও অভিজ্ঞ আলেমে দ্বীনের কাছে গিয়ে আল্লাহর আইনের ফয়সালা প্রার্থনা করুন। তাগুত সরকারের আইন উপেক্ষা করে আল্লাহর আইনের বিচার ফয়সালা নিন।
    আল্লাহ বলেন-
    أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
    অর্থ : তারা কি জাহেলী বিধানের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা ঈমানদারদের জন্য উত্তম ফয়সালাকারী কে? (সূরা মায়েদাহ : ৫০)
    أَفَغَيْرَ اللَّهِ أَبْتَغِي حَكَمًا
    অর্থ : তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন বিচারকের অনুসন্ধান করবো? (সূরা আন’আম : ১১৪)
    أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آَمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ
    অর্থ : আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে আমরা ঈমান এনেছি, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা তাগুতকে বিধান দানকারী বানাতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, তারা যেন তাকে অমান্য করে। (সূরা নিসা : ৬০)।

    বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান !

    যারা হিদায়াতের অনুসারী তাদের প্রতি সালাম। হিদায়াত প্রাপ্তির পর গোমরাহী ও অন্ধকারের দিকে ফিরে আসা উচিত নয়। আল্লাহ তাঁর রাসূল কে সত্য দ্বীন সহকারে সৃষ্টির প্রতি প্রেরণ করেছেন সুসংবাদ বহনকারী ও সতর্ককারী হিসাবে। যারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছে, আল্লাহ তাদের সঠিক ভাবে হিদায়াত দিয়েছেন। আর যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন। অতঃপর তারা ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, ইসলামের আনুগত্য করেছে।
    অতএব বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান !
    আপনারা এদেশে আল্লাহর আইন চালু করুন। আমরা আপনাদের সহযোগীতা করব। আমরা ক্ষমতা চাই না, আমরা দেশে তাগুতী শাসনের পরিবর্তে আল্লাহর আইন চাই।

    [এ ছিল ১ম পৃষ্টার লিখা। নীচে ২য় পৃষ্টা ও তাতে কি লিখা ছিল তা দেয়া হল।]

    জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ এর কর্মীরা আল্লাহর সৈনিক। আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করার জন্য এরা অস্ত্র হাতে নিয়েছে। যেমন নিয়েছিলেন নবী-রাসূল, সাহাবী ও যুগে যুগে বীর মুজাহিদগণ। জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ এদেশ থেকে সমস্ত শিরক-বিদআতের অবসান ঘটিয়ে খালিছ তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। এবং এর মাধ্যমে জনগণকে দুনিয়া ও আখিরাতে সুখী দেখতে চায়।

    জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ লিফলেট ও প্রচারপত্রের মাধ্যমে সরকারকে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিপূর্বে দু’বার আহবান জানিয়েছে। প্রতিবারেই সরকার তাদের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। জামা’আতুল মুজাহিদীন তার কোন পাল্টা এ্যাকশন নেয়নি। কিন্তু এবারের আহবান জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ -এর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার ৩য় আহবান। এই আহবানের পর সরকার যদি এদেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা না করে, বরং আল্লাহর আইন চাওয়ার অপরাধে কোন মুসলিমকে গ্রেফতার করে, অথবা আলেম ওলামাগণের উপর নির্যাতন চালায়, তাহলে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাল্টা এ্যাকশন নিবে ইনশাআল্লাহ।

    জাতীয় সংসদের সরকারী ও বিরোধীদলের প্রতি আহবান !

    কাফের রচিত গণতান্ত্রিক এই পদ্ধতিটি সরকারী ও বিরোধী দল নামে দুটি পক্ষ সৃষ্টি করে জাতিকে দলে দলে বিভক্ত করে দেয়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হরতাল, অবরোধ করে জনগণের ক্ষতি সাধন করার অধিকার দেয়। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির অপরাধের জন্য জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখা, সারা দেশ অচল করে দেয়াও গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান সম্মত।

    এদেশে যারা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় তারা ইসলামের শত্রু। অতএব, আল্লাহর হিদায়াত পেতে চাইলে দলাদলি বাদ দিয়ে সরকারী ও বিরোধীদল মিলে অবিলম্বে দেশে ইসলামী আইন চালু করুন। তাগুতী সংবিধান পরিত্যাগ করে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে সমুদয় শিরক-বিদআত, অশ্লীলতা দূর করে জনগণকে সঠিক ভাবে ইসলাম পালন করতে দিন। আর আপনারা যদি বুশ-ব্লেয়ার চক্রের ভয়ে দেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করার সাহস না পান, তাহলে গণতন্ত্রের তাগুতি রাজনীতি ছেড়ে দিন। আলেম-ওলামা, মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদগণের সমন্বয়ে শুরাই পদ্ধতিতে তৌহিদী জনতা এদেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করবে ইনশা-আল্লাহ।

    সরকারী আমলা ও বিচারকগণের প্রতি আহবান !

