Announcement

Collapse
No announcement yet.

চলমান ফেতনার মধ্যে কি চুপ থাকা উচিত.....

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চলমান ফেতনার মধ্যে কি চুপ থাকা উচিত.....

    বর্তমান যুগে ইসলামী বিশ্বের সামনে যে পরিস্হিতি দৃশ্যমান, এমতাবস্থায় একজন মুসলমানের কী করা উচিত ? কার সঙ্গ দেয়া উচিত ? নাকি চুপ করে বসে থাকবে ? কিছু লোকের ধারনা, এটা ফেতনার যুগ| ফেতনার সময় কারো সঙ্গ দেয়া উচিত নয়, বরং চুপ থাকা উচিত| প্রশ্নগুলোর জবাব জানার আগে আমাদের জানা উচিত যে, নবী কারীম ( সাঃ ) প্রত্যেক যুগের ফেতনা পৃথক পৃথক বর্ণনা করেছেন| প্রত্যেক ফেতনা বর্ণনা করার সাথে সাথে তা থেকে বাঁচার পদ্ধতিও বলেছেন| এমন নয় যে, প্রত্যেক ফেতনা থেকে একই পদ্ধতিতে বাঁচা যাবে| এক ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য অন্য ফেতনা থেকে বাঁচার পদ্ধতি অবলম্বন করলে চলবে, এমনটিও নয়| সহজে বুঝার জন্য আমরা এখানে হাদীস উল্লেখ করছি , যেগুলোতে নবী কারীম (সাঃ) বিভিন্ন ফেতনা বর্ণনা করেছেন এবং সেগুলোতে কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তাও বলে দিয়েছেন|

    ১. আবু যর গিফারী রা. বলেন, রাসূল (সাঃ) আমাকে বলেন, তোমাদের তখন কী হবে যখন তোমাদের উপর এমন শাসক হবে, যারা নামাযকে আপন সময় থেকে পিছনে নিয়ে আদায় করবে ? অথবা নামাযকে তার আপন সময় থেকে সরিয়ে বরবাদ করে আদায় করবে ? আবু যর রা. জিঙ্গেস করলেন, তখন আপনি আমাকে কী করতে আদেশ করেন ? তিনি বললেন, তোমরা নামাযকে তার ওয়াক্ত অনুযাযী আদায় করবে| যদি শাসকদের সাথে পড়তেও হয়, তাহলে পড়বে| সেটা তোমাদের জন্য নফল হয়ে যাবে| [ মুসলিম শরীফ ]

    ফায়দাঃ এই হাদীসে রাসূল (সাঃ) নামাযের ওয়াক্তকে বরবাদ করার ফেতনার ব্যাপারে সর্তক করেছেন এবং তার সমাধানও বলেছেন| এখন এখানে যদি কেউ এ কথা বলে, এটি একটি ফেতনা| ফেতনার সময় ঘরে চুপ করে বসে যাওয়া উচিত, তাহলে সঠিক হবে ? না | চিকিৎসা সেটি-ই করতে হবে, যেটি নবুওয়াতের যবানে বাতলে দিয়েছেন| সুতরাং উমাইয়া যুগে এই ভবিষ্যবাণী বাস্তবায়িত হয়েছে| বিশেষত হাজ্জায বিন ইউসুফের সময়| যেসব উলামায়ে কেরাম তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বের হয়েছেন তার কারনসমূহের একটি হলো, নামাযের ওয়াক্ত নষ্ট করা|

    ২্| আদ্বুল্লাহ বি আব্বাস রা. থেকে বর্ণীত, রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, ফেতনার যুগে সেই ব্যাক্তি সর্বত্তম,যে নিজের ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরবে এবং আল্লাহর দুশমনদের পিছনে ধাওয়া করবে| আল্লাহর দুশমনদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শন করবে| অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দী হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে|

    ফায়দাঃ এই হাদীসে ফেতনার সময় জিহাদকারীদেরকে সর্বত্তম বলা হয়েছে|

    সুতরাং বর্তমান এই সময়কে নিজের মনগড়া দৃষ্টিতে না দেখে, চুপ করে বসে না থেকে| কুরআন ও হাদীসে যেভাবে এই বর্তমান সময়ে ফেতনা নির্মুল করতে বলা হয়েছে, সেভাবে যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি , সেদিকে সর্তক থাকতে হবে | যাতে আমরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত না হয়্| আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন| আমীন.....!!!!