    সরকার দেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা না করলে আপনারা প্রশাসনিক কাজকর্ম ও তাগুতী আইনে বিচারকার্য পরিচালনা বন্ধ করুন। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্নক সহযোগীতা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন ধন্য করুন।
    সেই সাথে আর্মি, বিডিআর, পুলিশ ও র*্যাব সহ সকল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণের প্রতি আহবান !
    আপনারা তাগুতি আইন হিফাযতের পরিবর্তে আল্লাহর আইন হিফাযতে সচেষ্ট হোন। তাগুতের আদেশ মানবেন না, আল্লাহর আদেশ মানুন। তাগুতের নির্দেশে আল্লাহর সৈনিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবেন না। তাগুতের গুলামী ছেড়ে, আল্লাহর সৈনিকদের দলে যোগ দিন। তাগুতের সৈনিক হওয়ার পরিবর্তে আল্লাহর সৈনিক হয়ে যান। আর যারা তাগুতের গোলামী না ছাড়বে, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
    الَّذِينَ آَمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
    অর্থ : যারা ঈমানদার তারা লড়াই (সশন্ত্র জিহাদ) করে আল্লাহর রাহে, পক্ষান্তরে যারা কাফির তারা লড়াই করে তাগুতের পক্ষে। সুতরাং তোমরা লড়াই (সশস্ত্র জিহাদ) করতে থাক শাইত্বনের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে- (দেখবে) শাইত্বনের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল (সূরা নিসা : ৭৬)

    বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আহবান !

    বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হচ্ছে জর্জ ডব্লিউ বুশ (এটি ২০০৫ সালের লিখা)। সে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ* মুসলিমদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে এবং জোর করে সকল মুসলিম দেশে কুফরি সংবিধান চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে ঈমানহারা করতে চায়। সমগ্র পৃথিবীতে গণতন্ত্রের কুফরী মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে New World Order এর মাধ্যমে গোটা পৃথিবীকেই তার নির্দেশের আওতায় আনতে চায়। এ যেন এক নব্য ফেরাউনী অভিলাষ। কিন্তু আল্লাহর সৈনিকরা তার এ অভিলাষ পূর্ণ হতে দিবে না এবং গণতন্ত্রের কুফরী মতবাদও প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। গণতন্ত্র হচ্ছে তাগুতের উদ্ভাবিত পদ্ধতি। পৃথিবীতে তাগুতী শক্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য এটা তাদের প্রধান অস্ত্র। তাগুতী বিধান আল্লাহর পথের মুজাহিদদেরকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যারা অস্ত্র ধরে তাদেরকে বলে জঙ্গী, সন্ত্রাসী। অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেন-
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا خُذُوا حِذْرَكُمْ فَانْفِرُوا ثُبَاتٍ أَوِ انْفِرُوا جَمِيعًا
    অর্থ : হে ঈমানদারগণ ! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়। (সূরা নিসা : ৭১)
    অতএব বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আহবান, আপনারা প্রতিটি মুসলিম দেশে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বাধ্য করুন। সকল মুসলিম দেশ হতে সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে তাগুতী শাসকদের উৎখাত করে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। কুফরি জাতিসংঘ পরিত্যাগ করুন। ইসলামী দেশ মিলে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করে মুসলিম উম্মাহকে শক্তিশালী করুন।

    কাফির মুশরিকদের প্রতি হুশিয়ারী !

    বুশ-ব্লেয়ার সহ সমস্ত জালিম শাসকদেরকে হুশিয়ার করা যাচ্ছে যে, তোমরা মুসলিম দেশের দখলদারীত্ব ছেড়ে দাও। মুসলিম দেশে আর মোড়লীপনা করার চেষ্টা করো না। সারা বিশ্বে মুসলিমরা জেগে উঠছে। এখনো যদি মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না কর, তাহলে তোমাদেরকে পৃথিবীর কোথাও নিরাপদে থাকতে দেয়া হবে না। ইসলামদ্রোহী NGO দেরকে সতর্ক করা যাচ্ছে যে, তোমরা মুসলিম দেশে ইসলাম বিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ কর। তা না হলে তোমাদেরকে সমূলে উৎপাটন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
    ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’আলা ‘আলা খাইরি খালকিহী মুহাম্মাদিও ওয়া’আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।

    আহবানেঃ জামা‘আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ।

    পরিবেশনায়






    الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ

    “যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উত্তম কথাসমূহের অনুসরণ করে; এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের আল্লাহ তা’আলা সৎপথে পরিচালিত করেন, আর এরাই হচ্ছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ।” (সূরা আয যুমার ৩৯: ১৮)

  • #2
    অতএব বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আহবান, আপনারা প্রতিটি মুসলিম দেশে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বাধ্য করুন। সকল মুসলিম দেশ হতে সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে তাগুতী শাসকদের উৎখাত করে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। কুফরি জাতিসংঘ পরিত্যাগ করুন। ইসলামী দেশ মিলে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করে মুসলিম উম্মাহকে শক্তিশালী করুন।

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ আখি...!!!
      كتب عليكم القتال وهو كره لكم

      Comment


      • #4
        অনেক দিন পর, সুন্দর একটি লেকচার পড়লাম। ভাই,ধারাবাহিক লেখা চাই।আপনাদের ইমান জাগনাওয়ালা লেখা পড়া,শুনা,দেখা ও শিখার জন্য'ই দাওয়াহ ইলাল্লাহ'তে আশা।
        আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

        Comment


        • #5
          জিহাদ জনগণকে নিয়ে করতে হবে। তাই জনগণকে আগে দ্বীন বুঝিয়ে সহীহ জিহাদের উপর উঠানো আবশ্যক। এর আগে যদি আমরা শক্তি প্রদর্শন করতে যাই তাহলে আমাদের শক্তিটা তেমন কোন ফায়েদা আনা ছাড়াই খরচ হবে। তাই, জে এম বি’র ভাইদের প্রতি আহ্বান, আপনারা সমাজের মাঝে ব্যাপকহারে সহী দাওয়াতের কাজ চালান। কেউ কেউ মনে করে আপনারা কওমী উলামাদের থেকে বিচ্ছিন থেকে কাজ করেন। যদি এমনই হয় (যদিও আমার কাছে তা যথার্থ সত্য বলে মনে হয় না) তাহলে তা একটা মারাত্নক ভুল। ভাইদের কাছে এমন কোন ভুল না করার আবেদন থাকলো।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Ahmad Al-hindi View Post
            জিহাদ জনগণকে নিয়ে করতে হবে। তাই জনগণকে আগে দ্বীন বুঝিয়ে সহীহ জিহাদের উপর উঠানো আবশ্যক। এর আগে যদি আমরা শক্তি প্রদর্শন করতে যাই তাহলে আমাদের শক্তিটা তেমন কোন ফায়েদা আনা ছাড়াই খরচ হবে। তাই, জে এম বি’র ভাইদের প্রতি আহ্বান, আপনারা সমাজের মাঝে ব্যাপকহারে সহী দাওয়াতের কাজ চালান। কেউ কেউ মনে করে আপনারা কওমী উলামাদের থেকে বিচ্ছিন থেকে কাজ করেন। যদি এমনই হয় (যদিও আমার কাছে তা যথার্থ সত্য বলে মনে হয় না) তাহলে তা একটা মারাত্নক ভুল। ভাইদের কাছে এমন কোন ভুল না করার আবেদন থাকলো।
            ...আশা করি, জেএমবি'র ভাইয়েরা মুহতারাম Ahmad Al-hindi ভাইয়ের এই নাসিহাটুকু ভেবে দেখবেন! মহান আল্লাহ! মুজাহিদগণের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন!
            বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

            Comment


            • #7
              জাঝাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
              আল্লাহ এদেশের মুসলিমদেরকে হক্ব বুঝার তাউফিক দিন।
              কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ ভাই!! আপনারা উম্মাহর সামনে বাস্তব বিষয়গুলো তুলে ধরুন।
                আপনাদের কাছে এটা আমাদের বড় আবদার।