  • #2
    জাজাকুমাল্লাহু আখি।
    তবে আমাদের কে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সুরা আনফালের ৩৯ নং আয়াতে কি বলেছেন এই দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।
    আল্লাহ তায়ালা বলেন যে তোমরা কিতাল করতেই থাক যতক্ষণ পর্যন্ত এই ফিতনা দূরীভূত না হয় এবং পরিপূর্ণ দ্বীন আল্লাহ তায়ালার জন্য হয়ে যায়।
    ভাই আয়াতে কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা ফিতনার প্রকার বলে দেন নাই।বলছেন ফিতনা চাই সেটা যে কোন ফিতনা হক না কেন।রাস্তা একটাই এটা হলো কিতাল।
    যেমন মনে করতে পারেন অনেক ওলামায়ে কেরামগনই তো বলেন যে গঠনতন্ত্র একটা ফিতনা এর বিপরীতে ও আমাদের গঠনতন্ত্র করতে হবে।
    তাহলে ফিতনাটা যদি নাইট ক্লাব বা কোন পতিতার রুপ নিয়ে আসে তাহলে আমাদের করনীয় কি হবে।।

    Comment


    • #3
      ♦অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দী হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে|
      আচ্ছা ভাই কেউ যদি উক্ত হাদীসের উপর আমল করে তাহলে সে কি উত্তম লোকদের অন্তর্ভূক্ত হবে..????
      উত্তর আশা করছি..!
      كتب عليكم القتال وهو كره لكم

      Comment


      • #4
        হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন,আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ফেতনার বিষয়ে আলোচনা করলেন এবং বিষয়টা খোলাখুলি বর্ণনা করলেন| আমি জিঙ্গাসা করলাম, সেই ফেতনার যুগে সবচেয়ে উত্তম মানুষ কে হবে ? উত্তরে তিনি বলেছেন, উক্ত ফেতনার যুগে সবচেয়ে উত্তম হবে সেই ব্যক্তি,যে তার পশুপালের মাঝে জীবন অতিবাহিত করবে, সেগুলোর যাকাত আদায় করবে এবং আপন রবের ইবাদতে নিমগ্ন থাকবে| আর সেই ব্যক্তি, যে আপন ঘোড়ার মাথা ধরে দাড়িঁয়ে থাকবে ( সব সময় জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকবে ) আর ইসলামের শত্রুদের সন্ত্রস্ত করতে থাকবে| তারাও তাকে ভয় দেখাবে| [আল ফিতান !! খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ১৯০]

        অর্থাৎ - ফেতনার যুগে দুই শ্রেণীর মানুষ ‘ ভালো মানুষ ‘ বলে বিবেচিত হবে| এক শ্রেণীর মানুষ তারা, যারা ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং জিহাদের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে| এক কথায়, ফেতনার যুগে ‘ মুজাহিদীনে ইসলাম ‘ শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে| এখানে সশস্ত্র লড়াই ছাড়া জিহাদের ভিন্ন কোন ব্যাখ্যা করার অবকাশ নেই|

        আরেক শ্রেণীর মানুষ হচ্ছে, তারা সেই সব লোক, যারা ফেতনার গ্রাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য গরু-ছাগল,ভেড়া-মহিষ যার যা আছে নিয়ে পাহাড়-বিয়াবনে চলে যাবে|
        এই দুই শ্রেণীর মধ্যে প্রথম শ্রেণীটি তথা ‘ মুজাহিদীনে ইসলাম ‘ বেশি মর্যাদার অধিকারী হব| কারন মুজাহিদরা নিজের ঈমান রক্ষার পাশাপাশি গোটা উম্মতের ঈমান রক্ষার কাজে জীবন বাজি লাগাবে|
        তারা শত্রুদেরও হত্যা করবে, নিজেরাও নিহত হবে|
        আল্লাহ আমাদেরকে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি মুজাহিদীনের সাথী হয়ে , অটল অবিচল থেকে আপনার রাহে জিহাদ করতে পারি| এবং শাহাদাত লাভ করতে পারি| আমীন...!!

        আল্লাহ তাআলা সূরা আনফালের ৩৯ নম্বর আয়াতে বলেন---
        অর্থ ঃ- আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষন না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়| তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন|

        Comment


        • #5
          খালিদ ইবন ওয়ালিদ (রা) বা ওয়াইস আল কারনী (রা) দুই দিকেই আমাদের জণ্য উত্তম আদর্শ।

          Comment

          Working...
          X