                Comment


                • #9
                  বাড়িওয়ালাদের প্রতি আহ্বান।

                  আপনাদের বাড়ির কোন ভাড়াটিয়াদের ধার্মিক দেখলে,বোরকা অথবা দাঁড়ি ওয়ালা দেখলে বা ধার্মিক বলে কোন ধরনের সন্দেহ হলে এই অবৈধ পুতুল সরকারের পুলিশলীগকে জানানোর জন্য ডি এম পির পক্ষ থেকে যে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত গর্হিত ও ঈমান আমল বিধ্বংসী কাজ যা এক জন মানুষকে কুফরির দিকে নিয়ে যাবে। এক জন মুসলিম অন্য এক মুসলিমের ধার্মিকতা দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হারাম। আমরা এ কোন দেশে বাস করছি যেখানে প্রতিনিয়ত টুপি,দাঁড়ি,বোরকাকে অপমানিত করা হচ্ছে আর অপর দিকে নাস্তিক্যবাদকে উংসাহ দেওয়া হচ্ছে।হাইকোট এর সামনে মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে প্রতি নিয়ত রাস্তার মাড়ে মোড়ে মূর্তি বসানো হচ্ছে। প্রতিবাদের ভাষা বন্ধ করে দিয়ে দেশের জনগনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ করলে শুরু হয় নির্যাতনের স্টিম রোলার যা টিয়ারশেল থেকে শুরু করে,পিপার স্প্রে,লাঠিপেটা,বন্দি,গুম, খুন,এমনকি ক্রসফায়ার এর নাম করে প্রতি নিয়ত শিক্ষিত মানুষদের হত্যাকরে মেরে লাশ ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদীতে ও পুকুর ডোবাতো যা আপনারা সচক্ষে দেখছেন।
                  রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য জনগনের দৃষ্টি অন্য দিকে নিতে একে পর এক জঙ্গি নাটক শুরু করেছে। ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধী মতকে দমনের জন্য একের পর এক মামলা দিয়ে তাদের বাড়ি ছাড়া করাতে বাধ্য করাচ্ছে। এই অত্যচারি শাসক শুধু বাড়ি ছাড়া করেই ক্ষ্রান্ত হয় নি তাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে বেছে নিয়েছে একের পর এক অপকৌশল।পায়ে গুলি করে পঙ্গ করে দেওয়া,বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা, গুম ও ক্রসফায়ার এ তাদের হত্য করা। এমন পরিস্থিতিতে তৌহিদী জনতা ও ইসলামি দলের নেতা কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে বাদ্ধ হচ্ছে। এতেও অত্যাচারি সরকার ও নির্লজ্জ প্রশাসন ক্ষ্রান্ত হয় নি তাদের কাছে বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার জন্য বাড়ি ওয়ালাদের চাপ সৃষ্টি করাচ্ছে।এমনকি ধার্মিক ভাড়াটিয়া যাদের বাসায় টিভি নাই, দাড়িওয়ালা, কিন্বা বোরকা পরিহিতা এমন ভাড়াটিয়াদের তথ্য পুলিশদের জানাতে বলে বিরোধী মতকে বাসস্থান এর মত মৌলিক অধিকার থেকে ও বঞিত করা হচ্ছে। জঙ্গি নাটক করে বাড়িওয়ালাদের বাড়িতেই হত্যা করা হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের। আর ধ্বংস করা হচ্ছে বাড়ি ঘর।যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাড়িওয়ালারা। বাড়িতে বোমা মেরে,রকেটলঞ্চার মেরে,গ্রনেটি মেরে,গুলি করে ও দেওয়াল ভেঙ্গে ঝাঝড়া করে ধ্বংস করা হচ্ছ বাড়ি ঘর।
                  এমন পরিস্থিতিতে তৌহিদী জনগন কিংবা অসহায় ভাড়াটিয়াদের বাড়িতে থাকতে না দিতে চাইলে তাদের সরাসরি বাড়িছেড়ে দিতে বলুন পুলিশ কে খবরদিবেন না। এতে আপনার বাড়িতে গন্ডগোল দেখা দিতে পারে। ফলে আপনার বাড়ির সুনাম নষ্ট হবে এতে আপনার ভারাটিয়া কমে যাবে আপনি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।এছাড়া আবাল পুলিশ অতি উৎসাহি হয়ে আপনার বাড়িতে অপারেশন চালালে আপনার বাড়ি ক্ষতি গ্রস্ত হবে এমন কি আপনার পুরা বাড়ি ভাঙ্গে যেতে পারে। আর আপনি নির্যাতিত মুসলিমদের ব্যপারে গোলামি পুলিশে তথ্য দিয়ে বা ধরিয়ে দিয়ে আপনি হারাবেন আপনার ঈমান ও আপনার বাড়ি।
                  তাই আসুন আমরা নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে দাঁড়াই, তাদের জন্য আমরা আনসার/সাহায্যকারী হয়ে যাই।যেমন আনসার হয়েছিল মদিনা বাসি আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সকে থাকতে দিয়ে নিজেদের জান্নাতিদের অন্তরভূক্ত করেছিল। আর আপনি নির্লজ্জ একচোখা প্রশাসনের হুমকি ধামকিতে ভীত হলে পুলিশের কাছে না গিয়ে ভারাটিয়াদের চলে যেতে বলুন, এটাই আপনার জন্য উত্তম।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Ahmad Al-hindi View Post
                    জিহাদ জনগণকে নিয়ে করতে হবে। তাই জনগণকে আগে দ্বীন বুঝিয়ে সহীহ জিহাদের উপর উঠানো আবশ্যক। এর আগে যদি আমরা শক্তি প্রদর্শন করতে যাই তাহলে আমাদের শক্তিটা তেমন কোন ফায়েদা আনা ছাড়াই খরচ হবে। তাই, জে এম বি’র ভাইদের প্রতি আহ্বান, আপনারা সমাজের মাঝে ব্যাপকহারে সহী দাওয়াতের কাজ চালান। কেউ কেউ মনে করে আপনারা কওমী উলামাদের থেকে বিচ্ছিন থেকে কাজ করেন। যদি এমনই হয় (যদিও আমার কাছে তা যথার্থ সত্য বলে মনে হয় না) তাহলে তা একটা মারাত্নক ভুল। ভাইদের কাছে এমন কোন ভুল না করার আবেদন থাকলো।
                    জাযাকাল্লাহু খাইরান, ভাই।

                    “জিহাদ জনগণকে নিয়ে করতে হবে। তাই জনগণকে আগে দ্বীন বুঝিয়ে সহীহ জিহাদের উপর উঠানো আবশ্যক।”
                    আপনার এ কথার সাথে জামা’আতুল মুজাহিদীন পুরোপুরি একমত।

                    “এর আগে যদি আমরা শক্তি প্রদর্শন করতে যাই তাহলে আমাদের শক্তিটা তেমন কোন ফায়েদা আনা ছাড়াই খরচ হবে।”

                    জামা’অাতুল মুজাহিদীন তো ১৭ই আগস্টে শক্তি প্রদর্শন করেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘১৭ই আগস্ট ’ দেশব্যাপী কোন লোমহর্ষক বোমা হামলা বা নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন ছিল না। ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রয়ারী জামা’আতুল মুজাহিদীনকে ত্বাগুত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। দাওয়াহকে রাষ্ট্রের সর্ব স্তরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এবং কালেমা পড়া নামধারি মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে কিতালের অপরিহার্যতা বুঝানোর লক্ষ্যে একটি ব্যতিক্রম পদ্ধতি হিসেবে, সারা দেশে প্রায় ৫৫০ টির অধিক জায়গায় সাউন্ড ব্লাস্টের মাধ্যমে দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের আহ্বান নামে লিফলেট প্রচার করা হয়েছিল। যেখানে কাউকে হত্যার উদ্দেশে বোমা হামলা করা হয়নি। বরং হত্যাকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে সাউন্ড ব্লাস্টের মাধ্যমে লিফলেট প্রচারই ছিল প্রকৃত উদ্দেশ্য।

                    সাধারণভাবে দাওয়াহ এবং লিফলেট প্রচারের কাজ ১৭ই আগস্টের পূর্বেও চলমান ছিল। ২০০১ সালে আমেরিকা কর্তৃক আফাগানিস্তানে হামলা হওয়ার পর ওসামা বিন লাদেনের জিহাদের ডাক এই শিরোনামে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে জুমুআর দিনে সারাদেশব্যাপী ইসলামী আইন বাস্তবায়নের আহ্বান শিরোনামে অগণিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছিল। এভাবে আল্লাহর ইচ্ছায় অসংখ্য কর্মসূচী বাস্তবায়িত হয়েছিল। ১৭ই আগস্টের পর জামা’আতুল মুজাহিদীন সাউন্ড ব্লাস্টের মাধ্যমে দাওয়াহ প্রদানের যৌক্তিকতা সম্বলিত সিডি প্রকাশ করেছিল, সেগুলো সম্ভবহলে দেখার অনুরোধ রইল।

                    ১৭ই আগস্টের ব্যাপারে শাইখ আব্দুর রাহমান রাহিমাহুল্লাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন আপনি এ কাজ করলেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এদেশের যুবকদের জিহাদ শিক্ষা দেয়ার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছেও এরকম।

                    আপনার বক্তব্যের পরবর্তী অংশে আসি,
                    “কেউ কেউ মনে করে আপনারা কওমী উলামাদের থেকে বিচ্ছিন থেকে কাজ করেন। যদি এমনই হয় (যদিও আমার কাছে তা যথার্থ সত্য বলে মনে হয় না) তাহলে তা একটা মারাত্নক ভুল। ভাইদের কাছে এমন কোন ভুল না করার আবেদন থাকলো”

                    সম্মানিত আহমাদ আল হিন্দি ভাইকে বলবো, ধারণা নির্ভর কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্যের নিকটবর্তী হয় না। নাসীহা অবশ্যই মুসলিমের জন্য উপকারী, আমরা সেটা সর্বাবস্থায় গ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ। তবে ধারণা মাফিক নাসিহা না দিয়ে পরিপূর্ণ জেনে কোন ভূল থাকলে সেটা সংশোধনী দিন, এটাই উত্তম। কে কি বললো আর না বললো সেটার প্রতি খেয়াল না করে, আপনার ভাই সম্পর্কে তার কাছ থেকেই জানুন। আপনার পাশে অবস্থিত ভাইকে কি আপনি জানবেন না? নাকি ধারণার উপরই তাকে ওজন করে যাবেন। তার ব্যাপারে অনুমান নির্ভর নাসিহা দিয়ে যাবেন !

                    সংক্ষেপে বলছি, ১৯৯৮ সালে জামা’আতুল মুজাহিদীন প্রতিষ্ঠার চিন্তা ও কার্জক্রম শুরুই হয়েছিল কওমি মাদ্রাসায়। জামাআতুল মুজাহিদীনের প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিবর্গ ও শুরা সদস্যগণ প্রায় সবাই ছিলেন কওমি মাদ্রাসা ফারেগ। তাদের কেউ কেউ মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিও নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শাইখ আব্দুর রহমান রাহিমাহুল্লাহ এবং নায়েবে আমীর শাইখ নাসরুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ অন্যতম।

                    সুতরাং এই কথার (“কেউ কেউ মনে করে আপনারা কওমী উলামাদের থেকে বিচ্ছিন থেকে কাজ করেন।) কোন ভিত্তি নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।


                    رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

                    “হে আমাদের রর, তুমি আমাদের যাবতীয় গুনাহখাতা ক্ষমা করে দাও, আমাদের কাজকর্মের সব বাড়াবাড়ি তুমি ক্ষমা করে দাও এবং (বাতিলের মোকাবেলায়) তুমি আমাদের কদমসমূহ মযবুত রাখো, কাফিরদের ওপর আমাদের বিজয় দাও।” (সূরা আল-ইমরান ৩ : ১৪৭)
                    Last edited by Al Burqan Team; 05-04-2017, 01:32 AM.
                    الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ

                    “যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উত্তম কথাসমূহের অনুসরণ করে; এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের আল্লাহ তা’আলা সৎপথে পরিচালিত করেন, আর এরাই হচ্ছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ।” (সূরা আয যুমার ৩৯: ১৮)

                    Comment


                    • #11
                      সংশয়টা একজন সৃষ্টি করেছিল। নিরসনটা সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হলাম। আল্লাহ তাআলা আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন। আমীন।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Ahmad Al-hindi View Post
                        সংশয়টা একজন সৃষ্টি করেছিল। নিরসনটা সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হলাম। আল্লাহ তাআলা আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন। আমীন।
                        আমীন, ইয়া রাব্বাল অালামীন।
                        Last edited by Al Burqan Team; 05-04-2017, 10:51 AM.
                        الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ

                        “যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উত্তম কথাসমূহের অনুসরণ করে; এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের আল্লাহ তা’আলা সৎপথে পরিচালিত করেন, আর এরাই হচ্ছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ।” (সূরা আয যুমার ৩৯: ১৮)

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by bokhtiar
                          ইখওয়াতি আল আফাদ্বিল, আমি এমন একটি সকালের অপেক্ষায় আছে, যেই সকালে আমার মুখটা অতিউজ্জল হবে, সকালে ফোরাম খুলেই দেখবো jmb ভাইদের পক্ষে থেকে নিউজ, আমরা আল ক্বায়দার সাথে একত্বতা পোষণ করছি। আল ক্বায়দাকে বাইয়াহ দিয়েছি। আশা করি এই খুশির নিউজটি আমার অনেক ভাইও আশা করেন। আল্লাহ আপনি আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন।
                          মুহতারাম আখি! এই সমস্ত কমেন্ট করতে মনে হয় নিষেধ করা হয়েছিল...

                          Comment


                          • #14
                            আল্লাহু আকবার! কত স্পষ্ট ও পরিস্কার আহ্বান!

                            Comment


                            • #15
                              বাইয়াত হবে ইমাম মাহদি (আ এর নিকট। আর এর পূর্বে হবে শুধু বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জিহাদি তানজিমের আমিরদের নিকট জিহাদের বাইয়াত।
                              আল কায়েদা উম্মাহর উপর কর্তৃত্বশীল নয় যে, সকলে আল-কায়েদার নিকট বাইয়াহ দিতে বাধ্য।
                              বরং আল-কায়েদার মানহাজ হলো সকলকে একত্র করে ক্রুসেডের বিরুদ্ধে চলমান এই জিহাদকে অধিক ফলপ্রসু করা ও মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত করে তুলার মাধ্যমে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়া।

                              সোজা কথায় মুসলিম উম্মাহর জন্য আল-কায়েদা জিহাদ করে। আল-কায়েদা মুসলিম উম্মাহের নেতৃত্বের আসন চায় না।
                              আল-কায়েদা চায় মুসলিমগণ জিহাদের জন্য দাড়বে এবং পস্তুত হবে।
                              আল-কায়েদা চায় ইমাম মাহদির অগ্রবাহিনী প্রস্তুত করতে। এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরী করতে। খিলাফত ও বায়াতের ভার নিজের হাতে চায় না আল-কায়েদা।

                              এই সহজ মানহাজটা বুঝতে হবে আমাদের ফোরামের সকল মেম্বারদেরকে। বিশেষত নতুন মেম্বারদেরকে।

                              এটা খলিফার বাইয়াত নয় যে, যারা আল-কায়েদাকে বাইয়াত দিলো না তারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত।
                              আল-কায়েদা কোথাও খিলাফত দাবী করে নি। আর তারা খিলাফত ও খলিফা প্রতিষ্ঠার অধিকার উম্মতের থেকে কখনো ছিনিয়ে নেবেও না।
                              খলিফা নিযুক্ত করা এই উম্মতের অধিকার। এবং সেটা হবে, যখন আল্লাহ চাইবে।
                              তার আগ পর্যন্ত আমাদেরকে জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে ক্রুসেডের বিরুদ্ধে, সবগুলো জিহাদি তানজিম এক পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে।

                              এখানে কে কাকে বাইয়াত দিলো এটা বড় কোনো বিষয় নয়।
                              বাইয়াত হলো এই যে, আমরা এখন একসাথে ক্রুসেডের মোকাবেলা করবো। এখানে মুসলিম উম্মাহের খলিফার দ্বায়িত্বে কাউকে বাইয়াত দেয়া হচ্ছে না। তাই এই বাইয়াত একজন আরএকজন কে দেয়া বাধ্যতামূলক আর না দেয়া গুনাহ ও গোমরাহী বিষয়টি এমন নয়।

                              আল্লাহ এই সহজ মানহাজটি আমাদের নতুন পুরাতন সকল ভাইদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন।

                              আমার কথায় কোনো ভুল হয়ে থাকলে আমাকে কেউ শুধরে দেবেন। কারণ আমিও বেশি একটা জানি না কিছু কিছু বিষয়ে।
                              Last edited by khalid-hindustani; 05-04-2017, 11:01 PM.

                              Comment

                              Working...
                              X